নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা ভাবি, যা দেখি, যা বিশ্বাস করি

আমি খুব সাধারন একটা মানুষ। সাধারন হয়েই থাকতে চাই

শিশু বিড়াল

স্বাধীন দেশের স্বাধীন এক নাগরিক। পেশায় ডাক্তার হলেও নেশা ছবি আঁকা। সবই সখের বশে। ভালবাসি দেশ ও দেশ এর মানুষ।

শিশু বিড়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মেয়েরা পর্দা রক্ষা করে না বলেই ধর্ষণের হার বাড়ছে" - আসলেই কি??

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

"মেয়েরা পর্দা রক্ষা করে না বলেই ধর্ষণের হার বাড়ছে" - এই ধারনা বিশেষ করে যে পুরুষেরা এই ধারনা পোষণ করে তাদের উদ্দ্যেশ্যে বলছি।



এরকম একটা কথা বলার বা ভাবার আগে আপনারা গোটা পুরুষজাতিকে তথা নিজেদের কতটা অপমান করছেন তা কি জানেন? আমি নারীবাদী নই, ইতিমধ্যে আমি মেয়েদের সঠিক পোশাক নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছি তা সবাই জানেন। এবং তার জন্য আমি বেশ সমর্থনও পেয়েছি। কিন্তু এই সমর্থনের এক অংশে আমার কিছু ভাইয়েরা যখন এই দোহাই দেয় যে মেয়েরা খোলামেলা পোশাক পরে বলেই ছেলেরা ধর্ষণ করে তখন আমার বড় দুঃখ হয়। আমি সবসময় চেষ্টা করি ভদ্র ভাষায় কথা বলতে তবে আজকে যা বলব তা ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করবে বলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।



ধর্ষণ চিরকালই একটা অপরাধ। কোন মেয়ে যদি আপনার গায়ে পড়ে, ঘাড়ে চড়ে বলে তাকে ধর্ষণ করতে তাহলে আলাদা কথা। পতিতা না হলে সেই পরিস্থিতি হবে বলে মনে হয়না। কিন্তু তার পোশাক আশাকে আপনি উত্তেজিত হয়ে তাকে গায়ের জোরে ধর্ষণ করে আপনার পুরুষত্ব দেখাবেন আর বলবেন, "সে তো ন্যাংটা হয়েছে মানে সে চেয়েছে" এটা একেবারেই ফালতু কথা, যুক্তিহীন, ভিত্তিহিন প্রলাপ!! ন্যাংটা হয়ে চাইলেই আপনার দিতে হবে?? কেন?? আপনার নিজের আত্মসম্মান বলে কিছু নেই?? নাকি নিজের পুরুষাঙ্গের জোর এতই বেশি যে নিজের মাথাও আর কাজ করে না??? তবে তো আপনার বোন, মা এবং আপনার কন্যা, এরাও আপনার সামনে নিরাপদ না, নারিদেহ তো নারীদেহই খুব একটা আলাদা তো না। কাজেই নগ্নতার সামনে আসলেই যদি উত্তেজনার ধাক্কায় আপনার কাছে ধর্ষণ করা ১০০% জায়েজ মনে হয়, নিজের মা কে দিয়ে আগে শুরু করুন। কারন জন্মের পরে তার নগ্নতাই তো সবার আগে আপনি দেখেছেন তাইনা?



একটা মেয়ে বেপর্দা হোক, স্বল্পবসনা হোক তাকে কোন অবস্থায় কোন পরিস্থিতিতে ধর্ষণ করার অধিকার কারো নেই। আবারও বলি "কোন অবস্থায়, কোন পরিস্থিতিতে।" সে নগ্ন হয়ে চললে তাকে পাগলা গারদে রেখে আসুন, ধর্ষণ করবেন কেন????



