নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আফসার নিজাম

আমি একজন মানুষ

আফসার নিজাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুস্থ সুন্দর রাজনীতির সাথে সাংস্কৃতি অর্থনীতি শিক্ষা সব কিছু জড়িত : আবু নাসের মুহাম্মদ আবদুজজাহের

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

প্রশ্ন: বাংলাদেশে সুস্থ্যধারার সংস্কৃতি বিকাশে সুধী সমাজের কিরূপ ভূমিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন?

উত্তর: আসলে প্রথমে দেখতে হবে আমাদের সাংস্কৃতিক ধারাটা বাংলাদেশের মাটি, মানুষ এবং হাজারো বছরের রসম-রেওয়াজ এর সাথে সঙ্গতীপূর্ণ কি না। আমাদের সুধীসমাজের একটি বিরাট অংশ তারা এ ব্যাপারে তাদের কনর্সান প্রকাশ করছেন মিডিয়াতে। বর্তমানে যে সংস্কৃতি চলছে এটা সংস্কৃতির সংজ্ঞাতে পড়ে বলে মনে করি না, একটা দেশের নিজস্ব কতকগুলো গোল থাকে, মেথড থাকে, উদ্দেশ্য থাকে, আদর্শ থাকে, ল্য থাকে, কতকগুলো ভ্যালুজ থাকে, সেসবের দাবি পুরনের জন্য ভিন্ন সংস্কৃতির উন্নত নৈতিকতা গ্রহণযোগ্য কিন্তু এগুলোর সাথে সংস্কৃতির নামে বিভিন্ন জায়গায় যা কিছু হচ্ছে সেগুলোকে গ্রহণ করা যায় না। সে হিসেবে আমি মনে করি আমাদের সুধি সমাজকে প্রথমেই আমাদের সংস্কৃতির একটি প্যাথলজি করতে হবে। এই প্যাথলজিটা হয়ে গেলেই তারপর চিকিৎসাটা সহজ হবে। সে প্যাথলজিতে ধরা পড়বে যে আমরা আমাদের সংস্কৃতিটাকে একটা ককটেল বানিয়ে ফেলেছি কি না এবং আমরা অনুসরণ করছি কি না, কোনো বাছ বিচার ছাড়াই। এতে আমাদের জাতি গড়ে উঠছে কি না, আমাদের যুব সমাজ গড়ে উঠছে কি না, আমাদের পরিবারগুলো গড়ে উঠছে কি না এবং আমাদের দেশে অপসংস্কৃতির ছোবলে আমদের মৌলিক মূল্যবোধ, পারিবারিক মূল্যবোধ, সামাজিক মূল্যবোধ, এগুলো ভযংকররূপে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে কি না, যদি হয়ে থাকে তবে এর থেকে উত্তরণের জন্য গোটা সুধি সমাজকে রাজনৈতিকভাবে তিনি যে পন্থিই হোন না কেনো তাকে বাংলাদেশের স্বার্থে এই বিষয়ে এককভাবে অথবা সামষ্ঠিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আমি মনে করি আমাদের দেশে সংস্কৃতির মূল স্তম্ভ হচ্ছে আমাদের এদেশের মানুষ। আমাদের দেশের মানুষ অত্যন্ত দয়ালু এবং আমাদের এ দেশের সন্তানরা তাদের মা বাবাকে ভালোবাসে, মা-বাপ তাদের সন্তানদের জন্য পরিশ্রম করে। আজ আমাদের দেশে বৃদ্ধাশ্রম হয়েছে, এটা কোনো মুসলিম দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমাদের এ দেশে অধিকাংশ মেয়েরা তাদের যথাযথ সম্মান পায় না। এটা কেনো মুসলিম দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমাদের মায়েরা ড্রাগের পয়সা দিতে ব্যার্থ হওয়ার কারণে ছেলের হাতে মৃত্যুবরণ করে। এর চাইতে কষ্টের, লজ্জার, দুঃখের কারণ হতে পারে না। এগুলো সবই আমাদের সংস্কৃতি থেকে বিচ্চুতির ফল। আমি মনে করি এগুলো থেকে মুক্ত হতে হলে, সামষ্ঠিক উদ্যোগ দরকার এবং এক্ষেত্রে কেনো প্রকার কোনো ভিন্নতা, কোনো প্রকার মতানৈক্য কারোরই থাকা উচিৎ নয়।



প্রশ্ন: কোন কোন বিষয়গুলোকে সামনে রেখে আপনারা বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্র গঠন করেছিলেন?

