নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়ি এবং নিজের ক্ষুদ্রতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করি। নিজেকে বুদ্ধিজীবী ভাবি না। ঐ বয়সটা পার করে এসেছি।

ব্লগার_প্রান্ত

Ashraful Alam Khan Pranto

ব্লগার_প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপনিবেশবাদ 2.0

৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:০১



- আপনি হিটলারকে কেন অপছন্দ করেন?
- সে ইহুদিদের মারছে, ইউরোপ কাপাইছে, দুনিয়াতে যুদ্ধ লাগাইছে।
- ভারতীয়দের আর মুসলমানদের কিছু করছে ?
- হ..ওই দিক দিয়ে ভালো লোক আছিল।
- ভালো লোক ছিল তাহলে অপছন্দ করেন কেন?
- তুমি বাসায় আইসো, তোমার আন্টি তোমার কথা বলছিলো কয়েকদিন আগে।


এভাবেই মানুষ বুঝে না বুঝে একে অপরকে ঘৃণা করে। নিরপরাধ ১ জন ইহুদি যদি হিটলারের নাৎজি পার্টি দিয়ে আক্রান্ত হয় তার নিন্দা করা উচিত। এটা কি মানুষের সহজাত ত্রুটি অথবা ভাবনার ফুসরত মেলেনি তাই বলে ভুলভাল বকে যান, আমার জানা নেই। অপ্রিয় সত্য কথা বললে বা শুনলে ঘৃণার প্রবনতা কখনো কখনো মানুষকে চরম অকৃতজ্ঞ প্রাণীতে পরিণত করে। বুঝার সুবিধার্থে একটা দৃষ্টান্ত দেয়া যাক মহামতি হিটলারকে নিয়ে।




সাহেবরা ভারতীয়দের অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষদের জোঁকের মত চুষেছে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে এই উপমহাদেশ। আমাদের সম্পদ লুটে তারা তৈরি করেছে আধুনিক ইংল্যান্ড। অথচ দেখুন ১৯৪৩ সালের "বেঙ্গল ফেমিন" নিয়ে আমাদের দেশের অনেকের রাজনৈতিক গুরু চার্চিল বলেছিলেন, ভারতীয়রা ইঁদুরের মত বংশবিস্তার করে, তাদের না খেয়ে মরা উচিত। আর ফলশ্রুতিতে চার্চিল সাহেবের কথা অনুযায়ী, বাংলার মানুষ অভুক্ত কুকুরের মতো জীবন যাপন করেছিলো। না খেয়ে বাংলা অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো মরে পড়েছিল রাস্তার মোড়ে মোড়ে। কোনো প্রকার সাহায্য আসেনি এই দুর্ভিক্ষ পীড়িত বাংলায়।





দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা যখন তুঙ্গে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস বুঝেছিলেন বৃটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাই। কারণ এখন তারা দিশেহারা, সঠিক রণকৌশল থাকলে কোটি কোটি ভারতীয় পাবে স্বাধীনতা। যার ফলশ্রুতিতে তার জার্মানি ভ্রমণ, হিটলারের মুখ দর্শনের প্রয়াস এবং ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী যুদ্ধের প্রস্তাবনা।

জল গড়িয়েছে অনেক দূর, আজ আমরা স্বাধীন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাজীর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ হয় ঠিকই, তবে হিটলারকে কেন যেন আমরা মেনে নিতে পারিনা। অথচ হিটলার সাহেবের ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিল ভারতীয়দের জন্য শাপে বর। পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থাতে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এর জন্যই হিটলার সাহেবকে মহামতি বলেছি। ভেবে দেখুন একবার, আপনি যদি এই মুহূর্তে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে হিটলারের পরোক্ষ ভূমিকা সমর্থন করেন, তাহলে একজন স্বাধীনতাকামী। অপরপক্ষে হিটলারের ভূমিকা সমর্থন করে আপনি হয়ে গেছেন একজন মানবতাবিরোধী, কেননা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত পৃথিবীতে আছে হিটলারের প্রত্যক্ষ ভূমিকা।
তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান কি হতে পারে? আর যদি বিতর্ক এড়িয়ে চলেন আপনি কিন্তু অকৃতজ্ঞ মানুষে পরিণত হতে পারেন!

