নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতের মাধ্যমেই দেশে জঙ্গি উত্থান!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

বিভিন্ন এনজিও কৌশলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদকে মদদ দিচ্ছে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এজন্য জামায়াতে ইসলামী ও ধর্মীয় উগ্র গোষ্ঠীগুলোকেই দায়ী করছেন তারা। যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতায় মদদ দেওয়া হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের তৎপরতা ও এর পেছনে ইউরোপ-আমেরিকা ফেরত জঙ্গিদের ভূমিকা তুলে ধরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে আরও সক্রিয় ও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গোয়েন্দারা জানান, ব্রিটেনে অবস্থানরত ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর নজরও বাংলাদেশের দিকে। এজন্য তারা যুক্তরাজ্যের বাঙালি কমিউনিটিগুলোর জঙ্গিবাদে অর্থায়নকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণদের আইএসসহ উগ্র জঙ্গি সংগঠনগুলোয় অংশ নিতে প্ররোচিত করছে।

ব্লগার অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার অভিযোগে সর্বশেষ গত ১৮ আগস্ট ঢাকা থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুর রহমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তৌহিদুর রহমান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অর্থের জোগানদাতা। এছাড়া ব্লগার অভিজিৎ ও অনন্ত হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলেও দাবি র‌্যাবের।

এর আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কমলাপুর থেকে ইরাক ও সিরিয়া ভিত্তিক আইএস ও নুসরা ব্রিগেড নামের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সামিউন রহমান ওরপে ইবনে হামদানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। হামদান আইএস ও নুসরা ব্রিগেডের জন্য ‘মুজাহিদ’ সংগ্রহে তুরস্ক হয়ে ঢাকায় আসেন বলে পুলিশকে জানান। তার আগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসিফ আদনান ওরফে জুলকারনাইন এবং ফজলে এলাহী তানজিল নামের দুই জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হামদানকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

হামদান গোয়েন্দাদের জানান, আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আইমান আল জাওয়াহিরির ঘোষণা অনুযায়ী এই অঞ্চলে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তার লক্ষ্য। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি আইএস ও নুসরা ব্রিগেডের হয়ে সিরিয়ায় জিহাদি কার্যক্রমে অংশ নেন বলেও জানান তিনি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আসিফ আদনান ওরফে জুলকারনাইন ও মো. ফজলে এলাহী তানজিলের কাছ থেকে হামদানের খোঁজ পান তারা। আদনান সাবেক এক বিচারপতির ছেলে। আর তানজিলের বাবা সাবেক যুগ্মসচিব। আইএস ও নুসরা ব্রিগেডের জন্য মুজাহিদ সংগ্রহ করতেই হামদান বাংলাদেশে অবস্থান করছিল বলে গোয়েন্দাদের জানান।

প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি আইএস ও নসুরা ব্রিগেডে রয়েছে বলেও মনে করেন গোয়েন্দারা। গত মাসে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ড্রোন হামলায় নিহত আইএস সদস্য ও ব্রিটিশ বাঙালি রুহুল আমিন ও রেয়াদ খান তাদের অন্যতম। এ ছাড়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও হিযবুত তাহরিরসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ধর্মীয় উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ড খুবই উদ্বেগের বিষয়।

যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উগ্রপন্থী দমনে মাঠ পর্যায়ে ব্রিটিশ সরকারের আরও উদ্যোগ নেওয়া উচিত। পূর্ব লন্ডনে জামায়াতের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। তারা টাকা সংগ্রহ করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে।’

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ডিয়ানকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা যথার্থ। সিরিয়া ও ইরাকে আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে যুক্তরাজ্য থেকে যারা যোগ দিচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই বাঙালি। যুক্তরাজ্য থেকে প্রথম ছয়জনের যে গ্রুপ আইএস-এ যোগ দিয়েছিল, তারাও বাঙালি। সেটার নাম ছিল ব্রিটানি ব্রিগেড বাংলাদেশ।

জামায়াতকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের অনুঘটক হিসেবে উল্লেখ করে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে তাদের কর্মকাণ্ডে অনেক উপাদান দেখতে পাই আমরা। ব্রিটেনে বাঙালিদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করার পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করছেন মানবতাবিরোধী অপরাধী চৌধুরী মইন উদ্দিন। ব্রিটেনের বাংলাদেশিদের মাধ্যমে এদেশের তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা সহজ হবে বলেই পরিকল্পিতভাবে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের নাড়ির একটা সম্পর্ক রয়েছে, সেজন্যই তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

পূর্ব লন্ডন মসজিদ-ভিত্তিক ইসলাসমিক ফোরাম ফর ইউরোপ নামের সংগঠনটিরও পরিচালকও মইন উদ্দিন। এটি জামায়াতপন্থী সংগঠকরাই পরিচালনা করেন। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি শারমিনাসহ তিন তরুণীর আইএস-এ যোগ দেওয়ার বিষয়টি যখন আলোচিত হয়, তখন জানা যায়, তারা পূর্ব লন্ডনের মসজিদে ধর্ম বিষয়ে পড়াশোনা করত। তাছাড়া ব্রিটেনের বাংলাদেশিদের মাধ্যমে আইএসএ যাওয়ার ট্রানজিট রুটও হয়ে উঠছে বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

েমাঃ মিন বলেছেন: দেশের মানুষ স্বচোক্ষে কাদের চাপাতি ধার দিতে দেখেছে ?

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

মাকড়সাঁ বলেছেন: চাপাবাজী।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

আহমেদ রশীদ বলেছেন: যত জঙ্গি ধরা পড়ছে তাদের পূর্বের ইতিহাস ঘেটে দেখা গেছে তারা এক সময় জামাতের বড় নেতা ছিলেন বা ছাত্র-শিবির করতেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, জঙ্গি জামাত থেকে উৎপত্তি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.