নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা ভাবি, যা দেখি, যা বিশ্বাস করি

আমি খুব সাধারন একটা মানুষ। সাধারন হয়েই থাকতে চাই

শিশু বিড়াল

স্বাধীন দেশের স্বাধীন এক নাগরিক। পেশায় ডাক্তার হলেও নেশা ছবি আঁকা। সবই সখের বশে। ভালবাসি দেশ ও দেশ এর মানুষ।

শিশু বিড়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়া ও সন্তানের উপর এর প্রভাব

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

this is the news link



পরকীয়া নামটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। আমাদের বর্তমান সমাজে এই ব্যাধি প্রকট আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সমাজের সর্বস্তরেই এই সমস্যা বিদ্যমান। পরকীয়া কে যেভাবেই দেখা হোক না কেন এটি অন্যায়। এতে একটি পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়, তাদের পারস্পরিক বন্ধনে যে চিড় ধরে তাও আমরা জানি। তবে এইসব পরিবারের শিশুদের উপরও যে এটি বিশাল সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলে তা কি আমরা ভেবে দেখেছি?



পরকীয়া নামক ব্যাধি একজন স্বামী বা স্ত্রীর জন্য যতটুকু ক্ষতিকারক তারচেয়ে কয়েক হাজারগুন প্রভাব ফেলে সেই পরিবারের সন্তানদের উপর। এরা পরবর্তি জীবনে কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে পারেনা, নিজেরা হীনমন্যতায় ভোগে, এদের মনের একটা অংশ প্রায় অকেজো হয়ে যায় তাদের নিজেদেরই অজান্তে।



দৃশ্যপট ১

দিপ্তি ক্লাস টু তে পড়ে। প্রতিদিনের মত আজকেও স্কুলের হোম ওয়ার্ক শেষ করে তার পুতুল নিয়ে খেলতে বসেছে। বাসায় আব্বু নেই। ড্রইং রুমে আম্মু জহির আংকেল এর সাথে বসে কথা বলছে। জহির আংকেল দিপ্তির বাবার খুব ভাল বন্ধু, ওকেও অনেক স্নেহ করে। সে ভাবল আংকেল এর কাছে একটু যাই, ভেবে ড্রইং রুমের দিকে পা বাড়াল। গিয়ে দেখল তার মা আর জহির আংকেল একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে আছে। ওর হঠাৎ খুব খারাপ লাগল। ঠিক বুঝে উঠতে পারল না তারা কি করছে। এভাবে সময় যেতে লাগল। প্রায়ই দিপ্তি দেখত তার বাবা বাসায় না থাকলে বা দেশের বাড়ি গেলে জহির আংকেল রাতে তাদের বাসায় এসে থাকে এবং তার আম্মু রাতের বেলা তার পাশ থেকে উঠে অন্যরুমে যায় যেখানে আংকেল থাকে। সেখানে কি হয় তা সে জানেনা। এভাবেই দিপ্তি বড় হতে থাকে এবং নিজের মধ্যে এক ধরনের যন্ত্রনা অনুভব করে। সে না পারে তার মাকে বিশ্বাস করতে, না পারে তাকে ঘৃনা করতে, এক অড্ভুত ভয় তাকে গ্রাস করতে থাকে, সে কোনোদিনও আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনা। এবং পরবর্তি জীবনেও সে এই ব্যাপারটা নিয়ে প্রতি মুহুর্ত লজ্জিত, ভীত, আতংকিত হয়ে থাকে।



দৃশ্যপট ২

তুষার ফুটফুটে একটি ছেলে, ১০ বছর বয়স। ক্লাস থ্রি তে পড়ে। প্রচন্ড দুরন্ত। তার সারাদিন ভাল লাগে দুষ্টুমি করে কাটাতে। কিন্তু বাসায় যখন বাবা মা এর ঝগড়া দেখে তখন ওর ইচ্ছা করে কোথাও পালিয়ে চলে যেতে। কোন এক মহিলা কে নিয়ে প্রায়ই তার বাবা মা এর মাঝে ঝগড়া হয়। বাবা কয়েক বার মা এর গা এ হাত ও তুলেছে। ওর ঘৃনা হয় বাবার প্রতি, কিন্তু মা কে কিছু বলতে পারেনা। ও তো ছোট, মায়ের কষ্ট কিভাবে দূর করবে? এভাবেই চলে যায় দিন, মাস, বছর। তুষারের মা তুষারের জন্য এই সংসারে টিকে থাকে। তার কোথাও যাবার জায়গা নেই তাই। এবং ১০ বছর পর একসময় তুষারের মা এর একটি বন্ধু হয়। তার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, একটা সম্পর্কও হয়। কিন্তু সেই লোক বিবাহিত। এদিকে তুষারের বাবা মাঝে মাঝে মদ খেয়ে তুষারের মা এর গায়ে হাত তোলে। কিন্তু এতদিনের অভ্যাস সেই মহিলা আর রা করেনা। সমাজ এর ভয়ে, কলংকের ভয়ে। আর তুষার এসব দেখতে দেখতে জীবনের প্রতি ভরসা হারিয়ে ফেলে, সবকিছু অর্থহীন মনে হয় তার। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে প্রচন্ড ভাবে। নিজের বাবা মা কে যদি শুধু বাবা মা বলেই নয়, মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠ মানুষ ভাবতে লজ্জা পেতে হয়, এর চেয়ে কষ্ট আর কি আছে। বড় একা লাগে তুষারের এই পৃথিবীতে। কেউ বুঝি ভাল নয়। সব মিথ্যা, অভিনয়, ভান।



(সত্য ঘটনা, নাম পরিবর্তন করে দিয়েছি)



এমন ঘটনা আরো অনেক আছে। এখানে দুটিই বললাম।



শিশুরা তাদের বাবা মা কে আদর্শ মনে করে।তাদের কোন অনৈতিক কার্যকলাপে শিশুদের মনে যেই বিরুপ প্রতিক্রি্যা সৃষ্টি হয় তা তাদেরও পরবর্তি জীবনে প্রভাব ফেলে।দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার সমস্যার সুদূরপ্রসারি ক্ষতিপূরন যেন এই নিশ্পাপ শিশুদের না দিতে হয়।



কাজেই পরকীয়ালিপ্ত সকল পরিবারের প্রতি এবং পরকীয়া করতে পারেন এমন সম্ভাবনা আছে যাদের তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা দয়া করে বিয়ে করবেন না।

আর যদি করেও ফেলেন, সন্তান নিবেন না।

আর সন্তান যদি নিয়েও ফেলেন কোনভাবে তবে পরকীয়া করবেন না।



তাও যদি সম্ভব না হয় তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সন্তান যেন আপনার পরকীয়া সম্মন্ধে কোনরকম কোন ধারনা করতে না পারে।যেটা হওয়া একেবারেই অসম্ভব।শিশুরা সবই বোঝে আর আজকালকার শিশুরা তো প্রযুক্তিই বলুন আর যাই বলুন সবকিছুই আরো আগে আগে বোঝে কাজেই এমন একটা ব্যাপার তার বোধগম্য হবেনা এই ভুল ধারনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।



"নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে ঠকানো" এই শিক্ষা ছাড়া আপনার পরকীয়া থেকে অন্য কোন শিক্ষা সে পাবেনা। আপনার প্রতিও তার শ্রদ্ধা সে যত বড় হবে ততই কমে যাবে।আমাদের সমাজে আজকে পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা কমে যাওয়ার এটাও একটি বড় কারন আমি মনে করি একটু ভাবুন তো যেই শিশুর মা বা বাবা পরকীয়া করে এবং তা সেই শিশুটি অনেক অল্প বয়সে হতে পারে৫,৬,৭,৮,৯, ১০,১১ কি ১২ সে কি পারবে তার বাবা বা মা কে সবচেয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে চিন্তা করতে? তার মনেই হতে পারে মিথ্যা বলা, মানুষকে ঠকানো এগুলো গুরুতর কোন অন্যায় না। এভাবেই বপন হয় অন্যায় কে "ন্যায়" ভাবার বীজ এবং একসময় তা ডাল পালা ছড়িয়ে বিশাল বৃক্ষে রুপ নেয়।নিজেকেই একটু প্রশ্ন করে দেখুন।



কাজেই যাই করুন, সন্তানের যদি মঙ্গল চান তবে একটু বুঝে কাজ করুন। পিতামাতা হয়ে নিজের আদরের সন্তানের উপর এমন একটি বোঝা চাপিয়ে দিয়েন না যা সে সারাজীবন বয়ে বেড়াবে। এবং এ ব্যাপারে মায়েদের ভুমিকা বাবাদের চাইতে বেশী।সাধারনত সন্তানেরা মা কে যেমন ভালবাসে বাবাকে তার থেকে কিছুটা হলেও কম বাসে। কাজেই সে যদি দেখে তার বাবার অনুপস্থিতিতে তার মা অন্য কোন পুরুষের সাথে প্রেমলীলায় মত্ত, সেই শিশুটির চিন্তা ভাবনার জগৎ অনেকখানি এলোমেলো হয়ে যায় এবং এর ফলাফল তার জন্য বেশ ক্ষতিকারক হতে পারে।



তবে তার মানে এই নয় যে পুরুষ রা বা বাবারা বাসার বাইরে যা ইচ্ছে করে ঘরে আসলে তার কোন প্রভাব শিশুদের উপর পড়বেনা। আগেও বলেছি শিশুরা অনেক কিছুই বোঝে। কাজেই তারা যদি বোঝে তাদের বাবা তাদের মা কে ভালবাসেনা বরং অন্য নারীসঙ্গে লিপ্ত সেটাও তাদের উপর সমান প্রভাব ফেলে। তারা অবচেতন মনে "মানুষকে ঠকানো" এর মত কাজকে আর অন্যায় মনে করেনা এবং এই ধারনা তার জীবনের অন্য ক্ষেত্রেও বিশাল প্রভাব ফেলে।



কাজেই যারা এখনও বিয়ে করেননি বা করবেন বা করেছেন, পরকীয়া করছেন বা করার কথা ভাবছেন বা হয়ত কখনই করবেন না ঠিক করে রেখেছেন সবার প্রতিই আমার অনুরোধ নিজের সন্তানের ব্যাপারে আবারও একবার ভাবুন। আপনার সঙ্গী/সঙ্গীনি নিয়ে আপনার সন্তুষ্টি সবসময় নাও থাকতে পারে। তাকে ঠকিয়ে আপনি অন্য কাউকে নিয়ে ফুর্তি করতেই পারেন কারন সে তো আর আপনার রক্তের কেউ না। তাকে ঠকানো না ঠকানো আপনার বিবেকে হয়ত নাও বাঁধতে পারে। এমন একটা অন্যায় আপনার কাছে অন্যায় নাও মনে হতে পারে। তবে আপনার আজকের এই অন্যায় আপনার জীবনসাথীকে যতটা ঠকাবে তার চেয়ে অনেক বেশি ঠকাবে আপনার শিশুকে। আর আপনার সন্তান কিন্তু আপনারই একটা অংশ। তার মানসিকতার প্রতি শুরু থেকেই যত্নবান হউন।নিজেকেই একটু প্রশ্ন করে দেখুন।



আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি খুব স্পর্ষকাতর একটি বিষয়ে বলে ফেললাম। হয়ত সবকিছু বোঝাতে পারিনি তবুও আপনাদের ধন্যবাদ আমার কথাগুলো সময় নিয়ে পড়ার জন্য।



-ডা: নাজিয়া হক অনি



(দৃশ্যপট দুটি পরে যোগ করা হয়েছে, বিস্তারিত বর্ননায় না গিয়ে সরাসারি বাস্তব জীবনের উদাহরন দেয়াই শ্রেয় মনে করলাম)

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

বোকামন বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ।
এমন একটা অন্যায় আপনার কাছে অন্যায় নাও মনে হতে পারে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

শিশু বিড়াল বলেছেন: ভাই আমাকে ভুল বুঝবেন না। এটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় অন্যায়গুলোর একটি।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখাটার জন্য, তবে আরো গুছিয়ে লিখলে লেখাটা আরো প্রানবন্ত হতো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

শিশু বিড়াল বলেছেন: প্রথম আলোর একটা খবর পড়তে পড়তে হঠাৎ লেখা। তাছাড়া আমি এখন হাসপাতালে। তেমন একটা চিন্তা ভাবনা করে লিখিনি, যা মনে এসেছে বলে দিয়েছি। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। :)

ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

বোকামন বলেছেন:
ভুল বুঝবো কেন বোন ! আপনার সাথে আমি একমত...
নিজের সাথে প্রতারনা করা .... বড় অন্যায়গুলোর একটি অবশ্যই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

শিশু বিড়াল বলেছেন: :) :) :)

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

মদন বলেছেন: +

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

শিশু বিড়াল বলেছেন: :)

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

মামহাসান৪৬২ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ :)

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:

এভাবেই বপন হয় অন্যায় কে "ন্যায়" ভাবার বীজ এবং একসময় তা ডাল পালা ছড়িয়ে বিশাল বৃক্ষে রুপ নেয় ।


পোষ্টে সহমত +++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

শিশু বিড়াল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০১

নিয়েল হিমু বলেছেন: ভাল বলেছেন । ডাক্তারের ফ্রি পরামর্শ এখন কয়জন শুনে এটাই প্রশ্ন তবে আমি কিন্তু জায়গায় জায়গায় আপনার পোষ্ট রেফারেন্স রেখে লেকচার শুরু করে দেব ।
ভাল লাগা জানবেন :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

শিশু বিড়াল বলেছেন: ..................কেউ শুনুক বা না শুনুক, আমি খারাপ কে খরাপ আর ভাল কে ভাল বলেই যাব ........হয়ত কারো না কারো কাজে লাগবে।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২

চায়নাবুড়া১৮ বলেছেন: আপনার লেখা টা খুব ভালো লাগল

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

শিশু বিড়াল বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই বিষয় নিয়ে পরে যদি সময় পান তবে অনুরোধ করব আরও বিস্তারিত একটি পোস্ট দিবেন। খুব চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

শিশু বিড়াল বলেছেন: কান্ডারী ভাইয়া আজকে ফেসবুকে পরকীয়ার বিরুদ্ধে একটা ছোট ষ্ট্যাটাস দিতে চেয়েছিলাম, সেটা বড় হতে এই অবস্থা হয়েছে... :)
কাজেই বিস্তারিত পোস্ট অবশ্যই দিব, তবে সেটা উপন্যাস সাইজের হয়ে গেলে আমাকে দোষ দিবেন না যেন :)

