নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরবে রমাদান (আরব ডায়েরি-১১২)

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮



হিজরি হচ্ছে চন্দ্রবর্ষ অপরদিকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সৌরবর্ষ। প্রতিবছর জুন মাসে সৌদি আরবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়। আমরা ২ মাসের গ্রীষ্মকালীন ছুটি পাই যা ঈদসহ আড়াই থেকে তিন মাস হত। চন্দ্রবর্ষ আর সৌরবর্ষের মাঝে ১০ দিনের গ্যাপ আছে। তাই ক্রমেক্রমে রমাদান মাস এগিয়ে এসে জুন মাসে ঠেকেছে। এর আগে ছুটিতে দেশে গিয়ে রমাদান মাস পেতাম। এখন গত বছর হতে রমাদান মাসের অনেকটা সময় সৌদি আরবেই থাকতে হচ্ছে।

এই দুই বছরে আরবে এই ধর্মীয় মাসকে খুব কাছ হতে দেখেছি। সবার লেখাই থাকে একপাক্ষিক। হয় সব ভালো, নয় সব খারাপ। কিন্তু আমি যেমনটা পেয়েছি, আজ তারই কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।

আরবরা রমাদান মাসে হুট করেই রোজা রাখা শুরু করে না। তারা এর পূর্ববর্তী মাস শাবান হতেই এর প্রস্তুতি নিতে থাকে। আরবরা সপ্তাহের সোমবার এবং বৃহঃবার, পাশাপাশি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা রেখে নিজেকে ঝালিয়ে নেয়। হাদীসে এই সময়গুলোতে রোজা রাখার নির্দেশনা রয়েছে। ফলে রমাদান মাসে সুদীর্ঘ ৩০ দিন একটানা রোজা রাখায় অভ্যস্ত হতে সময় লাগে না।

রমাদান মাস শুরু হবার সাথে সাথেই সুপার শপগুলোতে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যে ডিসকাউন্ট থাকে। সেহরির সময়ের পূর্ব পর্যন্ত মার্কেটে লোকজনের সমাগম চোখে পড়ার মত। আরবরা এত পরিমাণ খাবার কেনে যা নিতান্তই অপচয়। যাদের ছুটি থাকে, বেশীরভাগ মানুষই সারারাত ঘুরে বেড়িয়ে দিনের বেলায় নামাজের সময়টুকো বাদে ঘুমিয়ে কাটায়। রমাদান মাস সংযমের নির্দেশনা দিলেও সত্যিকার অর্থে সংযম দেখতে পাওয়া যায় না। আলো ঝলমলে নগরীতে আরব মেয়েদের কোলাহলে শপিং সেন্টারে গভীর রাত হয়েছে কিনা, তা আর বুঝার উপায় নাই।


ছবিঃ ইন্টারনেট

আরবরা এই সময়টাকে দান খয়রাত ও সদাকার জন্য বেছে নেয়। এ প্রসঙ্গে একটি হাদীস বলতেই হচ্ছে-
ইবনে আব্বাস বলেন, আদম সন্তানের দেহে তিনশত ষাটটি সংযোগ অস্থি বা গ্রন্থি আছে। প্রতিদিন সেগুলোর প্রতিটির জন্য একটি সদাকা ধার্য আছে। প্রতিটি উত্তম কথা একটি সদাকা। কোন ব্যক্তির তার ভাইকে সাহায্য করাও একটি সদাকা। কেউ কাউকে পানি পান করালে তাও একটি সদাকা এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানোও একটি সদাকা।

