নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক নজরে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৭

মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মনমতপুর গ্রামে। তাঁর পিতা মরহুম লুৎফর রহমান খান একজন খোদাভীরু লোক ছিলেন। মেধার অধিকারী জনাব নিজামীর নিজগ্রামের প্রাইমারি স্কুল দিয়ে লেখাপড়ার সূচনা হয়ে বিভিন্ন পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।

স্থানীয় বোয়ালমারি মাদ্রাসায় ১৯৫৯ সালে আলিম পরীক্ষায় ১ম বিভাগে সমগ্র বোর্ডে ষোলতম এবং ১৯৬৩ সালে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে কামিল পরীক্ষায় ফেকাহ শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান ও ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন।

মাদ্রাসার ছাত্র থাকা অবস্থায় নিজামী ১৯৬১ সালে জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৬ থেকে তিন বছর পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর একাত্তরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন নিজামী।

জনাব নিজামী ১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জামাতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। এরপর ১৯৮৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ওই পদে থেকে দলের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান নিজামী। গোলাম আযম আমিরের পদ থেকে অবসরে গেলে ২০০০ সাল থেকে নিজামীর নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় জামায়াতে ইসলামী। বর্তমানেও তিনি এই দায়িত্বে রয়েছেন।

জনাব নিজামী পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসন থেকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে জোট সরকার গঠন করলে প্রথমে দুই বছর কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে সরকারের পরের তিন বছর ছিলেন শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্বে। এছাড়াও তিনি সংসদীয় দলনেতা ছাড়াও ৪টি পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য ছিলেন
এক নজরে জামায়াতের ঘৃণ্য ইতিহাস (১৯৪১-২০১৩)



-----------------------------------------------------------------------------

"ইসলাম" শব্দের প্রতি বাঙ্গালী মুসলমানদের অন্যরকম আবেগ জড়িত। আর সেই আবেগের ঘৃণ্য ব্যবহার শুরু হয় ১৯৪১ সাল থেকে। এ বছর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামক একটি ইসলাম বিদ্বেষী দলের জন্ম হয়। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আবুল আলা মওদুদীর (জন্ম ভারতের আওরঙ্গবাদে, বর্তমান হায়দারাবাদ, মহারাষ্ট্র) ব্যাক্তিগত দর্শনই এই দলটার রাজনৈতিক দর্শন। শুধু তাই নয়; জামাতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আবু আলা মওদুদীর পুত্র সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী পাকিস্তানের রয়েল টেলিভিশনে গত ২৮ মে ২০১১ ইং এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জামায়াত ধর্মব্যবসায়ী এবং অত্যাচারী। (তার বিস্তারিত সাক্ষাৎকার দেখুন ৪ পর্বে Click This Link এখানে)। সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী বলেছেন, আমার বাবা কখনও আমাদেরকে রাজনীতির সাথে জড়াতে দেননি। এছাড়া তিনি জামায়াত সম্পর্কে অনেক সত্য উন্মোচন করেছেন এখানে।

জামায়াতের এই প্রতিষ্ঠাতা ইসলাম সম্পর্কেও অনেক নেক্কার জনক কথা বলেছেন। কোরআনের অনেক অপব্যাখ্যা করেছেন যা সর্বজন স্বীকৃত। তার তিনটি নমুনা এখানে তুলে ধরেই আসল কথায় যাবো। তার এসব ধর্মবিকৃতি চেতনা দেখলেই বুঝতে পারবেন তারা আসলে ইসলামের নামে কি করছে।

০১. “গণতন্ত্র বিষাক্ত দুধের মাখনের মত” – মওদূদী, সিয়াসি কসমকস, তৃতীয় খন্ড, পৃঃ ১৭৭

০২. “গণতন্ত্রএর মাধ্যমে কোনো সংসদ নির্বাচনে পার্থী হওয়া ইসলাম অনুযায়ী হারাম” - রাসায়েল ও মাসায়েল । লেখক মওদূদী । প্রথম সংঙ্করণ, পৃষ্ঠা ৪৫০

০৩. “সময়ে সময়ে মিথ্যা বলা শুধু জায়েজই নয় বরং অবশ্য কর্তব্য” – আবুল আলা মওদূদী, তরজমানুল কোরআন, মে ১৯৫৮!

