নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদে নববী\'র সিক্রেটস / এক্সোডাস কোথায় হয়েছিল?-৭ (আরব ডায়েরি-১১৯)

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
৫ম পর্ব
৬ষ্ঠ পর্ব

মসজিদে নববী শুধুমাত্র একটি মসজিদ ছিল না। এটি ছিল প্রথম ইসলামি রাষ্ট্রের কেন্দ্রস্থল। এটি যেমন ছিল একটি বিশ্ববিদ্যালয়, তেমনি এটি ছিল একটি সম্মিলন কেন্দ্র অথবা কারো কারো আশ্রয়খানা। মদীনা রাষ্ট্রের সমস্ত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এখান হতেই নেয়া হত। এই মসজিদ ইতিহাসের স্বাক্ষী। এই মসজিদ যেমন বিজয়ের আনন্দ দেখছে, তেমনি এই মসজিদে অনেক বিয়োগান্ত ঘটনাও ঘটেছে।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য মসজিদে নববী’র পুরনো অংশের প্রতিটি পিলার, জানালা এবং গম্বুজে অনেক গোপন চিহ্ন আজও বিদ্যমান। এই চিহ্নগুলোর ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। এর রোমাঞ্চকর ইতিহাস কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবেনা। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় এইসব গোপন তথ্য এবং চিহ্ন সর্বসাধারণের কাছে গোপনই রাখা আছে।





তবে মনে রাখতে হবে- মসজিদে নববী’র কোন অংশ স্পর্শ করে, কাপড় দিয়ে মুছে কিংবা চুম্বন করে বরকত গ্রহণ করা জায়েয নয়; সেটা মসজিদের পিলার, দেয়াল, দরজা, মেহরাব কিংবা মিম্বর যাই হোক না কেন।


পুরনো মসজিদের ম্যাপ

রিয়াদুল জান্নাহ’র বাউন্ডারির বাহির হতে খুব সহজেই পুরাতন মিহরাব ও মিম্বর চোখে পড়ে। মিহরাব হচ্ছে মসজিদের সম্মুখভাগে বাড়তি একটি অংশ, যেখানে দাঁড়িয়ে ইমাম নামাজ পড়ান। সাদা, কালো টাইলসের মিহরাবের এই স্থানটিতে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ (সাঃ) নামাজের নেতৃত্ব দিতেন। কিন্তু নবী (সাঃ) বা চার খলিফার আমলে এ ধরণের মিহরাব ছিল না। ৯১ হিজরির দিকে উমাইয়া শাসক খলিফা ওমর বিন আব্দুল আযীয প্রথম নবী (সাঃ) এর নামাযে দাঁড়ানোর স্থানটিতে মিহরাবের আদলে একটি কাঠামো তৈরি করেন। পরবর্তীতে তা ‘মিহরাব নবী’ হিসাবে পরিচিতি পায়।


পুরাতন মিহরাব

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মিহরাবের পেছনের দেয়ালটা অনেক মোটা। এটা ইচ্ছে করে করা হয়েছে। মূলতঃ দেয়লের মোটা অংশটুকোতেই মোহাম্মদ (সাঃ) এর সিজদার স্থান ছিল। মোটা দেয়ালের মাধ্যমে সিজদার স্থানটি ঢেকে দেয়া হয়েছে। এখন যদি কেউ মিহরাবের ভেতরের অর্ধচন্দ্রাকৃতি অংশে সিজদা দেয়, তবে সেই জায়গাটি হবে মোহাম্মদ (সাঃ) এর দাঁড়ানোর স্থান।

রিয়াদুল জান্নাহ’র আশেপাশের প্রতিটি খুটি বা পিলারের একেকটি ইতিহাস রয়েছে। এই স্তম্ভগুলো একসময় খেজুর গাছ ছিল, পরবর্তীতে ওসমানি সুলতান আবদুল মাজিদ পাকা স্তম্ভ নির্মাণ করেন। বর্তমানে প্রতিটি খুটি আলাদাভাবে আরবিতে চিহ্নিত আছে। খুটিগুলোর উপরের দিকে সবুজ চিহ্ন খুটিগুলোর ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেয়।

