নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু ছােলহ

আবু ছােলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine day) ও মুসলমানদের করনীয়।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

বিদগ্ধ ব্লগার বন্ধুদের ভালবাসা প্রীতি সম্ভাষন জানিয়ে প্রথমেই একটি ছোট্ট প্রশ্ন এবং তার উত্তরের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করতে চাই। 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস' আমাদের দোর গোড়ায়। আর এই দিবসটিকে ঘিরেই আজকের আলোচনা। সউদি আরবের অন্যতম আলেম মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন -কে বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালনের বিষয়ে প্রশ্নটি করা হয়। তিনি তার যে উত্তর প্রদান করেন, প্রথমেই এখানে তা হুবহু তুলে ধরছি। পাশাপাশি এ দিবসটির ইতিহাস, বাংলাদেশে এটির আগমন ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত করার ইচ্ছে রয়েছে।

মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন সাহেবের নিকট প্রশ্নটি করা হয়েছিল যেভাবে:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ভালবাসা দিবস’ উদযাপন অনেকের (বিশেষ করে ছাত্রীদের) মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে; যা খ্রিষ্টানদের একটি উৎসব। তখন প্রত্যেকের বস্ত্র হয় সম্পূর্ন লাল রঙের— পোশাক-জুতা সবই; আর তারা পরস্পরের নিকট লাল ফুল বিনিময় করে। শ্রদ্ধেয় শাইখের নিকট এ-জাতীয় উৎসব উদযাপন করার বিধান বর্ণনা করার জন্য অনুরোধ রইল। তা-ছাড়া এ-রূপ বিষয়ে মুসলিমদের প্রতি আপনাদের দিকনির্দেশনা কী? আল্লাহ আপনাদের হেফাযত ও রক্ষা করুন॥

উত্তরে তিনি যা বলেন:
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
কয়েকটি কারণে ‘ভালবাসা দিবস’ উদযাপন জায়েয নয়:—
প্রথমত : এটি একটি নব-উদ্ভাবিত বিদ‘আতী দিবস, শরীয়তে যার কোনো ভিত্তি নেই।
দ্বিতীয়ত: এটি অনৈতিক-প্রেম পরিণতির দিকে মানুষকে ধাবিত করে।
তৃতীয়ত: এর কারণে সালাফে সালেহীনের পথ-পদ্ধতির বিরোধী এরূপ অর্থহীন বাজে কাজে মানুষের মন-মগজ ব্যস্ত করার প্রবণতা তৈরি হয়।

তাই এ-দিনে দিবস উদযাপনের কোনো কিছু প্রকাশ করা কখনও বৈধ নয়; চাই তা খাদ্য-পানীয় গ্রহণ, পোশাক-আশাক পরিধান, পরস্পর উপহার বিনিময় কিংবা অন্য কিছুর মাধ্যমেই হোক না কেন।
আর প্রত্যেক মুসলিমের উচিত নিজ দীন নিয়ে গর্বিত হওয়া এবং অনুকরণপ্রিয় না হওয়া: কেউ করতে দেখলেই সেও করবে, কেউ আহ্বান করলেই তাতে সাড়া দিবে, এমনটি যেন না হয়।
আল্লাহর নিকট দু‘আ করি, তিনি যেন প্রত্যেক মুসলিমকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় ফিতনা থেকে হেফাযত করেন; আর আমাদেরকে তিনি তাঁর অভিভাবকত্ব ও তাওফিক প্রদান করে ধন্য করেন।

এবার আসুন, এই দিবসটির জন্মের ইতিহাস, বাংলাদেশে এর সূচনা এবং ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে এর সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে একটু আলোকপাত করি।

বিশ্ব ভালবাসা দিবস; একটু পিছনে ফিরে দেখা:
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দুই শত সত্তর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন সাধু, তরুণ প্রেমিকদেরকে গোপন পরিণয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিত। এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এ দিনটির নাম করণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’।

বাংলাদেশে বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন শুরু হয় যেভাবে:
বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ইং সালে। কিছু ব্যবসায়ীর মদদে এটি প্রথম চালু হয়। অপরিণামদর্শী মিডিয়া কর্মীরা এর ব্যাপক কভারেজ দেয়। আর যায় কোথায় ! লুফে নেয় বাংলার তরুণ-তরুণীরা। এরপর থেকে ঈমানের ঘরে ভালবাসার পরিবর্তে ভুলের বাসা বেঁধে দেয়ার কাজটা যথারীতি চলছে। আর এর ঠিক পিছনেই মানব জাতির আজন্ম শত্রু শয়তান এইডস নামক মরণ-পেয়ালা হাতে নিয়ে দাঁত বের করে হাসছে। মানুষ যখন বিশ্ব ভালবাসা দিবস সম্পর্কে জানত না, তখন পৃথিবীতে ভালবাসার অভাব ছিলনা। আজ পৃথিবীতে ভালবাসার বড় অভাব। তাই দিবস পালন করে ভালবাসার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয়! আর হবেই না কেন! অপবিত্রতা নোংরামি আর শঠতার মাঝে তো আর ভালবাসা নামক ভালো বস্তু থাকতে পারে না। তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হৃদয় থেকে ভালবাসা উঠিয়ে নিয়েছেন।

তথাকথিত এই দিনের কিছু বাজে চিত্র:
বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে চেনার জন্য আরও কিছু বাস্তব নমুনা পেশ করা দরকার। দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো একেবারে বেসামাল হয়ে উঠে। নিজেদের রূপ-সৌন্দর্য উজাড় করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। শুধুই কি তাই ! অঙ্কন পটীয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে। তাদের সামনে তরুণীরা পিঠ, বাহু আর হস্তদ্বয় মেলে ধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেয়ার জন্য। তারপর রাত পর্যন্ত নীরবে-নিবৃতে প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প। এ হলো বিশ্ব ভালবাসা দিবসের কর্মসূচি! এরকম একটি দিবসকে 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস' না বলে 'বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস' বললে অন্তত: নামকরণটির যথার্থতা কিছুটা প্রমান হতো।

বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালনের ক্ষতিকর কিছু দিক:
১. এটি অন্য ধর্মের একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। অন্য জাতি গোষ্ঠীর অনুসরন অনুকরন করা থেকে মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করেছেন। এর উদ্দেশ্যও পরিষ্কার। মুসলমানদের স্বাতন্ত্র্য ভিন্নতা ও জাতিগত আলাদা ঐতিহ্য যাতে পৃথিবীতে গড়ে ওঠে এর জন্যই ছিল এ সতর্কতা। বিভিন্ন হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক বর্নিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অতিব অনুধাবনযোগ্য। এক হাদিসে তিনি বলেন, মান তাশাব্বাহা বিকওমিন ফাহুঅ মিনহুম। অর্থ- যিনি যে জাতির সাদৃশ্য গ্রহন করবেন তিনি সে জাতির ভেতরে গন্য হবেন।
২. ভালবাসা নামের এ শব্দটির সাথে এক চরিত্রহীন লম্পটের স্মৃতি জড়িয়ে যারা ভালবাসার জয়গান গেয়ে চলেছেন, পৃথিবীবাসীকে তারা সোনার পেয়ালায় করে নীল বিষ পান করিয়ে বেড়াচ্ছেন।
৩. তরুণ-তরুণীদের সস্তা যৌন আবেগকে সুড়সুড়ি দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ফাসাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না। আল্লাহ তা‘আলার ঘোষনা,
‘‘আর তারা তো পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়। আর আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না।’’(সূরা আল মায়িদাহ : ৬৪)
৪. নৈতিক অবক্ষয় দাবানলের মত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
৫. নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি লাভ করছে। যারা ঈমানদারদের সমাজে এ ধরণের অশ্লীলতার বিস্তার ঘটায়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘‘ যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি..।’’(সূরা আন-নূর :১৯)
বস্তুত যে সমাজেই চরিত্র-হীনতার কাজ ব্যাপক, তথায় আল্লাহর নিকট থেকে কঠিন আযাবসমূহ ক্রমাগত অবতীর্ণ হওয়া অবধারিত। আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
‘‘যে জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্লজ্জতা প্রকাশমান, পরে তারা তারই ব্যাপক প্রচারেরও ব্যবস্থা করে, যার অনিবার্য পরিণতি স্বরূপ মহামারি, সংক্রামক রোগ এবং ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ এত প্রকট হয়ে দেখা দিবে, যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে কখনই দেখা যায় নি।’’(ইবনু মাজাহ, কিতাবুল ফিতান, হাদিস নং-৪০০৯)
৬. তরুণ-তরুণীরা বিবাহ পূর্ব দৈহিক সম্পর্ক গড়তে কোন রকম কুণ্ঠাবোধ করছে না। অথচ তরুণ ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যখন মিশরের এক রানী অভিসারে ডেকেছিল, তখন তিনি কারাবরণকেই এহেন অপকর্মের চেয়ে উত্তম জ্ঞান করেছিলেন। রোমান্টিক অথচ যুব-চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য কী অতুলনীয় দৃষ্টান্ত! আল্লাহ জাল্লা শানুহু সূরা ইউসুফের ২৩-৩৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন এভাবে-
‘‘সে যে স্ত্রীলোকের ঘরে ছিল সে তার কাছ থেকে অসৎকাজ কামনা করল ও দরজাগুলো বন্ধ করে দিল এবং বলল, ‘আস।’ সে বলল, ‘আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, তিনি আমার প্রভু; তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারীরা সফলকাম হয় না। সে রমণী তো তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল এবং সেও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত যদি না সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন দেখতে পেত। আমি তাকে মন্দ-কাজ ও অশ্লীলতা হতে বিরত রাখার জন্য এভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম। সে তো ছিল আমার বিশুদ্ধচিত্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। ওরা উভয়ে দৌড়ে দরজার দিকে গেল এবং স্ত্রীলোকটি পিছন হতে তার জামা ছিঁড়ে ফেলল, তারা স্ত্রীলোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেল। স্ত্রীলোকটি বলল, ‘যে তোমার পরিবারের সাথে কুকর্ম কামনা করে তার জন্য কারাগারে প্রেরণ বা অন্য কোন মর্মন্তুদ শাস্তি ছাড়া আর কি দণ্ড হতে পারে? ইউসুফ বলল, ‘সে-ই আমার কাছ থেকে অসৎকাজ কামনা করছিল।’ স্ত্রীলোকটির পরিবারের একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিল, ‘যদি তার জামার সামনের দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে তবে স্ত্রীলোকটি সত্য কথা বলেছে এবং পুরুষটি মিথ্যাবাদী, কিন্তু তার জামা যদি পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে তবে স্ত্রীলোকটি মিথ্যা বলেছে এবং পুরুষটি সত্যবাদী। গৃহস্বামী যখন দেখল যে, তার জামা পিছন দিক থেকে ছেঁড়া হয়েছে তখন সে বলল, ‘নিশ্চয়ই এটা তোমাদের নারীদের ছলনা, তোমাদের ছলনা তো ভীষণ। হে ইউসুফ! তুমি এটা এড়িয়ে যাও এবং হে নারী! তুমি তোমার অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর; তুমিই তো অপরাধী। নগরের কিছু সংখ্যক নারী বলল, ‘আযীযের স্ত্রী তার যুবক দাস হতে অসৎকাজ কামনা করছে, প্রেম তাকে উন্মত্ত করেছে, আমরা তো তাকে স্পষ্ট ভুলের মধ্যে দেখছি। স্ত্রীলোকটি যখন ওদের কানা-ঘুষার কথা শুনল, তখন সে ওদেরকে ডেকে পাঠাল, ওদের জন্য আসন প্রস্তুত করল, ওদের সবাইকে একটি করে ছুরি দিল এবং ইউসুফকে বলল, ‘ওদের সামনে বের হও।’ তারপর ওরা যখন তাঁকে দেখল তখন ওরা তাঁর সৌন্দর্যে অভিভূত হল এবং নিজেদের হাত কেটে ফেলল। ওরা বলল, ‘অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য! এ তো মানুষ নয়, এ তো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা। সে বলল, ‘এ-ই সে যার সম্বন্ধে তোমরা আমার নিন্দা করেছ। আমি তো তার থেকে অসৎকাজ কামনা করেছি। কিন্তু সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে; আমি তাকে যা আদেশ করেছি সে যদি তা না করে, তবে সে কারারুদ্ধ হবেই এবং হীনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ইউসুফ বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! এ নারীরা আমাকে যার দিকে ডাকছে তার চেয়ে কারাগার আমার কাছে বেশী প্রিয়। আপনি যদি ওদের ছলনা হতে আমাকে রক্ষা না করেন তবে আমি ওদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব। তারপর তার প্রতিপালক তার ডাকে সাড়া দিলেন এবং তাকে ওদের ছলনা হতে রক্ষা করলেন। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।(অনুবাদ, সূরা ইউসুফ : ২৩-৩৪)
৭. শরীরে উল্কি আঁকাতে যেয়ে নিজের ইজ্জত-আব্রু পরপুরুষকে দেখানো হয়। যা প্রকাশ্য কবিরা গুনাহ। যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে তা আঁকা হয়, উভয়য়ের উপরই আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
‘‘যে ব্যক্তি পর-চুলা লাগায় এবং যাকে লাগায়; এবং যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে আঁকে, আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত করেন।’’ (বুখারী,কিতাবুল লিবাস,হাদিস নং৫৪৭৭)
মূলত যার লজ্জা নেই, তার পক্ষে এহেন কাজ নেই যা করা সম্ভব নয়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘যদি তোমার লজ্জা না থাকে তাহলে যা ইচ্ছা তাই করতে পার।’’(বুখারী, কিতাবু আহাদীসিল আম্বিয়া, হাদিস নং৩২২৫)
৮. ভালবাসা দিবসের নামে নির্লজ্জতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে যিনা-ব্যভিচার, ধর্ষণ ও খুন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘যে জনগোষ্ঠীর-মধ্যেই ব্যভিচার ব্যাপক হবে, তথায় মৃত্যুর আধিক্য ব্যাপক হয়ে দেখা দেবে।’’ (মুয়াত্তা মালিক, কিতাবুল জিহাদ, হাদিস নং-৮৭০)

উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসগুলোর ভাষ্য কতটা বাস্তব বর্তমান বিশ্বের বাস্তব চিত্র এর প্রমাণ বহন করে। অবাধ যৌন মিলনের ফলে “AIDS” নামক একটি রোগ বর্তমানে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এটা এমনি মারাত্মক যে, এ রোগে আক্রান্ত হলে এর কোন আরোগ্য নেই। কিছু পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে :
1. বিশ্বের ১৪০ কোটিরও বেশী লোক থেকে ১৯৮৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক লক্ষ এগার হাজারেরও বেশী “AIDS” রোগীর তালিকা পাওয়া গিয়েছে।’’(আব্দুল খালেক, নারী, (ই,ফা,বা.ঢাকা,১৯৮৪ইং) পৃ. ৯৬)
2. ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২,৪২,০০০ এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ১,৬০,০০০ মৃত্যু বরণ করেছিল। ১৯৯২ সালের গবেষণালব্ধ তথ্য মতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৫০ লক্ষ্য এইডস রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।(Baron& Byrne, Ibid., P. 329)
3. ৩০ শে ডিসেম্বর ১৯৯৬ এর Time International’ পত্রিকায় পরিবেশিত তথ্য মতে, ৬৫ লক্ষ জীবন ছিনিয়ে নিয়েছে এই ঘাতক ব্যাধি। আগামী ৫ বৎসরে আরও ৩ কোটি লোক মারা যাবে এই রোগে।(মাসিক পৃথিবী, (ঢাকা, ডিসেম্বর, ১৯৯৯), পৃ. ৫)
4. বিশ্ব এইডস দিবস ২০০০-এর প্রাক্কালে জাতিসংঘ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে : ‘‘ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবনকারী এবং সমকামিতা, ইতর রীতির যৌনতার মাধ্যমে পূর্ব ইউরোপ, রাশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন-আমেরিকা ক্যারিবীয় অঞ্চল ও এশিয়ায় এইডস দেখা দিয়েছে। আফ্রিকার কয়েকটি দেশে প্রতি তিনজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এইডস আক্রান্ত। শিশুদের ৮০ ভাগ এই রোগের ভাইরাসে আক্রান্ত। আফ্রিকার উপ-সাহারা এলাকায় এ বছর ১০ লাখেরও বেশী লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে নতুন করে এইডস দেখা দিয়েছে। মাত্র একবছরে এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যেও নতুন করে এইডস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’’(রয়টার্স, দৈনিক ইনকিলাব, (ঢাকা, ২রা ডিসেম্বর ২০০০ ইং) পৃ .১-২)
5. জাতিসংঘের দেয়া তথ্য মতে : ‘‘বিশ্বে ৩ কোটি ৬০ লাখ লোক এইডসে আক্রান্ত ২০০০ইং সনে ৫০ লাখ লোক নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছে।’’(প্রাগুক্ত)
6. ‘‘বিশ্ব এইডস দিবসের আলোচনা সভায় (ঢাকা) বাংলাদেশের তৎকালীন সমাজকল্যাণ, প্রতি মন্ত্রী ড. মোজাম্মেল হোসেনের দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশে এইডস ভাইরাস বহনকারী রোগীর সংখ্যা একুশ হাজারের বেশী।’’(দৈনিক ইনকিলাব, (স্টাফ রিপোর্টার, বিশ্ব এইডস দিবসে ঢাকায় আলোচনা সভা, ২রা ডিসেম্বর, ২০০০ ইং) পৃ.১)
সিফিলিস-প্রমেহ : বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আমেরিকার শতকরা ৯০% অধিবাসী রতিজ দুষ্ট ব্যাধিতে আক্রান্ত। সেখানকার সরকারী হাসপাতালগুলিতে প্রতি বৎসর গড়ে দুই লক্ষ সিফিলিস এবং এক লক্ষ ষাট হাজার প্রমেহ রোগীর চিকিৎসা করা হয়। (Encyclopedia Britannica, V. 23, P. 45.) এছাড়াও আমেরিকায় প্রতি বৎসর ত্রিশ-চল্লিশ হাজার শিশু জন্মগত সিফিলিস রোগে মৃত্যুবরণ করে। ( আঃ খালেক, নারী, (ঢাকা : ই.ফা. বা., ১৯৮৪ ইং), পৃ. ৯৬)
Dr. Laredde বলেন— ফ্রান্সে প্রতি বৎসর কেবল সিফিলিস ও তদ-জনিত রোগে ত্রিশ হাজার লোক মারা যায়। (প্রাগুক্ত)

হার্পিস রোগ :
ব্যভিচারের কারণে জননেন্দ্রিয়ে সৃষ্ট অত্যন্ত পীড়াদায়ক রোগ হলো Genital Herpes. মার্কিন জনসংখ্যার শতকরা দশ ভাগ (জনসংখ্যা ২৬ কোটি ধরলে তার ১০% হয় ২ কোটি ৬০ লক্ষ) এই রোগে আক্রান্ত। এটাই সব নয়। প্রত্যেক বৎসর প্রায় ৫০০,০০০ মানুষের নাম এই মারাত্মক হার্পিস রোগীদের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। (Baron & Byrne, Social psychology : Understanding Human Interaction, P. 329.)

৯. বিশ্ব ভালবাসা দিবসের এসব ঈমান বিধ্বংসী কর্ম-কাণ্ডের ফলে মুসলিম যুব-মানস ক্রমশ ঈমানি বল ও চেতনা হারিয়ে ফেলছে।
১০. মানুষের হৃদয় থেকে তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয় উঠে যাচ্ছে।

পরিশেষে বলতে চাই:
অতএব দীন এবং ঈমান প্রিয় আখেরাতের অন্তহীন জীবনে বিশ্বাসী সুপ্রিয় মুমিন-মুসলিম ভাই-বোনেরা! ভালবাসা কোন পর্বীয় বিষয় নয়। এটি মানব জীবনের সুখ-শান্তির জন্য একটি জরুরি সার্বক্ষণিক মানবিক উপাদান। সুতরাং আমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ বৃদ্ধির জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিখানো সার্বক্ষণিক পন্থাটি অবলম্বন করতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ পাক তাওফীক দান করুন। সেই সাথে 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস' -এর নামে প্রচলিত ঈমান বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড হতে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হেফাযত করুন। কারও প্রতি আমাদের ভালবাসা কিংবা কারও সাথে শত্রুতা- সব কিছুর মূলেই যেন উদ্দেশ্য থাকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আমীন !!!

নিবন্ধে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্যের উৎস-সূত্র এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন:
১. কুরআনের আলো ডট কম এর সহযোগিতায় পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। কৃতজ্ঞতা কুরআনের আলো ডট কমকে।
২. পবিত্র আল কুরআন।
৩. (আব্দুল খালেক, নারী, (ই,ফা,বা.ঢাকা,১৯৮৪ইং) পৃ. ৯৬)।
৪. (ইবনু মাজাহ, কিতাবুল ফিতান, হাদিস নং-৪০০৯)।
৫. (বুখারী,কিতাবুল লিবাস,হাদিস নং৫৪৭৭)।
৬. (মুয়াত্তা মালিক, কিতাবুল জিহাদ, হাদিস নং-৮৭০)।
৭. (Baron& Byrne, Ibid., P. 329)।
৮. (মাসিক পৃথিবী, (ঢাকা, ডিসেম্বর, ১৯৯৯), পৃ. ৫)।
৯. (রয়টার্স, দৈনিক ইনকিলাব, (ঢাকা, ২রা ডিসেম্বর ২০০০ ইং) পৃ .১-২)।
১০. (দৈনিক ইনকিলাব, (স্টাফ রিপোর্টার, বিশ্ব এইডস দিবসে ঢাকায় আলোচনা সভা, ২রা ডিসেম্বর, ২০০০ ইং) পৃ.১)।
১১. (Baron & Byrne, Social psychology : Understanding Human Interaction, P. 329.)।

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



বিশ্ব ভালবাসা দিবসের আড়ালে লুকানো ইতিহাস জানালেন।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

আবু ছােলহ বলেছেন:



অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

পুকু বলেছেন: Ithink you have mixed up love and sex, it is but natural the person who goes to soudi arabia to ask what is right or wrong,he will mix up both the two!!! maintaining ten or more wives ,a person is teaching about unhealthy sex !!! haa haa !!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

আবু ছােলহ বলেছেন:



পুকু, ধন্যবাদ পোস্টে এসে কষ্ট করে মতামত দেয়ায়।

না, দু:খিত। আমি ভালবাসা আর যৌনতাকে এক করে ফেলি নি। ভালবাসার নামে যুবক যুবতী নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা, খোলামেলা আনন্দ উদযাপন আর বেহায়াপনা থেকেই তো অশ্লীলতার বীজ বপন হয়। এরপরে তা থেকে শাখা প্রশাখা গজিয়ে চূড়ান্ত পর্বে তা যৌনতার দরজাকে উম্মুক্ত করে দেয়।

সৌদি আলেমের ফতোয়া দেখে মাইন্ড করলেন!

তো, ঠিক আছে- সৌদি আলেমের কাছে না হয় না গেলাম, কুরআন এবং হাদিসের যে উদ্ধৃতিগুলো এই পোস্টে রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী হবে?

আর হাসছেন! গভীরভাবে চিন্তা করুন। পজিটিভলি সত্যের সন্ধানে এগিয়ে আসুন। অবশ্যই সত্য, সত্য হয়েই ধরা দিবে।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১০

এ আর ১৫ বলেছেন: ভ্যালেনটাইন দিবসের বিপক্ষে যে অদ্ভুত ফতুয়া দেওয়া হচ্ছে তার জবাব আমি একজনের ব্লগ থেকে কপি করে রেখেছিলাম কারন ভবিষ্যৎ এ কাজে লাগবে তাই , এখন আমি সেই কপিটাকে পেষ্ট করছি --- আশা করি সব জবাব পাবেন ----
Some funny allegation against Valentine day by so called Fotia baz !!!

1) This day has named from St Valentine so it is haram !!!!
------ If name is X ,Y or Z then that will not haram . Archimedes law , Newton law, Einstein law all are haram because names are taken from their name .
2) In this day boy proposes love to girl ----
---- Boy can propose love to girl any day there isn't any regulation in this day ..boys are allowed only this to propose love to girl but other day of the year they can't ---- If boy proposes to girl in this day-- then girl isn't bounded to accept that proposal. --- But according to fotuabaz thinking girls are bounded to accept love proposal so it is haram .
3) According to fotuabaz this is the love game between boys and girls …..
…..... This day promotes ( modern concept ) love bonding among man kind. Love bonding between Father-Mother, Husband-Wife, Brothers-Sister, All Relatives – Neibour- All Region as well as Boy Friends- Girl Friends . According to modern concept of this day this love bonding not limited between Boy Friends- Girl Friends but among all man kind.

4) In this day Boy Friends – Girls Friends engage in Physical relation …..
------ Such kind of relation can't creat in a day when the love bonding between boys and girls is high then it can happen any day of the year not only in the valentine day. There is no such obligation in this day girls are bounded to have sexual relationship with their boy friends . If any boy friend and girl friend have sexual relationship then can do that any day not only Valentine day. It isn't look like they involve in that relationship on valentine day and other days aren't.
This called so called fotua baz Alem !!!!!
=================
Post marriage relationship is haram. ...... 99.9999% such relationship aren"t built up on the valentine day then how valentine day is responsible for this. In the country like Bangladesh Pakistan India or other Muslim countries what is the percentage of people involving with this. May be 3 to 5 %. Then remaining 95 % one big portion have no love affair and other are married. The unmarried people with no love affair as well as married people can celebrate this day. Post affair less boy girl can wish love for their brother sister parent etc as well as married people can wish for their spouses as well.

In this day 3 to 5% post marriage affair wishing love with each other so remaining 95% peoples wish are also haram !!!! What a thinking !!!!!! If this 3 to 5 % people going to pray or celebrate Eid then remaining 95% people praying or Eid will be haram ?? Because they have post marriage relationship.


Islam only has 2 festivals Eid ........Does any body say Valentines day is Islamic festival ?? Is it ritual festival of any other religion? ?? It is totally non religious event. If Non religious festival or event is haram ..... then AGM of the organization is haram because in this day all organisation have meeting party with different programs which is like a festival. Annual award ceremony of school college university are also haram as well as annual sport day also haram because Islam allows only 2 Eid only. Non religious event labour day women day children day are also haram !!!!

