নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হতে চাই !!! চিল বা কাক নয়

আহমেদ খান

আহমেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কার্টুন ড্রয়িং। আয় এবং ভবিষ্যৎ । ক্যারিয়ার সাজেশন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

নব্বই দশকের মধ্য থেকেই টম অ্যান্ড জেরি, পাপাই, মীনা কার্টুন, ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট, ব্যাটম্যান, সুপারম্যান কার্টুন চরিত্রগুলোর সঙ্গে পরিচয় ঘটে আমাদেরে। সেই টেলিভিশনের কার্টুনগুলোর আগেও পত্রিকার কমিক স্ট্রিপগুলোতে চোখ পড়তো আমাদের। আমেরিকার টারজান আর আমাদের টোকাই চরিত্রের কথা তো এখনও চোখে ভাসে।

তথ্য প্রযুক্তির সুবিধায় ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কার্টুন দেখা যায়। বিদেশী হলিউড কিংবা ইউরোপিয় কার্টুনই এক দশক আগেও ছিল আমাদের বিনোদনের মাধ্যম। সেই ধারা থেকে বাংলাদেশের তরুণরাই এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কার্টুন এঁকেই কাজ করছে ভারত-ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের প্রজেক্টে। নিত্য নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া, উদ্ভাবনী সৃজনশীলতা ডিজিটাল কার্টুন ড্রয়িংকে জনপ্রিয় করছে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্রোজেক্ট, প্রেজেন্টেশন তৈরি, গেমিং, অ্যাপ ডেভলপমেন্টসহ থ্রিডি-ফোরডির উপর বিভিন্ন কাজে কার্টুন একেঁই পেশা তৈরির সুযোগ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০২০ সালের দশকটিতে মানুষ ভিজুয়ালি আরও কানেক্টেড হবে, পড়াশোনার অনেকটাই কিন্তু তখন কার্টুনকেন্দ্রিক হবে বলে মনে করছেন অনেক প্রযুক্তিবিদ। তথ্যপ্রযুক্তির সেই দুনিয়াতে নিজের উদ্ভাবনী শক্তি আর সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ নিতে আপনি কি এখন তৈরি? তৈরি না হলে নিজেকে নিয়ে কিন্তু সেই সময়টাতে পিছিয়ে পড়ে থাকবেন।
আপনি যদি আপনার সৃজনশীল ভাবনাকে কমিক ক্যারেক্টারের মাধ্যমে কার্টুন হিসেবে তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাহলে কার্টুন আঁকিয়ে হিসেবে তৈরি করতে পারেন নিজের নেক্সট ক্যারিয়ার। খুব সাধারণ অর্থে, কার্টুন অ্যানিমেটররা অ্যানিমেশন আর ভিজুয়াল ইফেক্ট নিয়েই এখন কাজ করেন। আগের সেই কলম-পেন্সিলে আঁকার চল এখন বদলে চলে এসেছে ডিজিটালি আঁকার মাধ্যম ওয়াকম কিংবা বিভিন্ন গ্রাফিক টবলেট প্যাডে। ভিডিও গেমস, মুভিজসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্রেজেন্টেশন তৈরির কাজেই ব্যস্ত থাকেন এখনকার কার্টুন অ্যানিমেটররা। টেকনিক্যাল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি না থাকলেও ডিজাইন সেন্স যাদের ভালো, যারা কমিক দুনিয়ার রঙ তৈরি করতে পারেন তারাই চর্চার মধ্য দিয়ে দারুণ কার্টুন অ্যানিমেটর হতে পারেন। হুট করেই তো সকাল বেলা আঁকা শিখতে বসে বিকেলেই মিকি মাউসের মত জনপ্রিয় কার্টুন তৈরি করা যায় না। ওয়াল্ট ডিজনী কিন্তু মিকি মাউস তৈরি করতে সময় নিয়েছিলেন প্রায় ১০ বছর। আপনাকে লেগে না থাকলে কিন্তু দারুণ কোন উদ্ভাবনী কাজ তৈরি হবে না কিন্তু।
কার্টুন অ্যানিমেটর হিসেবে নিজেকে তৈরি জন্য টেকনিক্যাল স্কিল ডেভলপ করার পাশাপাশি কমিক সেন্স তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। খুব দারুণ আর রঙিন আর্টিস্টিক ও কল্পনা বিলাসিতা থাকতে হবে আপনার। কল্পনা করার শক্তিই কিন্তু কার্টুন আঁকতে বসার প্রথম দক্ষতা। কল্পনা নেই তো কাজ নেই, মনে রাখবেন। নিজের উদ্ভট কিংবা অবাস্তব কল্পনাকে বাস্তবের দুনিয়াতে আনার মাধ্যমই কিন্তু কার্টুন।
বই পড়ে, কিংবা বর্তমান দুনিয়াতে কমিক ওয়ার্ল্ডে যা চলছে তার পেছনের গল্প বুঝে নিজের কল্পনার দুনিয়াকে শক্ত করতে তুলুন। যার দুনিয়া যত শক্ত তার এই দুনিয়াতে কাজের সুযোগও কিন্তু অনেক বেশি। আমেরিকায় একজন কার্টুন আঁকিয়ে ৫ বছরের ক্যারিয়ারে বছরে ৭০ হাজার ডলারের বেশি আয় করেন। আর নতুন যে কেউ বছরে ৩০ হাজার ডলার আয় করেন কার্টুন আঁকানো থেকে। বাংলাদেশেও কিন্তু কার্টুন আঁকিয়েদের চাহিদা বাড়ছে। প্রোজেক্ট বেইজড কাজ তো আছেই, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ডিজিটাল এজেন্সির সঙ্গে কাজ করে বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, যার যত বেশি কল্পনার মাত্রা, তার কিন্তু এই পেশায় আয়ও বেশি।
সারা বিশ্বেই কার্টুন অ্যানিমেটরদের হাতেই কিন্তু সিনেমা, টেলিভিশন, ভিডিও গেমস আর বিজ্ঞাপনের গ্রাফিক ইমেজ তৈরি হয়। বাংলাদেশে এক দশক আগেও এসব কাজে দেশের বাইরের অ্যানিমেটরদের ডাক পড়তো। গেল কয়েক বছর ধরেই আমাদের দেশের তরুণরাই কাজ শুরু করেছে দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রোজেক্টের। ঢাকার ধানমন্ডি, গুলশান আর বনানীতেই বেশ কটি কার্টুন তৈরির ওয়ার্ক স্টেশন তৈরি হয়েছে এখন। অবাক হতে পারেন, এসব ওয়ার্ক স্টেশনে কাজ করা তরুণরা সবাই কোন কোন না কোন বিদেশী প্রজেক্টের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। অর্থ আয়টা যেহেতু ডলারেই হয় তাদের, এই পেশার তরুণরা দেশের কাজ করতে কিছুটা অনিচ্ছাইবোধ করেন। আমেরিকা আর ইউরোপে বিনোদনের দুনিয়া বড় হচ্ছে, কার্টুন অ্যানিমেশনের উপর কাজও বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় কাজ আসছে বাংলাদেশেও। এই কাজ আগামী কয়েক দশকে আরও বাড়বে, তৈরি হবে বৈশ্বিক একটি সৃজনশীল বাজার।
ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য। আমাদের কমেন্ট করো , লাইক দিয়ে শেয়ার করো এবং আগামি ভিডিওতে আমাদের সাথে থাকতে অবস্যই সাবস্ক্রাইব করো এখনি। ভালো থাক, সৃষ্টিশীল থাক আর নিজের মনমত পেশায় নিজেকে গড়ে তোল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.