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১

দিশার বলেছেন: পরকিয়া যদি ধরা না পরে ? তাহলে কি প্রভাব পরে সন্তান এর উপর?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

শিশু বিড়াল বলেছেন: পরকীয়া অবশ্যই ধরা পড়ে।১ দিন ২ দিন.......বছরের পর বছর সন্তান দেখবে, বড় হবে, নিজে চিন্তা করতে শিখবে আর সে কিছু বুঝবেনা?? তা হয়না। বুঝে, চুপ করে থাকে। ঐ যে বললাম একটা শিশু সব বুঝতে পারে। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনা। একটা শিশু বাবা মা এর যৌনমিলনের দৃশ্য যেখানে সহজে নিতে পারেনা, সেখানে অন্য কারো সাথে কিভাবে মেনে নিবে বলুন? আর শিশুটি যদি হয় ৭/৮ বছরের যে কিনা এই ব্যাপারে কোন ধারনাই নেই, তার কাছে ব্যাপারটা কিরকম হয় আপনি বলুন। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে সে যখন পুরো ব্যাপারটা বুঝে উঠতে থাকে একটু একটু করে তখন তার মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা অনেক কঠিন হয়ে দাড়ায়। আপাত দৃষ্টিতে ধরা না পড়লেও সমস্যা ভেতরে রয়ে যায়, না পারে কাউকে বলতে, না পারে সহ্য করতে।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

যোগী বলেছেন: আপনিই কি ডা: নাজিয়া হক অনি ?

আপনার লেখা পুরটা পড়লামনা, শুধু প্রথম প্যারাটা ছাড়া।
আমি যতটুকু জানি এই পৃথিবীর অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিই কিন্তু এসেছেন ব্রোকেন ফ্যামিলি থেকে। আর ফ্যামিলি ব্রেকআপ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সো কল্ড পরোকীয়ার সাথে জড়িত।

এই সব ব্যাপারগুল নিয়ে আমার নিজেস্ব একটা পরিষ্কার বাখ্যা আছে। পরে আমি একটা মুভি দেখেছিলাম, যেটা হুবহু আমার ধারনার সাথে মেলে। যাইহোক আমি এখানে আমার বাখ্যা ফলিয়ে বিরোক্ত করবোনা।

আপনার লেখায় কোন স্ট্যাটিসটিক্যাল এভিডেন্স নাই বলেই আমি আমার এই কমেন্ট করার সাহস পেলাম।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

শিশু বিড়াল বলেছেন: জ্বী আমিই অনি। কেন বলুনতো??

আর আমি আপনার ব্যাখ্যা শুনতে আগ্রহী।

স্ট্যাটিসটিক্যাল এভিডেন্স এর কথা বলছেন? আজ থেকে ১০০ বছর আগেও বা ৫০ বছর আগেও পরকীয়া এভাবে বাড়েনি যেমন এখন বেড়েছে। তবে আমার সন্দেহ আছে এখনও স্ট্যাটিসটিকস রেকর্ড নিতে গেলে সবাই সত্যি বলবেন কিনা। কারন নিজের বাবা মা নিয়ে এমন কথা বলতে সবারই একটু বাঁধে।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: পরকীয়া খ্রাপ, ওকে

কিন্তু তার পেছনের কারণ গুলো কি কি? তাও কিন্তু জানা উচিত। সেগুলোই নিখুঁতভাবে , খোলামেলা ভাবে আলোচনা করা উচিত। জানার জন্য, সচেতন হবার জন্য।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

শিশু বিড়াল বলেছেন: করব... একটু সময় দিন আরও ভাল করে আলোচনা করব উদাহরন সহ :)

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

shfikul বলেছেন: +++++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

শিশু বিড়াল বলেছেন: :)

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: একটা জিনিস খ্রাপ সেটা না করতে কৈলেই যে কেউ করবেনা তা না। তার পেছনের কারণগুলো বুঝানো উচিত। সেখানেই সচেতনতার সৃষ্টি হবে। নৈলে সন্তান কেন? আল্লাহর কিরা দিয়া বল্লেও কেউ বিরত থাকবেনা, মানবেনা, সচেতন হবেনা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

শিশু বিড়াল বলেছেন: তাও ঠিক।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

যোগী বলেছেন: বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ এর কমেন্ট দেখে সাহস পেয়ে আবার ফিরে আসলাম।
আসলে আমার কথা কেও ঠিক মত নিতে পারেনা।

আমি একটা রাফ এস্টিমেট দেওয়ার চেষ্টা করি-

বাইরের দেশে শতকরা ৯০ পেয়ার প্যারেন্টেস এর মধ্যেই ব্রেকআপ হচ্ছে। আর এই ব্রেকআপের প্রথম ও প্রধান কারন হলো কাপলদের মধ্যে একজন আর একজনকে ভালো না লাগা এবং তৃতীয় কোন পারসন কে ভালো লাগা।

আর এই হিসাবের ঠিক উল্টটা হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশে, মানে শতকরা ৯০ টা ফ্যামিলিই যে করে হোক টিকে আছে। (আমার দৃষ্টিতে এই যে করে ঠিকে থাকাটা বেশি খারাপ)

তাহলে কি ধরে নিব আমাদের দেশের শিশুরা মেধায়, মননে, সততাই বেশি এগিয়ে আছে সেই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর শিশুদের থেকে?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: জোর করে টিকে রাখা পরিবারের ছেলেমেয়েরাই বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভোগে।

আমাদের শিশুরা মেধায় মননে এগিয়ে আছে???? তাই??? কিভাবে একটু বলুনতো।

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১১

s r jony বলেছেন: +++++++++++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ ভাইয়া :)

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। ++++++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: +++++++++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

শিশু বিড়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ++++++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

শিশু বিড়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: যে করে হোক টিকে থাকাটা বেশি খারাপ হলেও সেটাইতো হচ্ছে, এবং একপ্রকার বাধ্য হয়েই। (আমার ধারনা)

কাল একটা পোষ্ট পড়েছিলাম, কমেন্ট লিখে দিতে গিয়ে দেখি নেট নাই। তা এখানে দিলাম @ যোগী (কথাগুলো একটু এডাল্ট মনে হতে পারে)

পরকীয়ার দু'টি কারণ , যেটা আমি মনে করি। মানসিক আর শাররীক পরিপূর্ন তৃপ্তীর অভাব। এটা নারীও করতে পারে পুরুষও। পরকীয়া শব্দটা কেবল নারীর উপর চাপিয়ে দেয়াটাও মেনে নেয়া যায়না। এ জন্য পুরুষও অনেক দায়ী। এবং পুরুষও পরকীয়াতে লিপ্ত সমানভাবেই। শাররীক অক্ষমতাটায় দোষী গন্য করা না গেলেও মানসিক অবহেলাটার জন্য পুরুষকে সম্পুর্নরুপে দোষী সাব্যস্থ করা যেতে পারে।

