নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু জাকারিয়া

আমি খুব স্বাধারন মানুষ। স্বাধারনদের থেকেও স্বাধারন। জীবনে জাঁকজমক পছন্দ করিনা। স্বাধারন ভাবে বাঁচতে চাই। সব চেঁয়ে অপছন্দের কারো অধিনে থাকা। \nউক্তিঃ পরাধীনতার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল, মৃত্যুযন্ত্রনার থেকে পরাধীনতা অনেক ভাল। [email protected]

আবু জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টার জলসা, জ্বী বাংলাঃ মেয়েরা কেন বেশি পছন্দ করে???

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি, প্রত্যেক প্রানীর পছন্দ আলাদা আলাদা হয় কেন? মানুষ যেহেতু একটি প্রানী, সেহেতু তারও পছন্দ আলাদা আলাদা হবে।
প্রত্যেক প্রানীর মধ্যে দুই ধরনের আকর্ষন থাকে।
১.যৌন আকর্ষন।
২.অযৌন আকর্ষন।

উপরের দুটি আকর্ষনের মধ্যে কোন আকর্ষনটির প্রভাব বেশি?
অনেকেই এক কথায় জবাব দেবেন ১। অর্থাৎ যৌন আকর্ষন। এই ধারনাটা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক বলা যায় আবার বেঠিকও বলা যায়। কারন মানুষের অযৌন আকর্ষন সৃষ্টি হয় মূলত যৌন আকর্ষনের উদ্দেশ্যে। সে হিসেবে যৌন আকর্ষনই মুখ্য। কিন্তু প্রভাবের ক্ষেত্রে অযৌন আকর্ষনের প্রভাব বেশি।

এবার আসি মূল প্রসংগে।
প্রথমে যৌন আকর্ষন কি?
যৌন আকর্ষন বলতে বোঝায় বিপরীদ লিঙের প্রতি প্রানীর মধ্যে বংস বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শারিরীক ও মানুষিকভাবে যে আকর্ষন সৃষ্টি হয় তাকে যৌন আকর্ষন বলে। তবে অনেক মানুষ শারিরীকভাবে এক লিঙের হলেও মানুষিকভাবে তারা অন্য লিঙ। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তাদের মানুষিক অবস্থা বংস বৃদ্ধির উদ্দ্যেশে উপযুক্ত নয়। কারন, তাদের মানুষিক আকর্ষন ভূল পথে প্রবাহিত হচ্ছে।
যাই হোক এবার আসি অযৌন আকর্ষনের ক্ষেত্রেঃ
অযৌন আকর্ষন কি? যৌন আকর্ষন বাদে আর যত প্রকার আকর্ষন আছে সেগুলো অযৌন আকর্ষন।
যেমন ধরুন একজন একটি উচু পাহাড় দেখেছে। এখন পাহাড়টি বেয়ে উপরে উঠতে ইচ্ছা করছে। এই ধরনের আকর্ষন হল অযৌন আকর্ষন। আবার ধরুন একটা বাচ্চার কার্টুন দেখতে খুব ইচ্ছা করছে, এটাও তার অযৌন আকর্ষন। আবার মেয়েরা নির্দিষ্ট কোন টিভি চ্যানেলের ভক্ত, এটাও তাদের ওই টিভির প্রতি অযৌন আকর্ষন।
অর্থাৎ আলাদা আলাদা মানুষের অযৌন আকর্ষন আলাদা আলাদা হয়।
তাহলে প্রশ্ন, আলাদা আলাদা মানুষের অযৌন আকর্ষন কেনই বা আলাদা হয়? কেনই বা একজন পুরুষ পাহাড়ে চড়তে চায়, একজন শিশু কার্টুন দেখতে চায় এবং একজন মেয়ে নির্দিষ্ট কিছু টিভি চ্যানেলে ভক্ত হয়।
এরকম আচরন কি তারা ইচ্ছা করে করে নাকি তাদের প্রয়োজন?
আসলে কেউ ইচ্ছা করে তার আচরন পরিবর্তন করতে পারেনা। কারন যে আচরনটা মানুষের মাঝে থাকে সেটা তার প্রয়োজন। সে ইচ্ছা করলেই নিজের আচরন পরিবর্তন করতে পারবে না। যেমন একটা বাচ্চা ছেলে ইচ্ছা করলেও কার্টুন ছেড়ে তাস খেলায় মনোযোগ দিতে পারবে না। কারন তাশ খেলার চেয়ে বাচ্চা ছেলেটির কার্টুন দেখাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এর গুরুত্ব কতটা বেশি, এটা বুঝাতে আমি কিছু উদাহরন ব্যাবহার করছি।
যেমন-
শিশুঃ শিশুরা কার্টন দেখা পছন্দ করে। তাদের এক বন্ধু হঠাৎ কার্টুন রেখে তাস খেলায় মনযোগ দিল। তাহলে কি হবে, তার বন্ধুরা তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করবে, তার সাথে কেউ মিশতে চাইবে না। কারন তাশ বড়দের খেলা। তাই একটা শিশু তার সময় বয়সীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কার্টুন দেখতে পছন্দ করে।

