নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাথেই থাকুন…… ধন্যবাদ:-)

জে আর শুভ

ফেসবুকে আমিঃ www.facebook.com/zrshuvoo

জে আর শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা নিষ্পাপ হৃদয়ের আত্মহনন:

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

জুমা থেকে বাসায় এসে দেখি মোবাইলটা মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করছে। তার বুকে অনেক অনেক ভাইব্রেট করছে। এদিক ওদিক যাচ্ছে।
দৌড়ে এসে মোবাইলটাকে কোলে তুলেই হাসপাতাল নিয়ে গেলাম। ডাক্তার ডাক্তার বলে চিৎকার করতে লাগলাম কিন্তু কোন ডাক্তার পাচ্ছিলাম না। এদিকে আমার মোবাইলের মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে গেছে। সে অজ্ঞান প্রায়।

হঠাৎ একজন নার্স দৌড়ে এসে আমার মোবাইলকে আই.সি.ইউ তে নিয়ে গেল। এদিকে আমি মন খারাপ করে বসে আছি।

কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে বলল সে (মোবাইলটা) নাকি সুইসাইড করার জন্য বিষ খেয়েছে। এখন ওয়াশ করে ইঞ্জেকশন দিয়ে রাখা হয়েছে। জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
আমার মোবাইলটা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের জানিয়ে রাখছি…
খুব গরীব কোম্পানির মোবাইল সে।
নাম Symphony। শিশুকাল থেকেই সে আমার কাছে বড় হচ্ছে। ওর বয়স প্রায় দশ মাস।

…যাইহোক, হাসপাতাল থেকে মন খারাপ করে বাসায় এসেছি। আমার মোবাইলটা যেখানে শোয় ঠিক সেখানেই একটা সুইসাইড নোট পেলাম। সুইসাইড নোটে যা লিখা ছিল:

"প্রিয় Samsung,
আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। অনেক মিস করি। তোমার প্রতিটা স্মৃতি আমাকে সুখে রাখে ঠিকই কিন্তু যখন তুমি দূরে চলে যাও তখন এই স্মৃতিগুলোই আমাকে বেশি কষ্ট দেয়। মাঝে মাঝে তুমি আমাকে ভুলে যাও, আমার থেকে দূরে সরে যাও। তখন নিজেকে খুব একা ও অসহায় মনে হয়।
আবার যখন হাসিমাখা মুখে ফিরে আসো তখন অতীতের সব কষ্ট ভুলে যাই। জানি তোমার কাছে আমি কিছুই না কারন তুমি Samsung আর আমি Symphony। তাই তোমাকে মিস করার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে আমি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছি। ভালো থেকো তুমি। শুভ ভাই, আপনিও আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন।
ইতি,
হতভাগা Symphony।"
.
চিঠিটা পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না আমি। তুই কোন Samsung এর মায়ায় জড়ালিরে হতভাগা। তাকে তুই এত ভালোবাসিস আমাকে একবার বললেই পারতি!
কি দেইনি তোকে আমি? প্লিপ কভার দিয়েছি, Symphony ব্রান্ডের মেমোরী দিয়েছি, তোর ব্যাক পার্টে আমাকে দেয়া একজনের গিফট
(গাড়ির স্টিকার) লাগিয়ে দিয়েছি আর তুই কিনা তোর ভালোবাসার জন্য এভাবে নিজের জীবন বিলিয়ে দিলি?

…হঠাত আমার এক বন্ধু দৌড়ে এসে বলল,
শুভ শুভ! symphony -এর জ্ঞান ফিরেছে। ডাক্তার তোকে এক্ষুনি হাসপাতাল যেতে বলেছে।

চিঠিটা পকেটে নিয়ে এক দৌড়ে হাসপাতাল চলে গেলাম। ডাক্তার আমাকে ডেকে বলল,
"আপনার প্রেসেন্ট এর যতবারই জ্ঞান ফিরছে সে শুধু samsung samsung করছে। এই মুহূর্তে samsung কে তার সামনে না আনলে symphony কে বাঁচানো সম্ভব হবে না।"

…আমি এখন কি করবো? আমি কি আমার symphony কে বাঁচাতে পারবো না?
হে samsung, তুমি আমার symphony কে বাঁচাও।
আমার symphony আজ তোমার জন্য হাসপাতালের ICU তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
তোমার একটা কলই পারে আমার symphony কে নতুন জীবন দিতে।

তবে কি আমার symphony আর বাঁচবে না!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

পড়ে সময় নস্ট হলো

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০০

জে আর শুভ বলেছেন: সময়ের মুল্য বুঝার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে @চাঁদগাজী

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৭

জ্যামিতিক লাভ বলেছেন: আজাইরা...

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২০

জে আর শুভ বলেছেন: =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.