নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মৌলবাদী মুসলিম।ইসলামের সাথে অন্য কিছু মিলাতে রাজি না।আমি সেই ইসলামে বিশ্বাস করি যা মধ্য যুগে এসেও সর্বাধুনিক। যারা কুরআন হাদিসের আধুনিকায়ন চায় তারা মুনাফিক।

অবিবাহিত জাহিদ

আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী একজন মুসলিম।

অবিবাহিত জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

←ইসলামী সমাজে মসজিদের ভুমিকা-পর্ব ১→

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭


ভুমিকা: পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা উত্তম স্থান মসজিদ। তাই মসজিদ আল্লাহর ঘর হিসেবে বিবেচিত। মসজিদে মুসলিমগণ দ্বীনের মূলভিত্তি সালাত দৈনিক পাঁচ বার আদায় করে থাকে। দ্বীনের মূল ভিত্তি আদায়ের স্থান বিধায় দ্বীনের অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনেও মসজিদের ভুমিকা প্রাসঙ্গিক ও অনস্বীকার্য। মসজিদের সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক অন্যান্য ধর্মাবলস্বীদের সাথে তাদের পুজা-অর্চানার মন্দির-গীর্জার মত নয়;বরং মসজিদের সাথে মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি মুসলমানের মিলন মেলা,যেখানে তারা প্রতিদিন পাঁচবার মিলিত হয়ে রবের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি তাদের পারস্পরিক খোঁজ-খবর রাখে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলে। ফলশ্রুতিতে তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভালবাসার আবেশ ছড়িয়ে পড়ে সমাজে এবং একটি সুশীল সমাজ গড়ে উঠে। মসজিদ নির্মাণের বিনিময়ে পুরস্কার সরূপ রাসূলুল্লাহ (স) জান্নাতের ঘর নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
عن ابن عباس من بنى لله مسجدا قدر مفحص قطاة بنى الله له بيتا فى الجنة -أخرجه أحمد، صحيح
অর্থাৎ- ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত,যে ব্যক্তি আল্লাহ সন্তুষ্টির নিমিত্তে পাখির ডিম পাড়ার স্থান পরিমান মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। (আহমাদ,সহীহ)

মসজিদের পানে যারা যারা ছুটে যায় তাদের জন্য প্রতিটি কদমের বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান, মর্যাদা ও গুনাহ মাফের ঘোষনা দিয়েছেন।
عن بريدة أن النبى -صلى الله عليه وسلم- قال من تطهر فى بيته ثم مضى الى بيت من بيوت الله يقضى فريضة من فرائض الله كانت خطواته إحداها تحط خطيئة والأخرى ترفع درجة. -أخرجه مسلم
অর্থাৎ- বুরাইদা (রা:) থেকে বর্ণিত,নিশ্চয় রাসূল (স)বলেন: যে ব্যক্তি তার বাড়ীতে পবিত্রতার অর্জন করল অত:পর ফরজ ইবাদত আদায়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহর ঘরে (মসজিদে) গেল তার এক কদমের বিনিময়ে গুনাহ মার্জনা হবে এবং অপর কদমের বিনিময়ে মর্যদা বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়;বরং মসজিদে যেতে অভ্যস্ত ব্যক্তিকে ইমানদার হিসেবে সাক্ষ্য দিতেও রাসূল (স) নির্দেশ দিয়েছেন।
عن أبي سعيد قال قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- اذا رأيتم الرجل يعتاد المسجد فاشهدوا له بالإيمان قال الله تعالى: ( إنما يعمر مساجد الله من آمن بالله واليوم الآخر -أخرجه الترمذي وأحمد
অর্থাৎ- আবু সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল (স)বলেছেন যখন তোমরা দেখ কোন ব্যক্তি মসজিদে যেতে অভ্যস্ত তখন তার জন্য ইমানের সাক্ষ্য দাও। অত:পর তিনি কুরআনের আয়াতটি তিলাওয়াত করেন:
– إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللَّهَ ۖ فَعَسَىٰ أُولَٰئِكَ أَن يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِينَ
তারাই হতে পারে আল্লাহর মসজিদের আবাদকারী (রক্ষাণাবেক্ষণকারী ও সেবক) যারা আল্লাহ ও পরকালকে মানে,নামায কায়েম করে,যাকাত দেয় এবং আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করেনা। তাদেরই ব্যাপারে আশা করা যেতে পারে যে,তারা সঠিক পথে চলবে।

(সুরা তাওবাহ ১৮) (আহমদ,তিরমিজী)

