নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভিকটিমলেস্ ক্রাইম" আদৌ কি সম্ভব!

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫০

"ভিকটিমলেস্ ক্রাইম" বলে একটা খটমট জিনিস দিয়ে কিছু সামাজিক অপরাধকে ব্যাক্তি স্বাধীনতা হিসেবে দেখা হয়। এর মধ্যে আছে ড্রাগ নেয়া, জুয়া খেলা, পেইড বা আনপেইড প্রস্টিটিউশান (আনপেইড বলতে আমোদ ফুর্তির জন্যে সম্মতি নিয়ে ট্যুরে, বাসায় বা আগানে-বাগানে যাওয়া।)। এমনই একটা ভিকটিম লেস্ ক্রাইম হলো আত্মহত্যা।
.
এই থিওরিতে মানুষকে একটা আইসোলেটেড ইউনিট হিসেবে ধরা হয়। এতে তার পরিবার, বৌ বাচ্চা, বন্ধু বান্ধব এবং এদের প্রতি তার যেকোন দায়বদ্ধতা বাদ প‌ড়ে। তার টাকা থাকলে ড্রাগে বা জুয়া খেলে উড়াবে, গা গতর থাকলে আমোদ ফূর্তি করবে। এক পর্যায়ে সব আউলা ঝাউলা মনে হলে ঘরের ফাঙখার সাথে ঝুলে মরে যাবে। এখা‌নে ভিকটিমই ক্রিমিনাল, তাই অভিযোগ করার কেউ নাই। এজন্যে বিচার আচারও নাই।
.
বাস্তবতা হ‌লো, মানুষ এমন একক প্রাণী না। এক জন এক জন করে সব মানব মিলেই একটা রেইস। কারো বাচ্চা কাচ্চা সুইসাইড করলে তাদের যা ক্ষতি হবে, কেউ স‌েই বাচ্চাকে খুন করলেও তাদের একই পরিনতি হবে। তারা দেখবে তাদের বাচ্চাটা খুনই হয়েছে। সাথে যোগ হবে সুইসাইডে প্ররোচনা দিলো কিনা এমন সামাজিক জিজ্ঞাসা।
.
তাই ভিকটিমলেস্ ক্রাইম বলতে জগতে আস‌লে কিছু নাই। এই কেতাবি নামের অপরাধে, ভিকটিম শুধু ক্রিমি‌নাল নি‌জে হয় না। তাকে ঘিরে থাকা সব গুলো মানুষই ফল ভোগ ক‌রে।
.
আ‌রে ইন‌কউি‌বেটর এ কৃত্তিম ভাবে জন্ম নেয়া মুরগীটাওতো ডিম পাড়ার দায়িত্ব নেয়। আর দশ মাস ধরে মার পেটের মধ্যে থে‌কে লাথি উষ্ঠা মেরে বের হয়ে, বাপ মার হোটেলে খে‌তে খে‌তে পোস্ট মারে "মাই লাইফ মাই রুলস্।" আ‌মি সীসা টান‌লে কার বা‌পের কি!
.
আমার ম‌নে হয়, সুইসাইডের পর, সবাই যখন হায় হায় করে উঠে, তার কা‌ছের লোক‌দের দোষ খুঁজ‌তে শুরু করে, প্রচুর নাম পরিচিতি ছড়ায়, সেটা তখন আরেক ডিপ্রেশানের রোগীকে প্রলুব্ধ করতে পারে একই পথ মাড়ানোর। তাই এসব মৃত্যুর প্রত্যেকটা জানাজায়- আত্মহত্যাও যে একটা হত্যা তা জোরে জোরে বলে দেয়া উচিৎ। খুব জোরে শুনিয়ে দেয়া উচিৎ এটা অনেক বড় বেকুবি, নিজের কাছের মানুষের উপর বিরাট অত্যাচার।
.
যেহেতু জানাজার কথা বলছি, তাই ধর্মে কি পরিমান আযাব আছে তাও বলে দিতে হবে। মোট কথা কোন ভাবেই ব্যপারটাকে নায়োকোচিত, হৃদয় মোচ‌ড়ি‌য়ে ভা‌লোবাসা জানানোর মত কাজ বলে দেখানো যাবে না। সম‌বেদনা জানা‌তে হ‌বে তার ক‌াছের লোক‌দের। কে জানে হয়তো সেই জানাজা থেকেই আরেক ডিপ্রেসড্ বান্দা তার মত পাল্টাতে পারে।
.
#Afnan_Abdullah
06142020

