নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চন্দ্রবিনদু

চন্দ্রবিনদু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদ ভবন এলাকায় লাঠি মিছিল ও ধাওয়া : ওরা কি আইনের ঊর্ধ্বে?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

সাধারণত আন্দোলন কর্মসূচি সফল

করতে রাস্তায়

নামে আন্দোলকারীরাই। পুলিশ তাদের

নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট থাকে।

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের

বাধা না দেয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু

শেখ হাসিনার দিন বদলের সরকার

বাংলাদেশে অনেক কিছুই

বদলে দিয়েছে। বিরোধী দলের সভা-

সমাবেশ-মিছিল বানচাল হয়ে যায়

পুলিশি হামলায়। মানববন্ধনও বাদ যায়

না। চলতি হরতালের সময়ও

বিরোধী দলের নিরস্ত্র শান্তিপূর্ণ

মিছিল পণ্ড

হতে দেখা গেছে পুলিশি হামলায়।

এসময় তাদের পাশেই লাঠি ও দেশীয়

অস্ত্র হাতে দেখা গেছে শাসক দলের

ক্যাডারদের। ওরাও পুলিশের

পাশাপাশি ঝাঁপিয়ে পড়ে বিরোধীদের

ওপর। ওদের বিরুদ্ধে পুলিশ

কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় না।

এটা যে কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার

পরিচয় নয়, সেটা না বললেও চলে। তার

পরও আওয়ামী গণতন্ত্রে এটাই

স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। সরকার

দলীয়দের ক্ষেত্রে আইনের চোখ বন্ধ

থাকে। হাত থাকে গোটানো।

সংসদ ভবন এলাকাতেও একই ঘটনার

পুনরাবৃত্তি দেখা গেছে। ৬০

ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে সংসদ

ভবন এলাকায় বিএনপির সংসদ

সদস্যরা মিছিল করে ফেরার পথে সরকার

দলীয় মহিলা সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে যুব

মহিলা লীগের হামলার শিকার হন।

বিএনপি সংসদ সদস্যরা দ্রুত সরে যাওয়ায়

পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি। কর্তব্যরত

পুলিশ হামলাকাীদের সরিয়ে দিতেও

বাধার মুখে পড়ে। যুব মহিলা লীগের

উত্তেজিত নেতাকর্মীদের

বাগে আনতে বেশ জোর খাটাতে হয়

তাদের। সরকার দলীয় দুই মহিলা সংসদ

সদস্যের নেতৃত্বে যুব মহিলা লীগের

অর্ধশতাধিক

নেতাকর্মী লাঠি উঁচিয়ে সংসদ ভবন

চত্বরে প্রবেশ করে এই হামলার

অপচেষ্টা চালায় বলে পত্রিকায়

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।

পরে বিরোধী দলের নেতা ও তার

ছেলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

এই একটি ঘটনাই দেশবাসীর চোখে আঙুল

দিয়ে দেখিয়ে দেয় দুঃশাসন

কতটা জেঁকে বসেছে। একজন সংসদ সদস্য,

যিনি আইন প্রণেতাও বটে, তিনিই

যদি দলবলে লাঠি হাতে হামলা চালান

প্রতিপক্ষ সংসদ সদস্যদের ওপর তবে আর

বাকি থাকে কী? আইনের শাসন, সুশাসন,

গণতন্ত্র সবই যে এখন সরকার দলীয়দের

মুখোরোচক কথা; সেটা বুঝতে কি আর

বাকি থাকে? এ অবস্থায় আইন

প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও

যে চাকরি বাঁচাতে খাপ খাইয়ে চলাই

বুদ্ধিমানের কাজ মনে করছে, সেটাও

দেখা গেছে। বিরোধী দলের সভা-

মিছিল এমনকি গার্মেন্ট শ্রমিকদের

মজুরি-ভাতার

দাবি তোলা মিছিলে পুলিশ যখন

উন্মত্তের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন

সরকার দলের লাঠি ছিল বন্ধ। তারা কতই

না শান্ত-সুবোধ বালকের

ভূমিকা রেখেছে। আইন ভঙ্গ করে সংসদ

ভবনের মতো এলাকায়

যারা লাঠি হাতে হামলা করতে গিয়েছিল

তাদের

বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে এখন

পর্যন্ত শোনা যায়নি। অথচ

হামরাকারীদের নেতাদের নাম-পরিচয়

সবই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।

তাহরে ক্ষমতাসীন বলেই

কি ওরা আইনের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে?

শেখ হাসিনা সরকার শুরু থেকেই

দলবাজি, সন্ত্রাস,

দলীয়করণে মেতে ওঠায় গণতন্ত্রের যেটুকু

অবশিষ্ট ছিল সেটাও

হারিয়ে যেতে সময় লাগেনি। এখন

সরকারের মেয়াদের শেষ

প্রান্তে এসে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণের

বাইরে চলে গেছে। ফলে জনতার

মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালানোই

স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। সরকার দলীয়

আইন প্রণেতাদের নেতৃত্বে সংসদ ভবন

এলাকায় লাঠিধারীদের হামলাও

দেখতে হচ্ছে। আর কর্তব্যরত পুলিশ

হামরাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ

ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের প্রশ্রয়

দিচ্ছে বা দিতে বাধ্য হচ্ছে। পুলিশের

এমন অকার্যকর অবস্থা এক

দিনে সৃষ্টি হয়নি। এর আগে সংসদ ভবন

এলাকাতেই বিরোধী দলের চিফ

হুইপকে কীভাবে এক পুলিশ অফিসার

নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে,

সেটা সবাই দেখেছে। তার পরও সেই

দুর্বৃত্তের শাস্তি হয়নি।

উল্টো তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে,

পদোন্নতি হয়েছে। এমন পুলিশ

বাহিনী কীভাবে জনগণের জানমালের

নিরাপত্তা দেবে, আইনের শাসন

কায়েমে ভূমিকা রাখবে? রাষ্ট্র-

প্রশাসনের সর্বত্র এমন দলীয়করণের পরও

ক্ষমতাসীনরা ভরসা পাচ্ছে না বলেই

নির্বাচনকালীন সরকার

নিয়ে গো ধরে বসে আছে। গণতান্ত্রিক

প্রথা অনুযায়ী ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন

করার সাহস নেই বলেই তারা দলীয়

সরকার ও সরকারপ্রধান

নিয়ে দেশে অশান্তির ঝড় তুলেছে।

তবে এভাবে যে শেষ রক্ষা হয়

না সেটা এদেশের ইতিহাসে বারবারই

দেখা গেছে। ইতিহাসের

শিক্ষা ভুলে যাওয়ায় আবারও তার

পুনরাবৃত্তি দেখা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

টি-ভাইরাস বলেছেন: ভাই আপনে লীগ করেন তাইলে আপনেও অনেক কিছুর ঊর্ধ্বে চলে যাবেন

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

মো: ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল। আপনার লেখাটি ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.