নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু জাকারিয়া

আমি খুব স্বাধারন মানুষ। স্বাধারনদের থেকেও স্বাধারন। জীবনে জাঁকজমক পছন্দ করিনা। স্বাধারন ভাবে বাঁচতে চাই। সব চেঁয়ে অপছন্দের কারো অধিনে থাকা। \nউক্তিঃ পরাধীনতার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল, মৃত্যুযন্ত্রনার থেকে পরাধীনতা অনেক ভাল। [email protected]

আবু জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মস্তিস্ক নিয়ে গবেষনা ও সাফল্যের অগ্রযাত্রা।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

ডঃ শন ক্যারল তার
এন্ডলেস ফর্মস মোষ্ট
বিউটিফুল বইতে আইবিএম এর
এক কম্পিউটার রিসার্চ
সাইন্টিস্ট এর মজার এক
উক্তি উদ্ধৃত করেছিলেন, the human brain was so simple
that we could understand it, we
could be so simple that we could
not’. অর্থাৎ আমাদের মস্তিস্ক যদি বোঝার মত সরল হত, তবে আমরাও না বোঝার মতই সরল হতাম। মস্তিস্কের কাজের জটিলতার কথা চিন্তা করে এরকম হাজার উক্তি প্রচলিত আছে- কেউ মস্তিস্ককে এই বিশাল মহাকাশের মত জটিল বলে মন্তব্য করে থাকেন।

আসলেই আমাদের মস্তিস্ক অনেক জটিল এবং জটিল তার কাজকর্ম। কিন্তু এই মস্তিস্কেরই চিন্তাভাবনা দিয়ে আমরা যে কম্পিটার তৈরী করতে পেরেছি তার জটিলতাও কি কম? আমাদের তৈরি কম্পিটার যতই জটিল হোক না কেন, যতই জটিল হোকনা কেন তার কাজ কর্ম - তা সবসময়ই একটা সরল নিতী অনুসারে কাজ করে। অর্থাৎ আমাদের তৈরি কম্পিউটার দুটি সং্খ্যা প্রতিকের ব্যাবহার করে কাজ করে, এরা হল-০ এবং ১। এরা ডিজিটাল সংকেত নামে পরিচিত। তাহলে ০ এবং ১ এর দ্বারা যদি কম্পিটার এত জটিল কাজ কর্ম করে থাকতে পারে তবে আমাদের মস্তিস্কে কি এমন কোন নিতী আছে যার মাধ্যমে আমাদের মস্তিস্ক জটিল জটিল কাজ সম্পন্ন করতে পারবে? আমাদের মস্তস্কের কাজ যতই জটিল হোকনা কেন, নিশ্চই এটাও কোন না কোন সরল নিতী ব্যাবহার করে তার সকল কাজ সম্পন্ন করে থাকে। সেই সরল নিতী বা নিতীগুলো আসলে কি?
আমি এবিষয়ে দির্ঘদীন অনুসন্ধান চালিয়ে সেই নিতীগুলোই আবিস্কার করতে পেরেছি বলে মনে হয় যে নিতীগুলো ব্যবহার করেই আমাদের মস্তিস্ক সকল প্রকার জটিল কাজকর্ম সম্পন্ন করে থাকে। এই নিতীগুলো ব্যাবহার করেই মস্তিস্কের সকল কাজ ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে। এর উপর ভিত্তি করেই মস্তস্কের সাথে সম্পর্কিত সকল রোগেরও ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব হবে।

আমরা প্রায়ই কৃতিম মস্তিস্ক বা কৃতিম বুদ্ধিমত্তার কথা শুনে থাকি। সেই কৃতিম মস্তিস্ক বা কৃতিমবুদ্ধিমত্তা আসলে কতটা কার্যকর, কিংবা কিভাবে কৃতিমবুদ্ধিমত্তা তৈরি করলে তা মানুষের মস্তস্কের সাথে মিলে যেতে পারে তারও ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে মস্তস্কের কাজের নিতীর মাধ্যমে।

বুদ্ধিমত্তা প্রসংগ আসলে যে প্রশ্নটা মাথায় আসে তা হল বুদ্ধিমত্তা কি?
মস্তিস্ক নিয়ে অনুসন্ধানের সূত্র ধরেই বুদ্ধিমত্তা নিয়েও প্রচুর গবেষনা করতে হয়েছে। সেই গবেষনার ফলেই উঠে এসেছে বুদ্ধিমত্তার প্রকৃত রহস্য।
আমরা প্রায় সকলেই মনে করি চিন্তাভাবনা করতে পারাটাই বুঝি বুদ্ধিমত্তার এক মাত্র নিদর্শন। কিন্তু প্রচলিত এই ধারনাটা সম্পূর্ন ভূল। চিন্তাভাবনা করতে পারাটা বুদ্ধিমত্তার কোন নিদর্শনই নয়। কোন প্রানীর বুদ্ধিমত্তা আছে কিনা তা নির্ধারিত হবে প্রানীনিটি কি কাজ করছে তার মাধ্যমে ; কি চিন্তা করছে তার মাধ্যমে নয়।

বুদ্ধিমত্তার সাথে কি জীবনের সম্পর্ক আছে? অবশ্যই বুদ্ধিমত্তার সাথে জীবনের সম্পর্ক আছে। কোন প্রানীর জীবন ধারন কেমন হবে তা নির্ধারিত হয় ওই পরিবেশে প্রানীটির বুদ্ধিমত্তা কিভাবে কাজ করছে তার উপর।

তাহলে এই প্রসংটা ও চলে আসে, জীবন কি? আমি জীবন নিয়েও প্রচুর অনুসন্ধান চালিয়েছি এবং জীবনের একটা সংজ্ঞাও স্থীর করেছি। এবং তার উপর ভিত্তি করেই জীবনের উৎপত্তি নিয়েও একটা তত্ত্বে উপনিত হয়েছি।

অর্থাৎ আমার গবেষনার ক্ষেত্র মস্তিস্ক, বুদ্ধিমত্তা ও জীবন। মস্তিস্ক, বুদ্ধিমত্তা ও জীবন নিয়ে আমার সবগুলো গবেষনা কর্মই মৌলিক ও স্বতন্ত্র। আশা করি গবেষনার ফলাফলগুলো খুব শিঘ্রই প্রকাশ করতে পারব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.