মানুষকে পানি পান করানো অন্যতম বড় সদাকা। মসজিদগুলোতে নামাজীদের জন্য পানির স্তুপ দেখা যায়, অথবা ট্রাফিক স্যিগনালগুলোতে ছোট এক প্যাকেট খেজুড় ও এক বোতল পানি সব গাড়িতে দেয়া হয়। মানুষ খুশী মনে তা গ্রহণ করে। অনেক সৌদি রাস্তার পরিচ্ছন্নকর্মীদেরকে গাড়ী হতে মুঠো ভর্তি রিয়াল গছিয়ে দেয়। আর এই সদাকার জন্য অনেক বিদেশি অপকর্ম করে থাকে। ট্রাফিক স্যিগনালে গাড়ী থামলে সৌদিরা সদাকা দেয়ার জন্য পরিচ্ছন্নকর্মীদেরকে ডেকে নেয়। তাই ট্রাফিক স্যিগনালগুলো রমাদান মাসে হয়ে উঠে আয়ের অন্যতম উৎস। বিদেশিরা তার ম্যানেজারকে অনেক টাকা ঘুষ দিয়ে ট্রাফিক স্যিগনালগুলোতে কাজ নেয়। একেকজন এই সময়ে ৩/৪ লাখ টাকা আয় করে।


ছবিঃ ইন্টারনেট

ইফতারের আগে আগে সৌদিরা যেন পাগল হয়ে যায়। সবাই এক সাথে খাবার কিনতে রাস্তায় বের হয়। ফলে রাস্তায় লেগে যায় দীর্ঘ জ্যাম। দ্রুত ও রং পার্কিংয়ের কারনে অনেক এক্সিডেন্টও হয়। আরবদের খাবার তালিকায় অনেক পানীয় থাকে যা মূলতঃ অনেক স্বাস্থ্যকর। অথচ আমাদের দেশের খাবার তালিকায় ভাজাপোড়া না থাকলে চলেই না। আরবরা ইফতারে খেজুর এবং ‘সুরবা’ বা একধরণের স্যুপ খাবেই। এছাড়া বিভিন্ন রকম ফল, জ্যুস, লাবান থাকে। ভাজা খাবারের মাঝে তারা মাংসের সমুচা খায়। কখনো কখনো মাংসের ঝোল দিয়ে রুটি খেয়ে থাকে।

বড় বড় মসজিদের পাশে তাবু টানিয়ে তাতে সবার জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়। এলাকার সৌদিরা বা কোন প্রতিষ্ঠান সারা মাস জুড়ে এই ইফতারের খরচ বহন করে থাকে। তবে একটা বিষয় লক্ষনীয়, কিছু ব্যতিক্রম বাদে এসব তাবুতে শুধুমাত্র খেটে খাওয়া বিদেশীরা অংশগ্রহণ করে থাকে, এসব তাবুতে সৌদিদের দেখা যায় না। হয়তো এখানেও রয়েছে অদৃশ্য বৈষম্য।


মসজিদে ইফতার

কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন আবহা হতে ৩০ কিমি দূরের একটি গ্রামে গিয়েছিলাম পিকনিক করতে। পাহাড়ঘেরা নির্জন জায়গায় সুদৃশ্য মসজিদ দেখে অবাকই হলাম। ইফতারের সময় হতেই মসজিদে গ্রামের বিভিন্ন বাসা হতে খাবার আসতে থাকল- নানারকম আইটেম। আমরাও এলাকার অন্যান্য বিদেশীদের সাথে সেখানে যোগদান করলাম। সৌদিরা নিজ হাতে সবাইকে খাবার তুলে দিল, নিজেরা খেল। এটাই হচ্ছে প্রকৃত ভাতৃত্ববোধ। দারূণ মজাদার ও লোভনীয় ইফতার খেয়ে আমাদের নিজেদের রান্না করা খাবার শেষ করতে কষ্ট হয়েছিল।


গ্রামের মসজিদে বাহারি ইফতার

আমাদের আবহায় আমরা দেখতে পাই, সৌদিরা ইফতারের আগে আগে খাবার নিয়ে ফ্যামিলি বা বন্ধু সহ কোন পাহাড়ের চূড়ায় চলে যায়। সেখানে সবাই মিলে সময়টা উপভোগ করে, একসাথে খাওয়াদাওয়া শেষে বাড়ী ফিরে। কখনো কখনো রান্নাও করে থাকে।
আমরা বন্ধুরাও বেশ কয়েকদিন পাহাড়ের গহীনে এবং পাহাড় চূড়ায় একসাথে ইফতার করলাম। ইফতারে ফল ও আমাদের দেশী আইটেমগুলো ছিল। এখানে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে দেশের সব আইটেমই পাওয়া যায়। দুইদিন বাহিরে রান্নাও করলাম। সবাই একসাথে, নিজ হাতে তৈরি করা খাবার দিয়ে ইফতারের আনন্দ বুঝানো যাবেনা।




