নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১৪ই এপ্রিল ছিল ১লা বৈশাখ বা আমরা এভাবে বলতে পারি ১লা বৈশাখ ছিল ১৪ই এপ্রিল, কেননা বাংলা মাস নিয়ে কথা বলবো আজ । বাংলা সালের প্রথম দিনেই নারী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা খুব আলোড়ন সৃষ্টি করে । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, সোস্যাল মিডিয়া এটা-কে সিরোনাম হিসাবে প্রকাশ করেন । বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক কেনান স্বাধীন দেশে আমরা তাহলে স্বাধীন না ।
আমি ভাল লিখতে পারিনা তাই সবার কাছে আগেই ক্ষমা চাই যদি কোন ভূল হয় । ফেইজ বুকে খুব আলোরণ তুলেছে ১৪ই এপ্রিল বা ১লা বৈশাখের নেক্কারজনক কাজটি । কিন্তু কমেন্টস্ গুলো পরে খুবই আশাহত হোলাম । একজন তার স্ট্যাটাস এ লিখেছে- ১লা বৈশাখে এই বাজে কাজ যারা করেছে তাদের কি করা উচিৎ -
জনাব ০১ - যারা করেছে তাদের মা কে ......... করা উচিৎ
জনাব ০২ - যারা এই কাজের জন্য দ্বায়ী তাদের মা-বোনদের ঠিক এভাবে টি.এস.সি -তে এনে বিবস্ত্র করা দরকার ।
জনাব ০৩ - ওদের দিয়ে ওদের মা-বোনদের ......... করা দরকার ।
এমন আরো অনেক কমেন্টস্ আছে যা লিখা সম্ভব না । এখন আমার কথা হলো যারা করলো তাদের বিচার না করে তাদের মা - বোনদের টানার কি দরকার । যারা দোষি তাদের কি করা যায় বা কি বিচার করা যেতে পারে তা নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নেই , চিন্তা কেবল মা আর বোনদের নিয়ে । কারন কি বলতে পারেন? আসলে পূরূষ স্বাসিত পরিবার আমাদের , তার থেকে বড় কথা হলো মা-বোন রা নরম বস্তু। যারা এ-জাতিও কমেন্টস্ করছেন তারা কি ঠিক একবার ভেবেছেন যে আপনি ও তাদের দলের যারা এই অন্যায় টা করেছে ।
ভাই নিজের মনকে পরিস্কার করেন, তার পরে কমেন্টস্ করেন ।
এবার আসি পূলিশের প্রসঙ্গে ---
১. নববর্ষ উপলক্ষে রমনা চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে ছিল পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা।
২. ১৩১ টি সি সি ক্যামেরা সছল ।
৩. পুলিশ কমিশনার রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন যে কোন প্রকার অপ্রিতীকর ঘটনা করা সম্ভব না ।
৪. পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দাবী কোন অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনি যা হয়েছে বিচ্ছিন্ন গটনা ।
আমি একটু বলি ----যদি নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করার প্রয়োজন কি ।
টাকা খরচ করে ১৩১ টি সি সি ক্যামেরা বসানোর প্রয়োজন কি ।
শত শত পূলিশ তাহলে কেন নিয়োগ করা হলো এই অনুষ্ঠানে ।
চলবে
রিয়াদ ফেরারী
©somewhere in net ltd.