নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু জাকারিয়া

আমি খুব স্বাধারন মানুষ। স্বাধারনদের থেকেও স্বাধারন। জীবনে জাঁকজমক পছন্দ করিনা। স্বাধারন ভাবে বাঁচতে চাই। সব চেঁয়ে অপছন্দের কারো অধিনে থাকা। \nউক্তিঃ পরাধীনতার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল, মৃত্যুযন্ত্রনার থেকে পরাধীনতা অনেক ভাল। [email protected]

আবু জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ABIOGENESIS: লিভিংকোড থিওরীর ব্যাখ্যা।

০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

পৃথিবীতে প্রানীর উৎপত্তি কিভাবে হল, এ নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর বিভিন্ন থিওরী বা মতবাদ প্রচলিত আছে। আমি যে থিওরী প্রস্তাব করেছি, তার নাম 'লিভিংকোড থিওরী (Living Code Theory)' । আগের লেখা থেকে লিভিংকোড থিওরী অনেকের কাছেই হয়ত ভালভাবে পরিস্কার হয়ে ওঠেনি। তাই আমি এখানে বিষয়টা একটু স্পস্ট করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। একটু সহজ করে বলতে গেলে, লিভিংকোড হল জীবনের একক। যেমনি প্রানী দেহের গঠনের একক হল কোষ, তেমনি জীবনের একক হল এই লিভিংকোড (Living Code)। একটি জীবন হাজার হাজার কিংবা লক্ষ লক্ষ কিংবা কোটি কোটি লিভিংকোডের সমন্বয় গঠিত। যার লিভিংকোডের সংখ্যা যত বেশি, সে তত উন্নত প্রানী। আর যার লিভিংকোড যত কম সে তত অল্প উন্নত প্রানী। মানুষ, তিমি, হাতি, বানর ইত্যাদি প্রানীর লিভিংকোডের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই এরা উন্নত প্রানী। উন্নত প্রানী বলতে বুঝায়, যাদের মধ্যে প্রানীর সর্বোচ্চ মান বিদ্যামান তাদের। আবার কিছু কিছু প্রানী আছে যাদের লিভিংকোড অন্যান্য প্রানীর তুলনায় অনেক কম। তাই এদের উন্নত প্রানী বলা যাবে না। কিছু কিছু অনুজীব, যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার লিভিংকোড অনেক কম। তাই এরা উন্নত প্রানী নয়। এদের লিভিংকোড কম থাকার কারনে এরা মাঝে মাঝে জড় বস্তুর মত আচরন করে। এদের যদি লিভিংকোড বেশি থাকত বা বেশি করা যেত, তবে এরা কখনই জড় বস্তুর মত আচরন করত না। আবার অনুজীব যেমন এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকার লিভিংকোড ভাইরাসের তুলনায় বেশি। সবচেয়ে লিভিংকোড যাদের কম তারা হল উদ্ভিদ। উদ্ভিদের লিভিংকোড সবচেয়ে কম হওয়ায় এদের অনেকে প্রানীর মধ্যেও ফেলতে চাননা। অবশ্য স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমান করেছেন যে উদ্ভিদেরও প্রান আছে। তবে স্বাধারন উদ্ভিদদের থেকে কিছু উদ্ভিদের লিভিংকোড অনেক ক্ষেত্রে বেশি হয়। যেমন, লজ্জাবতী উদ্ভিদের একটি লিভিংকোড বেশি হওয়ায় এরা সামান্য হলেও প্রানীর অনুরুপ আচরন করতে পারে।

যাই হোক, লিভিংকোড সম্পর্কে একটু স্পস্ট ধারনা দেওয়ার জন্য একটা উদাহরন ব্যাবহার করছি। আশা করি এই উদাহরনের মাধ্যমে লিভিংকোড বিষয়ে আরো স্পস্ট ধারনা আসবে।

