নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাঙ্গনের শব্দে খুজিঁ ধ্রুপদী সুর----

আহমেদ চঞ্চল

বর্তমান ঠিকানা:মিরপুর,ঢাকা।একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছি। লেখালেখি করাই আমার প্রধান কাজ। আপাতত কবিতা ও গল্প ই বেশি লিখছি।

আহমেদ চঞ্চল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি তোমাকে অভিবাদন --------

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১২

তারঁ সম্পর্কে লেখার যোগ্যতা আমার মত এই অধমের নেই। তার সৃষ্টি নিয়ে এত বেশী আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে , তার প্রতিভা সম্পর্কে এত বেশী প্রশংসা করা হয়েছে যে, সেই কাজ গুলি আবার করতে হলে যে পরিমাণ জ্ঞান-গরিমা দরকার তার ছিটেফোটা-ও অর্জন করতে পারিনি।।।

তাই, শুধু একটি ঘটনার বর্ণনা দেই -----

অবিভক্ত বাংলার এক রূপসী জনপদ, চারিদিকে বৃটিশ বিরোধী আণ্দোলনের নিষিদ্ধ গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে, ঝাকড়া চুলের ঘর বিবাগী এক যুবা স্ত্রী-সন্তান সহ আন্দোলনের স্ফুলিংগ ছড়াতে এই জনপদে এসে ভিড়েছে।। যুবার পায়ের তলায় সর্ষে <কবিদের পায়ের তলায় সর্ষে থাকে > বলে কোন জায়গায়-ই বেশীদিন ভালো লাগেনা। এই গ্রাম টা যুবার কাছে খুব ভালো লেগেছে , গ্রামটির নামের ভেতরেও এক ধরনের ভালো লাগা লেগে আছে---“নিশ্চিন্ত পুর”।চৈতালী চাদনীঁ রাতে বজড়া নৌকায় ভাসতে ভাসতে যুবার মন উচাতন হয়ে উঠলো, মাঝি কে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলেন , নদীটির নাম –ভৈরব। যুবা মাঝি কে নৌকা ভেড়াতে বল্লেন। জীবনের নোঙ্গর ফেল্লেন তৎকালীন ভৈরব ঘেষা গ্রাম নিশ্চিন্তপুরে। এই জনপদের প্রাকৃতিক রূপেই পাগলপারা হয়ে বিপ্লবী যুবা রচনা করলেন বিখ্যাত গান:--

“আমার কোন কূলে আজ ভীড়লো তরী , এ কোন সোনার গায়ঁ ?

আমার ভাটির তরী আবার কেন উজান যেতে চায় ??

দু:খের কান্ডারী করি ভাসিয়েছিলাম ভাঙ্গা তরী ----

তুমি ডাক দিলে কে স্বপনপুরী নয়ন ইশারায় ।।।

নিভিয়ে দিয়ে ঘরের বাতি ডেকেছিল ঝড়ের রাতি

তুমি কে এলে মোর সুরের সাথী গানের কিনারায় ?

সোনার দেশের সোনার মেয়ে তুমি হবে কি মোর তরীর নেয়ে

এবার ভাঙ্গা তরী চল বেয়ে রাঙ্গা অলোখায়”

ঘর হারা যুবা নিশ্চিন্তপুর খ্রীষ্টানপল্লীতে প্রায় সাড়ে তিনমাস অবস্থান করেছিলেন। সেই সময়ে “জোস্না” নামক এক খ্রীষ্টান ষোড়শীর সাথে তার প্রণয়ের কথাও প্রচলিত রয়েছে। প্রণয়ের এই খবরের ছিটেফোটা যুবার পত্নীর কানেও চলে আসে। এই কথা শুনে যুবার স্ত্রী একটানা তিন দিন রাগ করে থাকে।। স্ত্রীর এই অভিমান দেখে ছন্নছাড়া যুবা তক্ষণাৎ লিখে ফেল্লেন :---

“বউ কথা কউ, বউ কথা কউ

কউ কথা অভিমানীনি ----

কেদেঁ কেদেঁ সেধেঁ সেধেঁ

জাগি কত যামিনী”

যতদূর জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর অবস্থান কালে ক্ষণজন্মা সেই চীর যুবা-- লিচু চোর কবিতা, একটি উপন্যাসের অংশ বিশেষ সহ বেশ কিছু গান রচনা করেন যা আজ বাংলা সাহিত্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।।।

সেই মহান যুবা হলেন আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি-কাজী নজরুল ইসলাম। আর নিশ্চিন্তপুর হলো বর্তমান বাংলাদেশের চুয়াডাংগা জেলাধীন “কার্পাসডাঙ্গা” <বর্তমানে কার্পাসডাঙ্গা , চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন ।।।>’’



শুভ জন্মদিন –“”প্রিয় কবি” ।।।।।।।।।।।।।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:২২

উদাস কিশোর বলেছেন: কবির জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।
পিলাচ

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৫

খেলাঘর বলেছেন:


মানুষের কবি ছিলেন তিনি।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে যেখানে যা পাই, পড়ি। আজ আপনার এ পোস্ট পড়ে নতুন কিছু জানলাম।

গানটির একটা ইউটিউব লিঙ্ক পোস্টে সংযোজন করে দিলে ভালো হতো।

পোস্টে দ্বিতীয় ভাললাগা। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.