উত্তর: আসলে বাংলাদেশকে সামনে রেখেই বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্র গঠন করেছিলাম। বাংলাদেশে যতোগুলো বিষয় আছে সবগুলো এর মধ্যে সন্নিবেশিত আছে।



বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্র

প্রশ্ন: দেশজ সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে আমরা কি ভাবে ছড়িয়ে দিতে পারি?

উত্তর: প্রশ্নটা কঠিন, সমাধান সহজ সাধ্য নয়। প্রথম কথা হচ্ছে এই, ধরেন ক্রিকেট খেলা। এটাতো আমরা সেদিন শুরু করলাম। আজ বাংলাদেশের নাম আপনি দুনিয়ার বিভিন্ন মিডিয়াতে শুনতে পাবেন এবং বাংলাদেশের পরিচিতির পিছনে অনেক কিছুর সাথে ক্রিকেট সবচাইতে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমাদের দেশের ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে। আমাদের কাবগুলো এই ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করছে। আমাদের সরকার ক্রিকেটের সাথে ইনভলভ হয়েছে। আজ আমাদের ক্রিকেটাররা এক একটা বলে হিট করছে, বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমিরা তা দেখছে, দেশবাসী, প্রবাসী সবাই বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলছে, দুনিয়াবাসি দেখছে। আমি মনে করি বিদেশে আমাদের যতোগুলো হাই কমিশন আছে এবং আমাদের বাংলাদেশিরা দুনিয়ার যতো জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে, প্রত্যেকেরই নাড়ির টান যেমন বাংলাদেশের সাথে আছে, সাথে সাথে প্রত্যেকের নাড়ির টান, দেশের সংস্কৃতির সাথে থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে আমি আমাদের প্রবাসিদের প্রশংসা করবো তারা যেখানে কাজ করছেন সেখানে তারা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের লোকের চাইতে সুনাম অর্জন করছে, এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে চিরাচরিত আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ তাদের আছে। এটাকে পুঁজি করে একটা কংক্রিট পরিকল্পনা নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আবহমান সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ছড়িয়ে দিতে সাবইকে ইনভলভ করতে হবে দেশে বিদেশে। আর মূল জিনিস হচ্ছে আপনি বাংলাদেশে কি করছেন তার স্ফুরণ সারা দুনিয়াতে কিছু না কিছু ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে যদি আমরা অপসংস্কৃতির চর্চা করি, তাহলে আমরা আশা করতে পারি না ইউরোপ-আমেরিকাতে বা মধ্যপ্রাচ্যে বা আফ্রিকাতে যতো বাংলাদেশি আছে তারা সবাই এটার এ্যাম্বাসেডর হবে বা অন্যেরা এটার এপ্রিসিয়েট করবে। আমি মনে করি সে সবের দিকে তীè দৃষ্টি রাখতে হবে এবং তা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। প্লানিং এক্সিকিউশান এন্ড রিভিউ থাকতে হবে এবং ওয়াচ ডগ হিসেবে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা বিচ্চুৎ হচ্ছি কি না সে বিষয়ে সজাগ থেকে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে এটাই আমি মনে করি। সারা বিশ্বের প্রবাসীদের মধ্যে এই চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।

প্রশ্ন: ইতোমধ্যে সুস্থ্য সাহিত্য সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেশবাসি আপনাকে জেনেছে, বিশেষ করে আন্ত:ফুটবল প্রতিযোগিতায় যে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আগামীতে আপনার কাছ থেকে কি ধরনের সহযোগিতা বা পৃষ্ঠপোষকতা আমরা পেতে পারি।