এক নজরে জামায়াতের ঘৃণ্য ইতিহাস (১৯৪১-২০১৩)

১৯৪১- এ বছরের ২৬ আগস্ট লাহোরে “জামায়াতে ইসলামী হিন্দ” নামে দলটা গঠিত হয় । ভারতবর্ষের কম্যুনিস্ট বিরোধী শক্তি হিসেবে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদীদের আশ্রয়ে এই দলটির জন্ম । এখনো ব্রিটিশদের সাথে দলটির সম্পর্ক গভীর । জন্মের সাথে সাথে এরা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধীতা করতে থাকে । মওদূদী ফতোয়া দেন পাকিস্তান রাষ্ট প্রতিষ্ঠার দাবী করা সবাই, মুসলীম লীগ, জিন্নাহ এরা কেউই “খাটি মুসলিম” না । মাথায় রাখেন ৭১ সালেও গণ হত্যার সময় “খাটি মুসলিম” তত্ব ব্যাবহার করা হয়েছে ।

১৯৪২- লাহোর থেকে হেডকোয়ার্টার ভারতের পাঠানকোটে স্থানান্তর ।

১৯৪৩- মাসিক “তরজমানুল কোরআন” ম্যাগাজিনের মাধ্যমে নিজেদের মতবাদ প্রচার করতে থাকে। এই ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় মওদূদী পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে লিখেন, পাকিস্তান নামক কোনো রাষ্ট্রের জন্ম হলে সেটা “আহাম্মকের বেহেশত” এবং “মুসলমানদের কাফেরানা রাষ্ট্র” হবে। *পাকিস্তানের স্বাধীনতার সরাসরি বিরোধীতা করে দলটি।

১৯৪৪- দল দ্রুত সংঘঠিত হতে থাকে । দ্রুত বাড়তে থাকে সদস্য সংখ্যা ।

১৯৪৫- অবিভক্ত ভারতে সর্বপ্রথম কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় ।

১৯৪৬- কয়েকজন আলেমকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়।

১৯৪৭- দেশভাগের সাথে সাথে লাহোরে প্রধাণ কার্যালয় স্থানান্তর । অথচ এর আগে পর্যন্ত পাকিস্তান রাষ্ট গঠনের চরম বিরোধীতা করে। পাকিস্তানে যাওয়ার পর পাকিস্তানের কাশ্মীরের জন্য আন্দোলন করাকে হারাম ঘোষণা দেয়।

১৯৪৮- ইসলামী সংবিধান ও ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা শুরু করে। এর পর পাকিস্তান সরকার জননিরাপত্তা আইনে মওদূদীকে কারাবন্দী করে । *এ বছর পূর্বপাকিস্তানে জামাতের কার্যক্রম শুরু হয়।

১৯৪৯- পাকিস্তান সরকার আগে বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত জামাতের “ইসলামী সংবিধানের রূপরেখা” গ্রহণ করে । পরে পাকিস্তান জামাত প্রভাবিত সংবিধান প্রণয়ন করে ।

১৯৫০- পরের বছর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য ব্যাপক প্রচারণা । মওদূদী জেল থেকে মুক্তি পান ।

১৯৫১- পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ভরাডুবি ।

১৯৫২- গোলাম আজম ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন । পরে ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে এক সংবর্ধণা সভায় তিনি বলেন “উর্দূ পাক-ভারত উপমহাদেশের মানুষের সাধারণ ভাষা। ৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়া তার মারাত্নক ভুল ছিলো। বাংলা ভাষা আন্দোলন মোটেও সঠিক কাজ হয়নি। তিনি এজন্য দুঃখিত” সূত্র : দৈনিক আজাদ ২০ জুন ১৯৭০/ সাপ্তাহিক গণশক্তি ২১ জুন ১৯৭০/ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- ডঃ মোহাম্মদ হান্নান, পৃঃ ৩৯৯

