নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুদ্বিজীবি

পাহাড়ের বালক

i am sample

পাহাড়ের বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোঁজ মিলছে না জিহাদের বাবার

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

সাধারণ মানুষের চেষ্টায় ২৩ ঘণ্টা পর আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে পানির পাম্পের পাইপ থেকে উদ্ধার শিশু জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

জিহাদকে উদ্ধারের পর বিকেল চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন নাসির। হাসপাতালেও তিনি সন্তানের সঙ্গে ছিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন কে এম নিয়াজ মোর্শেদ যখন সাংবাদিকদের জানান, অনেক আগেই জিহাদ মারা গেছে। তখনও সেখানে তাঁর উপস্থিতি ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর পরপরই পুলিশের পিকআপ ভ্যানে জিহাদের বাবাকে তুলে নেওয়া হয়।

গণমাধ্যমের কর্মীরা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গা, মর্গ, জরুরি বিভাগ, শাহজাহানপুর থানা ও বাসায় নাসির উদ্দিনের খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। স্বজনেরাও জানাতে পারেননি তিনি কোথায়। তাঁরা দাবি করেন, আগে থেকেই নাসির পুলিশের হেফাজতে আছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনারের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের পর তার বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি কোথায় আছেন, পুলিশ জানে না।

শিশু জিহাদকে উদ্ধারের পর তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা খাদিজা আক্তার আহাজারি করছেন। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ যাঁরা জিহাদকে উদ্ধার করার নামে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি তাঁদের বিচার চাই।’ তিনি বলেন, ‘তাঁরা যদি বিভিন্ন ধরনের কথা না বলতেন, যদি ভালোভাবে খুঁজে দেখতেন, তাহলে আমার বাচ্চাকে আমি কালকেই পেতাম।’

জিহাদের মা অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে তাঁর স্বামী ও ভাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাচ্চাটাকে তাঁরা কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসবের বিচার চান।

সকাল থেকে পাইপের ভেতর শিশুটির পড়ে যাওয়া ও তার অবস্থান নিয়ে সংশয় বাড়তে থাকে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান সাংবাদিকদের জানান, ২৮০ ফুট গভীরে ক্যামেরা দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে শক্ত স্তর থাকায় ক্যামেরা আর নামানো যায়নি বলে দাবি করে ফায়ার সার্ভিস। শিশুটির অস্তিত্ব না পাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ফায়ার সার্ভিস। তবে ওই স্তরের নিচে শিশুটি রয়েছে কি না, তা নিয়ে তাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করেন।

শিশু জিহাদের বাড়ি ওই পানির পাম্পের পাশেই। এ/৪০ নম্বরের ওই বাড়ির দোতলায় সাবলেটে থাকে তার পরিবার। জিহাদরা তিন ভাইবোন। বড় বোন স্বর্ণা (১৩) ও মেজো ভাই ঈশান (৬)। প্রথম আলোকে দেওয়া মা খাদিজা আক্তারের ভাষ্য, গতকাল দুপুরে ভাত খেয়ে দুই পাশে দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি ঘুমিয়েছিলেন। ঘরের দরজা খোলা ছিল। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখেন জিহাদ পাশে নেই।

গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে জিহাদের গভীর পাইপে পড়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। খেলতে গিয়ে সে ওই পাইপে পড়ে যায়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে শুরু হয় শিশুটিকে উদ্ধারের তৎপরতা। এরপর প্রায় রাতভর চলে এই অভিযান।

জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন মতিঝিলের একটি বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী।

আরও জানতে পড়ুন:

রাতভর রুদ্ধশ্বাস অভিযান
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.