শাররীক অক্ষমতার কারনেও অনেক সময় সেটা হতে পারে। আবার শাররীক সক্ষমতা থাকার পরও অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের অনিয়মের (এটা সাক্ষাত একজনের কাছে জানা কথা) কারণেও নারী তার কাম্য সুখটা পেতে বঞ্চিত হয়। সেটা মেনে নিলাম ক্ষনিকের, (ক্ষনিকের হলেও ক্ষধাটাতো রয়েই যায়) কিন্তু মনেরটা ক্ষনিকের না। সেটাতেই জোর দেয়া উচিত পুরুষদের নারীর প্রতি। একটা নারী যা চায় তার সঙ্গীর থেকে সে যদি তা পরিপূর্ন না পায় তাহলে সে বাইরে তা অন্বেষনে বেরুবেই। তেমনি পুরুষও।

সেদিন সদ্য বিবাহিত (মেয়ে) এক বন্ধুর (দুর সম্পর্কের আত্মীয়া) সাথে আলাপে তার একটা দুঃখ আমি নিখুতভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম, সেটা হচ্ছে, সে সব সময় বা বিয়ের আগে আশা করতো যে তার সঙ্গীটি রোমান্টিক হবে, হাসি খুশি হবে, মনের সব কিছু তার সাথে শেয়ার কর্বে, সারাক্ষন তাকে আনন্দে মাতিয়ে রাখবে। কিন্তু তেমনটি হয়নি। তারুপর সে আবার প্রবাসী, তারুপর সে আবার কল করলে দু চার মিনিটের বেশি কথা বলেনা। তো মেয়েটার মানসিক অবস্থাটা কি দাড়ায়?? সে কয়টা কিদ কন্ট্রোল করবে? শরীরটাকে করতে হচ্ছেই, মনটাকে কি ভাবে করবে?

তেমনি আরেক বন্ধুর বেলায় হয়েছেও সেরকম, বন্ধু রোমান্টিক টাইপ, সে চায় বৌকে নিয়ে ঘুরবে, হাসি ঠাট্টা করবে, একটু দুষ্টুমী করবে, সব আনন্দ তার সাথে ভাগাভাগি করবে। কিন্তু তা সে একটুক ও পারেনা। বৌ হৈছে চুপচাপ, মাদার গাছের মতন। সিরিয়াল দেখায় ব্যস্ত।

একটা নারী/পুরুষ সবসময় যে স্বপ্নটা দেখে আসছে, লালন করে আসছে যে স্বপ্নপুরুষকে/স্বপ্নরানীকে নিয়ে কল্পনায় সেটা বিয়ে পরবর্তী দাম্পত্য জীবনে অভাব বোধ করলে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়বেই। ফলে পরকীয়ার আশ্রয় নেয় অনেকেই উপায়ন্তর না পেয়ে, একটু সুখের আশায়। সুখটা হোক শাররীক হোক মানসিক।
@ যোগী

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

শিশু বিড়াল বলেছেন: সবই বুঝলাম তবে আমার বক্তব্য ছিল এইসব পরিবারের শিশুদের নিয়ে... আপনি একটু অন্যদিকে সরে গিয়েছেন। শিশুরা এতকিছু ভেবে দেখেনা। আর যতদিনে ভাবা শুরু করে ততদিনে তাদের বিশ্বাসে ফাটল ধরে যায়।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

একজন আরমান বলেছেন:
আমি যে কয়েকটা বিষয় ঘৃণা করি এদের মধ্যে এই শব্দটা হল একটি।

যারা এই কাজটি করে আমার ইচ্ছে করে তাদেরকে ছাদে নিয়ে গিয়ে পরম ভালোবাসায় তাদেরকে একটা ঠ্যালা দিয়ে নিচে ফেলে দেই। মনে হয় এই রকম মানুষ মেরে ফেললেও সওয়াব হবে !

আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

শিশু বিড়াল বলেছেন: খুবই খারাপ কথা আরমান। মনুষ্য হত্যা মহাপাপ। যে পরিবারে পরকীয়া করার মত অবস্থা দাড়ায় সেই পরিবার ভেঙে যাওয়াি আমি শ্রেয় মনে করি। এতে অন্তত ঐ পরিবারের শিশুগুলো একটু সুস্থ থাকার সুযোগ পায়।

২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

আমি মোঃ চয়ন বলেছেন: পরকীয়া করার কোন কারন থাকতে পারে না । X((X((

এটা শুধুই কিছু নিচু মনের মানুষের কাজ। এদের হাজার বললেও ঠিক হব না।

উপরে দেখলাম কয়জন কিছু উসিলা খুঁজে বের করছে।

স্বামী বা স্ত্রী যদি শারিরিক চাহিদা পুরন করতে না পারে তো ডিভোর্স দিয়ে দেও। অন্য কাউকে বিয়ে কর !!

স্বামী বা স্ত্রী যদি মনের চাহিদা পুরন করতে না পারে, তখন যদি নতুন কাউকে ভাল লাগে তবে বর্তমান স্বামী বা স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দাও। এবং নতুন ভাললাগা মানুষকে বিয়ে কর।

ধর্ম বা সমাজ, কোন ক্ষেত্রেই একাধিকবার বিয়ে করা এবং ডিভোর্স দেওয়া নিষিদ্ধ না।

শরির বা মনের চাহিদা পূরনে অক্ষম স্বামী বা স্ত্রী র সাথে সংসার করবা, আবার বাইরের পুরুষ-নারীর সাথে পরকীয়া করবা !!! এটাকে শুধু পাপ না বরং ক্রাইম হিসেবে দেখা উচিৎ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

শিশু বিড়াল বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি আমার মনের কথাগুলো বলে দিয়েছেন :) :) :)

২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: এই পরকিয়া এড়ানোর জন্য প্রয়োজন ইসলামের অনুশাসন। সত্যি কথা বলতে আল্লাহ্‌সুবানাহুতায়ালা আমাদের যে সমস্ত বিধি-বিধান দিয়েছেন তা আমাদের কল্যাণের জন্যই দিয়েছেন। কিন্তু আমরা অনেক সময় চিন্তা করি আল্লাহ্‌ এই বিধান কেন দিলেন? ঐ বিধান কেন দিলেন?

তাই ইসলাম-ই হচ্ছে একটি শাশ্বত কল্যাণকর একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা।

পরকিয়া ঠেকাতে এই পোষ্টটি দেখুনঃ

আমি তো পুরুষ! আমার আবার পর্দা কিসের!!!

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: ঈসলামের অনুশাসন অবশ্যই পরকীয়া প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে তবে আপনি এখন এই একটা কারন দেখিয়ে পরকীয়া প্রতিরোধ করতে পারবেন না। আবারও বলছি আপনি মুল কথা থেকে সরে গিয়েছেন। হয়ত বুঝতেই পারেননি।
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
না মোটেও দোষ দিবনা আপনি খুব সুন্দর করে বিস্তারিত একটি পোস্ট দেন এই বিষয়টি নিয়ে। অপেক্ষায় থাকব।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: ওকি ডকি ভাইয়া :)

২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

যোগী বলেছেন: ম্যাম, আমার ১৫ নাম্বার কমেন্টটা আর একবার পড়ার অনুরোধ করছি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

শিশু বিড়াল বলেছেন: আমি আসলেই পুরোটা বুঝিনি। তবে পরকীয়াগ্রস্ত কোন পরিবারের সন্তান বিশ্বে মহান কিছু করে ফেলেছে, আমার জানামতে নেই। যে যতটুকু বড় হয়, নিজের চেষ্টায় হয়। আর আমি কথা বলেছি শিশুদের মানসিকতা নিয়ে। আপনি আমার ১০ নং প্রশ্নের উত্তর ও ২২ নং এর উক্তি তে চয়ন ভাইয়া যা বলেছেন তা একটু কষ্ট করে পড়ে দেখুন।