উত্তর: দেখেন আমাকে এমন বিশেষণে বিশেষায়িত করা হচ্ছে যা আমার প্রাপ্য নয়। এটাও আমাদের দেশের একটি অপসংস্কৃতি। আমরা এতো বেশি জিন্দাবাদ, এতো বেশি উত্তাল হয়ে বলি যে উমুক তুমি এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে। এগুলো করে করে সংস্কৃতিকে বরবাদ করে দিয়েছি। আমি কোনো পৃষ্ঠপোষক নই। এ দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি সেবিরা যে কাজগুলো করছেন এগুলোকে আমি প্রশংসা করি। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরা না থাকলে তাদের সৃজনশীলতা না থাকলে আমরা কিছুই করতে পারতাম না। আমি তো ফুটবলের জন্য কিছু করি নাই। আমার ব্যাংক করেছে। ক্রিকেটের জন্য আমি কিছু করি নাই, আমার ব্যাংক করেছে। সরকার চাইছে এবং সরকার খুব অনেস্টলি এন্ড সিরিয়াসলি চেয়েছে ইসলামী ব্যাংক ক্রিকেটে ইনভলভ হোক। আর যেহেতেু প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিশ্বকাপ খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আমি বাংলাদেশি হিসেবে আমার একটি গৌরবের বিষয় ছিলো, আমার ব্যাংকের লোকেরা অল্প কথাতে বুঝে গেছে এবং উৎসাহিত হয়েছে বলে আমরা অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। স্কুল ফুটবলে আমরা গেলাম কেনো! আমরা দেখলাম আমাদের ছোট ছোট বাচ্চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নেশা করছে, মস্তানী করছে, এখন তো মস্তানের শ্রেণী বিভাগ হয়েছে, এটা এখন বেসরকারী স্কুল, ইউনিভার্সিটিতে পরিণত হয়ে গেছে। এখানে মস্তানরা সর্টিফিকেট দেয় ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়, আমরা চিন্তা করলাম স্পোর্টস ম্যান হিসেবে তাদের মানসিক গঠন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাক। তারা অসংগত জিনিসের সাথে নিজেদেরকে যাতে সম্পৃক্ত না করে। এই অভবটা এখন দারুনভাবে অনুভূত হচ্ছে। আমরা এজন্য স্কুল থেকে শুরু করেছি এবং বিশাল সহযোগিতা পেয়েছি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সংশিষ্ট স্কুলগুলোর হেড মাস্টার, শিক মণ্ডলী, স্কুল কমিটি এবং এলাকার লোকদের সহযোগিতা আমাদের উৎসাহিত করেছে। আমরা অল্প পয়সায় একটা ভালো রকমের সাড়া কুড়াতে সম হয়েছি। এটা আমরা চালিয়ে যাবার চেষ্টা করবো। সুতরাং আমরা এটাকে টোটালি নিতে চাই। কাব্য, সাহিত্য, সংগীত, নাটক ও খেলাধূলা সবই সংস্কৃতির অংশ। আমরা সবাইকে ডাকবো সাবাইকে অনুরোধ করবো, আমরা দেশীয় সংস্কৃতিকে পরিচর্যা, প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে ভিক্ষা করতে রাজি আছি।

প্রশ্ন: রাজনীতি আর সংস্কৃতি একই ধারায় বহমান। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অনেকে রাজনীতিকে সংস্কৃতি থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এর থেকে উত্তোরণের উপায় কি?

উত্তর: আমার মনে হয় রাজনীতিবিদরাই এই প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে পারবেন। আমি রাজনীতিবিদ নই। অষুধ এবং অর্থনীতির যে জগৎ, সে জগতের আমি একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমার মনে হয় বিষয়টি রাজনীতিবিদদেরকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তাঁরা অনুভব করছেন যে সুস্থ সুন্দর রাজনীতির সাথে সাংস্কৃতি অর্থনীতি শিক্ষা সব কিছু জড়িত, ফলে আমার মনে হয় যে তাঁরা শিকড়ের সন্ধান করছেন। যতো দ্রুত তাঁরা শিকড়টা খুঁজে পাবেন ততো দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমি আশা করি তাঁরা খুঁজে পেতে সম হবেন।



ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি.