১৯৫৪- গোলাম আজম জামাতে যোগ দেন । প্রথম দিকে পূর্বপাকিস্তানে জামতের অবস্থান মজবুত না থাকলেও, গোলাম আজম যোগ দেওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানে দল চাঙ্গা হয়ে উঠে ।

১৯৫৫- ১৯৪৭ সালে গঠিত “জামায়াত ই তালেবর” নাম পরিবর্তন করে “ইসলামী ছাত্রসংঘ” নামে আত্নপ্রকাশ করে। মাওলানা আবদুর রহীম পূর্ব পাকিস্তানের আমির নির্বাচিত হন (পরে তিনি জামাতের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেন)

১৯৫৬- পূর্ব পাকিস্তানে কার্যক্রম শুরু করে ইসলামী ছাত্রসংঘ।

১৯৫৭- সালে গোলাম আজমকে পূর্ব পাকিস্তান জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল নিজুক্ত করা হয় । আমির ছিলেন মাওলানা আবদুর রহিম ।

১৯৫৮- আইয়ুব খান জামায়াতে ইসলামী সহ সকল দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করে । ১৯৬২ সাল পর্যন্ত এই ফরমান বলবৎ ছিল।

১৯৬২- মুসলিম পারিবার আইন বিরোধীতা কারেন। শিক্ষা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।

১৯৬৩- মুসলিম পারিবারিক আইন নিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ।

১৯৬৪- ৪ জানুয়ারী জামাতের সকল কর্মকান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় । *নিষিদ্ধ হয় জামায়াত । মওদুদী সহ ৬০ জন জামাত নেতাকে গ্রেফতার করা হয় । যার ভিতর গোলাম আজম একজন । অক্টোবরেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় ।

১৯৬৫- নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহর পরাজয় ঘটলে দল কোনঠাসা হয়ে পড়ে।

১৯৬৬- শেখ মুজিবের ৬ দফার বিরোধীতা করে। এই দফাগুলোকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে অখ্যায়িত করে ।

১৯৬৭- শেখ মুজিবের ৬ দফার ভিত্তিতে যখন পূর্ব পাকিস্তানে প্রবল গণ আন্দোলন শুরু হয়, তখন জামাত ৫ দফা নামে আরেকটা আন্দোলন শুরু করে গণ আন্দোলন ব্যাহত করার চেষ্টা করে ।

১৯৬৮- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তান উত্তাল হয়ে উঠে । সারা পাকিস্তানে চরম রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে। এর ভিররই জামাত আইয়ুব খানের আস্থা অর্জন করে নেয় ।

১৯৬৯- গণ অভ্যুথানের সময় রহস্যজনক রাজনৈতিক অবস্থান । গোলাম আজম পূর্ব পাকিস্তানের আমির হন ।

১৯৭০- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫১ আসনে পার্থী দিয়ে ৪ টি আসন জিতে নেয় । সবচেয়ে বেশি আসনে পার্থী দেয় আওয়ামীলীগ এবং তারা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভও করে । তৃতীয় সর্বোচ্চ আসনে (১২০) পার্থী দেয় ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি।

১৯৭১- একাত্তরের জামাত নিয়ে কয়েক লাইনে শেষ করা অসম্ভব । তারপও দুই এক লাইন লিখলাম । ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয় । কয়েকদিন আগে উদ্ধার হওয়া একটা নথিতে দেখা যায় এই কমিটির ১ নম্বর সদস্য হচ্ছেন গোলাম আজম । নথিটা দীর্ঘদিন যাবত পুরান ঢাকার এক ভদ্রলোক সংরক্ষন করেছিলেন । কিছুদিন আগে নথিটা তিনি আন্তর্জাতিক যুদ্ধপরাধ ট্রাইবুনালে জমা দেন । ৩০ জুন লাহোরে গোলাম আজম বলেন তার দল মুক্তিযোদ্ধাদের (দুস্কৃতকারীদের) দমন করার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা চালাচ্ছে । দলের নেতৃত্বে গঠন করা হয় আলবদর রাজাকার । সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আবদুল মালেকের নেতৃত্বে প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয় । জামাতের সাবেক আমীর আব্বাস আলী খান এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন । ১৯৭১ সালে সংঘঠিত ইতিহাসের বৃহত্তম গণহত্যার জন্য দলটা কোনো ক্ষমা চায়নি । বরং গোলাম আজম দম্ভের সাথে জানিয়ে দেন একাত্তরের জন্য তারা অনুতপ্ত নয় । বরং তারা যা করেছে ঠিক করেছে ।

