নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টঙ্গী এজতেমা মাঠে খুন খারাবি করে আসার পরে সাদ-পন্থী এতায়াতী সন্ত্রাসীদের প্রতিক্রিয়া কি?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

খুন খারাবি করে আসার পরে এতায়াতী জঙ্গীদের প্রতিক্রিয়া কি?

এটা খুবই স্পষ্ট যে, টঙ্গীর সেই কালদিনে নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়ে সাদ-পন্থী এতায়াতীদের মধ্যে কোনরুপ ভাবান্তর, অনুতাপ, দুশ্চিন্তা, অনুশোচনা এরুপ কিছুই পরিলক্ষিত হয় নাই। এর বিপরীতে তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে একপ্রকার বিজয়োল্লাস ও চাপা আনন্দ দেখা গেছে। এর কারন, তারা ‘জেহাদের’ নিয়ত করে হত্যা করতে গিয়েছিল এবং নিজেরা ‘শহীদ’ হবার জন্য গিয়েছিল। এজন্য, এজতেমা মাঠের নিরীহ মুসুল্লি ও মাদ্রাসা ছাত্রদের মারাকে তারা সাওয়াবের কাম মনে করেছে এবং মারতে পেরে খুশি হয়েছে।

এরপরে, বিভিন্ন দিক থেকে চাপ আসার পরে তাদের মধ্যে নিজেদের অপ-কর্মের পক্ষে সাফাই গাওয়া, অপ-কর্মের বৈধতা অর্জন, লাশ নিয়ে রাজনীতী ইত্যাদি অপ-প্রয়াস দেখা গেছে। তারা ঘোষনা করতে থাকে, যে যে মারা গেছে সব নাকি সাদ-পন্থী !!

ইতিমধ্যে তারা নিজেদেরকে ‘তাবলীগের মূলধারা’ উল্লেখ করে এজতেমা মাঠ, কাকরাইল মার্কায ইত্যাদির ভাগ চায় এভাবে তারা জাতির দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেবার চেষ্টা করে।

তারা বিভিন্ন মিথ্যা কথা প্রচার করতে শুরু করে, যেমনঃ তাদের কিছু কথা নিম্ন্রুপঃ
১) ‘হেফাজতি’রা এজতেমার মাঠ দখল করেছে, আমরা তা উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম।
২) তাবলীগের মধ্যে কিছু বাইরের লোক ঢুকে এসব সমস্যা করছে।
৩) মাদ্রাসা ছাত্ররাই আগে আমাদের আক্রমন করেছে। আমরা আত্ম্ররক্ষা করেছি, ইত্যাদি।
৪) আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি, এখন আমাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেছে।
৫) দেওবন্দ কোন ফতোয়া দেয় নাই। আমাদের দেশের আলেমরা তাবলীগের স্টেজ দখল করার জন্য এসব করছে।
৬) সর্বদাই মাদ্রাসা-ওয়ালারা ও ওলামারা তাবলীগের বিরোধিতা করে আসছে। .......ইত্যাদি......

আচ্ছা, এখন আসুন,

এক, উপরের যেকোন যুক্তিতে কি এজতেমা মাঠের গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে আগ্রাসন চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটানো বৈধ হয়ে যায়? কারা আগ্রাসন চালিয়েছিল, তা জাতির সামনে পরিষ্কার।

দুই, তাবলীগ জমাত তো চিরকাল সকল মুসুল্লিদের ও মুসলিমদেরকে নিজেদের ভাই ও সাথি মনে করেছে। আর আলেম-ওলামাদেরকে মাথার তাজ মনে করেছে।
কিন্তু আজকে কাদের ইশারায় তারা ওলামাদের ও মাদ্রাসা-ছাত্রদের ‘বাইরের লোক’, ‘হেফাজতি’, ‘দখলদার’ ইত্যাদি মনে করছে।

তিন, সেদিন, এজতেমা মাঠের ভেতরে যারা ছিল ও মার খেয়েছে, তারা ছিল সাধারন তাবলীগী সাথি, আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্র। এরা কি তাবলীগ ও তাবলীগ জামাতের অংশ নয়? কিভাবে এদের ‘বাইরের লোক’ মনে করা হচ্ছে? যারা কালকেই ছিল আমাদের সাথি, মাথার তাজ; তারা আজকেই কিভাবে হয়ে গেল ‘বাইরের লোক’?

শুধু এখানেই ক্ষান্ত নয়, অনেক এতায়াতীর হিংস্রতা, ক্রুদ্ধতা এত বেশি যে, তারা বলছে, “আমাকে দায়িত্ত দিলে একাই ২০০ লাশ ফালাইয়া দিতাম”।
উগ্রতায় উগ্রতা বাড়ে। হিংস্রতায় হিংস্রতা বাড়ে। ঐ দিনের হিংস্রতার পরে তাদের হিংস্রতা ও ক্রুদ্ধতা আরো বেড়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনা আরো ও আবারো ঘটাবার জন্য তারা প্রস্তুত। যেন তাদের মিশন এখনো অসমাপ্ত।

এটা স্পষ্ট যে, শুধু সাদ নয়, বরং এতায়াতী জঙ্গীদের মগজ ধোলাই হচ্ছে বৃহত্তর কোন পরিকল্পনার অংশ থেকে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