মিহরাবের পেছনের ডানদিকের কোনায় যে পিলারটি আছে তা “উস্তুওয়ানা হান্নানা” বা ক্রন্দন স্তম্ভ নামে পরিচিত। এই জায়গাটিতে একটি খেজুড় গাছ ছিল। মোহাম্মদ (সাঃ) খুতবা দেবার সময় মাঝেমাঝে গাছটিতে হেলান দিতেন। আনসারি সাহাবীরা নবী (সাঃ) কে বলল, ‘যদি অনুমতি দেন, আপনার জন্য একটি মিম্বর তৈরি করে দিতে পারি।’ মিম্বর হচ্ছে খুতবা দেয়ার স্থান। নবী (সাঃ) অনুমতি দিলে একটি মিম্বর তৈরি করা হলো। যখন তিঁনি নতুন মিম্বরটি ব্যবহার করা শুরু করলেন তখন খেজুড় গাছটি কাঁদা শুরু করে যেমনটা একটা দশ মাসের গর্ভবতী উটনি কাঁদে। মোহাম্মদ (সাঃ) গাছটিকে জড়িয়ে ধরেন যতক্ষননা এটি শান্ত হয়। পরে একটি গর্ত করে গাছটিকে সমাহিত করা হয়।


উস্তুওয়ানা হান্নানা


মিম্বর

মিম্বরটি বিভিন্ন সময়ে অনেকবার পরিবর্তিত হয়েছে। রিয়াদুল জান্নায় সংরক্ষিত মিম্বরটি সুলতান মুরাদ ৯৯৮ হিজরিতে স্থাপন করেন।

উস্তুওয়ানা হান্নানা’র পাশে নামাজ আদায়ের আগে মোহাম্মদ (সাঃ) উস্তুওয়ানা আয়েশা’য় (আয়েশা স্তম্ভ) নামাজ আদায় করতেন।
মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এমন একটি জায়গা রয়েছে, লোকজন যদি সেখানে নামাজ পড়ার ফজিলত জানত, তাহলে সেখানে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত।’ স্থানটি চিহ্নিত করার জন্য সাহাবারা চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মৃত্যুর পর আয়েশা (রাঃ) তাঁর ভাগ্নে আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাঃ)কে সে জায়গাটি চিনিয়ে দেন। হাদিসটি আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণীত ও সঠিক স্থানটি তাঁর জানা থাকার কারনে স্তম্ভটিকে ‘আয়েশা স্তম্ভ’ বলা হয়। স্তম্ভটিকে ‘উস্তুওয়ানা মুহাজিরিন’ নামেও ডাকা হয় কারন এর পাশে মক্কা হতে হিজরতকারীরা বসত।




উস্তুওয়ানা আয়েশা


মিহরাব হতে কোনাকোনি একপাশে আযান প্লাটফর্ম অবস্থিত।

আয়েশা স্তম্ভের বাম পাশের স্তম্ভটি ‘উস্তুওয়ানা তওবা’ এবং ‘উস্তুওয়ানা আবু লুবাবা’ নামে পরিচিত।
একটি ভুল করার পর অনুশোচনায় আবু লুবাবা (রাঃ) নিজেকে এই জায়গার একটি খেজুর গাছের সাথে বেঁধে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ আমার তওবা কবুল করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি নিজেকে বাঁধন হতে খুলব না। এবং মোহাম্মদ (সাঃ) কে আমার বাঁধন খুলতে হবে।’ এটা শুনে নবী (সাঃ) বলেছিলেন, ‘সে যদি আমার কাছে আসত, তাহলে তার হয়ে আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতাম। কিন্তু এখন তওবা কবুল না হওয়া পর্যন্ত আমি তার বাঁধন খুলতে পারিনা।’ এভাবে দীর্ঘদিন পর আবু লুবাবা (রাঃ) এর তওবা কবুল হলে মোহাম্মদ (সাঃ) নিজ হাতে তাঁর বাঁধন খুলে দেন।




