নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক্সোডাস কোথায় হয়েছিল? পর্ব-৬ (আরব ডায়েরি-১১৮)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৪



১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
৫ম পর্ব

মদীনার দিকে এগিয়ে চলছি। আবহাওয়া অনেক ভাল, ঠান্ডা গরমের মাঝামাঝি। মরুভূমির মাঝ দিয়ে হাইওয়ে এগিয়ে চলেছে। এরচেয়েও রুক্ষতর পরিবেশে মোহাম্মদ (সাঃ) ও আবু বকর উটের পিঠে চড়ে ইয়াথরিবের দিকে রওনা হয়েছিলেন।

হাইওয়ের পাশে ৫০/১০০ কিমি দূরে দূরে পেট্রল স্টেশন আছে। পেট্রল স্টেশনগুলোতে মসজিদ, খাবার দোকান, মুদি দোকান প্রভৃতি প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবস্থা থাকে। এমনি একজায়গায় মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। সন্ধ্যার হিমেল হাওয়া এমনভাবে পরশ বুলিয়ে দিল যে, শরীরটা চাঙ্গা হয়ে উঠল। নামাজ শেষে পেট্রল স্টেশন থেকে যখন বের হচ্ছিলাম, একপাশে আল বাইক দেখতে পেলাম। আল বাইককে নিয়ে আলাদা পোস্ট দেয়া যাবে। আল বাইক হচ্ছে সৌদি আরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘চিকেন ব্রোস্টের’ দোকান। আল বাইকের চিকেন ব্রোস্ট খাওয়ার জন্য মানুষ দোকান খোলার ঘন্টা দুই আগে হতেই লাইন ধরে থাকে, মারামারি করে। এমন ক্রেজ ওয়েস্টার্ন দেশগুলোতে শুধু আইফোনের জন্য দেখা যায়।

অথচ মরুভূমির মাঝের এই ব্রাঞ্চটিতে কোন ভীড় নেই। চাইলেই আমরা মারামারি আর সময় অপচয় করা ছাড়াই ব্রোস্টের স্বাদ নিতে পারি। কিন্তু দুপুরের খাবারের রেশ এখনো কাটেনি। তাই সবাই “খাব কি, খাব না” এই দ্বিধায় ব্রোস্ট না খেয়েই আবারো মদীনার পথ ধরলাম।

রাত ৮ টায় মদীনা পৌছি। মদীনা আমার সবসময় ভালো লাগে। কেন যেন মনের মধ্যে প্রশান্তি বয়ে যায়। এর আবহাওয়া সব সময়ই আরামদায়ক। মসজিদে নববীর চারপাশ জুড়ে অনেক ফাঁকা জায়গা আছে। মক্কার মত বড় বড় টাওয়ারে এখনো আচ্ছাদিত হয়ে পড়েনি। মোহাম্মদ (সাঃ) নিজে মদীনার জন্য দোয়া করে গেছেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! মক্কার ন্যায় অথবা তার চেয়ে অধিক মদীনার মুহাব্বত আমাদের অন্তরে সৃষ্টি করুন। হে আল্লাহ আমাদের খাদ্যে ও উপাদানে বরকত দিন এবং তার আবহাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের উপযোগী করুন”।

হোটেলে উঠে গোসল করে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। মদীনার বাঙ্গালি এরিয়ায় অনেক রেস্টুরেন্ট আছে। খাবার অনেক ভালো বানায়। এলাকাটা সবসময়ই জমজমাট থাকে। খুব ভোরে উঠতে হবে। মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে বাকী কবরস্থান জিয়ারতের ইচ্ছা আছে। রুমে ফিরে সবাই অতল ঘুমে তলিয়ে গেলাম।

নবুয়্যাতের শেষ ১০টি বছর মোহাম্মদ (সাঃ) মদীনা কাটিয়েছেন। মদীনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পূর্নাঙ্গ রাষ্ট্রব্যবস্থা। মদীনার রাস্তায় যখনি হাটছি, আমার চোখে ভেসে উঠে অনেক অনেক ইতিহাস। ১ বা ২ দিনের মদীনা অবস্থান কোনভাবেই এই ইতিহাসকে জানা ও উপলব্ধি করার জন্য যথেষ্ট নয়।

ফজরের নামাজের জন্য আমরা সবাই যখন মসজিদে নববীর দিকে যাচ্ছিলাম, আমি জানি কতকত ইতিহাস এই মসজিদের ভেতরে ঢাকা পড়ে আছে। কিছুকিছু তথ্য বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তার কিছুটা আজ খুঁজে ফিরব।