১৯৭২- গোলাম আজমের উদ্যোগে পাকিস্তানে পালিত হয় “পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার সপ্তাহ” এরপর লন্ডন গিয়ে সেখানে “পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধার কমিটি ” নামে একটা কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি বাংলাদেশকে উদ্ধার করে আবার পূর্ব পাকিস্তান করার সর্বাত্নক চেষ্টা চালায়। ডিসেম্বরে সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনে অংশ নিয়ে সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে, এবং যুদ্ধ বিদ্ধস্ত মানুষের সহায়তায় কোনো প্রকার আর্থিক সাহায্য না দিতে আহবান জানান।

১৯৭৩- সরকারী এক আদেশে ৩৮ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয় । এর একজন গোলাম আজম । গোলাম আজম মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো সফর শুরু করেন। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে এবং পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধারে সহায়তা চান। ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস ইসলামিক সোসাইটির সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধারের বিষয়ে বক্তৃতা দেন।

১৯৭৪- মাহমুদ আলী সহ কয়েকজন পাকিস্তানিকে নিয়ে লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধার কমিটির বৈঠক হয় । মক্কায় অনুষ্ঠিত রাবেতায়ে ইসলামীর সম্মেলনে বাংলাদেশ উদ্ধার নিয়ে বক্তৃতা দেন।

১৯৭৫- একাত্তর সালের পর আত্নগোপনে চলে যাওয়া জামাত নেতারা আস্তে আস্তে দেশে ফিরতে শুরু করে । কুখ্যাত যুদ্ধপরাধী শাহ আজিজুর রহমান দেশে ফিরেন । পরে তিনি বিএনপির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন।

১৯৭৬- সরকার এক প্রেসনোটে নাগরিক্ত্ব ফেরত পাওয়ার জন্য ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের আবেদন জানাতে বলেন। গোলাম আজম সাথে সাথে আবেদন করেন এবং প্রত্যাখাত হয়।

১৯৭৭- গোলাম আজম আবারো নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন এবং প্রত্যাখ্যাত হয় ।

১৯৭৮- গোলাম আজম পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে কোনো ভিসা ছাড়াই ১১ জুলাই ঢাকা আসেন । মায়ের অসুস্থতার জন্য মানবিক কারনে তাকে ৩ মাসের অনুমতি দেওয়া হয় । এরপর ৭৮ থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করেন ।

১৯৭৯- ঢাকায় একটা কনভেনশনের মাধ্যমে “জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ” গঠিত হয়। গোপনে গোলাম আজমকে আমীর করে আব্বাস আলী খানকে ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৯৮০- প্রথমবারের মত বায়তুল মোকারমের সামনে জামাতের সভা হয়। প্রকাশ্যে এটাই তাদের প্রথম সম্মেলন।

১৯৮১- জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন “একাত্ততে আমরা যা করেছি ঠিকই করেছি। একাত্তরে বাংলাদেশ কনসেপ্ট ঠিক ছিলোনা”

১৯৮২- রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ যায়গা গুলোতে জামাত দ্রুত প্রবেশ করতে থাকে। কাদের মোল্লা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।

১৯৮৩- দলের রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে ব্যাস্ত থাকে দলটি।

১৯৮৪- জামাতের সাবেক আমির মাওলানা আবদুর রহিম জামাত ছেড়ে ইসলামী ঐক্য (জোট) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
১৯৮৫- এরশাদ সরকারের সাথে দলটার সখ্যতা গড়ে উঠে। কাদের মোল্লা ঢাকা মহানগর আমির নির্বাচিত হয়।

১৯৮৬- এরশাদ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহন করে ১০ টা আসন পায়।

১৯৮৭- সাংঘঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর দিকে মনযোগ দেয়।