উস্তুওয়ানা তওবা

রিয়াদুল জান্নাতের পূর্ব পাশে অর্থাৎ মোহাম্মদ (সাঃ) এর কবরস্থানের পশ্চিম দেয়ালে পাশাপাশি ৩টি স্তম্ভ রয়েছে। এদের প্রথমটিকে ‘উস্তুওয়ানা সারির’ বা ‘ঘুমানোর জায়গা স্তম্ভ’ নামে পরিচিত। এই জায়গাটিতে মোহাম্মদ (সাঃ) ইতিকাফে বসতেন এবং ইতিকাফে থাকাকালীন ঘুমাতেন।

উস্তুওয়ানা সারির এর চিহ্ন


পাশাপাশি ৩টি স্তম্ভ

মাঝের স্তম্ভটিকে ‘উস্তুওয়ানা হারস’ বা ‘প্রতিরক্ষা স্তম্ভ’ বলা হয়। এটি ‘উস্তুওয়ানা আলী’ বা ‘আলী’র স্তম্ভ’ নামেও পরিচিত। এখানে বসে কিছু সাহাবা যাদের মাঝে আলী (রাঃ) অধিকাংশ সময়ই থাকতেন, মসজিদে নববী পাহাড়া দিতেন। মহানবী (সাঃ) প্রায় সময় এখান দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেন। কিন্তু যখন সূরা মায়েদার ৬৭ নাম্বার আয়াত নাযিল হলো তখন মহানবী (সাঃ) সাহাবাদের আর পাহাড়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেন। কেননা আল্লাহ নিজেই মোহাম্মদ (সাঃ) কে সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

“...আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।” (সূরা মায়েদা, ৫ঃ৬৭)

দেয়ালের ৩য় স্তম্ভটিকে “‘উস্তুওয়ানা উফুদ” বা “প্রতিনিধিদের স্তম্ভ” বলা হয়। যখন কোন গোত্র হতে কোন প্রতিনিধিদল মোহাম্মদ (সাঃ) এর সাক্ষাৎএ আসত তখন তাদেরকে এখানে বসানো হত। মহানবী (সাঃ) এখানে তাদের সাথে কথা বলতেন এবং তাদেরকে ইসলাম শিক্ষা দিতেন।

আমি খুব চকিত দৃষ্টিতে স্তম্ভগুলো খুঁজে নেই। আশেপাশে এত ভীড় যে এক জায়গায় বেশীক্ষণ দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। আগে হতেই আমার কাছে একটা ম্যাপ থাকায় আমি জানতাম স্তম্ভগুলো কোথায় হবে। ছবি তুলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ২/৩টি ছবি ছাড়া ধাক্কাধাক্কির কারনে ভালো ছবি তুলতে পারলাম না। তবে ইন্টারনেটে খুঁজতেই অনেক ছবি পেলাম। অনেকেই ইংরেজিতে স্তম্ভগুলোর ইতিহাস লিখেছেন, কিন্তু হয়তোবা বাংলায় এই প্রথম একসাথে সবগুলো স্তম্ভের ইতিহাস সংকলিত করছি।

আমি সবাইকে নিয়ে রিয়াদুল জান্নাহ’র পাশ দিয়ে নবী (সাঃ) এর কবরের প্যাসেজের দিকে এগিয়ে যাই। কিন্তু ভীড়ের কারনে এপাশটা বন্ধ রেখেছে। এখন মসজিদ হতে বের হয়ে ‘আসসালাম গেট’ দিয়ে আবার ঢুকতে হবে।


আসসালাম গেট

আসসালাম গেটের প্যাসেজ দিয়ে যখন একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলাম- আমি শিহরিত হচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি ১৪০০ বছর আগের সেই মসজিদে নববীতে দাঁড়িয়ে আছি।

(চলবে)

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো বলেছেন, মসজিদ-ই-নববী একটি বিশ্ববিদয়ালয় ছিল!
বিশ্ববিদ্যালয় খুই সোজা ব্যাপার? কোনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছেন?

