নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীন দেশের স্বাধীন এক নাগরিক। পেশায় ডাক্তার হলেও নেশা ছবি আঁকা। সবই সখের বশে। ভালবাসি দেশ ও দেশ এর মানুষ।
১ ডা. শেজাদী আপসা চিকিত্সক হয়েও চিকিত্সাকে পেশা হিসেবে নিতে পারেননি। স্বামীর নিষেধ ছিল। তাই ঘর-সংসার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি।
(এটা তার একটা বিশাল ভুল ছিল)
২ পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত সেনা কর্মকর্তা স্বামীর পথের কাঁটা ছিল ডা. শেজাদী। এ কারণে প্রায়ই তার উপর চলতো নির্যাতন। প্রেমের বিয়ে, আছে ১০ বছরের একটি ছেলে, তাই স্বামীর সব নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করতেন তিনি।
(এটা আরও বড় ভুল ছিল)
৩ নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় একবার শেজাদী চলে যান বাবার বাড়ি। দুই পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে আর কখনো নির্যাতন করা হবে না স্বামীর এ আশ্বাসের পর এ মাসের ৭ তারিখে শেজাদী আবার স্বামীর কাছে ফিরেন। এতো কিছুর পরেও পারলেন না তিনি। তুচ্ছ একটি বিষয়ে ঝগড়ার পর স্বামী লে. কর্নেল শফিকুল ইসলামের পিটুনিতে গত ১৩ মে মারা যান শেজাদী।
(এবং এই ভুলের কারনে তার নিজের জীবন দিয়ে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হল)
আমার কিছু প্রশ্ন,
আমাদের দেশের মেয়েরা এবং মেয়েদের বাবা মায়েরা এটা কবে বুঝবে যে তাদের মেয়ের স্বামী একবার হাত তুলতে পেরেছে মানে আবার পারবে, বারবার পারবে এবং এর ব্যতিক্রম কখনই হবেনা???
কবে মেয়েরা নিজের জীবনের চেয়ে সামাজিক সম্মান কে এত বড় করে দেখা বন্ধ করবে যে নিজের জীবন দিয়েই সেই সম্মান রক্ষা করতে হবে এই ধারনার বাইরে বের হতে পারবে না?????
একজন ডাক্তার হবার পরেও যদি এভাবে মরতে হয় তবে আমার নিজের প্রতি, নিজের জাতের প্রতি বড় করুনা হয়। লজ্জা হয় নিজেদের দুরবস্থা দেখে। কবে আমরা বুঝব? কবে আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙবে? নাকি বাঁধ রক্ষা করার জন্যে দরকার হলে মরে যাব কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ কোনদিনই করব না এভাবেই চলতে থাকবে??
আল্লাহপাক ডাঃ শেজাদি কে বেহেস্ত নসিব করুন। তবে তিনি এতটাও অসহায় ছিলেন না যে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারেননি। আর কোন বোন কে যেন এভাবে মরতে না হয়।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর ভাষায় আবারো বলি " জাগো গো ভগিনী"
নিজের আত্মসম্মান অপেক্ষা কোনকিছুই বড় নয়, হতে পারেনা, তাই নিজের আত্মসম্মান বিকিয়ে দিয়ে বেঁচে থাকার কোন মানে নেই।
কবে এই প্রশ্নের উত্তর পাব, জানিনা।
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
শিশু বিড়াল বলেছেন: এটা মিডিয়াতে আসবে কিভাবে, খুন যে করেছে তাকে বাঁচানো লাগবেনা???? এত ক্ষমতা আর টাকা থাকার পরে ১/২তা খুন তো করাই যায়।
২| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ডাক্তার হয়েও বেকার থাকাটা সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
শিশু বিড়াল বলেছেন: সেটা তো অবশ্যয়ই!! নিজের কষ্টের মুল্য যে নিজে দেয়না সে অন্যায়ের স্বীকার হবে এটাই স্বাভাবিক।
৩| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৯