১৯৮৮- অনেকদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর জামাতের ছাত্র সংঘঠন শিবির নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া হয়ে উঠে। চট্টগ্রাম রাজশাহী সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের ট্রেডমার্ক রগ কাটার রাজনীতি শুরু করে।

১৯৮৯- তৎপর হয়ে উঠে জামাত। সাংঘঠনিক কার্যক্রম বাড়াতে থাকে।

১৯৯০- এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। টিভিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃরা বক্তৃতা বিবৃতি দেন । জামাতের নেতারাও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে টিভিতে আসেন! সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

১৯৯১- নির্বাচনে রেকর্ড ১৮ টি আসনে জিতে নেয় ! কুলুষিত হয় মহান জাতীয় সংসদ । বিএনপি সরকারের সাথে আপোষে এত আসন পায়। নাগরিকত্বহীন গোলাম আজমকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জামাত আমির ঘোষনা করে।

১৯৯২- বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা জামাতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। বিজেপি বিরোধী আন্দোলন করে গণহারে রাস্তায় নেমে আসে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌচাতে চেষ্টা করে। একই বছর জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি গঠিত হয়। গোলাম আজমকে মৃত্যুদন্ডযোগ্য ঘোষনা করা হয়।

১৯৯৩- গণাদালতের কারনে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। নিজামী কাদেরমোল্লা সাইদী কামরুজ্জামান আব্দুল আলীম সহ আট জনকে মৃত্যুদন্ডযোগ্য ঘোষনা করে।

১৯৯৪- সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে গোলাম আজম জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ফিরে পান ।

১৯৯৫- ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হলেও এবছর জামাত প্রথমবারের মত একদিন হরতাল দেয়।

১৯৯৬- সালে জামাত এবং আওয়ামীলীগ তত্ববধাক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। একসাথে আন্দোলন করেছেন, তবে রাজনৈতিক জোট হিসেবে নয়। নির্বাচনে জামাত একাই লড়েছিল।

১৯৯৭- রাজনীতিতে জামাত শিকড় গেড়ে ফেলেছে। শিবির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল, সাইদী ব্যাপক ভাবে ওয়াজ নসিহত শুরু করেন।

১৯৯৮- বিএনপির সাথে মতৈক্যে আসে দলটি।

১৯৯৯- বিএনপির সাথে ৪ দলীয় জোট গঠন করে । পায়ের নিচে শক্ত মাটি পায়। দেশের মানুষ চুড়ান্ত হতাশ হয়।

২০০০- জামায়াত রাজনৈতিক হাইওয়েতে উঠে যাওয়ায় নিশ্চিন্তে রাজনীতি থেকে অবসর নেন গোলাম আজম। দলের নতুন আমীর হন মতিউর রহমান নিজামী।

২০০১- নির্বাচনে ১৮ টি আসন লাভ করে। এরপর ঘটে জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা। দলের শীর্ষ দুই নেতা নিজামী এবং মুজাহীদ মন্ত্রিত্ব লাভ করে! গাড়িতে উড়ায় জাতীয় পতাকা !!

২০০২- শিকড় বাকড় ছড়াতে থাকে একেবারে ক্ষমতায় থেকে। নেতারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বক্তৃতা বিবৃতি দেন !!

২০০৩- সাইদী ওয়াজ নসিহত চলতে থাকে ।
২০০৪- শুরু করে জঙ্গী তৎপরতা। জঙ্গী দলগুলোর সাথে গড়ে তোলে সুসম্পর্ক । জামাতের আমন্ত্রনে পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর শীর্যস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে আসেন। তারা শিরিরের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন।

২০০৫- নির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে থাকে। শুধুমাত্র ভারতীয় কোম্পানী বলে টাটার ২.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিজামী (উইকিলিকস)

২০০৬- জামাতের তান্ডবময় একটা বছর।

২০০৭- নতুন প্রজন্ম জমাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে থাকে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাতকে নির্বাচন করতে দেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। ২৫ অক্টোবর মিডিয়ায় কাদের মোল্লা বলেন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছেন নারী এবং সম্পত্তির লোভে ! দেশ ক্ষোবে ফেটে পড়ে।