প্রশ্ন: ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশে আমাদের কি কি করনীয় বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর: আমার দেখা মতে বাংলাদেশের লোকেরা, বিশেষ করে মুসলমানরা তুলনামূলকভাবে ভালো মুসলমান। ইসলামী সংস্কৃতি এই শব্দ দুইটি জনমনে উপস্থিত ছিলো। তবে গত একাত্তুরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বলা যায় ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ শুরু হয়েছে। আগে ইসলামী সংস্কৃতিতে মানুষ অভ্যস্ত ছিলো। প্রত্যেক পরিবারে, প্রত্যেক সমাজে এই সংস্কৃতি চর্চা করতো, পালন করতো, লালন করতো কিন্তু এটার নাম তারা জানতো না। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরা কবিতা লিখে, গান লিখে, নাটক করে তাদেরকে জাগিয়ে তুলেছেন। আমরা আমাদের মর্ডান ভেলুজগুলোকে যদি তুলে ধরতে পারি, যেটার ভিত্তি কুরআন, সুন্নাহ এবং আসহাবে রসূলের জিন্দেগী। আমরা তারই আলোকে এই মূল বিষয়কে সামনে রেখে যদি ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে চেষ্টা করি তবে সেটাই হবে সত্যিকার অর্থে ইসলামী সংস্কৃতির পরিচর্যা। দেশব্যাপী সকল শিল্পী-সাহিত্যিকরা যদি তাদের সৃজনশীল কর্ম তৎপরাতা আরো জোরদার করেন তবে ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ আরো দ্রুত ঘটবে। আপনি বাংলাদেশের একজন স্বীকৃত শিল্পী, নাট্যকার, আপনি রমজান মাসটা দেখেন। প্রত্যেকটা ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে ইফতারীর আগে সেহরীর আগে ইসলামী অনুষ্ঠান হয়েছে। আপনি শুক্রবারের পত্রিকার পাতা দেখেন প্রত্যেক প্রিন্ট মিডিয়াতে ইসলামের উপরে একটা পাতা আছে। আপনি তাদের সবগুলোর সাথে এক মত হবেন না কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমি দেখতে পাচ্ছি, ক্রমাগতভাবে আমি ল্য করছি যে কুরআন এবং সুন্নাহ ভিত্তিক আলোচনা প্রশ্ন উত্তর এগুলো চলছে। তার মানে আপনার মূল জায়গায় ফিরে যেতে হবে, কুরআন এবং সুন্নাহর কাছেই আসতে হবে। সেখানেই হচ্ছে আমাদের পূর্ণজীবনের মূল ঠিকানা; যেখান থেকে আমরা আবার উঠবো। তো সেদিকে লোকেরা এগুচ্ছে আর এগুনোর কারণ আখেরাতের জীবন সম্পর্কে চেতনাবোধ। এদেশের মানুষের মানসিক উৎকর্ষের জন্য যা প্রয়োজন আমাদের সরকার, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, শিকগণ বুঝতে পারছেন এবং আজকের এই সাংস্কৃতিক অবয়ের ব্যাপারে কেউ খুশি না। কোনো চোরেই চুরি করে সন্তুষ্ট না।

প্রশ্ন: আমাদের বেশিরভাগ যোগাযোগ, জ্ঞান, আনন্দ সংগ্রহ, শিক্ষা, সংস্কৃতি এই বিষয়গুলো প্রযুক্তি ছাড়া আমরা পাচ্ছি না, এই প্রযুক্তিকে আয়ত্ব করার উপায় সম্পর্কে আপনার চিন্তা-ভাবনা কি?

উত্তর: আসলে কোনো কিছ্ ুরাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয়। পানি ছিলো এক গ্লাস, আমরা চাচ্ছি এক কলসি পরিমাণ পানি! এটা কি করে সম্ভব! এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করতে হবে, প্লান করতে হবে, কি প্রয়োজন, কি লাগবে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে, অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে উৎসাহিত করতে হবে। কারণ শিল্পী হিসেবে আপনারা জানেন নতুন নতুন প্রযুক্তি কি কি হয়েছে এবং কি ভাবে এটা অগ্রসর হচ্ছে দেশে এবং বিদেশে, আমরা আমাদের সাধ্যের ভিতরে যা আছে এ ব্যাপারে আপনাদেরকে আইনানুগ পন্থায় সহযোগিতা করবো।

প্রশ্ন: আপনি একটি সেমিনারে বলেছিলেন যে নাটক, সিনেমা ছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোকে সর্বজনীন করে তুলতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেমন পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এবং আমাদের দেশজ সংস্কৃতির একটি মেলবন্ধন তৈরি করে তাকে সর্বজনীন করে তোলার উপায় সম্পর্কে আপনার পরামর্শ কি!

উত্তর: এক্ষেত্রে পিস টিভির কথা বলা যেতে পারে, এটা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো, এ সংস্কৃতিকে একটা পার্ট হিসেবে টেকআপ করেছে। পাশ্চাত্যের যা কিছু ভালো তা দ্রুত আয়ত্ব করতে হবে, গ্রহণ করতে হবে, বরণ করতে হবে ধারণ করতে হবে। যা কিছু মন্দ তার থেকে জাতিকে বাঁচাতে হবে। আজ পাশ্চাত্যে যা কিছু বিলাসী জীবনের জন্য প্রয়োজন তার আমদানী এখন কিছুটা কমে আসলেও যা আছে সেটা কমিয়ে আনতে হবে। বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোতে যে শান্তি আছে এ শান্তিটার অভাব পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে আছে। শান্তির অভাব কেনো হয়েছে এটা তারাও জানে আমরাও জানি। তারা স্বীকার করে না। তাদেরকে তাদের অশান্তির কারণগুলো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে হবে। আমার মূল কথা হচ্ছে যে একটা নষ্ট ফলের গোটা অংশ ফেলে না দিয়ে যে অংশটা পঁচেছে সেটাকে আমরা অপারেশন করে ফেলে দিয়ে ভালো অংশটা খেতে পারি। আর সামনে চাষ করার সময় দেখতে হবে ফলে যেনো পোকা না ধরে। এটা আমার দাবি যে পাশ্চাত্যের সাথে এভাবে সেতুবন্ধন রচনা করতে পারা সম্ভব। আর মানদণ্ড হবে আন্ডার ভেলুজ অন দা কুরআন এণ্ড সুন্নাহ। আর কুরআন এন্ড সুন্নাহ সর্বজনীন, সারা পৃথিবীর জন্য এটা কল্যাণকর। ইসলাম সারা পৃথিবীর জন্য কল্যাণকর। সুতরাং এটাকে বাদ দিয়ে আত্মহুতি দিতে আমরা রাজি নই।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে কি কি ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলে আপনি মনে করেন।