তবে কথা দিচ্ছি আমি ভবিষ্যতে আপনাদের সামনে বেশ কিছু ঘটনা তুলে ধরব।

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার লেখা এত মন দিয়ে পড়ার ও আপনার মতামত জানানোর জন্য

২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: অন্যদিকে সরে যাওয়া না ঠিক, ঠিক কোন জায়গায় আমাদের ভুলটা তার একটা দিক তুলে ধরেছি, কারণ বিষয়টা শিশুদের মারাত্মকভাবে ক্ষতি করছে।

এখন একটা বিষয় জানতে ইচ্ছে করছে (অভিযোগের দৃষ্টিতে দেকবেন্না আশা করি)

পরকীয়া খ্রাপ, তা এড়াতে না পারলে বিয়ে করতে না করেছেন, বিয়ের পরও যদি এড়াতে না পারে সন্তান নিতে না করেছেন, সন্তান নেয়ার পরও যদি এড়াতে না পারেন তাহলে সন্তানদের কাছ থেকে তা কৌশলে লুকানোর কথা বলেছেন,

তাও যদি সম্ভব না হয় তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সন্তান যেন আপনার পরকীয়া সম্মন্ধে কোনরকম কোন ধারনা করতে না পারে।



তার মানে কি দাড়াচ্ছে, পরকীয়া করবেন তবে সন্তানরা না জানে মতন। এতে কি সন্তানের অযুহাত দেখিয়ে পরকীয়াকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছেনা??

এসব বিবেচনা করেই আমার কথাগুলো বলা। কোন অযুহাত নয়, তার পরিত্রান চাই, তার পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করে তার সুরাহার পথ উন্মোচন করা জরুরী। তাই আমার যে কয়েকটি বিষয় এর জন্য দায়ী বলে মনে হয়, তার দুয়েক্টা উপ্রে উল্লেখ করেছি। সেটাকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া মনে করা ঠিক হবেনা মনে হয়।



যোগী বলেছেন:তাহলে কি ধরে নিব আমাদের দেশের শিশুরা মেধায়, মননে, সততাই বেশি এগিয়ে আছে সেই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর শিশুদের থেকে?


এটা হয়তো আপনি বুঝতে পারেন্নি

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

শিশু বিড়াল বলেছেন: "তাও যদি সম্ভব না হয় তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সন্তান যেন আপনার পরকীয়া সম্মন্ধে কোনরকম কোন ধারনা করতে না পারে।যেটা হওয়া একেবারেই অসম্ভব।"

ভাই আপনি আমার কথা সম্পুর্ন না পড়েই মন্তব্য করে বসলেন এমন ভাবে যেন আমি পরকীয়া কে সমর্থন জানাচ্ছি। কষ্ট পেলাম :(

দয়া করে ঐ অংশটুকু আরেকবার পড়ুন, নিজেই বুঝবেন।

২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

যোগী বলেছেন:
নেভার মাইন্ড প্লিজ! আই হ্যাভ লষ্ট মাই ইনটারেস্ট ফর ফারদার ডিসকাশ।
আই অ্যাম কুইটিং।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

শিশু বিড়াল বলেছেন: as you wish sir :)

২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: যখন মানুষ কোন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন সে তাঁর সেই কাজকে নৈতিক সমর্থনের জন্য না না রকম অগ্রহনীয় যুক্তি দাড় করায়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

শিশু বিড়াল বলেছেন: ভাইয়া আমি কি অনৈতিক কাজের যুক্তি দেখালাম????? :( :( :(

২৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

যোগী বলেছেন: *ডিসকাশন

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

শিশু বিড়াল বলেছেন: কিন্তু আপনি আমাকে এভাবে বললেন কেন "আপনিই কি ডা: নাজিয়া হক অনি??"

এটুক অন্তত বলবেন প্লিজ?

৩০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

একজন আরমান বলেছেন:
হ্যাঁ আপু আমি খারাপ।
তবে আমি এই রকম সিক মেন্টালিটির মানুষদের থেকে অন্তত ভালো !

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: কে তোকে খারাপ বলছে, পাত্তা দিস না।

৩১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: এইসব বড় মানুষদের ব্যাপার।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৬

শিশু বিড়াল বলেছেন: আর তুই তো ছোট মানুষ তাইনা!! :)

৩২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

যোগী বলেছেন:

ওহ! আমি আপনার নিক দেখে ভেবেছিলাম আপনি 'ডা: নাজিয়া হক অনি' নামের অন্য কারো লেখা থেকে রেফারেন্স নিয়ে এই পোষ্ট দিয়েছেন।
তাই নিচে মূল লেখিকার নাম উল্লেখ করেছেন।

সাধারনত কেও ব্লগে আন্ডারকাভার নিকে থাকলে নিজের আসল নাম উল্লেখ করেনা।
এটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না, প্লিজ!

অ.ট. ডাক্তার মানুষ আপনি অনেক ব্যাস্ত থাকেন, তার পরে ছবিও আঁকেন। তার মানে মহাব্যাস্ত। আমরা সাধারনত এই ধরনের লেখায় কিছু স্ট্যাটিসটিক্যাল এভিডেন্স এক্সপেক্ট করি। তানাহলে, আপনি হয়তো কিছু সাধারন জনগনের কাছ থেকে হাততালি পাবেন, বাট কোন কিছু সার্টেইনলি প্রুফ করতে পারবেন না।
অনেক সময় দেখা যেতে পারে মানুষ আপনার পেশার দিকে তাকিয়ে আপনার অজান্তেই মিসগাইডেড হচ্ছে।

আমি দেখেছি কোন রিসার্চ পেপার সাবমিট করলে পর্যাপ্ত পরিমান এক্সপেরিমেন্টাল রেজাল্ট আর অন্য সকল রিসার্চের সাথে কম্পেরিটিভ স্টাডি রপোর্ট দেখাতে না পারলে রিভিউয়ারদের বোঝানোই যায় না যে আমার গবেষনা সঠিক।
রিভিউয়াররা তখন বার বার বলতে থাকে যে, আমি বুঝতেছি তোমার রিসার্চ সঠিক, কিন্তু প্রোয়জনীয় তথ্য উপাত্তের অভাবে সাধারন রিডাররা বিভ্রান্ত হবে। তাই আমরা তোমার গবেষনা পত্র পাবলিশ করতে পারছিনা।

কিছু মনে করবেন না, ব্লগের মত যায়গায় সিরিয়াস টাইপের কিছু বলে ফেললাম বলে। (আমার লেখাতেও অনেক মিসস্পেলিং হয়ত আছে)

আসলে আমরা সাধারন মানুষ আপনাদের মত ডাক্তারদের মুখের কথাতেই অনেক ভরসা করি, তাই সমাজের প্রতি আপনাদের রেসপনসিবিলিটিও কিন্তু বেশি।


আশা করবো আমার কথা কে অন্যভাবে নিবেন না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩১

শিশু বিড়াল বলেছেন: আমার কাছে যথেষ্ঠ পরিমান "এভিডেন্স" আছে। সময়ের অভাবে আমি এখানে দিতে পারিনি। তবে অবশ্যই দিব।