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৯

বিজন রয় বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ কথা লিখেছেন।

শুভকামনা।

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২১

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: আমিও বলছি, বেশ যুক্তিপূর্ণ ভাবনা ।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৬

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

নতুন বলেছেন: পরিবার যদি সন্তানকে ভালোবাসা্ এবং সঠিক নিদেশ`না দিয়ে বড় করতে পারে তবে ছেলে মেয়েরা খারাপ হয় না।

একটা বাড়ীর ভিক্তি যেমন গুরুত্বপূণ` তেমনি সন্তানে ছোট বেলায় গড়ে ওঠাটা খুবই গুরুত্বপূন`।

ক্লাস ১০ এর আগ পযন্ত বাবা মায়ের উচিত হবে সন্তানকে বন্ধুর মতন বাস্তবটাকে শেখানো, এবং ভালো জিনিস মন্দ জিনিস কোনটা সেটা বুঝতে পারার বিষয়টা শেখানো।

আত্নবিশ্বাসী করা খুবই দরকার।

সন্তানের ভিক্তি গড়ে দিলে খারাপ পরিবেশে গিয়েও সন্তান খারাপ হবেনা।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৫

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: দারুন বলেছেন। ভিত্তিটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলা থেকেই যদি জেনে বড় হয় যে জীবন কঠিন সংগ্রামের জিনিস, পাওয়া না পাওয়ার যুদ্ধ, আর এই যুদ্ধটাই মজার, সে জীবনটা এনজয় করা শিখে যাবে।

৪| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সবই বিধাতার খেলা!

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৭

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: অবশ্যই বিধাতার খেলা। তবে আমরা খেলোয়ার। মানে ফিফা টূর্নামেন্ট ছাড়ছে, দল গুলো খেলতেছে। এমন আরকি। তাই নিজের আমলনামা নিজেকেই বানাতে হয়। নিজের খেলাটা নিজেকেই খেলতে হয়।

৫| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একদম উপযুক্ত লেখা । কঠিন সমস্যা মোকাবিলা করে বেঁচে থাকাই জীবনের সার্থকতা

৬| ১৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: জীবন তো সহজ সরল নয়। এটা মেনে নিতেই হবে।

৭| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে অপরাধে একজন বা দুইজন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার চেয়ে বড় অপরাধ হোল যখন তার দ্বারা পুরো সমাজ ক্ষতি গ্রস্ত হয়। সমাজকে কলুষিত করার অধিকার কাউকে দেয়া হয় নাই এমনকি তা যদি আইন সিদ্ধ হয়। অনেক দেশে জুয়া, পতিতাবৃত্তি, নেশা (অনেক দেশে ড্রাগের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় আছে) ইত্যাদি আইন সিদ্ধ। তারপরও সমাজের অধিকাংশ মানুষ এসব কাজে জড়ায় না নৈতিকতা/ ধর্মের কারণে। এসবের ভালোর চেয়ে খারাপের পরিমান বেশী। আইনের চেয়ে নৈতিকতা বড়। ভালো মানুষ হতে হলে আইন ও নৈতিকতা দুইটাই মানতে হবে। অনেক নৈতিকতা বিরোধী আইন অবশ্য আছে। আত্মহত্যা যে একটা অপরাধ এটা মনুষ্য সমাজের আইন প্রনেতারা না বুঝলেও সৃষ্টি কর্তা এর ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে একে নিষিদ্ধ করেছেন। এটার কারণ ইহলৌকিক ও পরলৌকিক দুইটাই হয়ত আছে।
মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক দায়িত্ব আছে প্রত্যেকের কিন্তু অনেকে আমরা উদাসীন। তবে আত্মহত্যাকারীদের ব্যাপারটা আপনি এক পাশ থেকে দেখছেন মনে হয়। তাকে আগে থাকতেই ঠেকান ও বোঝানো পরিবারের ও সমাজের দায়িত্ব। আত্মহত্যাকারীর মানুষিক কষ্টটা আমাদের বুঝতে হবে। একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ হঠাৎ করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয় না। অপ্রাপ্ত বয়স্করা অনেক সময় আকস্মিকভাবে আত্মহত্যা করে। অনেক সময় কাছের মানুষ আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য দায়ী থাকে। মনিষীরা বলেন পাপকে ঘৃণা কর পাপিকে নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.