নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা ভাবি, যা দেখি, যা বিশ্বাস করি

আমি খুব সাধারন একটা মানুষ। সাধারন হয়েই থাকতে চাই

শিশু বিড়াল

স্বাধীন দেশের স্বাধীন এক নাগরিক। পেশায় ডাক্তার হলেও নেশা ছবি আঁকা। সবই সখের বশে। ভালবাসি দেশ ও দেশ এর মানুষ।

শিশু বিড়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসপাতালে ভর্তি হলে চেষ্টা করুন দিনের বিল দিনে শোধ করতে নাহলে আপনার মরদেহের জন্য আপনার পরিবার নিঃস্ব হতে পারে

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

মোহাম্মদ আসলামের মৃতদেহ অবশেষে মাটি পাচ্ছে জানা গেল। তার পরিবার এখন বিশাল এক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আগামি পাঁচ মাস কাটাবে। সবার সহায়তায় হয়ত ইউনাইটেড হাসপাতালের বিলও শোধ হয়ে যাবে। কিন্তু তারপর?? তারপর আর কি যার যার বাসায় বসে মুড়ি খাই আমরা তাই না? এটা নিয়ে ভাবার তো কোন দরকারই নেই আর।

না। দরকার আছে।

কোন এক পক্ষের দোষ নিয়ে আমি এখন কথা বলব না। পক্ষপাতিত্ব না করে পুরো অবস্থাটা একটু চিন্তা করি আসুন। এবং চিন্তা করে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কি হতে পারে কেউ আমাকে বলুন, আমার মাথায় আসছে না।

প্রথমে বলি ওনার পরিবারের কথা। যা বলছি ওনার পরিবার এবং মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি।

মোহাম্মদ আসলামের পরিবারের এই কথাটা ওনার চিকিৎসা শুরু করার আগে বিবেচনা করার দরকার ছিল যে "ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল"। আমাদের দেশের এক শ্রেণীর রোগী ডায়রিয়া হলেও দেশের বাইরে পারি দেবার জন্যে, বিদেশি ওরস্যালাইন খাবার জন্য প্লেন ভাড়া করে। যারা করে সাধ্য থাকলে করুক, সমস্যা নাই। কিন্তু যাদের সেই সাধ্য নাই, তারা এমন বোকামি কেন করবে?? এই পরিবারটি তো সেরকম "অতিরিক্ত ধনী" শ্রেণিরও না সবাই বুঝতে পারছি। তারপরেও কেন? বলতে পারেন উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রাইভেটে ভর্তি করানো হয়েছে। তাহলে প্রাইভেটে কি আর অন্য কোন হাসপাতাল ছিল না বাংলাদেশে যেখানে আরেকটু কম খরচে একই চিকিৎসা পাওয়া যায়? অবশ্যই আছে। তারপরেও কেন সেখানে নেয়া হয়নি? ইউনাইটেড হাসপাতালে যে এত বড় অঙ্কের বিল আসবে তা বুঝতে রোগীর পরিবারের এত দিন সময় লাগল!!! ১ মাস? ওনারা কি আগে থেকে জানত না? চিকিৎসা শুরু করার ১ সপ্তাহ না হোক ২ সপ্তাহ পরে তো ওনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারত বা সামগ্রিক অবস্থা একটু চিন্তা করতে পারত যে এত খরচ হবে। তা করা হয়নি কেন? যদি কেউ বলতে আসেন যে বাবা কে নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিল তাহলে বলব ফালতু কথা। এত এত রোগী দেখেছি, সবাই মোটামুটি ১ সপ্তাহ পার হবার পর একটা খোঁজ করে, হিসাব করে যত খারাপই হোক রোগীর অবস্থা। ওনারা সেটা করেননি কেন?

কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগবে তবে আমি আশা করব এমন ভুল যেন আর কোন পরিবার না করে। সাধ্যাতীত চেষ্টা একটা সীমা পর্যন্ত করা যায়, এর বেশি না এটা আমাদের মনে রাখা উচিৎ।

এবার আসি ডাক্তারদের কথায়।

আমাদের দেশের ডাক্তারদের মধ্যে এক ফোঁটাও একতা নেই এটা নিয়ে কারো দ্বিমত থাকলেও আমার নেই। ডাক্তারি তে পড়া শুরু করার পর থেকেই কে কার আগে ডিগ্রি শেষ করবে, কে কত তাড়াতাড়ি টাকা কামাবে, কত ভাল জায়গায় বসতে পারবে যার যার ধান্ধায় সে সে ব্যস্ত। এছাড়া উপায়ও নেই আমাদের। আর সব পেশায় যেখানে ২৫ বছর হবার সাথে সাথেই এক প্রকার টাকা কামানো শুরু হয় সেখানে আমাদের নিশ্চিত আয় যা দিয়ে পরিবার চালানো যায়, বাচ্চা পেলে বড় করা যায় তা উপার্জন করতে করতে ৩০, ৩৫ অনেকের ৪০ ও পার হয়ে যায়। তাও পড়াশোনা শেষ হয়না।

মনে আছে ডাক্তার সাজিয়া ধর্ষণের কথা? অপ্রাসঙ্গিক না দরকারেই বলছি। ঐ ঘটনার পর আমাদের ডাক্তার সমাজের কিন্তু খুব বেশি মাথা ব্যথাও ছিল না। রেপ করেছে, মারা গিয়েছে, একদিন দুইদিন মানব বন্ধন, চিল্লাপাল্লা হাবিজাবি করলাম ব্যস দায়িত্ব শেষ, পরদিন আবার সেই পড়াশোনা, সেই ডিগ্রি, সেই চাকরি, সেই অনারারী খাটা। এর বেশি কি করেছি আমরা?? জানতে চাইলে উত্তর, উপায় কি মনে রাখার?? আমাদের এক হবার, আন্দোলন করার, এত বড় বড় ভাষণ দেবার মুরোদ, সময়, শক্তি কোনটাই নাই, তাই ইচ্ছাও নাই। ডাক্তারদের মূলমন্ত্র "আপনি বাচলে বাপের নাম"... আরে বাপের নাম কি নিজের নাম রেখেই আমরা কূল পাই না!! এই হলাম আমরা ডাক্তার সমাজ, আমার তো মনে হয় আমাদের কারো মাথা কেউ কেটে মাঝ রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখলেও আমাদের কোন গায়ে লাগবেনা। কারন বছরের পর বছর অমানুষের মত খাটতে খাটতে আমরা কসাই এ পরিণত হই। কিছু ব্যতিক্রম আছে কিন্তু সেগুলো উদাহরণ না।

সোনার চামচ মুখে না নিয়ে জন্মালে বর্তমান যুগে কোন মানুষের ডাক্তারি পড়া উচিৎ না। একসময় এই পেশা ছিল সম্মানের। রোগী মারা গেলে ডাক্তার টাকা নিত না। বাড়ি বাড়ি বিনা পয়সায় রোগী দেখে দিত। সেই ডাক্তার আজ আর নেই। এখন বেশির ভাগ মানুষই সোনার চামচ নিজের মুখে পুরতে পারবে এই আশায় ডাক্তারি পরে। সেই আশার পিছনে ছুটতে ছুটতে এক সময় যখন সেই যোগ্যতা অর্জন হয় তখন অন্যের জন্য এতটুকু মায়া অবশিষ্ট থাকেনা। এত বছর কষ্ট করে তার আর ইচ্ছা থাকেনা অন্যের জন্য দয়া করার, ঘর তারও আছে, সংসার আছে। সন্তানকে মানুষ করার দায়িত্ব তারও আছে, তাই প্র্যাকটিস চলে মানুষকে বাঁচাবার বিনিময়ে তাকে নিঃস্ব করার অনিচ্ছাকৃত অপপ্রচেষ্টা যার জন্যে আমরা মনে মনে কষ্ট পেলেও বাস্তবতা আমাদের কিছু করতে দেয়না।