৩৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১২

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন অনি আপা। আসলে একটা শিশুর ব্যক্তিত্বের প্রায় ৯০ শতাংশই ক্রিয়েট হয় তার পরিবার থেকে। বাকি ১০ শতাংশ সে বাইরের জগতের সাথে মেশে গেদার করে। স্ট্যাটিসটিক্সটা অবাক লাগতে পারে। বাস্তবিকে এটাই সত্য। একটা শিশু বদরাগী, মিশুক, অমায়িক, মেধাবী সব কিছুই তার পরিবারের ফল।
বাইরের দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার পোস্টের গভীরতা বুঝা না গেলেও আদতে পোস্টটা প্রচুর ইনফরমেটিভ। এখনই সময় আমাদের সচেতন হওয়ার। পশ্চিমা কালচার আমাদের পুরোপুরি গ্রাস করার আগেই আমাদের সাবধান হতে হবে।
পোস্টের বক্তব্যের সাথে পুরপুরি সহমত।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪০

শিশু বিড়াল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আমার বক্তব্য কিছুটা হলেও বোঝার জন্য। আমি আসলেই অনেক কিছু বুঝিয়ে বলতে পারিনি। আরোও বিস্তারিত বলা উচিৎ ছিল।

৩৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৫

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: না না, ওভাবে নিবেন্না প্লিজ। আমি আপনাকে আঘাত করতেই ওই কথাগুলো বলিনি, যাস্ট্ আামার ভিউটা তুলে ধরেছি।

আপনার পোষ্টে, এবং পোষ্টে বক্তব্যে সম্পুর্ন সহমত । সহমত জানিয়েই আমার মতটা তুলে ধরেছি মাত্র। মনে করেন বিষয়টা নিয়ে কিছু আলোচনা হলো, জানাও হলো।

আশা করি স্বাভাবিক ভাবেই নেবেন।

হ্যাপি ব্লগিং :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

শিশু বিড়াল বলেছেন: না ভাইয়া আমি একটুও কিছু মনে করিনি :)
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ।

৩৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৮

বাবুই পািখ বলেছেন: +++....

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: এহহে আপু ভুল বুঝলেন !! আমি একটু জ্ঞানী বাণী দিয়া ভাব লইতে চাইসিলাম !!

আমি আসলে যারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায়, তাদের কথা বলছিলাম। খুব কাছ থেকে দেখা অভিজ্ঞতা আছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

শিশু বিড়াল বলেছেন: its ok ভাইয়া :)
সেই অভিজ্ঞতা আমারও আছে

৩৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০১

স্বাধীকার বলেছেন:
লেখক, আপনাকে ধন্যবাদ। যে বিষয়টি আলোচনা করেছেন-সেটি ব্লগেই সবচেয়ে ভাল ভাবে বলা ও আলোচনা করা যায়। যদিও আমি এখনো পিতা হয়নি, তবুও পরকীয়া করার লাইসেন্স আমার আছে বলে মনে করিনা।

বর্তমান সময়টি আমাদের কাছে এতটাই নিষ্ঠুর ভাবে এসেছে যে, আমরা আমাদের প্রিয় সন্তানকে পরকীয়ার প্রেমিক/প্রেমিকাকে দিয়ে হত্যা করতে দেখছি(বেশ কয়েকমাস আগে আদাবরের ঘটনাটি বিবেচ্য)। আমাদের স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ক্যাবলটিভি আর হাতে হাতে মোবাইল ফোন আমাদের মিথ্যার জগতে অধঃপতিত করছে। সকাল থেকে শুরু করে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমরা কেবল মিথ্যার ভিতর যাচ্ছি, কখনো কখনো ঘুমের ঘোরেও মিথ্যা বলছি! তাই বলে আমরা প্রযুক্তিকে বাদ দিতে পারবোনা কখনোই।

পরকীয়ার উপভোগ লাভের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা সন্তান বিধায় পরকীয়ার প্রথম ক্ষতিটা শিশুর উপর দিয়েই যায়। ইদানিং পরকীয়া আমাদের শহুরে সংস্কৃতিতে মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে-যাতে ভারতীয় সিরিয়াল গুলো্র মহা অবদান আছে বলে মনে করা হয়। কেবল পরকীয়া নয়, যুদ্ধ, ভূমিকম্প, ঝড়, বন্যা, দাঙ্গা-সব জঞ্জালেই প্রথম শিকার হয় শিশুরা। তারপর ক্ষতির শিকার হয় নারীরা। পিতামাতার অন্যায় বুঝে ফেলা সন্তান কোনদিনই তার পিতামাতার দিকে পবিত্র দৃষ্টিতে তাকাতে পারেনা, পারিবারিক স্নেহময় জীবনের জন্য শ্রদ্ধা/বিশ্বাস রাখতে পারেনা। পিতামাতার প্রতি সীমাহীন ঘৃণার বিষবৃক্ষকে নিজের ভিতর লালন করতে বাধ্য হয় জীবনভর। এরকম বিষবৃক্ষ নিয়ে বেড়ে উঠা সন্তান কোনোদিনই অপরাধপ্রবণ না হয়ে পারেনা।
স্নেহময়ী মানবিক পরিবেশে শিশুদের গড়ে তুলতে পিতামাতাকে কেবল পরকীয়া নয়, সকল ধরণে মিথ্যা, ছলনা, অসততা, নির্মমতা, ঘৃনা, প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ, লোভকে কখনোই সন্তানের নজরে আনা উচিত নয়, র্চচা করাও উচিত নয়। কিন্তু চোরেরা ধর্মের কাহিনী তেমন শুনেনা বলেই জানি।

শুভ কামনা, লিখতে থাকুন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

শিশু বিড়াল বলেছেন: পরকীয়ার লাইসেন্স তো কারওই নেই। তাহলে আর বিয়ে করার কি দরকার?

আপনার প্রতিও শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন :)

৩৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২২

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

এখন যেমন পরকিয়া বেড়ে গেছে তেমন বিবাহ পূর্ব যৌন মিলনের হারও বেড়ে গেছে। সমাজের অবক্ষয় চরম পর্যায়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

একজন সন্তানের নিকট পিতা মাতা সব চেয়ে বড় আদর্শ এবং সন্তানের কাছে পিতা-মাতা পৃথিবীর সব থেকে সৎ মানুষ। অথচ এসব যারা করে তারা একটুও ভাবেনা যে তারা তাদের সন্তানদের ঠকাচ্ছে-চরমভাবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

শিশু বিড়াল বলেছেন: সেটাই। মানুষ বুঝলেই হয়।

৩৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পরকীয়া করার মানে একটাই সামাজিক শৃঙ্খলতা। এটা আছে বলেই পরকীয়া হয়। সামাজিক শৃঙ্খলতা না থাকলে এটা হতো না। মন না চাইলে ডিভোর্স দিয়া ইচ্ছে মতো যার সাথে চাও চলে যাও। পাশ্চাত্যে তাই ডিভোর্স লীভ টুগেদার হচ্ছে। পোলাপান এর মধ্যেও মানুষ হচ্ছে। বড় বড় আবিষ্কারের খাতায় এদের নাম আছে।

অবাক লাগে আমরা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ নিয়া বড় বড় কথা কই অথচ চুরি বাটপারীতে সবার আগে আমরাই থাকি আর বড় বড় আবিস্কারে আমাদের কোনো নাম থাকে না।

তাই পরকীয়া হইলেই যে সমাজ গেলো সমাজ গেলো এর জুজু, এটা মনে হয় আমাদের অল্প বিদ্যা ভয়ন্করী বলেই এসব পোস্ট দেই!