২০০৮- নির্বাচনে জামতের লেজেগোবরে অবস্থা। শুধুমাত্র যুদ্ধপরাধীদের বিচার হবে এজন্য তরুন প্রজন্মের ভোটে আওয়ামীলীগের বিপুল ব্যাবধানে জয়লাভ।
২০০৯- মহান জাতীয় সংসদে একজন সংসদ সদস্য যুদ্ধপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব পেশ করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

২০১০- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়। গ্রেপ্তার হতে থাকে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা। জনগন আশাবাদী হয়।

২০১১- দেশ বিদেশে ট্রাইবুনালের নামে অপপ্রচার চালাতে থাকে। একই সাথে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে চলতে থাকে আন্তর্জাতিক লবিং।

২০১২- দেশপ্রেমকে পুঁজি করে সীমিত সামর্থ নিয়ে চলতে থাকে বিচার কার্যক্রম। চলতে থাকে দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ।

২০১৩- যুদ্ধাপরাধীদের একেরপর এক ফাঁসির আদেশ দেওয়ার বছর। এই লেখা তৈরি করা পর্যন্ত (মার্চ ২০১৩) তিনটি রায় হয়েছে। তার মধ্যে দুই জনের ফাঁসি এবং এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

পরিশেষের অপেক্ষায় বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোস্ট।
বাকিটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


জামাতের সব আমীরের ফাঁসী বা জেল হয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই ঘটবে।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: দুনিয়ার বিচারই শেষ না!!

সত্যিকারের বিচার হবে আল্লাহ তায়ালার আদালতে। তখন দেখা যাবে কে অপরাধী আর কে ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ।

নিজামী সাহেব যদি সত্যিকারের অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহর আদালতেও পুনরায় এর বিচার হবে।আর যদি উনি নির্দোষ হয়ে থাকেন তাহলে তাকে যারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হত্যা করার চেস্টা করছে তাদের কঠিন বিচার হবে আল্লাহ তায়ার আদালতে,ইনশা'আল্লাহ।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: @রিফাত আপনার জন্য কোন সান্তনার বানী নেই, দুঃখিত

লেখক নিজামির খুব সুন্দর একখান ছবি দিলেন আপনি। অনেক সন্মানের সাথেই তার জীবন বর্ণনা দিলেন।

উনি রাজাকার কিনা সেটা একটু বলে দিলে ভালো হতো রিফাত সাহেবের জন্য, তিনি কন্ফিউজড

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

আহমেদ রশীদ বলেছেন: মুসলমান মাসলমান ভাই ভাই। এক ভাই আরেক ভাইকে হত্যা করে কিভাবে ? সেই পাকিস্তানি জারজ সন্তানরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট জনবলকে হত্যা করেছিল কেন আমার বুজে আসে না। আর এতদূর থেকে এসে তারা কারো সহায়তা ছাড়া এটা করতে পারেনি। যারা সাহায্য সহযোগিতা করে এদেশের মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। আজ তাদেরই বিচার হচ্ছে। যাদের মা-বাবা-ভাই-বোনকে হারিয়েছিল আজ তারাই সঠিক বিচার উপলব্ধি করছে। বাকিরা তামাশা ভাবছে।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। ভালো লাগলো।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

আহমেদ রশীদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১

বিপরীত বাক বলেছেন: নিজামী কে ঝুলতে হবে শিল্প মন্ত্রণালয়ে র বারোটা বাজানোর জন্যে।।
পুরো জামাতিকরণ করেছিল মন্ত্রণালয় টাকে। ব্রেন ওয়াশ করেছিল।

পরে ওই নিজামী শালার বুদ্ধি বুমেরাং হয়ে ফিরে এসে পুরো চারদলীয় জোটকেই উড়ায়া দিছে। এর প্রতিফল ২৮-১০-২০০৬ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ভোগ করে যাচ্ছে এবং যাবে।
কেউ কোথাও কোনই কাজে আসেনি মাদারচোদ নিজামী র।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