আর যারা সত্যিকারের ভাল ডাক্তার, বড় ডাক্তার হতে পারত তারা সুযোগ পেলেই পারি জমায় বিদেশে, লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এমনকি সৌদি আরবের মত দেশে কারন তারা জানে এদেশে যে কাজ করলে তাদের দুই বেলা ভাতও জুটবে না ঐদেশে তার চেয়ে অনেক কম খেটেও বাড়ি গাড়ি বানাতে বেশিদিন সময় লাগবে না। আর জানা কথা এদেশে সম্মান তো পাবেই না। ওদেশে অর্থ, সম্মান দুটোই পাবে। তবে কেন যাবেনা??? কার দায় পরেছে??

এভাবেই কিনে নিচ্ছে ওরা আমাদের দেশের মেধা কে। যারা থেকে যায় বেশিরভাগই নিরুপায় হয়ে। এবং এদেরই এক শ্রেণী চিকিৎসক বছরের পর বছর কষ্ট করে করে অভাবে স্বভাব নষ্ট করে, দোষ পরে গোটা চিকিৎসক সমাজের।

দোষ দেয়া খুব সহজ, কিন্তু দোষ দেবার আগে কেন এমন কাজ সে করে এটা খুব কম মানুষই ভাবে।

যতদিন বাংলাদেশে ডাক্তারদের পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ সুবিধা এবং যথাযথ সম্মান নিশ্চিত হবেনা, আমি বাজি ধরে বলতে পারি এই অবস্থার অবনতি ছাড়া উন্নতি হবে না। আরও খারাপ সময় সামনে আসবে, প্রস্তুত থাকুন তার জন্য।

এবার আসি হাসপাতালের কথায়।

একই ডাক্তার ঢাকা মেডিক্যালে একটা এপেন্ডিসেকটমি করলে এক রকম বিল, বাংলাদেশ মেডিক্যালে করলে এক রকম বিল, ল্যাব এইডে করলে এক রকম বিল, এপোলো হাসপাতালে করলে এক রকম বিল ও ইউনাইটেডে করলে একরকম বিল, কেন?

হ্যাঁ আমিও একজন ডাক্তার, আমি জানি একেক হাসপাতালের পরিবেশ একেক রকম, সুযোগ সুবিধা একেক রকম, একটা হাসপাতাল বানাতে ও একে চালাতে যে খরচ হয় তা রোগীর চিকিৎসার টাকা থেকেই উসুল করার চেষ্টা হয় মানলাম। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেটের একটা পার্থক্য থাকে মানলাম, কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতালের মধ্যেই এই বিশাল দাগের পার্থক্য থাকবে একই চিকিৎসার জন্য এটা শুধু মাত্র একটা জোচ্চুরি। আর কিচ্ছু না।

আর একারনে দেশের ডাক্তারদের এক শ্রেণীর বদনাম, এক শ্রেণীর ডাক্তারদের কসাই বলা হয়। কসাই কিন্তু একদিনে কেউ হয়না আগেই বলেছি। আজকে ঢাকা মেডিক্যালে অল্প টাকার একজন ডাক্তার কে আপনি ইউনাইটেডে চাকরি দেন, সে আনন্দ সহকারে যাবে এবং ইউনাইটেড যেভাবে চায় সেভাবেই কাজ করবে। কারন টাকা। টাকা সবারই কম বেশি দরকার। সুযোগ পেলে কেউ নিজের পকেটে টাকা ভরবে না এটা খুবই বিরল। কিন্তু সেটা কামানোর একটা নুন্যতম মানবতা থাকা উচিৎ।

১০০% সৎ, ভালমানুষ না হতে পারেন, ৬০% তো হন। মানবতা যদি ১০% এর নিচে নামিয়ে কাজ করেন তাহলে মানবজন্ম হয়ে লাভ কি??