উত্তর: প্রথম কথা হচ্ছে খুবই ধৈর্য এবং সহিংষ্ণুতার সাথে এগুতে হবে। আপনি সব কিছুকে যদি না বলেন, তাহলে আপনাকে না বলে দেবে। আমি মনে করি যে মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হলে কবি, সাহিত্যিক , শিল্পীদের পরিপূর্ণভাবে জাগতে হবে। নিখুতভাবে জাগতে হবে। তারপর আদবের সাথে তাদেরকে জাগাতে হবে। সময় লাগতে পারে কিন্তু তারা জাগবেই। তারা জাগবেই।

প্রশ্ন: আপনি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র, আমাদের সংস্কৃতিতে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।

উত্তর: আসলে আমি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র বললে তো অনেক বড় রকমের ক্রেডিট নিতে হয়। বলতে পারেন যে আমি ইংরেজিতে পাশ করেছি। আরো হাজার হাজার লোক লাখো লাখো লোক পাশ করেছে। ইংরেজি একটি ভাষা এবং আন্তর্জাতিক ভাষা, সুতরাং আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে যারা আছেন দেশজ সংস্কৃতিকে সর্বজনীন করতে গেলে ইংরেজি আয়ত্ব করতে হবে। আরবী আল্লাহর ভাষা, কুরাআনের ভাষা, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, এজ আরলি এজ পসিবল, আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মীদেরকে আন্তর্জাতিক ভাষা শিখতে হবে, শিখার চেষ্টা করতে হবে। এর পরে মুসলমান হিসেবে আল্লাহর রসুলের হাদিস অনুযায়ী আরবী শিার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং অত্যন্ত বিস্ময়কর একটা মেসেজ হচ্ছে যে আমাদের দেশের লোক এই সেদিন দেখলাম ৩১% নিচে আছে দারিদ্র, অশিত লোক নাকি তিন কোটি আছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তাদেরকে শিতি করে তোলা হবে। তিন কোটি লোকের মধ্যে আপনি যদি সার্ভে করেন দেখবেন তারা নাম দস্তখত করতে পারে না কিন্তু কুরআন শরীফ পড়তে পারে। দেশের লোকেরা নামাজ পড়ে, কিন্তু নামাজের মধ্যে যে সুরা পড়ছে তার অর্থ জানে না বেশিরভাগ লোক। হ্যাঁ স্বীকার করি অর্থ জানার সুযোগ এতোদিন ছিলো না, কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর তাফসির বাংলা ভাষাতে পাওয়া যাচ্ছে, অর্থসহ হাদিস গ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে। ইসলামি বিশাল সাহিত্য জগৎ এখন হাতের মুঠোয়। ধরুন আপনি অ আ ক খ কিছুই জানতেন না। এখন আপনি বিভিন্ন ভাষা জানেন। আমরা তো সেই লোক যে মুরগির পায়খানাকে হালুয়া মনে করে খেতে যাচ্ছিলাম। আমাদেরকে আমাদের মা রা করেছে। আমরা তো সেই লোক যে আমরা পুকুরের মধ্যে পড়ি সে জন্য আমাদেকে আটকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজকে আপনি বাংলাদেশের একজন নায়ক, লেখক, সাহিত্যিক, একজন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, ব্যারিস্টার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক বলেন যাকেই আমরা বলি না কেনো, তাঁরাতো এগুলো কষ্ট করে অর্জন করেছেন। তেমনি কষ্ট করে আজ সাংস্কৃতিক কর্মীদেরকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখার জন্য বলবো। আর মুসলমান হিসেবে আরবি শেখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা করতে করতে আল্লাহর কাছে যান। আল্লাহ আপনাকে মাফ করে দেবেন। জাতি হিসেবে এই দুটো ভাষা আর আমার মাতৃভাষা এই তিনটার উপর আমরা জোর দিতে চাই, সময় লাগবে কিন্তু আমাদের অর্জন করতে হবে।