যুবক পুরুষঃ ক্রিকেট পুরুষের খুব পছন্দের খেলা। কারন, এই খেলাটি মেয়েদের চেয়ে পুরুষেরা ভাল খেলতে পারে।
এখন ধরুন আপনি একটি ভাল টিমের সাথে ক্রিকেট খেলছেন। ভাল খেলার কারনে আপনার অনেক চাহিদা। খেলা পড়লেই আপনাকে সবাই ডেকে নিয়ে যায় খেলার জন্য। এতে আপনার নিশ্চয়ই ভাল লাগবে। এখন ধরুন হঠাৎ করে ক্রিকেট খেলা বন্ধ করে দিয়ে মেয়েদের সাথে গোল্লাছুট খেলা শুরু করলেন। আপনার দল যখন জানতে পারবে আপনি ক্রিকেটে ছেড়ে দিয়ে গোল্লাছুট বেশি পছন্দ করেন আর সারাদিন তাই নিয়ে মেতে থাকেন, দেখবেন আপনার টিমের কাছে আপনার চাহিদা দিন দিন কমে যাবে। তখন আপনার নিশ্চিত খারাপ লাগবে। তাই আপনি গোল্লাছুট খেলার চেয়ে ক্রিকট খেলাই বেশি পছন্দ করবেন। এবং আপনার খেলার মান ভাল করার জন্য প্রতিদিন খেলা নিয়ে মেতে থাকবেন যাতে অন্যদের চেয়ে ভাল খেলা যায়।
অপর দিকে মেয়েরা গোল্লাছুট নিয়ে মেতে থাকবে আর ক্রিকেটের ধারে কাছেও আসবে না। কারন তারা ক্রিকেটে প্রতিযোগীতা করার মত এমন কোন মেয়েকে খুজে পায়না।

তাহলে কেন এই পার্থক্য? তিনটি সুত্রঃ
(১)একজন শিশু, শিশুসুলভ আচরন করতে পছন্দ করে যাতে তারা অন্য শিশুদের সাথে সহজে মিসতে পারে।
(২)একজন পুরুষ, পুরুষালী আচরন পছন্দ করে কারন মেয়েরা যাতে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়।
(৩)একজন মেয়ে, মেয়েলি আচরন করতে পছন্দ করে যাতে পুরুষরা তার প্রতি আকৃষ্ঠ হয়।

-একটি শিশুর জন্য শিশুসুলভ আচরন খুব দরকারী, কারন এই আচরন তাকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
-একটি মেয়ের জন্য মেয়েলি আচারন খুব দরকারী, কারন তার মেয়েলি আচরন পুরুষকে আকর্ষন করে।
-একজন পুরুষের, পুরুষালী আচরন খুব দরককারী কারন তার এমন আচরন মেয়েদের আকর্ষন করে।