এই কথাগুলোর প্রেক্ষাপট উপনিবেশবাদ। যদি প্রশ্ন করা হয় কেন হিটলার বিরুদ্ধে জনমত সারা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল, অনেক রকম হেন-তেন বা তেনা প্যাচানো উত্তর পাওয়া যায়। বাস্তবতা হলো এই ইউরোপিয়ানরা শোষণ প্রিয় জাতি, একইসাথে উপনিবেশবাদের গুরুজন। নিজ ভূখণ্ডের বাইরে তারা এই সকল অপকর্ম করেছিল। হিটলারই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইউরোপিয়ান হয়ে পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমে ইউরোপে ইউরোপিয়ান উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন।

আমাদের যে শ্বেতাঙ্গ দেবতারা শাসন করতেন, তারা ঠিকই জানতেন আমাদের উপর কোন মন্ত্র পাঠ করে ২০০ বছরের জন্য পরাধীন করা যায়। সেই একই মন্ত্র তাদের উপর কেউ পাঠ করবে এটা কি মেনে নেয়া যায়?





ইতিহাসের ভিন্ন পর্যালোচনা প্রয়োজন। যুদ্ধে পরাজিত হওয়া মানে এই নয় তারা নিকৃষ্ট। বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ মহাকাব্য রচনা করে অন্তত তাই বলার চেষ্টা করেছে। রামের গুণকীর্তন হয় বলে মেঘনাদ এবং রাবনকে নিয়ে ভাবা যাবে না, এরকম কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি?

আমি নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে প্রায়ই বলি, দোষে-গুণে মানুষ। অন্য কেউ বলে কিনা আমার জানা নেই। তবে কেন যেন অন্যের সমালোচনা করতে গেলে দোষে-গুণে মানুষ ব্যাপারটি ভুলে যাই। এটা অন্যদের হয় কিনা তাও আমার জানা নেই। যুগে যুগে ঘটে যাওয়া এইসকল ইতিহাসের নিরপেক্ষ পর্যালোচনা অনেক প্রশ্নের যেমন অবতারণা করে, ঠিক একইভাবে ব্যক্তির অবস্থান কি হওয়া উচিত তা নিয়েও প্রশ্ন-সংশয়ের খেলা খেলে যায়।
হিটলার সাহেবের গুণকীর্তন করার কোন ইচ্ছা আমার নেই। উপরে বর্ণিত ঘটনা গুলো দিয়ে মনের কিছু ভাবনা এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি মাত্র। কেননা, আমি চারপাশে আজ উপনিবেশবাদের প্রেতাত্মা সাম্রাজ্যবাদ আর আদিপত্যবাদ দেখতে পাই, যা ভর করে আছে বাংলাদেশের উপর। কোনোভাবেই নতুন দাসত্বের শিকার হতে চাই না পিতামহদের মতো।



আপাতদৃষ্টিতে উপনিবেশবাদ আমাদের চারপাশে নেই। এরপরও কিছু কথা থেকে যায়, থেকে যায় কিছু সংশয়। কোটি কোটি মানুষের ভালো থাকার স্বপ্নগুলো কোন কারনে আজও বাস্তবায়ন হয়নি পৃথিবীতে। কিছু শব্দ এবং কৌশলের পরিবর্তন হয়ে শোষণের নতুন রূপ জন্ম নিয়েছে। আমরা বুঝে হোক বা না বুঝে হোক অনেক সময় সক্রিয় বা নীরব সমর্থক হিসেবে কাজ করি।

