নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা ভাবি, যা দেখি, যা বিশ্বাস করি

আমি খুব সাধারন একটা মানুষ। সাধারন হয়েই থাকতে চাই

শিশু বিড়াল

স্বাধীন দেশের স্বাধীন এক নাগরিক। পেশায় ডাক্তার হলেও নেশা ছবি আঁকা। সবই সখের বশে। ভালবাসি দেশ ও দেশ এর মানুষ।

শিশু বিড়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

~বিয়ে- পায়ের উপর কুড়াল অথবা কুড়ালের উপর পা~

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

কিছু সহজ প্রশ্নের কঠিন উত্তর দরকার, কঠিন বলছি এই কারণে যে, এর উত্তরগুলো আমার জানা নেই। যেমন-

১) প্রেম করার সময় ছেলে যদি মেয়েকে প্রস্তাব করে তা বাহাদুরি, সাবাসি, আর কোনো মেয়ে প্রস্তাব করলে তা বেহায়াপনা কেন? বিয়ের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন করা যায়।

২) প্রেমের সম্পর্ক বা বিয়ের সম্পর্ক যেটাই হোক না কেন ছেলের পরিবার নিয়ে যদি মেয়েটি কোন অসংলগ্ন মন্তব্য করে বসে তবে সেই ছেলে এই বিষয়টি পরবর্তী জীবনে আর ভুলতে পারে না। সহজে মেয়েটিকে ক্ষমাও করতে পারে না। একই ব্যাপার উল্টো করে দিলে মেয়েটির কাছেও একই রকম মনে হয় না কেন? মনে হলেও তা নিয়ে সে কিছু বলে না কেন?

৩) জন্ম থেকে একটা মেয়ে বাবা-মায়ের সাথে বড় হয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই তাকে নিজের বাড়ি মনে করতে হবে, শাশুড়িকে নিজের মা, শ্বশুরকে নিজের বাবা মনে করতে হবে, কিন্তু এই একই কথা তার স্বামীর উপর বর্তায় না কেন? কেন একটা ছেলের তার শাশুড়িকে নিজের মা বা শ্বশুরকে নিজের বাবা মনে করতে হয় না?

৪) যেই মেয়ে নিজের বাবা মায়ের মায়া ত্যাগ করে শ্বশুর বাড়িকে আপন করে নেয় (বা নেয়ার চেষ্টা করে) সে তার বাবা-মাকে আদৌ কতটুকু ভালবাসে? যদি বাসেও বা তা কতটুকু? নাকি ব্যাপারটা এমন যে সব ভালবাসা জমানো থাকে স্বামীকে দেবার জন্য? জন্ম থেকে তারা এটুক আপন হতে পারলো না, আর এক রাতের মধ্যে শ্বশুর বাড়ির সবাই আপন হয়ে যায়? সিরিয়াসলি?? আর সব ভালবাসা যদি স্বামী ও স্বামীর পরিবারকে দেবার জন্যই থাকে তবে একই কথা কি ছেলেটির ক্ষেত্রে বলা যায়?

৫) বিয়ের পর একটি ছেলে আশা করে তার স্ত্রীর সমস্ত চিন্তাভাবনার কেন্দ্রবিন্দু সে এবং তার পরিবার। একটি মেয়ে কি এমন আশা করতে পারে? বা ছেলেটি কি এমন চিন্তা করতে পারে? যে মেয়েটি ও তার পরিবার তার কেন্দ্রবিন্দু হবে? না পারলে কেন?

এমন আরও অনেক প্রশ্ন করা যায়, আমি যেটুক বুঝেছি, গলদটা মূলত মেয়েদেরই। তারা ধর্মের অজুহাত দিবে, সমাজের অজুহাত দিবে, প্রেমের অজুহাত দিবে, ভালবাসার অজুহাত দিবে। অজুহাত দিয়ে দিয়ে দাসিগিরি করে যাবে, স্বামী শশুরবাড়িকে তেল মাখন মাখিয়ে যাবে, কপাল ভাল থাকলে প্রতিদানে ভাল কিছু পাবে (যার সংখ্যা খুবই কম) নাহলে অপমান জুটবে এবং সেই অপমান তারা সহ্য করতে পারবে না, শুরু করবে ছিঁচকাঁদুনে কান্না।

নিজের পায়ে কেউ সেধে সেধে কুড়াল মারলে তাকে থামানোি যায়। কিন্তু কুড়ালের উপর পা মালিশ করলে তাকে কিছু বলা যায় না। এই মেয়েদের বিয়ে করাও কুড়ালের উপর সেই পা মাড়ানিই। প্রশ্নগুলোর উত্তর জানলে আমাকে একটু জানাবেন। বাধিত হবো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.