নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা

নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রসনা বিষয়ে অহেতু রচনা

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩০

রসনা বিষয়ে অহেতু রচনা
__________________

গতকাল বলেছিলাম, সন্ন্যাস আর রসনা-বিলাস পরস্পর দুই বিপরীত সত্য।

জ্বী, সন্ন্যাস ব্রতে মায়া পরিত্যাজ্য।

কী রসনা, কী কাম, কী সম্পদ, কী মায়া-- ধাপে ধাপে সকল মায়া পরিত্যাগের শক্তি অর্জনের সাধনাই সন্ন্যাস-ব্রত।

রসনার ঠিক বিপরীতে সন্ন্যাসের অবস্থান।

রসনা বোধের ক্ষুধার সাথে কাম বোধের ক্ষুধার বিশেষ ফারাক নাই। রসনা-তৃপ্তির আনন্দের সাথে কামের পরম পুলকেরো তফাৎ নাই বিশেষ। দুই-ই করে চিত্ত চঞ্চল। দুই-ই বাড়ায় মায়া। দুই-ই গৃহীকে আরো জড়ায় সংসারে।

রসনা ও সন্ন্যাসের সংঘর্ষের বহু পুরাতন সত্য গতকাল যে পুনরায় প্রকাশ করেছিলাম তা নয় অকারণ।

গতকাল, শনিবার, ছিল সপ্তাহিক ছুটি। ছিল মেঘলা-মেঘলা দিন। এর আগের দিনও ছিল তাই। মেঘাতুর ছুটি।

কিন্তু চাপে আমি ব্যাঁকা হয়ে আছি। একটু যে আয়েশ করে কড়া করে ঘিয়ে ভেজে খিচুড়ী পাকাবো, দু'টো বেগুন ভাজি করবো আর কয়েকটা আস্ত শুকনা মরিচ তেলে ভেজে গুঁড়ো করে তার সাথে দেশী কাঁচা পেঁয়াজ মিহি-মিহি করে কুঁচি করে কেটে মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে মাখানোর আগে সেগুলোর সাথে ছড়িয়ে দেবো কড়া করে ভাজা কিছু কালিজিরা তার আর ফুরসৎ রইলো না!

শুক্রবারটা এভাবেই গেলো। চাপে; ব্যাঁকা হয়ে; মেঘলা দিনে এক্সটিক খাবারের অপূর্ণ বাসনা মনে নিয়ে গেলো দিন।

শনিবারটাও এভাবেই যাবে! তা কি হয়! কী করে হয়! সোমা তো গৃহী। হুম। গৃহীই। অতএব, এমন দিনে রসনা-বাসনার তীব্রতায় সন্ন্যাস ছুটে যাওয়া মার্জনীয়ই বটে।

তাই, রাশি-রাশি পত্র-পুস্তক হতে মস্তক তুলে রসুই ঘরে ঢুকি।

না। অষ্ট ব্যাঞ্জন রাঁধি নাই। ঘৃতযোগে খিচুড়ীও পাকাই নাই। তবে, ভর্তা একটা বানিয়েছিলাম হে! দিব্যি করে বলতে পারি, আমার মতন আধা-গৃহী আধা সন্ন্যাসীর জায়গায় যদি সত্যিকারের সন্ন্যাসী-প্রভুও সেই ভর্তার আশে-পাশে থাকতেন তবে ঘ্রানেই প্রভুর ধ্যান নড়ে যেতো।

না। অষ্ট পদের ভর্তা না। মোটে এক পদ। মামুলী এক পদই ছিল। কী ছিল সেই পদ?

আগুন গরম তেলে কয়েকটা শুকনা মরিচ কড়কড়া করে ভেজে শুকনা পাত্রে তুলে রেখেছি। ছোটো চিংড়ি মাছের কিছু শুটকি কড়কড়া করে তেলে ভেজে তুলে রেখেছি। বেশি করে কালিজিরা মচমচা করে তেলে ভেজে তুলে রেখেছি। বড় দেখে দু’টো দেশি পেঁয়াজ মিহি করে কুচি-কুচি করে কেটে নিয়ে তেলে হালকা ভেজে ঘিয়া রঙের হয়ে এলে তুলে রেখেছি। একইরকমভাবে কিছু রসুনের কুচিও ভেজে নিয়েছি। তারপর মরিচগুলো গুঁড়ো করে, শুটকিগুলো গুঁড়ো করে কালিজিরাগুলো গুঁড়ো করে সেগুলো পেয়াঁজ-রসুনের সাথে মিশিয়ে আবার গরম তাওয়ায় দিয়ে নিভু নিভু আঁচে রেখে দিয়ে তার সাথে সরিষার গুঁড়া, আর কয়েকটা কারি পাতা কুচি করে কেটে দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে মিনিট দু’য়েক নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিয়েছি।

সেই এক্সটিক ভর্তার ছিল এমনি স্বাদ যে সেই মেঘলা দিনে প্রকৃত সন্ন্যাসীরো ধ্যান টলে যেতো। অবশ্য আপনি হয়তো বলতে পারেন, নিজের ঢোল নিজেই বাজাচ্ছি। কী করবো বলুন! ঢুলী যদি ঢোল না বাজায়, অন্য লোকে কি আর বাজানোর তাল বুঝবে!