যেমন ধরা যাক আধিপত্যবাদ শব্দটি। এটি উপনিবেশবাদ শব্দটির সমার্থক একটি শব্দ। কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে আরো ভয়াবহ। আমাদের চোখের সামনে সবচেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত প্রতিবেশী দেশ ভারত। আমরা উপমহাদেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাই উপনিবেশবাদের অভিশাপ, আর তাই রক্ত দিয়ে সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা। আজ উপমহাদেশে আপাতদৃষ্টিতে তিনটি স্বাধীন দেশে বিভক্ত (আফগানিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান একসময় অন্তর্ভুক্ত ছিল ভারতবর্ষের সাথে)। তবু দেখা যায় ভারত প্রতিবেশী দেশের উপর ব্রিটিশ পন্থায় উপনিবেশ এবং আমেরিকান কায়দায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কি দোষে দুষ্ট ছেলেতে পরিণত হলো ভারতের পররাষ্ট্রনীতি? অনেকের মতে চাণক্য নীতি, তবে আমার জানা নেই এর উত্তর। প্রতিরোধের সম্মুখীন ভারতকে যখন বেগ পেতে হচ্ছে, ভারতের মতোই একই কৌশলে বন্ধু বেশে তখন হাজির আরেক সম্রাজ্যবাদী চীন। শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন তা, বিশ্ব ব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের দেখানো ভার্সন ২.০। চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি দিনদিনই ভার্সন ডেভলপ করে যাচ্ছে। ঋণের ফাঁদে ফেলে শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দর কে নিজেদের করে নিল ৯৯ বছরের জন্য, শুধু তাই নয় রাজনৈতিক মারপ্যাচে বদলে দিয়েছে শ্রীলংকার ক্ষমতাসীন দলকে। রাখাইন রাজ্যে সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করার জন্য চুক্তি করে চীন-মায়ানমার সরকার, তাতেও আছে শোষণের হাতিয়ার, লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা আজ তাই ভূমিহীন উদ্বাস্তু।

বাংলাদেশ সরকার বারবার যখন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় আন্তর্জাতিক মহলে, তাতে বিরক্ত হয় চীন। এই বিরক্তি প্রকাশ লক্ষ লক্ষ মানুষের ভবিষ্যৎ করেছে অনিশ্চিত। যারা বাম রাজনীতির মতাদর্শ সম্পর্কে আমার মতো খুব সামান্য ওয়াকিবহাল আছেন, তারা জানেন বাম রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য, জনগণের অধিকার নিশ্চিত। তবে চীন কোন ধরনের বামপন্থী দল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এ ব্যাপারে বাম ঘরনার লোকজন ভালো বলতে পারবেন।




ফরাসিদের হাত আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের লাল রক্তে রঞ্জিত, এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে আফ্রিকা। তবে ব্যবসায়িক চীন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকাতে। তারা একদিন আফ্রিকানদের হাতে সোনালী শেকল পরাবে, আজ নয়তো কাল, ইতিহাস অন্তত তাই বলে। একই সাথে এটি নিশ্চিত, ইউরোপ মুক্তি পাবে না চীনের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল থেকে।

এখনই আমাদের মুক্তির উপায় খোঁজা উচিত। কেননা বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু হিসেবে বিবেচিত ভারত এবং চীন। উভয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো ব্যবসায়িক হাত বাড়িয়ে আমাদের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব হরণের নীল নকশা করে যাচ্ছে। বছরের পরিক্রমায় তাদের মত বন্ধু থাকলে শত্রুর প্রয়োজন হয় না এটা প্রমাণিত। দাসত্ব বরণ করে মুক্তির জন্য আস্ফালন ঠিক নয়। যদিও আমরা ইতিমধ্যে মানসিক দাসত্ব গ্রহণ করেছি। উদাহরণস্বরূপ, আমরা কমবেশি একমত, আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি মানবতাবিরোধী, তাদের সামাজিক অস্থিতিশীলতা তাদের উন্নতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা দেয়। তৃতীয় বিশ্বে অবস্থান করা আমার মত সাধারন মানুষ ডলারের লোভে স্বপ্নে দিন গুজার করে, অর্থনৈতিক মুক্তি কামনা করে ব্যাংক ভর্তি ডলার দিয়ে। আমেরিকা এই জায়গাতে এতটা সফল যে, হাজারো বিপ্লবীকে তারা নপংসুকে পরিণত করেছে। সেই একই পথ অনুসরণ করছে চীন এবং ভারত। তাই হিটলার-মুসোলিনি ঘৃণার পাত্র হলেও আমেরিকা চীন এবং প্রতিবেশী ভারতের সরকারপ্রধানরা আমাদের কাছে এতটা ঘৃণিত নয়। দেশে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে একিভাবে হাতের মুঠোয় নিয়েছে চীন। সস্তা দরে জিনিসপত্র ক্রয় করে চৈনিক গুণগান করে যখন আমরা দুই টাকা সঞ্চয় করি তখন মনের অবচেতনে সেই দাসত্বের সাথে মধুর আলিঙ্গন হয় আমাদের, যেমন আলিঙ্গন হয় ভারতীয় সিনেমা, গান এবং নায়ক-নায়িকাদের জীবনাচরণ দেখে।