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

মধুমিতা বলেছেন: আপনার সঙ্গায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো যাইনি, তবে একটি সোকল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারি করি। পাশাপাশি, পুন্ড্র/মহাস্থানগড়কে বিশ্ববিদ্যালয় ভাবতে প্রশ্ন জাগে না।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি এই হজ্বে অনেক কিছু মিস করেছি। জানতাম না অনেক কিছু আর প্রচন্ড অসুস্হ হয়ে পড়েছিলাম। ইনশাল্লাহ আমি যথাশীগ্র সম্ভব ওমরা হজ্বে আসবো এবং সবকিছুর খবর, ম্যাপ ইত্যাদি সংগ্রহ করেই আসবো। আমার জন্য দোয়া করেন মধুমতি ভাই।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

মধুমিতা বলেছেন: আপনার অদম্য ইচ্ছা পূরণ হোক, সেই দোয়া করি। আমীন। আমি ঐতিহাসিক লোকেশনগুলো গুগুল ম্যাপে সেট করেছি। সামনে হয়তো সবার জন্য সেটা দিয়ে দেব। তাহলে যারা ঘুরে দেখতে চায়, তাদের জন্য সহজ হবে।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: খুব খুবই সুন্দর হয়েছে এই পর্বের বর্ণনা | মসজিদ উন নবী সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম যা কখনোই জানতাম না | আপনার এই লেখা না পড়লে হয়তো জানাই হতো না কখনো | বিউটিফুল !!

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

মধুমিতা বলেছেন: আরো অনেক অনেক ইতিহাস আছে। সেগুলো লিখতে শুরু করলে আমার আসল লেখা শেষই হবে না। ধারাবাহিকভাবে সাথে আছেন, অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনেক কিছুই জানা হল। এমন একটি পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

ক্স বলেছেন: একটা স্বপ্ন দেখে এইমাত্র উঠলাম মনে হল, কি দেখালেন ভাই! যাজাকাল্লাহু তায়ালা খাইরান!

@চাদ্গাজী, মসজিদে হারামের সাথে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা হয়না, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা একেজন জ্ঞানের গাভী হয়, যাদের দুধ দেবারও ক্ষমতা নেই - কিন্তু মাসজিদে নববীতে এমন সব রত্ন পাথর উৎপাদিত হয়েছিল, যারা বিশ্বকে আমূল বদলে দিয়েছিলেন - অসম্ভব অনেক কিছুকে সম্ভব করেছিলেন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সামনের পর্বগুলোতে সাথেই থাকুন।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন পোষ্ট! অনেক অজানা জানালেন! শুকরিয়া।

মিস করা বাকী পোষ্ট গুলো পড়তেই হবে।

মহান আল্লাহর রহমত এবং রাসুল সা: এর সাফায়াত আপনার নসীব হোক।

+++++

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

মধুমিতা বলেছেন: আমীন। অনেক ধন্যবাদ। আগের পর্বগুলো পড়ে ফেলুন।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



@ক্স ,

মসজিদ মানে মসজিদ, উহা ইউনিভার্সিটি নয়। আপনি হয়তো মক্তবকে ইউনিভার্সিটি ভাবছেন। প্রফেসরেরা বিদ্যান মানুষ, মসজিদে যায় মানুষ নামাজ পড়তে; মসজিদের ইমামের কাজ নামাজ পড়ানো, প্রফেসরদের কাজ মানবতাকে শিক্ষিত করে তোলা।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

মধুমিতা বলেছেন: ইসলামের ইতিহাসগুলো আরো পড়ুন, জানুন। এই মসজিদকে কেন্দ্র করে জ্ঞানের যে প্রসার ঘটেছে, তা মূল্যায়ন করা আমাদের যোগ্যতার বাহিরে।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন, "আপনার সঙ্গায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো যাইনি, তবে একটি সোকল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারি করি। পাশাপাশি, পুন্ড্র/মহাস্থানগড়কে বিশ্ববিদ্যালয় ভাবতে প্রশ্ন জাগে না। "

