নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু জাকারিয়া

আমি খুব স্বাধারন মানুষ। স্বাধারনদের থেকেও স্বাধারন। জীবনে জাঁকজমক পছন্দ করিনা। স্বাধারন ভাবে বাঁচতে চাই। সব চেঁয়ে অপছন্দের কারো অধিনে থাকা। \nউক্তিঃ পরাধীনতার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল, মৃত্যুযন্ত্রনার থেকে পরাধীনতা অনেক ভাল। [email protected]

আবু জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নের প্রকৃত রহস্য আসলে কি......

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

সচেতন, অচেতন কিংবা অর্ধ অচেতন অবস্থায় মানুষের প্রধানত দুই ধরনের মানুষিক অবস্থা কাজ করতে থাকেঃ ইতিবাচক মানুষিক অবস্থা ও নেতিবাচক মানুষিক অবস্থা। কোন কারনে যদি ব্যাক্তির মানুষিক অবস্থাকে নেতিবাচক কিংবা ইতিবাচকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করা যায় তবে তা হবে মধ্যবর্তী বা নিরপেক্ষ মানুষিক অবস্থা। সে হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে তিন ধরনের মানুষিক অবস্থা কাজ করতে থাকে অর্থাৎ ব্যক্তির মানুষিক অবস্থাকে তিনভাগে ভাগ করা যায়; যদিও মৌলিক দিক দিয়ে মানুষের মানুষিক অবস্থা দুই ধরনের।

একজন মানুষ স্বাধারনত দুই ধরনের মৌলিক মানুষিক অবস্থার মাধ্যমে তার জীবনের সম্পূর্ন সময় ব্যয় করে থাকেন। তার জীবনে সম্ভবত খুব অল্প সময়ের জন্য নিরপেক্ষ মানুষিক অবস্থা সক্রিয় হয়ে থাকে। নিরপেক্ষ মানুষিক অবস্থা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে ঘুমন্ত অবস্থা। কোন কোন ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ মানুষিক অবস্থা স্বপ্নের মধ্যেও কিছু সময়ের জন্য ক্রিয়াশীল হয়।

স্বপ্নের মধ্যে নিরপেক্ষ মানুষিক অবস্থা ক্রিয়াশীল হওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। আমরা রাতের বেলা কিছু কিছু ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু কিছু স্বপ্ন দেখে থাকি যা প্রকৃত পক্ষে ভয়ংকর কিংবা আনন্দের হওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যায় তা স্বত্তেও আমরা সেইসব স্বপ্ন দেখে ভয় কিংবা আনন্দ কোনটাই পাইনা। অর্থাৎ আমাদের ওই সময়ের মানুষিক অবস্থা শক্তিশালী কোন ভূমিকা পালন করেনা। এটা হয়ে থাকে স্বপ্নের মধ্যে নিরপেক্ষ মানুষিক অবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারনে। অধিকাংশ সময় স্বপ্নের মধ্যে নিরপেক্ষ মানুষিক অবস্থা সক্রিয় হয় শেষ রাতের দিকে যখন ঘুম পূর্নতা পাওয়া শুরু করে। তবে স্বপ্নের মধ্যে নিরপেক্ষ মানুষিক অবস্থা সক্রিয় হলে স্বপ্নের দৃশ্যগুলো ততটা স্পষ্ট হয়না। এধরনের স্বপ্ন দেখার ফলে মানুষের মনে কোন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়না।

স্বপ্ন ইতিবাচক হোক কিংবা নেতিবাচক হোক প্রতিটি স্বপ্নের সাথে আমাদের মস্তিস্কের কার্যকৌশলের যোগসূত্র রয়েছে। কোথায় সেই যোগসূত্র? আমি যখন এস এস পরীক্ষা দেব, তখন পরীক্ষার আগের দিন রাতে স্বপ্ন দেখলাম, আমি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি, অর্থাৎ পরীক্ষা হয়ে গেছে কিন্তু আমি মিস করেছি। তখন স্বপ্নের মধ্যে আমার মনে প্রচন্ড নেতিবাচক মানুষিক অবস্থা কাজ করছিল। নেতিবাচক মানুষিক অবস্থা ইতিবাচক হয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষন পরে যখন আমার ঘুম ভাংল তখন।
এধরনের স্বপ্ন দেখার সাথে আমাদের মস্থিস্কে কি ধরনের যোগসূত্র রয়েছে? এটা আমার নিজের বলছি- আমি যখন এস এস সি পরীক্ষা দেব, তখন পরীক্ষার আগের দিন রাতে যখন ঘুমাতে যাই, তখন আমার মনে একটি ভয় কাজ করতে থাকে; ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় কিনা, পরীক্ষা মিস হয়ে যায় কিনা। আমি যখন এসব চিন্তা করছিলাম, তখন নিশ্চয় আমার চোখের সামনে পরীক্ষা মিস করার কিছু দৃশ্য ফুটে উঠেছিল। আর সেই দৃশ্যগুলো আরো স্পষ্ট হয়ে স্বপ্নের মধ্যে ফিরে আসে। এটাই হল স্বপ্নের প্রকৃত রহস্য। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, মস্তিস্কের ঠিক কোন ধর্মের কারনে আমরা এভাবে স্বপ্ন দেখি? কেনবাই সচেতন অবস্থায় কল্পনা করা দৃশ্যগুলো স্বপ্নের মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয়ে ফিরে আসে? কেনবাই অন্য কোন দৃশ্য স্বপ্নের মাধ্যমে ফিরে আসল না। এর অত্যন্ত জটিল ব্যাখ্যা আমার কাছে রয়েছে - যেগুলো যতদুর পারি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করার চেষ্টা করব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এর অত্যন্ত জটিল ব্যাখ্যা আমার কাছে রয়েছে - যেগুলো যতদুর পারি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করার চেষ্টা করব।

অপেক্ষায় রইলাম।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

আবু জাকারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.