একার ভালো থাকার যে প্রবণতা, তা বস্তুবাদের অভিশাপ। আর এই অভিশাপ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ সামষ্টিক উন্নয়নের ভাবনায় রয়েছে। যেমন করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল সামষ্টিক ভালো থাকার স্বপ্ন। আজকের ত্যাগ আমাদের আগামী দিনগুলোতে ভালো রাখবে তাতে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। আর এই আশাকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম হাতিয়ার বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবনা। জনগণের এই মানসিক পরিবর্তন খুলে দিতে পারে অনেক সম্ভাবনার দুয়ার। নতুন দিনের আশায় তরুণদের অগ্রগামী ভূমিকার প্রত্যাশা নিয়ে আজকের মতো এখানেই বিদায়।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিক আছে।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জ্বী

২| ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: আমাদের একা ভালো থাকার প্রবনতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, তাই আপাতত অর্থনৈতিক উপনিবেশবাদ থেকে মুক্তি নেই।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত শের ভাই। অর্থনৈতিক উপনিবেশ আগামী দিনগুলোর অন্যতম বড় সমস্যা হতে চলেছে বলে ধারণা করি।
আপনার জন্য শুভকামনা। ওপেনহাইমার পার্ট টু টার অপেক্ষায় আছি।

৩| ৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাজীর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ হয় ঠিকই, তবে হিটলারকে কেন যেন আমরা মেনে নিতে পারিনা। অথচ হিটলার সাহেবের ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিল ভারতীয়দের জন্য শাপে বর। পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থাতে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এর জন্যই হিটলার সাহেবকে মহামতি বলেছি। ভেবে দেখুন একবার, আপনি যদি এই মুহূর্তে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে হিটলারের পরোক্ষ ভূমিকা সমর্থন করেন, তাহলে একজন স্বাধীনতাকামী। অপরপক্ষে হিটলারের ভূমিকা সমর্থন করে আপনি হয়ে গেছেন একজন মানবতাবিরোধী, কেননা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত পৃথিবীতে আছে হিটলারের প্রত্যক্ষ ভূমিকা।
তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান কি হতে পারে? আর যদি বিতর্ক এড়িয়ে চলেন আপনি কিন্তু অকৃতজ্ঞ মানুষে পরিণত হতে পারেন।

---

My enemy's eneymy is my friend এই জাতীয় সুযোগসন্ধানী চিন্তাভাবনা আরব বার্বারিয়ান বেদুইন এবং সুপ্রেমিস্ট আদর্শের সাথে মানায়।আমি এবং আমার শত্রু একই জঙ্গলে আছি।বিষাক্ত সাপ আমার শত্রুকে কামড় দিয়ে মেরে ফেলল।এতে ঐ সাপের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার কোন কারণ নেই।সে আমাকেও কামড়াতে পারতো।হিটলার হলো সেই বিষাক্ত সাপ।হিটলারের জার্মান বাহিনী কলকাতাতেও বোমা ফেলেছে।জাপান বার্মা দিয়ে বাংলায় ঢোকার চেষ্টা করেছে।তারা ঢুকতে পারলে কি হতো বলে আপনার মনে হয়?নানকিন ম্যাসাকারের কথা কি মনে আছে?নেতাজী হিটলারের কাছে গিয়েছিলেন মানে এই না তিনি হিটলারের কাজকে সমর্থন।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: My enemy's enemy is my friend
- নিরপরাধ ১ জন ইহুদি যদি হিটলারের নাৎজি পার্টি দিয়ে আক্রান্ত হয় তার নিন্দা করা উচিত।
- হিটলার সাহেবের গুণকীর্তন করার কোন ইচ্ছা আমার নেই। উপরে বর্ণিত ঘটনা গুলো দিয়ে মনের কিছু ভাবনা এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি মাত্র।

হিটলারের জার্মান বাহিনী কলকাতাতেও বোমা ফেলেছে
- ইহা ব্রিটিশ রাজের রাজধানীতে আক্রমন, নেতাজির ঘরে নয়।