মেয়েদের পর্দা মেয়েদের কাছে, ছেলেদের পর্দা ছেলেদের কাছে। মেয়েদের যেমন নিজেদের ভোগ্যপণ্যের মত প্রদর্শন করা উচিৎ না, ছেলেদেরও সেখানে নিজের উপর আত্মনিয়ন্ত্রন রাখা উচিৎ। নাহলে ঐ মেয়েদের সাথে ঐ ছেলেদের কোন পার্থক্য নেই। দুইজনই বুদ্ধিবিবেকহীন প্রাণী ছাড়া অন্য কিছু না। সুস্থ স্বাভাবিক সমাজে এদের স্থান না হওয়াই মঙ্গল। মেয়েরা পর্দা করুক কি না করুক ছেলেদের তাকিয়ে থাকাই যেখানে জায়েজ না সেখানে অন্য কিছুর চিন্তা করার তো প্রশ্নই আসে না, ধর্ষণ তো অনেক পরের কথা!!!! আর আমাদের সমাজে ধর্ষিতার দোষ দেখে সবার আগে। দেখতে পারেন, তবে আল্লাহর বিচারে অপরাধ ধর্ষকেরই চিরকাল থাকবে। যতই ধর্ষিতার পোশাকের দোহাই দেন, লাভ হবে না।



আমার যা মনে হয় তা হল আল্লাহ এদের মাথায় মগজের বদলে আরেকটা পুরুষাঙ্গ দিয়েছে এবং ঐ পুরুষাঙ্গই তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রন করে। মগজ বলে কোনদিন ওখানে কিছু নেই, কোন এক কালে থেকে থাকলেও পরবর্তীতে তারা তা পার্থিব পাশবিক আনন্দের প্রলোভনে নিজেরাই ধ্বংস করেছে। ধর্ষণের স্বপক্ষে যারা এসব খোঁড়া যুক্তি দেয় তাদের চেয়ে কাপুরুষ আর কেউ নেই। তাও বা বলি কীভাবে?? এরা তো পা থেকে মাথা পর্যন্ত বিশাল আকারের একটি "পুরুষাঙ্গ"!! এদের কি কাপুরুষ বলা মানায়??? এই মস্তিস্ক বিবর্জিত পুরুষ নামক পুরুষাঙ্গ থেকে মুত্র আর বীর্য ছাড়া অন্য কোন কিছু নিঃসৃত হয়না। না বিবেক, না আত্মসম্মান, না বুদ্ধি। ছয় ইঞ্চি আকারের একটা অঙ্গের জন্য নিজের মানবিক বিচারবুদ্ধি, আত্মসম্মান, বিবেক সব জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের সুপুরুষ দাবী করেন এরা। করুণা হয় আমার এদের প্রতি। কবে তোমাদের চেতনা আসবে?? যদি আসলেই মস্তিস্ক থেকে থাকে, সেটার ব্যাবহার করতে শিখুন। উত্তেজক রসের অজুহাত দিবেন না, কারন যতই রস পড়ুক আপনি কি করবেন তা সম্পূর্ণ আপনার নিয়ন্ত্রনে। আপনার কর্ম পুরোটাই আপনার নিজের সিদ্ধান্তে। কেউ আপনার সামনে নগ্ন হলেই আপনিও তার উপর ঝাপিয়ে পড়বেন এই যদি আপনার যুক্তি হয় তবে হয় নিজের দৃষ্টি নিয়ন্ত্রন করুন রাখুন (যা আপনার অবশ্য করনীয়) আর তা সম্ভব না হলে মানসিক রোগের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হোন। উল্টাপাল্টা খোঁড়া যুক্তি দিয়ে পুরো পুরুষ জাতিকে অপমান করবেন না।



