নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাপার হে, লঘি্নতে হবে রাত্রি নিশিতে যাত্রীরা হুশিয়ার

দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাপার হে, লঘি্নতে হবে রাত্রি নিশিতে যাত্রীরা হুশিয়ার

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির"

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির"

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে বলে বদলে দেবে মানচিত্র, শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকতে এক চুল মাটি কাউকে দেব না, যদি নিতে হয় আমার বুকের তাজা রক্ত ভেজা লাল মাটি নিবি (হৃদয়ের টানে, দেশের টানে কপিপেষ্ট)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

মূল লেখাটি ব্লগার সুজায়েত শামীম এর এখানে



খুলনা ও সিলেটকে ভারতের করে নেয়ার এক ফমূর্লা বের করেছে মোদীর বিজেপি। ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের দক্ষিণ-পশিমাঞ্চল চলে যাবে পশিমবঙ্গের ভেতর। অপরদিকে সিলেট ঢুকে যাবে মেঘালয়ের সাথে।



বা: হা:

বাংলাদেশ যেন খেলার পুতুল!

যা খুশী ভাবতে পারো!



ভারতের শিলাচরের "সাময়িক প্রসঙ্গ " নামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত বিজেপি নেতার বক্তব্যর খবরটি বাংলাদেশের কোন কোন মিডিয়া প্রকাশ করেছে। তাঁর প্রস্তবনা নিয়ে আলোচনার পূর্বে আমাদের একটি প্রস্তাব রয়েছে। তা হলো আসাম-ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মুর্শিদাবাদ আমাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে।



খবর বেরিয়েছে, ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী বাংলাদেশের কাছে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবি করেছেন।



কেনো করলেন?







মি. স্বামী মনে করছেন, তাদরে অঞ্চলে বাংলাদেশ থেকে বহু অনুপ্রবেশকারী চলে গিয়ে বসবাস শুরু করছে। এতে নানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভারত। তাই অনেকটা ভারসাম্য রক্ষায় খুলনা ও সিলেট অঞ্চল ভারতের করে নেয়া প্রয়োজন। বিষয়টি এখনও মোদীর কান পর্যন্ত পৌছেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে এনিয়ে ঢাকার ওপর চাপ দেয়া হবে।



বিজেপির শীর্ষনেতা স্বামীর দেয়া ফর্মুলা অনুযায়ী খুলনা ও সিলেট ভারতভুক্ত হলে বাংলাদেশের মানচিত্রর রুপ কেমন রুগ্ন দেখাবে তা আকিঁয়েও দেখলাম। মেজাজ চড়ে গেলো খুব। আপনারও মেজাজ খারাপ হবে, চিত্রে দেখুন:







কথা হচ্ছে, রাষ্ট্রের সীমারেখা নিয়ে কথা বলার অধিকার যদি হয় সবার, তবে আমরাও প্রশস্থ করতে পারি আমাদের মানচিত্র। মেঘালয়, ত্রিপুরা ও আসাম হতে পারে বাংলাদেশভুক্ত । রাজশাহীর ওপাশের অঞ্চল মুর্শিদাবাদও হতে পারে বাংলাদেশের একটি জেলা।





ত্রিপুরার উত্তর ও দক্ষিণে বাংলাদেশ। এক কথায় সীমান্তের ৮৪ শতাংশ বাংলাদেশ। মানুষের মুখের ভাষা বাংলা। ৩৫ শতাংশ মুসলিম। এদের অনেকখানি ভরসা বাংলাদেশ। সুখে-দুঃখে কাছাকাছি, পাশাপাশি। আখাউড়া থেকে আগরতলা একটুখানি। কলকাতার রসগোল্লার চেয়ে কুমিল্লার রসমালাই এখানে সহজলভ্য। ট্রেনে আগরতলা থেকে কলকাতা যেতে তিন দিন। সে তুলনায় ঢাকা নাগালে।







এদিকে সিলেটের শেষ সীমান্তে অর্থাৎ তামাবিল থেকে দূরে যে পাহাড়গুলো দেখা যায়, সেগুলো কেবলই ভারতের হলো কেনো? ভাষা ও ধর্ম বিবেচনায় বাংলাদেশের সীমানাভুক্ত হওয়ার কথা নয় কি! কিন্তু বেছে বেছে পাহাড়গুলো বাদ দিয়ে স্রেফ সমতল অঞ্চলটুকু পেলো বাংলাদেশ।



অপরদিকে মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রেও তাই। বাংলাদেশ অনেক আপন, অনেক কাছের, যতটা না কাছে কলকাতা। এ অঞ্চলের ২৬টি থানার মানুষের মুখের ভাষা বাংলা। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান।



বিশ্ববাসীর কাছে "আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মুর্শিদাবাদ" বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি তুলে আমরা সামিল হতে পারি এক কাতারে। যুক্তিতর্কে, জনমত জরিপে, কিংবা বসবাসরত মানুষের মতামতের প্রেক্ষিতে ভারতের ওই রাজ্যগুলোর মালিক বাংলাদেশ।