প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, মুদ্রণ ও প্রকাশনা মাধ্যম আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতিতে প্রভাব বিস্তারে সাহায্য করবে।

উত্তর: এটাতো তারা করছেই। হুমায়ূন আহমদের কথা ধরুন, কতো বছর পরে একটা লোকের জন্য গোটা জাতি কাঁদলো এটা একটা গৌরব, বিদেশীরা বলে যে এটা বাংলাদেশের জন্য বিস্ময়কর সফলতা। তাদের একটি হুমায়ূন আহমদ ছিলো। তো কতো হুমায়ূন আহমদ কতো জায়গায় লুকিয়ে আছে। এটাকে পেট্রোনাইজ করতে হবে, এটাকে বলতে এই প্রিন্ট মিডিয়া কিংবা প্রিন্টিং লিটারেচার। এই প্রিন্ট মিডিয়া আমাদের এখানে লোকেরা নিজের প্রেরণায় নিজের তাগিদে কেউবা ব্যাবসায়ীক প্রয়োজনে এটার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি নদীতে বিশাল জোয়ার আসার লণ পুরো মাত্রায় বর্তমান।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে ইসলামী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের একটি ভিত্তি আছে এ ব্যাপারে কিছু জানতে চাই।

উত্তর: দেখেন বাংলাদেশের স্থপতি মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের আমলে এক ভদ্রলোক, তার কবিতায় হুজুরে মকবুল সা. এবং অন্যান্য নবীদের ব্যাপারে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়েছিলো কিন্তু শেখ সাহেব এবং বাংলাদেশের জনগণ এই লোকটাকে ঠিকানাবিহীন করে দিলো। বাংলাদেশে সে আসতে পারে না। আরেকজন ভদ্র মহিলা তিনি যাযাবর হয়ে গেছেন। তার মানে এই ঘোড়া বাংলাদেশের ঘোড়া যার পা আছে ইসলাম ও পারিবারিক মূল্যবোধের উপরে। সেই দেশে এই ঘোড়ার পিঠে কোনো আজাজিল সওয়ার হতে পারে না। এটা ইতিহাস প্রমাণ করেছে। আমি এই ব্যাপারে শুধু এতোটুকু বলবো আমি হয়তো দেখে যাবো না কিন্তু বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। ইসলাম এবং ইসলামের বিকাশ, ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। দুনিয়ার মানুষকে ইসলামী অর্থনৈতিক মডেল ইতোমধ্যে আমরা দিয়েছি, আমরা আরো দিবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের দেশ নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। আমরা আশা করি আমরা বুঝতে পারবো আমরা সম্পদটা হারিয়েছিলাম কখন, কোথায় ও কিভাবে। আমরা সেই জায়গায় ফিরে যাবো। সোহরাব রুস্তমকে চিনে নাই, রুস্তম সোহরাবকে চিনে নাই। এই যে নিজের মধ্যে অপরিচিতের ব্যাবধান রচিত হয়েছে এটাকে ঘুচাতে হবে, মেঘ সরে যাচ্ছে, একদিন পরিপূর্ণ চাঁদ আমরা দেখতে পারবো। কাজেই আমরা চোখ বুজে থাকবো না। কারো দুচোখ বুজে থাকবে না। আমি সে আশায় আছি।

প্রশ্ন: সাংস্কৃতিক কর্মীদের সাথে রাজনৈতিক কর্মীদের একটা পার্থক্য আছে। এই পার্থক্যটা কি ভাবে কমিয়ে আনা যায়।

উত্তর: রাজনীতিও একটা সংস্কৃতি। আপনারা প্যাথলজি করে দেখেন যে, কি কি রোগের কারণে পার্থক্যটা হয়েছে সেটা পরিষ্কার করতে হবে। তারপর সেই মতো চিকিৎসা করতে হবে। আমি এতোটুকুর বেশি বলতে চাই না। আসলে রাজনীতিও একটা সংস্কৃতি। তবে রাজনীতি কোনো পেশা নয়। কথায় কথা আসে আমি দেখলাম পাসপোর্টে এক ভদ্রলোকের পেশা কি? রাজনীতি। আমি তো আসমান থেকে পড়লাম রাজনীতি কিভাবে পেশা হয়! রাজনীতি হচ্ছে সেবা। সাংস্কৃতি হচ্ছে সেবা। সাংস্কৃতি হচ্ছে জাগৃতি একটা আন্দোলন। রাজনীতি হচ্ছে এই আন্দোলনটাকে এগিয়ে নিয়ে গোটা মানুষের জন্য একটা শান্তির দেশ গড়ে তোলা। অর্থনীতির মুক্তির দেশ গড়ে তোলা এবং মানুষে মানুষে যে বিরাট ব্যাবধান তাকে কমিয়ে আনা। ওয়ালক্বদ কারনামনা বনিআদাম। আল্লাহ বলছেন, আমি মানুষকে সম্মানিত করেছি, সম্মান দিয়েছি। অতএব মানুষকে তার সম্মানের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