মিতক্ষরা বলেছেন: পুরো বিষয়টি যে কি পরিমান হৃদয়বিদারক তা বলার বাইরে। শেজাদী নিজেই নিজের বোকামীর প্রায়শ্চিত্ত করেছেন। একের পর এক তিনি সহৃদয়তা দেখিয়েছেন এক অযোগ্য পাষন্ড স্বামীর প্রতি, যার প্রতিদান তিনি এভাবে পেলেন।
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
শিশু বিড়াল বলেছেন: আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি
৪| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০৯
ইসপাত কঠিন বলেছেন: আমরা ততটুকুই জানতে পারছি মিডিয়া যতটুকু আমাদের জানাচ্ছে। কিন্তু মিডিয়া হয়তো আরো কিছু জানে যা আমাদেরকে জানাচ্ছে না। সেটা জানতে পারলে আমরা অন্য রকম মন্তব্য করতাম।
মৃতদেহের তাপমাত্রা দেখে মৃত্যুর সময় নির্ধারন করা হয়। অভিযোগ এসেছে, তাঁর স্বামী তাঁকে পিটিয়ে মেরেছেন। কিন্তু মৃত্যুর সময়ে তাঁর স্বামী ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানতে পেরেছি। তাহলে কি আর কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন? সেটা জানি না।
ডাঃ শেজাদী মানসিক রোগের চিকিৎসা নিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে পূরনো প্রেস্ক্রিপশন ও পাওয়া গেছে বলে জানতে পেরেছি। এর সাথে কি এই অপমৃত্যুর কোন সম্পর্ক আছে? জানা দরকার।
উনি যদি আত্মহত্যাও করেন, তবুও উনার স্বামী দায় এড়াতে পারবেন না। এটা আমার ব্যাক্তিগত বক্তব্য। কেননা, উনি যদি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকতেন, তাহলে তাঁর স্বামীর উচিৎ ছিলো স্ত্রীর প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া।
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
শিশু বিড়াল বলেছেন: দেখা যাক কি হয়, তবে কিছু ব্যাপার আছে যা মাথা খাটিয়ে বুঝতে হয়। একজন ডাক্তার স্বামী বলল তাই সে ডাক্তারি বন্ধ করে বাসায় বসে রইল, তার দৌড় কতটুক হতে পারে সেটা বুঝতে খুব বুদ্ধিমান হওয়া লাগেনা। এখন এক দল মানুষ ডাঃ শেজাদি কে খারাপ করার চেষ্টা করবে আমি ধরেই রেখেছি। নাহলে ওনার স্বামী কে রক্ষা করবে কিভাবে।
৫| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
নারীদের নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। আজকে যখন নারী অধিকার বা নারীদের অন্যায়ের প্রতিবাদের কারনে মানুষ রাস্তায় নামছে সেখানে নারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ে খুবই সামান্য। শিকল ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে হবে নয়ত নারীমুক্তি আশা করা বৃথা।
প্রতিবাদী হও তুমি হে নারী।
প্রতিবাদী হও তুমি হে বোন।
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০২
শিশু বিড়াল বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি ভাইয়া আপনার সাথে।
৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিনুর রহমান বলেছেন:
নারীদের নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। আজকে যখন নারী অধিকার বা নারীদের অন্যায়ের প্রতিবাদের কারনে মানুষ রাস্তায় নামছে সেখানে নারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ে খুবই সামান্য। শিকল ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে হবে নয়ত নারীমুক্তি আশা করা বৃথা।
প্রতিবাদী হও তুমি হে নারী।
প্রতিবাদী হও তুমি হে বোন।
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
শিশু বিড়াল বলেছেন: ইভান ভাইয়া কপি পেস্ট মারেন কেন????