আমি চরম চরিত্রহীন পুরুষ যেমন দেখেছি, যারা রাত্রে পর্ণ ছবি দেখে আর দিনের বেলা কন্যার বয়সী মেয়েদের সাথে সুযোগ নেবার চেষ্টা করে, আবার আমি এমন পুরুষও দেখেছি যাদের সামনে কেন, গায়ের উপরে সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী নারীও চেপে বসলে তারা ছুঁয়ে দেখবে না। উত্তেজনা হবে, পুরুষাঙ্গের বৃদ্ধিও হবে কিন্তু কামলীলায় লিপ্ত হবে না কারন তাদের মস্তিস্ক বলে একটা বস্তু আছে যা জানে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। কেউ ন্যাংটা হলেই তাকে আমার ধরতে হবে, খেয়ে ফেলতে হবে আঁচড়ে কামড়ে এই রকম অসুস্থ মানসিকতা যাদের আছে তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন।



কাজেই নারী ও পুরুষ উভয়কেই বলি আপনার মাথায় মস্তিস্ক বলে একটা জিনিস আছে। সেখানে বিবেক ও আত্ম মর্যাদা ও আত্মসম্মান বলে কিছু বিষয় আছে, সেটা ব্যাবহার করুন। মনে রাখবেন আপনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। আপাদমস্তক একটা যৌনাঙ্গ হয়ে থাকার জন্য আপনার জন্ম নয়। আমি মেয়েদের ব্যাপারে যেমন বলেছি আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা দরকার, তেমনি পুরুষদেরও বলছি, নিজেকে আর নিচে নামাবেন না। নিজেকে একটা ভোগ্যবস্তু হিসাবে যেসব নারীরা চিন্তা করে ও যেসব পুরুষ সুযোগ পেলে ভোগ করাকেই নিজের পৌরুষের সার্থকতা মনে করে তাদের মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া খুবই প্রয়োজন। তা নাহলে মেয়েরাও পথে ঘাটে ছেলেদের ধর্ষণ করে বলবে, ঐ ছেলেটি এত কামোদ্দিপক ছিল, আমি সামলাতে পারিনি। কাজেই সবাই সময় থাকতে ভাল হন।



অনেক কঠিন কথা বললাম। আমার যুক্তিতে কেউ ভুল খুজে পেলে অবশ্যই বলবেন, কিন্তু অযথা অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করবেন না। আর করলে অপমান হবার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই করবেন।



সবাই ভাল থাকুন।



-ডাঃ নাজিয়া হক অনি

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

রাধাচূড়া ফুল বলেছেন: খুব ভালো লাগল পড়ে! :)

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: *সে নগ্ন হয়ে চললে তাকে পাগলা গারদে রেখে আসুন, ধর্ষণ করবেন কেন????

*নগ্নতার সামনে আসলেই যদি উত্তেজনার ধাক্কায় আপনার কাছে ধর্ষণ করা ১০০% জায়েজ মনে হয়, নিজের মা কে দিয়ে আগে শুরু করুন। কারন জন্মের পরে তার নগ্নতাই তো সবার আগে আপনি দেখেছেন তাইনা?

কথাগুলো খুব উদ্ভট লাগলো, আপনার মানসিক সুস্থতা কামনা করছি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

শিশু বিড়াল বলেছেন: সাধারণত যুক্তিসঙ্গত কোন কথা যখন কেউ অস্বীকার করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়, সেটাকে উদ্ভট মনে হয়।

তবে আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২১

মেলবোর্ন বলেছেন: ডাঃ নাজিয়া হক ধন্যবাদ এমন বিষয়ে পোস্ট করার জন্য:

নারীর রোম দেখলো পুরুষ- গুনাহ হোলো নারীর, পুরুষের লোলুপ চোখ নারীদেহের বিভিন্ন জায়গায় বিচরণ করলো-পাপ হোলো নারীর এর জন্য দেখুন:

"হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয় ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্যে অনেক পবিত্রতা আছে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন।"-সুরা নূর এর আয়াত-২৭-২৮

সুরা নং ২৪ সূরা আন-নূর আয়াত নং ৩০ ই যথেস্ট:"মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।"

আর নারীদের জন্য আর হিজাবের সীমার ব্যাপারে বলা হয়েছে আয়াত-৩১ এ এইভাবে,

"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।"