হ্যাঁ, যা বলছিলাম। সেই এক্সটিক ভর্তা দিয়ে শনিবার দুপুরে এমনি আহারাদি করলাম যে পেট পুরতে-পুরতে-পুরতে এমনি পুরলো যে চোখে নিদ এসে গেলো।

পাকস্থলির মধ্য দিয়ে যে মানুষের হৃদয়ে ও মগজে ঢুকে পড়া যায় তা বড়ই জ্বলজ্যান্ত সত্যি কথা।

বস্তুগুণে নিদ্রা এলো। শরীর এলিয়ে গেলো। এমন আরাম ভরা পেট নিয়ে কোন পাগলে আর পড়ার টেবিলে যায়!

অতি ভরা পেটে গা এলিয়ে আধ-শোয়া হয়ে আধ-বুজা চোখে তখন আমি ভাবছিলাম, রসনা ও সন্ন্যাসের সংঘর্ষ-কথা। তখনই কথাটা মনে এলো। কিন্তু অতো বৃত্তান্তে না গিয়ে আমি শুধু ফেবুতে লিখলাম, রসনা ও সন্ন্যাসে সংঘর্ষ প্রবল।

মোটে এক পদ দিয়ে অমন সেঁটিয়ে খেয়ে দুপুর থেকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা অব্দি ঝিমুনি ছাড়া আমার আর কাজ কিছু হলো না। তাই, রাতে খানিক সমঝে চলেছিলাম।

কিন্তু দিন না পেরোতেই আজ রাতে আবার সেই একই ঘটনা!

পত্র-পুস্তকে মস্তক ডুবিয়ে ছিলাম। কিন্তু রাতের আহার সারতে গিয়ে বাঁধলো যত গোল।

বাড়ি থেকে মা কিছু তোবারক পাঠিয়েছেন। আমার মা যদি আমার জন্য সামান্য লবণ-পানিও পাঠান সেটিকে আমি পড়া-পানির মতন পবিত্রজ্ঞানে গ্রহণ করি। আর তার পাঠানো সামান্য শাকান্নও আমার কাছে তোবারকের অধীক।

রাতের খাবার খেতে গিয়ে দেখি লতি দিয়ে চ্যাপার তরকারী, ছোটো মাছের ভুনা, চিকন-চিকন করে সিম কেটে অমুক মাছ দিয়ে ভুনা এই সব রাজভোগ এসেছে!

এইবার আপনারাই অনুমান করুন, এই গৃহীর পক্ষে কত খাওয়া সম্ভব! হ্যা। যা কল্পনা করেছেন তাই। খেতে-খেতে যখন আর একেবারে একটি রসগোল্লা খাবারো জায়গা পেটে রইলো না তখনো খানিক ঝিম মেরে বসে রইলাম। তারপর উঠে হাত ধুয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে-তুলতে মনে হলো, একটু মিষ্টি না খেলে আর চলছে না।

সেই ভরা পেটে এক চামচ মিষ্টিও খেলাম।

তো, এতো আরাম পেটে নিয়ে কি আর কাজের কাজ হয়!

এখন পেট আমাকে দিয়ে আকাজ করিয়ে নিচ্ছে। কাজের কাজ বাদ দিয়ে পেটের কারণে এখন আমি রসনা-সরস বৃত্তান্ত লিখছি।

অবশ্য, রসনা এক বিরাট প্রবৃত্তি। একে নিবৃত্ত করা তাই এক সাধনা বটে। সাধু ও সন্ন্যাসীরা তাই প্রবৃত্তিকে জয় করবার ব্রত নেন।

কিন্তু আমার মতন গৃহীর পক্ষে প্রবৃত্তিকে জয় করা সোজা নয়। তাই, প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রিত রাখার কথা বারবার উচ্চারণ করেছে ধর্মগ্রন্থসকল।

