নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতিয় বিশ্বযু্দ্ধ ২. গ্যাস চেম্বার

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

দ্বিতিয় বিশ্বযু্দ্ধ

২.



গ্যাস চেম্বার



একে একে ট্রেন থেকে নামানো হলো সবাইকে। ছেলে, বুড়ো, শিশু; কি ঘটবে কেউ জানেনা। পালাচ্ছিলো সবাই। হঠাৎ ট্রেন থামে। আতঙ্ক নিয়ে সবাই দেখলো চারদিক ঘিরে রেখেছে জার্মান বাহিনী। সবাই সৈন্যদের আদেশ পালন করতে বাধ্য হলো। কোথায় তাদের নিয়ে যাচ্ছে, কোথায় নিয়ে মারবে, কি ভাবে মারবে এই চিন্তাতে সবাই নিল হয়ে রইলো।



অজ্ঞাত এক ক্যাম্পে থামলো কাফেলা। সবাইকে কাজ করতে হবে। দানব নাৎসিদের যুদ্বের প্রস্তুতিতে সাহায্য (?) করলো সবাই। অসম্ভব খাটুনির সেই কাজে থামলেই মার না হয় গুলি। দীর্ঘ্য পরিশ্রমের পর কাজ শেষ হলো একদিন। ততদিন পর্যন্ত যারা বেঁচে রইলো তাদের নিয়ে আবার রওয়ানা হলো কাফেলা। এবার কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ঐ ট্রেনের যাত্রীদের!



এবার আরেকটা অজ্ঞাতনামা ক্যাম্প; কোন এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এবার কি কাজ করতে হবে তাদের? ক্লান্ত চোখে সবাই দেখলো এবারের কাজ সোজা, মৃত্যু যন্ত্রনা সহ্য করা। শিশুদের ছাড়া বাকি সবাইকে গ্যাস চেম্বারে লইন ধরে ঢুকানো হলো। আর শিশুদের? তাদের আরো একদিন পৃথিবী দেখার সযুগ দেয়া হলো। শুধু ঐ একদিনই।



সোভিয়েতের সাধারন বাসিন্দারা তখন জ্বলছিলো আরেক অন্তর্ঘাতে। এত দিন তাদের জ্বালিয়েছে স্তালিন। আর এখন সারখার করতে আসছে নাৎসী বাহিনী। কিছুই করার নেই তাদের। স্তালিনের হয়েই যুদ্ধ করতে হবে। রক্ষা করতে হবে সোভিয়েতকে। কিন্তু সবাই এই সিদ্ধান্ত নেয়নি যার পরিণতি তাদেরকে ভোগ করতে হয়।



অবশেষে আমেরিকাও যোগ দিয়েছে যুদ্ধে। অত্যাধুনিক অস্ত্র আর উন্নত প্রশিক্ষন পাওয়া সৈন্যদল তাদের। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স সোভিয়েত বন্ধু হলো। জাপান যুক্ত হলো হিটলার মুসলিনির জার্মান আর ইতালির সাথে। ইংরেজ শাষিত ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতাকামী নেতা সুভাস চন্দ্র বসু জাপানের সাথে থাকাকেই স্বদেশের জন্যে মঙ্গলজনক মনে করলেন। শক্তিশালি জাপান অগ্রাসন চালালো চীনে। এশিয়া বাসীকে প্রতিশ্রুতি দিলো সম্বৃদ্ধি বয়ে আনবে এশিয়াতে। বাস্তব তারা কেবল নিষ্ঠুরতাই দেখালো। বিশ্ব দেখলো চীনে তাদের তান্ডব। মিত্রদের সাহায্যে জাপানকে প্রতিহত করতে লাগলো চীন। তাদের সরাসরি সাহায্য করলো আমেরিকা। তার ফলও হলো মারাত্মক আমেরিকার জন্যে।



প্রায় ১৮২ টা যুদ্ধ বিমান নিয়ে হামলা চালালো জাপান, প্রসান্ত মহা সাগরে আমেরিকার পার্লহারবারের নৌ-ঘাঁটিতে। প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মার্কিন সৈন্য হত্যা করলো তারা। বেসামরিক কিছু মানুষও মারা গেলো।



ঝকঝকে আধুনিক শহর যুক্তরাজ্যে। সারা রাত ধরে বোমা পড়ে জার্মান বিমান থেকে। ধ্বংস হতে থাকে সভ্যতা। দিনের বেলা বন্ধ থাকে হামলা। আর ভোর হওয়ার সাথে সথেই লন্ডনবাসী সারা রাতের হামলায় যত ভাঙ্গাচোরা জীনিষ, কাঁচ রাস্তায় পড়ে থাকে সব পরীষ্কার করতে নেমে পড়ে। প্রতি রাতের ক্ষত প্রতি দিন সরিয়ে তারা সারা দিন অফিস আদালত সহ যথাসম্ভব কর্ম ব্যাস্ত হয় পড়ে। উদ্দেশ্য নাৎসীদের দেখিয়ে দেয়া যে ইংরেজদের ইস্পাতসম নার্ভে ওদের বোমায় চীড় ধরেনা।



[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.