এখন দেখান হিজাব বলতে কোন জায়গায় বলা আছে নারীকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকতে হবে বা কোথায় বাহিরে যাবার জন্য বা কাজ করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে আরো দেখেন

'' হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রী-গণকে, কন্যগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রী-গণকে বলুন, তারা যেনো চাদরের কিয়দংশ দিয়ে তাদেরকে ঢেকে রাখে; যেন তাদের চেনা সহজ হয়।'' -আল কোরআন। সুরা-৩১, আয়াত-৫৯।

বর্তমানে যে শুধুমাত্র সমস্ত মুখ ঢেকে বোরকা বা হিজাব পড়ে,তা কোরআনের ঐ আয়াতের সাথে কতোটুকু সামজস্য/মিল বিদ্যমান?

যারা নারীর পোশাকের দোষ দেয় তাদের জন্য কোরআনে আগে ছেলেদের কে সাবধান হতে বলা হয়েছে তার পর নারীদের পর্দার আয়াত সো আগে ছেলেদের দৃষ্টি নত রাখতে শিখান পরে মেয়েরা খালি গায়ে ঘুরলেও কেহ ধর্ষন করবেনা যদি সে প্রকৃত মুমিন হয়। কারন সে জানে -নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

নারী নিয়ে আমার পুর্বের একটি পোস্ট আশাকরি ভালো লাগবে :

নারী ও ইসলাম- আসুন দেখি সত্যের চোখে
Click This Link

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

শিশু বিড়াল বলেছেন: আগে ছেলেদের দৃষ্টি নত রাখতে শিখান পরে মেয়েরা খালি গায়ে ঘুরলেও কেহ ধর্ষন করবেনা যদি সে প্রকৃত মুমিন হয়। কারন সে জানে -নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন

একমত :)

খুব ভাল ব্যাখ্যা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

সামু মামু বলেছেন: সহমত ।
ভালো লেখা ।
চালিয়ে যান

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

কল্প কন্যা বলেছেন: সে নগ্ন হয়ে চললে তাকে পাগলা গারদে রেখে আসুন, ধর্ষণ করবেন কেন??? ++

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

সুখী বাঙ্গালী বলেছেন: ওদের সাড়ে তিন হাত দেহটাই একটা পুরুষাঙ্গ। সেখানে চিন্তা চেতনা বিবেক বলতে কিছু থাকতে নেই।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

দূলভ বলেছেন: তা নাহলে মেয়েরাও পথে ঘাটে ছেলেদের ধর্ষণ করে বলবে, ঐ ছেলেটি এত কামোদ্দিপক ছিল, আমি সামলাতে পারিনি। কাজেই সবাই সময় থাকতে ভাল হন।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

নাওেয়দ বলেছেন: হাহাহাহা!

যুক্তি দিয়ে লাভ নাই কারন তাতে শুধু বিভেদ সৃষ্টি হবে। আমার যুক্তি আমার কাছেই থাক।

তবে, বলছিলাম কি দিদি, বুঝলেন তো, আজকাল আবার আরেকটি লিঙ্গ ক্রমশই বেড়ে উঠছে। 'গে' গোত্রের কিছু লোকের কাছে এই লেখাটি খুব প্রশংসা পাবে মনে হচ্ছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

শিশু বিড়াল বলেছেন: আপনার যুক্তি শুনতে আমি আগ্রহী। "গে" গোত্রের ছেলেরা এটা পছন্দ করবে বলে কি বোঝাতে চাচ্ছেন??

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

শহিদুল বলেছেন: ভালো লাগছে পোষ্ট
শুনতে খারাপ লাগলেও যে সব অসুস্থ গুলা বেপর্দা নারীদের ধর্ষণ করা জায়েজ মনে করে তাদের কে এর চেয়ে ভালো ভাবে আর কি বলবেন

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

মাইন রানা বলেছেন: ধর্ষন একটি ভয়ংকর অপরাধ। যারা এই ধর্ষন করে তারা কোন ভদ্র বা মানবীয় গুণাবলীর অধিকারী হতে পারেনা। অথচ আপনি যাদের উদ্দেশ্য করে লিখছেন মনে হচ্ছে সব পুরুষরাই ধর্ষক!!!!