খ্রীষ্টধর্মে সাতটা পাপের কথা আছে। সেভেন সিন্স। এর মধ্যে রসনা একটা। এই আলোকে হলিউডে একটা সিনেমাও আছে। নাম সেভেন। আমার এককালীন প্রেমিক ব্র্যাড পিট সেই সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার সাথে আছেন আমার প্রিয় অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান। সেইখানে সাতটা পাপের একটা হলো রসনা।

অতিরিক্ত যে কোনো কিছুই খারাপ। তাই, পরিত্যাজ্য।

খাদ্য নিয়ে আমার বাবার কিছু কথা আছে। তার এইসব কথাগুলো আমি বুঝে উঠার আগেই আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

আমার আব্বি বলতো, “শোনো রে পুত! কাউরে কিছু দান করতে হইলে খাদ্য আর বস্ত্র দিবা।”

সাথে এটাও স্মরণ করিয়ে দিতো যে, এমনভাবে দান করতে হবে যেনো কাক-পক্ষী তো দূরের কথা, ডান হাতে দান করলে যেনো বাম হাতও তা না জানে।

খাওয়া নিয়ে আব্বি বলতো, "নিজের দিলরে কখনো ভুখা রাখবা না। দিল যা করতে চায়, খাইতে চায়-- দিবা। তবে, দিলেরে বেহিসেবী হইতে দিও না"।

আব্বি আরো বলতো, তোমার সামর্থ্য আছে— খাইবা। মন যা চায় খাইবা। কিন্তু মনে রাইখো, তোমার আছে বইলাই প্রতিদিনই তুমি গোশত-পোলাও-কোরমা খাইবা এইটা ঠিক না। এটা অন্যায়। কারণ তোমার আশপাশে কত মানুষ আধপেটা থাকে, না থাইয়া থাকে, ভালো খাবার খাইতে পায় না, মন ভইরা খাইতে পায় না; তাদের কথাও মনে রাইখো।

তাই, তোমার আছে বইলাই তুমি সংসার ভুইলা গিয়া নিজের আনন্দে মইজা যাইও না। বরং তুমিও একদিন কম খাইও। একদিন আধপেটা থাইকো। এই কথা আব্বি বলতো।

আব্বি আরো বলতো, তুমি কী খাইতেছো এইটা বড় কথা না। বরং কেমনে খাইতাছো সেইটাই বড় কথা। সেই কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়া বলতো, ভালোবেসে যে তোমারে নুন-শুটকি দিবে সেইটাই বড়। যে শুধু তোমার কথা ভেবে, তোমার জন্যই আলাদা একটা ডিম ভাজতে গেছে সেই ডিমভাজির মর্ম অনেক বেশি।

অকরাণেই মাঝে-মাঝে খাবার টেবিলে এইসব মনে হয়। খানা-খাদ্য দেখলে আব্বির কথা মনে হয়।

আব্বি যখন বেঁচে ছিল, আমি বাড়ি গেলে টেবিলের এক পাশে বসতো আব্বি আর আরেক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতো আম্মি। মাঝখানে আমি। দুইজন-ই একটু একটু করে এই পদ-ওইপদ-সেই পদ-এই শাক-সেইশাক-এই ভর্তা-ওই ভাজি-সেই ভুনা-অমুকটার ঝোল-তমুকটার মাথা তুলে দিতো। আর আমিও একটু একটু করে বহুক্ষণ সময় নিয়ে খেতাম, সব খেতাম।

আব্বি ভাতের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে ভালোবাসতো। আমি সাধারণত গরুর মাংস হলে কাঁচা পেয়াজ খেতাম। এছাড়া না।

কিন্তু একটা অভ্যাস খেয়াল করলাম। আমার মধ্যে নতুন ডেভেলাপ করেছে। আমি আজকাল কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করি। ভাতের সাথে। ডালের সাথে। ভর্তার সাথে। শাকের সাথে। সকালের নাশ্তার সাথে। আব্বি মারা যাবার পর এই অভ্যাসটা কী করে যেনো আমার মধ্যে ডেভেলাপ করেছে।

মানুষ এক অদ্ভুত চিড়িয়া। প্রথমে সে সংসার বানায়। তারপর সে সংসার থেকে মুক্তি চায়।

আর আমিও কেমন যে! বসেছিলাম কাজে। সেখান থেকে আম্মির রান্না করা চ্যাপার তরকারী আর আরো কী সব তরকারী-মরকারী দিয়ে এখন এইসব আজাইরা কিচ্ছা লিখতে বসলাম। যত সব বেহুদা কাজ।