মসজিদের আবাদ শুধু মাত্র মসজিদ নির্মাণ নয়;বরং মসজিদে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্য যাওয়া,মসজিদে গিয়ে তিলাওয়াত করা ও কুরআন শিক্ষা দেওয়া, মসজিদের দারসে বসা ইত্যাদিও মসজিদ আবাদের মৌলিক উপকরণ।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে মসজিদের ভুমিকা: ইসলামের প্রাথমিক যুগে সমাজ পরিবর্তনে মসজিদের ভুমিকাই ছিল প্রধান। মসজিদ ছিল একই সাথে দাওয়াতী কাজের প্রাণকেন্দ্র এবং রাষ্ট্রীয় ভবন। দাওয়াতী কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালনা করা হত। বিভিন্ন বিষয়ের পরামর্শ ও সিন্ধান্ত গ্রহণ এখানেই সম্পাদন করা হত। বিভিন্ন দেশ ও এলাকা থেকে আগত প্রতিনিধি ও মেহমানদেরকে রাসূল (স)মসজিদেই স্বাগত জানাতেন। সাহাবায়ে কিরামের সাথে মসজিদেই তিনি মিলিত হতেন এবং তাদের শিক্ষাদান করতেন। এক কথায়: মসজিদ ছিল তৎকালীন মুসলিম সমাজের যাবতীয় কাজের কেন্দ্রস্থল।
ইসলামী সমাজে মসজিদের ভুমিকা:
একটি মসজিদ ইসলামী সমাজে বিভিন্নভাবে অবদান রাখতে পারে। এ প্রসঙ্গে শায়খ আতিয়্যার উক্তিটি উল্লেখযোগ্য। তিনি ‘সাত জন ব্যক্তির আরশের ছায়া লাভ’ সম্বলিত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন: “মুসলিম সমাজে কিছু মানুষ (বিশেষতঃ যুবক) আছে যারা আল্লাহর আনুগত্য করে। এ সব যুবকের অন্যতম গুণ হচ্ছে তারা দৈনিক পাঁচবার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে করতে তাদের হৃদয়টা মসজিদের সাথে মিশে যায়, এ সকল মুসল্লী স্বাভাবতই মসজিদের অভ্যন্তরে পারস্পরিক পরিচিত হয় এবং কখনো কারো অবর্তমানে তার খোঁজ-খবর জানতে অভ্যস্থ হয়। এভাবে বারংবার সাক্ষাৎ ও খোঁজ-খবরের মাধ্যমে তাদের মাঝে এক প্রকার ভালবাসা সৃষ্টি হয় যা শুধু আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টির নিমিত্তেই। মসজিদে জামাতবদ্ধভাবে সালাত আদায় আর মুসল্লীদের পারস্পরিক ভালবাসার একটা ইতিবাচক প্রভাব সমাজে প্রতিফলিত হয়”।


তাদের মধ্যকার ভালবাসার কারণেই সামাজিক কর্মকান্ডে হিংসা-বিদ্বেষ, কলহ ইত্যাদি দূর হয়ে যায়। অনুরূপভাবে ব্যক্তিগত জীবনেও অপরাধ প্রবণতা কমে যায়। কেননা যে রবের নির্দেশ পালনার্থে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যস্ততাকে এড়িয়ে দৈনিক পাঁচবার মসজিদে যেতে সক্ষম সেই রবের সন্তুষ্টির জন্যই অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার মানসিকতা তার অন্তরে জাগ্রত হয়। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন:
إن الصلاة تنهى عن الفحشاء والمنكر
অর্থাৎ- নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। (সুরা আল আনকাবুত ৪৫)

মসজিদে গিয়ে ঈমান নবায়ন, সৎকাজ সম্পাদন এবং অন্য কাজ থেকে বিরত থাকার অনুভুতি ও মানসিকতা পোষণ করার জন্য মসজিদে তা’লীমের আসর থাকা খুবই জরুরী। একটি সুশীল সমাজ গঠনে মসজিদের ভুমিকা নিম্নরূপ:
তা’লীম ও তারবিয়াত:

জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে একমাত্র ইসলামী শরীয়াতই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বারোপ করেছে। হাদীস শরীফে এসেছে
عن أنس بن مالك قال قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- طلب العلم فريضة على كل مسلم -أخرجه ابن ماجه، صحيح
অর্থাৎ- হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা:) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা:) বলেন: প্রতিটি মুসলিমের উপর জ্ঞানার্জন করা ফরয। (ইবনু মাযাহ,সহীহ)।

মূলতঃ যে পরিমান জ্ঞানার্জন করলে একজন মুমিন তার ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামের মৌলিক বিধানসমুহ মেনে চলতে পারে সে পরিমান জ্ঞান অর্জন করাই তার উপর ফরয। এ জন্য সমাজের বিভিন্ন পেশাধারী ও অশিক্ষিত লোকদেরকে শিক্ষাদানের জন্য তা’লীম ও তারবিয়াত মূলক কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করা উচিত।

তা’লীম ও তারবিয়াত মসজিদ ভিত্তিক কার্যাবলীর অন্যতম একটি। সমাজের মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানদান ও সচেতন করাতে ইসলামী শিক্ষার প্রসার একান্ত জরুরী। এক্ষেত্রে মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। আমাদের সমাজের যুবক,বয়স্ক ও নারীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ ইসলামের প্রাথমিক জ্ঞান ও ইসলামী মূল্যবোধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ও অসচেতন। আরো পরিস্কার করে বলা যায় একজন সাধারণ মুসলিম হিসেবে ইসলাম সম্পর্কে যে পরিমান জ্ঞানার্জন করা ফরয সে পরিমান জ্ঞান অধিকাংশ মানুষেরই নেই। শুধু তাই নয়;বরং ইসলামী জীবন বিধানের মূল উৎস আল-কুরআন সম্পর্কে সমাজের সিংহভাগ মুসলিমই অজ্ঞ। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে,অধিকাংশ মুসলিম আল-কুরআনকে শুদ্ধ করে পড়তেও পারেনা। এমন নাজুক পরিস্থিতির উত্তরণে সমাজের মানুষের মাঝে ইসলামী জ্ঞান বিতরণে মসজিদ নিম্মোক্ত কর্মসূচী গ্রহন করতে পারে।
তা’লীমুল কুরআন প্রোগ্রাম:
বিশ্ব মানবতার মুক্তির একমাত্র সওগাত আল-কুরআন। বিশ্ব মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি রয়েছে একমাত্র এই মহাগ্রন্থেই। এর মাধ্যমেই রাসূল (সা:) মাদীনায় প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেছেন। কুরআনের সাথে সঠিক সস্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমেই ইসলামের সোনালী যুগের মানুষেরা পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা যদি সেই অতীত ফিরে পেতে চাই তাহলে কুরআনের সাথে আমাদের সম্পর্ক হতে হবে খুব নিবিড়। কুরআনের সাথে সম্পর্কের প্রথম ধাপ হচ্ছে কুরআনকে সহীহ শুদ্ধভাবে পড়তে জানা। এর ভাষাকে আয়ত্ব করে এর আবেদনকে বুঝা এবং সেই অনুযায়ী বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। পাশাপাশি রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে আসা এই কিতাবকে বারংবার তিলাওয়াত ও অনুধাবন তাঁর ভালবাসার একটি কাজও বটে। উপরন্তু;রাসূল(স)কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়নের অনেক মর্যদা ঘোষনা দিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন:
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَّن تَبُورَ – لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُم مِّن فَضْلِهِ ۚ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ
অর্থাৎ- যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে,নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে খরচ করে নি:সন্দেহে তারা তখন এমন একটি ব্যবসায়ের প্রত্যাশী যাতে কোন ক্রমেই ক্ষতি হবেনা। (এ ব্যাপারে তাদের নিজেদের সব কিছু নিয়োগ করার কারণ হচ্ছে এই যে) যাতে তাদের প্রতিদান পুরোপুরি আল্লাহ তাদেরকে দিয়ে দেন এবং নিজ অনুগ্রহ থেকে আরো বেশী করে তাদেরকে দান করেন। নি:সন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও গুনগ্রাহী। (সুরা ফাতির ৩০-৩১)