মনে কিছু নেবেন না, এটা আমার ব্যাক্তিগত অভিমত

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

শিশু বিড়াল বলেছেন: ভাই আমি না হয় আমার অল্পবিদ্যা নিয়ে এই ধরনের পোস্ট দিলাম। আসলে ডাক্তারি পাস করতে গিয়ে বিদ্যা আর অর্জন হয়নি। কি আর করা। তবে আপনার যে অনেক বিদ্যা আর তা নিয়ে আপনি "বিশৃঙ্খলা" কে শৃঙ্খলা বলছেন সেটুক বুঝে গেছি।

পাশ্চাত্যের মানুষের মন মানসিকতা, পরিবেশ আমাদের দেশের মত না। ওরাও যে এই পরকীয়ার কারনে ভুক্তভোগী তা কি আপনি জানেন? এদের একদল নিজেরা সর্বশক্তি দিয়ে উঠে দাড়ায় আর আরেকটি দল ভেঙে পড়ে। তবে কষ্ট পায়না বাবা বা মা এর এমন কাজে তা ঠিক নয়।

৪০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কমেন্টে মনে হয় ভুল বুঝছেন। আমি আপনের অল্প বিদ্যার কথা বলি নাই। আমি আমার সমাজের অল্প বিদ্যার কথা বলেছি। আপনার কথাগুলো আসলে আপনার কথা না, এগুলো এ সমাজের কথা।

আপনি ডাক্তার মানুষ, আপনি সাধারনভাবে চিন্তা করেন।

দুজন মানুষ সিদ্ধান্ত নিলো এক সাথে থাকবে। তারা সামাজিক রীতিনিতী অনুসরন করে একসাথে থাকা শুরু করলো। কিন্তু একসময় তাদের মনো মালিন্য হলো এবং তারা মনে করলো তাদের আলাদা হয়ে যাওয়া উচিত।

উদার সমাজ ব্যাবস্হা হলে তাদের আলাদা হতে কোনো সমস্যা দেখি না। ইসলামেও এর বৈধতা আছে।

কিন্তু আমাদের দেশে কি হয়? বিয়ে করাটা অনেকটা মেয়ের জন্য ক্যারিয়ার অথবা বাবা মায়ের জন্য একটা বড় ইনভেস্ট।

এই আলোকে কয়েকটা পয়েন্ট:

১) সমাজের নিম্ববিত্তরা যারা দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছে তারা যে রীতিনীতি অনুসরন করছে ভাবতে অবাক হবেন তারা পাশ্চাত্যের চেয়েও খারাপ অবস্হা। যারা গ্রাম থেকে শহরে এসে রিক্সা চালায় বা ভিক্ষা করে তারা একবারে ঢাকায় আসে না। তারা প্রথমে ঐ জেলা সদরে আসে। ওখানে কিছু টাকা জমায়, লাইন ঘাট চেনে। যদি ওখানে ভালো কাজের লাইন পেয়ে যায় তাহলে গ্রামের বৌ বাচ্চার কথা ভুলে গিয়ে ওখানে আরেকটা বিয়ে করে। যদি লাইন ঘাট না পায়, তাহলে গার্মেন্টসের একটাকে বিয়ে করে কিছু দিন মৌজ মাস্তি করে ঢাকা বা চট্টগ্রাম চলে আসে। সেখানে বস্তিতে থেকে কি করে সেটা সবার জানা। ইউরোপে কেউ যদি একটা বৌ রেখে আরেকটা বিয়ে করে তাহলে তার ব্যাবস্হা সরকারই করে দেয়। বাংলাদেশে সরকার বাদ দেন, সমাজটাই দাড়ায় ঐ পুরুষের পক্ষে- এটা আমাদের বড় হিপোক্রেসি।

২) মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো উচ্চ বিত্তের স্বপ্নে থেকে আর্থিক টানাটানির মধ্যে শুধু একটা জিনিসই ধরে রেখে সেটা হলো রীতিনীতি আর ঐতিহ্য। এই ঠেলায় পড়ে মেয়ে যখন ৯-১০ এ উঠে তখনই বিয়ে দিয়ে দেয়। এতটুকু পুচকি মাইয়া বিয়ে করে যখন বুড়া জামাই এর সাথে ঘর করতে থাকে তখন সে লোকটা ভালো হলেতো ভালো যদি ভালো না হয় তাহলে মেয়েটার আর কিছু করার থাকে না। কারন শিক্ষাগত ভাবে সে পঙ্গু তার উপর সামাজিক বিধি নিষেধ একটা বড় ফ্যাক্টর। আমরা যত বড়ই কথা বলি না কেন একটা মেয়ের যদি একবার বিয়ে হয়ে যায় সেই মেয়ের আবারও একটা ভালো বিয়ে দিতে খবর হয়ে যায়। তার উপর যদি সে মেয়েটা গরীব থাকে তাহলে টাকা ছাড়া সেই মেয়ের বিয়ে বা বিয়ে হলেও শ্বশুড় বাড়ির কঠিন ডলা এবং ডলা গুলো দেয়া হবে কিন্তু ইসলামিক বানী আর সামাজিক বানী শুনেও।

কপাল ভালো ইসলামে ৪ বিয়ার বৈধতা দিলেও বাংলাদেশে এটার চল নেই। তারপরও দেখেন এখনকার ছেলে পেলেরা একটু উপরে উঠলে ঠিকই অল্প বয়সী গ্রামের মেয়ে বিয়ে করে আনে। তার উপর একটা ভাড়া করা ফ্লাট থাকে যেখানে তার একটা ফাকিং মেট রাখা হয়।

এসবই হচ্ছে বর্তমান হিপোক্রেট বাঙ্গালী সমাজের বিধি নিষেধ রেখেই আর আমরা যখন এই পরিকীয়ার ব্যাপারগুলো নিয়ে কথা বলি তখন মেয়েরা আচানক পুরুষের পক্ষেই কথা বলে (এটা সবাই করে, কোনো মেয়েই আসলে নিরপেক্ষ না কারন নিজের বেলায় নারীবাদী আর ভাইয়ের বৌ এর বেলায় ননদ আর শ্বাশুড়ি হয়ে যায় পুরুষবাদী - এর চেয়ে বড় হিপোক্রেসী উপ মহাদেশেই সবচেয়ে বেশী)।



যদি সামাজিক বিধিটা না থাকতো আর নারী পুরুষের সাম্যাবস্হার অধিকার এবং উন্নত শিক্ষাব্যাবস্হা যদি নিশ্চিত করা যেতো আর সুশাসন বজায় থাকলে সমাজে পরকিয়া কোনো ইস্যু হতো না। কিন্তু কুকুরের পেটে যেমন ঘি স হ্য হয় না তেমনি বাঙ্গালীর পেটে এসব স হ্য হয় না।

আমরা চাই ধর্মীয় মোড়কে পুরুষালী শাসনতন্ত্র আর মূলত এই শাসনতন্ত্রের শিক্ষা পাই পরিবার থেকেই!

ভালো থাকুন আর যদি কোনো ব্যাক্তিগত আক্রমন করে থাকি তাহলে দুঃখিত!