কামভাখত কামরূখ বলেছেন: বাংলাদেশ এর আলেমের মধ্যে দুইটাটার্ম আছে হক্কানি উসূলি যেখানে হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা আহম্মেদ সফী( দাঃ বাঃ) শুধু মাত্র দুনিয়াবি কাওমি সনদের জন্য কোন রাষ্ট্র প্রধানের কাছে শির ঝুঁকিয়ে ইসলামী ইমানের আকিদা ভুলন্থিত করতে পারেন সেখানে হক্কানী আলেম যে এদেশে দুষ্প্রাপ সেটা বলিতে আমার কোন দ্বিধা নেই। সেদিন শাহবাগে শোকরানা মাহফিলের নামে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সুদের হাদিয়া গ্রহণ করতে কিংবা মাহফিলে নেতা নেতৃত্বের হাদিয়া নামের ঘুষ গ্রহণ করার স্পষ্ট প্রমান থাকার পড়েও দাওয়াত ইসলামী নামের নবিওলা কাজে আমাদের সেইসব আলেমদের উপর কিভাবে আমরা আস্থা রাখছি ? কিভাবে আমাদের আলেমরা এই ইসলামি খেলাফতের ঝান্ডা নিয়ে এগিয়ে যাবেন যেখানে একটা সাদা সনদের আশায় উনারা বিক্রি হয়ে যান । ইসলামি রিপ্রেজেন্তার নাহ উনাদের কাছে আমরা হাতে পায়ে পড়ছি কিছু টাকা আশায় এটা আমাদের ঈমানের দুর্বলতা। অথচ আমাদের উচিৎছিলনিজেদের ঈমানের জোরে এগিয়ে যাওয়াসমস্যা হল আমাদের দেশের আলেমদের উনারা ২ টাকার কাওমি সনদের জন্য ইসলামী রিপ্রেজেন্তার হয়ে একজন রাষ্ট্র প্রধানের হাতে পায়ে পরতে পারে এদের কাছে ইসলামী নবীদের করে যাওয়া কাজ কিভাবে সহি থাকবে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উনারা সারা বিশ্বের মারকাজ ইন্দিয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। আমাদের ইমানি হাকিকতে ঘাটতি আছে এটা তারা মানতে নারাজ তারা মনে করেন তাঁদের এলেম আছে ইমানী আকিদা এবং এলেম ২ টা ভিন্ন জিনিস এই মত মানতে উনারা নারাজ। মূলত হেফাজতে ইসলামের এর মধ্যে অনুপ্রবেশ এই সমস্যা তৈরী করেছে উনারা চায় নেতৃত্ব সেখানে যেই কাউকে বসিয়ে দিলে কেমনে হবে ! হায় এইদেশে আর দাওয়াতে তবলীগের কাজ থাকল না

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

আবু সায়েদ বলেছেন: হেফাযত কী? সকল আলেম-দের হেফাযত বলা হচ্ছে কেন? দেওবন্দ সাদ সাবের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছে, সেখানে হেফাজত আছে নাকি?
হেফাজত আলেমদের একটা সংগঠন। আলেমদের এরকম বহু সংগঠন আছে।
তাবলীগ ধর্মীয় কাজ। এ কাজে সমস্যা হলে আলেমরা নাক গলানোর পূর্ণ অধিকার রাখেন।

এটাও জানা জরুরী, হেফাজতকে পছন্দ করে না নাস্তিক, জামাত-শিবির, আহলে হাদীস, কাদিয়ানী, এতায়াতী এরা।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: তারা এরকম মারামারি কার ইশারায় করছে? যার ইশারায় করছে সে ভীষন দুষ্ট লোক।
তাদের এই মারামারিতে লাভ হবে তৃতীয় পক্ষের।
এরপর দেখা যাবে বিশ্ব ইজতেমার দায়িত্ব পেয়ে যাবে মালোশিয়া অথবা ইন্দোনেশিয়া।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

মা.হাসান বলেছেন: "এটাও জানা জরুরী, হেফাজতকে পছন্দ করে না নাস্তিক, জামাত-শিবির, আহলে হাদীস, কাদিয়ানী, এতায়াতী এরা।"

তাহা হইলে যাহারা আপনাদের পশ্চাদ্দেশে লাথি মারিয়া শাপলা চত্বর হইতে ছেচড়াইয়া বাহির করিল, তাহার 'কওমি জননি' কি রূপে হইলো? লাথি খুব মজা লাগিয়াছিল?
ব্লগ প্রপাগান্ডা দিবার জায়গা না বা ফতোয়া দিবার জায়গা না।
এর আগেও প্রশ্ন রাখিয়াছিলাম, আপনারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করিয়া টঙ্গিতে কি লেবানচুস চুসিতেছিলেন?
সকল ধর্মিয় কাজ আলেমদের পরামর্শক্রমে হওয়া উচিৎ, সত্য। আলেম কাহারা? যাহার জাকাত ফিৎরার টাকা খাইয়া ওয়াজ মাহফিলের বুকিং নেয়, ছাত্রদের দ্বারা পদসেবা করায় এবং প্রয়োজনে লাঠি দ্বারা শাসন করে এবং প্রয়োজনে শয্যাসঙ্গী করে তাহাদের আলেম মানিতে জনসাধারণের আপত্তি থাকিতেই পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.