তাই কুরআন তিলাওয়াত এবং এর অধ্যয়নকে আল্লাহ তায়ালা সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার ভাষ্য:
ولقد يسرنا القرآن للذكر فهل من مدكر
অর্থাৎ- আমি কুরআনকে উপদেশ লাভের সহজ উৎস বানিয়ে দিয়েছি। বস্তুত: কুরআনের এই সহজবোধ্যতা তাদের জন্যই যারা কুরআনকে শিখতে আগ্রহী। কুরআনকে শিখার আগ্রহ নিয়ে চেষ্ঠা শুরু করলেই আল্লাহ তায়ালা সহজ করে দেন।

পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত এমন একটি মহৎ কাজ যা তার পাঠকের জন্য কিয়ামত দিবসে মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট সুপারিশ করবে। হাদীস শরীফে এসেছে:
عن أبى أمامة قال سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: اقرؤا القرآن فإنه يأتى يوم القيامة شفيعا لأصحابه.
অর্থাৎ- আবু উমামাহ (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি: তোমরা কুরআন পড়। নিশ্চয় ইহা কিয়ামতের দিবসে তার সাথীদের (কুরআন তিলাওয়াত কারীদের) জন্য সুপারিশকারী হিসবে উপস্থিত হবে। (মুসলিম)
عن ابن مسعود قال قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- من قرأ حرفا من كتاب الله فله حسنة والحسنة بعشر أمثالها، لا أقول الم حرف ولكن الف حرف ولا حرف وميم حرف -أخرجه الترمذى، حسن
অর্থাৎ- ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (আল কুরআনের) একটি হরফ (অক্ষর) পাঠ করল তার জন্য একটি উত্তম প্রতিদান (একটি নেকী বা পূর্ণ)। আর প্রতিটি নেকীই দশ গুন পরিমাণ (দেওয়া হবে)। আমি الم (আালিফ,লাম,মীম) কে এক হরফ হিসেবে গন্য করিনা;বরং আলিফ (ا) একটি হরফ, লাম (ل) একটি হরফ এবং মীম (م) একটি হরফ। সুতরাং উক্ত হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী কেউ الم একবার উচ্চারণ করলেই ৩০টি নেকী অর্জন করবে (তিরমিযী,হাসান)।

হাদীসে কুদসীতে এসেছে:
عن أبى سعيد عن النبى -صلى الله عليه وسلم- قال يقول الرب تبارك وتعالى من شعله القرآن عن مسألتى أعطيته أفضل ما أعطى السائلين وفضل كلام الله على سائر الكلام كفضل الله على خلقه. -أخرجه الترمذي وقال حسن غريب
অর্থাৎ- আবু সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (স)বলেছেন আল্লাহ তা’য়ালা বলেন: যাকে কুরআন (এর তিলাওয়াত) আমার নিকট প্রার্থনা করা থেকে ব্যস্ত রেখেছে তাকে আমি প্রার্থনা কারীদের চাইতে অধিক দান করি। আর সকল কালামের (কথার) উপর আল্লাহর কালামের মর্যাদা এমন বেশী যেমন আল্লাহ্ তায়ালার মর্যদা তাঁর সৃষ্টির উপর। (তিরমিযী,হাসান গরীব)

অত্র হাদীসের ভাষ্য হচ্ছে কিছু মানুষ কুরআন অধ্যয়ন,গবেষণা ও তিলাওয়াত নিয়ে এমন ভাবে ব্যস্ত থাকে যে, এই মহৎ কাজের ওয়াসিলা দিয়ে আল্লাহর তা’য়ালার নিকট তাদের চাওয়া পাওয়ার কথা বলা এবং প্রার্থনা করার সময়ও তাদের থাকেনা। কিন্তু আল্লাহ তা’য়ালা তাদের এই মহৎ কাজকে বিনিময়হীন রাখেননা;বরং যারা আল্লাহর কাছে চায় তাদের চাইতে বেশী দান করেন কুরআন অধ্যায়নে ব্যস্ত লোকদের।
কুরআন তা’লীমের গুরুত্ব:
ইসলামী জীবন বিধানের মূল উৎস হচ্ছে আল-কুরআন। এর মধ্যেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব জাতির প্রয়োজনীয় সকল কিছুই বর্ণনা করে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে এসেছে:
ونزلنا إليك الكتاب تبيانا لكل شئ
অর্থাৎ- আমি এ কিতাব তোমার প্রতি নাযিল করেছি যা সব জিনিস পরিস্কারভাবে তুলে ধরে। (সুরা নাহল ৮৯)