এই ধর্ষনের মতো অপরাধ আগেও ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। কিছু কুলাঙ্গার চিরকালই থাকে। তবে এর মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়।

ধর্ষন বৃদ্ধি কেন পায় কখন পায় এসব নিয়ে নানান গবেষণা হয়েছে, হচ্ছে হবেও। যখন একজন ধর্ষক ভাবে এই ধর্ষণ করলে তাঁর কোন সাজা হবে না তখন সে এটা করতে উৎসাহ বেশী পায়। একজন ধর্ষণ করে পাড় পেয়ে গেলে অন্যরা এটা করতে দ্ধিধাবোধ করবেনা। সংঘর্ষ চলাকালীন বা যুদ্ধে ধর্ষন বেশী ঘটে কারণ সেসবের বিচারের মুখোমুখি করা দুরহ।

কিছু নব্য ধর্ষক সমাজ তৈরি করে তা হল আশ্লীলতা, বেহায়াপনা, মাদক, অস্থিরতা, হতাশাগ্রস্থ ইত্যাদি।
একটি ধর্ষন ঘটনার পিছনে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাও কম দায়ী নয়। একটি মেয়ের উগ্র চলাফেরা হয়ত তার আপন ভাইকেও ধর্ষক বানায় যা সে অন্য মেয়ের উপর চালায়।
ছেলে মেয়ে নয় সবাইকে একসঙ্গে মোকাবেলা করতে এই অপরাধ রুখতে। পরিবারকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে তাঁদের ছেলে ও মেয়ের জীবন সম্পর্ক্যে খোজ খবর নিতে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

শিশু বিড়াল বলেছেন: আমি কোথাও সব পুরুষেরা ধর্ষক এমন কোন কথা বলিনি। আমি পুরুষদের সম্মান করি কারন তারা আমার বাবা, ভাই প্রেমিক, স্বামী ও সন্তান। তাদের বাদ দিলে আমার জীবন অনেক ফাঁকা হয়ে পড়বে। কাজেই আপনার যে কোন কারনেই হোক ভুল ধারনা হয়েছে। পুরুষদের সম্মান করি বলেই যেসব পুরুষের কারনে তারা অসম্মান হচ্ছে তাদের বিপক্ষে লিখেছি, ঠিক যেমন মেয়েদের বিপক্ষেও আমি কিছু কথা এর আগে লিখেছি। হয়ত আপনি তা দেখেননি।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

হাসানুর বলেছেন: নারী ও পুরুষ উভযয়েরই আত্মসম্মান বোধ আছে। তাই উভযেরই সংযত হয়ে চলা উচিত । তবে কিছু কিছু নারী ও পুরুষ এই আত্মসম্মান বোধের বাইরে তাই বলে সকল নারী ও পুরুষকে দোষ দেয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ পুরুষ যেমন সংযমের মাধ্যমে আত্মসম্মান বোধকে রক্ষা করে তেমনি নারির উচিত শালিন পোষাক পরে নিজের আত্মসম্মান রক্ষা করা । যাহা অধিকাংশ নারীই করে থাকে । কারন রেপ হয় অল্প সংখ্যক নারী । তবে কিছুটা ব্যতিীক্রমও হতে পারে।যে মেয়ে পর্দা করে তাকে সবাই সম্মান করে ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

শিশু বিড়াল বলেছেন: একমত আপনার সাথে :)

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, এ প্রসংগ নিয়ে আলোচনা আসলে কখনো শেষ হবার নয়।

