নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায়া সফিয়াকে মন্দির মসজিদ, জাদুঘর, গীর্জা যাই বানাক, বাবুরী মসজিদের মত ভেঙ্গে না ফেললেই রক্ষা!!

১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪২

স্পেনে মুস‌লিম‌দের যু‌দ্ধে হারা‌নোর সা‌থে সা‌থে রাজা ফার্দিনান্দ করডোবা মসজিদের লন্ঠনটিকে চার্চের ঘন্টা বানিয়ে ফে‌লেন। আর স্থাপনাটিকে ক্যাথেড্রাল অব করডোবাতে রুপান্তরিত করেন। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, জায়গাটাতে শুরুতে একটা রোমান চার্চ ছিলো যা মুসলিমদের স্পেন দখলের পরে ভাগ করে অর্ধেকে মসজিদ বানানো হয়। একই স্থাপনায় দু'ধর্মের মানুষই প্রার্থনা করতো। পরে মুসলিমদের মনোভাব আরো অগ্রাসি হলো। তখন পুরো জায়গাটা‌তে বিশালাকা‌রের করডোবা মসজিদ বানানো হয়। এর কা‌জে ঐ চার্চ ভেঙ্গে তার পাথর ব্যাবহার করা হয়েছিলো।
.
ইস্তাম্বুলের অর্থড্রক্স চার্চ -হায়া সোফিয়া কয়েক দফা ক্রসেডারদের হাতে লুট হওয়ার পরে মুসলিমদের হাতে পরে। সেটা মসজিদ, জাদুঘর এবং এখন আবার মসজিদে রুপান্তরিত হলো। এই চার্চ মেহমেত যুদ্ধ জয়ের পর নিজের টাকায় কিনে নিয়েছিলেন এমন কিছু দলিল পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধের পরে জয়ী দল এটা বেচতে বাধ্য করতে পারে এখানে। তবুও ভাংচুর- দখল না করে কেনা বেচার আয়োজন করা এবং দলিল বানানোটা মুসলিমদেরকে মধ্য যুগের যে লুটেরার দল বলে প্রচার করা হয় তার সাথে যায় না। কার ভয়ে সে দলিল বানিয়ে কিনতে গেলো সেটা চিন্তার বিষয়। এদিকে চার্চ বিক্রির ইতিহাসও কম নেই পৃথিবীতে।
.
বাবুরি মসজিদ ভারতে মুসলিমদের কোন যুদ্ধে পরজিত হওয়া ছাড়াই তাদের সামনে ধ্বংস হয়। কোন রুপান্তর নয়, বিশাল ঐতিহাসিক স্থাপনাটি ভেঙ্গেই ফেলা হয়। মৌদির মৌলবাদীদল বাবুরী মসজীদ ভাঙ্গতে গিয়ে দাঙ্গা বাধায় এবং দু ধর্মের মিলে প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ খুন হওয়ার আয়োজন করে শুধু এই উপলক্ষে।
.
সোভিয়েতের কমিউনিষ্ট শাষকরা মধ্য এশিয়ায় প্রায় ২৫,০০০ মসজিদ ধ্বংস ক‌রে। ভা‌ঙ্গে হাজারের উপরে অসামান্য স্পাত্যের সব বৌদ্ধ মন্দির। ইন্টা‌রে‌স্টিঙ ব্যপার হলো কমিউনিষ্ট ভাবধারার গোষ্ঠী সব ধর্ম‌িয় অগ্রাসন নিয়ে প্রচুর ইতিহাস কপচান। ধর্মই এক মাত্র পৃথিবীতে আ‌রেক ধ‌র্মের উপর গজব নিয়ে আ‌সে এমন চিল্লাফাল্লা করে। যদিও ইতিহাস ব‌লে, কমিউনিজম ক্ষমতা পে‌ল‌েই ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া হয়ে উঠে সব ধ‌র্মের জ‌ন্যেই। চীনের উইঘুররা সেই বিষের এই সময়ের সব চেয়ে বড় শিকার।
.
স্পেনের ফার্ডিনান্দ, তার্কিশ মেহমেত বা এখনকার এরদোয়ান অন্তত অ‌নিন্দ সুন্দর ঐ‌তিহা‌সিক স্থাপনাগুলো যার যার ধর্মশালায় রুপান্তর করে সেগুলোর যত্ন নিয়ে টিকে থাকাটা নিশ্চিত করেছেন। সেখানে যে ধর্মের যেই মানুষই উপাসনা করুক হাজার বছরের পুরোনা বিস্ময়কর নির্মাণ গুলো এখনো আমরা দেখতে পারছি তা‌তে। প্রতিহিংসায় ধ্বংস করা থেকে যার যার মত করে ব্যবহার করাটাই তাই মনে হয় ইতিহাসের জন্যে তুলনামূলক মঙ্গলজনক।
.
#Afnan_Abdullah
০৭১২২০২