What a funny comedy !!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



প্রিয় এ আর ১৫,
অনেক ধন্যবাদ, কষ্ট করে এই বিষয়ক উত্তর আগেই রেডি করে রাখার জন্য এবং কপি পেস্ট করে এখানে আমাদের সাথে শেয়ার করায়।

পৃথিবীতে অসংখ্য ধর্মের মানুষের বসবাস। এর মধ্যে নিজেদের যারা বর্তমান আধূনিক সভ্যতার ঠিকাদার ভাবেন। সেই ইউরোপ আমেরিকান পাশ্চাত্য সমাজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, অবিবাহিত কিশোরী মায়ের পরিসংখ্যানটা তাদের কেমন, সামাজিক অগ্রগতি উন্নতিতে তারা অনেক এগিয়ে সন্দেহ নেই, কিন্ত নৈতিক অবক্ষয় তাদের স্বাভাবিক জীবন কিভাবে বাধাগ্রস্থ করছে সেদিকটাতে একটু তাকালে নিশ্চিতভাবেই আঁতকে উঠতে হয়।

পিতৃ পরিচয়হীন শিশুদের জন্য যাদের শহরের মোড়ে মোড়ে অনাথ আশ্রম আর বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের জন্য ওল্ড হোম তৈরি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় তাদের থেকে আপনি কি সংস্কৃতি আমদানি করবেন? সংস্কৃতির নামে এমন অপ্রত্যাশিত উদ্ভট কিছু আমরা কখনও চাই না।

আর ওল্ড হোম সেইফ হোম ইত্যাদি জায়গাগুলোতে পড়ে থাকা যে জাতির একটি বড় অংশের বাবা মায়ের সাথে কিংবা বুড়ো দাদা দাদি অথবা নিকটাত্মীয়র সাথে সম্পর্কের সুতোটা এতটাই ঢিলে যে, দিন মাস বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের সাথে দেখা সাক্ষাত করার সৌভাগ্যটা পর্যন্ত অনেকের হয়ে ওঠে না; তাদের জন্য আর যাই বলুন, অন্তত: বছরের মাথায় গিয়ে এমন একটি দিনের প্রয়োজন কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু কোনভাবেই এটি মুসলিমদের জন্য নয়। মুসলিমদের তো ৩৬৫ দিনই ভালবাসা দিবস। চেনা অচেনা সকলের সাথেই দেখা হলে একজন মুসলিম যে কথাটি বলে প্রথমেই অন্যকে স্বাগত জানায় তা হচ্ছে- আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ। 'আপনার প্রতি আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে শান্তি রহমত বর্ষিত হোক'। তো এই যে, আশির্বাদ এই যে দুআ এটাইতো ভালবাসার অনাবিল প্রকাশ। এর জন্য কোন দিন নেই, কোন ক্ষন নেই, নেই কোন ব্যক্তি বিশেষ।

মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বী যারা এই দিনটিকে পালনে আগ্রহী তাদের ব্যাপারে আমাদের কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু ইসলামী আচার অনুষ্ঠানের বাইরে, অশ্লীলতায় উৎসাহ প্রদানকারী এই জাতীয় দিবস পালন কোনভাবেই আখিরাতের অন্তহীন জীবনে বিশ্বাসীদের দ্বারা হতে পারে; ভাবতেও কষ্ট লাগে।

যেহেতু হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন থেকে স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, মান তাশাব্বাহা বিকওমিন ফাহুঅ মিনহুম। অর্থ- যিনি যে জাতির সাদৃশ্য গ্রহন করবেন তিনি সে জাতির ভেতরে গন্য হবেন।

সুতরাং, সম্মানিত মুসলিম ভাই বোনদের বিনীতভাবে আহবান জানাব, এত দিন জেনে হোক কিংবা না জেনে, কেউ যদিও বা এই দিন পালন করে এসেছি, আজ থেকে আল্লাহর ওয়াস্তে রাসূলে পাকের হাদিসের কথা মেনে ফিরে আসার চেষ্টা করি। এবং অন্য জাতির অন্তর্ভূক্ত হওয়ার দুর্ভাগ্য থেকে বেঁচে রাসূলের দলে থেকে কিয়ামতের দিনেও তাঁর দলের সাথেই হাশরের মাঠে দাঁড়াবার আশাবাদ অন্তরে লালন করি। আল্লাহ পাক তাওফীক দান করুন।

ভাল থাকবেন।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: লাভ এবং সেক্স এক নয় বটে , তবে সম্পর্কযুক্তত অবশ্যই। বিশ্বাস না হইলে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে কন্ডোম বিক্রির হার দেখতে পারেন। যাহারা ভালুবাসা দিবসের পক্ষে কইতাছেন তাহারা বোধহয় ভুলিয়া যাইতাছেন এখনকার সংস্কৃতিতে ভালোবেসে ভালোবাসার মানুষকে জানার জন্য পোলাপাইন বিছানাকেই বেশি গুরুত্ব দিতাছে।বিছানাকেই যেহেতু বেশি গুরুত্ব দেওয়া হইতেছে , বাল্য বিবাহই এর একমাত্র সমাধান মনে করি। বিয়া কইরা যত খুশি ভালোবাসা দিবস পালন করুক ধর্ম , সমাজ সবাই খুশি। না হইলে মুসলিম দেশগুলোতেও কুমার কুমারী পোলাপাইন হারিকেন দিয়া খুঁজতে হইবো। অবশ্য বমিখোরগুলোর কোনো কিছুতেই আপত্তি নাই !

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



সম্মানিত ভাই Tarzan00007,
বর্তমান সমাজের অবক্ষয়ের চরম পর্যায়ে জাতির দুর্দিনে একটি কঠিন সত্য মরমে অনুধাবনে কৃতজ্ঞতা!

আসলে পক্ষ বিপক্ষের উর্দ্ধে উঠে কোন কিছু চিন্তা করতে পারলে আমাদের সামনে সত্যের সৌন্দর্য প্রতিভাত হয়ে উঠবেই।

কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে আপনার নিম্নোক্ত বাক্যগুলো-

"লাভ এবং সেক্স এক নয় বটে , তবে সম্পর্কযুক্তত অবশ্যই।"

"যাহারা ভালুবাসা দিবসের পক্ষে কইতাছেন তাহারা বোধহয় ভুলিয়া যাইতাছেন এখনকার সংস্কৃতিতে ভালোবেসে ভালোবাসার মানুষকে জানার জন্য পোলাপাইন বিছানাকেই বেশি গুরুত্ব দিতাছে।"

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: যেহেতু হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন থেকে স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, মান তাশাব্বাহা বিকওমিন ফাহুঅ মিনহুম। অর্থ- যিনি যে জাতির সাদৃশ্য গ্রহন করবেন তিনি সে জাতির ভেতরে গন্য হবেন।
এখানে তো কোন জাতি বা ধর্ম নহে আন্তর্জাতিকে অনুসরন করা হচ্ছে তার মানি সকল জাতি ধর্মের সাথে সম্পর্ক বিহিন যে প্রথা অনুসরন করছে সেটাকে উদজাপন করা হচ্ছে ।
যেমন মে দিবস বা বিশ্ব শ্রমিক দিবস, নারি দিবস, শিশু দিবস , ইত্যাদি আন্তর্জাতিক দিবস সেগুলো সকল জাতির অনুসরন কোন এক জাতির নহে , সেই ভাবে ভ্যালেনটাইন দিবস সকল জাতির অনুসরন কোন বিশেষ ধর্মের নহে ।
আমরা জানি হাদিসে বলে : অন্য কোন ধর্মের রিচুয়াল এবং কালচার অনুসরন করা কুফরি হারাম এবং গুনাহ ---- তাহা হইলে ইহা কোন ধর্মের রিচুয়াল নহে । তবে মুসলমানরা অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করে এবং আমি আরেক বল্গের একজনের পোষ্ট হতে কপি করে পেষ্ট করছি ... এখন মহিলাদের মধ্য মাথার চুল ঢেকে যে হিজাবের প্রচলন দেখা যায় সে সম্পর্কে কোরানে কোন নির্দেশ নেই সুরা আল নুরে ৩১ তম আয়াতে বলা হয়েছে খিমার দিয়ে বক্ষ ঢাকার জন্য কিন্তু এই খিমার শব্দটির ভুল অনুবাদ করে মাথার ভেইল করা হয়েছে কিন্তু খিমার অর্থ শুধু মাথার ওড়না নহে . তাহোলে পড়ুন মুসলমান মহিলারা কি ভাবে অন্য ধর্মের রিচুয়ালকে অনুসরন করছে ( কিন্তু যাদের ধর্মে ঐ নির্দেশ আছে তাদের ৯৯% ঐ নির্দেশ পালন করে না )
Don’t wear hijab, it originates from Ze Bible! Don’t believe me, go read Genesis 24: 64-65. "Rebekah put on a vail upon seeing a man in sight". Where in the Quran that states women must wear hijab? Quran only specifically said cover your bosoms with your “khimar” (scholars interpreted this as headcovers, although the Arabic word shaar which means hair or raas which means head are missing). Khimar is not only head covers, it’s anything that is used to cover including curtains so the absence of the word hair/head means Quran never asked women to cover their head but use any khimar to cover their bosoms/chest. Or is that why some of you wear curtains all over? Also, didn't Prophet Muhammad told you to be different than the Jews and Christians? To not do what the Jews and Christians do? If so, then why you follow Christians wearing hijab lah? Anyhow, Lady Anne, Queen of King James used to wear hijab and she was a Christian. Oh nuns also wear hijabs, you want to be nun is it? I know now... So since you want women to follow Rebekah the Christian, why can’t we wish Merry Christmas to our Christian friends again?? You yourselves are Christian followers lah oi, Muslims..

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



মনটা আনন্দে ভরে গেল, কষ্ট করে আপনি আবারও আপনার কথা নিয়ে এখানে ফিরে আসায়। আসলে ভাই, কথায় কথা বাড়ে, তর্কে বহু দূর।

আপনি দয়া করে অাপনার পূর্বোক্ত মন্তব্যের উত্তরটা আবারও একটু মনযোগ দিয়ে যদি দেখে নেন, তাহলে ধন্য হই। আশা করি এর ভেতরেই আপনার জিজ্ঞাসার কিছুটা উত্তর পেয়ে যাবেন। আর বিশেষত: ৪ নং মন্তব্যটিও এখানে প্রনিধানযোগ্য। দেখে নেয়া যেতে পারে।

আর আপনার বক্তব্যের ভেতর থেকে দু'একটি প্রসঙ্গে:

প্রথমত-
আমরা জানি হাদিসে বলে : অন্য কোন ধর্মের রিচুয়াল এবং কালচার অনুসরন করা কুফরি হারাম এবং গুনাহ ---- তাহা হইলে ইহা কোন ধর্মের রিচুয়াল নহে ।

সঠিক নয়। এটার সাথে ইসলাম ধর্মের সামান্যতম সম্পর্ক নেই। অতএব ভিন্ন জাতির 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইন' নামীয় ব্যক্তি কর্তৃক সে কালের যুবক যুবতীদের অশ্লীলতায় প্রলুব্ধ করার দায়ে প্রদত্ত তার মৃত্যু দন্ডের দিনটিকে কোন মুসলিম কিভাবে উদযাপন করতে পারেন? স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলেও তো দেখা যায়, যারা ইতিহাস জেনে এ দিনটি পালন করেন, তারা অশ্লীলতাকে প্রকারান্তরে উৎসাহিত করার পক্ষপাতী হলেন।

দয়া করে চিন্তা করুন এবং ভাবুন, যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের এই যুগে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়া ক্রমবর্ধমান অশ্লীলতার প্রসারে এ ধরনের বিজাতীয় আচার অনুষ্ঠানের পক্ষে থাকবেন, না কি অশ্লীলতামুক্ত একটি সুন্দর পৃথিবী বিনির্মানে আপনার প্রচেষ্টাকে সর্বোতভাবে নিয়োজিত রাখবেন।

দ্বিতীয়ত-
"তবে মুসলমানরা অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করে এবং আমি আরেক বল্গের একজনের পোষ্ট হতে কপি করে পেষ্ট করছি ... এখন মহিলাদের মধ্য মাথার চুল ঢেকে যে হিজাবের প্রচলন দেখা যায় সে সম্পর্কে কোরানে কোন নির্দেশ নেই সুরা আল নুরে ৩১ তম আয়াতে বলা হয়েছে খিমার দিয়ে বক্ষ ঢাকার জন্য কিন্তু এই খিমার শব্দটির ভুল অনুবাদ করে মাথার ভেইল করা হয়েছে কিন্তু খিমার অর্থ শুধু মাথার ওড়না নহে . তাহোলে পড়ুন মুসলমান মহিলারা কি ভাবে অন্য ধর্মের রিচুয়ালকে অনুসরন করছে ( কিন্তু যাদের ধর্মে ঐ নির্দেশ আছে তাদের ৯৯% ঐ নির্দেশ পালন করে না )"

-দু:খিত! এই অংশের কথাগুলো সঠিক নয়। আপনার উল্লেখিত সূরাহ নূর -এর ৩১ নং আয়াতের পুরো অর্থ দেখুন-

"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।"

এই আয়াতের অর্থটুকু শুধু খেয়াল করে দেখুন। তাহলেই আশা করি বিষয়টি আপনার বুঝে আসবে।

আল্লাহ পাক আপনাকে আমাকেসহ সকলকে সিরাতুল মুস্তাকিম (যার জন্য প্রতি রাকাত নামাজে প্রার্থনা করি) চিনে নেয়ার এবং সেই পথে জান্নাত প্রাপ্তিকে সহজ করে দিন। আমীন।

ভাল থাকবেন।

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

এ আর ১৫ বলেছেন: সুতরাং, সম্মানিত মুসলিম ভাই বোনদের বিনীতভাবে আহবান জানাব, এত দিন জেনে হোক কিংবা না জেনে, কেউ যদিও বা এই দিন পালন করে এসেছি, আজ থেকে আল্লাহর ওয়াস্তে রাসূলে পাকের হাদিসের কথা মেনে ফিরে আসার চেষ্টা করি।

আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে যে আমাদের রসুল(সা:) -- একজাক্ট এই কথা বলেছেন ?? ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস সেটার সাথে যদি কোরানের আয়াতের সামজস্যতা না থাকে তাহোলে সেটা মানতে বাধ্য নই । আপনি কি বাইবেল অনুসরন করবেন যে মাত্র ৭০ বৎসর পর লিখা হয়েছিল । শুধু হাদিসের উপর ভিত্তি করে কোন ডিসিশন নিবার অধিকার কোথায় পেয়েছেন ?? তবে বাইবেলের Genesis 24: 64-65. "Rebekah put on a vail upon seeing a man in sight" মেনে আমাদের মহিলারা মাথায় হিজাব পরে -----
Khimar" is an Arabic word that means, cover, any cover, a curtain is a Khimar, a dress is a Khimar, a table cloth that covers the top of a table is a Khimar, a blanket can be used as a Khimar..etc. The word KHAMRA used for intoxicant in Arabic has the same root with Khimar, because both covers, the Khimar covers (a window, a body, a table . . . etc.) while KHAMRA covers the state of mind. Most of ...the translators, obviously influenced by Hadith (fabrications) translate the word as VEIL and thus mislead most people to believe that this verse is advocating the covering of the head.
In 24:31 God is asking the women to use their cover (khimar)( being a dress, a coat, a shawl, a shirt, a blouse, a tie, a scarf . . . etc.) to cover their bosoms, not their heads or their hairs. If God so willed to order the women to cover their heads or their hair, nothing would have prevented Him from doing so. God does not run out of words. God does not forget. God did not order the women to cover their heads or their hair.
God does not wait for a Scholar to put the correct words for Him!
The Arabic word for CHEST, GAYB is in the verse (24:31), but the Arabic words for HEAD, (RAAS) or HAIR, (SHAAR) are NOT in the verse. The commandment in the verse is clear - COVER YOUR CHEST OR BOSOMS, but also the fabrication of the scholars and most of the translators is clear by claiming- cover your head or hair.
The last part of the verse (24:31) translates as, "They shall not strike their feet when they walk in order to shake and reveal certain details of their bodies." The details of the body can be revealed or not revealed by the dress you wear, not by your head cover.
Notice also the expression in 24:31,
[Quran 24:31] They shall not reveal any parts of their bodies, except that which is necessary.
This expression may sound vague to many because they have not understood the mercy of God. Again God here used this very general term to give us the freedom to decide according to our own circumstances the definition of "What is necessary".
It is not up to a scholar or to any particular person to define this term. God wants to leave it personal for every woman and no one can take it away from her. Women who follow the basic rule number one i.e. righteousness, will have no problem making the right decision to reveal only which is necessary.

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

আবু ছােলহ বলেছেন:




@এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে যে আমাদের রসুল(সা:) -- একজাক্ট এই কথা বলেছেন ?? ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস সেটার সাথে যদি কোরানের আয়াতের সামজস্যতা না থাকে তাহোলে সেটা মানতে বাধ্য নই । আপনি কি বাইবেল অনুসরন করবেন যে মাত্র ৭০ বৎসর পর লিখা হয়েছিল । শুধু হাদিসের উপর ভিত্তি করে কোন ডিসিশন নিবার অধিকার কোথায় পেয়েছেন ?? তবে বাইবেলের Genesis 24: 64-65. "Rebekah put on a vail upon seeing a man in sight" মেনে আমাদের মহিলারা মাথায় হিজাব পরে -----

-মাফ করবেন, আমি পূর্বেই বলেছিলাম, তর্কে বহু দূর। তারপরেও আপনি যেহেতু জানতে চেয়েছেন তাই সংক্ষিপ্তভাবে বলছি।

১ নং প্রশ্ন।

আপনার বক্তব্য- "আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে যে আমাদের রসুল(সা:) -- একজাক্ট এই কথা বলেছেন ??" -এর

উত্তর-

হাদিস সহীহ হওয়ার মানদন্ডে এটি উত্তীর্ন। সে কারনে আমাদের বিশ্বাস করতেই হবে এটি রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বানী।

২ নং প্রশ্ন।

আপনার বক্তব্য- "৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস সেটার সাথে যদি কোরানের আয়াতের সামজস্যতা না থাকে তাহোলে সেটা মানতে বাধ্য নই।" -এর

উত্তর-

এই পোস্টদাতা একজন মুসলিম। আপনি কি মুসলমান? দয়া করে যদি আপনার ধর্মীয় পরিচয় বিবৃত করেন তাহলে আমাদের বুঝতে সুবিধে হয় এবং আপনার সাথে ডিসকাশন ইজি হবে ধারনা করি।

কেননা, আপনার বক্তব্যের ধরন দেখে মনে হয়, আপনি ইচ্ছাকৃত তথ্য বিভ্রাট সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছেন।

প্রথমত: আপনি কোথায় পেয়েছেন, "৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস?" হাদিস সংকলনের ইতিহাস পড়েছেন? কখন কিভাবে, কাদের মাধ্যমে হাদিস গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হয়েছে, এসব না জেনেই এই ধরনের উদ্ভট কথা যারা বলে বেড়ায় তারা হতে পারেন ইতিহাস না জানা অজ্ঞ কিংবা সত্যকে অস্বীকারকারী জ্ঞানপাপী। আপনি এই দু'টোর কোন শ্রেনিতে নিজেকে ফেলতে চান?

দ্বিতীয়ত: আপনি এই ক্ষেত্রে কোত্থেকে হাদিস এবং কুরআনের আয়াতের মধ্যে বিরোধ আবিষ্কার করে ফেললেন? "হাদিস সেটার সাথে যদি কোরানের আয়াতের সামজস্যতা না থাকে তাহোলে সেটা মানতে বাধ্য নই।" আজব কথাবার্তা বলছেন, আপনি। এখানে বিরোধের কোন বিষয় নেই। ভেবে অবাক হই, কিভাবে আপনি না বুঝেই এসব কথা বলে যাচ্ছেন? তাছাড়াও আপনি একটি মাত্র হাদিস নিয়ে এত টানাটানি করে হয়রান হচ্ছেন কেন, ভাই। পুরো পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন। দয়া করে চিন্তা করুন, আরও হাদিস পাবেন, কুরআনের আয়াত পাবেন।


৩ নং প্রশ্ন।

আপনার বক্তব্য- "আপনি কি বাইবেল অনুসরন করবেন যে মাত্র ৭০ বৎসর পর লিখা হয়েছিল।" -এর

উত্তর-

বাইবেল অনুসরনের প্রশ্নই ওঠে না। কারন, সর্বশেষ নবীর প্রতি নাজিলকৃত আসমানী গ্রন্থ আলকুরআন। আলকুরআন আসার মাধ্যমে নবুওয়াতের ধারার সমাপ্তি ঘটার পাশাপাশি পূর্ববর্তী নাজিলকৃত সকল আসমানি কিতাবের হুকুম তথা বিধানাবলীরও ইতি ঘটেছে। কুরআনের স্পষ্ট ভাষ্য, হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ পাক সারা পৃথিবীর সকল শ্রেনি পেশা বর্ন গোত্রের মানুষের জন্য বিশ্বনবী করে পাঠিয়েছেন।

৪ নং প্রশ্ন।

আপনার বক্তব্য- "শুধু হাদিসের উপর ভিত্তি করে কোন ডিসিশন নিবার অধিকার কোথায় পেয়েছেন ??" -এর

উত্তর-

কোথায় 'শুধু হাদিসের উপর ভিত্তি করে ডিসিশন নেয়া হল?' অন্ধকারে ঢিঁল না ছুঁড়ে দয়া করে পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে মনের ভিতর এসব অনর্থক বেহুদা প্রশ্নের অবতারনা হবে না।

রাসূলের আদর্শ বিসর্জন দিয়ে, ইসলামের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত সব বিধানাবলী ত্যাগ করে তথাকথিত নামে মাত্র মুসলমান সেজে ইসলামের বদনাম না করে আমাদের বরং ইসলামের সুমহান আদর্শ ভাল না লাগলে ভিন্ন মত পথ রাস্তা খোলা আছে। সেদিকে ধাবিত হওয়াই বোধ করি বুদ্ধিমানের কাজ।

কলেজে ভর্তি হয়ে আপনি যদি বলেন, 'কলেজের এই নিয়ম মানি না, ওই আইন মানবো না, অমুক সিস্টেমটা ভাল লাগে না, তমুক রুলসটা পছন্দ হয় না' -তাহলে কলেজ কর্তৃপক্ষ যেমন আপনাকে নিশ্চিতভাবে বলে দিতে বাধ্য হবেন, 'তোমার মত ছাত্র বাবা, আমাদের প্রয়োজন নেই; তুমি অন্য রাস্তা দেখ'।

ঠিক একই রকমভাবে, আমাদের বুঝে নেয়া দরকার, ইসলাম নামক জীবন বিধানটির প্রনেতা স্বয়ং বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক। তার প্রদত্ত রুলস রেগুলেশনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এখানেও বিধানাবলী মেনে চলার ব্যাপারে নাক ছিটকানোর দলকে কিয়ামতের ভয়াবহ দিনে ইসলামের কাতার থেকে বহিস্কার করা হবে। দেখুন- সূরাহ ইয়াসিন, আয়াত ৫৯, "হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।"

অতএব, বেহুদা তর্ক ছেড়ে দিয়ে জান্নাতের পথে ধাবিত হওয়ার প্রচেষ্টায় নিজেদের অগ্রগামী করি। অনেক কথা বলেছি। ভুলত্রুটি থাকাও স্বাভাবিক। মাফ করবেন। আর, আমার কথাগুলো আপনাকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে ছিল না, এবং আশা করি কষ্ট নিবেনও না। ভাল থাকবেন। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এ আর ১৫ হইলো আল্লামা গুগল, পোপ ফেসবুক।আফনে হেরে যুক্তি দিতাছেন ? আফনের সাহস তো কমনা। এর চাইতে মুফতি আজাজিলরে যুক্তি দিলেও মাইন্না লইব ! আর আফনেরে কই, ব্লগে দয়া কইরা মাছালা , ফতোয়া দিয়েন না। নাবালেগ কখনো বালেগ হওয়া কি জিনিস বুঝতে পারে না।ধর্মীয় বিষয়ে বেশিরভাগ লোকই আমার মতোই আবাল, তা সে যতই নো-বেল ল্যাবরেটরির গুবেষক বা নাসার বিজ্ঞানী হউক না কেন !

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

এ আর ১৫ বলেছেন: তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে.... this is wrong translation. Khimar doesn't mean only মাথার ওড়না । What is meaning of Khimar as well as explanation of verse 31 of Dura Al Noor has given in the comment no 6। This is opinion of an Islamic Scholar. Thanks.

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

আবু ছােলহ বলেছেন:




মুসলিম মা বোনদের পর্দার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক থেকে ছোট্ট এই নির্ভরযোগ্য বইটির পিডিএফ ভার্সন দেখে নিতে পারেন- Click This Link

ভাল থাকবেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

আবু ছােলহ বলেছেন:



এ বিষয়ে আরও জানতে দেখে নিতে পারেন নিচের লিঙ্কের বইটি-
http://banglakitab.com/BanglaBooks/LadiesInTheSightOfIslam-FaridBezdiAfendi.pdf

ভালো থাকবেন।

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার কাছে সমগ্র পর্দার বিধান কি আমি চেয়েছি । শুধু প্রমাণ করেন কোরানের আয়াত থেকে কোথায় মাথা কাপড় দিয়ে ঢেকে বুক ঢাকার নির্দেশ কোথায় আছে । বেশি ভাগ জায়গায় খিমার শব্দের ভুল অনুবাদ করে মাথার ওড়না লিখা হয়েছে এবং মাথার ওড়না বুকে রাখলে যেটা হবে তাকে সবাই হিজাব বলে ( যদিও হিজাবের অর্থ ভিন্ন) । ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস মানেন তাহোলে ৭০ বৎসর পরে লিখা বাইবেল কেন মানেন না ? বাইবেলের অনেক ভার্সের সাথে কোরানের আয়াত মিলে যায় । হাদিস সম্পর্কের নিচের লিংকে কিছু তথ্য যা খুবই গুরুত্ব পুর্ন দেওয়া হোল
পর্ব-১ - হাদীস সংকলনের ইতিহাসঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-২- বুখারী হাদীস গ্রন্থ ত্রুটিমুক্ত নয়ঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৩- ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতির ভুল ভ্রান্তিসমূহঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৫- বুখারী শরীফ একটি বিকৃত গ্রন্থঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৬ - যে কারণে মানুষ উদ্ভট হাদীসগুলো বিশ্বাস করেঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা

যে সকল হাদিস কোরানের সাথে মিলে যায় সে সমস্ত হাদিস ছাড়া অন্য হাদিস গুলো মানার কোন প্রশ্নই আসে না ।
ভ্যালেনটাইন ডে সম্পর্কে যে সমস্ত অভিযোগ এনেছেন তার জবাব আমার প্রথম মন্তব্যে দেওয়া হয়েছে । মানুষের ভালোবাসার মৌত্রি বন্ধন কোন দিন কোন ডিভাইনের বিরুধি হতে পারে না । আপনাদের নিকট ভালোবাসা মানি পরকিয়া প্রেম এবং শারিরিক মিলন , এমন সব আজগুবি যুক্তি তুলে ধরেন ঐ দিন একমাত্র দিন কোন ছেলে কোন মেয়েকে প্রোপজ করলে সেই মেয়ে প্রস্তাব গ্রহন করতে বাধ্য এবং বিছানায় যেতে বাধ্য । যে মেয়ের সাথে যে ছেলের বিছানা যাওয়া পর্যন্ত সম্পর্ক আছে মনে হয় বৎসরের অন্য দিন গুলিতে তারা সেটা পারে না শুধু ভ্যালেনটাইন ডে তে তারা সেটা করে ।

যদি অন্য ধর্মের রিচুয়াল ফলো করা কুপরি হারাম গুণাহ হয় তাহা হোলে যে সমস্ত মেয়েরা মাথায় হিজাব পরে তারা খৃষ্টান ধর্মের রিচুয়াল ফলো করছে কারন কোরান বোলছে খিমার দিয়ে বুক ঢাকতে -- এর অর্থ শুধু মাথার ওড়না নহে তবে ওড়নাটা ও এক ধরনের খিমার । যাহা আচ্ছাদন করে তাহাই খিমার যেমন সাধারন ওড়না শাড়ীর আচল ইত্যাদি । সুতরাং সাধারন ওড়না বা শাড়ীর আচল দিয়ে মেয়েরা বুক ঢাকতে পারে এবং সেটা অন্য ধর্মের রিচুয়ালকে অনুসরন করা হয় না কিন্তু যখন মাথার ওড়না দিয়ে মাথা চুল ঢেকে যাকে হিজাব বলে পরা হয় তখন সেটা বাইবেলের নির্দেশ পালন করা হয়ে যায় এবং হাদিসে বলে অন্য ধর্মের রিচুয়াল ফলোকরা হারাম । Genesis 24: 64-65. "Rebekah put on a vail upon seeing a man in sight"
সুতরাং হিজাবী মহিলারা খৃষ্টান ধর্মের রিচুয়ালফলো করে --- সেটা নিয়ে আপনাদের কোন মাথা ব্যথা নাই কিন্তু ভ্যালেনটাইন ডে যেটা কোন ধর্মের কোন আচার বা রিচুয়াল নহে সেটা নিয়ে আজাড়া মাথা ব্যথা !!!!!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

আবু ছােলহ বলেছেন:


প্রিয় এ আর ১৫,

ভেবে অবাক হই, কোত্থেকে যে এসব কথা আবিষ্কার করেন

''সুতরাং হিজাবী মহিলারা খৃষ্টান ধর্মের রিচুয়ালফলো করে --- সেটা নিয়ে আপনাদের কোন মাথা ব্যথা নাই কিন্তু ভ্যালেনটাইন ডে যেটা কোন ধর্মের কোন আচার বা রিচুয়াল নহে সেটা নিয়ে আজাড়া মাথা ব্যথা !!!!!''