৩ নং মন্তব্যে মেলবোর্নের আলোচনার সূত্র ধরেই বলি, সহি ভাবে দ্বীন মেনে চললে, আল্লাহর হুকুম এবং তার রাসূল(সঃ) এর সুন্নাহ অনুসারে সবাই যদি চলে, এধরণের সমস্যা অনেক অনেক কমে আসবে, যেমনটি হয়েছিল ১৪০০ বছর আগে আরব সাম্রাজ্যে। আল্লাহর রাসূল(সঃ) দুনিয়ার বুকে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন। ইসলামের ইতিহাস পড়লে সেটা আমরা ভালভাবেই বুঝতে পারি, কতটা সোনার মানুষে তারা পরিণত হয়েছিলেন।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, আমার অনেক পুরনো একটা পোস্ট আপনার সাথে শেয়ার করলাম। আপনার পোস্টের বক্তব্যকে প্রভাবিত করার জন্য নয়, শুধু মাত্র কিছু চিন্তার খোরাক যোগানোর জন্য...

বলেনতো ধর্ষনে দুনিয়ার কোন দেশ "ফার্স্ট" ??

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভাল পোস্ট। তবে যারা মানবে না, ধর্ষণকেই জায়েজ বলে ধরে নিবে তারা সবসময় উল্টো কথাই বলবে। আপনার এখানেও বলছে। কি আর করা।

১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩২

বাংলার হাসান বলেছেন: খুব পরিচ্ছন ভাবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরেও যদি আমাদের বোধ উদয় না হয়, তবে আমরা দেশ, জাতি, সমাজতো পরের কথা নিজ পরিবারের কাছেও মূখ দেখানোর যোগ্য নই।

১৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৬

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: :| :| :|


আপু তোমার চিকিৎসা দরকার... মনে হয় আস্তে আস্তে কেমন যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছ

পোষ্টটা ভাববার মত।

আমার পরিবার আমাকে নারীদের সম্মান করতে শিখিয়েছে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

শিশু বিড়াল বলেছেন: মাঝে মাঝে কঠিন হওয়া জরুরী। সবসময় আদর দিয়ে কথা বললে কাজ হয় না।

১৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভাল পোস্ট। তবে যারা মানবে না, ধর্ষণকেই জায়েজ বলে ধরে নিবে তারা সবসময় উল্টো কথাই বলবে। আপনার এখানেও বলছে। কি আর করা।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

শিশু বিড়াল বলেছেন: তা আর বলতে ভাইয়া :/

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১৪

নাওেয়দ বলেছেন: আমাকে একটা জিনিস বুঝায় দেন। এই লিখা দিয়ে আপনি কি এস্টাবলিশ করতে চাইলেন?

আপনি স্বল্পবসনা হয়ে ঘর থেকে বের হতে চান? আপনাকে তো কেউ আটকে রাখে নাই। বের হতেই পারেন।

(রেপ হলে আপনি গ্যারান্টিড ধরে নিতে পারেন তারা ছাত্রলীগের কেউ। পুলিশের ভয়ে দলের লোক আপনাকে কিসু করবে না আর আল্লাহ'র ভয়ে শিবির সরে থাকবে। অবশ্য এরশাদের শিষ্যরা যদি গুরুর শিক্ষায় দিক্ষিত হয়ে থাকে, তবে কেইসটা একটু ঘোলাটে হতে পারে...)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

শিশু বিড়াল বলেছেন: আমি স্বল্পবসনা হতে বের হতে চাইলে আমার সামুতে লেখার দরকার কি???? এমনিই পারি। গায়ে পরে ঝগড়া করতে আসা আপনাদের সখ হতে পারে, আমার না।

১৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩০

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: প্রথম কথাই হলো আপনি ডাক্তার হয়েও এনাটমির যুক্তি দিলেন না, দিলে আরও ভাল হতো,