যারা এই হাসপাতাল গুলো বানায় এবং পরিচালনা করে তাদেরও টাকা দরকার আছে মানলাম কিন্তু তাই বলে একটা মানুষের মৃতদেহ আটকে রাখতে হবে এটা কেমন কথা!!! তাদের উচিৎ ছিল প্রতি দফায় দফায় রোগীর লোকজনকে মনে করানো যে এত টাকা কিন্তু বিল জমছে ওনাদের। একবারে ৩২ লাখ টাকার বিল না দেখিয়ে ২ লাখ, ৫ লাখ করে দেখালেও আজকে কিন্তু এই অবস্থা হয়না। কিন্তু তা করা হয়নি কেন??? এটাও একটা ব্যবসা। তা করলে তো এত বড় একটা বিল শেষ পর্যন্ত দেখানো যেত না। তাই করা হয়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা দয়া করে বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের দিকে একটু মনোযোগ দিন। সবকিছু ঢেলে নতুন করে সাজান যেন ডাক্তার ও রোগী দুই পক্ষেরই সমস্যার সমাধান হয়। এদেশের রোগীদেরও যেমন পর্যাপ্ত জ্ঞ্যানের অভাব যে কখন কোথায় চিকিৎসা করতে হবে বা হবেনা সে ব্যাপারে তেমনি হাসপাতালগুলোও বিশেষ করে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান গুলোও তাদের ইচ্ছামত চিকিৎসার মুল্য নির্ধারণ করে যাচ্ছে আর জন্ম দিচ্ছে এমন অমানবিক পরিস্থিতি। এভাবে কতদিন চলবে?

চিকিৎসা মুল্যের পার্থক্য থাকতে পারে তবে একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এবং যদি রোগী সেটা দিতে অপারগ হয় তবে তাদের সেটা আগেভাগেই বুঝিয়ে দেয়া হোক যে পরে এমন পরিস্থিতিতে পরতে না হয়।

অনেক কথা বললাম। আমার কোন কথা বুঝতে ভুল করবেন না। আমি কোন এক পক্ষকে দোষারোপ করা সমর্থন করি না। একটা খারাপ পরিস্থিতির জন্য অনেক কারন দায়ী থাকে, এক চোখ বন্ধ করে কথা বলা সহজ, দুই চোখ খুলে দুইটা জিনিস বিচার করে সমাধান করা ততটাই কঠিন। আশা করি আপনারা সেটুক বুঝবেন।

সবাই ভাল থাকুন আর এমন ভুল আর কেউ করেন না। হাসপাতালে ভর্তি হলে চেষ্টা করবেন যেন দিনের বিল দিনেই পরিশোধ করতে পারেন। এটা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই যতদিন না অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমি মানলাম, রোগী মারা গেলে সেটা হাসপাতালের দোষ না। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে রোগী হাসপাতালে আসে, তাও তো পূরণ হয়না। কেস লড়ে কোন উকিল যদি হেরে যায়, তবে কি পুরো ফি আদায় করে?

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

যেড ফ্রম এ বলেছেন: পুরোপুরি নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিবেচনা করলে আমি ইউনাইটেড হাসপাতালের কোন (আবার বলছি কোন) দোষ খুঁজে পাইনা। বরংচ তারা যে মানবিক বিবেচনায় কিছু (টাকার অংকটা অনেক বড়) ছাড় দিয়েছে সে জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই।

ইউএসএ তে গত একযুগ ধরে ডাক্তারী থেকে আমি যা শিখেছি তাতে সেবা পরম ধর্ম যেমন সত্য তেমনি হেলথ কেয়ার ইটসেল্ফ একটা বানিজ্য তাও সত্য। এখানে বেশিরভাগ (আদতে সবার) হেলথ ইন্সুরেন্স থাকে বলে বিষয়টা চোখে পরে না। কিন্তু স্বাস্থ্য সেবার মূল্য এখানে অনেক বেশি। ইন্সুরেন্স না থাকলে আপনি পঙু!