জাপান বার্মা দিয়ে বাংলায় ঢোকার চেষ্টা করেছে।
- ব্রিটিশদের উপনিবেশে ঢুকে নানকিং ম্যাসাকারের মতো কিছু জাপান করতে পারতো কিনা, তা সন্দেহাতীত ভাবে প্রশ্নের বিষয়। কেননা, চীনের সাথে জাপানের সরাসরি ঐতিহ্যগত সংঘাত ছিলো।
সাইডনোট: আমার জানা মতে বার্মায় নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ জাপান সমর্থিত, ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি ছিলো।

নেতাজী হিটলারের কাছে গিয়েছিলেন মানে এই না তিনি হিটলারের কাজকে সমর্থন।
- নেতাজীকি গান্ধীর অহিংসা মতবাদের সাথে একমত ছিলেন? যদি দয়া করে বলতেন উপকার হতো। এব্যপারে জানার আমার অনেক আগ্রহ ছিলো।

৪| ৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: হিটলার মুসলমানদের মারেনি এ কথাটাও সত্যি না।তবে আপনার বাকি কথার সাথে একমত।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রথমত ধন্যবাদ, সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্য।

পোষ্টে, ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের তুলনা করা হয়েছে, জাতিগত নিধন প্রসঙ্গে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লাখো খ্রিস্টানো প্রাণ দিয়েছেন।
আমার কথোপকথনটি, সাধারণ মানুষের ইতিহাস ভাবনা জানার একটি প্রয়াস ছিলো। আশা করি আপনি, বুঝতে পেরেছেন আমি কি বোঝাতে চেয়েছি।
ধন্যবাদ।

৫| ৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




বই পড়ে যদি এসব বিষয়ে পোষ্ট লেখা যেতো, সামুতে ২ লাখ ব্লগার থাকতেন।

৬| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এত এত বিষয় এসেছে পোষ্টে কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: হা হা হা। ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

৭| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ২:১০

কল্পদ্রুম বলেছেন: 'নিরপরাধ ১ জন ইহুদি যদি হিটলারের নাৎজি পার্টি দিয়ে আক্রান্ত হয় তার নিন্দা করা উচিত।'

আপনার কল্পিত চাচা বলতে পারতেন সে কারণেই হিটলারকে অপছন্দ করেন।আর একটি কথা। 'যদি' কথাটা তখনই আসে যখন সন্দেহ থাকে।নিরপরাধ ইহুদি আক্রান্ত হয়েছে কি না এটা নিয়ে আপনার সন্দেহ আছে?আমি ধরে নিচ্ছি নেই।সম্ভবত ভাষার দূর্বলতার কারণে এরকমটা লিখেছেন।

'ব্রিটিশদের উপনিবেশে ঢুকে নানকিং ম্যাসাকারের মতো কিছু জাপান করতে পারতো কিনা, তা সন্দেহাতীত ভাবে প্রশ্নের বিষয়। কেননা, চীনের সাথে জাপানের সরাসরি ঐতিহ্যগত সংঘাত ছিলো। 
সাইডনোট: আমার জানা মতে বার্মায় নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ জাপান সমর্থিত, ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি ছিলো।'


সন্দেহজনকভাবে প্রশ্ন করলেও হতো! যাই হোক। নানকিং ম্যাসাকারের মত কাজ কেবল ঐতিহ্যের সংঘাতের অজুহাতে করা সম্ভব না।এটা নিয়ে পড়বেন।সরাসরি অংশ নেওয়া জাপানিজ সৈন্যের ইন্টারভিউ দেখবেন।তখন সন্দেহ তৈরি হবে।সাইড নোটটা ঠিকই।কিন্তু বোঝার ভুল।বার্মায় মিত্র শক্তিই জাপানকে থামিয়েছিলো।চট্টগ্রামের ওয়ার সিমেট্রি তার স্বাক্ষী।


নেতাজী হিটলারের কাছে গিয়েছিলেন মানে এই না তিনি হিটলারের কাজকে সমর্থন।
- নেতাজীকি গান্ধীর অহিংসা মতবাদের সাথে একমত ছিলেন? যদি দয়া করে বলতেন উপকার হতো। এব্যপারে জানার আমার অনেক আগ্রহ ছিলো।

এইখানে গান্ধীজীকে এনে ফেললেন! হিটলারের 'কাজ' অর্থ হিটলারের গণহত্যা এবং আর্যনীতির কথা বুঝিয়ে ছিলাম।

