নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা ভাবি, যা দেখি, যা বিশ্বাস করি

আমি খুব সাধারন একটা মানুষ। সাধারন হয়েই থাকতে চাই

শিশু বিড়াল

স্বাধীন দেশের স্বাধীন এক নাগরিক। পেশায় ডাক্তার হলেও নেশা ছবি আঁকা। সবই সখের বশে। ভালবাসি দেশ ও দেশ এর মানুষ।

শিশু বিড়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাহা তেরা বাংলাদেশ, তামাশা দেখ, ধামাকা দেখ

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

এটা কি হল?

দেশের এক কুখ্যাত রাজাকার আবদুল কাদের মোল্লা যে কিনা তিনশতাধিক মানুষকে খুন করেছে তাকে নাকি যাবজ্জীবন(!) কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ফাঁসি দিলেও এই রাজাকারের ন্যায় বিচার হ্ত কিনা আমার সন্দেহ আছে। আমি সত্যিকার অর্থে দেশের খবর খুব যে রাখি তা কিন্তু নয় তবে এই সমস্ত ঘটনা দেখে যখন আবদুল কাদের মোল্লা কে এবং তার কির্তিকলাপ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম, মোটামুটি কিছু জিনিস যা জানলাম তা এই:



১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছিলেন কবি মেহেরুন্নেসা।তার কবিতা দেশের স্বাধীনতার জয়গানে ছিল মুখর। ২৭ মার্চ তাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়।কবি মেহেরন্নুসা ,তার দুই ভাই আর মাকে জবাই করা হয়। মেহেরুন্নেসার মাথা কেটে ঝুলিয়ে রাখা হয় তার বাসার কাপড় শুকানোর দড়িতে। উদ্দেশ্য: আর কেউ যেন সাহস না করে স্বাধীনতার কথা বলতে। এই ঘটনার ভয়াবহতা দেখে সেই বাড়ির সিরাজ নামের এক ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। আজ পর্যন্ত তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।



মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র ছিল ১৮ বছর বয়সের পল্লব। তার অপরাধ ছিল মিরপুরের বাঙালিদের সংগঠিত করা। পল্লবকে মেরে ফেলার আগে দুইদিন গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তার হাতের আঙ্গুলগুলো কেটে ফেলা হয়।অতঃপর গুলি করে মারা হয়। তাতেও শেষ হয়নি।পল্লবের মৃতদেহ গাছের সাথে ঝুলেছিল আরো দুইদিন ।যাতে মানুষ ভয় পায় স্বাধীনতার কথা এতটুকুও চিন্তা করতে। কেউ যেন স্বপ্নেও না ভাবে বাংলাদেশ এর স্বাধীন হওয়া। মিরপুরের কসাই ভাল করেই জানত কিভাবে মানুষকে ভয় দেখাতে হয়।



বুদ্ধিজীবী খন্দকার আবু তালেবের কথাও বলি। তাকে হত্যা করা হয় মিরপুর ১০ নম্বরের কসাইখানায় ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ।



২৪ এপ্রিল মিরপুরের আলোকদি গ্রামে হত্যা করা হয় ৩৪৪ জন বাঙালিকে ।



কেরানীগঞ্জের খানবাড়ি এবং ঘটেরচরে গুলি করে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি এবং গোলাম মোস্তফাকে। এরকম কত মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারবেনা।



এই কসাই এর নৃশংসতার কোন শেষ নেই ।বলতে চাইলে আরো অনেকের কথা বলা যাবে, আরও অনেক ঘটনার কথাও বলা যাবে। তবে অনেকই তার এসব কাজের কথা জানে। তার ভয়াবহতা সম্মন্ধে জানতে এটুকই আমার জন্যে যথেষ্ঠ ছিল।আমার মত নিতান্তই কিছু সাধারন মানুষ যারা গত কয়েকদিনে এটুক জানতে পারে তাহলে যারা রাজনীতিতে জড়িত যারা দেশ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে তারা নিশ্চ্য়ই আরও ভাল করে জানে এই ঘটনাগুলো। আমাদের সরকারী ও বিরোধী দলের মানুষ নির্বিশেষে সবারই নিশ্চয়ই এসব জানা। আমার প্রশ্ন তারা চুপ কেন?