আমাদের ইফতার


আমাদের রান্না

রমাদান মাসের কথা আসলেই তারাবি’র প্রসঙ্গ আসে। সমগ্র সৌদি আরব জুড়ে ৮ রাকাত তারাবি’র নামাজ পড়া হয় এবং এটাই সুন্নাহ। প্রশ্ন আসতে পারে মক্কা, মদীনার মসজিদুল হারাম এবং কয়েকটি মসজিদে কেন ৮ রাকাতের অধিক তারাবি পরানো হচ্ছে? প্রকৃত কারণ হচ্ছে-মক্কা ও মদীনা ছিল ৭০০/৮০০ বছরের তুর্কি শাসনের পাওয়ার হাউজ। তুর্কি আমলে এমন কিছু ধর্মীয় আচার চালু হয়েছিল যা সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এক সময় কাবা প্রাঙ্গনে ৪ টি প্রধান মাযহাব আলাদা আলাদাভাবে নামাজ পড়ত। তারাবি’র নামাজও মক্কা/মদীনায় ২০ বা তারো অধিক রাকাত পড়া হচ্ছে যা বন্ধ করলে অধিক ফিতনা সৃষ্টি হবে এই আশংকায় সহসাই বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে এটা ঠিক যে ৮ রাকাত পর্যন্ত সুন্নাহ হলেও এর বেশী নামাজ পড়া যেতে পারে, এটা নিয়ে কোন মতবিরোধ নেই। তাই মসজিদুল হারামাইনে অধিক নামাজ পড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই।

সৌদি আরবে রমাদান মাসে কেউ না খেয়ে আছে তা ভাবাই যায় না। রাস্তায় ফলের গাড়ী, কিংবা ইফতারের আইটেম দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। কেউ ইফতার করছে, আপনি পাশ দিয়ে দৌড়ে বাসায় ফিরছেন অথচ আপনাকে ইফতারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এ দৃশ্য কখনোই ঘটবে না।

এখানে রয়েছে বিশেষ রহমত। তারা যতটুকোই আমল করে বিশুদ্ধভাবে শিরকমুক্ত ঈবাদত করে।


মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

বিজন রয় বলেছেন: খাবারগুলো মনে হয় টেস্টি।

পোস্টে ++++।

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

মধুমিতা বলেছেন: খাবারের স্বাদ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন আপু। ভালো লাগল। সৌদিদের রমজানে খাবার বিলি করা আর সাদকা দেখে খুব ভালো লাগে। তাদের এ উদারতার প্রশংসা করতে হয়। তবে তারা সত্যিই খুব অপচয় করে।

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল ও মন্দ মিশিয়েই আমাদের চারপাশ।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটাই হচ্ছে প্রকৃত ভাতৃত্ববোধ - ২/১ টা ব্যাতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ সৌদি-ই অনারব মুসলমানদেরকে ২য় শ্রেণীর মুসলমান মনে করে।

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোথায় একটা সমস্যা আছে, আরবেরা এত ভালো হলে, কিভাবে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে?

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোথায় একটা সমস্যা আছে, আরবেরা এত ভালো হলে, কিভাবে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে? - ভাই, সারা দুনিয়ায় মুসলমানদের আজকের দূর্গতির মূলে এই আরবদের ''ভ্রাতৃত্ববোধ''।

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৫

দিকভ্রান্ত এক পথিক বলেছেন: রমাদান মাস শুরু হবার সাথে সাথেই সুপার শপগুলোতে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যে ডিসকাউন্ট থাকে।

আরব ব্যাবসায়ীরা গাধা নাকি? আমাদের দেশের ব্যাবসায়ীদের থেকে কিভাবে বেশি লাভ করতে হয় এটা শিখতে পারে না? |-)

৭| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৭

দিমিত্রি বলেছেন: আপনাকে অনুসরন করে রাখলাম। পুরো সিরিজটা শুরু থেকে পড়বো। শুভকামনা।

৮| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৫

ক্লে ডল বলেছেন: দারুণ পোষ্ট!!