ভালো থাকবেন।আরো বেশি পড়বেন ও চিন্তা করবেন।আমার কথাগুলো না।নিজের লেখা বিষয়গুলো আর একবার ভাববেন।

০১ লা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: নিরপরাধ ইহুদি আক্রান্ত হয়েছে কি না এটা নিয়ে আপনার সন্দেহ আছে?আমি ধরে নিচ্ছি নেই।সম্ভবত ভাষার দূর্বলতার কারণে এরকমটা লিখেছেন। আমার আর্গুমেন্ট করার ওয়েটা আপনার কাছে পরিস্কার করতে না পারার জন্য দুঃখিত। আপনারা ৬০ লক্ষ নিরপরাধ ইহুদীকে মেরে ফেলার জন্য অপেক্ষা করেছেন, আর আমি একজন নিরীহ ইহুদীর জন্য অপেক্ষা করেছি। আশা করি পরিস্কার হয়েছেন।
'যদি' কথাটা তখনই আসে যখন সন্দেহ থাকে।
আমাদের বইয়ে যখন প্রোগ্রামিং শেখানো হয় তখন যে, ইফ এলস আর্গুমেন্টগুলো ব্যবহার করা হয়, সেখানে একটা আন্ডারস্যান্ডিংকে সন্দেহ বিবেচনা করা হয়না। আমার আর আপনার প্রবলেম সলভিং এপরোচ ভিন্ন, তাই আপনার মস্তিষ্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য দুঃখিত।



নানকিং ম্যাসাকারের মত কাজ কেবল ঐতিহ্যের সংঘাতের অজুহাতে করা সম্ভব না।এটা নিয়ে পড়বেন।
সাইনো জাপান ওয়ারে সাংহাই এর পতনের পর, নাংকিং দখলের জন্য যখন ইমপেরিয়াল আর্মি অগ্রসর হচ্ছিলো, তখন নাংকিংকে পুরোপুরি অরক্ষিত রেখে চাইনিজ সোলজারদের একটি বড় অংশকে সড়িয়ে দেয়া হয়। এটা নাংকিং গনহত্যার ভয়াবহতার আরেকটা কারণ।
তবে, আরেকটা ব্যপার জানেন নিশ্চয়ই যে, নাংকিং গনহত্যা মহাভারতের মতো কোন কিছু নয়। এখনো এটা নিয়ে তর্ক হচ্ছে, অনেকে এর ভয়াবহ গ্লোরোফিকেশনকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে দেখেন। কিন্তু তাও আমি এটার প্রতিবাদ করি, কারণ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যেটা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়!!



তবে আপনি আমাকে ওয়ার ট্যাকটিক নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, বাংলায় জাপানি বাহিনীর নানকিং মডেলের ম্যাসাকার প্রসঙ্গে
এখানে আমি আপনাকে এক কথায় রেসপন্স করেছিলাম, এখন একটু ব্রড করছি---

১< জাপান এখানে বাঙালি নিধনের জন্য আসছিলো না। ব্রিটিশ নিধনের জন্য আসছিলো। নাংকিং গনহত্যা, একটি চলমান আ্ঞ্চলিক যুদ্ধের ফসল, এর সাথে বাঙ্গালিদের একই কায়দায় আক্রমনের যৌক্তিকতা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। সবচেয়ে বড় কথা, নাংকিং চীনের উপনিবেশ রাজধানী ছিলোনা, মূল রাজধানী ছিলো।

২< জাপানিজরা এতটা বোকা নয় আমার আপনার মতো যে, তারা জানেনা, "ব্রিটিশদের কাছে সিভিলিয়ান ভারতীদের পাঁচ পয়সার মূল্য নেই।" সুতরাং পাইকারি দরে ভারতীয় মেরে যে, ব্রিটিশ শক্তির পশমটাও ফেলা যাবে না এটা তারা জানতেন আশা করি।

৩< নাগাল্যান্ডে জাপানি যোদ্ধাদের যে নাগারা শ্রদ্ধা এবং সাহায্যের দৃষ্টিতে দেখেছিলো, সেটিকে আপনি কিভাবে দেখেন?স্বাধীনতাকামী নাগারা এটা স্পষ্টতই অনুভব করেছিলো, কে বড় শত্রু আর কে বড় মিত্র।
জাপান সেই সম্মানের প্রতিদানে, আজও অর্থনৈতিক প্রনোদনা দিয়ে চলেছে ভারতের নাগাল্যান্ডে।
আপনার কি মনে হয়, বাঙ্গালিরা জাপানি সোলজারদের হাতে হাত মিলিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেও তারা আমাদের অত্যাচার করতো? আমার মনে হয়না।