প্রশ্ন: সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের কিভাবে নার্সিং করা যায়।

উত্তর: এই প্রশ্নের জবাবে আমি আপনাকে একটুখানি দুনিয়াটা ঘুরে আসতে বলবো। আপনি বিশ্বসাহিত্য পড়েন, নিশ্চয় পড়েছেন আপনি এবং বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাস যদি দেখেন, আপনি যদি গ্রিক সভ্যতা দেখেন, মিশরীয় সভ্যতা দেখেন, পার্সিয়ান সভ্যতা দেখেন, ভারতীয় সভ্যতা দেখেন, মোঘল সভ্যতা দেখেন, আরব সভ্যতা সংস্কৃতি দেখেন, সব জায়গাতে আপনি দেখবেন, প্রত্যেক সরকার মানে তখনকার রাজা মহারাজা, তারা দেশে এই শিল্পের সাথে সাহিত্যের সাথে গবেষণার সাথে যারা জড়িত অথবা যারা জড়িত হওয়ার মতো যোগ্যতা আছে এটাকে তারা পেস্ট্রোনাইজ করেছে। এখনও দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে আছে, আমাদের দেশেও আছে। আমার তো চোখ জুড়িয়ে যায় যখন আমি দেখি আমার দেশের বাচ্চা ছেলে এবং মেয়েরা কি দারুন প্রশ্ন করছে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে, টেলিভিশনে কাজ করে কি দারুন প্রশ্ন করে। বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়েরা টকশোতে আসে বিভিন্ন বয়সের, এটা বাংলাদেশের অতি নগন্য একজন নাগরিক হিসেবে আমি তাদের সব কথার সাথে একমত না, কিন্তু যে কায়দায় তারা প্রশ্ন করে এটাকে আমি এ্যাপ্রেসিয়েট করি। আমি মনে করি যে, এটা আমাদের সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের মেধা ও প্রতিভার স্বার, এরা নিজেরা এগিয়ে যাওয়া শুরু করেছে এবং সীমিত আকারে হলেও তারা সরকারী সহযোগিতা পাচ্ছে আর বেসরকারী সহযোগিতাটা আমি বলবো, ক্রমাগত এটা বিস্তৃতি লাভ করছে। সব চেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে এই দুটো ফিল্ডে যারা কাজ করছে তাদের আরেকটি যোগ্যতা আমি প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখি যে তারা সহযোগিতা আদায় করে নিতে সম। এর পরেও আমি মনে করি যে আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর, ইন্ডাসট্রিয়াল সেক্টর, বিজনেস সেক্টর, সেক্টর অব কমার্সে যারা জড়িত এবং উল্লেখযোগ্য সৎ ব্যাবসার সাথে যারা জড়িত, আমি বলবো যে প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে যে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের সহযোগিতা করা। যাতে করে এরা আমাদের দেশের মৌলিক মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেম। দেশপ্রেম আমাদের মূল্যবোধের অংশ, এটাকে নিয়ে তারা এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেনো পেছনে ফিরে তাকাতে না হয়। এটা আরো সংঘবদ্ধভাবে হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এ বিষয়টা নিয়ে আমি নিজেও আমাদের ফ্রেন্ডদের লেভেলে কথা বলবো।

প্রশ্ন: সুস্থ্য সাংস্কৃতির বিকাশের জন্য আমাদের নতুন যে প্রজন্ম তাদেরকে আমরা কি কি পন্থায় তৈরি করতে পারি।

