নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই পৃথিবীতে সবার অবসর যাপনের সুযোগ রয়েছে, ছুটি ভোগ করার অধিকার আছে। কিন্তু আমার নেই কোনো ছুটি। প্রতিদিন আমার কর্মদিন, প্রতি মুহূর্ত আমার কর্মব্যস্ততার মুহূর্ত। দুনিয়ার যে কোনো মুসাফির চাইতে পারে একটু আরাম, একটু বিশ্রাম, কিন্তু জীবনে সদা চলমান কাফেলার আমি

রোজনামচা

সাধারণ ছেলের অসাধারণ সব চিন্তা।

রোজনামচা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেবেছিলাম কিছু লিখবো না..

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

(৪৮)


ভেবেছিলাম কিছু লিখবো না..
কিন্তু লোক দিবালোকের সমালোচনার ধরুন অবশেষে লিখতেই হলো, প্রকৃতপক্ষে বিধর্মীরা যে কতটুকু খারাপ, কতটুকু খারাপ তাদের ব্যবহার যা আমি নিজে না দেখলে কখনোই বিশ্বাস করতাম না। তবে হ্যাঁ তাই বলে যে সবাই ওই খারাপ চরিত্রের তা কিন্তু ঠিক নয়।
আচ্ছা যাই হোক এবার মূল কথায় ফিরে আসি...

আমাদের বৃহৎ ময়মনসিংহের অন্তর্গত ভদ্রচিত সুন্দর সুপ্রতিষ্ঠিত শিকারীকান্দা নামক ছোট্ট একটি গ্রামে খুবই নিম্ন শ্রেণীর একটি হিন্দু পরিবার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো, হিন্দু লোকটা কে প্রায়ই দেখতাম, তবে বেশিরভাগ সময়ই দেখতাম রিক্সা চালিয়ে রোজগার করত।আর তার স্ত্রী কে আমরা প্রায় সময়ই দেখতাম ফজরের নামাজ আদায় করে ফিরে আসার সময়, ঢাকা টু ময়মনসিংহ রোডের অদূরে পড়ে থাকা বিভিন্ন রকম মূল্যহীন বস্তু যেমন : আর্সি, সেভেন আপ ইত্যাদি বিভিন্ন রকম প্লাস্টিকের বোতল, কৌটা কুড়াতো। তো কখনো তাকে দেখা যেতো রান্নার সামগ্রী যেমন: পলিথিন কাগজ ও কুড়াতো। এভাবেই চলে তাদের পরিবার তাদের এই পরিবারে রয়েছে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন ও তাদের দুজন মেয়ে। এই নিয়ে তাদের ছোট্ট সংসার। বড় মেয়েটির বয়স হবে প্রায় 14 বছর। তার নাম ছিল স্বর্ণ বসাক।

হঠাৎ একদিন সে স্বপ্নে দেখে এলাকার এক মসজিদ থেকে ধান কালেকশনের জন্য তাদের বাড়িতে আসলে, তাদের বাড়ি থেকে ধান দেয়নি। যার দরুন রাত্রে বেলায় তাদের ঘরে আগুন লেগে যায় আর এতে তাদের সবাই পুড়ে যায়, সে স্বপ্নে আরো দেখতে পায়, তাকে যেন বলা হচ্ছে, এখনো সময় আছে তুমি কালিমা পড়ো এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ কর। মেয়েটি তাৎক্ষণিক কালিমা পড়ে ফেললো, আর দেখল সে নিজে ব্যতিরেকে সবাই আগুনে পুড়ে গেছে। ঠিক সে মুহুর্তেই তার ঘুম ভেঙে যায়, আর এরপর থেকেই কেমন জানি তার অস্থিরতা শুরু হয়ে গেল, রাত পোহাতে যখন ভোরের সূর্য জেগে উঠলো তখন সে ছুটে আসলো মক্তবের এক হুজুরের কাছে। তারপর সে তার সমস্ত ঘটনার বিবরণ খুলে বলল, তখন মক্তবের হুজুর বুঝতে পারলেন যেহেতু সে নিজেই তার ভালো দিকটা খুঁজে পেয়েছে, তখন তাকে সাথে সাথে কালিমা তইয়্যিবা "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ" পড়িয়ে দিলেন। (সুবহানাল্লাহ)

কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম, যে ধর্ম কাউকে বাধা বিপত্তিতে লিপ্ত করে না। আচ্ছা যাই হোক আবারো মূল কথায় ফিরে আসি, পরবর্তীতে এ কথা কারো নিকট মেয়েটি প্রকাশ না করেই চলতে থাকে, যখন সে দেখতে পায় তাদের ঘরে কেউ নেই তখনইই সে নামাজ পড়ে। এক পর্যায়ে সে মনস্থ করল, এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে আর নয়। তাই সে ভাবলো সে তার স্বীয় ঘর ত্যাগ করবে, তাই তাকে গোপনে ভর্তি করে দেওয়া হয় মুক্তাগাছার সুপ্রতিষ্ঠিত একটি আদর্শ মহিলা মাদ্রাসায়। আর এভাবেই কাটতে থাকে দিন। দীর্ঘ কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর প্রকাশ পায় এই রহস্যময় ভেদ। এতে কিন্তু কেউ মেয়েটি কে কোন প্রকার জোর জবরদস্তি করে নাই সে ধর্ম ছেড়ে দিতে, তারপরেও তার বাবা-মা মামলা করে আসে থানায়, এলাকার গণ্যমান্য বেশ কিছু লোক জনের নামে। পরবর্তীতে যাচাইয়ের জন্য আসে থানার গোয়েন্দা বিভাগের বেশ কিছু গোয়েন্দা, কিন্তু পরিশেষে তারাও জানতে পারল, আসলে এখানে সম্পূর্ণটা মেয়েরই ইচ্ছা ছিল। এখানে তাদের কোন প্রকার দোষ ত্রুটি নেই। যেহেতু মেয়েটি তার ধর্ম ত্যাগ করে নও মুসলিম হয়ে গেছে তার মানে সে তার সব হারিয়েছে, তো সেই হিসেবে আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের নৈতিকতা হলো মেয়েটিকে সর্বাধিক সাহায্য সহযোগিতা করা, মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়া। ঠিক সে মতে ততটুকুই করেছে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি দয়ার হাতটা আগে বাড়িয়ে দিয়েছিল আমার ওস্তাদ মাওলানা নুরুদ্দিন সরকার সাহেব। পরিশেষে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন তার বাসায়, তাকে কিনে দিয়েছিলেন ঈদের দামি দামি পোশাক। যে পোশাক এই মেয়ে আগে পড়বে তো দূরের কথা, এর কথা সে ভাবতেও পারেনি। কথায় আছে, "যদি থাকে নসিবে আপনি আপনি আসিবে"। যাই হোক এটা বলাও আমার উদ্দেশ্য নয়,,

পরবর্তীতে মেয়েটি তার সর্বাধিক নিরপত্তার জন্য থানা থেকে তার ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার একটি চুক্তিপত্র নিয়ে আসলো।
এবং তার নাম রাখলো আয়েশা।
এভাবেই কাটছিল দিনকাল, যেহেতু মেয়েটির বয়স ছিল কম, তাই খানিক সময়ের জন্য মেয়েটি মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে গিয়ে আবার চলে আসতো। এতে কোন অসুবিধার কারণ ছিল না। কিন্তু তার বাবা-মা চরম জেদি ছিল মেয়েটির উপর। তাই মেয়েটিকে একদিন সুযোগ মত পেয়ে, হাতে পায়ে বাঁধল এবং চরম মারপিট করলো। তারপরেও মেয়েটি ধর্ম ত্যাগ করে নি, (আল্লাহু আকবার)।

পরবর্তীতে মেয়েটিকে তারা দুই স্বামী-স্ত্রী মিলে নিয়ে যায় তাদের স্বীয় গোষ্ঠী রংপুর বিভাগে অবস্থিত কুড়িগ্রামে।সেখানে গিয়ে তারা মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দিতে চায় এক হিন্দু ছেলের সাথে। এত টুকু সময়ে মোটামুটি সব প্রকাশ পেয়ে যায়, এ বিষয়ে তাদেরকে কিছু বলা হলে হিন্দু মহিলা টি খুবই অসভ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আর বলে আমার মেয়েকে আমি টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিব তাতে আপনাদের সমস্যাটা কোথায়?
মানুষের মুখে একটি কথা, তা আজ ও খুবই প্রচলিত, যে হিন্দুদের দাঁত মুখে নয়, তাদের দাঁত থাকে পেটে। আচ্ছা যাই হোক ঘটনা বহুদূর...., আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ..! মেয়েটি এখনো সুস্থ ও নিরাপদেই আছে।
প্রায় অনেক রকম চেষ্টাই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই মেয়েটি ফিরে আসবে আবার ও ময়মনসিংহের মাটিতে।
পরিশেষে আমি এটাই বলতে চাই,
সফলতা মানেই কোটি টাকার বিছানাতে শুয়ে থাকা নয় বরং ঘুমের মাঝে দেখা স্বপ্নটাকেই সত্যি করার নিরলস প্রয়াস। লেগে থাকুন সফলতা আসবেই আসবে।




মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



দরিদ্র পরিবারের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই ১৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে কোন গন্ডগোল হয়েছে; নৈরাজ্যের দেশে উহার দায়িত্ব নেয়নি সরকার।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

এ.এস বাশার বলেছেন: সুন্দর............

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: যারা ঘোষণা দিয়ে স্মার্ট তারা দ্রুত ফুরিয়ে যায়।
যেমন স্মার্ট ফোনের চার্জ।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ভাবনাচিন্তা বিশুদ্ধ নয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.