৯| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:১৬

মধুমিতা বলেছেন:
@চাঁদগাজী
যা হচ্ছে তা নিতান্তই রাজনৈতিক। সাধারণ মানুষের মতামত এখানে প্রতিফলিত হচ্ছে না।
তাছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যে এমনটা ঘটবে এটা আগেই ডিভাইন ভবিষৎবাণী করা আছে।

১০| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: তারা যতটুকোই আমল করে বিশুদ্ধভাবে শিরকমুক্ত ঈবাদত করে।আমাদের দেশে মনে হয় এর ঠিক উল্টো।
আমাদের দেশের বেশির ভাগ মুসলিম বেদাত আর শিরকযুক্ত আমলেই আগ্রহী।
সুন্দর লেখাটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সউদ পরিবারের ক্ষমতারোহনইতো অবৈধ! তারাকি ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা রাখে।?

ইসলামতো পেট্রো ডলার বা আমেরিকার বন্ধুত্বের মূখেপেবক্ষি নয়!

তাদের আরবের নাম বদলানো সবচে বগ অন্যায়- জাজিরাতুল আরবকে সউদ বংশের নামে সউদি আরব বলাটাই অন্যায়! রাসূল সা: এর প্রতি অন্যায় করা! ইসলামের প্রতিষ্ঠাতাও তো আরবের নাম বদলে মোহাম্মদী আরব করেন নি!? করেছেন কি?

চলমান আরবদের রমদান সম্পর্কে জানতে পারলাম আপনার পোষ্টে! জানানোয় ধন্যবাদ।

কিন্তু তা শিরক মুক্ত এবং প্রকৃত ইসলামী আচরন এই মতে তীব্র ভাবে আপত্তি রইল।

রমজানের অফুরান শুভেচ্ছা :)

১২| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



এই শিরকমুক্ত আমলের নামে যা হচ্ছে তা উপর থেকে দেখলে ভাল মনে হলেও এর ভেতরের দিকটি কদর্য। 'কুরআন মানি হাদিস মানি' -শ্লোগানের আড়ালে মহান আসহাবে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাবিয়ীন, তাবে-তাবিয়ীনসহ উত্তম জামানাগুলোর সমস্ত আইম্মায়ি মুজতাহিদীনগনের মহান অবদান, তাদের ইত্তেবা অনুসরন ইত্যাদি সকল কিছুকে এড়িয়ে যাওয়ার দুরভিসন্ধি যেমন লুকায়িত, তেমনি এসব আমলকারী সাধারন মুসলিমগন দায়ী না হলেও এর পেছনে কলকাঠি নাড়ানো কুশীলবগন নিজেদের মতবাদ জনগনের মাথায় চাপিয়ে দিয়ে তার বদৌলতে 'শায়েখ' উপাধি আর হালুয়া রুটির কামানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত।

গ্রাম্য ভাষায় একটি কথা রয়েছে- 'যার কারনে শিরনি খাইলি মোল্লা চিনলি না'। তো এই শ্রেনির অতি আধুনিক মুসলিমদের অবস্থা অবিকল এই অকৃতজ্ঞ শিরনিখোরের মত। যাদের জান প্রানের বিনিময়ে কুরআন হাদিস পেলাম তাদেরকেই এরা চিনতে চায় না। মাযহাবের মহান ইমামগন তো দূর কি বাত, খোদ সাহাবিদের প্রতি তাদের কটাক্ষ হৃদয় চৌচির করার মত।

যাক, আল্লাহর কাছে তাদের এবং আমাদের সকলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।

অনেক দিন পরে আপনার পোস্টে এলাম। অনেক ভাল লাগল এই পোস্ট। আপনি ভাল আছেন নিশ্চয়ই। ভাল থাকুন অন্তহীন।

