নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়ি এবং নিজের ক্ষুদ্রতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করি। নিজেকে বুদ্ধিজীবী ভাবি না। ঐ বয়সটা পার করে এসেছি।

ব্লগার_প্রান্ত

Ashraful Alam Khan Pranto

ব্লগার_প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দি বার্নিং মংক

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬



জুন, ১৯৬৩।
অল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র পৃথিবীতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে একটি ছবি।
দক্ষিণ ভিয়েতনামে ধর্মীয় গুরু Thích Quảng Đức আমেরিকা সমর্থিত দুঃশাসক ডিং ডিয়েমের কালো নীতির প্রতিবাদে আত্নাহুতি করেছেন। পুলিৎজার জয়ী ফোটোগ্রাফার ম্যালকম ব্রাউনির তোলা এই ছবিটি দেখে তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি বলেছিলেন,"No news picture in history has generated so much emotion around the world as that one."

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ ভিয়েতনামে প্রেসিডেন্ট ডিং ডিয়েমের নেতৃত্বে সুদীর্ঘ সময় নিপীড়নের স্বীকার হয়েছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। খ্রিষ্ট এবং বৌদ্ধ ধর্মানুসারীদের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য তৈরি করেন ক্যাথলিক ডিং ডিয়েম। ইতিহাসের সেই অন্ধকার সময়টি আজো চিহ্নিত হয়ে আছে Buddhist crisis নামে।

ধর্মীয় গুরু Thích Quảng Đức এর আত্নাহুতি যতটা না তাৎপর্যপূর্ণ তার চেয়ে বেশি আধ্যাত্মিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ১০ মিনিট পেট্রোলের আগুনে জ্বলা Thích Quảng Đức এক মুহুর্তের জন্যও নিজের পদ্মাসন থেকে নড়েননি।

"আমার দৃষ্টির নির্বাণ এবং বুদ্ধের দৃষ্টি লাভের আগে, আমি বিনয়ের সাথে প্রেসিডেন্ট ডিং ডিয়েমের কাছে মিনতি করি যাতে তিনি দেশবাসীর প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং আমাদের দেশের স্বার্থে ধর্মীয় সমতা নিশ্চিত করেন। আত্নত্যাগের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মকে রক্ষার জন্য আমি প্রবীণ, ভক্তিভাজন, সংঘের সদস্য এবং সাধারণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বনকারীদের সংহতির আহ্বান জানাচ্ছি।"

স্বজাতিকে উদ্দেশ্য করে Thích Quảng Đức এর শেষ চিঠিই চূড়ান্ত পতন ডেকে এনেছিলো প্রেসিডেন্ট ডিং ডিয়েমের। এই মহান ধর্মীয় গুরুর মৃত্যুর পর পুরোপুরি ধর্মীয় সহিংসতা শুরু করেন ডিং ডিয়েম। পরবর্তীতে আমেরিকার হাতেই এই অজ্ঞ প্রেসিডেন্ট নিহত হন ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে।

©ইতিহাসনামা

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লাগল

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। শুভকামনা।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আজকের ভিয়েত্নাম দেখলে অবাক হতে হয়। করোনাতে তারা জয়ী হয়েছে বলা যায়। এটাই সুশাসনের নমুনা।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার সাথে একমত। যেকোন জাতির জন্যই সুশাসন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অজানা ইতিহাস জানা হল।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লাইক এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: কোনো কিছু অর্জন করতে হলে চুড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। এই ঘটনা তারই উদাহরণ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সঠিক বলেছেন আখেনাটেন ভাই। ত্যাগ ছাড়া দুঃশাসক দূর করা যায় না।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যুগে যুগে আম্রিকা দেশে দেশে সমস্যার আগুন তৈরী করেছে। আবার প্রতিকূলতা দেখে সেই সমস্যায় নিজেরাই পানি ঢেলেছে। বাংলায় একে বলে, সর্প হইয়া দংশন করে, ওঝা হইয়া ঝাড়ে!!! =p~

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এই ছবিটার জন্য আমেরিকা পরবর্তীতে ভিয়েতনামে তাদের অনেক নীতি বুঝে শুনে নেয়।
গণচীন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই ছবিটার লক্ষ লক্ষ কপি বিতরণ করে আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদীতার স্বরূপ বোঝাতে।

আমেরিকা আর ভারতের মতো বন্ধু থাকলে শত্রুর দরকার নেই :)

ধন্যবাদ ভাই।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভিয়েতনাম বাঁশ দিয়ে ছিলো আমেরিকাকে আর আমরা দিয়ে ছিলাম পাকিস্তান কে মিল আছে ।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: একমত। দুই দেশেই ভালো বাঁশ হয় যতসম্ভব :)

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জ্বী ভাই :(

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

আমি সাজিদ বলেছেন: মংকের মানসিক শক্তি কতোটা তীব্র? পদ্মাসন থেকে একটুও সরলেন না অথচ গায়ে দাউ দাউ আগুন জ্বলে যাচ্ছে। এটা নিয়ে অন্য প্রসঙ্গে বলি, সাধনা দিয়ে ইন্দ্রিয়কেও জয় করে জিতেন্দ্রিয় হওয়া যায়