৪১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর বাবা মা কি করলো তা দেখে সন্তান অবশ্যই শিখবে কিন্তু ইউরোপে এতকিছুর পরও এখানকার মানুষগুলো সৎ সেটা কিভাবে জানেন? কারন এখানে বাবা মা কোনো সন্তানের সামনে মিথ্যা কথা বলে না এবং তাদের গায়ে হাত তোলে না। এখন কারো মা হাজার পুরুষের সাথে শুয়ে বেড়াক বা ব্যাভিচারী হোক তাতে ঐ সন্তানের উন্নত মানসিকতার উপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। এটা ঠিক তারা অবৈধ যৌনাচার করে কিন্তু আপনি এসব দেশে কোনো দুর্নীতি পাবেন না, মিথ্যা কথা বলা শিখে নেই, জন্মগত ভাবে অহিংস (শুক্রবার শনিবার রাতে মাতলামীর ব্যাপারটাও যা করে তা বাংলাদেশের নিত্য স হিংসতার হিসাবে ২%, আমি হাসি যে এরা এসবকে বলে স হিংসতা আর আমাদের দেশে এসব আমরা ফান করেই করি, পুলিশের কোনো পিস্তল বা কোনো লাঠি নেই এখানে)।

এসব দেশে থাকলে বুঝবেন আসলে আমরা আমাদের দেশের সমাজ ব্যাবস্হা নিয়ে যা চিন্তা করি তা কতটা ভুল!

ভালো থাকুন আর লিখে যান পুচকি বিলাই

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

শিশু বিড়াল বলেছেন: এবার বুঝেছি। সহমত। আপনিও ভাল থাকবেন :)

৪২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

মিতক্ষরা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। পরকীয়ার এত কুফল যে চিন্তাও করা যায় না। সবচেয়ে বড় কুফল হল সন্তানেরা মানসিক ভাবে অসুখী হয়ে বড় হয়। এই পশ্চিমে টেড বান্ডিরা এইসব কারনে সিরিয়াল কিলারে পরিনত হয়েছে। এছাড়া পরকীয়া জনিত খুন তো খুবই কমন। বাংলাদেশে যেমন এরকম খুন খুবই সাধারন, পশ্চিমেও খুব সাধারন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

শিশু বিড়াল বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আমি মন্তব্য না পড়ে মন্তব্য করি। এতে অন্যরা কি বললো তার থেকে নিজের বক্তব্য স্বকীয়তা থাকে।

একদিন মেডিসিন এর দোকানে বসে আছি। ডাক্তার আমার বন্ধু মানুষ। তবে তিনি মেডিসিন এর উপর ডিপ্লোমা জাতীয় করেছেন, ডিস্পেন্সারি চালানোর জন্য। যা হোক। এই ভদ্র মহিলা এলেন। তিনি একটা ঠান্ডার সিরাপ চাচ্ছেন। স্কয়ারের (ওরাডিন সম্ভবতঃ)। ডাক্তার জিজ্ঞাস করলেন কিসের জন্য? বাচ্চা ঘুমায় না, এই জন্য।

আমি আশ্চর্য হলাম। যাই হোক, ডাক্তার ঔষধ বিক্রি করেন নাই। পরে জানালেন, এই মহিলার স্বামী থাকনে বিদেশে। ছেলেকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকেন। শ্বশুর শাশুড়ির সাথে থাকেন না। তাই যা হওয়ার তাই!

আপনি ঠিকই বলেছেন। এখনকার ছেলে মেয়েরা অনেক কিছুই বোঝে। তবে বংশগতি বলে একটা বিষয় আছে। বাবা মা যা করেন, ছেলে মেয়েরা তাই করে। তাই, উদাসীন নয়। সচেতন হতে হবে। কিন্তু কাকে সচেতন হওয়ার কথা বলি বলেন তো! মানুষের মন বড় বিচিত্র! শিক্ষিত মানুষ পরকীয়া করে বেশি।

আচ্ছা আপনাদের ডাক্তারি পড়ার সময় ইথিকস কোনো বিষয় ছিলো? আমার মনে হয়, ইথিকস নামে একটা বিষয় থাকা উচিত। না, ছোটদের জন্য নয়, এটা হবে ডিগ্রী লেবেলে। যে যে বিষয়ই পড়ুক না কেন, তাদের সেই বিষয় সম্পর্কিত ইথিকস থাকা উচিত। পড়ানো উচিত। অন্ততঃ আমাদের জন্য। সমাজের প্রতি স্তরের মানুষের মধ্যেই এই ইথিকসের এতো অভাব আমাকে ব্যথিত করে।

বিষয় যাই হোক, লেখাটা ভালো হয়েছে। ভালো থাকুন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

শিশু বিড়াল বলেছেন: এটা সত্যি কথা ভাইয়া এথিকস জিনিসটার সর্বত্রই আজ বড় অভাব। তবে একটা কথা কি, এথিকস যদি কোন মানুষের নিজের মধ্যে নিজে থেকে জাগ্রত নাহয় , তাহলে আপনি তাকে এথিকস পানি দিয়ে গুলায় খাওয়ালেও এথিকস বুঝবেনা। তারপরও আপনার কথার সাথে আমি সহমত।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে :) ভাল থাকবেন

৪৪| ০২ রা মে, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: বলার কিছুই নাই :| । পরকীয়ার পরিনতিতে পুরো সংসার ছন্নছাড়া হয়ে যায় :( :(

০২ রা মে, ২০১৩ ভোর ৫:০৯

শিশু বিড়াল বলেছেন: তা তো হয়ই। অনেকদিন পরে দেখলাম তোমাকে। কোথায় ডুব দিয়ে ছিলে??

৪৫| ০২ রা মে, ২০১৩ ভোর ৬:২৩

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: পরীক্ষা ছিল :(( :(( :(( । তাই ডুব মেরেছিলাম :(

৪৬| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: শিশুরা সবই বোঝে আর আজকালকার শিশুরা তো প্রযুক্তিই বলুন আর যাই বলুন সবকিছুই আরো আগে আগে বোঝে কাজেই এমন একটা ব্যাপার তার বোধগম্য হবেনা এই ভুল ধারনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
.
ফেইসবুকে তো সবাই আমারে পিচ্ছি বাবু শিশু বলে। কিন্তু আমি তো প্রজুক্তির কিছুই জানি না আপু।

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৮

শিশু বিড়াল বলেছেন: তুমি প্রযুক্তির কিছুই জাননা তাইনা??? তাহলে আমিও ডাক্তারির কিছুই জানিনা :)

৪৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৫

তাহাজ্জত তুহিন বলেছেন: শিশুরা তাদের বাবা মা কে আদর্শ মনে করে.... এই সত্য কথাটা আমার মনে হয় অনেকেই ভুলে যাই ।যার দরুন আমার এই ছোট্ট শিশু যখন বড় হয়ে আমাকে কষ্ট দেয় অথবা বাবা মা কে সম্মান করে না তখন আমরা তার দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকাই অথচ আজকের তার এই আচারন সে হঠাৎ করে করে নাই । অনেক দিন ধরে তার এই আচারন তৈরি হয়েছে যার বহিঃর প্রকাশ হল মাত্র ।

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

শিশু বিড়াল বলেছেন: খাঁটি কথা বলেছেন ভাই। একমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.