আপনারা হয়ত কঁচু পাতায় পানি জমতে দেখেছেন। কি টলটলে আর পরিস্কার। একটু নাড়াচাড়া পেলেই নিচে পড়ে যাবে। কঁচুপাতার উপরে পানি জমা হয় শিশির অথবা বৃষ্টির কারনে। পানি জমে আছে এমন একটি কঁচু পাতাকে যেমন আছে তেমনিভাবে পানি থাকা অবস্থায় ছিড়ে হাতে নেয়া খুব কষ্টসাধ্য। কঁচুপাতা ঠিক মত না ধরতে পারলেই সব পানি গড়িয়ে নিচে পড়ে যাবে। আর মাটিতে চুষে খেয়ে ফেলবে সেই পানি। কিন্তু এই কঁচুপাতার পানি নিচে পড়ে যাওয়ার কারন আমরা সবাই জানি। আর তা হল অভিকর্ষজ বল। অভিকর্ষজ বলের প্রভাবেই কঁচুপাতার পানি গড়িয়ে মাটিতে পড়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি ওই পানিটুকু কচুপাতায় ভালভাবে আটকে রাখতে পারেন, তবে পানি নিচে পড়ে যাবে না। আর কচুপাতার নিচের দিকে অর্থাৎ কেন্দ্র বিন্দুতে একটা বড় পানির ফোঁটা দেখা যাবে। অর্থাৎ পানির ফোঁটাটি জমা হয়েছে কচুপাতার সবচেয়ে ঢালু অংশে। এবার খুব স্বাবধানে কচুপাতাটি দুই হাতে ধরে সমতল করি যাতে পানির ফোটাটি পড়ে না যায়। এবার আরো স্বাবধানে কচুপাতাটি হালকা নাড়াচাড়া করি। কি দেখবেন? এক ফোটা পানি অনেকগুলো ফোঁটায় পরিনত হয়েছে। অর্থাৎ একফোটা পানি বিভাজিত হয়ে অনেকগুলো ফোঁটায় পরিনত হয়েছে। কচুপাতার উপরে পানির এই ধর্মকেও একটা লিভিংকোড বলা যায়। এজন্য কে দায়ী? এজন্য দায়ী হল অভিকর্ষজ বল আর আপনার হাতের মাধ্যমে প্রয়োগকৃত শক্তি। অভিকর্ষজ বল না থাকলে পানির ফোঁটাটি কচুপাতায় পড়ে থাকত না আর আপনি হাতের শক্তি খরচ না করলে পানির ফোটাটি ভেংগে অনেকগুলো ফোঁটায় পরিনত হতে পারত না। যাই হোক, লিভিংকোড বোঝানোর জন্য এটা যদি কার্যকর পদ্ধতি না হয়, তবে অন্যভাবে বুঝতে চেষ্টা করি।

প্রথমে একটা কচুপাতাকে একটা টেবিলের উপর যতটা পারা যায় সমতল অবস্থায় আটকে রাখি আর শেষ প্রান্তগুলো উপরের দিকে ভাজ করে রাখি যাতে পানি গড়িয়ে বাইরে পড়তে না পারে। এবার একটা ড্রোপারের সাহায্যে কচুপাতার মাঝখানে ছোট একফোটা পানি আস্তে করে জমা করি। কি হবে? পানির ফোঁটাটি ছোট হওয়ার কারনে কোথাও ছড়িয়ে পড়বে না। এর কারন হল পৃষ্ট টান। পানির পৃষ্ট টান থাকার ফলেই এমন হচ্ছে। এবার ড্রোপারের সাহায্যে পানির ফোটাটিতে অল্প অল্প করে আরো পানি যোগ করি। ফলে পানির ফোটাটি বড় হতে থাকবে। বড় হতে হতে একসময় এত বড় হবে যে তখন আর পৃষ্টটান কোন কাজে আসবে না। ফলে পানির ফোটাটি ভেংগে দুইটুকরা কিংবা কয়েকটুকরা হয়ে যাবে। এবার সেসকল টুকরায়ও একিভাবে পানি যোগ করি। ফলে সেগুলোও আবার ভেংগে যাবে। এভাবে যতবার করা হবে ততবার একই ঘটনা ঘটবে। এবার মনে করুন, আপনি ড্রোপারের সাহায্যে পানি দিচ্ছেন না। পানির ফোঁটার সাথে আরো পানি এসে জমা হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে, ঠিক যতটা পানি আপনি ড্রোপারের সাহায্যে যোগ করতেন। তাহলেও কি একই ঘটনা ঘটত না? অর্থাৎ পানির ফোটাগুলো আস্তে আস্তে বড় হত আর বড় হয়ে ভেংগে যেত। এভাবে যতবার পানির ফোঁটা বড় হত, ঠিক ততবার তা ভেংগে টুকরো টুকরো হত। অর্থাৎ আপনার হাতের শক্তি না প্রয়োগ করেও প্রাকৃতিকভাবে পানির ফোঁটাগুলো বড় হওয়া সম্ভব। আবার প্রাকৃতিক কারনেই পানির বড় ফোঁটাগুলো ভেংগে যাওয়া সম্ভব।