এরকম একজনের ফাঁসি হতে দেশের বিচারব্যাবস্থা কি অনেক বেশি উন্নত হওয়া লাগে? আজকে যারা সকাল থেকে শাহবাগে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, আমার শ্রদ্ধেয় ভাই ও বোনেরা, এদের মত মানুষ যে দেশে বাস করেন, সেদেশের বিচার ব্যাবস্থায় কেন এমন এক জঘন্য অপরাধী কে ফাঁসি দেয়া হয়না? আসলে তাকে শুধু ফাঁসি দিলেই যে হয়ে যায় তা কিন্তু নয়, তবে তাকে যাবজ্জীবন নামকে "জামাই আদর" ও ভবিষ্যতে তাকে যেন যে কোন একটা অজুহাতে মুক্তি দেয়া হয় এমন বিচার তো কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।



আমার মাথায় কিছু প্রশ্ন উদয় হয়েছে যার কোন উত্তর আমি খুজে পাচ্ছিনা। আপনাদের কাছে উত্তর থাকলে আমাকে দয়া করে জানাবেন।



প্রশ্ন ১: এই রাজাকার আবদুল কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়াই সবার কাম্য সেটা বাংলাদেশে অবশ্যই ফাঁসি। শেখ হাসিনা যেখানে বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী, যিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য এতকাল লড়ে আসছেন, তিনি কীভাবে এই বিচার মানবেন? আর তিনি যদি এই রাজাকারের ফাঁসি চাইতেন, কোনো আদালতের সাধ্য আছে কি অন্যথা কিছু করা? চোখ বন্ধ করে এই কসাইের শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিৎ, তাহলে হলনা কেন?



প্রশ্ন ২: বি এন পি দলের নাকি কোনো প্রতিক্রিয়াই নাই এই রায়ে। এও কি সম্ভব?? আসলে সব সম্ভবের দেশ, আমাদের এই দেশে এমন হওয়া খুব আশ্চর্যের নয়। দেশের মানুষ দেশের সরকার, দেশের নেতা নেত্রীদের কাছে ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় চেয়ে আছে। কিন্তু দলীয় খাতিরের চেয়ে দেশ বড় এটা কি তারা কখনই বুঝবেনা? আর যদি বুঝেই তাহলে তারা চুপ কেন?



প্রশ্ন ৩: এবার প্রশ্ন আমার দেশের আপামর জনগন ভাইবোনদের কাছে। এই দেশে কারোই জান মালের তেমন নিরাপত্তা নেই। এই যে আমি এত বকবক করে যাচ্ছি, কাল যদি খবর ওঠে আমাকে হত্যা করা হয়েছে তাহলে অবাক হবার কিছুই নাই। দুই একদিন একটু হয়ত হইচই তারপর সব চুপ। আমিতো বলি বিচারের আশা সবাই ছাড়ুন, যদি সম্ভব হয় নিজ হাতে এই রাজাকারের ফাঁসির দড়ি টানিয়ে তাকে ঝুলিয়ে দিন। আসুন আমরাই শাহবাগের রাস্তার তার জন্য ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করি। ভাবলে ভাবতে পারেন আমি প্রলাপ বকছি। তবে কথা কি স্বাধীনতার এত বছর পর এমন এমন এক রাজাকারের এরুপ প্রহসন মার্কা বিচারে আমার মাথা খারাপ যদি হয়েও থাকে সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আছেন কেউ এমন সাহসী? পারবেন কেউ এই পিশাচের বিচার প্রয়োজনে নিজের হাতে নিতে? তাহলে কোথায় আপনার দেশপ্রেম? দেশের প্রতি ভালবাসা?



কাহা তেরা বাংলাদেশ, তামাশা দেখ, ধামাকা দেখ। এই কথাটি কাদের মোল্লা ৭১ এর সময় যাদের উপর অত্যাচার চালাত তাদের দিকে অপমানের সাথে ছুঁড়ে দিত। তাদের দেশপ্রেম কে কটাক্ষ করে গালি দিত। আজকে এই বিচারের কারনে আমি সেই কথাই আকাশে বাতাসে শুনতে পাই। সারা দেশের মানুষের প্রতি এই বিচার এক বিশাল অপমানের বোঝা বয়ে এনেছে। এই লজ্জা রাখার, প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। তবে আশা আছে ৭১ এ যেমন সাধারন মানুষই দেশের জন্য লড়েছিল, কারও জন্যে অপেক্ষা করেনি, তাদের রক্তই তো আমাদের শরীরে, প্রয়োজন পড়লে আমারাও আমাদের ন্যায়বিচার আদায় করে নিব। দেখিয়ে দিব বাংলাদেশ কী, আমরা কী ও দেশের অপমান কেউ করলে কী করতে পারি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

গাজী আলআমিন বলেছেন: আর কত রাফি এতিম হলে কাদের মোল্লার ফাসি হবে???????
Click This Link

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

শিশু বিড়াল বলেছেন: নিজের হাতে বিচার না নিলে এই দেশে বিচার হবেনা

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

আহলান বলেছেন: এটাই আমাদের বাংলাদেশ ... তামাশা আর ধামাকাই দেখে আসছি .....

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

শিশু বিড়াল বলেছেন: সময় আসছে আমাদেরও পাল্টা তামাশা দেখানোর। প্রস্তুত হউন।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

একজন অপদার্থ বলেছেন:

--------------------------------------

দেশ নিয়া একটাই কথা-
*** এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে***

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

শিশু বিড়াল বলেছেন: অবশ্যই

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

লেখক বলেছেন: সময় আসছে আমাদেরও পাল্টা তামাশা দেখানোর। প্রস্তুত হউন।

সহমত

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০

শিশু বিড়াল বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.