নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু জাকারিয়া

আমি খুব স্বাধারন মানুষ। স্বাধারনদের থেকেও স্বাধারন। জীবনে জাঁকজমক পছন্দ করিনা। স্বাধারন ভাবে বাঁচতে চাই। সব চেঁয়ে অপছন্দের কারো অধিনে থাকা। \nউক্তিঃ পরাধীনতার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল, মৃত্যুযন্ত্রনার থেকে পরাধীনতা অনেক ভাল। [email protected]

আবু জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুম, স্বপ্নঃ মস্তিস্ক রহস্য

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

২০০৭ সালের ঘটনা। চৈত্র মাসের দুপুর বেলা। প্রচন্ড গরম পড়েছে। আমি ঘুমিয়ে আছি। এমন সময় মনে হল আমার এক বন্ধু আমার রুমে ঢুকে আমাকে ডাকছে। আমি স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি আমার বন্ধুটা আমার পড়ার টেবিলের পাশে দাড়িয়ে আছে। হঠাৎ আমার ঘুম ভেংগে গেল। আমি স্বপ্নে আমার রুমটাকে যেভাবে দেখেছি, ঠিক সেভাবে আছে। শুধু আমার সেই বন্ধুটাকে দেখতে পাচ্ছিনা। তখনও আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছিলাম না এটা আসলে কি স্বপ্ন ছিল নাকি বাস্তব। তখন আমি আমার সেই বন্ধুকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করি। ও বলল ও আমাদের বাসায় আসেনি। তখন নিশ্চিত হলাম এটা আসলে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু স্বপ্নটা এত স্পস্ট ছিল যে জেগে ওঠার কিছু সময় পর্যন্ত এটা আমার কাছে বাস্তব মনে হয়ে ছিল।
আমি সায়েন্সের ছাত্র ছিলাম। অনেক বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যে চিন্তা করতে বসে যেতাম। কোনটার সমাধান পেতাম আবার কোনটার পেতাম না। যে বিষয়গুলো আমাকে সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলত তা হল স্বপ্ন। আমি জীবনে যত স্বপ্নের কথা মনে করতে পারি, সেগুলো একা একা ব্যাক্ষা করতে চেষ্টা করতাম। স্বপ্নের উপরে অনেক বই পাওয়া যায়। সেগুলো পড়ে আনন্দ পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা পাওয়া যায় না। আমার দরকার ছিল বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, যারা স্বপ্ন নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে মনবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রুয়েড বেশি জনপ্রিয়। ইন্টারনেট ঘেটে তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এবং তিনি স্বপ্ন নিয়ে যে বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষাগুলো দিয়েছেন তাও বোঝার চেষ্টা করলাম। এরকম ভাবে নানা বৈজ্ঞানিকের নানা মতবাদ সম্পর্কে জানলাম। সেই সাথে নিজেও স্বপ্ন নিয়ে গবেষনা শুরু করে দিলাম। আজ অনেক বছর হয়ে গেছে আমি স্বপ্ন নিয়ে গবেশনা চালিয়েছি। এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত স্বপ্নের ভাল বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা দাড় করাতে না পারব ততদিন গবেষনা চালিয়ে নেয়ার ইচ্ছা আছে।
আমি স্বপ্ন নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত কিছু সিদ্ধান্তে পৌছেছি। স্বপ্ন যেহেতু সম্পূর্ন মস্তিস্কের ব্যাপার তাই মস্তিস্ক সম্পর্কে কিছু তথ্য উদঘাটন করেছি। গবেষনা পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো প্রকাশ করতে চাই না। কারন সম্পূর্ন বিত্তি দিতে এখনও অনেক সময় লাগবে।
আমার গবেষনায় যে সকল বিষয়ের ব্যাক্ষা পাওয়া যাবে-
১।আমরা কেন স্বপ্ন দেখি এবং কিভাবে দেখিঃ
স্বপ্ন অত্যন্ত স্বাধারন একটি ব্যাপার। কিন্তু মানুষ এটাকে জটিল মনে করে। বিভিন্নজনে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে স্বপ্নকে ব্যাক্ষা করার চেষ্টা করে। সেগুলো বেশিরভাগ কুসংস্কার। আমার এই গবেষনায় বিশধভাবে স্বপ্ন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা পাওয়া যাবে।
২। ভূত দেখাঃ অনেক মানুষ ভূত দেখেছেন বলে বিশ্বাস করেন। আমি নিজেও ভূত দেখেছি। আমি আমার দেখা ভূতের বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা দিতে পারব। আশা করি অন্য মানুষের ভূত দেখার ব্যাপারেও একইভাবে বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা দিতে পারব। আর এটা সম্পূর্ন ব্যাতিক্রম।
৩।আমরা কেন ঘুমাই বা ঘুম কেন প্রয়োজনঃ এই প্রশ্নটা পৃথিবীতে একটা রহস্যজনক প্রশ্ন যে আমরা কেন ঘুমাই বা ঘুম কেন প্রয়োজন। কিন্তু আমরা কেন ঘমাই বা ঘুম কেন প্রয়োজন প্রশ্নের থেকে আমরা কেন জেগে থাকি প্রশ্নটি বেশি রহস্যময়। আমি আমার গবেষনার মাধ্যমে প্রমান করব ঘুমের প্রকৃত কারন। আর প্রমান করব আমরা কেন জেগে থাকি।
৪।আমাদের মস্তিস্ক কিভাবে কাজ করেঃ আমি আমার গবেষনার মাধ্যমে মস্তিস্কের কাজের একটি মডেল তৈরি করেছি। এই মডেলের মাধ্যমে ব্যাক্ষা করা যাবে মস্তিস্ক কিভাবে কাজ করে। এবং কিভাবে আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রন করে।
৫।আমাদের শরীরে হরমন কিভাবে কাজ করে আর কেনই বা আমাদের শরীরে হরমন তৈরি হয়- আমার গবেষনায় সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাক্ষা থাকবে।
৬।বিভিন্ন প্রকার মানুষিক ও শারিরীক রোগ সম্পর্কে জানা যাবেঃ আমাদের মানুষিক অবস্থা নিয়ন্ত্রন করে আমাদের মস্তিস্ক। আমাদের মস্তিস্ক আমাদের মানুষিক অবস্থা কিভাবে নিয়ন্ত্রন করে সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা পাওয়া যাবে আমার গবেষনায়।
তাছাড়া কিছু শারিরীক রোগ আছে যেগুলো মস্তিস্কের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। মস্তিস্ক ঠিক মত কাজ না করলে এই শারিরীক রোগ গুলো তৈরি হয়। ঠিক কি কাজের জন্য শারিরীক এই সব রোগ হয়ে থাকে সেগুলোর ব্যাক্ষা পাওয়া যাবে আমার গবেষনা থেকে।
৭। ঘুমের পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারনঃ নির্দিষ্ট বয়সে মানুষের ঘুমের গড় পরিমান থাকে নির্দিষ্ট। তারপরেও ঘুমের পরিমানের তারতম্য ঘটে। আর সে তারতম্যের কারন হল আমাদের মস্তিস্ক। মস্তিস্কের কি কাজের জন্য এই তারতম্য সৃষ্টি হয় সে বিষয়েও বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা পাওয়া যাবে আমার গবেষনার মাধ্যমে। আরও জানা যাবে প্রানী বেধে ঘুমের বৈচিত্র কেন আলাদা আলাদা।
৮।বুদ্ধি পরিমানঃ বর্তমানে বুদ্ধি পরিমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল আই কিউ পদ্ধতি। আমার কাছে এই পদ্ধতিটা একটি বিতর্কিত ও অগ্রহন যোগ্য পদ্ধতি। কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে কোন মানুষের বুদ্ধির পরিমান বিচার করা বিজ্ঞান সম্মত হতে পারেনা। যাই হোক আমি যে বুদ্ধি পরিমানের যে পদ্ধতি ব্যাবহার করব তা সবার ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে। এই কাজটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে বলে এটা শুধু মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করতে পারবে। এই পদ্ধতির উন্নত ঘটিয়ে আশা করি সকল প্রানীর বুদ্ধি পরিমান করা সম্ভব হবে।
তাছাড়া জানা যাবে মস্তিস্ক বেধে বুদ্ধি পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারন।