এবার ধরুন কঁচুপাতাটি একটি পৃথিবী পৃষ্ঠ আর পৃথিবী পৃষ্ঠে পড়ে রয়েছে অসংখ্য পানির ফোঁটা। সেই পানির ফোটার সাথে প্রাকৃতিকভাবে আরো পানি এসে জমা হচ্ছে আর বার বার ভেংগে তা থেকে নতুন পানির ফোঁটা তৈরি হচ্ছে। আরো মনে করি, পুরানো আর ছোট পানির ফোটা বাস্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে যাতে কোন অংশে পানির প্লাবন না ঘটে। এর ফলে পানির নতুন নতুন ফোঁটা তৈরি হতে থাকবে; আর ছোট ছোট পানির ফোটাগুলো বাস্প হয়ে উড়ে যেতে থাকবে। আর কোন প্রাকৃতিক পরিবর্তন না ঘটলে এই অবস্থা অনন্ত কাল চলতে থাকবে। আমরা এই ক্ষেত্রে মাত্র দুটি লিভিংকোড পাচ্ছি। একটি হল, পানির ফোঁটায় প্রাকৃতিকভাবে আরো পানি এসে যুক্ত হওয়া, আরেকটি হল পানির ফোঁটাটি ভেংগে একাধিক টুকরা হওয়া। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলেতো আর লিভিংকোড বাড়বে না। আর লিভিংকোড না বাড়লেতো আর প্রানী সৃষ্টি হওয়া সম্ভব না। প্রানী পেতে হলে অবশ্যই লিভিংকোড আস্তে আস্তে বাড়তে থাকতে হবে। আর যত বাড়বে ততই প্রানী সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

কিন্তু পানির মাধ্যমে লিভিংকোড বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারন পানি একটি স্বাধারন যৌগ আর এটা তরল। তাই লিভিংকোড বৃদ্ধি করতে হলে এমন একটি জৌগ ব্যবহার করতে হবে যেটা ভৌতিকভাবে তরল, গাঠনিক দিক দিয়ে জটিল এবং যার দুটি লিভিংকোডই অপরিবর্তিত থাকবে। এমন জটিল যৌগগুলো বেশিরভাগই পাওয়া যায় জৌব যৌগগুলোতে। যেসকল জৈব যৌগে প্রাথমিক কিছু লিভিংকোড থাকে, তাদের বলা হয় Living Coded Organic বা LCO. লিভিংকোডের কিছু ধর্ম বিদ্যমান থাকার কারনেই তাদের এমন নামকরন।

যাইহোক, পানির লিভিংকোড বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে পানির স্থলে LCO কে ধরে নিয়েছি। পৃথিবীতে যে সকল LCO দিয়ে প্রান সৃষ্টি হওয়ার কার্যক্রম চলত, তাদের ধর্ম ছিল তারা প্রাথমিক লিভিংকোড ত্যাগ না করেই লিভিংকোডের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারত। অর্থাৎ আমরা যে পানির দুটি লিভিংকোড যথা- প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত পানি যোগ হয় পানির ফোঁটা বড় হওয়া ও একপর্যায়ে তা ভেংগে একাধিক খন্ডে পরিনত হওয়া ধর্ম দুটি ঠিক রেখে আরো লিভিংকোডের সংখ্যা বৃদ্ধি করত। যেমন, সূর্যের তাপের কারনে LCO তে একটা আবরন বা আস্তরণ তৈরি হত। এটা হচ্ছে তৃতীয় লিভিংকোড যুক্ত হওয়ার পদ্ধতি। কিন্তু আগের দুটি লিভিংকোড ঠিকই থেকে যেত। আর LCO এর গায়ে আবরন তৈরিতে সাহায্য করত বাতাশে ভেসে বেড়ানো কিছু কেমিক্যাল। উল্লেখ্য, মাত্র তিনটি লিভিংকোডের মাধ্যমেই LCO যৌগে দু একটি প্রানের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যেমন, এরা নিজেদেরকে বিভাজিত করে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারত, এরা সূর্যের তাপ থেকে বাচার জন্য আস্তরন ব্যাবহার করত। আর একাজে সাহায্য করত পানির পরিবর্তে অন্য কোন LCO গোত্রীয় যৌগ। এরা সম্ভবত বাতাশে বাস্প হিসেবে ভেসে বেড়াত আর তাপ কমে গেলে মাটিতে চলে এসে LCO এর সাথে যুক্ত হয়ে আয়তন বৃদ্ধি করত। আয়তন বৃদ্ধির ফলেই এরা বিভাজিত হয়ে একাধিক টুকরায় পরিনত হত ঠিক কোষ বিভাজনের মত। কিন্তু পরিবেশের পরিস্থিতি সব সময় একরকম থাকত না। পরিবেশ ছিল পরিবর্তনশীল। তাই LCO তেও তৈরি হত নতুন নতুন লিভিংকোড। আর লিভিংকোড বৃদ্ধি পেতে পেতেই একসময় LCO গুলো প্রানীতে পরিনত হত। উপরের আলোচনায় LCO তে তিনটি লিভিংকোড সৃষ্টি হয়েছে। (১) LCO অন্য কেমিক্যাল গ্রহন করে আয়তন বৃদ্ধি করে।

