নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই এর নামঃ অ্যামেচার’স মাইন্ড
লেখকঃ জেরেমি সিলম্যান
প্রকাশকঃ সিলস প্রেস, লস এঞ্জেলস
প্রথম প্রকাশঃ ১৯৯৯
দাবা বিষয়ক এই বইখানি বর্তমানে আমি পড়ছি; এখনও শেষ হয় নি। তাই বুক রিভিউ এর আগে ‘প্রায়’ জুড়ে দিয়েছি। ভাল করেছি, তাই না ? ওকে, এবার আসল কথায় আসা যাক। বইখানি লেখকের এক অদ্ভুত এক্সপেরিমেন্টের আউটপুট। সেকথা তিনি বইখানির ভূমিকায় বলেছেন। ভূমিকা থেকে বাংলা করার চেষ্টা করলামঃ
“সব শিক্ষানবীশ দাবাড়ুই চায়, আহা এমন একজন শিক্ষক যদি পেতাম যিনি আশ্চর্য ক্ষমতাবলে দেখতে পাবেন আমার ভেতরে কী ঘটছে আর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই ভাবনার খুঁতগুলো সারিয়ে তুলবেন। কিন্তু এমনটা তো আর হবার নয়। দাবা শিক্ষকগণ মনে করেন শিক্ষানবীশদের গেমগুলো দেখা, তাদেরকে প্রশ্ন করে দাবা বিষয়ক জ্ঞান ঝালাই করে নেওয়া এবং যে সকল সমস্যা চোখে পড়ে সেগুলোর সমাধান করে দেওয়াই যথেষ্ট।
“ঠিক আছে, এটা ভাল টেকনিক; মানলাম। কিন্তু আমি প্রায়ই একটা কথা ভাবি। যদি সত্যিই শিক্ষক শিক্ষার্থীর মাথার ভেতর উঁকি দিয়ে দেখতে পারতেন ! কেমন হত ! বিষয়টা আরেকটু ভাল করে বোঝার জন্য আমি একটা ফন্দি আঁটলাম। আমি আমার শিক্ষার্থীদের বললাম এসো তো বাবা, বোর্ডটা নিয়ে বসি। বসার পর তাদেরকে আমি বললাম- প্রতিটি চাল দেওয়ার আগে আমাকে বল কোন চালটা তুমি দিতে চাও এবং কেন। আর আমার প্রতিটি চালের পর তুমি চালটি নিয়ে মন্তব্য করবে। আমরা এই গেমিং চালিয়ে গেলাম। আমি তাদের মন্তব্যগুলো লিখে রাখলাম। আর এই কাজটি করতে গিয়ে আমি সত্যিই চমকপ্রদ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
“আরেকটা কাজ আমি করেছি। তাদেরকে গ্র্যান্ডমাস্টারদের কিছু গেম অ্যানোটেট করতে দিয়েছি। [অ্যানোটেট মানে খেলা চলাকালীন চাল বিশ্লেষণ করা] গ্র্যান্ডমাস্টারদের চাল এবং প্ল্যান সম্পর্কে তাদের রেসপন্স আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কী ধরণের কনসেপ্ট তাদের আছে এবং কী ধরণের কনসেপ্ট তাদের নেই। এই বইখানি সেই সকল সেশনের ফল। এই বইখানি সেই সকল ভুলের একটি রোডম্যাপ যা অ্যামেচার হিসেবে খেলতে গিয়ে তুমিও করে থাক।”
আমি বইখানি পড়তে শুরু করলাম। এর আগে এই লেখকের ‘হাউ টু রি-অ্যাসেস ইওর চেজ’ বইখানি পড়া শুরু করেছিলাম। খুব কঠিন লেগেছিল। কিন্তু এই বইখানি আমার মত অ্যামেচারের জন্য পারফেক্ট। সিলম্যানের একটি নিজস্ব মেথড আছে। এই ম্যাথডের ভিত্তি হল ‘ইমব্যালেন্স’। তিনি এই ইমব্যালেন্সের একটি লিস্ট দিয়েছেন।
১. মাইনর পিস
২. পন স্ট্রাকচার
৩. স্পেস
৪. ম্যাটেরিয়াল
৫. ফাইল এবং স্কয়ার
৬. ডেভেলপমেন্ট
৭. ইনিশিয়েটিভ
তিনি জোর দিয়েছেন ‘বোর্ডের ভাষা’র ওপর। তিনি বার বার বলছেন “একটি বা কয়েকটি চালের দিকে নজর দিও না। বোর্ডকে রিড করার চেষ্টা কর। বোর্ড যা চায়, তোমাকে তাই করতে হবে। তুমি কী চাও সেটি বড় কথা নয়।” আর তার মেথড হল, বোর্ড এখন কী চায় এটি বোঝার জন্য এই সাতটি বিষয় ভাল করে বিশ্লেষণ করা জরুরী। তিনি বলছেন চূড়ান্ত লক্ষ্যটি অর্জন আসলে মধ্যবর্তী কিছু মিশনের সাফল্যের সমষ্টি। এই মিশনগুলো ঠিক করতে হবে। সেজন্যই তিনি বোর্ডের ভাষা বোঝার কথা বলছেন। যেমনঃ কোন একটি সিচুয়েশনে এসে মিশন হতে পারে আমার অমুক পনটিকে যে করেই হোক রক্ষা করতে হবে। কিংবা- অমুক ফাইল, র্যাং ক বা ডায়াগোনালের ওপর আমাকে যে করেই হোক ডোমিনেট করতেই হবে। কিংবা- এই মুহূর্তে প্রতিপক্ষকে তার গুড বিশপের সঙ্গে আমার নাইট এক্সচেঞ্জে বাধ্য করতে হবে- ইত্যাদি।
যেটুকু পড়েছি তাতে সিলম্যানের নিজের কিছু গেম, গ্র্যান্ডমাস্টারদের কিছু গেম, কখনো মিডল গেম পজিশন থেকে, আবার কখনো এন্ডগেম পজিশন থেকে তিনি তার শিক্ষার্থেদের খেলতে দিয়েছেন। একই পজিশন থেকে নানা রেটিং এর শিক্ষার্থীরা খেলেছে। মন্তব্য করেছে। তিনি তাদের চিন্তার গলদ বিশ্লেষণ করেছেন। আমার কাছে বইখানি দারুণ লাগছে। এ যেন দাবার এক অদ্ভুত সাইকো এনালাইসিস। [পরে কয়েকটি লেসনের ডিজিটাল ভার্সন করে শেয়ার করার ইচ্ছা আছে।]
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৪
অচিন্ত্য বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘটনা কী! ডুয়াল পার্সোনালিটি সিনড্রোম দেখা দিসে নাকি?
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
অচিন্ত্য বলেছেন: নাহ, দেখলাম কোন কমেন্ট নাই। তাই একটা নমুনা কমেন্ট দিলাম।।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৩
অচিন্ত্য বলেছেন: বাহ, চমতকার লিখেছেন