সুতরাং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিধি-নিষেধ সঠিকভাবে মানতে হলে কুরআন শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এ জন্য কুরআনের তা’লীম অত্যাবশ্যক। পৃথিবীর মানুষ বিভিন্ন ধরণের চিঠি পত্র,ম্যাগাজিন পত্রিকা,বই কতই না পড়ে থাকে এবং সে অনুযায়ী ব্যক্তিগত কার্যাবলী সম্পাদন করে,এতে বিন্দুমাত্র ত্রুটি করতে কেউ রাজি নয়; কিন্তু পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট নবীর উপর সর্বশ্রেষ্ট ফিরিস্তার মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ট উম্মতের উপর নাযিলকৃত সর্বশ্রেষ্ট আসমানী কিতাব আল কুরআনকে আজকের মুসলমানরা শুধু চুমু খেয়েই রেখে দেয়। একে অধ্যয়ন করে দেখেনা যে এর মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালা কি মেসেজ দুনিয়ার মানুষের প্রতি দিয়েছেন,অথচ এতেই রয়েছে তাদের মুক্তির মহা পয়গাম।

আমাদের সমাজের মসজিদগুলো কুরআন তা’লীমের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে কুরআন শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে।

একটি বিশেষ পরিস্থতিকে আমরা আমাদের অবহেলায় ও অসচেতনায় অনুভুতির আড়ালে রেখে দিয়েছি,অথচ তা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করার দাবী রাখে। তা হচ্ছে ঈমানের পর ইসলামের সর্ব প্রথম ফরয সালাত। সালাতের মধ্যে পবিত্র আল-কুরআন থেকে পরিমিত আয়াত কখনও তিলাওয়াত করতে হয় আবার কখনও মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে এর মর্ম অনুধাবন করতে হয়। এভাবেই সালাতে পূর্ণ মনোযোগ আসে এবং তিলাওয়াতের হক আদায় হয়। আমাদের সমাজের অধিকাংশ মুসলমান দৈনিক পাঁচবার মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করে কিন্তু,ইমাম সাহেব কি পড়ছেন তা মোটেও বুঝেনা। আবার একাকী সালাত আদায়ের সময়ও তিনি নিজে কি পড়ছেন তা মোটেও অনুধাবন করেননা। ফলশ্রুতিতে সালাতের মধ্যে তার কোন মনোযোগ থাকেনা, বিভিন্ন চিন্তায় মগ্ন হয় সালাত অবস্থায়। এই ধরণের সালাতে মুক্তির আশা করা আকাশ কুসুম কল্পনাসম। আরো অধিকতর পরিতাপের বিষয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত সালাতের মধ্যে যে কয়েকটি আয়াত বা ক্ষুদ্র সুরা পাঠ করলে যথেষ্ট হয়ে যায় সে গুলোও বিশুদ্ধ করে অনেকে পড়তে জানেননা। এই ধরণের নামাজী ব্যক্তিদের নিকট নামাজের গুরুত্বও তেমন থাকেনা। আর তাই তাদের নামাজ তাদেরকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখতে পারছেনা। সমাজের অনৈতিক ও অন্যায় কাজ গুলো বন্ধ না হয়ে বরং দিন দিন বেড়েই চলছে। অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে সক্ষম এমন সালাত প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত্বে মসজিদ ভিত্তিক কুরআন তা’লীম প্রোগ্রামের ভুমিকা অত্যাবশ্যক। আমাদের দেশে সাধারণতঃ নিরক্ষরতার হারের চেয়ে কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞতার হারই বেশী। এই অজ্ঞতা দূরীকরণে সমাজের মানুষের শ্রেণীভেদে মসজিদ কুরআন শিক্ষার আসর আয়োজন করতে পারে। এর প্রচলন আমাদের দেশে আবাহমান কাল থেকে অব্যহত থাকলেও এর কাংখিত মাত্রায় এখনও পৌঁছাতে পারেনি। ইদানিং আমাদের দেশে নুরানী ট্রেনিং ও কুরআন শিক্ষার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ইত্যাদি নামে কুরআন তা’লীমের বিভিন্ন প্রজেক্ট চালু হয়েছে। মসজিদের ইমাম কিংবা মসজিদ কতৃপক্ষ এ সকল প্রজেক্টগুলোকে মসজিদের আওতায় চালু করতে পারেন।



প্রস্তাবিত প্রকল্প সমুহ:

শিশুদের কুরআন শিক্ষা
বয়স্কদের কুরআন শিক্ষা
মহিলাদের কুরআন শিক্ষা

উল্লেখ্য যে, শিশু ও বয়স্কদের কুরআন শিক্ষার আসর মসজিদেই হওয়া উচিত। কারণ এর মাধ্যমে শিশুরা মসজিদের সাথে পরিচিত হবে এবং বয়স্কদের সাথে মসজিদের সম্পর্ক আরো অধিকতর গভীর হবে। মহিলাদের কুরআন শিক্ষার আসর মসজিদের তত্ত্বাবধানেই বাসা-বাড়িতে কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আরও ফলপ্রসু পদক্ষেপ হচ্ছে- মসজিদের উদ্যোগে মসজিদের পাশেই মহিলাদের জন্য আলাদা পাঠ কক্ষের ব্যবস্থা করা,যাতে করে মসজিদের সাথে নারী সমাজের পরিচিতি ঘটে। মহিলারা ঘরে বসে সেটেলাইট মেডিয়ার অশ্লীলতায় মগ্ন না থেকে কিছূক্ষণের জন্য হলেও মসজিদে জামায়াতের সাথে সালাত আদায় এবং কুরআন তা’লীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। সাথে সাথে মসজিদের ভালবাসার দাবি পুরণে নিজের সন্তানদেরকে মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দিবে এবং নিজেদের স্বামীদেরকেও মসজিদে জামায়াতে অংশ গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করবে। এভাবে মসজিদের সাথে পুরোটা পরিবারেই সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
তাহফিজুল কুরআন প্রকল্প:
মসজিদই হচ্ছে আল-কুরআন তিলাওয়াত,শিক্ষাদান ও হিফয্ করার উপযুক্ত স্থান। ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে শুরু করে সোনালী যুগ পর্যন্ত মসজিদকেই কুরআন চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হত। বর্তমানেও আরব দেশগুলোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মসজিদে কুরআন মুখস্ত করানোর ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশে তাহফিযুল কুরআনের কিছু প্রকল্প মসজিদ ভিত্তিক চালু থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক প্রকল্পকেই গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। ফলে কুরআন হিফযের পাশাপাশি অন্য কোন শিক্ষা তারা পাচ্ছেনা। পক্ষান্তরে,মসজিদ ভিত্তিক হিফয্‌ ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি শিশু কুরাআন মুখস্থের পাশাপাশি চারিত্রিক ও আমলী প্রশিক্ষণ পেতে পারে। অধিকন্তু,শিশুদের অভিভাবকদেরও মসজিদ এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সাথে পরিচিতি এবং সম্পর্ক গড়ে উঠবে,যা প্রতিটি মুসলিমের থাকা উচিৎ।
বিষয় ভিত্তিক দারসের আসর:
আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে অনবহিত। ফরযে আইন হিসেবে একজন মুসলিমের যতটুকু জ্ঞান অর্জন করা জরুরী ততটুকু জ্ঞান সমাজের সিংহভাগ মানুষই রাখেন না। তাই ইবাদাত বন্দেগীতে ক্রটি-বিচ্যুতি প্রতিনিয়ত হচ্ছেই। অন্য দিকে, তাদের নেই হালাল-হারাম এবং বৈধ-অবৈধতার কোন জ্ঞান। ফলে পাপ-অন্যায়কে এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়না। উল্লেখ্য যে,আমাদের সমাজে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার দৈন্যতার কারণে ইসলামের এ ধরণের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে অধিকাংশ মুসলিমই অজ্ঞ। দ্বীন সম্পর্কে এমন অজ্ঞতার দূরীকরণে মসজিদের উদ্যোগে বিষয় ভিত্তিক দারসের আয়োজন করা প্রয়োজন। বিষয় ভিত্তিক দারসের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো উল্লেখযোগ্য:

ইসলামের পাঁচ রোকন
ফরয ও ওয়াজিব সমূহ
হালাল ও হারামের বিধান
কবীরা গুনাহ
সীরাতে রাসূল (সা:)
দারসুল কুরআন (বিশেষতঃ যে সকল আয়াত বা সুরা একজন মুসল্লী নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পড়ে থাকেন)
দারসুল হাদীস (আখলাক সস্পর্কিত হাদীসগুলো এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে)
আশারা মুবাশ্‌শারা (রা:)
তাওহীদ (এখানে তাওহীদের মৌলিক বিষয়সমুহ সম্পর্কে আলোচনা করা প্রয়োজন। যে সকল বিষয়ে মুজতাহিদগণ মতোবিরোধ করেছেন সে বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যেতে হবে)
জান্নাতের শান্তি ও জাহান্নামের শাস্তি
শিরক ও বিদআ’ত
সামাজিক কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতি
সৎ চরিত্র ও অসৎ চরিত্র
আল-কুরআন ও আমাদের করণীয়
রাসূলুল্লাহ (সা:) এর আল-হাদীস ও আমাদের করণীয়
আল্লাহর হক,পিতা-মাতার হক,বান্দার হক ও অন্যান্য সৃষ্টির হক
ইসলামের পারিবারিক জীবন
ইসলামী শরীয়াতের ইমাম ও মুজতাহিদগণের জীবনী।