১৩| ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

হাসান রাজু বলেছেন: গ্রামের যে অবস্থা সম্পন্ন পরিবারটি থাকে, তার সদস্যদের চাল চলন, ব্যাবহার, ধর্ম - কর্মের খোঁজ সবাই রাখে । ঐ ফ্যামিলির সামান্য দোষ ও বিশাল । সমাজের অবস্থা সম্পন্ন মানুষরা ভালো হয়ে চলবে, সেটা বাকিদের একটা বড় চাওয়া । নিজেরা অতো ভালো না হলেও চলবে ।

আরবদের ক্ষেত্রে ও তাই । তাদের আয়েশ, অপচয়, ভোগ-বিলাস নিয়ে আমাদের নাক সিটকানো নতুন না । কিন্তু তাদের ধার্মিকতা, সততা, দান খয়রাত করার মত অন্যান্য ভালো গুণগুলো কখনো আলোচনা করি না ।
এটা কি আমাদের (মানুষদের) পরশ্রী কাতরতার কারনে ? কে জানে !

আমাকে, আপনার লেখার একজন ভক্ত হিসেবে জানবেন । ধন্যবাদ ।

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০৮

কল্লোল পথিক বলেছেন:






চমৎকার পোস্ট!

১৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টের বিষয়বস্তু , আলোচনা , সমালোচনামুলক মন্তব্য সকলিই বেশ উপভোগ্য , বিষয়গুলির মধ্যে অনেক মুল্যবান কথাবার্তা রয়েছে বলে দেখা যায় । তবে আরবীয়দেরকে মানুষ যে ভাবে দেখতে চায় সেভাবে দেখতে পাচ্ছেনা । ইসলামে বলা হয়েছে ডান হাতের দান খয়রাত বা হাতে দেখতে না পাওয়াটা বেশী উত্তম । তাঁরা ভাল করে জানে আরব দেশে যারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে সদকা নেয় তারা সকলেই বেশ ভাল আয় উপার্জন কারী ( হাতে গনা দু একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে ) , কেও বেকার নয় এটলিস্ট খেয়ে পরে বেচে আছে ভাল করে । তারা এও জানে দুনিয়ার অনেক গরীব দেশেই বহু মানুষ চরম দারিদ্রতার মাঝে বস বাস করছে । তা্দের বিপুল পরিমান সদাকাকে অর্গানাইসড ওয়েতে দরিদ্র দেশগুলিতে যদি সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হতো তাহলে এর সুফল অনেক বেশী হতো তারা হয়ত এ জন্য পুণ্য ও বেশি পেতে পারত। উল্লেখ্য যে পাচ্চাত্ত ধনী দেশের লোকজনেরা আরবীয়দের থেকেও বেশী দানখয়রাত করে , তারা দান খয়রাত করে সংঘঠিত উপায়ে কোন চ্যরিটি বা ট্রাস্টের মাধ্যমে, তারা রাস্তায় ট্রাফিক পয়েন্টে দাঁড়িয়ে কাওকে দান খয়রাত করেনা , কিংবা কোন সাহায্যপ্রার্থী ট্রাফিক পয়েন্টে গিয়ে সাহায্যও চাইতে পারেনা , এটা সেখানে অকল্পনীয় । সে তুলনায় দামী ও অত্যাধুনিক বিলাসী জীবন যাপন করলেও এবং ইসলামের সুতিকাগার দেশের অধিবাসী হয়েও তারা এখনো রয়ে গেছে অনেক পশ্চাতে , দান খয়রাত ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে এদের আরো অনেক কিছু শেখার এখনো বাকী আছে । দোয়া করি পরিত্র রমজানে সকলের বৃহত্তম মঙ্গল সাধন হোক জীবনের সকল পর্যায়ে, বিত্তবানেরা এগিয়ে আসুক সংগঠিত উপায়ে বিশ্ব মানবতার কল্যানে ।
ধন্যবাদ , শুভেচ্ছা রইল

১৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ, খুব ভালো লাগলো। তবে তারাবীর ব্যাপারে খুবই কনফিউশনে পরে গেলাম। B:-)