খৃস্টান মহিলাদের হিজাব মুসলিম মহিলারা ধার করতে যাবেন কেন? তাদের ফলো করতে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।

ভাল করে সুস্থ মাথায় চিন্তা করলে বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়, কিছু বিষয় রয়েছে, যেমন- খাদ্য হিসাবে চালের (রাইস) ভাত, আটার রুটি কিংবা কোন ফলমুল এগুলো ইয়াহুদিগন খেয়ে থাকেন, খৃস্টানগনও খান। অন্য ধর্মের লোক কিংবা কোন ধর্মই যিনি ফলো করেন না, তিনিও এসব খেয়ে জীবন ধারন করে থাকেন। এখন, কোন মুসলমানকে উপরোক্ত খাদ্যগুলো খেতে দেখলে কি আপনি বলবেন, যে তিনি ঐসব ধর্মের অনুসারীদের অনুসরন করে উক্ত খাদ্যগুলো গ্রহন করছেন?

প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠিত ধর্মে মৌলিক কিছু বিষয় রয়েছে। ইসলামে এরকমই একটি অতিব গুরুত্বপূর্ন অনুসঙ্গ হলো- মুসলিম মহিলাদের পর্দা তথা হিজাব ব্যবস্থা।

বিষয় না বুঝে তালগোল পাকিয়ে তো লাভ নেই। আর না বুঝে থাকলে ট্রাই অব্যহত রাখুন। চোখ কান খোলা রেখে অনুসন্ধান চালাতে থাকুন সত্যের সন্ধান অবশ্যই পাবেন।

আর সর্বশেষ, আপনার বক্তব্য- ''ভ্যালেন্টাইন ডে যেটা কোন ধর্মের কোন আচার বা রিচুয়াল নহে সেটা নিয়ে আজাড়া মাথা ব্যথা !!!!!''

সোনার টুকরা ভাই আমার, আপনার কথামত ধরেই নিলাম, এটা কোন ধর্মের আচার নয়, কিন্তু যে কাজে ছেলে মেয়ে, যুবক যুবতি, ছাত্র ছাত্রী লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে একে অপরকে উইশ করার নামে, ফুল দিয়ে বরন করার নামে, মাঠে ঘাটে পার্কের অলি গলিতে পর্দা ধর্ম আল্লাহ আখেরাত সব কিছু ভুলে গিয়ে দুনিয়ার অবৈধ আনন্দে ভেসে বেড়ানোর কিছুটা সুযোগ পায়, সে কাজকে আপনি কোন্ বিবেকে, কোন্ বিবেচনায় জায়েজ ফতোয়া দিতে চান?

ইসলাম নারী পুরুষের এই ধরনের অবাধ মেলামেশা, এই জাতীয় যাবতীয় অবৈধ আনন্দ উল্লাসকে অস্বীকার করে।

প্রিয় ভাই আমার, দয়া করে ইসলামকে একটু বুঝতে চেষ্টা করুন।

আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুন। আপনি ভাল থাকুন।

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: ব্লগে এসব পোস্ট দিয়ে আদতে কোন লাভ হয় না। যারা এসব করে তারা নির্বিঘ্নেই তাদের কাজ চালিয়ে যায়।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

আবু ছােলহ বলেছেন:



এই ব্লগ কুটিরে আপনার পদচারনা শুভ হোক! মূল্যবান মন্তব্যে অভিনন্দন!

'ব্লগে এসব পোস্ট দিয়ে আদতে কোন লাভ হয় না। যারা এসব করে তারা নির্বিঘ্নেই তাদের কাজ চালিয়ে যায়।'

-আপনার সাথে সহমত। তবুও আশায় বুক বেঁধে একটু আধটু চেষ্টা আর কি! যদি এই আলোচনা থেকে কোন একজন ব্যক্তিও কিছু জেনে নিতে পারেন, একজনও যদি একটু লাভবান হতে পারেন। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া আমাদের যুবসমাজ সভ্য শালীন সুন্দর আগামী রচনা করুক এই প্রত্যাশাইতো আমরা অন্তরে লালন করি।

এই পোস্টটি দেখে অনেকের ভালো লাগে নি। কেউ বলেছেন, ভালবাসা আর যৌনতা এখানে একাকার হয়ে গেছে। ভালবাসা বলতে তারা কী বুঝাতে চান? বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসা? সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালবাসা? ভাইয়ে ভাইয়ে, বোনে বোনে কিংবা স্বামী স্ত্রীর একের প্রতি অন্যের ভালবাসা? স্বাভাবিক এবং বৈধ এ জাতীয় সকল ভালবাসাকে আমরা সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি বরং এই ভালবাসার বন্ধনকে সুসংহত করার জন্যই ইসলাম কঠোর নির্দেশ দেয়। দেখুন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কঠিন সতর্ক বানী শুনিয়েছেন- 'আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না'।

কিন্তু, ভালবাসার পবিত্রতাকে যারা নোংরা আনন্দ উচ্ছাসের মাধ্যমে যুবক যুবতীদের বিবাহ বহির্ভূত মেলামেশার মাধ্যমে অন্য স্তরে পৌঁছে দিতে চান তাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে ইচ্ছে হয়, 'এই সমাজে তিন বছরের নিষ্পাপ শিশু বাচ্চা থেকে শুরু করে ষাট সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধাদের পর্যন্ত যখন নির্মম ধর্ষনের শিকার হতে দেখা যায়, তখন আপনাদের নিরব দেখা যায় কেন? হলপ করে বলতে পারবেন, এগুলো সংঘটনের পেছনে এইসব পার্বীয় ভালবাসার আদৌ কোন ভূমিকা নেই?'

আবারও কৃতজ্ঞতা!

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

আল হাবসি বলেছেন: আমরা বাংগালিরা ধ্ম টাকে অন্তরে ধারন করি,মস্তিকে নয় -বব্ব্রর অশিক্ষীত বেদুইন আরব দের মত নয়।আপনার এই পোস্ট পড়ে
হীরক রাজার দেশে-ছবিটার একটা লাইন মনে পড়ছে---""যে যত বেশি জানে সে তত কম মানে ""
বাংগালিরা আরব দের মত অশিক্ষীত নয়-তাই তারা জানে ঈমান,আকিদা এবং বিশব্বাস টাকে অন্তরে রেখে তার পর বাহিরের কোন কোন জীনিস গুলিকে নিজের কালচারের সঙ্গে এডজাস্ট করা যায়।হাজার বছর ধরে বাংগালিরা তাই করে আসছে।তার জন্ন্যই বছরের অনেক গুলি দিন কে --সে বাহিরের হোক আর নিজের হোক- আপন করে নিতে পেরেছে।
উস্তাদ! মুসরিক রা "পথভ্রষ্টতায়ই"!! ডুবে আছে বলে ঘুরে ফিরে বেচে আছি--তাই না হলে তাদের মতামত যদি আমদের উপর জোর করে চাপাত অথবা আপনার মত নীচ উগ্র হিংসা মনের মধ্যে পোশন করে ,গোটা সমাজে তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেস্টা করত,তা হলে গোটা দুনিয়ার কি অবস্থা হত??
অতএব এণ্ড অফ দ্যা ডে--এক বার অন্তত সালাম ঠুকেন তাদের এবং তাদের উন্নত মানসিকতা কে-- গোটা সমাজে আজ ইসলাম ফোবিয়া----মুসলমানদের অস্তিত্য বিলপ্তি সমা্সন্ন্য--শুধু ঘেন্না আর অবিসাশ--শান্তি কে আজ অশান্তিতে পরিনত করেছেন এই আপনার মত গুটিকয়েক নিবোধ।
আর ঠীক জীবনের কী কী স্যাবব্জেক্ট কে ইসলামী খাতনা করলে---নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠন হবে ??
পাথর য়ুগের চিন্তা থেকে জাতি কে বের না করার- এই প্রয়াস- আর কতদিন ?? লজ্জা করেনা নিজেকে
নাকি মাথা থেকে ঘীলু নামক বস্তূ টী শূকিয়ে গেছে----

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



আল হাবসি,
গুরু! আপনার নামে আপনি স্বার্থক!!
নিজেরে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দেন আবার নাম রেখেছেন- 'আল হাবসি'!!! আরবি নাম!!!! গুড!!!!! ভেরি গুড!!!!!!
আবার আরবদের গালি গালাজ করেন চোখ বন্ধ করে!!!!!!!

সেরাম জিনিষ আপনি!!!!!!!!
মাথার ভিতরে বাইরে মগজ!!!!!!!!!!
মাথার চারপাশে বায়বীয় ঘিলু কিলবিল করে!!!!!!!!!!!
ঘিলুর যন্ত্রনায় কী যে লিখে যান নিজেরও পরিমাপ করার জ্ঞান থাকে না!!!!!!!!!!

তবে গুরু, জেনে রাখা দরকার,
সুবিধাবাদি দ্বিচারীদের জন্য যারা দুনিয়ার বৈধ অবৈধ যত প্রকার মজা আছে সবই লুটে নিতে চায় আবার জান্নাতেরও বড় মেহমান হতে সিরিয়ালে অগ্রগামী হতে অত্যাগ্রহী এই শ্রেনির জন্য আল্লাহ পাক পুরস্কার রেখে দিয়েছেন। তাদের জন্য জায়গাও নির্ধারন করে রেখে দিয়েছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-

'তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।

এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না।' (সূরাহ আল বাক্কারাহ, আয়াত ৮৫, ৮৬)

সুতরাং, মজা যতই মজা হোক না কেন, মজা ফুরিয়ে যাবে। অন্তহীন আখিরাতের জীবনে প্রবেশ করতেই হবে। অতএব, সাধু- সময় থাকতে সাবধান হও।

ভাল থাকবেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

আবু ছােলহ বলেছেন:



আর লেখারও তো সেই শ্রী!

লিখতে গিয়ে কলম ভাঙে দাঁত পড়ে যায় পড়তে,
সেরাম লেখা! কঠিন লেখক! কে পায় তারে ধরতে?

লাইনে লাইনে গন্ডা ভুল নয়, ডজন যাবে ছাড়িয়ে,
ভাবুক বটে! ব্যাপক জ্ঞানী! নিজকে নিজে হারিয়ে!

কোনটা রেখে কোনটা ধরি, আগাগোড়া সবই ভুল,
পড়তে গিয়ে ইচ্ছে করে, নিজেই ছিঁড়ি নিজের চুল!

এরাম লেখক লাভ করে দেশ ধইন্য হইল ধইন্য!
বাংলা ভাষা বাঁইচা আছে এই হগলের জইন্য!!!

লিখতে গিয়ে কী লিখিলাম, হায়রে এ যে কবিতা!
হাবসি গোলাম পাক আজাদি, ছাড়ুক ভান ও ভনিতা!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

আবু ছােলহ বলেছেন:



কি হে, হা------বসি, হারিয়ে গেলেন নাকি..........?

হায়! বেচারা না জানি........কোথায় কোন্ বিপদেই রয়েছে! টর্চ দিয়ে খুঁজেও তো ব্লগের কোথাও তার হদিস পাচ্ছি নে গত ক'দিন। নাকি এমনিতেই নিরুত্তর? নাকি ঘাঁপটি মেরে থাকা স্বভাব?

ঘটনা যাই হোক, আল্লাহ পাক তার বিপদ থেকে থাকলে দূর করে দিন।

কামনা করছি, তিনি আবার ফিরে আসুন।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: সোনার টুকরা ভাই আমার, আপনার কথামত ধরেই নিলাম, এটা কোন ধর্মের আচার নয়, কিন্তু যে কাজে ছেলে মেয়ে, যুবক যুবতি, ছাত্র ছাত্রী লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে একে অপরকে উইশ করার নামে, ফুল দিয়ে বরন করার নামে, মাঠে ঘাটে পার্কের অলি গলিতে পর্দা ধর্ম আল্লাহ আখেরাত সব কিছু ভুলে গিয়ে দুনিয়ার অবৈধ আনন্দে ভেসে বেড়ানোর কিছুটা সুযোগ পায়, সে কাজকে আপনি কোন্ বিবেকে, কোন্ বিবেচনায় জায়েজ ফতোয়া দিতে চান?
উত্তর ================= 2) In this day boy proposes love to girl ----
---- Boy can propose love to girl any day there isn't any regulation in this day ..boys are allowed only this to propose love to girl but other day of the year they can't ---- If boy proposes to girl in this day-- then girl isn't bounded to accept that proposal. --- But according to fotuabaz thinking girls are bounded to accept love proposal so it is haram .
3) According to fotuabaz this is the love game between boys and girls …..
…..... This day promotes ( modern concept ) love bonding among man kind. Love bonding between Father-Mother, Husband-Wife, Brothers-Sister, All Relatives – Neibour- All Region as well as Boy Friends- Girl Friends . According to modern concept of this day this love bonding not limited between Boy Friends- Girl Friends but among all man kind.

4) In this day Boy Friends – Girls Friends engage in Physical relation …..
------ Such kind of relation can't creat in a day when the love bonding between boys and girls is high then it can happen any day of the year not only in the valentine day. There is no such obligation in this day girls are bounded to have sexual relationship with their boy friends . If any boy friend and girl friend have sexual relationship then can do that any day not only Valentine day. It isn't look like they involve in that relationship on valentine day and other days aren't.

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার কথা- ''In this day Boy Friends – Girls Friends engage in Physical relation …..
------ Such kind of relation can't creat in a day when the love bonding between boys and girls is high then it can happen any day of the year not only in the valentine day. There is no such obligation in this day girls are bounded to have sexual relationship with their boy friends . If any boy friend and girl friend have sexual relationship then can do that any day not only Valentine day. It isn't look like they involve in that relationship on valentine day and other days aren't.''

ইসলাম বিবাহ পূর্ব, বিবাহ বহির্ভূত সকল যৌন সম্পর্ক হারাম বা নিষিদ্ধ সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং, বস্তা বস্তা বেহুদা জিনিষ কপি পেস্ট করে লাভ কি? বুঝার চেষ্টা থাকলে এক দু'কথাই তার জন্য যথেষ্ট নয় কি?

আপনার শুভ দিন কামনা করছি।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাল করে সুস্থ মাথায় চিন্তা করলে বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়, কিছু বিষয় রয়েছে, যেমন- খাদ্য হিসাবে চালের (রাইস) ভাত, আটার রুটি কিংবা কোন ফলমুল এগুলো ইয়াহুদিগন খেয়ে থাকেন, খৃস্টানগনও খান। অন্য ধর্মের লোক কিংবা কোন ধর্মই যিনি ফলো করেন না, তিনিও এসব খেয়ে জীবন ধারন করে থাকেন। এখন, কোন মুসলমানকে উপরোক্ত খাদ্যগুলো খেতে দেখলে কি আপনি বলবেন, যে তিনি ঐসব ধর্মের অনুসারীদের অনুসরন করে উক্ত খাদ্যগুলো গ্রহন করছেন?

খাওয়া দাওয়া বুঝি আপনার কাছে ডিভাইন রিচুয়াল ?? মাথায় হিজাব পরার নির্দেশ বাইবেলে আছে কিন্তু কোরানে নেই , সুতরাং কেউ যদি পরে তাহোলে বাইবেল ফলোকরা হোল এবং হাদিসে বলা আছে অন্য ধর্মের রিচুয়াল ফলো করা গুণাহের কাজ এবং হারাম । হিন্দু বিবাহিত মহিলারা মাথায় সিদুর দেয় সেটা মুসলমান মেয়েদের জন্য কি হারাম নহে ???

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



দাদা, বাইবেল ফলো করতে চাইলে আপনি করতে পারেন। না করলেও কেউ তা করতে আপনাকে বাধ্য করছে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- এই যে না জেনে অন্ধকারে একের পর এক ঢিল ছুঁড়ে যাচ্ছেন, এটার অর্থ কি? কোথায় পেয়েছেন, কোন্ আল্লামা আপনাকে বলেছেন, কোন্ জঙ্গলে গিয়ে আপনি এই উদ্ভট কথা আবিষ্কার করেছেন যে, ''মাথায় হিজাব পরার নির্দেশ বাইবেলে আছে কিন্তু কোরানে নেই,''।

আপনি কি আরবি শব্দ 'খিমার', 'খুমুর', 'জিলবাব', 'জালাবীব' -এগুলোর অর্থ জানেন?

না জানলে দয়া করে জেনে নিন। বলছি- আরবি 'খিমার' শব্দটি একবচন। বহুবচনে 'খুমুর'। অর্থ- ঐ কাপড় যা নারীরা মাথায় ব্যবহার করে থাকেন এবং তা দ্বারা গলা ও বক্ষদেশ আবৃত করা হয়। আর 'জিলবাব' শব্দটি একবচন। বহুবচনে- 'জালাবীব'। অর্থ- বড় চাদর। ঐ চাদরকে আরবিতে 'জিলবাব' বলা হয় যা ওড়নার মত করে বোরকার পরিবর্তে পরিধান করা যায়। আপনার বিস্তারিত জানার সুবিধার্থে কুরআনের রেফারেন্স দেয়া হল-

১. ''ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।'' (আয়াত ৩১, সূরাহ আন নূর)।

২. ''হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ মাথা থেকে নিজেদের মুখমন্ডলের নিম্নদিকে ঝুলিয়ে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।'' (আয়াত ৫৯, সূরাহ আল আহযাব)।

পবিত্র কুরআনের মাত্র দু'টি আয়াত এখানে উল্লেখ করা হল। আশা করি, আপনার ভুল ভাঙ্গানোর জন্য এই প্রমানই যথেষ্ট হবে।

কথাগুলোয় কষ্ট পেলে মাফ করবেন।

আপনার অনিশেষ মঙ্গল কামনা করছি।

১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলাম বিবাহ পূর্ব, বিবাহ বহির্ভূত সকল যৌন সম্পর্ক হারাম বা নিষিদ্ধ সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং, বস্তা বস্তা বেহুদা জিনিষ কপি পেস্ট করে লাভ কি? বুঝার চেষ্টা থাকলে এক দু'কথাই তার জন্য যথেষ্ট নয় কি?

আমি কখন কি দাবি করেছি এই ধরনের সম্পর্ক ইসলাম অনুমোদন করে ? যাদের মধ্যে এই ধরনের সম্পর্ক আছে তারা যে কোন দিন এই সব করতে পারে । তারা ডেটিং যদি ভ্যালেনটাইন ডে তে করে সেদিন তারা সেটা কোরতে পারে , যদি জুম্মার দিন ডেটিং করে সেদিন করতে পারে, যদি রোজার দিনে ডেটিং করে সেদিন কোরতে পারে , যদি ঈদের দিন ডেটিং করে সেদিন এই সব কর্ম করতে পারে ------ ভ্যালেনটাইন ডের দোষ কেন ? যাদের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত চলে গেছে তারা যে কোন দিন যে কোন সময় লিভ টুগেদার করতে পারে ।
না জানলে দয়া করে জেনে নিন। বলছি- আরবি 'খিমার' শব্দটি একবচন। বহুবচনে 'খুমুর'। অর্থ- ঐ কাপড় যা নারীরা মাথায় ব্যবহার করে থাকেন এবং তা দ্বারা গলা ও বক্ষদেশ আবৃত করা হয়

ডাহা মিথ্যা কথা -- খিমার অর্থ শুধু মাত্র মাথার কাপড় নহে ---- আগে ও দিয়েছি যদি ইংরেজি না বুঝেন তাহোলে কারো কাছে জিঙ্গাসা করে যেনে নিন --- Khimar" is an Arabic word that means, cover, any cover, a curtain is a Khimar, a dress is a Khimar, a table cloth that covers the top of a table is a Khimar, a blanket can be used as a Khimar..etc. The word KHAMRA used for intoxicant in Arabic has the same root with Khimar, because both covers, the Khimar covers (a window, a body, a table . . . etc.) while KHAMRA covers the state of mind. Most of ...the translators, obviously influenced by Hadith (fabrications) translate the word as VEIL and thus mislead most people to believe that this verse is advocating the covering of the head.
In 24:31 God is asking the women to use their cover (khimar)( being a dress, a coat, a shawl, a shirt, a blouse, a tie, a scarf . . . etc.) to cover their bosoms, not their heads or their hairs. If God so willed to order the women to cover their heads or their hair, nothing would have prevented Him from doing so. God does not run out of words. God does not forget. God did not order the women to cover their heads or their hair.
God does not wait for a Scholar to put the correct words for Him!
The Arabic word for CHEST, GAYB is in the verse (24:31), but the Arabic words for HEAD, (RAAS) or HAIR, (SHAAR) are NOT in the verse. The commandment in the verse is clear - COVER YOUR CHEST OR BOSOMS, but also the fabrication of the scholars and most of the translators is clear by claiming- cover your head or hair.
''ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে
খিমার শব্দের অর্থ শুধু মাথার ওড়না নহে
. ''হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ মাথা থেকে নিজেদের মুখমন্ডলের নিম্নদিকে ঝুলিয়ে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।'' (আয়াত ৫৯, সূরাহ আল আহযাব)।

----- এতে তাদের চেনা সহজ হবে ( বল্ড করা অংশ ) ---- তার মানি নিকাব দিয়ে মুখ ঢাকা যাবে না তাহোলে সহজে চেনা যাবে না ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৯

আবু ছােলহ বলেছেন: "এ আর ১৫ বলেছেন: আমি কখন কি দাবি করেছি এই ধরনের সম্পর্ক ইসলাম অনুমোদন করে ? যাদের মধ্যে এই ধরনের সম্পর্ক আছে তারা যে কোন দিন এই সব করতে পারে । তারা ডেটিং যদি ভ্যালেনটাইন ডে তে করে সেদিন তারা সেটা কোরতে পারে , যদি জুম্মার দিন ডেটিং করে সেদিন করতে পারে, যদি রোজার দিনে ডেটিং করে সেদিন কোরতে পারে , যদি ঈদের দিন ডেটিং করে সেদিন এই সব কর্ম করতে পারে ------ ভ্যালেনটাইন ডের দোষ কেন ? যাদের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত চলে গেছে তারা যে কোন দিন যে কোন সময় লিভ টুগেদার করতে পারে ।"

-আপনি তালগাছ দাবি করেন নি ঠিক, কিন্তু গাছটি দখলে নেয়ার সকল অায়োজন কৌশলে সেরে নিয়েছেন, মনে হচ্ছে। যে ভালবাসা দিবস নিয়ে আমাদের এই কথোপকথন, সত্যি করে বলুনতো আমাদের এই সমাজে এটা কোন্ শ্রেনির মানুষ পালন করে থাকে? মুসল্লি, মুত্তাকিনগন? ধর্মপ্রান মুসলমানবৃন্দ? আলেম ওলামা? নামাজী রোজাদার পরহেজগারগন?

নাকি যারা ধর্ম কর্ম ইত্যাদিকে নিজেদের জন্য বাড়তি ঝামেলা মনে করেন, এগুলো থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে চেষ্টা করেন, তারা এইসব আলতু ফালতু দিবস পালনের সময় পেয়ে থাকেন?

ভাই, আসলে এই দিবসটির চেহারা দেখে বড় মায়া লাগে। কি সুন্দর নামরে! বা-ব্বা-হ! বিশ্ব ভালবাসা দিবস! বিভ্রান্ত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আসলে কি জানেন, এসব দিবস ফিবস হচ্ছে শয়তানের শয়তানির বীজ বপনের আচ্ছা ক্ষেত্র।

একটু দেখা, একটু ছোঁয়া, একটু মায়া, একটু হাসি, একটুকরো নিষ্পাপ ফুল বিনিময়, এতে কী এমন ক্ষতি হয়?

বলবেন, মোল্লারাই সব নষ্টের মূল!

আসলেই তাই!