কামরুল হাসান বলেছেন: উপস্হাপন চমৎকার। কিন্তু মিথ্যার ছড়াছড়ি। একটা ছোট উদাহরণ দিই। ২০০৬ সালে জামায়াত না আওয়ামী তান্ডব ছিল। কারা লগীবৈটা দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ পিঠিয়ে হত্যা করেছে। আগরতলা কি কোন মিটিং হয়নি।মিটিং এ অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বীকার করেছে। আর একদলের সাথে আরেক দলের রাজনৈতিক বিরোধীতা বিশ্বের সব গণতান্তিক রাস্ট্রে আছে। আর আপনি যেভাবে লিখছেন এভাবে ইতিহাস টানলে দেখাযাবে প্রত্যেকেরই স্বিদ্ধান্তে প্রচুর ভুল আছে। ইতিহাস নিয়ে যারা লিখেন তাদের আরো বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিৎ।বরং পর্যালোচনা করলে দেখা যায় রাজৈনতিক অংগনে তারা মিথ্যার চর্চা করেনি। আর মন্ত্রী হিসাবে তারা ছিল দূর্নীতিমুক্ত ও সফল।আর মুক্তিযুদ্ধে তারা যদি প্রকৃত দোষী হয়ে থাকে তবে প্রচলিত আইনে তাদের শাস্তীর আওতায় আনা যেত। এরজন্য এমন ঘৃণ্য ট্রাইবুনালের প্রয়োজন হতো না।আর বিপরীত বালক সাহেব নিজের পরিচয় নিজে তুলে ধরেছেন।

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ সকল তথ্যাদির জন্য, ফাঁসি ওদের জন্য কম সাজা হয়ে যায় বৈকি!!

১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো নিজামী সম্পর্কে।

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

চ্যাং বলেছেন: একটা বিষয় ক্লিয়ার না, আমার নিকটে-

মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই এরা নিজেদের নারকীয় তান্ডবলীলা দেখানো শুরু করে, দেশ ও মানুষের শত্তুর হিসেবে নাম লেখায় কিন্তু তাদের এইসব গুনকীর্তি স্বাধীনতার পর থেকে নাই কেন?

আমি তো পত্রিকার পাতা খুললে যুবলীগ, ছাত্তরলীগের সন্ত্রাস, মানবাধিকার লংঘনের খবর দেখি। এইখানে তো জামাত শিবি্বিরের নিউজ থাকার কথা।

ঠিক আছে, পেট্রোলবোমা মারছে জামাত। তাইলে পুলিশের নিকটে কেন পেট্রোল বোমা পাওয়া গেল? আমরা আমজনতা বৈদেশে বসেও ঠিকই আন্দাজ কইরা নিই কি ঘটতেছে দেশে।

এইসব কানমন্ত্র দিয়া চলতো নো।

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

একটি বস্তুনিষ্ঠ লেখা। লেখককে অভিনন্দন...


//বিপরীত বাক বলেছেন: নিজামী কে ঝুলতে হবে শিল্প মন্ত্রণালয়ে র বারোটা বাজানোর জন্যে।।
পুরো জামাতিকরণ করেছিল মন্ত্রণালয় টাকে। ব্রেন ওয়াশ করেছিল।//

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:২০

ফাস্টার বলেছেন: বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে যেখানে দুর্নীতির ছড়াছড়ি, সেখানে ব্যাতিক্রম হিসেবে সৎ, দুর্নীতিমুক্ত মন্ত্রী হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও জনাব আলী আহসান মুজাহিদ সাহেব। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা এত অন্যায় অত্যাচার (!) করলো, আশ্চর্যের বিষয় স্বাধীনতার আগে ও পরে তাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম মানবতাবিরোধী অপরাধের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়না। মতাদর্শের মিল নাই থাকতে পারে, তাই বলে এত মিথ্যাচার করা ঠিকনা। বাংলাদেশে আজ যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে সকল অন্যায়-অরাজকতা জায়েজ করে নেয়া হচ্ছে, সেখানে মানুষ আজ বুঝতে শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামীর সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দই আজ দেশ পরিচালনার জন্য অধিকতর উপযোগী। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জামায়াতে ইসলামীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পাওয়া তাই নির্দেশ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.