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উহারা উন্মাদ হইয়া গিয়াছে।

১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: তা যা বলেছেন।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: মন্দির মসজিদ গির্জা কিছুই ভেঙ্গে ফেলা ঠিক না। যারা ভাঙ্গে তাদের হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া দরকার।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১০

পদ্মপুকুর বলেছেন: এত দুর থেকে এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপট বিচার করা বা সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য রাখাটা মুশকিলের বিষয়। তবুও আমার মনে হচ্ছে এটা আগের মত থাকলেই ভালো হতো। ইসলাম ধর্মীয় সহাবস্থানের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সহানুভুতিশীল হওয়ার কথা।

লেখাটা সুন্দর হয়েছে।

১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: অবশ্যই আগের মত থাকলেই ভালো ছিলো। তার্কিতে মসজিদের অভাব পরেনি। আবার কামাল আতার্তুর্ক এন্টি ইসলামিস্ট ছিলো। তার সিদ্ধান্ত গুলো মুছে ফেলার জন্যে এটা করতে পারে।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



তুরস্ক যখন রিপাবলিক হয়, তখন উহা গীর্জা ছিলো, আতাতুর্ক উহাকে যাদুঘর করে; এখন খুলে দিলে উা গীর্জাই হওয়ার কথা

১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: মেহমেদ ইস্তাম্বুল দখলের পরই সেটাকে মসজিদে রুপান্তর করেন।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মসজিদ ভেঙ্গেতো মুসলমানদের ইমান দুর্বল করতে পারছে না। এগুলি করছে প্রতিহিংসার জন্য। কোনও ধর্মের উপাসনালয় ভাঙ্গা ঠিক না।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জাদুঘর থাকলে কি ক্ষতি আর মসজিদ করলে কি লাভ। একটা মষজিদ দিযে কি দুনিয়া জয় হয়।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অন্য ধর্মের উপাসনালয় দখল করে মসজিদ বানানোর উদাহরন ইসলামের শুরুতেই ছিল
মক্কা বিজয়ের আগে কাবা শরিফও পাগান/মুর্তিপুজকদের উপাসনালয় ছিল।
রসুল (স) বেচে থাকা পর্যন্ত একটি সমঝোতার মাধ্যমে বেশীরভাগ মুর্তি কাবা ঘরে ছিল।
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদও দখল করা। তবে সবটা দখল করা সম্ভব হয় নি।
সেখানেও সমঝোতার মাধ্যমে ভাগাভাগি করে ইহুদি ও মুসলমানরা নামাজ পড়ছে।

১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ক্বাবার ইতিহাস এত অল্প জানলে হবে না। ক্বাবা তৈরীর পর সেখানে মুর্তি ছিলো না। ধীরে ধীরে মক্কাবাসি মূর্তি পূজার দিকে ঝুঁকে আর ক্বাবা মুর্তিতে ভর্তি করে ফেলে। পরে তারাই আবার মুসলিম হয়। মক্কা জয় করে নিজেদেরই অমুসলিম অংশ থেকে। এবং মক্কাবাসিই কাবা থেকে মূর্তি দূর করে তাদেরই বিশ্বাস বদলে যাওয়াতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.