এগুলো থেকেই আসল অশ্লীলতার বীজ বপন হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে থাকে।

আপনি বুঝলে ভাল, না বুঝলে আমার জ্ঞানের ক্ষুদ্রতার জন্য আমিই দায়ী।

তবু ভাল থাকবেন।

১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: মেয়েদের নিকাব পরা বা চেহারা গোপন করার বিষয়ে কোরানের সুরা আযাব আয়াত ৫৯ ( ৩৩-৫৯) তে সুস্পষ্ঠ নির্দেশ আছে -------- হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।---- এই আয়াতে পরিষ্কার ভাবে বোলেছে ---এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে।----- সুতরাং আইডেনটিকেশনের জন্য মুখ খোলা রাখতে হবে চেহারা আড়াল করা যাবে না ?? মুখ ঢেকে রাখলে তাদের অতি সহজে চেনা যাবে না ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার বক্তব্য:
"সুতরাং আইডেনটিকেশনের জন্য মুখ খোলা রাখতে হবে চেহারা আড়াল করা যাবে না ?? মুখ ঢেকে রাখলে তাদের অতি সহজে চেনা যাবে না ।"

অামাদের কথা:
প্রথমত: কুরআনের সূরাহ আল আহযাব -এর ৫৯ নং আয়াতে উল্লেখিত এই আইডেন্টিফিকেশন দ্বারা ব্যক্তি উদ্দেশ্য নয়, অাঞ্চলিক পরিচিতি উদ্দেশ্য। যেমন, হজ্বের সময় বিভিন্ন গোত্র থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষের পাশাপাশি নারীগনও পবিত্র হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফে আগমন করে থাকেন। তাদের এক এক এলাকার এক এক ধরনের পদ্ধতি বিদ্যমান। স্ব স্ব এলাকার বস্ত্র পরিচ্ছদ দেখে মহিলাদের চিনে নেয়া উদ্দেশ্য। এখানে সেই দিকে ইঙ্গিত করা হয়ে থাকতে পারে।

দ্বিতীয়ত: অত্র আয়াতাংশের আরেকটি অর্থ করা যায় এভাবে- আয়াতের 'জালিকা আদনা আইয়্যূরফনা ফালা- ইউ'জাইনা' অংশের আরেকটি অর্থ- এটা তাদের জন্য উত্তম হবে যে, তাদের কষ্ট দেয়া হবে না। সুতরাং 'আইয়্যূরফনা' শব্দ দ্বারা এখানে 'চেনা' উদ্দেশ্য নয় বরং শব্দটির অর্থ উত্তম বা মঙ্গলময়।

আল্লাহ পাকই সর্বজ্ঞাতা।

এছাড়া তাফসীরের কিতাবগুলোতে আরও কোন অর্থ বা উদ্দেশ্য অত্র আয়াতাংশ থেকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আবারও আপনার জন্য শেয়ার করার ইচ্ছে রয়েছে।

ভাল থাকবেন।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২০

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি রিতীমত মিথ্যাচার করে ধর্মের অপব্যাখা করে প্রমাণ করতে চেয়েছেন ভ্যালেনটাইন ডে খৃষ্টান ধর্মের উৎসব হারাম এবং এই দিন ছেলে মেয়েদের অবৈধ যৌন কর্মের উৎসাহ দেয় । সেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা প্রমাণ দিয়েছি । আপনার মিথ্যাচারের উদাহরন

১) বিশ্ব ভালবাসা দিবস; একটু পিছনে ফিরে দেখা:
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দুই শত সত্তর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন সাধু, তরুণ প্রেমিকদেরকে গোপন পরিণয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিত। এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এ দিনটির নাম করণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’।

----- রোম সম্রাট তরুন তরুনি বিশেষ করে অবিবাহিত সেনা সদস্যদের বিবাহ নিশিদ্ধ করেছিল । দেশের মানুষ মেনে নেয় নি । কেউ তরুন তরুনিদের বিয়ে দেওয়ার সাহস করেনি । তখন এই সমস্ত যুবক যুবতী সম্রাটের প্রশাসনিক নজরদারিকে ফাকি দিয়ে গোপন অভিষারে মিলিত হোত , তাদের এই বাধ্য হয়ে অবৈধ মেলামেশাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য জীবণের মায়া তুচ্ছ করে সেন্ট ভ্যালেনটাইন এগিয়ে এলেন এবং তাদের গোপনে বিয়ে দিয়ে সম্পর্কে বৈধ করার সুযোগ দিলেন । সম্রাটের আদেশ অমান্য করে গোপনে প্রমিক যুগলদের বিবাহ দেওয়ার জন্য তাকে মৃর্তু দন্ড দেওয়া হয় ।
সম্রাট বিবাহ নিশিদ্ধ করেছে এবং সম্রাটের আদেশ অমান্য করে সেন্ট ভ্যালেনটাইন গোপনে বিয়ে দিয়েছে ----- বুঝলাম সম্রাটের কাছে এটা মহা অপরাধ কিন্তু আপনেদের মত ধর্ম অপব্যাখা কারি কাটদের কাছে কি কারনে নর নারীর বাধ্য হয়ে অবৈধ মেলামেশাকে বিয়ে দিয়ে বৈধ করা অপরাধ ? তিনি তো গোপনে বিয়ে দিয়ে মেলামেশাটাকে বৈধতার রুপ দিয়েছিলেন সেটা সম্রাটের কাছে অপরাধ কিন্তু আপনাদের মত মিথ্যা ধর্মীয় আচার চর্চা কারিদের কাছে কেন এটা অপরাধ ??? কোন প্রিস্ট সম্রাটর আদেশ অমান্য করে তাদের বিয়ে দিল না সেখানে একজন সবার বিয়ে দিতে সাহায্য কোরলো -- সেটা নাকি মহাঅপরাধ !!!!!! এরে না কয় বেহুদা কাটমোল্লা !!!!!
২) সাম্প্রতিক সময়ে ‘ভালবাসা দিবস’ উদযাপন অনেকের (বিশেষ করে ছাত্রীদের) মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে; যা খ্রিষ্টানদের একটি উৎসব
প্রমাণ দেখান বাইবেলের কোথায় এই দিবস পালনের নির্দেশ আছে ? যে ঘটনা ২৭০ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে সেই ঘটনা কি করে বাইবেলের অংশ হোল এবং কি করে খৃষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব হোল ??? মিথ্যাচারিতার একটা সীমা থাকা দরকার !!!!
৩) ইসলাম বিবাহ পূর্ব, বিবাহ বহির্ভূত সকল যৌন সম্পর্ক হারাম বা নিষিদ্ধ সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং, বস্তা বস্তা বেহুদা জিনিষ কপি পেস্ট করে লাভ কি? বুঝার চেষ্টা থাকলে এক দু'কথাই তার জন্য যথেষ্ট নয় কি?
আমি কখন কি দাবি করেছি এই ধরনের সম্পর্ক ইসলাম অনুমোদন করে ? যাদের মধ্যে এই ধরনের সম্পর্ক আছে তারা যে কোন দিন এই সব করতে পারে । তারা ডেটিং যদি ভ্যালেনটাইন ডে তে করে সেদিন তারা সেটা কোরতে পারে , যদি জুম্মার দিন ডেটিং করে সেদিন করতে পারে, যদি রোজার দিনে ডেটিং করে সেদিন কোরতে পারে , যদি ঈদের দিন ডেটিং করে সেদিন এই সব কর্ম করতে পারে -----তাহোলে ভ্যালেনটাইন ডের দোষ কেন ? যাদের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত চলে গেছে তারা যে কোন দিন যে কোন সময় লিভ টুগেদার করতে পারে ।"

সুতরাং ভ্যালেনটাইন ডে সম্পর্কে যত সব অভিযোগ এনেছেন সব মিথ্যা বায়োনট এবং ভুয়া ।

, সত্যি করে বলুনতো আমাদের এই সমাজে এটা কোন্ শ্রেনির মানুষ পালন করে থাকে? মুসল্লি, মুত্তাকিনগন? ধর্মপ্রান মুসলমানবৃন্দ? আলেম ওলামা? নামাজী রোজাদার পরহেজগারগন?

আপনাদের মত মিথ্যা অপব্যাখাকারি এবং যে সমস্ত মানুষ এই সব অপব্যাখায় বিভ্রান্ত হয়েছে তারা ছাড়া অন্য কেউ এই দিবসের মধ্যে কোন সমস্যা দেখে না । আপনাদের মত ধর্মীয় প্রতারক শ্রেণীর কাছে শুধু ভ্যালেনটাইন ডে নহে বিজয় দিবস , ভাষা দিবস, স্বাধীণতা দিবস , পহেলা বৈষাখ, নিউ ইয়ার , শ্রমিক দিবস, শিশু দিবস , মাতা দিবস , শবে বরাত , ঈদে মিলাদুন নবী ইত্যাদি সহ যত দিবস আছে সেগুলো হারাম !!!!! আপনারা সব কিছুর মধ্যে খালি যৌন চর্চা খুজেন এবং সেটাকে ভিত্তি করে মিথ্যা ফতুয়া বানান । ভ্যালেনটাইন ডে মধ্য যৌন চর্চার অভিযোগ যতারিতী আমদানি করেছেন তার জবাব ও দেওয়া হয়েছে --- ((((( যাদের মধ্যে এই ধরনের সম্পর্ক আছে তারা যে কোন দিন এই সব করতে পারে । তারা ডেটিং যদি ভ্যালেনটাইন ডে তে করে সেদিন তারা সেটা কোরতে পারে , যদি জুম্মার দিন ডেটিং করে সেদিন করতে পারে, যদি রোজার দিনে ডেটিং করে সেদিন কোরতে পারে , যদি ঈদের দিন ডেটিং করে সেদিন এই সব কর্ম করতে পারে ------ তাহোলে ভ্যালেনটাইন ডের দোষ কেন ? যাদের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত চলে গেছে তারা যে কোন দিন যে কোন সময় লিভ টুগেদার করতে পারে ।";)))))))

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

আবু ছােলহ বলেছেন:


এ আর ১৫ বলেছেন: ''আপনি রিতীমত মিথ্যাচার করে ধর্মের অপব্যাখা করে প্রমাণ করতে চেয়েছেন ভ্যালেনটাইন ডে খৃষ্টান ধর্মের উৎসব হারাম এবং এই দিন ছেলে মেয়েদের অবৈধ যৌন কর্মের উৎসাহ দেয় । সেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা প্রমাণ দিয়েছি ।''

-দোস্ত! মাইন্ড খাবেন না, প্লিজ! ভাবতে অবাক লাগে, আপনার মত জেগে ঘুমানো কূম্ভকর্নদের গভীর নিদ্রা ভাঙ্গানো কার পক্ষে সম্ভব! আপনিতো মনে হয়, এইসব আবোল তাবোল দিবসকে আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে নতুন করে অহী অবতীর্ন করাতে পারলে তাও করতে পিছপা হতেন না!

আর- 'ভ্যালেনটাইন ডে খৃষ্টান ধর্মের উৎসব হারাম' নয়তো কী? আপনি কি বলতে চান- 'ভ্যালেনটাইন ডে ইসলাম ধর্মের উৎসব এবং মুসলিমদের জন্য ইহা পালন করা অপরিহার্য হালাল'? হালাল করতে পারলে করুন। আমরাও ফলো করব। হাদিস কুরআন থেকে প্রমান দিন। ইতিহাস কিচ্ছা কাহিনী কপি পেস্ট করার প্রয়োজন নেই। আর প্রমান দিতে না পারলে বেহুদা ক্যাচাল করে হয়রান পেরেশান নাজেহাল না হয়ে সঠিক পথে ফিরে আসুন। আল্লাহ পাকের অবারিত রহমতের দীঘল দরাজ প্রশস্ত পথ এখনও সদা উম্মুক্ত!!!!

আর আপনি বলেছেন-'এই দিন ছেলে মেয়েদের অবৈধ যৌন কর্মের উৎসাহ দেয়। সেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা প্রমাণ দিয়েছি।' হ্যাঁ, বিরাট একখান কথা বলেছেন বৈকি!!

আপনি কোথায় কিভাবে এই জিনিষটার প্রমান দিলেন, আপনিই জানেন। বরং আপনার কথার বিপরীতে আমার কাছে এরকম ভুরি ভুরি প্রমান রয়েছে। সামাজিক নৈতিক চরিত্রের চরম অবক্ষয়ের হাজারো বিচিত্র অঘটন যাপিত জীবনে এই সময় এই সমাজের পরতে পরতে আপনাদের সামনেও হর হামেশা ঘটে থাকে, অস্বীকার করতে পারবেন? সেসবের প্রকাশ ঘটলে তখন আপনাদের উটপাখির মত মাথা নিচু করে থাকতে দেখি! তখন আপনাদের সুশীল নামের কেউকেটাগুলোও কুলুপ মুখে অমেরুদন্ডী প্রানীর মত গভীর নিরবতা পালনে ব্রতি হয়ে ওঠেন! আমার মনে হয়, লেখাটি আপনার পড়া না হয়ে থাকতে পারে! বিষয় সম্পৃক্ততার দরুন এই লেখাটি উদাহরন হিসেবে দেখে মনে হয় আপনি খুশি হতে পারবেন। বাস্তবতার নিরিখে লেখা ব্লগার 'মেহেদী হাসান নিলয়' -এর 'বাঙালি-লেবু চিপার গল্প' লেখাটি ভাল না লাগলে মূল্য ফেরত! দেখুনতো, পড়ার মত সময় করে উঠতে পারেন কি না!!!

*”ভালোবাসা দিবস” VS ”বাঙালি-লেবু চিপার গল্প”
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
একঃ
১৪ ই ফেব্রুয়ারি সকাল বেলা। সব প্রেমিক-প্রেমিকাদের মত আকিবের মনে আজ প্রচন্ড উত্তেজনা। সেই উত্তেজনা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে। সাত সকালেই ঘুম ভেংগে দেখেছে, শরীরের কিছু একটা বিশ্বাসঘাতকতা করে ইতিমধ্যেই তার লুঙ্গিকে তাবু বানিয়ে ফেলেছে। কারন, গত রাতে কথা হয়েছিল গার্লফ্রেন্ড তমা’র সাথে.... সে আশ্বাস দিয়েছে- জানু! আজকে কিন্তু হবে....! (কি হবে, তা জানতে সামনে আগান..)

দুইঃ
তমা’র সাথে দেখা হবে সেই বিকেল বেলা- ’ক্লোজ আপ’ পার্কে। ভাবতে শুরু করলো আকিব... কত মধুর স্মৃতি জমে আছে পার্কের প্রতিটি ঘন ঝোপে, প্রতিটি গাছের নিচে। এই ‘ক্লোজ আপ’ পার্ক থেকেই তো তাদের কাছে আসার গল্প, ছোঁয়াছুঁয়ির গল্প শুরু। তমা কথা দিয়েছে, আজকে সন্ধ্যায় লিটনের খালি ফ্ল্যাটে তাদের আরো কাছে আসার গল্প রচিত হবে। বয়ফ্রেন্ড হলো হাজব্যান্ডের মত- এসব কথা তমা’র মত আধুনিকা মেয়েরা অনেক আগে থেকেই জানে। তমার এই উন্নত মানসিকতা দেখে আকিবের বুক (পড়ুন অন্যকিছু) গর্বে ফুলে উঠলো।

তিনঃ
কিন্তু সকাল বেলাটা কিভাবে কাটানো যায়? ও হ্যাঁ! ডিপার্টমেন্টের ‘যাষ্ট ফ্রেন্ড’ অনু’র সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসাটা ব্যয় না করলেই নয়। আকিব এক তোড়া ফুল নিয়ে ’যাষ্টফ্রেন্ড’ অনু’র বাসায় গেল। দৌড়ে এসে আকিবকে জড়িয়ে ধরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো অনু, তারপর ”কেমন আছিস দোস্ত”- বলে তার গালটাও একটু টেনে দিল। ব্যাপার নাহ! আকিবের কাছে বরং আদুরে ছোঁয়াটা বেশ ভালোই লাগলো, মনে পড়ে গেল গার্লফ্রেন্ড তমা’র সাথে ঝোপের আড়ালে সেই ছোঁয়াছুঁয়ি ও কিসিমিসি (বুঝে পড়ুন) বিনিময়ের কথা।
(ব্যাকগ্রাউন্ড সং হবেঃ ☉▶ সেদিন কত সুন্দর দিন কাটাইছিলাম.... ভার্সিটির ছেলেরা... আর কিউত কিউত মেয়েরা... একসাথে বেড়াইছিলাম আর ইশক ইশক খেলেছিলাম।)

চারঃ
বিকেল বেলা ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পার্কে দু’জনের রসালো মহব্বত বিনিময়ের পর, আকিব এখন সিএনজিতে করে তমাকে নিয়ে লিটনের ফ্ল্যাটের দিকে ছুটছে। দু’জনেরই অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না, আজকে যে হবে.....! তমাকে লিটনের ফ্ল্যাটে রেখে আকিব ফার্মেসিতে গেল- স্ট্রবেরী ফ্লেভারের বেলুন কিনতে (বিজ্ঞাপন দেখে দেখে সব ফ্লেভার এখন নাকি বাচ্চাদেরও মুখস্ত হয়ে গেছে!)। এসব ব্যাপারে সে সাংঘাতিক সতর্ক। এটা তার চতুর্থ শিকার। তারপর সে লিটনের ফ্ল্যাটে ফিরে আসলো। তারপর..... যা ঘটার তাই ঘটলো...। পবিত্র(!) ভালোবাসার পবিত্র(!) বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের ভালোবাসার ষোলকষা পূর্ণ হলো।
(ব্যাকগ্রাউন্ড সং হবেঃ ☉▶ নিশিতে যাইও ফুলবনে রে ভোমরা। নিশিতে যাইও লিটনের ফ্ল্যাটে। জ্বালায়ে ক্যামেরার বাতি, আমি ভিডিও করবো সারা-রাতি গো।)

পরিশিষ্টঃ
এক বছর পর...। আকিব আর তমা’র মাঝে এখন আর কোন সম্পর্ক নেই। ক’দিন আগেই আকিব তমাকে বিয়ে করতে চূড়ান্ত অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তমা বিয়ের জন্যে চাপ দেয়ায়, আকিব ”লিটনের ফ্ল্যাটে তাদের পবিত্র ভালোবাসা বিনিময়ের ভিডিও” ইউটিউবে ছেড়ে দিয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউবের কল্যানে, ছোকরা থেকে বুড়ো, সবার হাতে হাতে এখন এক ঐতিহাসিক(!) লিংকঃ ”ফাঁস হয়ে গেল আকিব-তমার ভিডিও”। তমা’র পৃথিবীটা এখন অন্ধকার, সেই সাথে আকিবেরও। আকিবের বিরুদ্ধে সে আইসিটি আইনে মামলা করেছে, হয়তো আকিবের শাস্তি হবে (যদিও দু’জনেই যেনার দায়ে অপরাধী)। কিন্তু, তমা যা হারিয়েছে, যে সম্মান তারা দু’জনেই হারিয়েছে, তার কোন ক্ষতিপূরণ কখনো হবে কি?

[লেখকের স্বীকারোক্তিঃ অনেকক্ষন ধরে কচলিয়ে কচলিয়ে এই বাঙালি লেবু-জাতিকে চিপলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয়ঃ এই লেবু-জাতির রস পুরোপুরি বের হবে না (সবার লালসা দুর হবে না)। বিবাহপূর্ব অবৈধ প্রেম ও বয়ফেন্ড-গার্লফ্রেন্ড সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী এই বাঙালি জাতির অনেকেই শত সাবধান বাণী ও ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা জানা সত্ত্বেও, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস পালনে বের হবে, পার্কে গিয়ে নোংরামী করবে ও লিটনের ফ্ল্যাটে গিয়ে খাঁট কাঁপাবে। আসলে বাঙালি জাতির একেকটা এতটাই লেবু হয়েছে যে, এদের রস শুধু লিটনের ফ্ল্যাটে গেলেই বের হয়! - Kamal Uddin Mehed (মেহেদী হাসান নিলয়)]*



আপনি আবার বলেছেন- ''প্রমাণ দেখান বাইবেলের কোথায় এই দিবস পালনের নির্দেশ আছে ? যে ঘটনা ২৭০ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে সেই ঘটনা কি করে বাইবেলের অংশ হোল এবং কি করে খৃষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব হোল ??? মিথ্যাচারিতার একটা সীমা থাকা দরকার !!!!''

-দোস্ত, এত দেখি মাইন্ড খেতে খেতে আপনার দশাসই অবস্থা! এতে লাভ কি? সত্যটাকে চিনে, বুঝে, জেনেও আপনাদের এই পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রানান্তকর প্রচেষ্টা দেখে সত্যি হাসি পায়! মিথ্যা বুঝে, চিনে, জেনেও আলেয়ার পেছনে ছুটে চলার মত এই যে ছলনার পেছনে ছুটে ছুটে হয়রান হচ্ছেন, পেরেশান হচ্ছেন, কখনও আবার পাগলের মত নিজের জয়গান করছেন, মজা পাচ্ছি!

-শুনুন, আমি কি বলেছি, এই ভালবাসা দিবস বাইবেলে আছে তাই এটি খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রথা বলে আমাদের নিকট পরিত্যাজ্য? আবার বলি, ভাল করে শুনে রাখুন, বাইবেলে কি আছে কিংবা কি নেই, আমার দেখার বিষয় নয়, এ্যাজ এ মুসলিম আমার অধিকার রয়েছে, কুরআন হাদিস অনুসরন করে জীবনের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ ফেলে ফেলে পার্থিব এই ক্ষুদ্র জীবনের সময়গুলো অতিবাহিত করার। সুতরাং কুরআন হাদিস এবং মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের বাইরে গিয়ে ল্যাংটাদের নষ্টামী ধার করে তথাকথিত আধূনিক সেজে বেহায়াদের খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করানোর সময় আমাদের অন্তত: নেই!!! এই হাদিসখানা জানা আছে আপনার? ''মান তাশাব্বাহা বিক্কওমিন ফাহুআ মিনহুম''। জানা থাকলে অর্থসহ আলোচনা করলে খুশি হব।

পুনশ্চ: ভ্যালেন্টাইন ডে' এর ইতিহাস লিখতে গিয়ে এর উৎপত্তিসহ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে তথ্যগত ভুল থাকলে সেটা অস্বাভাবিক নয়। এটা পুন:যাচাইয়ের প্রত্যাশা রাখি। এটা নিয়ে এমন আহামরি করারও কিছু নেই! ইতিহাস যাই থাক, বর্তমান নৈতিক অবক্ষয়ের ক্ষয়িষ্ণু এই যুগে এই ধরনের একটি দিবস যে নষ্টদের নষ্টামীতে 'নিভূ নিভূ তুষের অনলে ঘি ঢেলে দেয়া' -এই দিবালোকের মত পরিষ্কার সত্যটাকে কোনও অন্ধও বোধ করি, অস্বীকার করবেন না। আর বুঝতেই তো পারছেন, এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল, এই নষ্ট দিবসটি পালনের ভাল মন্দ যাচাই করা এবং মুসলিমদের এটি নিয়ে সম্ভাব্য করনীয় কী হতে পারে, তা আলোচনা করা।

ভাল থাকবেন।

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

এ আর ১৫ বলেছেন: শুনুন, আমি কি বলেছি, এই ভালবাসা দিবস বাইবেলে আছে তাই এটি খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রথা বলে আমাদের নিকট পরিত্যাজ্য? আবার বলি, ভাল করে শুনে রাখুন, বাইবেলে কি আছে কিংবা কি নেই, আমার দেখার বিষয় নয়..So you like to 270 years before Jesus Christ advised to celebrate valentine day on 14th February. Sabas..
শুনুন, আমি কি বলেছি, এই ভালবাসা দিবস বাইবেলে আছে তাই এটি খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রথা বলে আমাদের নিকট পরিত্যাজ্য? ........ then why head covering hijab isn't rejectable because it in the bible not on the Quran.
ন-'এই দিন ছেলে মেয়েদের অবৈধ যৌন কর্মের উৎসাহ দেয়। সেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা প্রমাণ দিয়েছি।' হ্যাঁ, বিরাট একখান কথা বলেছেন বৈকি!!

আপনি কোথায় কিভাবে এই জিনিষটার প্রমান দিলেন, আপনিই জানেন।
Answer. . আমি কখন কি দাবি করেছি এই ধরনের সম্পর্ক ইসলাম অনুমোদন করে ? যাদের মধ্যে এই ধরনের সম্পর্ক আছে তারা যে কোন দিন এই সব করতে পারে । তারা ডেটিং যদি ভ্যালেনটাইন ডে তে করে সেদিন তারা সেটা কোরতে পারে , যদি জুম্মার দিন ডেটিং করে সেদিন করতে পারে, যদি রোজার দিনে ডেটিং করে সেদিন কোরতে পারে , যদি ঈদের দিন ডেটিং করে সেদিন এই সব কর্ম করতে পারে -----তাহোলে ভ্যালেনটাইন ডের দোষ কেন ? যাদের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত চলে গেছে তারা যে কোন দিন যে কোন সময় লিভ টুগেদার করতে পারে ।"
You quote the story of Lebu kochlano kahini ...
Answer. ... আমি কখন কি দাবি করেছি এই ধরনের সম্পর্ক ইসলাম অনুমোদন করে ? যাদের মধ্যে এই ধরনের সম্পর্ক আছে তারা যে কোন দিন এই সব করতে পারে । তারা ডেটিং যদি ভ্যালেনটাইন ডে তে করে সেদিন তারা সেটা কোরতে পারে , যদি জুম্মার দিন ডেটিং করে সেদিন করতে পারে, যদি রোজার দিনে ডেটিং করে সেদিন কোরতে পারে , যদি ঈদের দিন ডেটিং করে সেদিন এই সব কর্ম করতে পারে -----তাহোলে ভ্যালেনটাইন ডের দোষ কেন ? যাদের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত চলে গেছে তারা যে কোন দিন যে কোন সময় লিভ টুগেদার করতে পারে ।" ...... if they date on the Eid day then what is your opinion about Eid day ?????

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

আবু ছােলহ বলেছেন:



'' এ আর ১৫ বলেছেন: -----তাহোলে ভ্যালেনটাইন ডের দোষ কেন ? যাদের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত চলে গেছে তারা যে কোন দিন যে কোন সময় লিভ টুগেদার করতে পারে ।"

-বিনীতভাবে বলছি, বুঝেই যদি থাকেন তাহলে আর বেহুদা ঘ্যানর ঘ্যানর করে লাভ কী? বাহ্যিক দৃষ্টিতে এইসব জিনিষকে খারাপ বলার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু, এর ভিতরে মরনঘাতী বিষের ছোবল লুকায়িত থাকে। লেবু কচলানোর ভিতরে তার কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন মনে হয়। তো এই যদি হয় বাস্তবতা, আমাদের কি সাবধানে আরও সতর্কতার সাথে জীবন যাপন করা উচিত নয়?

" এ আর ১৫ বলেছেন: Answer. ... আমি কখন কি দাবি করেছি এই ধরনের সম্পর্ক ইসলাম অনুমোদন করে ?"

-বেশ সুন্দর কথা! এইতো এতক্ষনে আপনি পয়েন্টে চলে এসেছেন। ধন্যবাদ।

সত্যি যদি তা দাবি না করে থাকেন তাহলে আপনার এই কথা প্রমান করে, আপনি এটাকে ইসলাম অনুমোদিত কোন কিছু মনে করেন না। অতএব কারনে আমরা এটাও ধরে নিতে পারি, আপনি এই জাতীয় ধ্বংসাত্মক দিবস পালনের পক্ষে আর একটি যুক্তিও আমাদের (মুসলমানদের) জন্য খুঁজতে যাবেন না।

অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আবারও কষ্ট করে আপনার বক্তব্য শেয়ার করায়।

আপনার মঙ্গল কামনা করছি।

১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: আমি কখন কি দাবি করেছি এই ধরনের সম্পর্ক ইসলাম অনুমোদন করে ?"
-বেশ সুন্দর কথা! এইতো এতক্ষনে আপনি পয়েন্টে চলে এসেছেন। ধন্যবাদ।
সত্যি যদি তা দাবি না করে থাকেন তাহলে আপনার এই কথা প্রমান করে, আপনি এটাকে ইসলাম অনুমোদিত কোন কিছু মনে করেন না। অতএব কারনে আমরা এটাও ধরে নিতে পারি, আপনি এই জাতীয় ধ্বংসাত্মক দিবস পালনের পক্ষে আর একটি যুক্তিও আমাদের (মুসলমানদের) জন্য খুঁজতে যাবেন না।

জী আমি বলেছি -- এই ধরনের সম্পর্ককে তার মানি বিবাহ বহিরভুত যৌন সম্পর্ককে ইসলাম অনুমোদন করে না কখনো বলিনি ভালোবাসা দিবসকে ইসলামের ইথিকসের সাথে সংঘর্সিক । এই ধরনের শারিরিক সম্পর্ককে শুধু ইসলাম কেন খৃষ্টান ইহুদি বৌদ্ধ হিন্দু সহ ৯৯ % ধর্ম অনুমোদন করে না । ভালোবাসা দিবস শুধু মাত্র প্রেমিক প্রেমিকার যৌনাচার নহে , মানুষে মানুষে ভালোবাসা , পিতা মাতা ,ভাই বোন, আত্বিয় স্বজন , পাড়াপড়শি সবার মধ্য ভালোবাসা । ঈদের দিনে যদি প্রেমিক প্রমিকা ডেটিং করে যৌনাচার করে তখন কি ঈদ পালন করা হারাম হয়ে যাবে ?
কিন্তু, এর ভিতরে মরনঘাতী বিষের ছোবল লুকায়িত থাকে। লেবু কচলানোর ভিতরে তার কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন মনে হয়। তো এই যদি হয় বাস্তবতা, আমাদের কি সাবধানে আরও সতর্কতার সাথে জীবন যাপন করা উচিত নয়?
ভালোবাসা দিবস পালন শুরু হয় আমাদের দেশে ১৯৯৩ সালে , মনে হয় তার আগে প্রেমিক প্রেমিকারা ডেটিং কোরতো না । তারা শুধু ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে ডেটিং করে অন্য দিন গুলোতে নহে । যদি তারা বিজয় দিবসে বা ভাষা দিবসে বা শবে বরাতের দিন বা শ্রমিক দিবসে বা ঈদের দিন ডেটিং করে তখন কি ঐ সমস্ত দিন হারাম হয়ে যাবে ?
মিথ্যাচার : শুনুন, আমি কি বলেছি, এই ভালবাসা দিবস বাইবেলে আছে তাই এটি খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রথা বলে আমাদের নিকট পরিত্যাজ্য? আবার বলি, ভাল করে শুনে রাখুন, বাইবেলে কি আছে কিংবা কি নেই, আমার দেখার বিষয় নয়.
ঠিক কথা জীশু খৃষ্ঠ ২৭০ বৎসর আগে বলে গিয়েছিল তার মৃর্তুর ২৭০ বৎসর পরে যখন সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে হত্যা করা হবে তখন ঐ দিবসটিকে ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করতে হবে ।মারহাবা মারহাবা । সেই কারনে ঐটা খৃষ্ঠানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং ২৭০ বৎসর আগেই জীশু বলে গেছে যা বাইবেলে আছে ।
হিপোক্র‌াসী : শুনুন, আমি কি বলেছি, এই ভালবাসা দিবস বাইবেলে আছে তাই এটি খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রথা বলে আমাদের নিকট পরিত্যাজ্য? ..
বাইবেলে আছে তাই পরিত্যাজ্য কিন্তু মেয়েদের মাথায় হিজাব পরার কথাটা তো বাইবেলে লেখা আছে বাট কোরানে লেখা নাই তাহা হইলে উহা পরিত্যাজ্য নহে কেন ???? ভন্ডামির একটা শেষ থাকা দরকার !!!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার বক্তব্য:
"জী আমি বলেছি -- এই ধরনের সম্পর্ককে তার মানি বিবাহ বহিরভুত যৌন সম্পর্ককে ইসলাম অনুমোদন করে না কখনো বলিনি ভালোবাসা দিবসকে ইসলামের ইথিকসের সাথে সংঘর্সিক । এই ধরনের শারিরিক সম্পর্ককে শুধু ইসলাম কেন খৃষ্টান ইহুদি বৌদ্ধ হিন্দু সহ ৯৯ % ধর্ম অনুমোদন করে না । ভালোবাসা দিবস শুধু মাত্র প্রেমিক প্রেমিকার যৌনাচার নহে , মানুষে মানুষে ভালোবাসা , পিতা মাতা ,ভাই বোন, আত্বিয় স্বজন , পাড়াপড়শি সবার মধ্য ভালোবাসা । ঈদের দিনে যদি প্রেমিক প্রমিকা ডেটিং করে যৌনাচার করে তখন কি ঈদ পালন করা হারাম হয়ে যাবে ?"