আচ্ছা যুক্তির কথায় আসি-ঘরের দরজা খোলা পাওয়ার পর এক চোরের চুরি করল। এখন চোরের বিকৃত মস্তিস্ক নিয়ে আলোচনা করবেন? চোর চুরি যাওয়া মাল পুলিশের কাছে কেন জমা দিয়ে আসলো না তা নিয়ে পোষ্ট দিবেন? নাকি ঘরের দরজা খোলা রেখে আপনার জামাই/বাপ/ভাই কেন বেকুবের মত বাইরে হাওয়া খেতে গেল কেন সেটার জন্য চোখ লাল করে হাতে ঝাড়ু/লাঠি নাড়াতে নাড়াতে নাক মুখ খিচিয়ে সুনামি তুলবেন?

কিছু জিনিস সত্যি গাছে ধরে না :)

২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: আপু আপনি ডাক্তার আপনার এই বিষয়টা ভালো বোঝার কথা ।

একজন যৌনআবেদনময়ী নারীকে সরাসরি দেখলে একজন সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষের শারীরিক ও মানসিক উত্তেজনা তৈরি হয় ( ব্রেনে স্টিমুলেশন তৈরি হয় )

এটা নিয়্ন্ত্রণ অনেকেই করতে অসমর্থ হয় ( যেমন : মাদকসেবী) , তাই ধর্ষণের মত জঘন্য ঘটনা ঘটে ।
আর সহজলভ্য শিকার হিসেবে এমন মেয়েরা ধর্ষিত হয় যারা কোনোভাবেই দয়ী নয় ( যেমন বাচ্চা মেয়েরা ) , কারণ সচরাচর যৌনআবেদনময়ীকে ধর্ষণ করাটা সহজ নয় ( কারণ এরা নিজেদের রক্ষা করে চলতে পারে ) , এই জন্যই অসহায় মেয়েরা ধর্ষণের স্বীকার বেশী হয় । পর্দা কখনোই ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে পারবে না যদি মেয়েদের মনের মধ্যে পবিত্রতা না থাকে এবং মেয়েদের শরীর প্রদর্শনী বন্ধ না হলে ধর্ষণের হার কমানো সম্ভব নয় , আর ছেলেদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করা জানতে হবে ( আমরা যেমন ডাস্টবিন দেখলে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেই , ঠিক তেমনি যৌনআবেদনময়ীদের দেখলে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে অথবা ডাস্টবিনে ভালো খাবার পড়ে থকতে দেখলে যেভাবে আমরা এড়িয়ে যাই ঠিক তেমনি যৌনআবেদনময়ীদের দেখলে এড়াতে জানতে হবে )
,তাহলে হয়ত বা ধর্ষণের হার কমানো সম্ভব ।

যাই হোক না কেন ধর্ষণ কে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না । এটা পুরুষদের জন্য কলঙ্ক মেয়েদের যতই দোষ থাকুক না কেন , পুরুষ কে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে এবং ধর্মীয় মুল্যবোধ ও রীতিনীতি চর্চা করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে । কারণ এ ছাড়া উপায় নেই । চরিত্রহীনরা মেয়েদের শরীর দেখার একের পর এক উপায় বের করবে আর মেয়েরা সে উপায় অবলম্বনে নিজেদের শরীর নিজেরাই দেখাবে , প্রয়োজনে শরীর দেখানোর জন্য আন্দোলন ও করবে ( যেমন ফ্রান্সে হিজাব বিরোধী আন্দোলন ) । সময় থাকলতে পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে ।


আমরা টিভিতে কাওকে উঁছু ঘাছ থেকে লাফ দিতে দেখলে লাফ খুব কমই দেই , কিন্তু সরাসরি কাওকে এ কাজ করতে দেখলে কিনতু চেষ্টা করি ।


আমি আশা করব আপনি এ ব্যাপারে যথেষ্ট জানার চেষ্টা করবেন ( আপনার জন্য সহজ হতে পারে কারণ আপনি ডাক্তার ) এবং এ ব্যপারে আপনার সুচিন্তিত মতামত দিবেন ।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.