নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন থেকে লিখব না আর সত্যিকারের কিছু/ বলব না আর, চলব শুধু ছায়ার পিছুপিছু।// সবাই যখন নামছে নীচে, আমার তখন কী দায়? / অন্ধকারের সঙ্গী হলাম—আলোক তোমায় বিদায়।// এখন আমি থমকে রব, জীবন হবে থ-ময়,/ মাথা নেড়ে আজ্ঞে বলেই কাটিয়ে দেব সময়।// মিথ্যেটাকে সত্যি জেনেই করব কারাবরণ—/ এখন থেকে জানবে, হে দেশ, কবির হলো মরণ।//
আকাশ ভেঙে কুশল নিয়ে নামল মুষলধারা
কোন সে গীতের ইঙ্গিতে সব বনল পাগলপারা!
আপিসগুলো হাপিস হলো,
...
আমড়াপাড়ার দামড়া ছেলে কুমড়ো কিনে আনে,
কোত্থেকে এক কুত্তা এসে গোত্তা মারে ডানে!
বাইয়ে ছিল ছাইয়ে ভরা ময়লা ইটের গাঁদা—
সেথায় পড়ে কুমড়োখানা দুমড়ে হলো কাদা।
—কুমড়ো-কাহিনী
...
১.
মুসলিম তুই জেরবার তোর তরবারে আজ জং ধরা,
তোর কলজে-বিহীন ঝলসানো বুকে রক্ত তো...
ধরায় যখন খুন-জখমের জমছে গহিন অন্ধকার,
মানবতার লাশ পঁচেছে—চতুর্দিকেই গন্ধ তার,
মানুষগুলো বনমানুষে বদলে গেছে আপনাতেই,
খেই হারিয়ে নেই হয়েছে শান্তি ও সুখ সেই সাথেই;
ঊষর মরুর ধূসর বুকে আসর যখন শয়তানের
রাসূল তুমি ফুটলে...
আরাকান তোর নিশ্বাসে জ্বলে অবিশ্বাসের বিষ—
চোখ খুলে দেখ মানবতা কেঁদে মরছে অহর্নিশ।
করাল থাবায় দাবানল জ্বেলে সব কিছু করে গ্রাস
পোড়ালি যাদের তাদেরই আবার ট্যাগ দিলি সন্ত্রাস!
আরাকান ওরে, নিষ্ঠুর ওরে, বিষধর লোভী...
জুলফি চেঁছে গরুর সাথে সেলফি দিলি তিনটে দিন;
খড় খাওয়ানোর, চড় খাওয়ানোর পোস্ট দিলি যে অন্তহীন।
হাঁক ছেড়ে তুই করলি প্রচার এই গরু তোর লাখ টাকার।
হায়! বেটা তোর চাপার জোরেই পড়ল...
জীবহত্যা যে মহাপাপ— এটা বলে গেছ তুমি বুদ্ধ;
তোমার নীতিই আগাগোড়া মেনে আরাকান হলো শুদ্ধ!
তোমার রাজ্যে সব জীবই সুখী—কারও নেই কোনও কষ্ট।
মুসলিম কোনও জীব নয় —এটা অবশেষে হলো পষ্ট!
—রোহিঙ্গা
...
আমি কবিতা শিখতে জানি,কবিতা লিখতে জানি
কিন্তু আজগুবি কিছুকে কবিতায় আনতে পারি নে,
কবিতায় টানতে পারি নে।্
হয়তো এই কারণেই আমার কবিতাগুলো কবিতা হয়ে ওঠে নি।
তুমি মেঘ-রঙা এক শাড়ি পরে আবেশী চোখে...
বৃষ্টিমুখর গভীর নিশীথ আকাশ কালো মেঘে
কোন সুদূরের পরশে বায়ু আছড়ে পড়ে বেগে!
মুষলধারায় দিগ্বিদিক
আজ ভুলেছে ঠিক-বেঠিক
বিবশ ধরা কিসের নেশায় জড়ের মতোন জেগে!
চমকে জেগে থমকে গেলাম আজকে গভীর রাতে
হয়নি দেখা কতটা...
কত রাত চলে গেছে কত দিন হয়ে গেল পার
সবুজ ঘাসের বনে দেখা তার পাই নে কো আর
মানুষের হাতে তার পুড়ে গেছে সোনার শরীর
তারাহীন আঁখি তার, ক্ষয়ে গেছে , হয়ে গেছে...
তখন বাংলা ভাষার বিকাশের যুগ।সাহিত্য আর ব্যাকরণ নিয়ে চলছে নতুন-নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা।“বৌ”কে অনেকেই “বউ” লিখছেন।ভাষাচার্য সুনীতিকুমার এই বানান দেখে মন্তব্য করলেন—ছি ছি!শেষ পর্যন্ত বৌ হলো এমন! বউ, তো বৌয়ের মাথায় ঘোমটা...
ঈদের দিনে গরিব-ধনী সকল লোকই সমান,
চাইলে যে কেউ অমনি দেব হাদিস থেকে প্রমাণ।
নেই কোনও ভেদ,নেই কোনও খেদ—এক কাতারে সবাই,
বছর ঘুরে এদিনটাতে পশুত্ব হয় জবাই।
নিয়মমতোই সব ছিল ঠিক ঈদগাহ যখন গেলাম
কোত্থেকে...
দিবস তোদের বশ করেছে দিবস নিয়েই থাকিস
দিবসটাকে সবাই মিলে মাথায় তুলে রাখিস।
একুশ এলেই ঊর্ধ্বশ্বাসে যাস যে শহিদ মিনার
অন্য সময় ছাগল চরে—রাখিস কি তার কিনার?
বৈশাখ এলেই অমনি তো চাস পান্তাভাতে ইলিশ
অন্য...
আজ সিরিয়ার আকাশ কাঁপে,বুকের কাঁপন লেগে!
ইরাক-ইরান বিরান হলো, অশ্রু ঝরে বেগে!
মৃত্যু-জরার আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি
হে দয়াময়, আর কত হায় সইতে বলো পারি!
দুহাত তুলে দুচোখ মুছে— সঙ্গে নিয়ে কফি
তাইতো খোদা, দেখতে...
আমি কত বড় ধর্মপরান,আল্লাহ তালার বান্দা
তুই গাধা তাঁর বুঝবিরে কিছু? ওরে রাস্কেল,আন্ধা
তুই বেয়াদব,বদমাশ তুই—"শিয়া" বলি সেই জন্যই
তুই উন্মাদ, মুনাফিক—নোস মুসলিম বলে গণ্যই!
সারাটি জনম ভণ্ডামি করে লাভ পেলি কয় বস্তা?
দুটো দাঁড়ি...
©somewhere in net ltd.