-আমাদের কথা:
ইসলাম অনুমোদন করে না- এই কথাটা বুঝলেন, স্বীকার করলেন তারপরেও এত এত তেনা প্যাঁচানো, জোড়াতালির চেষ্টা কেন? নাকি হারামে আরাম বোধ করেন?

ইসলামে ৩৬৫ দিনই ভালোবাসা দিবস।

আর কিসের সাথে কি মেলাচ্ছেন আপনি? পাগল হয়ে গেলেন নাকি? কোথায় আগরতলা আর কোথায় উগরতলা? কোথায় লিয়াকত আলী আর কোথায় জুতার কালি? কোথায় ঈদের দিন আর কোথায় নষ্টদের বিশ্ব বেহায়া দিবস? তুলনারও একটা পর্যায় থাকা প্রয়োজন।

শুধু ঈদের দিনে নয়, ইসলাম বছরের কোনও একটি দিনের একটি প্রহর, একটি ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড সময়ের জন্য বিবাহ বহির্ভূত তথাকথিত প্রেমিক প্রেমিকার ডেটিং ফেটিং এইসব হারামিপনাকে অনুমোদন দেয় না।


আপনার বক্তব্য:
"বাইবেলে আছে তাই পরিত্যাজ্য কিন্তু মেয়েদের মাথায় হিজাব পরার কথাটা তো বাইবেলে লেখা আছে বাট কোরানে লেখা নাই তাহা হইলে উহা পরিত্যাজ্য নহে কেন ???? ভন্ডামির একটা শেষ থাকা দরকার !!!!"

-আমাদের কথা:
বাইবেলে আছে কি নেই তা দেখার বিষয় নয়। কুরআন হাদিস এবং ইজমায়ে উম্মত তথা ইসলামিক স্কলারগনের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে শরিয়ত তার বিধান প্রনয়ন করে এসেছে। আপনার বাইবেল ভাল লাগলে তা মানুন, মেনে চলুন; জান প্রান দিয়ে তা গ্রহন করতে আপত্তি কোথায়? কিন্তু ''কুরআনে মাথায় হিজাব পড়ার কথা নেই'' -বলে আপনার মত মাথা মোটা পন্ডিতদের উদ্ভট মিথ্যাচারে কুরআনের চুল পরিমান ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কুরআন তার স্বকীয়তা নিয়ে টিকে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত।

কুরআনের সোজা সরল অর্থ বুঝেন না, আবার ওস্তাদি ফলাতে চান কাঠমোল্লাদের মত। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, আপনার মাথায় গোবরের যে স্তর জমাটবদ্ধ হয়ে চরের আকার ধারন করেছে, তার উত্থান পদ্মার পাড়ের দিকে হলে অদূর ভবিষ্যতে অত্র এলাকার আবাদি জমির পরিমান ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যেত না।

পন্ডিতজি! মাফ করবেন! আপনার কথা আসলে ভাল লাগে। নিসন্দেহে আপনি অনেক জ্ঞানী। আপনি ভাল থাকুন।

১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন: কত ত্যানা পেচাইবার কয়দা কানুন করবেন , ধরা খাইছেন যুক্তিতর্কে তাই ত্যানে পেচানোই মুক্তি পাওয়ার পথ !!!!
আপনার যুক্তি হোল ভ্যালেনটাইন ডে তে -- পিতা মাতা , ভাই বোন , আত্বিয় স্বজন , পাড়াপড়শী ইত্যাদি পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানায় ঠিক আছে কিন্তু যেহেতু কিছু প্রেমিক যুগল ঐ দিন ডেটিং করে সুতরাং ভ্যালেনটাইন ডে হারাম
সুতরাং আপনার যুক্তি অনুযায়ি :::: ঈদের দিন পিতা মাতা, ভাই বোন, আত্বিয় স্বজন , পাড়াপড়শী ইত্যাদি সবাই ঈদ করে ,ঈদ মোবারক বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করে কিন্তু যেহেতু কিছু প্রেমিক যুগল ঐ দিন ডেটিং করে সুতরাং ঈদের দিন হারাম ( নাউযুবিল্লাহ )।
কি আর করা প্রেমিকন যুগল যে দিন ডেটিং কোরবে সে দিনটাই হারাম । আপনি ৩৬৫ দিনকেই ভালোবাসা দিবস দাবি করে যে কি সর্বনাশা কথা বলে ফেলেছেন , এখন মানুষ কোথায় যাবে ??? এই ৩৬৫ কোন না কোন প্রেমিক যুগল ডেটিং করে তাহা হইলে ৩৬৫ দিন যে হারাম হয়ে যায় ।

বাইবেলে আছে কি নেই তা দেখার বিষয় নয়। কুরআন হাদিস এবং ইজমায়ে উম্মত তথা ইসলামিক স্কলারগনের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে শরিয়ত তার বিধান প্রনয়ন করে এসেছে।
কোথায় পাইছেন সম্মিলিত মতামত , আমি নিজেই তো ইসলামি স্কলারের মতামত দিয়ে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়া দিয়েছি আপনার দুই নম্বরী স্কলারদের অপব্যাখা এবং খিমার শব্দের ভুল অনুবাদ এবং মাথায় হিজাব পরার কোন নির্দেশ কোরানে নেই । উপরে কমেন্টে বহুবার উদৃতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু ব্যপারটা হোল যেহেতু মিথ্যা ফেতনা আপনার মসতিষ্কের ঘিলু গুলোকে কাউ ডাং মানি গরুর মল মানি গোবরে পরিনত করেছে তাই কিছুই না বুঝে ত্যানা পেচাইতেছেন ।
ত্যানা পেচাইতে যেয়ে মিথ্যা চারিতা ও ভন্ডামীর আশ্রয় নিচ্ছেন যেমন +++++++
মিথ্যাচার : শুনুন, আমি কি বলেছি, এই ভালবাসা দিবস বাইবেলে আছে তাই এটি খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রথা বলে আমাদের নিকট পরিত্যাজ্য? আবার বলি, ভাল করে শুনে রাখুন, বাইবেলে কি আছে কিংবা কি নেই, আমার দেখার বিষয় নয়.
ঠিক কথা জীশু খৃষ্ঠ ২৭০ বৎসর আগে বলে গিয়েছিল তার মৃর্তুর ২৭০ বৎসর পরে যখন সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে হত্যা করা হবে তখন ঐ দিবসটিকে ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করতে হবে ।মারহাবা মারহাবা । সেই কারনে ঐটা খৃষ্ঠানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং ২৭০ বৎসর আগেই জীশু বলে গেছে যা বাইবেলে আছে ।
হিপোক্র‌াসী : শুনুন, আমি কি বলেছি, এই ভালবাসা দিবস বাইবেলে আছে তাই এটি খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রথা বলে আমাদের নিকট পরিত্যাজ্য? ..
বাইবেলে আছে তাই পরিত্যাজ্য কিন্তু মেয়েদের মাথায় হিজাব পরার কথাটা তো বাইবেলে লেখা আছে বাট কোরানে লেখা নাই তাহা হইলে উহা পরিত্যাজ্য নহে কেন ???? ভন্ডামির একটা শেষ থাকা দরকার !!!!

কিন্তু ''কুরআনে মাথায় হিজাব পড়ার কথা নেই'' -বলে আপনার মত মাথা মোটা পন্ডিতদের উদ্ভট মিথ্যাচারে কুরআনের চুল পরিমান ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কুরআন তার স্বকীয়তা নিয়ে টিকে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত।
খিমারের অর্থ সহ এর ব্যাখা কয়েক বার দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাউ ডাং এ পরিপুর্ণ মাথা যেটা আপনি ধারন করেন সেখানে সেটা প্রবেশ কোরতে পারছে না । খিমার শব্দের ভুল ব্যাখা করে কোরানের চুল পরিমান ক্ষতি হয় নি কিন্তু অনেক মুসলমানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে তারা খৃষ্টান ধর্মের রিচুয়াল ফলো করছে যেটার কোন নির্দেশ কোরানে নাই ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



প্রিয় এ আর ১৫,

দু'লাইনের ছোট্ট কিন্তু অতিব সত্য একটি কথা বোধ হয় বলার সময় এখন এসে গেছে। কোন কিছুতেই যাদের হয় না, কোন ইলম কালাম, কোন যুক্তি তর্ক, কোন ভাষা বোধ, কোন প্রজ্ঞা জ্ঞানই যাদের কর্ন কুহরে প্রবেশ করে না, এই শ্রেনির লোকদের জন্য মনে হয় নিচের দু'টি লাইনই যথাযুক্ত মানানসই-

জ্ঞানী যারা বুঝে তারা শুধু ইশারায়,
নাদানেরে বুঝাইতে কে পারে কোথায়?

জেগে জেগে আর কত ঘুমাবেন?

ছলনা চাতুরি চাতুর্যতার সীমাহীন অন্ধকারে আর কত ডুববেন?

অজ্ঞতা জিহালতে আর কত গাঁ ভাসাবেন?

কবির ভাষায় বলতে হয়-

ঘুমিয়ে কাজা করেছি ফজর
তখনও জাগি নি যখন যুহর
হেলা ও খেলায় ছেড়েছি আসর
মাগরিবের ঐ শুনি আজান
ওরে বেখবর! জলদি ছুটে আয়,
ইশার জামাতে আছে স্থান!!!

তাই বলি, আর কত? আর কত? মিথ্যার মোহমায়া কত দিনে ভাঙবে?

ওরে ভোলা মন, পাপে নিমগন, মরনে স্বরন কর-
পলে পলে তোর ফুরায়েছে আয়ু, এখনও হল না ডর।
কত আর করে বেড়াবি ছলনা, কত আর দিবি ফাঁকি?
এমনি করেই একদা হঠাত মুদে যাবে তোর আঁখি,
স্বজনহারা থাকবি একাই কেউ হবে না তোর সাথী,
অন্ধকারের বন্ধ কুয়োয় থাকবি যেথায় নাই বাতি।
সত্যটাকে পাশ কাটিয়ে বুদ্ধি খেলার দিন শেষে,
হিসেব তোমায় দিতেই হবে, দিন হবে সর্বনেশে!
ছলচাতুরি, ফাঁক ফোকরের সব মারেফাত ফাঁস হবে
জনম জনম কাঁদলেও আর বাঁচার সুযোগ নাই পাবে।
সব চালাকির অন্তমূলে হানবে আঁঘাত কঠিন পাপ,
সবাই সেদিন স্বজনহারা ভুলবে ছেলে মা ও বাপ,
ভয়ঙ্কর সেই কঠিন দিবস সামনে তোমার ওঁৎ পেতে,
সাধু তুমি ঠিক হয়ে যাও, ছল-ছলনায় না মেতে!

বিষয় সম্পৃক্ততার কারনে আপনার ১৫ নং কমেন্টের উত্তরে প্রদত্ত আমাদের বক্তব্য পুনরায় এখানে প্রদান করা হল-

আপনার বক্তব্য:
"সুতরাং আইডেনটিকেশনের জন্য মুখ খোলা রাখতে হবে চেহারা আড়াল করা যাবে না ?? মুখ ঢেকে রাখলে তাদের অতি সহজে চেনা যাবে না ।"

অামাদের কথা:
প্রথমত: কুরআনের সূরাহ আল আহযাব -এর ৫৯ নং আয়াতে উল্লেখিত এই আইডেন্টিফিকেশন দ্বারা ব্যক্তি উদ্দেশ্য নয়, অাঞ্চলিক পরিচিতি উদ্দেশ্য। যেমন, হজ্বের সময় বিভিন্ন গোত্র থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষের পাশাপাশি নারীগনও পবিত্র হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফে আগমন করে থাকেন। তাদের এক এক এলাকার এক এক ধরনের পদ্ধতি বিদ্যমান। স্ব স্ব এলাকার বস্ত্র পরিচ্ছদ দেখে মহিলাদের চিনে নেয়া উদ্দেশ্য। এখানে সেই দিকে ইঙ্গিত করা হয়ে থাকতে পারে।

দ্বিতীয়ত: অত্র আয়াতাংশের আরেকটি অর্থ করা যায় এভাবে- আয়াতের 'জালিকা আদনা আইয়্যূরফনা ফালা- ইউ'জাইনা' অংশের আরেকটি অর্থ- এটা তাদের জন্য উত্তম হবে যে, তাদের কষ্ট দেয়া হবে না। সুতরাং 'আইয়্যূরফনা' শব্দ দ্বারা এখানে 'চেনা' উদ্দেশ্য নয় বরং শব্দটির অর্থ উত্তম বা মঙ্গলময়।

আল্লাহ পাকই সর্বজ্ঞাতা।

এছাড়া তাফসীরের কিতাবগুলোতে আরও কোন অর্থ বা উদ্দেশ্য অত্র আয়াতাংশ থেকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আবারও আপনার জন্য শেয়ার করার ইচ্ছে রয়েছে।

পুনশ্চ:

বলছি। আবারও। শুনুন। শুনে রাখুন। কান খুলে। ভাল করে। আকাশ জমিনের মালিক। আল্লাহ। আল্লাহ পাক। তিনি এক। একক। লা- শারীক। তাঁর একত্ববাদ প্রমানে যেমন দলিল প্রয়োজন হয় না। ন্যাংটো সংস্কৃতি। পশ্চিমা অসভ্যদের। এগুলোও। আমাদের কাছে। পরিত্যক্ত। এগুলোকেও। ইসলাম প্রত্যাখ্যান করে। ছুঁড়ে ফেলে। ছুঁড়ে ফেলে দেয় ডাস্টবীনে। প্রমান ছাড়াই। এর জন্যও প্রমানের প্রয়োজন হয় না।

ভাল থাকবেন।

২০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

এ আর ১৫ বলেছেন: অামাদের কথা:
প্রথমত: কুরআনের সূরাহ আল আহযাব -এর ৫৯ নং আয়াতে উল্লেখিত এই আইডেন্টিফিকেশন দ্বারা ব্যক্তি উদ্দেশ্য নয়, অাঞ্চলিক পরিচিতি উদ্দেশ্য। যেমন, হজ্বের সময় বিভিন্ন গোত্র থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষের পাশাপাশি নারীগনও পবিত্র হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফে আগমন করে থাকেন

আপনারে কইছে . আন্চলিকতার পরিচিতি বুঝিয়েছে বুঝি . কত রকমের গোজামিল মারা যায় সব রকমের খেমটি নাচ মনে হয় দেখাইতে চান । চেনা যায় মানি তাদের আইডেনটিটি সেটা তাদের চেহারা হোক বা অন্য কিছু পরিচিতি হোক , মোদ্দা কথা হোল -- মুখ ঢেকে নিকাব পরে চেহারা লুকানো চলবে না । যদি মুখ ঢাকা হয় তাহোলে অতি সহজে চেনা যাবে না ।
আপনি তো ভ্যালেনটাইন ডে সহ সকল দিবসকে দুধের মত মনে করেন কারন আপনার হাবভাব ও তাই । যেমন কথায় বলে এক মন দুধের ভিতর এক মোটা চোনা পড়লে দুধটা বিষাক্ত হয়ে যায় এবং খাওয়া হামার হয়ে যায় ।
ঠিক তেমনি ১০০০ হাজার মানুষের ভালোবাসার শুভেচ্ছা ( যেমন পিতা, মাতা, ভাই বোন আত্বিয় স্বজন পাড়াপড়শী ইত্যাদি) মধ্যে যদি একজন প্রেমিক ও একজন প্রেমিকা ডেটিং করে তাহা হইলে সমগ্র ভ্যালেনটাইন ডে হারাম হয়ে যায় (,ঠিক এক মন দুধের মধ্যে এক ফোটা চোনা পরলে যা হয় তাই ।)
আপনার মতে ৩৬৫ দিন ভালোবাসা দিবস এবং ঐ সব দিনেও ১০০০ মানুষের মধ্য এক জোড়া বা কয়েক জোড়া হয়তো ডেটিং করে সুতরাং দুধের ফরমুলা অনুযায়ি ৩৬৫ দিন ই হারাম !!!!

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



পয়েন্ট ০১.
আলকুরআনের অনুবাদ পড়ে যারা নিজেদের জমানার মহাপন্ডিত মনে করেন, আপনিও সেই দলের সদস্য মনে হয়। আপনাকে বুঝানোর সাধ্য কার? স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আপনার 'বিচার মানি তালগাছ আমার' স্বভাব বদলাবে ক্ষমতা কার আছে? তারপরেও অনুরোধ করি, বুঝুন, বুঝার চেষ্টা করুন।

আর বলি, ভাই- মেয়েদের চেহারা দেখতে আপনার এত শখ কেন? চেহারা খোলা রাখলে আপনাদের মনস্কামনা পূরন করতে বুঝি খুব কায়দা হয়। আপনি কি হাদিস মানেন? হাদিস বলতে কিছু আছে, এটা স্বীকার করেন? করে থাকলে বলুন তো নিচের হাদিসখানার বক্তব্য এবং উদ্দেশ্য কি?

একথা সকলেই জ্ঞাত আছেন যে, নারীর চেহারা ঢেকে রাখা তার সতীত্ব রক্ষা করার অন্যতম পন্থা, কারন নারীর চেহারা উম্মুক্ত রাখা হলে তার প্রতি পরপুরুষের কামুকদৃষ্টি পতিত হয়ে তার অঙ্গশ্রী দেখে পুরুষের চোখের দ্বারা যৌনানন্দ উপভোগ করার সুযোগ পায় এবং তা পরিনামে সে নারীর সাথে বাক্যালাপ, পত্রালাপ ও সাক্ষাত ইত্যাদি অবৈধ পন্থা অবলম্বনের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
হাদিস শরীফে বর্নিত আছে-

'আল্ আইনানে তাযনিয়ানি ওয়া যিনাহুমান নাযারা।'

অর্থ- (মানুষের) দু'টি চোখও যেনা করে, অার চক্ষু দু'টির যেনা হল (বেগানা নারীর প্রতি) দৃষ্টিপাত করা। এই হাদিসের শেষাংশে এসেছে- সকল স্তর অতিক্রম করত: সর্বশেষে গুপ্তাঙ্গ যেনার অতিক্রান্ত স্তরসমূহকে সত্যায়ন করে অর্থাৎ যৌন মিলনের মাধ্যমে যেনার পরিসমাপ্তি ঘটে, অথবা গুপ্তাঙ্গ মিথ্যা প্রতিপন্ন করে অর্থাৎ গুপ্তাঙ্গের যেনা সংঘটিত হয় না। সুতরাং যখন মুখমন্ডল আবৃত রাখা যৌনাঙ্গ হেফাজতের মাধ্যম সাব্যস্ত হল তখন প্রতীয়মান হয় যে, মুখমন্ডল আবৃত রাখা নির্দেশিত এবং নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ন।

পয়েন্ট ০২.
হ্যাঁ ভাই, আমাদের কাছে ৩৬৫ দিনের প্রতিটি প্রহর প্রতি মিলি সেকেন্ড ভালবাসায় মোড়ানো। গোঁজামিলকারীদের মত এর জন্য আমাদের বিশেষ কোন দিবসের স্মরনাপন্ন হতে হয় না। ভালবাসা বিনিময়ে দিবস প্রয়োজন যাদের সেই ওল্ড হোম, সেইফ হোম, অরফ্যানেজ হোমওয়ালা সভ্য (!) দের অপসংস্কৃতি আমরা বরাবর ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করি।

পুরনো কথাই দেখছি আবার যুঁতসই!

বলছি। আবারও। শুনুন। শুনে রাখুন। কান খুলে। ভাল করে। আকাশ জমিনের মালিক। আল্লাহ। আল্লাহ পাক। তিনি এক। একক। লা- শারীক। তাঁর একত্ববাদ প্রমানে যেমন দলিল প্রয়োজন হয় না। ন্যাংটো সংস্কৃতি। পশ্চিমা অসভ্যদের। এগুলোও। আমাদের কাছে। পরিত্যক্ত। এগুলোকেও। ইসলাম প্রত্যাখ্যান করে। ছুঁড়ে ফেলে। ছুঁড়ে ফেলে দেয় ডাস্টবীনে। প্রমান ছাড়াই। এর জন্যও প্রমানের প্রয়োজন হয় না।

ভাল থাকবেন।

২১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ক্লাসে ছাত্রীদের নেকাবের (চেহারা ঢাকা) বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শফিউল ইসলাম যদি অবস্থান নিয়েও থাকেন, তাহলে তিনি হুবহু তাই করেছেন যা করেছেন মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি ও বিশ্ব-মুসলিমের শিক্ষাকেন্দ্র আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম ড: তানতাওয়ি। তিনি কায়রো 'র এক স্কুল পরিদর্শনের সময় নেকাব পরা এক ছাত্রী দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে আদেশ করেন তার চেহারার নেকাব খুলে ফেলতে। তিনি বলেন - "নেকাব একটা প্রথা মাত্র (কাস্টম), ইসলামের সাথে এর কোনই সম্পর্ক নেই। তুমি ও তোমার বাবা...-মায়ের চেয়ে আমি ইসলামে ভালো জানি"। তারপর তিনি ঘোষণা করেন আল আজহারের অধীনে সমস্ত স্কুলে তিনি নেকাব নিষিদ্ধের আইন করবেন। কই, তাঁকে তো কেউ খুন করার কথা চিন্তাও করেনি ! সে আইন প্রণয়নের আগেই তিনি মারা যান। আল আজহারের সংশ্লিষ্ট গবেষণা কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ আবদেল মওয়াতি বায়য়ুমি বলেন - "নেকাব কোনো ধর্মীয় বিধান নয়....সময় এসেছে এটা প্রতিহত করার"। ইউরোপের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিশেষজ্ঞ ড: তারিক রামাদান-ও বলেন এটা ধর্মীয় বাধ্যতামূলক নয়। আইন শামস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আতিফ আল আওয়ামী বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি নিকাব শুধুমাত্র সামাজিক অভ্যাস মাত্র, যা ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন অন্যন্য কারণে বিস্তার লাভ করে"।

অথচ আমাদের মুফতিরা তরুণদের উস্কে দেন শিক্ষককে খুন করতে। ইসলামের অনেক বিষয়ের মত এ নিয়েও তাঁরা সিদ্ধান্তে আসতে পারেন নি, নারীর চার পাঁচ রকম পোশাক নির্ধারণ করেছেন এবং একমাত্র নিজেরটাই ইসলামিক বলেছেন। কাউকে খুন করলে তার পরিবার বাচ্চাদের ওপরে কি কেয়ামত নেমে আসে তা আমাদের ইমামেরা কবে বুঝবেন? মতভেদ হলে আলোচনার ডাক কবে দেবেন?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



আল আযহার কিংবা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় অামাদের অনুসরন অনুকরনের কেউ নন। কুরআন হাদিস এবং ইজমায়ে উম্মত তথা 'উলিল আমর' -ই হচ্ছে আমাদের একমাত্র দলিল।

আর হিজাব নিয়ে আগের কথা আবারও দেখুন। আবারও পড়ুন। আপনিতো পড়েন না। এই জন্য আবারও ঐ লেখাটুকুই দিচ্ছি-

পয়েন্ট ০১.
একথা সকলেই জ্ঞাত আছেন যে, নারীর চেহারা ঢেকে রাখা তার সতীত্ব রক্ষা করার অন্যতম পন্থা, কারন নারীর চেহারা উম্মুক্ত রাখা হলে তার প্রতি পরপুরুষের কামুকদৃষ্টি পতিত হয়ে তার অঙ্গশ্রী দেখে পুরুষের চোখের দ্বারা যৌনানন্দ উপভোগ করার সুযোগ পায় এবং তা পরিনামে সে নারীর সাথে বাক্যালাপ, পত্রালাপ ও সাক্ষাত ইত্যাদি অবৈধ পন্থা অবলম্বনের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
হাদিস শরীফে বর্নিত আছে-

'আল্ আইনানে তাযনিয়ানি ওয়া যিনাহুমান নাযারা।'

অর্থ- (মানুষের) দু'টি চোখও যেনা করে, অার চক্ষু দু'টির যেনা হল (বেগানা নারীর প্রতি) দৃষ্টিপাত করা। এই হাদিসের শেষাংশে এসেছে- সকল স্তর অতিক্রম করত: সর্বশেষে গুপ্তাঙ্গ যেনার অতিক্রান্ত স্তরসমূহকে সত্যায়ন করে অর্থাৎ যৌন মিলনের মাধ্যমে যেনার পরিসমাপ্তি ঘটে, অথবা গুপ্তাঙ্গ মিথ্যা প্রতিপন্ন করে অর্থাৎ গুপ্তাঙ্গের যেনা সংঘটিত হয় না। সুতরাং যখন মুখমন্ডল আবৃত রাখা যৌনাঙ্গ হেফাজতের মাধ্যম সাব্যস্ত হল তখন প্রতীয়মান হয় যে, মুখমন্ডল আবৃত রাখা নির্দেশিত এবং নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ন।

ভাল থাকবেন।

২২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

এ আর ১৫ বলেছেন: নিকাব নামা এই লিংকটা একটু দয়া করে পড়ুন । ধন্যবাদ

নিকাব-নামা নিকাব-নামা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

আবু ছােলহ বলেছেন: পয়েন্ট ০১.
একথা সকলেই জ্ঞাত আছেন যে, নারীর চেহারা ঢেকে রাখা তার সতীত্ব রক্ষা করার অন্যতম পন্থা, কারন নারীর চেহারা উম্মুক্ত রাখা হলে তার প্রতি পরপুরুষের কামুকদৃষ্টি পতিত হয়ে তার অঙ্গশ্রী দেখে পুরুষের চোখের দ্বারা যৌনানন্দ উপভোগ করার সুযোগ পায় এবং তা পরিনামে সে নারীর সাথে বাক্যালাপ, পত্রালাপ ও সাক্ষাত ইত্যাদি অবৈধ পন্থা অবলম্বনের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
হাদিস শরীফে বর্নিত আছে-

'আল্ আইনানে তাযনিয়ানি ওয়া যিনাহুমান নাযারা।'

অর্থ- (মানুষের) দু'টি চোখও যেনা করে, অার চক্ষু দু'টির যেনা হল (বেগানা নারীর প্রতি) দৃষ্টিপাত করা। এই হাদিসের শেষাংশে এসেছে- সকল স্তর অতিক্রম করত: সর্বশেষে গুপ্তাঙ্গ যেনার অতিক্রান্ত স্তরসমূহকে সত্যায়ন করে অর্থাৎ যৌন মিলনের মাধ্যমে যেনার পরিসমাপ্তি ঘটে, অথবা গুপ্তাঙ্গ মিথ্যা প্রতিপন্ন করে অর্থাৎ গুপ্তাঙ্গের যেনা সংঘটিত হয় না। সুতরাং যখন মুখমন্ডল আবৃত রাখা যৌনাঙ্গ হেফাজতের মাধ্যম সাব্যস্ত হল তখন প্রতীয়মান হয় যে, মুখমন্ডল আবৃত রাখা নির্দেশিত এবং নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ন।

ভাল থাকবেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

আবু ছােলহ বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনার নিকাব নামা এক নজর দেখেছি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



আচ্ছ, আপনি আশ্চর্য স্বভাবের মানুষ বটে!