মসজিদের অনেকগুলো গেট রয়েছে। পুরনো গেটগুলোর নামকরণ প্রাচীন ইতিহাসকে স্মরণ করে করা হয়েছে। আবার আধুনিককালে মসজিদ সম্প্রসারণের ফলে নতুন গেটগুলো বর্তমানকালের বাদশাহদের নামেও হয়েছে।



আমরা কিং ফাহাদ গেট দিয়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করি। বাংলাদেশি এরিয়া হতে মসজিদে ঢুকতে চাইলে এই বড় গেটটি সামনে পড়ে। সুমধুর তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নামাজ শেষ করলাম। আমার বন্ধুরা জানে আজ আমি মসজিদের ভেতরে কিছুটা সময় কাটাব। এই মসজিদের পুরনো অংশের প্রতিটি পিলারের একেকটি ইতিহাস রয়েছে।



প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিলাম “রিয়াদুল জান্নায়” ঢুকব। মোহাম্মদ (সাঃ) এর কবরস্থান (আগে বাসা ছিল) হতে পুরনো মিম্বার পর্যন্ত অংশটুকোকে রিয়াদুল জান্নাহ বা জান্নাতের বাগান বলা হয়। এটি “রওদা” হিসাবেও পরিচিত। মোহাম্মদ (সাঃ) নিজে এই জায়গাটিকে “জান্নাতের বাগান” বলেছেন। ২২ মিটার দীর্ঘ এবং ১৫ মিটার প্রশস্থ জায়গাটি ঘেরাও দেয়া থাকে এবং সবুজ কার্পেট দিয়ে চিহ্নিত করা আছে। পার্থক্য করার জন্য মসজিদের অন্যান্য অংশ লাল রংয়ের কার্পেট দিয়ে মোড়ানো। সময়ে সময়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক ভেতরে প্রবেশ করে নামাজ পড়তে পারে।


রিয়াদুল জান্নাহ (ছবিঃ ইন্টারনেট)

যে ব্যক্তি মসজিদে নববী যিয়ারত করবেন তার জন্য রিয়াযুল/রিয়াদুল জান্নাতে দুই রাকাত নামায আদায় করা কিংবা যত রাকাত তিনি পারেন নামায পড়া বিধানসম্মত। যেহেতু এর ফযিলত সাব্যস্ত। নবী (সাঃ) বলেন: “আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মাঝের স্থানটুকু- রাওদাতুন মিন রিয়াদিল জান্নাহ (জান্নাতের এক টুকরা বাগান) এবং আমার হাউজ আমার মিম্বরের উপর রয়েছে।”

আমরা রিয়াদুল জান্নাহ’র নিকট পৌছে দেখলাম অনেক অনেক লোক লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ভেতরে প্রবেশের জন্য । আমরা লাইনে দাঁড়ালে ২/৩ ঘন্টা লেগে যেতে পারে। আমি নিজে এখানে ২ বার প্রবেশ করে নামাজ পড়তে পেরেছিলাম। অন্যরাও পড়েছে। তাই আমরা ভেতরে না গিয়ে আশেপাশের প্রাচীন স্মারকের দিকে নজর দিলাম।

(চলবে)



মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: বাহ, ভ্রমনের সাথে সাথে ব্লগ প্রকাশ খুব কষ্টসাধ্য। এতো সুন্দর করে ছবির সাথে ব্যাখ্যা মূলক আলোচনা করায় শুভকামনা থাকলো।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪০

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকেও শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

একজন মুসলিম বলেছেন: সুন্দর লেখা---আল্লাহ আপনাকে আরো সুন্দর লেখার তওফিক দেন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪০

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনার ভ্রমন শ্রেষ্ঠ ভ্রমন, তুলে ধরেছেন
অসাধারন ভ্রমন। যেখানে আছে হযরত মোহাঃ
সঃ অসংখ্য স্মৃতি বিজরিত মহব্বতের স্থান
সুন্দর করে বর্ননায় আপনাকে আন্তরিক
ধন্যবাদ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪২

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সামনে আরো অনেকগুলো পর্ব রয়েছে।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯

হাসান রাজু বলেছেন: বেশ অনেকদিন পর ফিরলেন । ভালো লাগে আপনার পোস্টগুলো । আরব সম্পর্কে জানতে শুধুমাত্র আপনার পোস্টই ভরসা । আর লেখাগুলোও সাবলীল আর অসাধারণ । শুভকামনা রইল । ভালো থাকবেন ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

মধুমিতা বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা। চেষ্টা করব সামনের পর্বগুলো দ্রুত দিতে।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

