নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ :এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

আর্থ-সামাজিক বিবিধক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সত্য, তেমনি সত্য যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রসর হতে হবে, আরও অনেক বেশি। বাংলাদেশ কতগুলো জায়গায় যেমন সুনাম কুড়িয়েছে, তেমনি কতগুলো ক্ষেত্রে এখনও পিছনে পড়ে আছে। পিছনে পড়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়, তার নাম রাজনীতি। বাংলাদেশে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে কয়েক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে এলেও রাজনীতির উন্নয়নে তিনি তেমনটা সফলকাম হতে পারেননি। বাংলাদেশের রাজনীতি পঙ্কিল আর অপুষ্টির জায়গা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। আর না পারার পিছনে অনেকগুলো শক্ত কারণ ছিল। সেই শক্ত কারণগুলো ভেদ করে রাজনীতিকে তার সুন্দর পথে ধাবিত করার কাজটি কখনও সহজ ছিল না। বিশেষ করে অশুভ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগও অনেকবার হোঁচট খেয়েছে। শেখ হাসিনা এখানে তেমন করে সফল হতে পারেননি এখনও। ইতিহাসের বিচারে তাকে টিকে থাকতে গেলে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তিনি উপেক্ষা করতে পারবেন না। এটা বোধগম্য যে, জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় চলা রাজনীতিকে সঠিক পথে আনার কাজটি সহজ নয়। বার বার মার্শাল ল’র আঘাতে বাংলাদেশের রাজনীতির চেহারাটা একেবারে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। সামরিক শাসন যে রাজনীতির কতটা ক্ষতি করতে পারে, তা বোধ হয় সহজেই বুঝা যাবে পাকিস্তানের দিকে তাকালে। বাংলাদেশের রাজনীতি অঙ্গনে জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ নতুন ধরনের রাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বাংলাদেশ এখনও সেই রাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। জিয়াউর রহমানের ধারাবাহিকতায় এখনও রাজনীতি করে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি। নির্বাচন দিয়ে নিজেকে পাস করে আনার একটি নীতি ছিল জিয়া ও এরশাদের রাজত্বকালে। ভোট তখন দিতে হতো না, ভোট পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ কোন বাক্সে কত ভোট পড়বে তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখতেন। এমন একটি অবস্থার মধ্যেও ১/১১-এর ঘটনা প্রবাহের পর পরিস্থিতি হঠাত্ করেই পাল্টে গিয়েছিল। ভোট প্রদানের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেছিল তখন এদেশের জনগণ। সদ্য বিদায়ী বিএনপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির বদনাম তখন বিএনপি’র সমর্থন হ্রাস করেছিল। বিকল্প হিসেবে জনগণের কাছে একমাত্র উত্তর ছিল আওয়ামী লীগ। তাই শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসার সুযোগ পেয়েছিল।

যুদ্ধ ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল। একদিকে উন্নয়নের যুদ্ধ, আর অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের নির্মূল করার যুদ্ধ। দু’টি যুদ্ধতেই শেখ হাসিনার সরকার জয়ী হয়ে গেল। বাধা-বিপত্তি এতো বেশি ছিল যে, প্রায়ই মনে হতো এই বুঝি তার শেষ। কিন্তু না, তিনি এগিয়ে গেলেন। যুদ্ধাপরাধের কলঙ্ক থেকে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বই বাংলাদেশকে মুক্ত করার কাজটি করে দেখাল। কিন্তু তারপরও না পাওয়ার বেদনা রয়েই গেল। রাজনীতি তার নীতিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারল না। কয়েকবার চেষ্টা করেও তিনি রাজনীতি অঙ্গনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। তার