প্রায়শই দেখি, প্রসঙ্গ এড়িয়ে এলোমেলো মন্তব্য করে থাকেন। এমনটা কেন করেন, ভাই?

২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

এ আর ১৫ বলেছেন: সামান্য কিছু কপি এন্ড পেষ্ট ---
ক) ফেস-মাস্ক-এর সমর্থনে-
*** পোশাকের আয়াত নাজিল হলে নারীরা তাদের চেহারা ঢাকা শুরু করল; তারা নবীজী'র সামনে চেহারা ঢাকত না, অন্যান্যদের সামনে ঢাকত - বুখারী ৫-৩২ ও ৬-২৮২।

(খ) ফেস-মাস্ক-এর বিপক্ষে:-

*** পুরুষের প্রতি কোরানের "দৃষ্টি নীচে কর" (নুর ৩০) প্রমাণ করে ফেস-মাস্ক নারীর পোশাক নয়।

*** পোশাকের আয়াত নাজিল হলে নারীরা জানালার পর্দা কেটে মাথা-ঢাকার স্কার্ফ তৈরী করল - আবু দাউদ ৪০৮৯।

*** এক সুন্দরী নারীর সৌন্দর্য্যে "আকৃষ্ট হইয়া" সাহাবী আল ফাদেল তার দিকে তাকিয়ে থাকলে নবীজী ফাদেলের চিবুক ধরে মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন, নারীকে মুখ ঢাকতে বললেন না - বুখারী ৮-২৪৭.

*** নবীজী বললেন মেয়েরা বড় হলে চেহারা ও হাত ছাড়া আর কিছু দেখানো উচিত নয় - আবু দাউদ ৪০৯২। এটা সুরা নুর আয়াত ৩১-এর সাথে যায়, নারীরা যেন সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে, "যা সাধারণত: প্রকাশমান তাহা ব্যতীত"।

*** জাবির বিন আব্দুল্লাহ – নবীজী বলেছেন কোন পুরুষ যদি কোন নারীকে বিয়ে করতে চায় তবে সে সেই নারীর সেটা দেখতে পারে যা তাকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। "আমি এক নারীকে বিয়ে করতে চাইলাম। আমি গোপনে তাকে দেখলাম..." ইত্যাদি - আবু দাউদ ২০৭৭।

*** হজ্ব ও ওমরাতে নারীর চেহারা খোলা থাকলে অন্যত্র থাকবে না কেন।


(গ) আরেকটা তত্ত্ব দেন অনেকে - তা হলো নিকাব শুধু নবীজীর স্ত্রীদের জন্য, এটা আহযাব ৫৩ ও হাদিস দ্বারা সমর্থিত।

***সাফিয়ার সাথে নবীজীর সাথে এক ভ্রমণে সাহাবী বলছেন যদি নবীজী সফিয়াকে নিকাব পড়ান তাহলেই বোঝা যাবে সাফিয়া তাঁর বিয়ে করা স্ত্রী, নাহলে নয় - বুখারী ৭-২২, মুসলিম ৮-৩৩২৮।

*** হজরত ওমর (রা) বলেছেন - আল্লাহ ৩টি আয়াত নাজিল করেছেন তাঁর প্রার্থনার ভিত্তিতে - তার একটা হল পোশাকের বিষয়ে - সহি মুসলিম বুক ০৩১-৫৯০৩। কি ছিল তাঁর প্রার্থনা?

*** হজরত ওমর (রা) রসুলকে (স) বলিলেন ভালোমন্দ সব ধরণের লোক তাঁহার বাড়ীতে আসে, তাই নবী-পত্নীদের উচিত (আড়াল বা নিকাব- দুই অর্থেই ধরা যেতে পারে) ব্যবহার করা। তখন আল্লাহ এইসব আয়াত নাজিল করিলেন - বুখারী ১-১৪৮, ৬-১০ ও ৩১৩, ৮-২৫৭ ও মুসলিম ২৬-৫৩৯৭।

*** নবীজীর সময় অনেক যুদ্ধে নারীদের প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ, নবীজীর অনেক পরে জামাল যুদ্ধে বিবি আয়েশার (রা) সেনাপতিত্ব ইত্যাদি প্রমাণ করে নারীরা কখনোই ফেস-মাস্ক পরেন নি ও গৃহবন্দী ছিলেন না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার বক্তব্য:
''এ আর ১৫ বলেছেন: সামান্য কিছু কপি এন্ড পেষ্ট ---
ক) ফেস-মাস্ক-এর সমর্থনে-
*** পোশাকের আয়াত নাজিল হলে নারীরা তাদের চেহারা ঢাকা শুরু করল; তারা নবীজী'র সামনে চেহারা ঢাকত না, অন্যান্যদের সামনে ঢাকত - বুখারী ৫-৩২ ও ৬-২৮২।''

অামাদের কথা:
-বুখারী শরীফ সহীহ। আমরাও সহীহ মানি। আপনারা বোধ হয় একটু বেশি সহীহ মনে করেন। যাহোক, বুখারী শরীফের আপনার উল্লেখিত এই হাদিসটির উপর আমল করুন। আজ থেকেই। এখন থেকেই। বিবাদ ঝগড়া মিটে যাবে। কেন মহিলাদের চেহারার কাপড় তুলে দিয়ে অনর্থক পাপে লিপ্ত হতে চান? হিসেব করে দেখুন, এতে করে প্রথমে হয় চোখের পাপ (চোখের যেনা), এরপরে হয় অন্তরে বাজে কল্পনার পাপ (অন্তরের যেনা), অত:পর আল্লাহ না করুন গুপ্তাঙ্গের মাধ্যমে যদি ব্যভিচার চূড়ান্ত রূপ ধারনে সক্ষম হয় তাহলেতো মহাপাপে পরিনত হল। আর এর সূত্রপাত তো ছিল ঐ যে, আপনার খোলা চেহারা!

২৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

এ আর ১৫ বলেছেন: অর্থ- (মানুষের) দু'টি চোখও যেনা করে, অার চক্ষু দু'টির যেনা হল (বেগানা নারীর প্রতি) দৃষ্টিপাত করা। এই হাদিসের শেষাংশে এসেছে- সকল স্তর অতিক্রম করত: সর্বশেষে গুপ্তাঙ্গ যেনার অতিক্রান্ত স্তরসমূহকে সত্যায়ন করে অর্থাৎ যৌন মিলনের মাধ্যমে যেনার পরিসমাপ্তি ঘটে, অথবা গুপ্তাঙ্গ মিথ্যা প্রতিপন্ন করে অর্থাৎ গুপ্তাঙ্গের যেনা সংঘটিত হয় না। সুতরাং যখন মুখমন্ডল আবৃত রাখা যৌনাঙ্গ হেফাজতের মাধ্যম সাব্যস্ত হল তখন প্রতীয়মান হয় যে, মুখমন্ডল আবৃত রাখা নির্দেশিত এবং নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ন।
মারহাবা মারহাবা এই ব্যাখা কোথা থেকে আমদানি করেছেন ???? আপনার মতে পুরুষরা হোল লুইচ্চা, ধর্ষক, যৌন তারনা নিয়ন্ত্রণ হিন ধজ্জাভঙ্গ জাতীয় প্রাণী তাই শুধু মুখ দেখলেই ধজ্জাভঙ্গ হয়ে যায় । নাকি এখানে ও সেই দুধের ফরমুলা --- এক মন দুধের মধ্য এক ফিটা চোনা ----- ইত্যাদি । ১০০০ পুরুষের মধ্যে একজনের ধজজভঙ্গ থাকলে বাকি ৯৯৯ জন কে ও ধজ্জভঙ্গ প্রকৃতির ধরে নিতে হবে , সবাইকে লুইচ্চা যৌন নিয়ন্ত্রণ অক্ষম ধর্ষক বলে ধরে নিতে হবে । আল্লাহ সুরা আল নুরে ৩০ তম আয়াতে পুরুষ মানুষের আত্ব সন্জম বাড়াবার নির্দেশ কি দেয় নি ??? মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ---- পরিবেশ স্থান কালের কারনে কি পুরুষে যৌন নিয়ন্ত্রণ বাড়ে না ?? আপনার যদি পরিচিত কেউ ৪ ,৫ বৎসর ওয়েষ্ট্রান কান্ট্রিতে থাকে তাদের জিঙ্জাসা করেন একটু আমার কথাটা ঠিক কিনা ? ঐ দেশে যারা থাকে তাদের সামনে দিয়ে বিকিনি পরা যুবতী মেয়েরা হেটে গেলে বা সামনে এসে বোসলে কেউ তাদের দিকে তাকায় না । এই ধরনের মানুষিক কন্ট্রোল তাদের কি করে হয়েছে ? খালি মুখ দেখলে যাদের চেতনা দন্ড উত্তেজিত হয় তারাতো মানুষিক রুগি অথবা ধজ্ঝ ভঙ্গ রোগে আক্রান্ত !!!! ( আপনি হয়ত বোলবেন ঐ সমস্ত দেশে ধর্ষনের হার বেশি --- এইটা কিন্তু ভুয়া কথা কারন ঐ সমস্ত দেশে মেয়েরা ধর্ষিতা হলে রিপোর্ট করে কিন্তু সেগুলোর রিপোর্ট মুসলিম দেশ বা অন্যান গরিব দেশে হয় না । শরিয়া আইন যে দেশে বলবত আছে সেখানে ধর্ষন প্রমাণ কোরতে ৪ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের চক্ষুস সাক্ষী লাগে এবং ধর্ষিতাকে ও ১০০ দোররা খেতে হয় , সেই কারনে রিপোর্ট হয় না )
তাহোলে ব্যপারটা সম্পুর্ন পুরুষের দোষ মেয়েরা এতে দায়ি নহে ! পুরুষরা লুইচ্চা ধর্ষক ধজ্জভঙ্গ পুরুষের রোগের শাস্তি মেয়েদের নিতে হবে তাই না । কোরানেই তো বলা হয়েছে কেউ অন্যের অপরাধের শাস্তি নিবে না ( আয়াত নংটা মনে নেই ) । মেয়ে দেখলে পুরুষের যৌন উত্তেজন আসবে কিন্তু পুরুষের কি ইচ্ছা শক্তি নেই সেটা দমন করার এবং সুরা ২৪-৩০ এ সেই নির্দেশ তো দেওয়া আছে ।
আপনি আমারে এই হাদিস স্মরণ করতে বলেছেন ===
ক) ফেস-মাস্ক-এর সমর্থনে-
*** পোশাকের আয়াত নাজিল হলে নারীরা তাদের চেহারা ঢাকা শুরু করল; তারা নবীজী'র সামনে চেহারা ঢাকত না, অন্যান্যদের সামনে ঢাকত - বুখারী ৫-৩২ ও ৬-২৮২।''
এই হাদিস গ্রহণ যোগ্য নহে কারন এর বিপরীতেও হাদিস আছে , সুতরাং একই বিষয়ের উপর পরস্পর বিরুধী হাদিস থাকলে সেটা পরিত্যাজ্য এবং কোরান যাহা বলে তাহা ই গ্রহন যোগ্য । সুরা আল নুরে ৩০ তম আয়াতে পুরুষের সন্জম বাড়াবার নির্দেশ আছে ( এই নির্দেশ অমান্য করে যারা লুইচ্চা ধজ্জভঙ্গে পরিনত হয়েছে সেটা জন্য মেয়েদের চেহারা গোপন করতে হবে এটা বালখিল্যতা মাত্র ) এবং সুরা আহযাবের ৫৯তম আয়াতে পরিচয় প্রকাশ করার নির্দেশ আছে ।
আপনার উচিত নিচের হাদিস ও কোরানের আয়াত গুলো বার বার পড়ে অনুধাবন করা
(খ) ফেস-মাস্ক-এর বিপক্ষে:-

*** পুরুষের প্রতি কোরানের "দৃষ্টি নীচে কর" (নুর ৩০) প্রমাণ করে ফেস-মাস্ক নারীর পোশাক নয়।

*** পোশাকের আয়াত নাজিল হলে নারীরা জানালার পর্দা কেটে মাথা-ঢাকার স্কার্ফ তৈরী করল - আবু দাউদ ৪০৮৯।

*** এক সুন্দরী নারীর সৌন্দর্য্যে "আকৃষ্ট হইয়া" সাহাবী আল ফাদেল তার দিকে তাকিয়ে থাকলে নবীজী ফাদেলের চিবুক ধরে মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন, নারীকে মুখ ঢাকতে বললেন না - বুখারী ৮-২৪৭.

*** নবীজী বললেন মেয়েরা বড় হলে চেহারা ও হাত ছাড়া আর কিছু দেখানো উচিত নয় - আবু দাউদ ৪০৯২। এটা সুরা নুর আয়াত ৩১-এর সাথে যায়, নারীরা যেন সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে, "যা সাধারণত: প্রকাশমান তাহা ব্যতীত"।

*** জাবির বিন আব্দুল্লাহ – নবীজী বলেছেন কোন পুরুষ যদি কোন নারীকে বিয়ে করতে চায় তবে সে সেই নারীর সেটা দেখতে পারে যা তাকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। "আমি এক নারীকে বিয়ে করতে চাইলাম। আমি গোপনে তাকে দেখলাম..." ইত্যাদি - আবু দাউদ ২০৭৭।

*** হজ্ব ও ওমরাতে নারীর চেহারা খোলা থাকলে অন্যত্র থাকবে না কেন।


(গ) আরেকটা তত্ত্ব দেন অনেকে - তা হলো নিকাব শুধু নবীজীর স্ত্রীদের জন্য, এটা আহযাব ৫৩ ও হাদিস দ্বারা সমর্থিত।

***সাফিয়ার সাথে নবীজীর সাথে এক ভ্রমণে সাহাবী বলছেন যদি নবীজী সফিয়াকে নিকাব পড়ান তাহলেই বোঝা যাবে সাফিয়া তাঁর বিয়ে করা স্ত্রী, নাহলে নয় - বুখারী ৭-২২, মুসলিম ৮-৩৩২৮।

*** হজরত ওমর (রা) বলেছেন - আল্লাহ ৩টি আয়াত নাজিল করেছেন তাঁর প্রার্থনার ভিত্তিতে - তার একটা হল পোশাকের বিষয়ে - সহি মুসলিম বুক ০৩১-৫৯০৩। কি ছিল তাঁর প্রার্থনা?

*** হজরত ওমর (রা) রসুলকে (স) বলিলেন ভালোমন্দ সব ধরণের লোক তাঁহার বাড়ীতে আসে, তাই নবী-পত্নীদের উচিত (আড়াল বা নিকাব- দুই অর্থেই ধরা যেতে পারে) ব্যবহার করা। তখন আল্লাহ এইসব আয়াত নাজিল করিলেন - বুখারী ১-১৪৮, ৬-১০ ও ৩১৩, ৮-২৫৭ ও মুসলিম ২৬-৫৩৯৭।

*** নবীজীর সময় অনেক যুদ্ধে নারীদের প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ, নবীজীর অনেক পরে জামাল যুদ্ধে বিবি আয়েশার (রা) সেনাপতিত্ব ইত্যাদি প্রমাণ করে নারীরা কখনোই ফেস-মাস্ক পরেন নি ও গৃহবন্দী ছিলেন না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



এআর ১৫ বলেছেন: ''মারহাবা মারহাবা এই ব্যাখা কোথা থেকে আমদানি করেছেন ????''

বুখারি শরীফের নিচের হাদিসখানা পড়ুন। হাদিসের অনুবাদকে বলেন আমার ব্যাখ্যা? জ্ঞান কি মাথায় থাকে না হাটুতে নেমে গেছে?

Hadith (Bukhari): Volume 8, Book 74, Number 260: Narrated Ibn 'Abbas: I have not seen a thing resembling 'lamam' (minor sins) than what Abu Huraira 'narrated from the Prophet who said "Allah has written for Adam's son his share of adultery which he commits inevitably. The adultery of the eyes is the sight (to gaze at a forbidden thing), the adultery of the tongue is the talk, and the inner self wishes and desires and the private parts testify all this or deny it."

২৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: চোখের গেজ সামলানোর নির্দেশ পুরুষ মানুষকে আল্লাহ তালা সুরা আল নুর আয়াত ৩০ এ দিয়েছে সুতরাং চোখের গেজ নিয়ন্ত্রণের দায় পুরুষের । সব পুরুষকে ধজ্জভঙ্গের রুগি লুইচ্চা মনে করার কারন টা কি ???? বিদেশে বিকিনি পরে মেয়েরা হেটে গেলেও কে্উ তাকায় না । তাদের চোখের গেজের এমনই নিয়ন্ত্রণ আর আপনাগো শুধু মুখ দেখলেই ফিনিশ ----
আবু হুরাইরার বর্ণনাকৃত হাদিস গ্রহন যোগ্য নহে কারন নিচের লিংকে ক্লিক করুন -----
চিন্তাশীল মুসলিম ভাইদের প্রতি প্রশ্নঃ বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কতটা নির্ভরযোগ্য? আসুন যাচাই করি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

আবু ছােলহ বলেছেন:



এআর ১৫ বলেছেন:

''সব পুরুষকে ধজ্জভঙ্গের রুগি লুইচ্চা মনে করার কারন টা কি ????''

আমাদের কথা:

মনে করেছিলাম, মাথার তার দু'একটা ছিঁড়েছে; বাস্তবেতো দেখি অবস্থা অতিশয় ভয়ঙ্কর!

আপনার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে তো যিনি হাদিস বলেছেন, মানে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেই প্রশ্ন করতে হয় যে, কেন তিনি তাঁর হাদিসে একথা বলেছেন?

পুরোপুরিই পাগল হয়ে গেলেন নাকি?

হাদিস গ্রহনযোগ্য হবে না আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর? তাহলে কারটা গ্রহন করতে হবে? আপনারটা, জনাব?


আপনি বিকিনি ভাল লাগলে মাথায় দিয়ে ঘুরে বেড়ান। বিকিনি বিকিনি করতে করতে মুখে যেমনে ফেনা তুলতাছেন, এতই যদি বিকিনি ভাল হয়ে থাকে, তাহলে বলুন, যদি আপনাকে বলা হয় যে, আপনার পরিবারের কাউকে এইগুলান পড়িয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে চক্কর দিয়ে আসতে হবে, আপনি কি রাজি হবেন? আমার বিশ্বাস, আপনি রাজি হবেন না। সুতরাং, আমাদের বিকিনির জ্ঞান দিতে হবে না। আপনার প্রয়োজন হলে অপজ্ঞানের পাহাড় গড়ে তুলুন।

তবুও ভাল থাকবেন।

২৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: হাদিস গ্রহনযোগ্য হবে না আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর? তাহলে কারটা গ্রহন করতে হবে? আপনারটা, জনাব?

তার গুলো সব ছিড়া তার প্রমাণ উপরের মন্তব্য । আবু হুরাইরার হাদিসের বর্ণনার দুর্বলাতা ক্ষুত ইত্যাদি ঐ লিংককে রেফারেন্স সহ উত্থাপন করা হয়েছে এবং ঐ আর্টিকেলটা একটা রিসার্চ ওয়ার্ক । ঐ আর্টিকেলটার যদি কোন কিছু ভুল থাকে বা তথ্যগত ভুল থাকে সেটাকে হাইলাইট না করে স্কেপিং মন্তব্যটা তো তার ছিড়ার অকট্য প্রমাণ । আপনি জানতে চাচ্ছেন তাহোলে কার হাদিসটা গ্রহন করতে হবে ---- কারো হাদিসই গ্রহন যোগ্য হবে না যদি সেটা কোরানের সাথে সংঘর্সিক হয় । ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম হাদিসের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন সে পদ্ধতিতে আবু হুরাইরার কোন হাদিস গ্রহন করা যায় না , যিনি মাত্র ৩ বৎসর রসুল (সা) এর সান্নিধ্যে ছিলেন তিনি কিনা ৬০০০ হাদিসের বর্ণনা কারি অথচ অন্যান সাহাবিরা এবং প্রথম ৪ খলিফারা সারা জীবণ রসুলের (সা) সাথে সংগ্রাম করে ১০০ হাদিসের ও বর্ণনা কারি নন । যে হাদিস প্রথম ৩০০ বৎসর মানুষের মুখ হতে মুখে স্থানান্তরিত হওয়ার কারনে বিকৃত হয়েছে সেটা ৩০০ বৎসর পর ৬ জন ইরাণিয়ান এসে লেখা শুরু করেছিল ( সিয়াসত্তার ৬ জন লেখক ই ইরাণি ) কোন আরব এগুলো সংগ্রহ করে নি । আজকে আমরা যে হাদিসের বই পাই সেটা প্রকাশিত হয়েছে ঐ সব ইমামের মৃর্তুর ৫০০ বৎসর পর ।

জানতে মন চায়ঃ
১। ইসলামে অনৈক্য, দলাদলি, ফেরকাবাজী, মতভেদ ইত্যাদির কারণ কী কোরান না হাদিস?
২। কোরানের মত হাদিসকেও ধর্মবিশ্বাসীরা অকাট্ট বলে বিশ্বাস করেন?
৩। যদি হাদিস কোরানের মত অকাট্ট না হয় তবে হাদিসের ভিত্তিতে কেন অনৈক্য, দলাদলি, ফেরকাবাজী, মতভেদ করে ধ্বংস হচ্ছেন?
৪। অকাট্ট বিষয় কোরানকে ধরে এবং হাদিসকে সহযোগী হিসেবে নিয়ে আপনারা একাত্মতা পোষণ করতে পারেন না?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



এ আর ১৫ বলেছেন:
''ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম হাদিসের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন সে পদ্ধতিতে আবু হুরাইরার কোন হাদিস গ্রহন করা যায় না , যিনি মাত্র ৩ বৎসর রসুল (সা) এর সান্নিধ্যে ছিলেন তিনি কিনা ৬০০০ হাদিসের বর্ণনা কারি অথচ অন্যান সাহাবিরা এবং প্রথম ৪ খলিফারা সারা জীবণ রসুলের (সা) সাথে সংগ্রাম করে ১০০ হাদিসের ও বর্ণনা কারি নন । যে হাদিস প্রথম ৩০০ বৎসর মানুষের মুখ হতে মুখে স্থানান্তরিত হওয়ার কারনে বিকৃত হয়েছে সেটা ৩০০ বৎসর পর ৬ জন ইরাণিয়ান এসে লেখা শুরু করেছিল ( সিয়াসত্তার ৬ জন লেখক ই ইরাণি ) কোন আরব এগুলো সংগ্রহ করে নি । আজকে আমরা যে হাদিসের বই পাই সেটা প্রকাশিত হয়েছে ঐ সব ইমামের মৃর্তুর ৫০০ বৎসর পর।''

আমাদের বক্তব্য:
মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি, উদ্ভট মনগড়া মন্তব্য; কোন জিনিষ নেই আপনার লেখায়?

এইসব মিথ্যাচার আপনি কোত্থেকে আবিষ্কার করেন, ভাই? এই যে বললেন- ''ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম হাদিসের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন সে পদ্ধতিতে আবু হুরাইরার কোন হাদিস গ্রহন করা যায় না , যিনি মাত্র ৩ বৎসর রসুল (সা) এর সান্নিধ্যে ছিলেন তিনি কিনা ৬০০০ হাদিসের বর্ণনা কারি অথচ অন্যান সাহাবিরা এবং প্রথম ৪ খলিফারা সারা জীবণ রসুলের (সা) সাথে সংগ্রাম করে ১০০ হাদিসের ও বর্ণনা কারি নন।''

কোন্ পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম? আর তাদের অনুসৃত কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে আবু হুরাইরার হাদিস গ্রহন করা যায় না? কোথায় লেখা আছে আপনার এইসব আজগুবি বয়ান? আসমানে?? নাকি শ্বশানে??? নাকি মানুষ নামক মিথ্যাচারী কিছু গাধার অসুস্থ উদ্ভট অন্তসারশূন্য মস্তিষ্কে???

সুবহানাল্লাহ! হাসব না কাঁদব তাও বুঝতারছি না (বুঝতে পারছি না)! সেরাম মজার জিনিষ!

পাগলামীর একটা সীমা পরিসীমা থাকে। এ কোন্ পাগলের খপ্পড়ে পরলামরে বাবা! এরতো মনে হয় মাথায় ঘিলুর বদলে অন্য কোন জিনিষ ঢুকে পড়েছে! মাথা তো নয় ডিজিটাল অন্ধকার মনে হচ্ছে আপনাকে খুবলে খেয়েছে।


ভাল করে শুনুন মহামানব!!!!
আপনি যে মিথ্যাবাদি, ফাউল পুরোপুরি তার ছিঁড়া তা প্রমান করার জন্য ইরান আফগান রাশিয়া তাসখন্দ বুখারা সমরখন্দ তাজিকিস্তান তুর্কিস্তান যেতে হয় না; আপনার সামনে থাকা বুখারী শরীফ আর মুসলিম শরীফই যথেষ্ট। বুখারি আর মুসলিম শরীফ খুললেই আবু হুরাইরার হাদিস 'আন আবি হুরাইরাতা' 'আন আবি হুরাইরাতা' 'আন আবি হুরাইরাতা'! পাগল কোথাকার!!!!!!

ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা যদি হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে কোন হাদিস গ্রহন করা যাবে না মর্মে ফতোয়া দিয়ে থাকবেন, তাহলে তাদের দু'জনের বিখ্যাত হাদিসের দুই কিতাব বুখারি ও মুসলিমে এই অসংখ্য হাদিস তো দূরের কথা, আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বর্নিত একটি হাদিসও স্থান পেত না।

মাথা থাকলে বুঝবেন, আশা করি। আর মাথায় ঘিলু মগজ কিছু থাকলেও কাজ হবে। তবে অন্য কোন তরল ঘিলু মগজের স্থান দখল করে নিয়ে থাকলে দুরাশার অন্ধকার!!!!!!!!!!!

তবু আলোর পথে ডাকি!

তবু ফিরে আসুন সত্যের পথে!