-হয়তো আরব টারবে কোথায়ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারি করছেন।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " ইসলামের ইতিহাসগুলো আরো পড়ুন, জানুন। এই মসজিদকে কেন্দ্র করে জ্ঞানের যে প্রসার ঘটেছে, তা মূল্যায়ন করা আমাদের যোগ্যতার বাহিরে। "

-ইসলামের ইতিহাস পড়া হয়েছে অনেক; আর ঢাকা হলো মসজিদের শহর; সব মসজিদই এক, মসজিদ স্কুল নয়, ওখানে সীমিত বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়, ৭ম শতাব্দী থেকে আজ অবধি একই কথা নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছে, নতুন কিছু যোগ হয়নি

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মসজিদ মানেই মসজিদ রাখেন, তাতে জীবনটা সোজা থাকবে, উহাকে ইউনিভার্সিটি বলার কোন কারণ নেই

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৬

মধুমিতা বলেছেন: আহা !

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২২

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

পলাশবাবা বলেছেন: ভাই, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

তবে একটা কথা, চাঁদগাজী দের প্রশ্নের উত্তর দিতে নাই। এদের প্রশ্নের উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া না।
এরা প্রশ্ন করে প্যাচাইতে। উত্তর এরা নিজেরাই ঠিক করে রেখেছে। অন্য উত্তর নিতে পারে না।
এদেরও কোন দোষ নাই। এরা সাইকোজক্যালি ডিস্টার্বড।
শুনেছি জিয়ার আমলে *** মারা খেয়েছিল।
তারপর থেকে এই অবস্থা।
এদের আজীবন সহানুভূতিশীল দৃষ্টিতে দেখতে হবে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৫

মধুমিতা বলেছেন: আমি ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করি। ভিন্নমত আছে বলেই লেখায় কোয়ালিটি বাড়ে। চাঁদগাজী আমার এ সিরিজটি অনেকদিন ধরেই ফলো করছেন। ওনারা আছেন বলেই আমি অনেক সতর্কতার লিখি, কোন তথ্য যাতে ভুল না হয়, সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা বজায় রাখি। চাঁদগাজী দেখতে চাচ্ছেন আমার লেখাটি কোনদিকে যায়। এক্সোডাসের প্রশ্নের উত্তর এখনো পাননি।

আমি ওনাদের এই আগ্রহ ও নিগ্রহ উপভোগ করি।

ভালো থাকবেন।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫২

পলাশবাবা বলেছেন: একমত । এই টাইপ টা উপকারীও বটে।

চাঁদ গাজী এবং এই টাইপটাকে কে আমিও ফলো করি ।

এদের মন্তব্য ও চিন্তাভাবনা অনেক সময় ব্যপক বিনোদনের খোরাক।

পরবর্তী কিস্তি কবে আসতে পারে ?

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১১

মধুমিতা বলেছেন: ১ সপ্তাহের মাঝে দিতে চেষ্টা করব।

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৩২

বরুন মালাকার বলেছেন: কার যেন কয়টা ডক্‌টরেট ডিগ্রী আছে??? মনে করেন...

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



চাঁদগাজী ভাই,

মাথা ঠান্ডা রেখে অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। অনেক কিছুর উত্তর এমনিতেই পেয়ে যাবেন। আপনিতো যুক্তিতে নয়, মনে হয় গায়ের জোরে জিততে চান। এই মসজিদে নববী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিশ্বকে এমনসব জ্ঞানী গুনী মনীষীদের উপহার দিয়েছে, যাদের পরশে পাল্টে গিয়েছিল গোটা পৃথিবীটা। মানবতার বিজয় কেতন উড়িয়েছিলেন যারা বিশ্বময়। পৃথিবীতে মানব সভ্যতার সত্যিকারের অভ্যূদয়ের ক্ষেত্রে মসজিদে নববী শ্রেষ্ঠতম পাঠশালা। আপনার মত কিছু লোকের নিকট মনে না হলেও পৃথিবী ধ্বংস অবদি বিশ্বের জ্ঞানী-গুনীগন তাই মনে করে যাবেন।