১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভালই লাগলো। ধন্যবাদ।

১৮| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

জোবায়ের হোসাইন জামীল বলেছেন: লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল
সত্যি খুব দারুণ হয়েছে
সংক্ষিপ্ত ভাবে সৌদি আরবের
চিত্র তুলে ধরেছেন
লেখাটি পড়েছি আর নিজ চোখেই যেন আরবিয়ানদের অবস্হা অবলকন করেছি

১৯| ২৭ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

ঈদ মোবারক। আশাকরি সুন্দর একটা ঈদ উৎযাপন করেছেন পরিবারকে নিয়ে।

আপনার ব্লগিং প্যাটার্ন দেখলেই বুঝা যায় রোজার মাসাটা অবসর সময় কাটান। বছরের এই সময়টাই আপনার আরব ডাইরি নিয়মিত হয়। আপনার ব্লগ গুলো আসলেই আরবের জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি। বরাবরের মতো আর একটি তথ্যপূর্ণ পোষ্ট। সাম্প্রতিক সময়ে ফিশিং এ যান নি মনে হয়?

ভাল থাকবেন।

২০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

মোঃমোজাম হক বলেছেন: একদম পারফেক্ট লিখেছেন।অনেক ধন্যবাদ।
কিছু পাঠক আছে তারা সবসময়ই সৌদি বিরোধী কিছু না বললে তাদের চলেনা।এখানেও তাদের আগমন ঘটেছে।
আপনার লেখার ভাল দিক না দেখে খারাপ দিকে নজর দিচ্ছে।
তারাই বলুক পৃথিবীর কোন দেশটির রাজনৈতিক দৃস্টিভঙ্গি ভাল?

২১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: রমাদান মাসের কথা আসলেই তারাবি’র প্রসঙ্গ আসে। সমগ্র সৌদি আরব জুড়ে ৮ রাকাত তারাবি’র নামাজ পড়া হয় এবং এটাই সুন্নাহ। প্রশ্ন আসতে পারে মক্কা, মদীনার মসজিদুল হারাম এবং কয়েকটি মসজিদে কেন ৮ রাকাতের অধিক তারাবি পরানো হচ্ছে? প্রকৃত কারণ হচ্ছে-মক্কা ও মদীনা ছিল ৭০০/৮০০ বছরের তুর্কি শাসনের পাওয়ার হাউজ। তুর্কি আমলে এমন কিছু ধর্মীয় আচার চালু হয়েছিল যা সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এক সময় কাবা প্রাঙ্গনে ৪ টি প্রধান মাযহাব আলাদা আলাদাভাবে নামাজ পড়ত। তারাবি’র নামাজও মক্কা/মদীনায় ২০ বা তারো অধিক রাকাত পড়া হচ্ছে যা বন্ধ করলে অধিক ফিতনা সৃষ্টি হবে এই আশংকায় সহসাই বন্ধ করা যাচ্ছে না।
ওলামায়ে কেরামের মুখে তারাবি ২০ রাকাত বলিয়াই শুনিয়াছি। ৮ রাকাত সুন্নাহ কই পাইলেন ? ইহাতো আহলে হাদীসেরা বলিয়া থাকে। আপনি আহলে হাদিস জানিতাম না ! ৮ রাকাতের বর্ণনাতো তাহাজ্জুদের নামাজের হাদিসে আসিয়াছে যাহা রাসূল সঃ ঘরে পড়িতেন। যাহা হউক , মক্কা মদিনায় ২০ রাকাত পড়ার যে কারণ বলিলেন তাহা নিতান্তই খোঁড়া যুক্তি। তুর্কি শাসনামলের মাজারগুলি পর্যন্ত ভাঙিয়া গুড়াইয়া দেওয়া হইয়াছে। আর ফেতনার আশঙ্কায় তারাবি ২০ রাকাত থেকে ৮ রাকাত করে না এই যুক্তি কি হাস্যকর নয় ? যাই হোক রমাদানের বর্ণনা ভালো লাগিল। যাহাদের কাছে আরব মানেই বর্বর, প্রাগৈতিহাসিক সেইসব শিয়া, বুদ্ধুজীবী পাঁঠাদের কাছে আরবের ভালো কিছু বিশ্বাস হইবে না, ইহাই স্বাভাবিক !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.