তবু ভাল থাকার কামনা।

২৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি বিকিনি ভাল লাগলে মাথায় দিয়ে ঘুরে বেড়ান। বিকিনি বিকিনি করতে করতে মুখে যেমনে ফেনা তুলতাছেন, এতই যদি বিকিনি ভাল হয়ে থাকে, তাহলে বলুন, যদি আপনাকে বলা হয় যে, আপনার পরিবারের কাউকে এইগুলান পড়িয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে চক্কর দিয়ে আসতে হবে, আপনি কি রাজি হবেন? আমার বিশ্বাস, আপনি রাজি হবেন না। সুতরাং, আমাদের বিকিনির জ্ঞান দিতে হবে না। আপনার প্রয়োজন হলে অপজ্ঞানের পাহাড় গড়ে তুলুন।
তার কত ছিড়া আর নাটবল্টু কত ডিলা তার প্রমাণ উপরের মন্তব্য । বিদেশিরা তো আল্লাহর আদেশ যেটা সুরা আল নুরের ৩০ তম আয়াতে দিয়েছে যে পুরুষ মানুষ তোমরা চোখের গেজ নামাও সেটা অনুসরন করে চোখের গেজ এতোই নামাইছে যে বিকিনি পরা মেয়েদের দিকে গুরেও তাকায় না । ঐ সমস্ত দেশে যে সমস্ত বাংলাদেশিরা থাকে তারাও ঘুরে তাকায় না সেখানো আপনাদের মত মানুষ আল্লাহর নির্দেশ ( ২৪-৩০) অমান্য করে চক্ষু যেনা করেন , শুধু মুখ দেখলেই ফিনিশ .. এগুলো তো লুইচ্চামির লক্ষণ ধজ্জ ভঙ্গ রোগের লক্ষণ । মেয়েদের মুখকে যৌনাঙ্গ মনে করেন । কতখানি বিকৃত মস্তিষ্ক হলে এমন হতে পারে । কোরান তো স্পষ্ঠ বলেছে সুরা আহযাব আয়াত ৫৯ তে ( তাদের চেনা সহজ হবে ) । মুখ ঢাকতে বলেনি । যেই হাদিস নিয়ে এসে নিকাবের পক্ষে লেকচার দিচ্ছেন সেই হাদিস কি এই আয়াতের বিরুদ্ধে যায় না ???

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

আবু ছােলহ বলেছেন:



এ আর ১৫ বলেছেন:
''তার কত ছিড়া আর নাটবল্টু কত ডিলা তার প্রমাণ উপরের মন্তব্য । বিদেশিরা তো আল্লাহর আদেশ যেটা সুরা আল নুরের ৩০ তম আয়াতে দিয়েছে যে পুরুষ মানুষ তোমরা চোখের গেজ নামাও সেটা অনুসরন করে চোখের গেজ এতোই নামাইছে যে বিকিনি পরা মেয়েদের দিকে গুরেও তাকায় না । ঐ সমস্ত দেশে যে সমস্ত বাংলাদেশিরা থাকে তারাও ঘুরে তাকায় না সেখানো আপনাদের মত মানুষ আল্লাহর নির্দেশ ( ২৪-৩০) অমান্য করে চক্ষু যেনা করেন , শুধু মুখ দেখলেই ফিনিশ .. এগুলো তো লুইচ্চামির লক্ষণ ধজ্জ ভঙ্গ রোগের লক্ষণ । মেয়েদের মুখকে যৌনাঙ্গ মনে করেন । কতখানি বিকৃত মস্তিষ্ক হলে এমন হতে পারে । কোরান তো স্পষ্ঠ বলেছে সুরা আহযাব আয়াত ৫৯ তে ( তাদের চেনা সহজ হবে ) । মুখ ঢাকতে বলেনি । যেই হাদিস নিয়ে এসে নিকাবের পক্ষে লেকচার দিচ্ছেন সেই হাদিস কি এই আয়াতের বিরুদ্ধে যায় না ???''

আমাদের বক্তব্য:
আমারতো মনে হয়, পশ্চিমাদের উলঙ্গপনা দেখতে দেখতে আপনার মন মগজে মরিচা ধরেছে। পোষাকে আষাকে বিকিনি টিকিনি ফকিন্নি টকিন্নির মনোভাব! মাথায় স্কার্ফ সহ্য হয় না! মুখে নেকাব মানায় না! গায়ে কাপড় রাখলে ভেজাল! নেংটা নাচ চোখের পাতায় পাতায়! আপাদমস্তক বেহায়াপনা, লুচ্চামি আর অসভ্যতায় বেহাল দশা! পবিত্রতা পরিচ্ছন্নতা সইতে পারেন না! -সত্যিই দু:খজনক!!!!!

আপনি হাদিস বাদ দিয়ে কোন্ কুরআন অনুসরনের কথা বলছেন? আপনার কাছে নতুন কোন কুরআন নাজিল হয়েছে নাকি? কাদিয়ানিদের চেনেন নাকি?

তবু বলি, সত্যের পথে আসুন।

২৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

এ আর ১৫ বলেছেন: আমাদের বক্তব্য:
মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি, উদ্ভট মনগড়া মন্তব্য; কোন জিনিষ নেই আপনার লেখায়?


উত্তর
আমি আপনাদের কখনই বলবনা হাদীস বইগুলো একেবারে পরিত্যাগ করতে। হাদীস অবশ্যই পড়বেন এবং যে হাদীসগুলো সুন্দর, উপকারী, মহৎ সেগুলো মেনে চলবেন। তবে সহিহ বুখারী/ সিহাহ সিত্তাহ শুনলেই অন্ধ বিশ্বাস করে উদ্ভট, অবাস্তব, ভয়ঙ্কর, ক্ষতিকর হাদীসগুলো মেনে চলা একেবারেই উচিৎ নয়। হাদিসের সনদ ঠিক থাকলেই আর কোরানের সাথে সরাসরী বিরোধীতা না থাকলেই আজকাল হাদীসটি সহিহ হিসেবে গণ্য হয়ে যায়। কিন্তু আসলে দেখা যায় কোরানের সাথে বিরোধীতার পরেও সহিহ হাদীস গুলোকে রুপক হিসেবে চালানোর চেষ্টা করে সেটাকে সহিহ হিসেবেই মর্যাদা দেয়া হয়। আর বেশীরভাগ হাদীসই কোরানের সাথে সরাসরি সাঙ্ঘর্ষিক না হলেও কোরানের সাথে যে ছন্দময় তা নয়। সেই সব হাদীস ভয়ঙ্কর হলেও আর বাতিল হয়না। হাদীসের বইতে এমন হাদীসের সংখ্যাই সর্বাধিক।আমি আপনাদের আহবান জানাই, আপনারা কোরান বুঝে পড়ুন, এবং হাদীসগুলোকে সেই কোরান দিয়েই এবং হাদীসের বক্তব্য দিয়ে যাচাই করে নিন সেগুলো সত্য কিনা। হাদীসের সনদ ঠিক থাকলেই সেটা সহিহ এমন উদ্ভট ভয়ঙ্কর কথা পরিত্যাগ করুন। আমি আজ প্রমাণ করে দিচ্ছি যে সহিহ বুখারী আর মুসলিম শরীফের সিংহভাগ হাদীসই অগ্রহণযোগ্য।

ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম হাদীস সত্যাসত্য করার কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছিলেন।হাদিছ হিসেবে গ্রহণীয় হওয়ার জন্য সাধারণতঃ হাদীসটির সনদে চারটি প্রধান বিষয়ের প্রতি সবার আগে নজর দিতে হবে। আমি নিচে তার দুটি উল্লেখ করলামঃ

১) আগা গোড়া প্রতিটি সাক্ষিই জ্ঞানী, খাঁটি সত্যবাদী, সৎ চরিত্র, মোত্তাকীম পরহেজগার শালিনতা ও ভদ্রতা সম্পন্ন স্বভাবের হইতে হইবে। কোন ব্যক্তি জীবনে মাত্র একবার হাদিছ সংক্রান্ত ব্যাপারে মিথ্যা উক্তির জন্য ধরা পড়িলে এ ব্যক্তির শুধু মিথ্যা হাদিছই নহে, বরং তাহার সারা জীবনের সমস্ত হাদিছই অগ্রাহ্য হইবে। তওবা করিলেও তাহার বর্ণিত হাদিছ গ্রহণযোগ্য হইবে না। উহা ছাড়া অন্য কোন বিষয় ও মিথ্যাবাদী বলিয়া পরিচিত হইলে বা শরিয়ত বিরোধী আকিদা বা কার্যকলাপে লিপ্ত প্রমাণিত হইলে বা অসৎ প্রকৃতির লম্পট ও নীচ স্বভাবের লোক হইলে তাহার বর্ণিত হাদিছ গ্রহণীয় হইবে না।

২) প্রত্যেক সাক্ষি তার স্মরণ শক্তি সম্বন্ধে অতিশয় পাকাপোক্ত সুদক্ষ ও সুদৃঢ় সংরক্ষক বলিয়া পরিচিত হইতে হইবে। এবং ইহাও প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক যে, প্রতিটি সাক্ষি তাহার পূর্ববর্তী সাক্ষ্যদাতা অর্থাৎ ওস্তাদের নিকট হইতে হাদিছখানা পূর্ণ মনোযোগের সহিত শ্রবণ করতঃ সবিশেষ মনোযোগের সহিত মূখস্ত করিয়া বা লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন। এই বিশেষ প্রমাণ এরূপ হইবে যে, উক্ত সাক্ষি যে যে হাদিছ আজীবন শত শতবার বর্ণনা করিয়া আসিতেছেন। কোন সময়ই তার বর্ণনার মধ্যে এরূপ গরমিল দেখা যাইবে, তখন হইতে আর ঐরূপ সাক্ষির বর্ণনার কোন হাদিছ সঠিক প্রমাণিত বলিয়া গণ্য হইবে না।


আমরা জানি বুখারী এবং মুসলিম শরীফের সিংহভাগ হাদীসের বর্ণনাকারী হচ্ছেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)। তিনি রাসূল (সঃ) এর সাথে মাত্র তিন বছরের চাইতেও কম সময় থাকলেও সর্বাধিক প্রায় পাঁচ হাজার হাদীস বর্ণনা করেছেন। অথচ প্রধান চার খলিফা সহ আর কোন সাহাবীই সারাজীবন নবী (সঃ) এর সাহচর্যে থাকার পরেও এত অধিক সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেননি।

হাদীস বেত্তাগণ মনে করেন, বুখারী আর মুসলিম শরীফের সকল হাদীসই সহিহ। এবার আমি সহিহ হাদীস দিয়েই প্রমাণ করে দিব যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) উপরে উল্লিখিত ২ টি নিয়মেই হাদীস বর্ণনাকারী হিসেবে বাদ পড়ে যান। তিনি ভুল হাদীস বলেছেন আবার তাঁর স্মৃতি শক্তিও নির্ভরযোগ্য ছিলনা।

মূল বিষয়ে যাবার আগে প্রথমেই একটি হাদীস।

হাদীস নং ১
বুখারী, বুক ৩, হাদীস ১১৯ Click This Link

Narrated Abu Huraira: I said to Allah's Apostle "I hear many narrations (Hadiths) from you but I forget them." Allah's Apostle said, "Spread your Rida' (garment)." I did accordingly and then he moved his hands as if filling them with something (and emptied them in my Rida';) and then said, "Take and wrap this sheet over your body." I did it and after that I never forgot any thing.

দেখুন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি হাদীস ভুলে যেতেন। পরে নবীর মাজেজায় আর জীবনেও নবীর হাদীস সহ কোন কিছুই ভুলেন নাই বলে দাবী করেছেন।এই সম্পর্কে আরেকটি হাদীসঃ

হাদীস নং ২
বুখারী, বুক ৩৪, হাদীস ২৬৩ Click This Link

Narrated Abu Huraira: You people say that Abu Huraira tells many narrations from Allah's Apostle and you also wonder why the emigrants and Ansar do not narrate from Allah's Apostle as Abu Huraira does. My emigrant brothers were busy in the market while I used to stick to Allah's Apostle content with what fills my stomach; so I used to be present when they were absent and I used to remember when they used to forget, and my Ansari brothers used to be busy with their properties and I was one of the poor men of Suffa. I used to remember the narrations when they used to forget. No doubt, Allah's Apostle once said, "Whoever spreads his garment till I have finished my present speech and then gathers it to himself, will remember whatever I will say." So, I spread my colored garment which I was wearing till Allah's Apostle had finished his saying, and then I gathered it to my chest. So, I did not forget any of that narrations.

দেখুন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এত বেশী হাদীস বলতেন বলে তখন অনেকেই সন্দেহ করেছেন। সেই সময় এই হাদীস প্রচারিত হলে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র কথা শুনে সকল সাহাবীই এই কাজটা করতেন। তাতে তারাও আর জীবনে হাদীস ভুলতেননা। সকলেই ৫০০০ এর উপর হাদীস বর্ণনা করতে পারতেন। এত কষ্ট করে মুখস্তও রাখতে হতনা, বা কোথাও লিখেও রাখতে হতনা। নবী প্রধান চার খলিফাকেও এই পদ্ধতি শিখাতে পারতেন, সেক্ষেত্রে খলিফারা আর ভয়ের কারণে হাদীস নষ্ট করতে যেতেননা। অবাক ব্যাপার হলো এই হাদীসটি তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করেছেন যেখানে প্রেক্ষাপট আর ঘটনার ধারা এক রকম নয়। এতে করেই তার নিজস্ব স্বীকারোক্তি অনুযায়ীই বুঝা যায় তিনি ভুলোমনা ছিলেন। এক হাদীসের বর্ণনাতে তিনি বলেছিলেন তার গায়ে একটা মাত্র কাপড় ছিল, এতে করে কাপড় মেলে ধরার সময় আর বুকে মাখার সময় যে তার লজ্জাস্থান প্রকাশ পেয়ে যায় সেটা বোধয় তিনি ভুলে গিয়েছিলেন।

এবার চলুন আমাদের মূল বিষয়ে যাই। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ভুল বা মিথ্যা বলেছিলেন এবং দূর্বল স্মৃতির মানুষ ছিলেন তা প্রমাণ করে দিই।

হাদীস নং ৩
সহিহ মুসলিম বুক, ২৬ হাদীস-৫৫১০ Click This Link

Abu Salama h. 'Abd al-Rahman b. 'Auf reported Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying: There is no transitive disease, but he is also reported to have said: A sick person should not be taken to one who is healthy. Abu Salama said that Abu Huraira used to narrate these two (different ahadith) from Allah's Messenger (may peace be upon him), but afterwards Abu Huraira became silent on these words:" There is no transitive disease," but he stuck to this that the sick person should not be taken to one who is healthy. Harith b. Abu Dhubab (and he was the first cousin of Abu Huraira) said: Abu Huraira, I used to hear from you that you narrated to us along with this hadith and the other one also (there is no transitive disease), but now you observe silence about it. You used to say that Allah's Messenger (may peace be upon him) said: There is no transitive disease. Abu Huraira denied having any knowledge of that, but he said that the sick camel should not be taken to the healthy one. Harith, however, did not agree with him, which irritated Abu Huraira and he said to him some words in the Abyssinian language. He said to Harith: Do you know what I said to you? He said: No. Abu Huraira said: I simply denied having said it. Abu Salama said: By my life, Abu Huraira in fact used to report Allah's Messenger (may peace be upon him) having said: There is no transitive disease. I do not know whether Abu Huraira has forgotten it or he deemed it an abrogated statement in the light of the other one.

এই হাদীসে দেখা যাচ্ছে যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আগে নবীর নামে নিয়মিত বলতেন যে দুনিয়াতে সঙ্ক্রামক ব্যাধী বলে কিছু নেই। কিছুদিন পরে তিনি আর এই হাদীস বর্ণনা করতেননা, বরং সত্য হাদীস বলেছেন যে অসুস্থ রোগীকে সুস্থ লোকের কাছে নিয়ে যেতে না করেছিলেন নবী। তখন হযরত আবু সালামা অভিযোগ করলেন যে আপনি তো আগে অন্য হাদীসটিও বর্ণনা করতেন এখন করেননা কেন? হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) অস্বীকার করলেন যে তিনি এমন কিছু বলেন নাই , বরং তিনি নাকি বলেছেন অসুস্থ উটকে সুস্থ উটের কাছে নিয়ে না যেতে (সম্পূর্ন ভুল কথা, নিচে হাদীস নং ৪ দেখুন)। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র এই কথা শুনে হারিথ সরাসরি অসম্মতি জানানোর কারণে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে বললেন এই ভাষার অর্থ হচ্ছে ''আমি অস্বীকার করলাম, আমি এমন কিছুই বলিনাই''। তখন হযরত আবু সালামা জীবনের কসম খেয়ে বলেছিলেন যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এই কথা বলেছেন।

এইবার দেখি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সত্যি এই কথা বলেছিলেন কিনাঃ

হাদীস নং ৪
সহিহ মুসলিম, বুক ২৬, হাদীস ৫৫০৭ Click This Link

Abu Huraira reported Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying: There is no infection, no safar, no hama. A desert Arab said: Allah's Messenger, how is it that when the camel is in the sand it is like a deer-then a camel afflicted with scab mixes with it and it is affected by sub? He (the Holy Prophet) said: Who infected the first one?

অর্থাৎ হযরত আবু সালামার কথাই সত্য, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সত্যিই এই হাদীসটি বর্ণনা করতেন।

উপরের আলোচনার ভিত্তিতে এবার নিম্ন লিখিত অনুসিদ্ধান্তে সহজেই আসা যায়ঃ

১) হয়তো হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) মিথ্যা বলেছেন (সূত্র উপরের ৩ নং হাদীস)। তাহলে হাদীস সংগ্রহের নীতিমালার এই পোস্টের শুরুতে বর্ণিত ১ নং পয়েন্ট অনুযায়ী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত সকল হাদীস বাদ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি এমন একজন সাহাবী মিথ্যা বলতে পারেননা। তাই...

২) হয়তো তিনি হাদীসটি ভুলে গিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে হাদীস সংগ্রহের নীতিমালার এই পোস্টের শুরুতে বর্ণিত ২ নং পয়েন্ট অনুযায়ী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত সকল হাদীস বাদ হয়ে যায়। এখন কেউ যদি বলেন একটা মাত্র ভুলের জন্য তো তার সকল হাদীস বাদ দিয়ে দেয়া যায়না তাহলে নিচের পয়েন্টগুলো দেখুন যে তিনি মাত্র একটা ভুলই করেননি। এছাড়া সঙ্ক্রামক ব্যাধী বলে যে কিছু নেই এমন ভুল কথা কি নবী কোনদিন বলতে পারেন? হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ই নবীর নামে ভুল কথা বলেছেন।

৩) উপরের ২ অনুযায়ী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হাদীস ভুলে গিয়ে থাকলে বলা যায় নবী মিথ্যা বলেছিলেন (যেহেতু নবী হাদীস মনে থাকবে এমন কথা বলেছিলেন কিন্তু তা কাজে লাগেনি, সূত্র উপরের ১ নং হাদীস)। কিন্তু নবী মিথ্যা বলবেন এটা কোনভাবেই সম্ভব না তাই নির্দ্বিধায় এই পয়েন্ট বাদ দিয়ে দেয়া যায়।

৪) যেহেতু নবী (সঃ) মিথ্যা বলেননি তাই অবশ্যই তিনি ভুল বলেছিলেন। আর নবীর (সঃ) যে ভুল হওয়া সম্ভব তা কোরআন এবং হাদীস সমর্থিত। সেক্ষেত্রে প্রমাণ হয়ে যায় যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিয়মিত ভাবেই হাদীস ভুলে যেতেন (হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র নিয়মিত হাদীস ভুলে যাবার নিজস্ব স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং নবীর সেই ভুল মিরাকল ভুলোমনা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র অবস্থার উন্নতি করতে পারেনি অনুযায়ী)।

অতএব আমাদের যত খারাপই লাগুক না কেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কে হয় মিথ্যাবাদী অথবা ভুলোমনা এই দুটোর অন্তত একটা স্বীকার করে নিতে হবেই, নাহলে বলতে হবে বুখারী আর মুসলিম শরীফের হাদীস মোটেই নির্ভরযোগ্য নয়। তাই অত্যন্ত প্রিয় হলেও হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র বর্ণিত হাদীস ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম অনুসৃত নিয়ম অনুযায়ী মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়না।



এবার চলুন দেখি ভুলোমনা স্বভাবের হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আর কি কি সন্দেহজনক হাদীস প্রচার করেছেন। আমি মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করছি। এমন আরও বহু সংখ্যক হাদীস আছে যাতে প্রমাণীত হয় হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ভুল বলেছেন। ক, খ, গ দিয়ে পয়েন্ট করে দিলাম।

কঃ
_____________________________________________
হাদীস নং ৫

Bukhari, Book 10, Hadith 566 & 567 Click This Link

Narrated 'Aisha: Allah's Apostle never missed two Rakat before the Fajr prayer and after the Asr prayer openly and secretly.

Narrated 'Aisha: Whenever the Prophet come to me after the 'Asr prayer, he always prayed two Rakat.

আমরা দেখলাম হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন যে নবী আসরের পর দুই রাকাত নামাজ পড়তেন।

এবার এটা দেখুনঃ

হাদীস নং ৬

Bukhari, Book 10, Hadith 562 Click This Link

Narrated Abu Huraira: Allah's Apostle forbade the offering of two prayers: 1. after the morning prayer till the sunrises. 2. after the 'Asr prayer till the sun sets.

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন যে আসরের পর নামাজ পড়তে নবী নিষেধ করেছেন।









খঃ
_____________________________________________
একই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে সংখ্যাতে তালগোল পাকিয়েছেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)। সুলাইমান (আঃ) কে যে কিভাবে অপমান করলেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সেটা নাহয় নাই বললাম।

হাদীস নং ৭

সুলাইমান নবীর স্ত্রী সংখ্যা ৬০ Click This Link
সুলাইমান নবীর স্ত্রী সংখ্যা ৭০ Click This Link
সুলাইমান নবীর স্ত্রী সংখ্যা ৯০ Click This Link
সুলাইমান নবীর স্ত্রী সংখ্যা ১০০ Click This Link







গঃ
_____________________________________________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র কল্পবিলাসী মনঃ কথা বলা গরু আর নেকড়ে

হাদীস নং ৮

Bukhari, Book 56, Hadith 677 Click This Link

Narrated Abu Huraira: Once Allah's Apostle; offered the morning prayer and then faced the people and said, "While a man was driving a cow, he suddenly rode over it and beat it. The cow said, "We have not been created for this, but we have been created for sloughing." On that the people said astonishingly, "Glorified be Allah! A cow speaks!" The Prophet said, "I believe this, and Abu Bakr and 'Umar too, believe it, although neither of them was present there. While a person was amongst his sheep, a wolf attacked and took one of the sheep. The man chased the wolf till he saved it from the wolf, where upon the wolf said, 'You have saved it from me; but who will guard it on the day of the wild beasts when there will be no shepherd to guard them except me (because of riots and afflictions)? ' " The people said surprisingly, "Glorified be Allah! A wolf speaks!" The Prophet said, "But I believe this, and Abu Bakr and 'Umar too, believe this, although neither of them was present there."

এইখানে নবীর ভাবখানা এমন যে লোকে যখন বিশ্বাস করতে চাইছে না তখন নবী বলছেন উমর/হযরত আবু বকর থাকলে তারা বিশ্বাস করত। খুব স্বাভাবিক যুক্তিতেই বুঝা যায় নবী এই কথা আসলে কোনদিনই বলেননি। বরং লোকে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র কথা বিশ্বাস করবেনা বলে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিজেই নবীর সাথে উমর/হযরত আবু বকরের নাম জুড়িয়েছেন। আচ্ছা পাঠক, আমাদের ইসলাম পালনের সাথে এই হাদীসের কি সম্পর্ক? ইমাম বুখারী কেন এইসব আজেবাজে অদরকারী হাদীস দিয়ে বই ভর্তি করেছিলেন?

অবিশ্বাস্য/অকল্পনীয়/আজগুবী/রহস্যময় ইত্যাদি ঘটনা বর্ণনা করতে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) খুবই পছন্দ করতেন তা তার বর্ণিত বহু হাদীস দেখলেই বুঝা যায়।






ঘঃ
_____________________________________________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র স্মৃতি বিভ্রাটঃ

হাদীস নং ৯

Musnad of Ahmad ibn Hanbal, 6/246

Abu-Hassan reports that two people came to Aishah and said to her that Abu Hurayrah narrates that the Prophet used to say that bad luck is to be found only in women, horses and houses. At this Aishah replied: By the God who revealed the Qur’an to the Prophet ! The Prophet never said this; what he did say was that the People of the Jahilliyyah hold this opinion.

দেখুন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীর নাম দিয়ে বলেছেন যে নারীরা অপয়া। এই কথা শুনে হযরত আয়েশা বলেছেন যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ভুল বলেছেন। নবী এই কথা বলেননি বরং নবী বলেছিলেন বহু আগের যুগের মানুষের ভুল ধারণা। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বাঁচানোর জন্য বা তার স্মৃতি দূর্বল এই কথা অস্বীকার করার জন্য সনদে দূর্বল একটি হাদীস উল্লেখ করে বলা হয় যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীর পুরো কথাটি শুনেননি। সেক্ষেত্রে তো হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আরও বড় ভুল করেছেন। সম্পূর্ণ কথা না শুনেই তিনি এমন আরও কত হাদীস ছড়িয়েছেন তা কে বলে দিবে?






ঙঃ
_____________________________________________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কি এত দ্রুত ভুলে যেতেন?

হাদীস নং ১০

বুখারী, বুক ৬৪, হাদীস ২৬৮ Click This Link

Narrated Abu Huraira: "The Prophet said, 'The best alms is that which is given when one is rich, and a giving hand is better than a taking one, and you should start first to support your dependents.' A wife says, 'You should either provide me with food or divorce me.' A slave says, 'Give me food and enjoy my service." A son says, "Give me food; to whom do you leave me?" The people said, "O Abu Huraira! Did you hear that from Allah's Apostle ?" He said, "No, it is from my own self."


লক্ষ করুন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) প্রথমে দাবী করেছেন যে নবী এটা বলেছেন। পরে স্বীকার করেছেন যে এটা তার নিজের কথা। নবীর নামে এইভাবে ভুল কথা বলার পরেও তার কথায় নর্ভর করা যায় কোন যুক্তিতে? এই হাদীসের দূর্বলতা ঢাকতে হাদীসের পক্ষের লোকজন বলেন যে - এই হাদিসে হযরত আবু হুরাইরার গোটা ন্যারেশন ডাবল ইনভার্টেড কমার ভেতরে রাখা, এবং রাসুল সা.-এর বক্তব্যটা সিঙ্গেল ইনভার্টেড কমার ভৈতরে। তাই রাসুল (সঃ)'র বক্তব্য শেষ হবার পর অর্থাৎ সিঙ্গেল ইনভার্টেড কমা শেষ হবার পর যেটুকু থাকে সেটাই হযরত আবু হুরাইরার নিজের বক্তব্য।

কিন্তু এটা যে কত ভুল যুক্তি তা পাঠক সহজেই বুঝতে পারবেন। কারণ ইনভার্টেড কমার ভেতর নবীর বক্তব্য আছে, ওয়াইফের বক্তব্য আছে, স্লেভ এর বক্তব্য আছে আর সানের বক্তব্য আছে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)য় নিজের বক্তব্য একেবারেই নাই। পিপল যেখানে পরিষ্কার শুনল যে ওয়াইফ আর সানের বক্তব্য বলা হয়েছে সেখানে এই অংশটা নবীর বক্তব্য কিনা জিজ্ঞেস করাটা অবান্তর। বরং নবীর নামে যেটা বলা হয়েছে সেটাই পিপল জিজ্ঞেস করেছে। আর স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করে দেখেন কোন দাসী/স্ত্রী/সন্তান এর কোটেশন দেয়া বক্তব্য কোনক্রমেই হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র নিজস্ব বক্তব্য হতে পারেনা








চঃ
_____________________________________________
এটা খুবই আজব এক হাদীস। এইখানে শয়তানের আচরণ কোরানের বর্ণনার সাথে সম্পূর্ণ সাঙ্ঘর্ষিক।

হাদীস নং ১১

বুখারী, বুক ৩৮, হাদীস 505t Click This Link


এই হাদীসের সমস্যাগুলো খেয়াল করুনঃ

১) হযরত আবু হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীর কথা হয় বিশ্বাস করতেননা, নাহয় মনে রাখতেননা, অথবা সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেননা। যেখানে নবী দুই দুই বার সতর্ক করে দিয়েছেন যে সেই লোক মিথ্যাবাদী সেখানে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বারবার নবীর কথায় গুরুত্ব না দিয়ে সেই মিথ্যাবাদীর কথা বিশ্বাস করে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন! এর মানে এও দাঁড়ায় যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) শয়তানের প্ররোচনায় খুব সহজেই ঘায়েল হয় স্বয়ং নবীর সান্নিধ্যেও তা রোধ হয়না। নবীর মৃত্যুর পর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) যে শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে হাদীস বর্ণনা করেননি তার গ্যারান্টি দিতে পারবেন কি?