অসম্ভব সুন্দর ধারাবাহিকটি কন্টিনিউ করার অনুরোধ রাখছি। মোবারকবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

মধুমিতা বলেছেন: অনেকদিন পরে আসলেন। অনেক কৃতজ্ঞতা।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

আলোর পথে বিডি বলেছেন: মসজিদ উন নবী সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম যা কখনোই জানতাম না | সুন্দর লিখেছেন ।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও অনেক বেশিকিছু । এখান থেকেই মহা সত্যের জ্ঞান মানব জাতি শিখতে পেড়েছে ।

সুন্দর লিখার জন্য ধন্যবাদ ।জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

মধুমিতা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ভালো থাকবেন।

১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

হাসান রাজু বলেছেন: @চাঁদগাজী ভাই,
আপনার কিছু লেখা আমি পড়েছি । খুবই সুন্দর, গভীর আবার একপেশে, গোঁয়ার আর জোর করে চাপানোর প্রবণতা টা ব্যাপক । যেমন ইসলামের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কিছু দেখলে আপনি অস্থির হয়ে উঠেন । আপনি হিতাহিত জ্ঞান হারান । যেমন - কোনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছেন? এইটা কেমন কথা । সোজাসুজি পার্সোনাল হয়ে গেলেন ।
আবার, ঢাকা হলো মসজিদের শহর; সব মসজিদই এক, মসজিদ স্কুল নয়, ওখানে সীমিত বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয় । এইখানে এসে ঢাকার মসজিদ আর মসজিদ-ই-নববী এক করে দিয়েছেন । কিন্তু আমি/আমরা জানি, আপনি এতোটাও অশিক্ষিত না । শুধুমাত্র তর্কের খাতিরে আপনি ওই মিয়া তোমার দাঁড়ি কই ? টাইপের ঝাড়ি দিয়ে হলেও জোর করে জিততে চাইলেন । কিন্তু লেখক মধুমিতা ভাই (ছদ্মনাম কিনা জানিনা) কত সুন্দর করে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন এবং একজন পাঠক হিসেবেও আপনার প্রতি বিনয় দেখিয়ে যাচ্ছেন (দ্রঃ পলাশবাবা'র মন্তব্য) । সবাই ভালো থাকবেন ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

গুলফাম বলেছেন: @'চাঁদগাজী'রা সমাজে আছে বলেই সুন্দরেরা এত সুন্দর।

লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪১

মধুমিতা বলেছেন: পরের পর্ব লিখে ফেলেছি। আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

আশরাফ শিবলী বলেছেন: অসাধারণ তথ্যপূর্ণ ব্লগ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। মনে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা, মধুচন্দ্রিমার আগেই প্রিয় নবীর মাতৃভূমিতে কদম রাখব।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪২

মধুমিতা বলেছেন: আশাকরি আপনার আকাংক্ষা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আপনার সিরিজ লেখাটি শেষ হলে এটি বই আকারে প্রাকাশ করার বিনীত অনুরোধ করছি। আল্লাহ আপনার সহায় হোন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সবার সুবিধার্থে তা করা যায় কিনা ভাবছি।

২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আফসোস ! আফসোস !চাঁদগাজী কাহুর চোখের সমস্যা ! যদি পশ্চিমা চশমা খুলিয়া রাখিতেন তাহা হইলে বিশ্ববিদ্যালয় দেখিতে পাইতেন !

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

মধুমিতা বলেছেন: প্রাচীন সময় ও বর্তমান সময়ে পার্থক্য করাটা ভুলে গেছেন।

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

rumi hasan বলেছেন: অজানা অনেক কিছু জানা হল, সত্যিই চমৎকার, খুব ভালো লাগলো...

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

লুক্কায়িত বলেছেন: সুন্দর হয়েছে লেখাটি। আরো লিখবেন আশা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.