একজন শিশুর কার্টুন দেখা, তার শিশুসুলভ আচরন।
একজন মেয়ের গোল্লাছুট খেলা, নির্দিষ্ট কিছু টিভি চ্যানেল যেমন স্টার জলসা জ্বী বাংলা পছন্দ করা ইত্যাদি তার মেয়েলি আচরন।
আবার একজন পুরুষের পাহাড়ে চড়ার আগ্রহ, কিংবা ক্রিকেট খেলার আগ্রহ এগুলো তার পুরুষালী আচরনের অংশ।
এই আলোচনার মাধ্যমে অনেকে হয়ত কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন যে আলাদা আলাদা মানুষের আচরন আলাদা আলাদা হয় কেন। সাথে এটাও বুঝতে পেরেছেন, এসব আচরন তারা ইচ্ছাকৃতভাবে করেনা, বরং এগুলো তাদের জীবনে প্রয়োজন। এগুলো ছাড়া তারা স্বাভাবিকভাবে জীবন চালাতে পারবে না।

এবার আসি মেয়েদের নির্দিষ্ট কিছু টিভি চ্যানেলের প্রতি আগ্রহের কারন খুজতে!
আমরা জানি বাংলাদেশের মেয়েদের দুইটা চ্যানেল সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে- তাহল স্টার জলসা ও জ্বী বাংলা। অনেকে বলে কুকির্তি আর ষড়যন্ত্র শেখার জন্য মেয়েরা এসব চ্যানেল দেখে থাকে। আসলে কি তাই? মোটেও না।
মেয়েরা এসব চ্যানেল দেখে থাকে শুধু মাত্র তাদের অযৌন আকর্ষন থেকে; যৌন আকর্ষন থেকে নয়। আর শুধু মাত্র তাদের মেয়েলিভাবটাকে আরো উন্নত করতে। তাহলে ওই টিভি চ্যানেলগুলোতে এমন কি অযৌন আকর্ষন যা মেয়েদের মেয়েলিভাবকে আরো উন্নত করে?

আমার জানা মতে, বাংলাদেশে যে কয়টি টিভি চ্যানেল দেখান হয় তার মধ্যে আদর্শ দুটি মেয়েলি টিভি হচ্ছে স্টার জলসা আর জ্বী বাংলা- যার মাধ্যমে মেয়েরা তাদের মেয়েলিভাবকে আরো উন্নত করতে পারে(বা করতে পারে বলে মেয়েদের কাছে মনে হয়)। আর একারনেই মেয়েরা এই দুটির প্রতি বেশি আকর্ষন বোধ করে।

তাহলে চ্যানেল দুটি থেকে কি কি শেখা যায় যা মেয়েদের মেয়েলিভাবকে উন্নত করে?

১। মেয়ে সমাজে তারা কিভাবে চলবেঃ এই চ্যানেলদুটো হল মেয়েদের জন্য সেরা চ্যানেল যার মাধ্যমে মেয়ে সমাজে চলার আদর্শ শিক্ষা পেতে পারে।
২।মেয়েদের কেমন পোশাক পড়লে তারা আরো বেশি আকর্ষনীয় দেখাবেঃ এটা শেখার জন্য এসব চ্যানেল উপযুক্ত।
৩।তাদের কেমন দেখানো উচিৎ বা তাদের সাজ সজ্জা কেমন হওয়া উচিৎ যা আকর্ষনীয় দেখাবে।
৪। কিভাবে কৌশল করে একজন পুরুষকে তার নিয়ন্ত্রনে আনা যায়।

আর এসব শেখার একটাই উদ্দেশ্য তার ভেতর মেয়েলিভাবের উন্নতি ঘটানো। মেয়েলিভাবের উন্নতি ঘটানোর একটাই উদ্দেশ্য পুরুষদের আকৃষ্ঠ করা। উপরুক্ত হিসাব থেকে একটা বিষয় স্পস্ট বোঝা যায় যে, মেয়েরা কোন খারাপ উদ্দ্যেশ্য নিয়ে এসব টিভি চ্যানেলের প্রতি আকৃষ্ঠ হয়না। তাদের আকৃষ্ঠ হওয়ার মূলে রয়েছে পুরুষদের আকৃষ্ঠ করা। কেননা মেয়েলিভাব না থাকলে তাদের কোন পুরুষ পছন্দ করবে না। আর মেয়েলিভাব শেখার জন্য উপযুক্ত একটা মাধ্যম হল এসব টিভি চ্যানেল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.