দেয়া নির্বাচনগুলো ত্রুটিমুক্ত হতে পারল না। বিশেষ করে ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনাকে একটি কলঙ্কময় অধ্যায়ই উপহার দিয়ে গেল। সেই ধারা এবং বৃত্ত থেকে আজও শেখ হাসিনার সরকার বেরিয়ে আসতে পারেনি। তবে পাশাপাশি এটাও চরম সত্য যে, খালেদা জিয়ার রাজনীতি এবং দল সরকারকে কখনও সাহায্য করেনি। সুস্থ রাজনীতিকে অসুস্থ করে রাখার যাবতীয় প্রয়াস ঘটিয়েছে বিএনপি এবং জামায়াত একযোগে। সহযোগিতার বিন্দুমাত্র চিহ্ন ছিল না তাদের রাজনীতিতে। কিন্তু তারপরও এটাই সত্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে নীতিভ্রষ্ট জায়গা থেকে উদ্ধার করে একটি সুস্থ পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে যে বিশাল আয়োজন প্রয়োজন, সেই আয়োজন থেকে জামায়াতকে বাদ দেয়া সম্ভব হলেও বিএনপিকে বাদ দেয়া সম্ভব নয়। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে এই সত্যটি বিশ্বাস করতে হবে, অনুভব করতে হবে এবং ধারণ করতে হবে। রাজনীতির শেষ কথা দেশের জনগণ। সেই জনগণকে কাছে পেতে রাজনীতিকে সেবামূলকভাবে জনগণের কাছে উপস্থাপন করার কোনো বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলকে যতটাই ছাড় দেয়া যাবে, রাজনীতির আসল জায়গা হয়তো ততোটাই লাভ করার সম্ভাবনা জাগবে। রাজনীতির খেলায় জয়ী হতে চাইলে সরকারকে রাজনীতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এই উন্নতি আসতে পারে দু’ভাবে- প্রথমতঃ নিজেদের রাজনীতিতে সর্বাঙ্গভাবে নীতি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং রাজনীতিকে জনগণের দোরগোড়ায় টেনে নিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়তঃ বিরোধী দলের রাজনীতিকে সহ্য করে নিতে হবে, তাদেরকে যথাসম্ভব ছাড় দিতে হবে। পুলিশ দিয়ে রাজনীতি চেনার পরিবর্তে রাজনীতি দিয়ে অন্যের রাজনীতি চেনার চেষ্টা করতে হবে। আর্থ-সামাজিক বিবিধক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সত্য, তেমনি সত্য যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রসর হতে হবে, আরও অনেক বেশি। বাংলাদেশ কতগুলো জায়গায় যেমন সুনাম কুড়িয়েছে, তেমনি কতগুলো ক্ষেত্রে এখনও পিছনে পড়ে আছে। পিছনে পড়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়, তার নাম রাজনীতি। বাংলাদেশে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে কয়েক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে এলেও রাজনীতির উন্নয়নে তিনি তেমনটা সফলকাম হতে পারেননি। বাংলাদেশের রাজনীতি পঙ্কিল আর অপুষ্টির জায়গা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। আর না পারার পিছনে অনেকগুলো শক্ত কারণ ছিল। সেই শক্ত কারণগুলো ভেদ করে রাজনীতিকে তার সুন্দর পথে ধাবিত করার কাজটি কখনও সহজ ছিল না। বিশেষ করে অশুভ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগও অনেকবার হোঁচট খেয়েছে। শেখ হাসিনা এখানে তেমন করে সফল হতে পারেননি এখনও। ইতিহাসের বিচারে তাকে টিকে থাকতে গেলে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তিনি উপেক্ষা করতে পারবেন না। এটা বোধগম্য যে, জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় চলা রাজনীতিকে সঠিক পথে আনার কাজটি সহজ নয়। বার বার মার্শাল ল’র আঘাতে বাংলাদেশের রাজনীতির চেহারাটা একেবারে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। সামরিক শাসন যে রাজনীতির কতটা ক্ষতি করতে পারে, তা বোধ হয় সহজেই বুঝা যাবে পাকিস্তানের দিকে তাকালে। বাংলাদেশের রাজনীতি অঙ্গনে জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ নতুন ধরনের রাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বাংলাদেশ এখনও সেই রাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। জিয়াউর রহমানের ধারাবাহিকতায় এখনও রাজনীতি করে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি। নির্বাচন দিয়ে নিজেকে পাস করে আনার একটি নীতি ছিল জিয়া ও এরশাদের রাজত্বকালে। ভোট তখন দিতে হতো না, ভোট পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ কোন বাক্সে কত ভোট পড়বে তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখতেন। এমন একটি অবস্থার মধ্যেও ১/১১-এর ঘটনা প্রবাহের পর পরিস্থিতি হঠাত্ করেই পাল্টে গিয়েছিল। ভোট প্রদানের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেছিল তখন এদেশের জনগণ। সদ্য বিদায়ী বিএনপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির বদনাম তখন বিএনপি’র সমর্থন হ্রাস করেছিল। বিকল্প হিসেবে জনগণের কাছে একমাত্র উত্তর ছিল আওয়ামী লীগ। তাই শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসার সুযোগ পেয়েছিল।

যুদ্ধ ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল। একদিকে উন্নয়নের যুদ্ধ, আর অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের নির্মূল করার যুদ্ধ। দু’টি যুদ্ধতেই শেখ হাসিনার সরকার জয়ী হয়ে গেল। বাধা-বিপত্তি এতো বেশি ছিল যে, প্রায়ই মনে হতো এই বুঝি তার শেষ। কিন্তু না, তিনি এগিয়ে গেলেন। যুদ্ধাপরাধের কলঙ্ক থেকে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বই বাংলাদেশকে মুক্ত করার কাজটি করে দেখাল। কিন্তু তারপরও না পাওয়ার বেদনা রয়েই গেল। রাজনীতি তার নীতিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারল না। কয়েকবার চেষ্টা করেও তিনি রাজনীতি অঙ্গনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। তার দেয়া নির্বাচনগুলো ত্রুটিমুক্ত হতে পারল না। বিশেষ করে ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনাকে একটি কলঙ্কময় অধ্যায়ই উপহার দিয়ে গেল। সেই ধারা এবং বৃত্ত থেকে আজও শেখ হাসিনার সরকার বেরিয়ে আসতে পারেনি। তবে পাশাপাশি এটাও চরম সত্য যে, খালেদা জিয়ার রাজনীতি এবং দল সরকারকে কখনও সাহায্য করেনি। সুস্থ রাজনীতিকে অসুস্থ করে রাখার যাবতীয় প্রয়াস ঘটিয়েছে বিএনপি এবং জামায়াত একযোগে। সহযোগিতার বিন্দুমাত্র চিহ্ন ছিল না তাদের রাজনীতিতে। কিন্তু তারপরও এটাই সত্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে নীতিভ্রষ্ট জায়গা থেকে উদ্ধার করে একটি সুস্থ পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে যে বিশাল আয়োজন প্রয়োজন, সেই আয়োজন থেকে জামায়াতকে বাদ দেয়া সম্ভব হলেও বিএনপিকে বাদ দেয়া সম্ভব নয়। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে এই সত্যটি বিশ্বাস করতে হবে, অনুভব করতে হবে এবং ধারণ করতে হবে। রাজনীতির শেষ কথা দেশের জনগণ। সেই জনগণকে কাছে পেতে রাজনীতিকে সেবামূলকভাবে জনগণের কাছে উপস্থাপন করার কোনো বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলকে যতটাই ছাড় দেয়া যাবে, রাজনীতির আসল জায়গা হয়তো ততোটাই লাভ করার সম্ভাবনা জাগবে। রাজনীতির খেলায় জয়ী হতে চাইলে সরকারকে রাজনীতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এই উন্নতি আসতে পারে দু’ভাবে- প্রথমতঃ নিজেদের রাজনীতিতে সর্বাঙ্গভাবে নীতি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং রাজনীতিকে জনগণের দোরগোড়ায় টেনে নিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়তঃ বিরোধী দলের রাজনীতিকে সহ্য করে নিতে হবে, তাদেরকে যথাসম্ভব ছাড় দিতে হবে। পুলিশ দিয়ে রাজনীতি চেনার পরিবর্তে রাজনীতি দিয়ে অন্যের রাজনীতি চেনার চেষ্টা করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.