আগের কমেন্টটা ডিলেট করে দিবেন। অজেয় শব্দটি ভুলভাবে ব্যবহার করেছি।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এই ছবিটার এই দিকটা খুব কম মানুষই ভেবে দেখেছেন বলে বিশ্বাস করি। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর শব্দচয়নের জন্য।

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: গেল শতকের মধ্যভাগে গণযোগাযোগ যথেষ্ঠ মসৃণ ছিলো না, তবুও এই ছবিটা ওই সময় বিশ্বময় পরিচিতি পেয়েছিলো। এই মং এর আত্মত্যাগের ফলই হয়তো এখনকার সত্যিকার উন্নয়নমূখী ভিয়েতনাম।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এই ছবিটি নিঃসন্দেহে মানবইতিহাসের ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ ছবির মধ্যে একটি।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বী ভাই

আনন্দময় একটা পৃথিবী কি কোনো দিন পাবো না?

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বৈজ্ঞানিক এবং অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আনন্দময় একটা পৃথিবীর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এককথায় ভয়ঙ্কর সুন্দর ছবিটি। ভাবা যায়!! 10 মিনিট উনি ওভাবে বসে রইলেন।
শুভকামনা রইল।
অফটপিক:-ইদানিং তুমি আমার পোস্টে আসছো না কেন?

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ছবিটি আমার কাছেও তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি ব্লগে প্রচন্ড অনিয়মিত ভাই। কালেভদ্রে পোস্ট পড়া হয়। আমি অধিকাংশ সময় ব্লগ একটা ট্যাবে ওপেন করে অন্য কাজ করি। আপনার রিপোস্ট চোখে পড়েছে, ইনশাআল্লাহ আপনার আগামী লেখাগুলো পড়বো। নিরন্তর শুভকামনা।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

জুন বলেছেন: কিন্ত প্রান্ত মিয়ানমারে বৌদ্ধ সন্যাসীরা যে কি আরাম আর বিলাসিতার মধ্যে আছে চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না । তবে আমেরিকার বিলাসিতার সাথে তুলনা নয় , মিয়ানমারে যেখানে সাধারন মানুষ দু বেলা দু মুঠো ভাত যোগাড় করতে হিম শিম খাচ্ছে ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মিয়ানমার দেশটা সম্পর্কে আমি অবিশ্বাস্য রকমের কম জানি। তবে এটা জানি ওখানে উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আছে। আর অর্থ এবং জাগতিক সুখ ব্যতীত কোন মানুষের উগ্রতাই বেশিদিন থাকে না। সুতরাং তারা যে ভয়ংকর সুখ বিলাসে আছে এটা বিশ্বাস করে নিলাম আপু।

কৌতুহল থেকে একটা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করি, আপনি বিশ্বের কয়টি দেশে ভ্রমণ করেছেন আপু?

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬

জুন বলেছেন: বেশি না ১২ টার মত হবে প্রান্ত :)
মিয়ানমারে আমি নিজের চোখে মংকদের ফুটানি দেখে এসেছি। তারা তাদের বিখ্যাত স্বর্ন মন্দির শডেগনে বসে মোবাইল হাতে সানগ্লাস পরে বিভিন্ন ভংগিমায় ছবি তুলছে। এই দৃশ্য আর কোন বুদ্ধিষ্ট দেশে দেখিনি।
আর রাখাইনে তো বেশিরভাগই ভয়ংকর। জীব হত্যা মহাপাপ বলে তাদের ধর্মে মাছ মাংস খায় না আর বার্মিজ বৌদ্ধরা মানুষ হত্যা করে অনায়াসে। তারা যে কি নৃশংস তার প্রমান থাইল্যান্ডের আয়ুথিয়া। জাকজমক আর গৌরবময় সেই রাজ্য বার্মিজ সৈন্যরা জালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। আরো আশ্চর্যের বিষয় যে বূদ্ধ ধর্মাবলম্বী হয়েও তারা সেখানে প্রতিষ্ঠিত অগনিত বুদ্ধের মুর্তির মাথা কেটে ধ্বংস করে দেয়। একই ধর্মের হয়ে তারা তাদেরই ধর্ম প্রবর্তকের অমর্যাদা করে কি করে এটাই আমি ভাবি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ১২টা দেশ!! আমি তো ১২ টা বিভাগেও যাইনি এখনো।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য যাতে সামনে আরো ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়।

শুনেছি পৃথিবীর দেশে দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে অনেক প্রভেদ আছে। তবে সহিংসতা কখনোই কাম্য নয়।
থাইল্যান্ডের ঘটনাটা জানতাম না, তবে থাইল্যান্ডের কুখ্যাত টাইগার টেম্পলের কথা পড়েছি;
সেখানের ভিক্ষুদের কর্মকান্ডও আমাকে ব্যথিত করেছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.