নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতিয় বিশ্বযু্দ্ধ ১. পোল্যান্ড

০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

দ্বিতিয় বিশ্বযু্দ্ধ



১.

পোল্যান্ড



নাহ্! এভাবে আর চলেনা। কি হবে পোল্যান্ডের এই সিমান্তবর্তী শহরের বাসিন্দাদের। আর কত দিন এই বন্ধী জীবন। খাদ্য নেই, পানি নেই। কথায় কথায় গুলি। আজ একে তো কাল ওকে মারছে। কবে যে নাতসি জার্মানদের নিপাত হবে খোদাই জানে। খবর এসেছে এক ট্রেন ভর্তি হাজার হাজার ইহুদি আটক করেছে জারমানরা। ওদের’ও কি অন্য লক্ষ লক্ষ ইহুদিদের মত মেরে ফেলা হবে; বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে, গুলি করে বা সেই নরক তুল্য ড্যাথ্ ক্যাম্পে রেখে। কিন্তু পোল্যান্ডবাসিতো ড্যাথ্ ক্যাম্পে বন্ধী নয়। তবু জীবনের যেন একই পরিনতি। যেখানে মুক্ত থেকেও মানুষ কন্টেইনারের তলা, ঢাকনা সব চেটে পুটুও খাদ্য পাচ্ছেনা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মাঝেই পুর দেশ দখল করে বসে নাৎসী বাহিনী। সব খাদ্য সাপ্লাইয়ের টানেল শেষ হয়েছে নাৎসী ক্যাম্পে। এভাবে চললে আর কয়েক দিনের মাঝেই পুর শহরটাই একটা শশ্মানঘাট হয়ে যাবে। কি করতে পারে নিরীহ অধিবাসীরা! এই পরাশক্তীর বিরুদ্ধে কিছু করাতো আত্মহত্যার সামিল। শুধু একটাই আশা আছে। স্তালিন!



স্তালিনের কাছ থেকে সামরিক সাহায্য আসতে পারে। এখানে বিদ্রোহ হলে স্তালিনের সোভিয়েত তা সুযোগ হিসেবে নিতে পারে। তাকে তা নিতেই হবে। এই খসড়া হিসেবের উপর ভরসা করে শহরবাসী আকরমন করে বসে জার্মান পরাশক্তিকে জীবনের সর্বশেষ শক্তিটুকু ব্যায় করেও। ভরসা স্তালিন নিশ্চয়ই সাহায্য করবে। সোভিয়েত ইউনিয়নকে রক্ষায়, হিটলার মুসলিনির সাথে যুক্ত হওয়া জাপানাকে দূর্বল করার সুযোগ স্তালিনের জন্যে। তাই আকরমন কর, লড় বাসায় রাখা শখের পিস্তলটি নিয়ে হলেও।



কিন্তু স্তালিনের বাহিনীতো পুর ঘটনায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো। হাজার হাজার মানুষ মারা যেতে লাগলো, রাস্তায়, নর্দমায় শুধু রক্ত আর রক্তের উৎকট গন্ধ। সুয়ারেজের লাইন জ্যাম হয়ে গেলো জমাট কালো রক্তে। বর্ডারের কাছে দাঁড়িয়ে সব দেখলো স্তালিনের বিশাল সশস্ত্র বাহিনী। বিদ্রোহী শহরটিক রক্তে ডুবিয়ে প্রায় দুলক্ষ মানুষ মেরে ফেললো নাৎসী বাহিনী। স্তালিনের কি তাহলে অন্য পরিকল্পনা ছিলো। হায়!



[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.