হাসপাতাল থেকে সব রোগী আরোগ্য লাভ করে ঘরে ফিরবে এমন নয়। মৃত্যু হতেই পারে। তবে রোগী ও রোগীর পরিবারের আগে থেকে বিবেচনায় রাখা উচিত স্বাস্থ্য সেবার মূল্য দেয়ার ক্ষমতা তার বা তাদের আছে কি নেই। না থাকলে নিচের টায়ারের কোন হাসপাতালে চেষ্টা করা উচিত।

মৃত আসলামের আত্মার মাখফিরত কামনা করছি আর পরিবারটি যাতে পথে বসে না যায় তার জন্য দোয়া করছি।

ধন্যবাদ ডঃ নাজিয়া (নাকি অনি) আপনার চমৎকার সাহসী পোস্টের জন্য।

আল্লাহ্‌ হাফেজ।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালকে দোষারপ করার কোন শক্তিশালী কারণ নেই , ওনার পরিবারের ই বুঝা উচিত ছিল এই হাসপাতালটা ব্যায় বহুল ! সুস্থ হলেও তো বিল শোধ করা লাগতো !
প্রাইভেট হাসপাতা্ল গুলো সেবা প্রতিষ্টানের পাশাপাশি ব্যাবসা প্রতিষ্টান ও এটা সবাই জানে , এখানে টাকা দিয়ে সেবা কিনতে হয় ! হাসপাতাল পক্ষের ও খরচ আছে !
এইজন্য হাসপাতাল বেধে টাকার উপর ভিত্তি করে সেবার মান ও আলাদা হয় !
ভালো লাগলো , যে ওনার মৃতদেহ মাটি পেয়েছে , তবে এটাকে যদি উদাহরণ ধরা হয় তাহলে সামনে যে কেউ এর ফায়দা লুটবে !
চর্চা টা শুভ নয় !
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপু !

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৩

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৩

শেখ মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশে ব্যবসা মানেই যতটা ঠকানো যায় ।(ব্যতিক্রম অল্প ),
রোগীর কতটা চিকিৎসা প্রয়োজন, তা রোগীর আত্মীয় স্বজন ঠিকমত বোঝেন না , তাই হাসপাতাল কতৃপক্ষও অযাথা অনেক কিছু করেন , যার কোন প্রয়োজন নেই ।অথ্যাৎ বিলটা বাড়ানো ।
আমরা যখন একটি রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাই, তখন আমাদের বিশ্বাস থাকে কতৃপক্ষ সঠিক চিকিৎসা দেবেন ।কারণ চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা অজ্ঞ । আর আমাদের বিশ্বাসের মযার্দা না দিয়ে শুধু অজ্ঞতার সুযোগ নেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ ।বিল সম্পকে ধারণা না দেওয়াটাও চতুর ব্যবসার অংশ ।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:০৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: একমত।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৭

নীলব্যাধি বলেছেন: লেখক এখানে এই ঘটনা দিয়ে পুরো স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা ও সমাধান তুলে ধরতে চেয়েছেন, তাই আমি শুধু এই সমস্যা নিয়ে কথা বলবোনা।এখানে রুগীর অসহায়ত্ব আর ক্লিনিক সেবা বানিজ্য নিয়ে মাফজোপ করতে গেলে একজন হারবে অন্যজন মরবে সেটা একটা হবে তবে গোটা দেশটায় যে সেবা বানিজ্য ব্যবস্থা চলমান তাতে থেকেই আজকের এই অসহায় বা দোষী রুগীটা সৃষ্টি।

তাই আমি এই মুহুর্তে ইউনাইটেড হাসপাতেলের পক্ষে থাকলেও পরের কথায় থাকতে পারবোনা।

তাই এই নিয়ে আবার মন্তব্য করবো কিনা ভেবে দেখবো

ধন্যবাদ

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সজীব বলেছেন: +++++++++++++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.