২) শয়তানের উদ্দেশ্য এইখানে বুঝা গেলনা। যেখানে শয়তানের উদ্দেশ্য হল মানুষকে বিপথে পরিচালনা করা সেইখানে শয়তান সামান্য সদকা চুরি করতে এসেছিল! তাও একবার নয় পরপর তিন রাত। সেই চুরির মাল দিয়ে শয়তান কি করবে তাও এক বিরাট প্রশ্ন! আচ্ছা নাহয় চুরি করলই, তারপর শয়তান এমন পন্থা শিখিয়ে দিল যাতে করে শয়তান নিজের পথ রুদ্ধ করে দিল। শয়তান এখন নিজের মাথা চাপড়াচ্ছে নিশ্চই যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হাদীসের মাধ্যমে সকল মুসলিমকে এই উপায় শিখিয়ে দিয়ে শয়তানের মহা সর্বনাশ করেছে। শয়তান খামাখা এত সময় নষ্টই বা করল কেন আর নিজের ক্ষতিই বা করল কেন তার কোন জবাব নাই।

৩) যদিও কোরান দাবী করে যে নবী ভবিষ্যত জানে না, কিন্তু এইখানে নবী বলে দিয়েছেন যে প্রিজনার আবার আসবে। আপনি হয়তো দাবী করবেন এটা ভবিষ্যতবানী নয় বরং অনুমান। কিন্তু সম্পূর্ণ হাদীস পড়লে এটা অনুমান মনে করার কোন কারণ নেই, কারণ এটা যে শয়তান সেটা নবী শুরুতেই জানতেন। এছাড়া হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কিছু বলার আগেই নবী প্রিজনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এতে বিন্দুমাত্র অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেনাই যে নবী কিভাবে প্রিজনারের কথা জানলেন।

৪) নবী শয়তানের কথা জেনেও আগেই কেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে সাবধান করে দিলেননা? যে খাবারগুলো শয়তান নিয়ে গেল তার দায় দায়িত্ব কে নিবে? পাহারাদার হিসেবে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র ব্যর্থতার জন্য তখনই তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে দেয়াটাই স্বাভাবিক ছিলনা? নাকি কিভাবে শয়তানের দাগা থেকে মুক্ত থাকা যায় সেটা শুনার জন্য নবী অপেক্ষায় ছিলেন? সেক্ষেত্রে এই উপায় নবী শয়তানের কাছ থেকে না জেনে আল্লাহর কাছ থেকে জানতে চাইতে পারতেননা?

৫) আল্লাহর নামে শপথ করেও হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) শপথ ভংগ করেছেন।

৬) নবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বিশ্বাস করে রমজানের যাকাত পাহাড়া দিতে বলেছিলেন, কিন্তু নিজের মাল না হওয়া সত্বেও বিনা অনুমতিতে তা বিলিয়ে দিয়ে সেই বিশ্বাস ভংগ করেছেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)।

কি আজব!!! আমরা এতটাই অন্ধ!! ছোটবেলায় এক সময় এই হাদীস পড়ে আমার মনে একটি প্রশ্নও জাগে নাই!! হাদীস কিভাবে আমাদের মাথা দখল করে কোরানকে ভুলিয়ে রেখেছে তা আমরা নিজেরাও বুঝতে পারিনা!






ছঃ
_____________________________________________
মুসা নবীকে নগ্ন করিয়ে ছেড়েছেন।

হাদীস নং ১২

বুখারী, বুক ৫৫, হাদীস ৬১৬ Click This Link

পাঠক খেয়াল করুনঃ

১) লাজুক হযরত মুসাকে আল্লাহ এইভাবে হেনস্তা করতে পারলেন? লজ্জা, নম্রতা, মোডেস্ট আচরণ, আশ্লীলতা থেকে দূরে থাকা এই সকল আদেশ করাই আল্লাহর সুন্নত, আর আল্লাহর সুন্নতে কখনো পরিবর্তন হয়না। এই হাদীস অনুযায়ী কি আমরা আল্লাহ সম্পর্কে ভুল ( কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক) ধারণা পাচ্ছিনা?

২) কোরানের যেই আয়াতের ব্যাখ্যা হিসেবে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এই হাদীস বলেছিলেন সেই আয়াতটা দেখুনঃ "O you who believe! Be you not like those Who annoyed Moses, But Allah proved his innocence of that which they alleged, And he was honorable In Allah's Sight." (33.69)
এবার আপনিই বলুনঃ হযরত মুসাকে লেংটা করে জনপদের সামনে দৌড়িয়ে তার দেহসুষ্ঠব দেখিয়ে কিভাবে হযরত মুসার সরলতা প্রমাণ করে হল? ভাইরে নিজের মাথাটা কি একটুও খাটাবেননা? আর কারো শরীরে খুঁত থাকলে সেটা তার দোষ না যে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করা লাগবে। আল্লাহ যেখানে এই আয়াতেই বলেছেন যে আল্লাহর দৃষ্টিতে মুসা সম্মানিত, সেখানে মুসাকে লেংটা করিয়ে কিভাবে মুসার সম্মান রক্ষা করলেন সেটা আমি বুঝতে পারিনাই।

৩) এই ঘটনা সত্যি ঘটে থাকলে ইহুদীরা বলত হে মুসা তুমি কিসের নবী? সামান্য পাথর তোমাকে মানেনা, আর আমরা মানব? তাই আল্লাহ কখনো এমন ঘটনা ঘটাতেননা।

৪) কোরানের উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা স্বয়ং কোরানই দিয়েছে। সেই ব্যাখ্যার জন্য মিথ্যা হাদীসের দারস্থ হবার কোন প্রয়োজন নেই। কোরানের (৭/১২৯, ২/৬১, ৭/১৩৮, ২/৫৫, ৫/২৪, ৬১/৫, ৫/২৫) আয়াতগুলো পরিষ্কার ভাবে ৩৩/৬৯ আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদান করে। নিজেই যাচাই করে নিন।






জঃ
_____________________________________________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র অন্যায় আচরণঃ

হাদীস নং ১৩

Bukhari, Book 65,Hadith 343 Click This Link

শুধু আলোচ্য অংশটুকু পেস্ট করলাম।

I used to accompany Allah's Apostle to fill my stomach........
I used to .... ask somebody to recite a Quranic Verse for me though I knew it, so that he might take me to his house and feed me.

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিজেই বলছেন যে তিনি রাসুলের সাথে থাকতেন উদর পূর্তির আশায়। এছাড়া কোরানের আয়াত জানা থাকার পরেও তিনি অন্য লোকের কাছে তা জানতে চাইতেন এই আশায় যে সেই লোক হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাওয়াবে। এইখানে লক্ষনীয় বিষয় এটাই যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সরাসরি কাউকে বলতেননা যে আমি ক্ষুধার্ত আমাকে খেতে দিন। বরং তিনি এই মিথ্যা অভিনয় করতেন যে তিনি কোরানের আয়াত শিখতে বড়ই আগ্রহী তাই সেটা শিখার জন্যই বাড়িতে যেতে আগ্রহী, অন্য উদ্দেশ্যে নয়। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র অসততা বুঝতে এর বেশী কিছু লাগেনা।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বড়ই ক্ষুধার্ত ছিলেন, পেটে পাথর বাঁধতে হত। এই রকম একটা ক্ষুধার্ত লোককে অতি অবশ্যই সাহাবাগণ নিজের জীবন দিয়ে হলেও খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবেন তা স্বাভাবিক চিন্তাতেই বুঝা যায়। স্বয়ং কোরানেই বহুবার নির্দেশ দেয়া আছে প্রতিবেশী/এতীম/মিসকিন/ক্ষুধার্তকে খাবার না দিয়ে নামাজ পড়লে তা কবুল হবেনা। সুরা মাউন দেখে নিতে পারেন। তো সাহাবারা কি কোরানের নির্দেশ জানতেননা?

যাই হোক হযরত উমরের সাথে এই রকম করতে গিয়ে একদিন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) লাভবান হতে পারেন নাই। নিচের হাদীস দেখুন।

হাদীস নং ১৪

Bukhari, Book 65, Hadith 287i Click This Link

আলোচ্য অংশটুকু পেস্ট করে দিলাম।

Afterwards I met 'Umar and mentioned to him what had happened to me, and said to him, "Somebody, who had more right than you, O 'Umar, took over the case. By Allah, I asked you to recite a Verse to me while I knew it better than you."

On that Umar said to me, "By Allah, if I admitted and entertained you, it would have been dearer to me than having nice red camels.

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) দাবী করছেন যে তিনি হযরত উমরের চাইতেও তিনি কোরানের আয়াতটি বেশি বুঝতেন। আমার খুব অদ্ভুত লাগছে তিনি কেন সরাসরি বলতে পারলেননা যে তিনি ক্ষুধার্ত। আপনারা যুক্তি দেখাতে পারেন যে আত্মসম্মান বোধের কারণে তিনি বলেননি। কিন্তু তিনি একজন মিসকিন, থাকার ঘরটা পর্যন্ত নেই সেই লোক আত্মসম্মানের কারণে মিথ্যা ভান করলে সেটাতো আরও বড় অপরাধ। কোরানের আয়াত জানা থাকার পরেও না জানার ভান করে খাওয়ার ব্যাবস্থা করা মিথ্যারই নামান্তর। আর হযরত উমর কি বললেন!! হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কে বাসার ভিতর ঢুকিয়ে উপভোগ করালে সেটা নাকি হযরত উমরের কাছে একটা উট পাওয়ার চাইতেও বেশী পছন্দনীয় ব্যাপার হত!! এত পছন্দের একটা জিনিস একেবারে হাতের কাছে পেয়েও হযরত উমর পায়ে ঠেলে দিলেন? এত ক্ষুধার্ত একজন মানুষ যে ফেইন্ট হয়ে যায় তাকে দেখলেই তো হযরত উমরের বুঝা উচিৎ ছিল যে তাকে খাওয়ানো উচিত। এই হাদীস বিশ্বাস করলেতো দেখা যাচ্ছে হযরত উমর নিজের পছন্দের ব্যাপারে পরিষ্কার মিথ্যা কথা বলেছেন।






ঝঃ
_____________________________________________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র আরেকটি সন্দেহজনক হাদীসঃ

হাদীস নং ১৫

Muslim, Book 31, Hadith 6054 Click This Link

১) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র মা এতই বিধর্মী যে নবীকে গালি দিতে ছাড়েননা, অথচ মাতৃভূমি ইয়েমেন ছেড়ে কপর্দকহীন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র সাথে নবীর এলাকায় থাকতে চলে এলেন যেখানে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)য় নিজেরই খাবার জুটেনা, বারবার মাথা ঘুরে পড়ে যায়? মাতৃভূমিতে অন্য সকল অবিশ্বাসীদের সাথেই থাকার কথা ছিলনা?

২) কপর্দকহীন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) যেখানে দাবী করেন তার কোন সহায় সম্বল ছিলনা, সুফফা তে তিনি মসজিদে থাকতেন রাত দিন, সেখানে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র এই হাদীসে বর্ণিত ঘরটি কোত্থেকে আসল? মুয়াবিয়ার আমলে হাদীস বর্ণনার সময় অবস্থাসম্পন্ন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কি ভুলে গিয়েছিলেন তার মক্কার শুরুর জীবনের দূরবস্থা?

৩) নবী এত দোয়া করে নিজ চাচা হযরত আবু তালিবকে মুসলিম বানাতে পারলেননা, হামজা এবং দুই একজন ছাড়া আর সকল আত্মীয়ই নবীর দোয়া সত্বেও ঈমান আনতে পারলেননা আর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র মার ঈমান চলে এল?

৪) এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ছাড়া আর কেউ জানলনা? এই ঘটনা সত্য হলে সকলের মুখে মুখে শুনা যেত, নবীর মাজেজার এক গ্রেট সাইন হত এটা। অথচ কেউ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র মা সম্পর্কে একবিন্দু তথ্য জানেনা, ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন। শুধু হযরত উমরের একটা কথায় হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র মায়ের নামটা জানা যায়।

৫) মুসলিম হয়েই হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র মা ছেলের সামনেও পর্দা করা শুরু করে দিলেন? তিনি ওযুর কথা পর্দার কথা হঠাৎ করে জেনে গেলেন?

৬) এই হাদীসের শেষ লাইনটি সম্পূর্ণ মিথ্যাঃ no believer was ever born who heard of me and who saw me but did not love me.

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসেই আমরা দেখেছি পিপল অব ইরাক যারা বিশ্বাসী ছিলেন তারা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে মিথ্যাবাদী বলতেন।

ইবনে সাদ এর তাবাকাত এ দেখি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিজেই বর্ণনা করেছেনঃ উমর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বলছেন “O you, enemy of God and His Book! You stole God’s money, didn’t you? How else could you be in possession of ten thousand dinars?”

হযরত উমর এর মত খলিফা বিনা প্রমাণে একজনকে আল্লাহর শত্রু বলে দিতেননা। হযরত উমর তার নিজের পুত্রের প্রতি কি আচরণ করেছিলেন তা দেখলেই জেনে যাবেন তিনি এই ধরনের লোক নন। সহিহ বুখারী আর মুসলিমের হাদীসেও আমরা দেখেছি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) যখন কালেমা শাহাদা এর কথা বলেছিলেন হযরত উমর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বুকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলায় পা দিয়েছিলেন। যদিও হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ )'র দাবী অনুযায়ী হযরত উমর পরে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র কথা বিশ্বাস করেছিলেন নবীর জুতা দেখে।





ঞঃ
_____________________________________________
পাপ করার লাইসেন্সঃ প্রদায়ক হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)

হাদীস নং ১৬

Muslim, Book 37, Hadith 6642 Click This Link

যত খুশি পাপ করুন, শুধু একবার বললেই হবে যে আল্লাহ ক্ষমা করে দিও। এক সময় আল্লাহ বিরক্ত (!!) হয়ে বলে দিবেন বান্দারে তুই যা খুশি কর, আমি তোরে ক্ষমা করে দিয়েছি।

এই ধারণা সম্পূর্ণ কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ বলেছেন প্রতিটি কাজের হিসাব হবে। আল্লাহ অসীম দয়ালু, তিনি তওবা কবুল করেন তবে কখনোই পাপ করার লাইসেন্স দিয়ে দেননা।

এই ধরনের আরেকটি হাদীস

হাদীস নং ১৭

Muslim, Book 37, Hadith 6638 Click This Link

কি আজব! যেখানে আল্লাহ কোরানে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন কারও তিল পরিমাণ ভাল কাজও নষ্ট হবেনা, সেখানে বিড়ালকে না খাওয়ানোতে মহিলা জাহান্নামী। বিড়ালকে না খাওয়ালে জাহান্নামে যেতে হবে এমন কথা আল্লাহ কোথাও বলেননি। মহিলা জাহান্নামে গিয়ে থাকলে বিড়ালকে না খাওয়ানোর অন্যায় এর সাথে অন্যান্ন অন্যায় মিলেই গিয়েছে। আর আরেক পাপী এত বড় পাপই করেছে যে তওবা না করেই মারা গেল। সে পাপের গুরুত্ব বুঝে তওবা করার সাহসও পায়নি। আর আল্লাহ সেই পাপীকে বিনা তওবায় ক্ষমা করে দিলেন? আল্লাহর সুন্নতের সাথে যাচ্ছেনা। আল্লাহ বলেছেন প্রতিটি মানুষ তার কর্ম অনুযায়ী ফল ভোগ করবে।

সর্বোপরি, হাশরের বিচার এখনো শুরুই হলনা, বিচার দিবসের কথা আল্লাহ কোরানে ঘোষনা করে রেখেছেন, সেখানে সকলের কৃতকর্মের হিসাব নেয়া হবে, আর এই হাদীসে দেখছি বিচার আচার শেষে জান্নাত জাহান্নামও অকুপাই হয়ে গিয়েছে। শেষ বিচারের দিন কি আল্লাহ পূর্বের বিচারের ভিডিও দেখবেন?





টঃ
_____________________________________________
নবীর কথা প্রচার করলেও তা মানেননি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)

হাদীস নং ১৮

Musnad,Imam Ahmed bin Hanbal, vol.2, p.p.43.

Muhammad bin Ziyad saying: “Marwan, who was wali of Medina during the reign of Mu’awiya, sometimes assigned Abu Hurayra to be his deputy when he left Medina. Abu Hurayra beat the ground with his feet saying: “Clear the way! Clear the way! The emir has come.” He referred to himself.

দুই দিনের জন্য আমির হয়ে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) মাটিতে পা ছুঁড়ে আঘাত করে নিজেকে নিজে আমীর উল্লেখ করে বলছেন যে তার জন্য লোকে রাস্তা ছেড়ে দিক। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) যে সেই সময় মারওয়ানের ডেপুটি ছিলেন তা নিচের লিংকের ৫২০২ হাদীসেও আছে।

এদিকে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত একটা হাদীস দেখিঃ এই হাদীসে বাহরাইনের আমীর ঠিক একই আচরণ করেছিল বলে নবী না করে দিয়েছেন যে এমন আচরণ খারাপ। আমীর হয়েই হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীর কথা ভুলে গেলেন?

হাদীস নং ১৯

Muslim, Book 24,Hadith 5201 Click This Link

Abu Huraire reported that he saw a person whose lower garment bad been trailin. and he was striking the ground with his foot (conceitedly). He was the Amir of Bahrain and it was being said: Here comes the Amir, here comes the Amir. He (Abu Huraira) reported that Allah's Messenger (may peace be upon him) said: Allah will not look toward him who trails his lower garment out of pride.

ভাল করে পড়ে দেখুন, কাপড় ছেঁচরানোটা মূল কারণ নয় বরং অহংকারটাই মূল কারণ যা নবী করতে নিষেধ করেছেন। আর মাটিতে পা ছুঁড়ে আঘাত করে লোকজনকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলাটাতো পরিষ্কার অহঙ্কার।





ঠঃ
_____________________________________________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) স্বয়ং আল্লাহকেও দোজখে ঢুকাতে ছাড় দেননিঃ

হাদীস নং ২০

Bukhari, Book 60, Hadith 373 Click This Link

As for the Fire (Hell), it will not be filled till Allah puts His Foot over it whereupon it will say, 'Qati! Qati!' At that time it will be filled,

অর্থাৎ, আল্লাহ নিজের পা দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবেন। এ ব্যাপারে কোরান কি বলে দেখিঃ

(৩৮/৮৫) তোর (ইবলিশ) দ্বারা আর তাদের মধ্যে যারা তোর (ইবলিশ) অনুসরণ করবে তাদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব।

অন্যান্ন অনেক হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আল্লাহর হাত পা মাথা ইত্যাদি আছে বলে দাবী করেছে।

এখন এইটাকেও যদি কেউ বলেন রূপক হাদীস তাহলে ভাই আমার রূপক হাদীসের চেয়ে কোরানকেই সহজ বলে মনে হচ্ছে, কারণ আল্লাহ কোরানে সরাসরিই বলে দিয়েছেন শয়তান আর তার অনুসারী দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবেন। আর আল্লাহর পা কে যদি শয়তানের অনুসারী বলেন (নাউযুবিল্লাহ) তাইলে আর কি বলব!! এই রুপক হাদীস দিয়ে আসলে কি বুঝানো হয়েছে তাই বলেন? এর দরকার কি আমাদের জন্য?


শেষ কথা হিসেবে বলতে চাই, আসুন ভাইয়েরা আমরা আমাদের ভুল ধারণা গুলো বাদ দিয়ে সত্য পথে চলার চেষ্টা করি। আমি এতক্ষণ শুধু হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসই উল্লেখ করেছি। তার গুলো বাদেও এমন বহু সংখ্যক হাদীস রয়েছে যা অবাস্তব, ভয়ঙ্কর, লজ্জাজনক, ক্ষতিকর এবং মিথ্যা। তাই সনদের উপর বিশ্বাস না করে চলুন সবাই কোরান দিয়ে হাদীস যাচাই করি। তাহলেই শুধু এই সিঙ্ঘভাগ ব

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২০

আবু ছােলহ বলেছেন:



পাহাড়সম উঁচু বিশাল অন্ধকারের আবহে সীমাহীন ব্যর্থতায় উচ্ছন্নে যাওয়া উদভ্রান্ত জীবনের হাহাকার!!!!

২৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: উপরের আর্টিকেলটার রেফারেনস
REFERENCE
আরো রেফারেন্স আছে আমার মন্তব্য নাম্বার ৯ তে ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার ওস্তাদরা আর আপনি মিলে আরও এরকম লক্ষ লক্ষ রেফারেন্স বানান। কোন সমস্যা নেই। হাদিসের বিশাল সম্ভার যাদের অক্লান্ত ত্যাগ, অপরিসীম নিষ্ঠা, অতুলনীয় আন্তরিকতা, অকল্পনীয় সতর্কতা আর অন্তহীন সাধনার বিনিময়ে লাভ করেছি; তারাও মানুষ ছিলেন। মানবীয় প্রবৃত্তি তাদের ভেতরেও ছিল। সামান্য সাধারন ভুল ভ্রান্তি তাদের ভেতরেও থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাদের নিয়ে যেভাবে আপনারা ঢালাও সমালোচনায় মেতে উঠেছেন; অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, আপনাদের 'ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়' -এর মত আসল নকল মেলাতে গিয়ে আমলযোগ্য হাদিস যেমন আর অবশিষ্ট থাকবে না, তেমনি রাসূলের স্নেহধন্য সাহাবীদের শানে যাচ্ছেতাই অপবাদ দিয়ে নিজেদের পান্ডিত্য জাহির করতে গিয়ে পরকালে নিজেদের আল্লামা(!) শয়তানের সঙ্গী করে তবেই ক্ষান্ত হবেন।

পুনশ্চ:
শয়তান কিন্তু আল্লামাই ছিল। মুআল্লিমুল মালাইকাহ। বুঝেন তো, অবস্থা!

আবারও:
পূর্বের মন্তব্যের উত্তরে কিছুটা বেশি বলা হয়ে গেছে মনে হয়। ক্ষমা করবেন।

ভাল থাকবেন।

৩০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

আবু ছােলহ বলেছেন:



বিশ্ব ভালবাসা দিবসের নামে বেহায়াপনার অবসান কামনা করি।

ইসলামে ভালবাসার জন্য কোন দিবসের প্রয়োজন নেই। বছরের প্রতিটি দিনই একজন বিশ্বাসী ব্যক্তির নিকট ভালবাসায় আকীর্ন।

৩১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

মাকার মাহিতা বলেছেন: যত্তগুলা কমেন্টস/লগে ব্লগ সহ একটা ১০০ পৃ. বই হব্বে!

ধন্যবাদ লেখক।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

আবু ছােলহ বলেছেন:



তা প্রায় হবে হয়েই যাবে হয়তো!

ধন্যবাদ অনেক অাপনাকেও।

৩২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: মুসলমানদের চুল্কানী নাই এমন কোনও বিষয় কি আছে বর্তমান বিশ্বে?












ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



চুলকানিতে তো আপনার পারদর্শিতাই বেশি দেখা যায়! আপনি কি এই ব্লগে অশ্লীলতা এবং নগ্নতা বিস্তারের ঠিকাদারি নিয়েছেন?

আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়- একজন মানুষের কর্মই তার বংশ মর্যাদা, রুচিবোধ, ভদ্রতা এবং পরিচয়ের মাপকাঠি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

আবু ছােলহ বলেছেন:



ইদানিং প্রায় ব্লগে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও লিঙ্ক প্রদানকারী, মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পোষনকারী, ধর্মীয় এবং জাতিগত বিষয়ে উস্কানীদাতা (যা তার বিভিন্ন কমেন্টস এবং পোস্ট থেকে প্রমানিত) জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন নিক ব্যবহারকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সামহোয়্যার ইন ব্লগের সম্মানিত মডারেটরদের প্রতি বিনীত নিবেদন রাখছি।

আশা করছি, তারা অবশ্যই উল্লিখিত নিক থেকে দেয়া পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে প্রিয় এই ব্লগটির সুস্থ পরিবেশ রক্ষায় বরাবরের মত ভূমিকা রেখে সাধারন ব্লগারদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগদানে বাধিত করবেন।

৩৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: মুসলমানদের জন্য ভালোবাসা দিবস হারাম। তাহারা আল্লাহর জিকির করিবে, এই দিনে বিরাট ঐতিহাসিক ইসলামী জালসা করিবে। আর মৃত্যুর পরে বেহেশতে সত্তরটা হুরকে বিনা কনডমে ঠাপাইবে। সবাই বলুন আমীন!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার অশ্লীলতাপূর্ন মন্তব্য এবং মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের ব্যাপারে ব্লগের সম্মানিত মডারেটরদের অবগত করানো হয়েছে। আশা করি, অতি শিঘ্রই তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

দয়া করে এই পোস্টে অশ্লীল বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। বিদ্বেষ, উস্কানী এবং অশ্লীলতা পরিহার করে সুস্থ ব্লগিং করুন, আপনার প্রতি অাশির্বাদ থাকবে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

আবু ছােলহ বলেছেন:



আপনার ৩২ নং মন্তব্যটি অবশ্যই মুছে ফেলতাম। মুছে দেয়ার প্রয়োজন ছিল। যে ব্লগ বা মন্তব্য পড়ার জন্য নির্জন স্থানে যেতে হয়, পরিবারের সদস্যদের সামনে যে মন্তব্য কিংবা ব্লগ মানুষকে লজ্জায় ফেলে, তাকে আর যা - ই হোক, অশ্লীলতা মুক্ত বলার কোনও সুযোগ নেই। ব্লগ কর্তৃপক্ষ যাতে সচক্ষে আপনার এরকম কৃতকর্ম অবলোকন করতে পারেন, সে চিন্তা থেকেই এই অসংলগ্ন, অসঙ্গত এবং অশ্লীল মন্তব্যটি আপাতত: রেখে দেয়া হল।

আপনার ৩৩ নং মন্তব্যটি বিদ্বেষপূর্ন, চুলকানীযুক্ত এবং খোঁচাদানকারী।

আশা করি, ব্লগের সম্মানিত অথরিটি সাধারন ব্লগারদের মনের কথা পড়তে সক্ষম হবেন। বরাবরের মতই তাদের আবেদন-নিবেদনকে সম্মান করবেন।

প্রিয় ব্লগের সম্মানিত অথরিটি, মডারেটরবৃন্দের জন্য অনেক শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.