৭| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০২
নাইট রিডার বলেছেন: উপরে একজন দেখলাম ডাঃ শেজাদি মানসিক রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন বলে খবর দিলেন, তিনি সম্ভবত ডাঃ শেজাদী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বুঝিয়েছেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে- স্বামীর পরকীয়া, দিনের পর দিন শারীরিক আর মানসিক অত্যাচারের পর কেউ যদি বিষন্নতায় ভোগে বা তা থেকে আত্মহত্যাও করেন তাহলে কি তাকে আত্মহত্যা বলে নাকি হত্যা বলে। এ হত্যার দায় ওই পাষন্ড স্বামী কি করে এড়াবে?
২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
শিশু বিড়াল বলেছেন: খুব ভাল কথা বলেছেন। যদি এটা আত্মহত্যাও হয়ে থাকে তাও ঐ স্বামীর বিচার হওয়া উচিৎ।
৮| ২৬ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
৯| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
ইসপাত কঠিন বলেছেন: লেখক এবং নাইট রিডার @ আপনারা আমার পূর্বের মন্তব্য (পোস্টের ৮ নং মন্তব্য) আবার ঠান্ডা মাথায় পড়ুন।
২ নং স্তবকে আমি বলতে চেয়েছি যে এটা যদি হত্যাকান্ড হয়ে থাকে তাহলে তাঁর স্বামী প্রত্যক্ষভাবে হত্যাকান্ডে অংশ নেন নাই।
৩ নং স্তবকের মাধ্যমে বলতে চেয়েছি যে উনি মানসিক রোগের কারনে আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন।
সর্বশেষ স্তবকের প্রথম বাক্যে আমি বলেছি যে এটা আত্মহত্যার ঘটনা হলেও স্বামী দায় এড়াতে পারেন না। নাইট রিডার, আপনি আপনার মন্তব্যে যা বলেছেন, আমিও ঠিক তাই বলেছি। লেখক, আপনি নাইট রিডারের বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করলেন কিন্তু আমারে তো ৫৭৫ পঁচা সাবান দিয়ে হালকা ধুয়ে দিলেন। যাই হোক, এই স্বামী লোকটির প্রতি আমি কিছু প্রাসংগিক কারনে যমের অরুচি টাইপের ঘৃণা বোধ করছি।
১০| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: ইসপাত কঠিন ভাইয়ের সাথে কিছুটা একমত। এমন মৃত্যু অনেকটা কাছ থেকে দেখেছি আমি। আমাদের পাশের প্রতিবেশীকে মারধর করত তার স্বামী। তাই তিনি সবসময় ঘুমের ট্যবলেট খেতেন। একটু বেশি খেতেন। কিন্তু যখন তিনি মারা যান সেটা ছিল ঈদের দিন তবে তখন তার স্বামী বাসায় ছিল না।
ডাঃ শেজাদি টাইপের মহিলারা অথাৎ অত্যাচারিত মহিলারা একটু মানষিক বিষন্নতায় ভূগেন।
০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ২:৫০
শিশু বিড়াল বলেছেন: হ্যাঁ সেটা আমিও মানি তবে সে নিজে যেহেতু একজন ডাক্তার এবং তার একটা সন্তান ছিল তাই নিজের ও নিজের সন্তানের প্রতি এমন দায়িত্বহীন হওয়া তার মানায় না। তার মৃত্যু তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি তার সন্তানেরই হয়েছে, আর কারো না, এটা আশা করি মানো।
১১| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:১১
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: শেজাদির স্বামীর বিচার হওয়া উচিৎ।
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৭
শিশু বিড়াল বলেছেন: তা তো উচিৎই কিন্তু কচুটা আর কুমড়া টা হবে
১২| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:২৭
নতুন বলেছেন: একজন ডাক্তার হবার পরেও যদি এভাবে মরতে হয় তবে আমার নিজের প্রতি, নিজের জাতের প্রতি বড় করুনা হয়। লজ্জা হয় নিজেদের দুরবস্থা দেখে। কবে আমরা বুঝব?
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৭
শিশু বিড়াল বলেছেন: একমত
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
একাকী বালক বলেছেন: উমমম। খুবই দু:খজনক ঘটনা। এইটাতো তাও মিডিয়াতে আসছে। মিডিয়ার বাইরে যে আরও কত খবর থেকে যায়।