দয়িতা সরকার বলেছেন: একসাথে সব পর্ব পড়ে ফেললাম। অনেক কিছু জানলাম। আমার মায়ের জন্য প্রয়তে রেখে দিলাম।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

মধুমিতা বলেছেন: কাজে লাগলে আমার লেখা স্বার্থক হবে।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক্সোডাস বলতে মিশর থেকে মুসা নবী ও উনার লোকজনদের প্রস্হানকে বুঝায়; আপনি কি নতুন কোনএক্সোডাস শুরু করেছেন নাকি? মাথায় হেলমেট পরে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন, ঐ এলাকায় আবাবিল পাখী আছে কিন্তু।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

মধুমিতা বলেছেন: আপনার কি ধারনা, আমি এক্সোডাসের মানে জানিনা? ভেবে চিন্তে সুস্থ মস্তিষ্কে লিখতে বসেছি।

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

জুন বলেছেন: মধুমিতা অনেকদিন পর আবার আসলেন সাথে অসাধারন বর্ননা ।
বিশেষ করে মরুর বুকে প্রিয় নবীর রওজা মোবারক ও ধরার বুকে একটুকরো জান্নাতের বাগানের ইতিহাস মনের মাঝে কি গভীর অনুভূতি রেখে গেলো তার বিবরন দেয়া দুঃসাধ্য ।
আপনার সাথেই আছি পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

মধুমিতা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা। সামনে আরো চমকপ্রদ ইতিহাস আছে। চেষ্টা করব দ্রুত দিতে।

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নবীজীর রওজার এমন নিখুত বর্ননায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম।হজ্ব বা ওমরায় যাওয়ার ইচ্ছা আরও বেড়ে গেল।মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন চলছে নবীজীর(স; ) কাহিনী; তারপর হবে ঈশা নবীর (আ: ) কাহিনী; তারপর একদিন হবে মুসা(আ: )'এর কাহিনী, সাথে থাকবে ফারাও'দের কাহিনী; তারপর আসবে এক্সোডাস; সামুতে ততদিনে এখনকার ব্লগারদের নাতীরা ব্লগিং করবে হয়তো; গুড লাক।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মধুমিতা বলেছেন: খারাপ বলেননি অবশ্য। দেখি কতদূর যাওয়া যায়।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার বর্ণনার সাথে সাথে ঘুরে এলাম মদিনা মনোয়ারা থেকে |মসজিদ উন নবী -র বর্ণনা আর রিয়াদুল জানানর-র ফটোটা দেখে খুব ভালো লাগলো | আলহামদুলিল্লাহ ! আমি মনে হয় রিয়াদুল জান্নাহর কোনো ফটো এই প্রথম দেখলাম | আল্লাহ যে কবে তৌফিক দেবেন মক্কা আর মদিনা মানোয়ারাতে হজ্ব আর রাসূলুল্লাহর (সাঃ) মসজিদে নামাজ আদায়ের !বর্ণনার সাথে সাথে হাদিসগুলোর উল্লেখ আপনার লেখাটার মান অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে |অনেক ধন্যবাদ নেবেন চমৎকার লেখার জন্য |

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৮

মধুমিতা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ মক্কা মদীনা ভিজিটের তৌফিক আল্লাহ আপনাকে দিবেন।

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

ওমেরা বলেছেন: অনেক ভাললাগার মত পোষ্ট ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২০

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

হাসান রাজু বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন, "এক্সোডাস বলতে মিশর থেকে মুসা নবী ও উনার লোকজনদের প্রস্হানকে বুঝায় ।"

নাকি দলবল নিয়ে নিরাপত্তার জন্য প্রস্থানকে বা দেশ ত্যাগ কে প্রস্থান বলে ।

তাওরাত/তোরাহ এর ৫টি গ্রন্থের ১ টি যেখানে মুসা নবী ও উনার লোকজনদের প্রস্হান বর্ণনা করা হয়েছে সেটির নাম হল "এক্সোডাস" ।
তাই "এক্সোডাস" বলতে মনে হয় শুধু একটা মহা প্রস্থানকেই বুঝায় না।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ব্যাখ্যার জন্য। চাঁদগাজীকে আমি নিরাশ করব না। আমার লেখায় আমি ইঙ্গিত দিয়েছি- আমি ইতিহাসের মহাপ্রস্থান নিয়েই লিখব।

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আপনার লেখা সবসময়ই আমাকে ভালো লাগে। পরের পর্বের অপেক্ষাতে থাকলাম।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২০

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পরের পর্ব শুরু করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.