নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু জাকারিয়া

আমি খুব স্বাধারন মানুষ। স্বাধারনদের থেকেও স্বাধারন। জীবনে জাঁকজমক পছন্দ করিনা। স্বাধারন ভাবে বাঁচতে চাই। সব চেঁয়ে অপছন্দের কারো অধিনে থাকা। \nউক্তিঃ পরাধীনতার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল, মৃত্যুযন্ত্রনার থেকে পরাধীনতা অনেক ভাল। [email protected]

আবু জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব মস্তিস্কের তিন প্রকার স্মৃতি

০৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

আমি মানব মস্তিস্কের 'স্মৃতি সংরক্ষন নিতী' নিয়ে রিসার্স করছিলাম। আমার সামনে এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল অনেকগুলো খসড়া কাগজ। কিছুদিন ধরে স্মৃতি সংশ্লিষ্ট প্রতীকগুলো নির্ধারন করতে পারছিলাম না। মাথায় নিউরনগুলো মারাত্বকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। ভাবলাম, এসব করে কি হবে, অযথা মাথা নষ্ট। তারচেয়ে বরং পাঠ্যপুস্তক নিয়ে পড়ে থাকলে একটা ভাল রেজাল্ট করা যেত। ভাল রেজাল্ট করে ভাল চাকরীও হয়ত পাওয়া যেত।
কিন্তু নেশা হয়ে গেছে। এমন নেশা হয়েছে যে, মাথা একটু ঠান্ডা হলেই আবার রিসার্স করতে শুরু করি।

আমার ভাইজিটার বয়স প্রায় দুই বছর। অল্প অল্প কথা বলতে পারে। সেদিন লক্ষ করলাম, দুই লিটার পানির বোতল একা একা তুলতে পারে ও। এটা স্বাভাবিক ঘটনা যে দুই বছরের একটা বাচ্চা ২ লিটার পরিমান তুলতে পারবে। অর্থাৎ দুই বছরে দুই লিটার পানি তুলতে পারার মত শক্তি ওর গায়ে তৈরি হয়েছে বলেই পারছে।
কিন্তু ব্যাপারটা এটা নয়। ব্যাপারটা হল, ও দুই লিটার পানি তুলতে পারলেও হাফ লিটার পরিমান জগের পানি একটা গ্লাসে ঢালতে পারবে না। যদি তাকে হাফ লিটার পানি একটি জগে করে দেওয়া হয়, সে সামান্য অংশও একটি গ্লাসে ঢালতে পারবেনা। ঢালার সময় সব পানি নিচে পড়ে যাবে

এটার কারন কি? যে দুই লিটার পানি খুব ভালভাবেই তুলতে পারে, অথচ হাফ লিটার পানি থেকে একটু পানিও একটি গ্লাসে ঢালতে পারেনা!

এবার আমি জগের পানি কমিয়ে ২৫০ মিলির মত করলাম, আর গ্লাসের পরিবর্তে একটা ছোট বালতিতে ঢালতে বললাম। সে কিছুই বুঝল না। তাই আমি নিজেই বালতিতে ঢেলে দেখালাম যাতে সে আমাকে অনুকরন করতে পারে।
কিন্তু সে পারল না। পানি ঢালার সময় প্রায় সবটুকু পানি বালতিতে না পড়ে বাইরে পরে গেল।

এটার কারন কি? অনেকেই বলবেন, আপনার ভাইজি এখনও জানেনা কিভাবে পানি ঢালতে হবে। কথাটা অনেকটাই ঠিক। কিন্তু আমার মতে এটার সাথে জড়িত আছে প্রত্যেকটা প্রানীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক প্রকার স্মৃতি। আর এটার নাম নির্ধারিত হয়েছে 'গৌন স্মৃতি' হিসেবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি হল মুখ্য স্মৃতি।

যাই হোক, আমি মানব মস্তিস্কের স্মৃতিকেও শ্রেনীবিন্যাস করেছি। মানব মস্তিস্কের স্মৃতি তিন(৩) প্রকার।
১।মূখ্য স্মৃতি
২।গৌন স্মৃতি ও
৩।উভয় স্মৃতি।


এবার বিস্তারিতঃ
১। মূখ্য স্মৃতিঃ মূখ্য স্মৃতি হল সেই সব প্রভাবক থেকে উৎপন্ন স্মৃতি যা মস্তিস্ক কল্পনা করতে পারে। এই স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট দুই প্রকার প্রভাবক রয়েছে। এরা হল, আলো ও শব্দ। আমি এখনও নিশ্চিত নই যে আমাদের মস্তিস্ক সংক্রিয়ভাবে কোন শব্দ উৎপন্ন করে তা শুনতে পারে কিনা। তবে বিভিন্ন তথ্য ও আমার অভিজ্ঞার ভিত্তিতে এটাই মনে হয়েছে যে মানব মস্তিস্ক শব্দকেও কল্পনা করতে পারে। আর এর উপর ভিত্তি করেই আলোক প্রভাবকের সাথে শব্দকেও মূখ্য স্মৃতির প্রভাবকের অন্তর্ভুক্ত করেছি। অর্থাৎ আলোক প্রভাবক ও শব্দ প্রভাবক কল্পনা তৈরি করতে পারে।


২।গৌন স্মৃতিঃ একটি শিশু যখন জন্মায়, তখন সে জানেনা কিভাবে কোন কিছু ধরতে হয়। কিভাবে হাতপা নাড়াতে হয়। কিভাবে কোন কিছু গ্রিপ করতে হয়। এটার কারন হল শিশুটির মস্তিস্কে কোন গৌন স্মৃতি তৈরি হয় নি। তবে নবজাতকরা বংশগতভাবে কিছু গৌন স্মৃতি পেয়ে থাকে। একে বলা যেতে পারে বংশগত গৌন স্মৃতি। আর পরিবেশের মাধ্যমে প্রাপ্ত গৌন স্মৃতিকে বলা যেতে পারে পরিবেশ গত গৌন স্মৃতি। গৌন স্মৃতির সঠিক সংরক্ষনের মাধ্যমে মস্তিস্ক তার শারিরীক অংগপ্রত্যাংগগুলো সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে পারে। গৌন স্মৃতির প্রভাবকগুলো হল, শব্দ, শারিরীক অনুভুতি, গন্ধ, স্বাধ ইত্যাদি। এগুলো দ্বারা তৈরি হওয়া স্মৃতি মস্তিস্ক কল্পনা করতে পারেনা। তবে এই স্মৃতিগুলো মস্তিস্ক বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যাবহার করে থাকে। এমনকি আমরা কথা বলতে পারি এই স্মৃতির প্রভাবে।

উভয় রূপী স্মৃতিঃ একমাত্র শব্দ প্রভাবকের থেকে তৈরি হওয়া স্মৃতিই উভয়রূপী স্মৃতি হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ শব্দ প্রভাবকের মাধ্যমে যে স্মৃতি তৈরি হয়, তা কখনও গৌন আবার কখনও মূখ্য স্মৃতি হিসেবে কাজ করে। আমরা ঘুমের মধ্যে কথা বলে উঠি শুধু মাত্র উভয়রূপী স্মৃতির প্রভাবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

ইলুসন বলেছেন: ভালো লাগল পড়ে। গবেষণা চালিয়ে যাবেন আশা করি। আর আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাবেন।

২| ০৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

আবু জাকারিয়া বলেছেন: মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.