অবশ্য, জীবনের কোনটা যে বেহুদা আর কোনটা যে বেহুদা-না সে ভ্রমটাই আমার গেলো না।

সে যাই হোক, যে কথা আপনাদের বলতে গিয়ে আমি এই গল্পের ফাঁদ পেতে বসলাম সেই কথাটা বলেই কেটে পড়ছি।

যারা গৃহী হতে চান তাদের জন্য রসনা এক বিরাট তাবিজ।

উৎসব-আনন্দ-পূজা-পার্বন এমনকি বিনা কারণেও আপনারা বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-অনাত্মীয়দের বাড়িতে ডাকুন। একসাথে খানাপিনা করুন।

খানাপিনা মানেই কোর্মা-পোলাও-কাবাব-টিকিয়া-রেজালা-ঘৃতযোগে খিচুড়ী নয়।

খানাপিনা মানে টক দিয়ে রান্না করা পাতলা ডাল, কিছু একটা ভর্তা বা ভাজি, পুঁটি মাছের ঝোল আর মোটা চালের ভাতের সাথে হৃদয় উজার করা মমতা-ভালোবাসা-টান মেশানো থাকতে পারে।

খাওয়া দাওয়া জিনিষটা এমন যে একসাথে খেতে গেলে একে অন্যের চোখে চোখ পড়ে যায়। চোখে চোখ পড়লে চোখের জানলা দিয়ে পলকে মানুষ দেখে ফেলে আরেকজনের অন্তর মহল। বুকের ভেতর কার কী চাপা আছে, কার কী ব্যাথা আছে ছোপা সব আঁচ করে নেয়া যায় খেতে-খেতে; এক পলকে।

তাছাড়া, খুব আয়েশ করে পরম পরিতৃপ্তি নিয়ে খাওয়া ব্যাপারটা অনেকটা ঐশ্বরিকও বটে। মানে এটা অনেকটা অর্গাজমের মতন। পরম পুলক নিজের মধ্যে বয়ে যায়। যে এই পুলকের দেখা পায়নি কেবল বর্ণনা দিয়ে তাকে তা বোঝানো যায় না।

গভীর অর্গাজমে যেমন মনে হয়, ইউ আর ড্রিফটিং ইন দি এয়ার, ইউ আর মিটিং উইথ ইউর গড— পরমতৃপ্তি যোগে খাওয়াও কখনো কখনো তেমনি।

বেঁচে থাকতে খেতে হয়। কিন্তু রসনা-জাত-পুলক মায়া বাড়ায়। কাম-ও মায়া বাড়ায়। অতএব, এই দুই থেকেই নিজেকে বিযুক্ত করাই সন্ন্যাস ব্রতের প্রাথমিক কাজ।

তাই, আপনি যদি সন্ন্যাসী হতে চান তাহলে আপনার রসুইঘরের আসক্তি কমিয়ে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। রসনা তীব্র হলে, আমার মতন দশা হবে।

ভাববেন, রাতের খাবার খেয়ে ইট ভাংতে বসবেন। কিন্তু তা আর হবে কৈ! ইট তো ভাঙা হবেই না, উল্টো দেখবেন আমার মতন আকাজ করছেন। আমি রসনা বিষয়ক অহেতু যা-তা লিখে আপনার মনোযোগে বিঘ্ন ঘটালাম। আর আপনি হয়তো, উদর পূর্তির আনন্দে কাজ ভুলে উঠোনের পরে পাটিটি পিছিয়ে তার 'পরে শুয়ে আসমানে তারা গুনবেন।

১৪ই অক্টোবর ২০১৮

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:১৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কী রসনা, কী কাম, কী সম্পদ, কী মায়া-- ধাপে ধাপে সকল মায়া পরিত্যাগের শক্তি অর্জনের সাধনাই সন্ন্যাস-ব্রত।
বম্মচারি হবার গল্প শুনেছি, অনেক সাধনার বিষয়

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: গল্পে বম্মচারীরা মেলঅ কিছুই করেন। আর না-গল্পে না-বম্মচারীরাও অনেক কিছু করেন।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


রসনা ও কাম নিয়ে শুরু করলেন; আপনাি শুধু খাবারের কথা বলছেন, আমি পড়ছি, দেখছি কামের কথা কখন আসবে? উহা কই গেলো?

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: রসনা বিষয়ক রচনার ফোকাস সরে গিয়ে কামে নিবৃত্ত হওয়াটা কি যথার্থ, হে গুণী?

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সংসার থেকে মুক্তির আশায় গৌতম বুদ্ধ পর্যন্ত পালিয়ে গেছেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: হ্যা। বুদ্ধ লোকটা একটা বুদ্ধু ছিলেন।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

রক বেনন বলেছেন: রসনা বিলাস!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.