উত্তর: সর্বশেষ প্রশ্নটাই আমার কাছে মূল প্রশ্ন। এখানে জন্মের পরে নিশ্চয় আমাদের কানে আজান দেয়া হয়েছে। আবার আমাদের মৃত্যুর পরে জানাজা হবে, অন্য দিকে দেখুন এদেশের গ্রাম-গঞ্জে টিনের ঘর খুবই কম ছিলো, বেশিরভাগ ছিলো খড়ের ঘর, টাকাওয়ালা, লাখপতিও কম ছিলো, তাদের বেশিরভাগ কিন্তু বাল্যশিা পায় নাই, কিন্তু কাপড়ে মোড়োনো একখানা কিতাব সবারই ছিলো, আজো আছে। একুট উপরে রাখা হয়েছে সেটা। কিতাবুল্লাহ কুরানুল কারিম। ঠিক কি না? বিষয়টি বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই, সহজবোধ্য। আমি আমার সমস্ত অন্তর দিয়ে সমস্ত আবেগ দিয়ে, সমস্ত অনুভূতি দিয়ে বলবো আপনি প্রতিদিন পরিবারগুলোকে এ্যাড্রেস করেন এবং প্রতিটি শিশুকে এ্যাড্রেস্ট করেন। সেখান থেকে তাদেরকে গড়ে তুলুন। এটা আমাদের জাতি গঠনের জন্য, আমার সভ্যতার উৎকর্ষের জন্য, আমাদের সংস্কৃতির ব্যাপ্তির জন্য এবং জাতির প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য। সাংস্কৃতিক কর্মী গঠন শুরু করতে হবে মায়ের পেট থেকে বের হওয়ার পরপরই। মায়ের কোলে যখন থাকবে। আপনি আজকের সৌদি আরবদের ইতিহাস পড়েন। তাদের যারা রাষ্ট্র চালায়, তাদের যে কিং তাদের কিন্তু তেমন ডিগ্রি নাই। তাদের বেশিরভাগ প্রিন্স ডিগ্রি নেয় নাই কিন্তু কতোগুলো জিনিস তাদের ঘরেই পড়ানো হয়। তাদের প্রথম এবং প্রধান যে শিা দেয়া হয় তাহলো ইসলামের সুচনা থেকে এ পর্যন্ত ইতিহাস। একই রকম আমাদের এদেশে হিন্দু রাজ-মহারাজারা ছিলো, তাদের সিস্টেম দেখেন, মোঘলদের দেখেন। আপনি শেখ সাহেবের আত্মজীবনীটা পড়ে দেখেন। তার মানে কি? জাতিকে মর্যাদার চেতনায় ফেরাতে হলে ইতিহাসের জ্ঞান দরকার। সুষ্ঠু সুন্দর একটি জাতি গঠন করতে হলে সুস্থ্য সুন্দর সাংস্কৃতিক বিকাশ সাধন করতে হবে আর সেক্ষেত্রে যদি সফলতা চান, একটি দৃঢ় প্রত্যয়ী সাহসী জাতি চান এবং জাতীয় পতাকার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আপোষ যারা করবে না এটা যদি চান তা হলে আপনি শিশু থেকে শুরু করেন। তাহলে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। জাতির স্বপ্ন পুরন হবে। আমাদের সমাজে যে রোগগুলি ঢুকছে সেগুলো বেরিয়ে যাবে। আমি আমার যে ধারনা আমার সমস্ত অজ্ঞতা সহই আমার শিক্ষা-দীক্ষা সীমাবদ্ধতা সহই আপনার এই প্রশ্নগুলির ব্যাপারে যা কিছু অনুভব করি তা আমি প্রকাশ করলাম। পেশ করলাম এর মধ্যে এক আধটিও যদি সঠিক হয় আমি আপনার কাছে দোয়া চাই যাতে আমি নিজেই এর উপর আমল করতে পারি। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

আলহামদুলিল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

স্বাক্ষাৎকার

আবু নাসের মুহাম্মদ আবদুজ্জাহের

(বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্রের সহযোগী সংগঠন ‘লেখিকা প্রাঙ্গণ’ সাহিত্য বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্ত করে। সেই কোর্সের ধারাবাহিকতায় একটি লিটলম্যাগ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। মাননীয় উপ-পরিচলক শেখ আবুল কাসেম মিঠুন-এর অনুরোধে আমি ঐ পত্রিকার জন্য একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি.-এর মাননীয় চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ আবদুজ্জাহেরর। আমি সম্পূর্ণ স্বাক্ষাৎকারের প্রশ্নমালা তৈরি করি আর জনাব শেখ আবুল কাসেম মিঠুন এই প্রশ্নমালার আলোকে ভিডিও স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। পরবর্তিতে আমি এই ভিডিও থেকে অনুলিখন করি

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

মরু বালক বলেছেন:




.
আমি এই ব্যাপারে শুধু এতোটুকু বলবো আমি হয়তো দেখে যাবো না কিন্তু বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.