(২)LCO বিভাজিত হয়। (৩)LCO এর গায়ে আস্তরন তৈরি হয়। এগুলো খুবই স্বাধারন ঘটনা যা আমরা প্রায়ই প্রত্যক্ষ করি। কিন্তু এই স্বাধারন ঘটনায় অনেক কিছুর অবদান আছে। এগুলো হল, (১)উপযুক্ত LCO, যার তিনটি লিভিংকোড ধারনের ক্ষমতা থাকতে হবে।

(২)বাতাশে কিংবা ভূমিতে ঘুরে বেড়ানো কেমিক্যাল, যেগুলো LCO গ্রহন করতে পারে।

(৩)সুর্যের তাপ ও বাতাশে ভেসে বেড়ানো আস্তরন তৈরির উপযোগী কেমিক্যাল , যাদের মাধ্যমে LCO আস্তরণ তৈরি হবে।

(৪)মহাকর্ষ বল ও ভূমির প্রকৃতি, যাদের উপর ভিত্তি করে LCO বিভাজিত হবে। ইত্যাদি।

কিন্তু LCO এর লিভিংকোড বৃদ্ধি করতে হলে আরো অনেক প্রভাবকের সাহায্য নিতে হবে। আবার আগের লিভিংকোডেরও কোন পরিবর্তন হতে পারবেনা। যেসকল প্রভাবক লিভিংকোড বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।

(১)আলোঃ পৃথিবীতে এমন অনেক LCO আছে যারা আলোর উপস্থিতিতে বিক্রিয়া করে। আর সেই সকল LCO পদার্থ ব্যাবহৃত হতে পারে আলোর সাহায্যে আরো একটি লিভিংকোড তৈরিতে।

(২)অনেক LCO পদার্থ শব্দের কারনে প্রভাবিত হয়। এর মাধ্যমেও লিভিংকোড বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব।

(৩)বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালঃ লিভিংকোড বৃদ্ধিতে LCO এর উপযোগী কেমিক্যাল সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। আর কেমিক্যালের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ নতুন নতুন লিভিংকোড তৈরিতে।



অর্থাৎ LCO এর প্রাথমিক লিভিংকোড ধর্মগুলো(১,২,৩) ঠিক রেখে যত বেশি লিভিংকোড প্রকৃতি থেকে বৃদ্ধি করা যাবে, প্রানীর উৎপত্তি তত দ্রুতই ঘটতে থাকবে। আর এভাবেই কোটি কোটি বছর ধরে লিভিংকোডের পর্যায় ক্রমিক বৃদ্ধির ফলে প্রানের উৎপত্তি ঘটেছে।





সূত্র সংক্ষেপঃ Inorganic(s)>Organic_NLCO>Organic_LCO>Organic_LCO(LC1+LC2+LC3....+LCn)>Organic_LCO(LCmn)=Animal without cell>maximum evolution>animal with cell(s)



n=লিভিংকোডের সর্বোশেষ সংখ্যা।

mn=লিভিংকোডের সর্বোমোট প্রাপ্ত সংখ্যা।

NLCO=None LCO (example: organic gases)

LC=Living Code



*তবে এই থিওরী অনুযায়ী, কোষ তৈরির অনেক আগেই প্রানীর সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তিতে বিবর্তনের মাধ্যমে ধিরে ধিরে কোষ সৃষ্টি হতে থাকে। আর কোষ সৃষ্টির পুরো পক্রিয়া নিয়ন্ত্রন করে পূর্ব প্রাপ্ত লিভিংকোডগুলো। এবিষয় নিয়ে পরবর্তিতে কোন এক সময় ব্যাখ্যা দেব।







