নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা পড়ান,অবসর যাপন লেখা-লিখি।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর

আয়ুধ

পেশা পড়ানো।অবসর যাপন লেখা-লিখি, বর্ধ্মান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর

আয়ুধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০৯

ভারতের উত্তর প্রদেশের দলিত পরিবারের নগ্নতা দেখে ঘৃণায় ধিক্কারে ফেটে পড়েছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।তাদের হৃদয় থেকে উৎসারিত এই ঘৃণার প্রকাশ খুব স্বাভাবিক।কিন্তু আমি সকাল থেকে বার বার এই ছবি দেখেও মনে ঘৃণার উদ্রেক আনতে পারিনি।কি সুন্দর বলিষ্ঠ নারী মূর্ত্তি তার পাশে দাঁড়িয়ে ইস্পাত দৃঢ় পুরুষসঙ্গী।সন্তান ঢেকে রেখেছে মায়ের গোপনাঙ্গ।ধূলায় লুটাচ্ছে শরীরের যত আভরন।অপূর্ব।
না খেতে পাওয়া প্রতিদিন প্রতিপদে নির্যাতিত দলিত পরিবারের শরীরে যে এত যৌবন;এত ঐশবর্য্য লুকিয়ে আছে তা কি জানত ভারত?নগ্নদেহে দাঁড়িয়ে থাকার ঋজুভঙ্গী পৃথিবীর যেকোন শ্রেষ্ঠ শিল্পকার্যকে যেন ম্লান করে দিল।
সামনে বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব আগত প্রায়।বিউটি পার্লারে চুল-ভ্রু-স্তন আর চকচকে দেহপট প্রত্যাশার লালঠামি দৃষ্টি এড়ানোর কথা নয়।হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে প্রাপ্ত সেই দেহপট দিনের শেষে সবামীর হাতে তুলে দেবে ভোগের উদ্দেশ্যে সতী-সাধবী স্ত্রী রা।ভোগ্যা নারী তৃপ্ত হবে পুরুষের তৃপ্তিতে।সুবেশ গন্ধে ম ম করবে আকাশ বাতাস।সুন্দরী-রূপসী-কামিনী কত উপমায় ভূষিত হবে।কবি লিখবে কত কবিতা।ফটোতে শিল্পীর তুলিতে আপ্লুত হবে তাদের রূপ।
কিন্তু আমার দেশের লতা পাতা খেয়ে।প্রতিদিন মদ্যপ সবামীর হাতে লাঞ্ছিত হয়ে,সন্তান কে স্তন্যপান করিয়ে তথাকথিত উচ্চবর্ণের যৌন আশঁ মিটিয়েও এত রূপ -এত দৃঢ়তা ঋজুতা দেখুক ভারত।
নগ্ন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নপুংসকের দল এ বলিষ্ঠতার শক্তি উপলব্ধি করবে কি করে?তাই তাদের দোষ দেওয়ার কিছু নেই।স্বচ্ছ ভারত অভিযানে সুবেশা নারীদের অভিনয় শরীরী চমক মোদীজীর ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর হলে এ নারী লক্ষ লক্ষ শোষিত মানুষের প্রতিনিধি।তার ঋজুতা রাষ্ট্রশক্তির আক্রমনেও অভঙ্গুরতা এক অন্য ভারতকে চেনায়।যে ভারত নিতা আম্বানীর নয়।যে ভারত লুকিয়ে আছে শ্রমিকের হাতুড়িতে চাষার লাঙ্গলে আদিবাসী রমনীর আঁচলে।
তাই হে আমার মা-বোন-প্রিয়া নগ্নতা তোমাকে যেন মলিন না করে।তোমার উদ্ধত শরীর যেন আগুনের মত ছড়িয়ে পরে ধবংস করে পশুদের পাশবিকতাকে।যারা শোষনের যাঁতা কলে নিষপিষ্ট করছে আমাদের।পশুদের কাছে মানুষের নগ্নতায় কোন লজ্জা নেই মা।এ দেশে ত দিন দিন পশুদের খোঁয়াড় হয়ে যচ্ছে তাই লজ্জা নয়,ঘৃনার আগুন জবাল মা তোর চোখে যে আগুনে পুড়ে মরুক সব পাশবিকতা।সে আগুনে আমিও পুড়তে চাই মা গো।কারন,আমি পারিনি তোমাকে রক্ষা করতে।পুরবাসিনি হে নারী তোমরা থাক গৃহ অন্তরালবর্ত্তিনী হয়ে তোমাদের পবিত্র আস্পর্শ শরীর যুগ যুগ ধরে রক্ষা করুক তোমাদের পুরুষ সিংহ সবামীকুল কে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.