সাইড নোটটা ঠিকই।কিন্তু বোঝার ভুল।বার্মায় মিত্র শক্তিই জাপানকে থামিয়েছিলো।চট্টগ্রামের ওয়ার সিমেট্রি তার স্বাক্ষী। দুঃখিত আপনার বাক্যব্যয়ে আমার কাছে কিছুই পরিষ্কার হলো না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির জয়কে আপনি সেলেব্রেট করতে পারলেও আমি পারিনা। মিত্র শক্তি তথা ইংরেজদের করা নোংরা মানচিত্র যেভাবে লাখো মানুষকে উদ্বাস্তু করেছে, মাইগ্রেট করতে গিয়ে হাজারো মানুষ যেভাবে পথে মারা পড়েছে, সেটা আমি মানতে পারিনা। যদিও সেটি ভিন্ন আলাপ।
আমি ইতিহাসের নিরপেক্ষ সমালোচনা করতে এবং জানতে চাই।

এইখানে গান্ধীজীকে এনে ফেললেন! হিটলারের 'কাজ' অর্থ হিটলারের গণহত্যা এবং আর্যনীতির কথা বুঝিয়ে ছিলাম।
আর আমি আপনাকে বুঝিয়েছি, যুদ্ধ এতটাই নির্মম যে, নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য আপনি অন্য যেকোন কাপুরুষ কিংবা নরশয়তানের সাথে হাত মেলাতে আপত্তি করবেন না!
যেটা হয়তো আমাদের সবার ভালোর জন্য নেতাজী করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আপনার মতো অনেকেই সেটা স্বীকার করেন না। বার্লিনে কাদের টাকায় নেতাজি ফ্রি ইন্ডিয়া রেডিও সম্প্রচার করতেন??
নেতাজি জার্মানি থেকে সুমাত্রা পর্যন্ত আসতে যে দুই সাবমেরিন ব্যবহার করেছিলেন, সেসব কাদের সাবমেরিন??

আমি বিশ্বাস করি, আর পাঁচজন গড়পড়তা নাগরিকের চেয়ে আমি বেশি মানবিক, আমি কাউকে ডিফেন্ড করছিনা এই লেখায়, হিটলারকে তো প্রশ্নই আসেনা। তবে দুধে ধোয়া আমেরিকা ব্রিটেনকে আপনার সমাজ যেভাবে কয়েকযুগ ধরে পূজা করে যাচ্ছে তাতে অবাক হচ্ছি।

ভালো থাকবেন। আরো বেশি পড়বেন ও চিন্তা করবেন। আমার কথাগুলো না। নিজের বলা বিষয়গুলো আর একবার ভাববেন।


৮| ০১ লা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: ভালো থাকবেন। আরো বেশি পড়বেন ও চিন্তা করবেন। আমার কথাগুলো না। নিজের বলা বিষয়গুলো আর একবার ভাববেন।


জি ভাইয়া।সেটাই করছি।আপনি অনেক কিছু জেনে ফেলেছেন এবং অনেক চিন্তা ইতোমধ্যে করে ফেলেছেন তা দেখে ভালো লাগছে।আপনাকে উপদেশটা দিয়ে খুবই অনুতপ্ত বোধ করছি।

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ২:৩৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আসলে এত বড় একটা রিপ্লাই দেয়ার পর, কিভাবে কথা শেষ করা যায় মাথায় আসছিলো না। তারউপর বিগত সাত মাস ধরে কাউকে উপদেশ দেয়া থেকে বিরত আছি, তাই আপনার শেষটাই কপিপেস্ট করলাম।
দয়া করে কিছু মনে করবেন না। আপনার সাথে সামনা সামনি আলাপ হলে, এই তর্কগুলোই হয়তো চায়ের কাপে, হাসিমুখে হতো। সাইবার স্পেস জায়গাটাই এমন..।

আর আমি যে বিশেষ কিছু জেনে ফেলি নাই, তার উত্তরটা ব্লগেই আছে :#)
নিজের ক্ষুদ্রতা এবং জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করি

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা। শুভরাত্রি।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১১

শায়মা বলেছেন: বাপরে! জেন জি পিচ্চুভাইয়া! এত কিছু চিন্তা করে!!!