উল্লেখ্য যে,উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর সিরিজ আলোচনা করা জরুরী যাতে দারসে উপস্থিত অশিক্ষিত মুসল্লীরাও ইসলামের প্রাথমিক বিষয়গুলো জানতে পারে। এ ক্ষেত্রে দারসের আসর প্রতি সপ্তাহে একদিন আয়োজন করাই শ্রেয়। আগ্রহ ও ব্যস্ততাকে সামনে রেখে কম-বেশীও হতে পারে। এই আসরের সময় কাল ১.০০/ ১.৩০ ঘন্টা পরিমান হলে যে কোন একটি বিষয় সংক্ষেপে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করা সম্ভব। সময় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সালাতুল মাগরীবের পরবর্তী সময়কে বাছাই করলে অধিকাংশের জন্য দারসে উপস্থিত থাকা সহজ হবে। সিরিজ দারসের আলোচক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞান ও উপস্থাপনের যোগ্যতাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। স্থানীয় মসজিদের ইমাম যোগ্য আলোচক না হলে দারসের জন্য পার্শ্ববর্তী কোন মসজিদের যোগ্য ইমাম কিংবা কোন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে উপযুক্ত সম্মানী প্রদানের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। দারসের সংখ্যার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে প্রস্তাবিত সিরিজ সমুহের যে কোন দু’টি সিরিজ সপ্তাহের মাঝামাঝি দুইদিনে সমান্তরালভাবে আয়োজন করা যেতে পারে।
ফিকহী আহকাম ও প্রশ্নোত্তরের সাপ্তাহিক আসর:
এক মুসলিম তার দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যা ও পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এ বিষয়ে তার একাডেমিক কিংবা ব্যক্তিগত অধ্যয়ন না থাকায় সমস্যাগুলোর ইসলামী সমাধান সম্পর্কে সে অবগত নয়। ফলে ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামকে অনুসরণ কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা অজ্ঞতার কারণে ব্যক্তি যে নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে তাতে তার মনে নেতিবাচক ধারণা হলেও আনুগত্যের দাবী পূরণে তা থেকে সে বিরত থাকবে,যদিও বিষয়টি প্রকৃত পক্ষে নেতিবাচক না হয়। এভাবে দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের বিধানকে আন্তরিকতার সাথে মেনে চলা সম্ভব হয়না। পক্ষান্তরে,বিষয়টি যদি মূলতই ইতিবাচক হয় কিন্তু,যে ব্যক্তি তার অজ্ঞতার কারণে সর্বদা ইসলামের বিধানকে অমান্য করে আসছে তার নিকট উক্ত ইতিবাচক বিষয়টি অজ্ঞতাবশতঃ নেতিবাচক মনে হলেও সে তার অবাধ্যতা হেতু তাতে জড়িয়ে পড়ে। পরিণিতিতে সে ইতিবাচক বিষয়গুলোকেও গ্রহণ করতে পারছেনা। যদিও তার কৃত কাজটি প্রকৃত পক্ষে বৈধ হয়,অবৈধ মনে করেই,সে তাতে জড়িত হয়ে পড়ে। এ ধরণের মানসিকতা পোষণের জন্যও তাকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। বৈধকে বৈধ ও অবৈধকে অবৈধ জানার মাধ্যমে একজন মুসলিমের মধ্যে আনুগত্যের যোগ্যতা সৃষ্টি হয়। বিশেষতঃ যখন কেউ কোন বিষয়কে অবৈধ জেনেও তাতে লিপ্ত হয়ে থাকে,তাহলে কোন একদিন ঐ ব্যক্তির অন্তরে কৃত অপরাধের অনুশোচনা আসতে পারে। অন্যথায় অজ্ঞতার কারণে কৃত অপরাধের অনুশোচনার অনুভুতি কখনোই জাগবেনা। তাই শরীয়তের মৌলিক বিধানগুলো প্রতিটি মুসলিমের জানা আবশ্যক। এই জ্ঞানই প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরয। মসজিদ ভিত্তিক দারস এক্ষেত্রে গুরুত্ব ভুমিকা রাখতে পারে।
মাসিক ওয়াজ মাহফিল:
আবাহমান কাল থেকেই আমাদের দেশের এ ওয়াজ মাহফিল বিভিন্ন মসজিদে,মাদরাসায়,মকতবে কিংবা কোন সংস্থা ও পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে আসছে। এ সকল মাহফিলে সাধারণ মুসলিমরা দ্বীন সম্পর্কে সামান্য কিছু জ্ঞান লাভ করত। ইদানিং সমাজ ব্যবস্থার জটিলতার কারণে এ ধরণের মাহফিলের আলোচ্য বিষয়ের অধিকাংশই জ্ঞানগর্ভ নয়। বক্তা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার নাম,খ্যাতিও বাহ্যিক আড়ম্বরতাকেই সাধারণ মানুষ বেশী প্রাধান্য দেয়। এ ধরণের মাহফিল সাধারণতঃ বার্ষিক,ষাম্মাসিক কিংবা বিশেষ কোন উপলক্ষকে ঘিরে আয়োজিত হয়। ফলে এর সংখ্যাও খুব কম এবং এর প্রস্তুতিও তুলনা মূলক অধিক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার। এজন্যই সমাজের মসজিদগুলোতে স্বল্প পরিসরে মাসিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা যেতে পারে। মসজিদের ভিতরেই অন্য এলাকার আলেমদের আমন্ত্রন জানিয়ে অনাড়ম্বর মাহফিলের আয়োজন করা যেতে পারে। আলোচনার বিষয়বস্তু মসজিদের ইমাম কিংবা কমিটির সচেতন ব্যক্তির মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারিত থাকলে বক্তার আলোচনা মূল বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং উপস্তিত জনগণও উপকৃত হবে। আলোচক দাওয়াত দেওয়ার সময়ই তাকে মাহফিলের আলোচনা বিষয়বস্তু জানিয়ে দেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পেতে পারে:

রাসূলুল্লাহর (সা:) দাওয়াতী জীবন।
সাহাবায়ে কিরামের আনুগত্যের মাত্রা।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসা।
পিতা-মাতার ও সন্তানের পারস্পরিক হক।
প্রতিবেশীর হক।
রাসূলুল্লাহর (সা:) এর অনুপম চারিত্রিক গুণাবলী এবং আমাদের জীবনে তার বাস্তবায়ন।(এ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহর (সা:) এর অনুপম চারিত্রিক গুণাবলীর ১/২ টি আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন, সবর, ক্ষমা,সত্যবাদিতা ইত্যাদি)।
বিষয় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু আয়াতের তাফসীর।
বিষয় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদীসের ব্যাখ্যা।
তাওবাহ ও ইস্তিগফার।
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য।
ইবাদতের মর্মকথা।
ইসলামী ভ্রাতৃত্ব।
সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ।

সাপ্তাহিক জুমআর খুৎবাহ:

সাপ্তাহিক জুমআর খুৎবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুযোগ যার মাধ্যমে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় মানুষের সামনে তুলে ধরা সম্ভব। এই খুৎবার বিধান আবশ্যকীয় ভাবে সকল মসজিদে থাকলেও খুৎবাহর উদ্দেশ্যের সাথে আলোচিত বিষয়বস্তুর তেমন সামঞ্জস্যতা নেই। জুমআ হচ্ছে মুসলমানদের সম্মেলনের একটি সময়। এতে সকল মুসল্লী ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় খুৎবার দিকে মনোযোগী হতে হয়। এর মাধ্যমেই মুসলমানরা শরীয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও দিক-নির্দেশনা পাওয়ার দাবী রাখে। এই সম্মেলনের মাধ্যমেই মুসলমানদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধন রচিত হবে। ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে সোনালী যুগ পর্যন্ত জুমআর খুৎবাহ এমন ভুমিকাই পালন করেছে। জুমআর খুৎবার গুরুত্ব অনুধাবন করা যায় ইসলাম বিদ্বেষীদের মন্তব্যে। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মিশরে খ্রীষ্টান মিশনারী প্রচারণায় ব্যর্থ হয়ে একজন ওরিয়েন্টালিস্ট মন্তব্য করেছেন: ইসলাম ততদিন পর্যন্ত সুদৃঢ় ও কঠিন শিলাখন্ডের ন্যায় অব্যাহত থাকবে যার আঘাতে খ্রীষ্টান মিশনারীদের সকল প্রচেষ্ঠা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে,যতদিন মুসলমানদের মাঝে চারটি স্তম্ভ অটল থাকবে। সে চারটি স্তম্ভ হচ্ছে:

1. আল-কুরআন

2. আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়

3. সাপ্তাহিক জুমআর মিলন

4. বাৎসরিক হজ্জ্বের সম্মেলন

এটি হচ্ছে জুমআর মিলন সম্পর্কে এক অমুসলিমের দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু যেই তাৎপর্যের কারণে সে ব্যক্তি এমন মন্তব্য করেছে সেই তাৎপর্য আজ আমাদের থেকে হারিয়ে গেছে। তাই সমাজ পরিবর্তনে মসজিদ কোন ভুমিকাই রাখতে পারছেনা।

একটি সক্রিয় মসজিদর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- মসজিদের ইমাম সাহেব সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুৎবায় আলোচনা করবেন। পরিবেশ,পরিস্থিতি ও সময়ের আলোকে খুৎবার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করবেন। আমাদের দেশের সিংহভাগ মুসলিম আরবী ভাষা সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই খুৎবার বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন তারা কিছুই বুঝেনা। ফলে খুৎবার টার্গেট হাসিল হয়না। এ জন্য মাতৃভাষায় খুৎবার প্রযোজনীয়তা দেখা দেয়। অনারবী ভাষায় খুৎবা দেয়ার ক্ষেত্রে ইমামদের মাঝে মতোবিরোধ থাকলেও বাস্তবতা এবং খুৎবার অভীষ্ট লক্ষের বিচারে জায়েযের মতকে প্রাধান্য দেয়াই শ্রেয়। মাতৃভাষায় খুৎবা দিলেই জুমআর রিসালাহ (মিশন) সফলভাবে মুসল্লীদের নিকট পৌছাবে। খুৎবার বিষয়বস্তু নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো প্রাধান্য পেতে পারে।

একজন সৎ মুমিনের গুনাবলী
একটি মুসলিম পরিবার গঠনের উপায়
ইসলামের আলোকে সামাজিক অপরাধ সমূহ
আরবী মাস ভিত্তিক একজন মুসলিমের নফল ইবাদত
আমানতদারীতা ও খেয়ানত
পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য
সন্তান লালন-পালনে রাসূলুল্লাহর (রাঃ) আদর্শ
মৌলিক অসৎ গুনাবলী
মৌলিক সৎ গুনাবলী
সমসাময়িক সামাজিক ইস্যু ও মুসলিমদের করণীয়
সমসাময়িক জাতীয় ইস্যু ও মুসলিমদের করণীয়
সমসাময়িক আন্তর্জাতিক ইস্যু ও মুসলিমদের করণীয়
ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও এর দাবী
আল্লাহ তায়ালার সুন্দর নাম সমুহের তাৎপর্য
মুসলমানদের বর্তমান দুর্দশা: কারণ ও উত্তরণের উপায়



দাওয়াতী কার্যক্রম:
স্বাভাবিক ভাবেই মসজিদের ইমাম ইসলাম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখবেন। তিনি সমাজের মানুষকে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিবেন। পাশাপাশি সমাজের মানুষের মাঝে স্পেশাল দাওয়াতী কার্যক্রম চালু করাও তাঁর দায়িত্ব। এক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম সাহেব কমিটির সদস্য এবং সক্রিয় কিছু মুসল্লীদের সাথে পরামর্শ করে দাওয়াতী কাফেলা গঠন করে কার্যক্রম চালাবেন। যে সকল বিষয় দাওয়াতী কার্যক্রমের আওতায় আনা প্রয়োজন তার কিছু বিষয়কে নিম্মে প্রস্তাব করা হলো:

এক. সমাজের যে সকল মুসলিম নামাজ আদায় করেনা কিংবা মসজিদে নিয়মিত আসেননা তাদের নিকট দাওয়াতী সদস্যদের পাঠিয়ে নামাজের গুরুত্ব বুঝিয়ে মসজিদে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা।

দুই. সমাজের যে সকল শিশু তা’লীমুল কুরআন প্রোগ্রামে কিংবা মকতবে আসেনা তাদের অভিভাবকদের কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব বুঝিয়ে এবং শিশুদেরকে উৎসাহিত করে তা’লীমুল কুরআন প্রোগ্রামে আনার ব্যবস্থা করা।

তিন. সমাজের যে সকল বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা কুরআন শিক্ষার আসরে আসেনা তাদেরকে এর গুরুত্ব বুঝিয়ে আসরে যোগদানের ব্যবস্থা করা।

চার. সমাজের যে সকল যুবক বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতার সাথে জড়িত কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে তাদেরকে অপরাধের অশুভপরিণতি এবং যুবকদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে বুঝিয়ে অপরাধ প্রবণতা বন্ধের আহবান জানানো এবং অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনা সৃষ্টি করা।

পাঁচ. সমাজের কেউ বিপদগ্রস্থ হলে তাকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে বিশেষ প্রোগ্রাম ও কর্মসূচীর মাধ্যমে সমাজের মানুষকে উৎসাহিত করা।
প্রতিযোগিতার আয়োজন:

সমাজের মুসলমানদেরকে ভাল কাজের প্রতি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ইসলামের প্রাথমিক বিষয়গুলো এবং কুরআন শিক্ষার উপর প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে নিন্মের বিষয়গুলো গুরুত্ব পেতে পারে।

o হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিভাগ থাকবে যেমন: সম্পূর্ণ কুরআন,কুরআনের অর্ধাংশ বা এক চতুর্থাংশ,সুরা আর-রাহমান,সুরা ইয়াসিন,সুরা ইউসুফ এর মত শুধু একটি সুরা অথবা শুধুমাত্র ত্রিশতম পারা কিংবা শুধুমাত্র কুরআনের শেষ ১০/২০ টি সুরা ইত্যাদি।

o ইমাম নবুবীর সংকলিত চল্লিশ হাদীস

o নামাজ,রোযা,হজ্জ্ব ও যাকাতের প্রাথমিক মাসায়েল

o সীরাতে রাসূলের উপর রচনা ও সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা।
সামাজিক খেদমত:
সমাজের মানুষকে শুধু ইবাদত ও আখলাকের দিকে আহবান করার মধ্যেই দাওয়াতী কাজ সীমাবদ্ধ নয়;বরং সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমও দাওয়াতী কাজের অন্তর্ভূক্ত। সমাজের মানুষের প্রয়োজন না মেটানো এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা না থাকার কারণেই তারা দ্বীনের দাওয়াতে কাংখিত মানের সাড়া দিচ্ছেনা। মূলতঃ ইসলামে মানুষের প্রয়োজন মেটানো এবং পারস্পারিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমাদের মুসলিম সমাজে এই সকল সামাজিক কর্মসূচী খুবই বিরল। পক্ষান্তরে,এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সমাজের বিপদগ্রস্থ মানুষকে বিভিন্ন সহযোগিতার লোভ দেখিয়ে খ্রীষ্টান মিশনারী ও বামপন্থী লোকেরা ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এই অবস্থার উত্তরণে মসজিদের উদ্যোগে বিপদগ্রস্থ মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য নিম্নোল্লেখিত সামাজিক প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
গরীব ও এতিমদের বিবাহ প্রকল্প:
সমাজের গরীব ও এতিম যুবক ছেলে-মেয়েরা নিজেদের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিবাহের কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হয়না। এর ফলে সমাজে তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধও সংগঠিত হয়ে থাকে। এর বাস্তবতাও আমাদের সমাজে স্পষ্ট। মসজিদ কর্তৃক এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিরীহদের বিবাহ সম্পাদন করে তাদের চরিত্রের হেফাযাত করা সম্ভব হবে এবং পাশাপাশি তাদেরকে মসজিদমুখী করাও সম্ভব হবে।
যাকাত ফান্ড গঠন:
সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিরা সাধারণত যাকাত দিয়ে থাকেন। কিন্তু,কখনও তাদের প্রতিবেশীর মধ্যে যাকাতের হকদার থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে উপেক্ষা করে অন্যত্র যাকাত বন্টন করা হয়। আবার কখনো তারা যাকাত আদায় করতেই সম্মত হয়না। আবার কখনো এই যাকাত সঠিক খাতেও ব্যয় হয় না। তাই একই সমাজের ধনী-গরীবের বৈষম্য দূরীকরণে ধনীদের মাধ্যমে গরীবদের সহযোগিতা নিশ্চিত করণ এবং যাকাতের সঠিক হকদারদের মাঝে যাকাত বন্টনের জন্য মসজিদ ভিত্তিক একটি যাকাত ফান্ড গঠন করা প্রয়োজন। এই ফান্ডে যাকাত ও ফিৎরার টাকা সঞ্চিত হবে এবং সঠিক হকদারদের মাঝে এর সুষম বন্টন করা হবে। এই ফান্ডের কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে মসজিদের মাধ্যমে সমাজের ধনী ও গরীব উভয় শ্রেণীর মানুষের মাঝে সম্প্রীতি স্থাপিত হবে যা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
প্রাকৃতিক দূর্যোগে ত্রান বিতরণ প্রকল্প:
আমাদের দেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রায়ই ঘটে থাকে। সমাজের কিছু মানুষ ত্রান বিতরণের মানসিকতা পোষণ করলেও কোন উদ্যোগ না থাকায় তার ইচ্ছার বাস্তবায়ন হয়না। তাই প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় মসজিদের উদ্যোগে ত্রান বিতরণ প্রকল্প গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রান বিতরণ করা যেতে পারে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধনী লোকেরা গরীবদের পাশে দাঁড়ানোর একটি বাস্তব চর্চা সম্ভব। এর মাধ্যমে সমাজের ধনী-গরীবের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে যা একটি মুসলিম সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ত্রান বিতরণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া এবং অবাধ্যতার অশুভ পরিণামের কথা শুনিয়ে তাদের মাঝে আল্লাহভীরুতা সৃষ্টি করা সম্ভব।
চিকিৎসা সেবা:
মসজিদের সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। সমাজের গরীব লোকেরা যাতে সহজে অসুস্থতার প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পেতে পারে সেজন্য মসজিদ কর্তৃক চিকিৎসা সেবা দেয়া যেতে পারে। চিকিৎসা সেবা দান করার মাধ্যমে অসুস্থ রোগীদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করা যেতে পারে। রোগীরা সাধারণতঃ ডাক্তারের পরামর্শকে যথাযত পালন করে থাকে। তাই চিকিৎসা সেবা প্রকল্প গ্রহণ করে দ্বীনদার ও সৎ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি কিছু দ্বীনি নসীহত প্রদান করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে অসুস্থদের সাথে মসজিদের সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

লিখেছেন আবু তালিব মোহাম্মদ মোনাওয়ার

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.