কিন্তু আমরা কখনও এমন প্রস্তাবনার পথে হাটিনি। বরং সবসময়ই সীমান্ত নিয়ে ভারতের সাথে থাকা অমিমাংসিত ইস্যুগুলোর যৌক্তিক সমাধান চেয়ে এসেছি ।



এত সব কথার প্রয়োজনীয়তা ছিলনা। কিন্তু বাস্তবতা হলো ৪৭ এ দেশ ভাগের সময় আমাদের রাজনীতিকরা ছিলেন না বলিষ্ট কোন ভূমিকায়। তৎকালীন মুসলিম নেতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট এলাকাগুলো বেছে নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছিলেন বেশি। মজার ব্যাপার হচ্ছে যেসব অঞ্চল নিয়ে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার ছিল রাজত্ব, সেইসব অঞ্চলগুলো আমরা পাইনি।



অথচ এগুলো কি বাংলাদেশের প্রাপ্য না?



ইতিহাস ঘাটলেও দেখা যায়, ৪৭ এ দেশ ভাগের আরও দুবছর সময় পর্যন্ত আসাম ও বাংলা ভারতভুক্ত ছিলনা। কাগজ কলমে ৪৯ সালে ভারতের রাজ্য হিসাবে অর্ন্তভূক্ত হয়। ইতিহাসে আছে, আসাম ও বাংলা মিলে "বেনসাম" নামে স্বতন্ত্র একটি রাষ্ট্র করার প্রস্তবনা উঠেছিল তৎকালীন সময়ে। কিন্তু এটি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা সেভাবে এগোয়নি।



এখন যে প্রস্তাব উঠতে পারেনা, তা নয়। আমাদের মানচিত্র নিয়ে কেউ যদি কাটাছেড়া করার স্বপ্ন দেখে, তবে আমরাও গুড়িয়ে দেবো তাদের স্বপ্ন। বদলে দেবো তাদের মানচিত্র।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবালরে ধন্যবাদ দেন।;)


আজ কি চমৎকার বৃহৎ বাংলাদেশের স্বপ্ন বুনে দিয়েছে বাঙালীর হৃদয়ে।

আমরাতো শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে মায়ে। কিন্তু বিপদে যে আমরা কত ভয়ংকর- তা ধারনাও করতে পারবেনা তারা.........

তহলে শুরু হোক- বৃহৎ বাংলাদেশের আয়োজন। সেভেন সিসস্টারকে সাথে নিয়ে চায়নার সাথে মিলে- চায়নাকে চিটাগাং পোর্টের সুবিধা দিয়ে- হয়ে যাক এক রাউন্ড!!!!

কিহে সুব্রেনিয়াম চলবে নাকি??????

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, আমরা শান্তিপ্রিয় তবে কেউ আমাদের শান্তি কেড়ে নিতে চাইলে কোন ছাড় দেয়া হবে না হবে না হবে না।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: দেশপ্রেম কেবল বুকেই, রাস্তায় নাই। আজকে পার্লামেন্টে যদি ক্রিমিয়ার মত বিল পাশ হয় ইন্ডিয়ার সাথে একীভূত হবার জন্য, একমাত্র জামায়াত ছাড়া এর প্রতিবাদ করতে কেঊ মাঠে নামবেনা এইটা আমি প্রতিজ্ঞা কইরা বলতে পারি। জামায়াত মাইর খাবে দেশপ্রেমের জন্য নয় - তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য। কারণ দেশটা ইন্ডিয়া নিয়া নিলে জামায়াতের বিন্দুমাত্র অস্তিত্বও সহ্য করবেনা।

আর বিএনপি তো হয় রোদ নয় বৃষ্টি নয়ত বন্যা, নয়তো জেলখানা - একটা না একটা অজুহাতে আন্দোলন পিছাইতেই থাকবে । আর আপনের মত মর্দে মুজাহিদ টাইপের 'দেশপ্রেমিক'রা তখন চিন্তা করবে, পেটে ভাত তো আছে, খালি খালি রাস্তায় নাইমা পুলিশের বাড়ি খাওয়ার তো কোন মানে হয়না

(কপি পেস্ট কমেন্ট)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: এটাই আপনাদের বড় সমস্যা। এধরনের কোনো হুমকি যদি বিদেশ থেকে আসে তবে সবার মতো আপনাকেও স্লোগানে স্লোগানে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কাউকে ভীতিকর বাক্য শুনিয়ে পিছনে ফেরানো চেষ্টা করবেন না। আমারতো মনে হয় না আপনি জীবনে কোন আন্দোলনে পিছনের সারিতে থাকার যোগ্যতা অর্জন করেছেন?

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: এক ফোটা রক্ত থাকতে এক চুল মাটি কাউকে দেব না..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.