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: :#)আমার আসলে চিন্তা ভাবনার বাইরে অন্য কার্যকলাপ কম হয়।
আমি আর আমার বড় ভাইয়া মিলে এই লেখাটি এবং মন্তব্যগুলো লিখেছি, (এই রিপ্লাইটা অবশ্য আমি লিখেছি)। আপনি চাইলে আমার অন্য লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন, এইটা আসলে আমার মৌলিক কিছুনা।

আপনি যদি সত্যি গবেষণা করতে চান, এবং আমি যদি কোন ভাবে আপনার কাজে আসতে পারি আমাকে জানাতে পারেন। আমিও চাই, ঝেনঝি দের নিয়ে গবেষণা হোক। আমি নিজেও একটি সার্ভে করার প্ল্যান করছিলাম, সাইকোলজি আর আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর উপর। কিছু ব্যাপারে ক্লিয়ার হওয়ার জন্য, যেটা হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের কারিকুলাম তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রজেক্টটা আপাতত ইনফেন্সিতে আছে, আমরা ভাবছি ব্যপারটা নিয়ে। এখনো কোন অ্যাকাডেমিক বা স্কলারদের সাথে বসা হয়নাই যদিও, কোভিড এর কারনে।

আমি আপনার গবেষণায় যেকোন প্রকার সাহায্য করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।


https://www.somewhereinblog.net/blog/abcd11/30251023
আমি সামুতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শেয়ার করিনি, তবে কিভাবে জানি আমার এই লেখাটা ১১০০+ বার দেখা হয়ে গেছে। এটা দেখতে পারেন :)
ধন্যবাদ, খোঁজ নেয়ার জন্য।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৯

শায়মা বলেছেন: হা হা না না আমি তেমন কিছু গবেষনা করছি না ভাইয়া। আমি আসলে আমাদের স্কুলের ট্রেইনিং থেকে জেন জি দের ব্যাপারে তাদের পড়ানোর স্টাইল এসব নিয়ে জেনেছিলাম। তখন ভাবলাম জানবোই যখন আরও ভালো করেই একটু জানার চেষ্টা করি।

তুমি কোন সাবজেক্টে পড়ছো?

আমি অবশ্যই তোমাকে জানাবো কখনও দরকার হলে।

আর তোমার পোস্টটাও পড়বো। :)

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপু,
আমার এ বছর HSC দেয়ার কথা ছিলো, কিন্তু কোভিড সেটা আপাতত অফ করে দিয়েছে।

আমি এমনিতে বিজ্ঞানের ছাত্র।
যদি ডিগ্রি নেই, তবে ইচ্ছা ছিলো ফিজিক্স, এবং পড়ে ইকোনোমিকস এর উপর নিবো,,,, (তবে দেশে ভালো ফিজিক্স পড়ার ইউনি নাই :( )
আমি এমনিতে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ছি এখন, ওটাতেই কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
তাছাড়া নিজে এখন দুইটা স্টার্ট আপ এর সাথে জড়িত, তাই আমার চাকরি বা কর্পোরেট কিছুর প্ল্যান আপাতত নেই। বাসা থেকেও সাপোর্ট পাচ্ছি, তাই সামনে যে কি করতে কি করি, ঠিক নেই B:-/

দোয়া দিয়েন আপু, আপনার জন্য শুভকামনা!
অনেক ভালো থাকুন, সবাইকে নিয়ে। ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৪

স্থিতধী বলেছেন: আপনার কি ডঃ সলিমুল্লাহ খানের লেকচার শোনা বা তাঁর লেখা পড়া হয়?

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: শুনতাম একসময়। তবে নিয়মিত নয়।
আমার চমস্কির প্রতি দূর্বলতা আছে।
ধন্যবাদ।

১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১২

স্থিতধী বলেছেন: 'শুনতাম একসময়। তবে নিয়মিত নয়।
আমার চমস্কির প্রতি দূর্বলতা আছে।'


হুমম, আমি সেটাই ভাবছিলাম। হিটলারের ইউরোপে ইউরোপিয়ান উপনিবেশ তৈরির কথাটি সচরাচর তিনি ই বলেন বাংলাদেশে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.