নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু জাকারিয়া

আমি খুব স্বাধারন মানুষ। স্বাধারনদের থেকেও স্বাধারন। জীবনে জাঁকজমক পছন্দ করিনা। স্বাধারন ভাবে বাঁচতে চাই। সব চেঁয়ে অপছন্দের কারো অধিনে থাকা। \nউক্তিঃ পরাধীনতার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল, মৃত্যুযন্ত্রনার থেকে পরাধীনতা অনেক ভাল। [email protected]

আবু জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূত..ভূত...ভূত বাঁচা...বাঁচা...বাঁচা..

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

গ্রামের পোলা নান্টু। খালি বড় বড় কথা কয়, মোর সাহস আছে, মুই জ্বীন ভূত ডরাইনা।
কথা শুনলে মনে হয়, এত সাহসী পোলা গ্রামে আর একটাও নাই যে জ্বীন ভূত ডরায় না।
অথচ গ্রামের অন্য পোলাগুলা জ্বীন ভূত প্রচুর ভয় পায়। তারা রাত বেরাতে একা একা চলা ফেরা করেনা, যে কোন সময় জ্বীন ভূতে ঠেসে ধরতে পারে। তখন পরান টা খোয়াতে হবে।

কিন্তু গ্রামের পোলা নান্টু কোন কিছু তোয়াক্কা করেনা। রাত বেরাতে একা একা হন হন করে এদিক ওদিকে ঘুরে বেড়ায়। দরকারে বেদরকারে এদিক ওদিক যায়। গ্রামের অন্য পোলাপান ওর সাহস দেইখ্যা হিম সিম খাইয়া যায়।
"একদিন মুই হরছি কি, অনেক রাইতে বাড়ি আইতে আছি, অমনি দেহি মোর সামনে ইয়া বড় এক্ষান ভূত খারাইয়া রইছে। পাউ দিয়া মারলাম ছট। হালার ভূত দেহি ফুটবলের নাহান উইড়া গেল।"

নান্টু এমন ভাবে কথা বলে, শুনলে মনে হয় হালায় সত্যি কথা কইতে আছে। গ্রামের অন্য পোলাপান সত্যি কথা বলেই মনে করে। নান্টু মিথ্যা কইবারই পারেনা। সত্যিই হালার সাহস আছে। জ্বীন ভূতে হালারে এক্কেরে ভয় পায়। আরে ভয় না পাইয়া জাইবো কই?
নান্টুযে শক্তিশালী তাতে জ্বীন ভূতে ওর সাথে মারামারিতে পাইরব না। জ্বীন ভূতেরও তো জানের ভয় আছে, নাকি?
নান্টুর লগে মারামারি করতে গিয়া কে ঠায় মরতে আসবে, জ্বীন ভূতে তা ভাল কইরাই বোঝে।


একদিন রাইতে নান্টু আর নান্টুর দোস্ত ঝন্টূ বাড়ি আসতেছিল। তখন ঘুটঘুটে অন্ধকার। আসে পাসে কোথাও কোন আলো দেখা যায় না। নান্টু আর নান্টুর দোস্ত অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা দিয়া হাটছিল। অন্ধকারেও ওদের হাটতে অসুবিধা হয়না। আন্দাজে ভালই পথ চলতে পারে।

হঠাৎ বাগানের মধ্যে ধুপ ধুপ শব্দ আসতে শুরু করল। শব্দ শুনে ঝন্টু ভয়ে কাপাকাপি শুরে করে দিল। হয়ত কোন খারাপ জ্বীন অথবা ভূত হবে। নান্টু কইল, আরে বেয়াক্কেল ভয় পাইস কিশের জন্য। মুই তোর লগে আছিনা।

ঝন্টু কইল, দোস্ত তারাতারি এখান থাইকা পালা, তা না হইলে ভূতে আমাদের ঠাইসা মাইরা হালাইব।

কিন্তু মন্টু হালার কোন ডর ভয় নাই। হালায় কইল, থাম তুই, চল ভূতটারে রাম ধোলায় দিয়ে আসি।

ঝন্টু কইল, না আমি জামুনা, ভূতে মাইরা হালাইব আমারে।

বাধ্য হয়ে মন্টু একাই গেল বাগানের মধ্যে। উদ্দেশ্য ভূত হোক আর জ্বীন হোক, ধরে রাম ধোলাই দিতে হবে। রাম ধোলাই দিতে পারলে নান্টুর নাম গ্রামে গ্রামে ছড়াইয়া পরবে। সবাই তারে সাহসী ভাববে।

নান্টু বাগানের মধ্যে সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে লাগল আর ঝন্টু রাস্তায় বসে ভয়ে কাপতে লাগল। কি ঘটে যায় বলা যায় না। ভূতে নান্টুরে আবার মাইরা হালাইব না তো, মনে মনে আতংকীত ছিল ঝন্টু।

হঠাৎ বাগানের মধ্যে ধুপ করে শব্দ আসল। নান্টু চেঁচাতে লাগল, ভূত..ভূত..ভূত...বাচা...বাচা...বাচা...
ঝন্টু এমনিতে ভীতু মানুষ। তার উপরে নান্টুকে বাগানে ভূতে ধরেছে। ঝন্টু ভয় পেয়ে দৌড়াতে শুরু করল। দৌড়াইতে দৌড়াতে অনেক দুর আসল সে।

রাস্তায় কয়েকটা মানুষ দেখল ঝন্টু। তারা বলল, কি হইরে ঝন্টু, অন্ধকারে দৌড়াইতে আছ ক্যান?

ঝন্টু হাপাইতে হাপাইতে কইল, নান্টুরে বাগানে ভূতে ধরছে, তারাতারি চলেন ওরে বাচাইতে হইব।

লোকজন লাঠি সোঁটা নিয়ে হাজির হল যেখানে নান্টুকে ভূতে ধরেছে।

সবাই লাইট মাইরা দেখল, নান্টু একটা ময়লার কুয়ার মধ্যে পড়ে আছে। কিছুতে উঠতে পারছেনা কুয়া থেকে। গর্তের মধ্যে একটা গরুও পড়ে আছে। নান্টু গরুটাকেই ভূত ভেবেছিল।

সবাই নান্টুকে কুয়া থেকে তুলে আনল। ওর গায়ে ময়লা আবোর্জনায় ভরে গেছে।
গ্রামের পোলা নান্টু, হালায় সেই হইতে আর বেশি সাহস দেখাইতে আসেনা। ওর চাপাবাজি কুইমা গেছে। এক্কেরে বেলুনের লাহান বাস্ট হইয়া গেছে...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাহসের চাক্কা পাংচার কইরা দিল গরুতে!!! ;)

হা হা হা

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

আবু জাকারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.