আমার গবেষনা শুরু হয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু স্বপ্নের বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা করার জন্য মস্তিস্ক নিয়ে প্রচুর গবেষনা করতে হয়েছে। আমার গবেষনা এখন মধ্যম পর্যায়ে আছে। আশা করি, কয়েক বছরের মধ্যে গবেষনা শেষ করতে পারব। আমার নিজের কোন ল্যাবরেটরি নেই। সেকারনে গবেষনা করতে গিয়ে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারপরেও আমি বিভিন্নভাবে আমার কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। একটু একটু করে হলেও...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

একলা চলো রে বলেছেন: আপনি যা করেছেন, তা বড়জোর অনুসন্ধান বলা যেতে পারে। গবেষণা কোনভাবে নয়।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

আবু জাকারিয়া বলেছেন: গবেষনা কি অনুসন্ধান সেটা বিষয় নয়; আমি চেষ্টা করছি এসব কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা দিতে। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

সুমন কর বলেছেন: টাইপে সচেতন হন।

এগুলো অাপনার চিন্তার বহিঃপ্রকাশ গবেষণা নয়।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

আবু জাকারিয়া বলেছেন: হ্যা আপনার কথা ঠিক। আবার এও হতে পারে, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ও গবেষনার বহিঃপ্রকাশ একই জিনিস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.