উল্লেখ্য, পরীক্ষামূলকভাবে লিভিংকোডের সম্পর্কে আরো গভীরভাবে কোন কিছু জানা গেলে প্রানের অনেক রহস্য জানা যেতে পারে বলে আমার মনে হয়। এমনকি তার সূত্র ধরেই জানা যেতে পারে ঠিক কত বছর আগে আধুনিক প্রানী(যার লিভিংকোড সর্বোচ্চ) সৃষ্টি হয়েছিল।

যদি একটি বস্তুতে শুন্য(০) লিভিংকোড থেকে তিনটি লিভিংকোড খুব সহজে তৈরি করা যায়, তবে তিনটি থেকে ৬ টি কেন নয়? আর ৬ টি থেকে ১২ টি, এভাবে হাজার হাজার কেন নয়?









লিভিংকোড নিয়ে আগের লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন



abujakaria:2009





(বিঃদ্রঃ কেউ ভাববেন না যে আমি নিজেকে বিজ্ঞানী ভাবছি। বিজ্ঞানী হওয়ার নূণ্যতম যোগ্যতা আমার নেই। বিভিন্ন রহস্য নিয়ে কৌতুহলী, তাই আমি শুধু কিছু কিছু রহস্য খোঁজার চেষ্টা করছি। ভূল থাকতেই পারে। কিন্তু কেন ভূল মনে হল সেটাও ব্যাখ্যা করলে বেশি খুশি হব।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

নাজমুল ইসলাম নিষাদ বলেছেন: আমার কাছে পুরো ব্যাপারটাই অরিজিন এন্ড ইভোলিউশনের খেলা মনে হয়েছে। এই খেলা বলতে আসলে- পৃথিবী শুরুতে গ্যাস ছিল, তারপর লিকুইড হল এবং সব শেষে সলিড এবং জড় পৃথিবী তৈরি হল। জড় থেকে জীবের উৎপত্তি হবার মাঝে সেতুবন্ধন ছিল ভাইরাস। ভাইরাস আস্তে আস্তে মডিফাই হয়ে ব্যাক্টেরিয়া এবং মাইক্রো অরগানিজম তৈরী হল। এভাবে ডেভলপ হতে হতে ক্রমশ নিন্ম উদ্ভিদ (ফানজাই> এলজি> ব্রায়োফাইটস> টেরিডোফাইটস), নিন্ম প্রানী(মনেরা) এবং উচ্চ উদ্ভিদ(জিম্নোস্পার্ম> এনজিওস্পার্ম), উচ্চ প্রাণী তৈরী হল।
বিভিন্ন কেমিক্যালস একত্রিত হয়ে প্রোটিন গঠনের মাধ্যমে প্রিয়ন এবং নিউক্লিক এসিড গঠনের মাধ্যমে ভিরিয়েড তৈরী হয়েছে। আবার ভিরিয়েডসের উপাদান আর প্রিয়নের উপাদানগুলো মিলে ভাইরাস তৈরী হয়েছে। অতঃপর অকোষিয় ব্যাক্টেরিয়া যাতে রয়েছে প্রাককেন্দ্রীক নিউক্লিয়াস। পরবর্তীতে এই নিউক্লিয়াসই সুগঠিত হতে হতে উন্নত উদ্ভিদ ও প্রাণী তৈরী হয়েছে। কাজেই কোষ তৈরীর আগে কখনোই প্রাণী তৈরী হতে পারে না। কোষ তৈরীর পূর্বে যা ছিল তা ছিল- জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী ভাইরাস, নির্জীব ভিরিয়ন ও প্রিয়ন।
সুন্দর একটি লেখা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

আবু জাকারিয়া বলেছেন: এই তত্ত্ব অনুযায়ী কোষ তৈরির অনেক আগেই প্রানীর উৎপত্তি হয়েছিল। তবে তাদের বর্তমান প্রানী থেকে হাজারগুন পার্থক্য ছিল। আর প্রতিটি প্রানোর উৎপত্তি হয়েছে আলাদা আলাদা অঞ্চলে। পরে বিবর্তনের সাথে সাথে তারা মোটামুটি সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছিল। সে ধারা এখনও বিদ্যমান। এই থিওরী জীবনের যে সংজ্ঞা দেব সে অনুসারে পৃথিবীতে প্রানীর উৎপত্তি কোষ তৈরির অনেক আগেই ঘটেছিল। এই তত্ত্ব অনুযায়ী জীবনের যে সংজ্ঞা দেব তাতে অনেকেই রেগে যাবেন, তাই আপাদত দরকার নেই। মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.