নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক দিনে দুই কোটি টাকার ফুল বিক্রি

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উৎসব সামনে রেখে যশোরের গদখালী পাইকারি হাট থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুই কোটি টাকার ফুল সরবরাহ হয়েছে। এই ফুল গেছে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা প্রভৃতি বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম প্রথম আলোকে এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমিতির চালান দেখে ফুল বিক্রির এই হিসাব করা হয়েছে। আর ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ফুলের বাজার চড়া যাচ্ছে। তাঁর মতে, গত ছয় দিনে গদখালী থেকে সারা দেশে অন্তত ১০ কোটি টাকার ফুল সরবরাহ হয়েছে।
গদখালী হাটে গতকাল সকালে গিয়ে দেখা গেছে, গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা—এসব ফুলের স্তব থরে থরে সাজানো রয়েছে। সেখান থেকে দূরদূরান্তের পাইকারেরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ফুল কিনে ট্রাকে ও ট্রেনে করে এবং যাত্রীবাহী বাসের ছাদে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে ভালো দাম পেয়ে যশোর অঞ্চলের ফুলচাষিদের মুখে ফুটেছে চওড়া হাসি। তাঁদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও বেশ খুশি।
বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি গোলাপ ৯ থেকে ১০ টাকা, জারবেরা ১২ থেকে ১৫ টাকা, গ্লাডিওলাস ৫ থেকে ১১ টাকা ও রজনীগন্ধা ৩ টাকা পাইকারি দরে বেচাকেনা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার গাঁদা ফুল।
গোলাপ ফুল চাষি সাহেব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে প্রতিটি গোলাপ ৯ টাকা দরে বিক্রি করেছি। সাড়ে সাত হাজার গোলাপ তুলে বাজারে এনেছিলাম। নিমেষেই তা বিক্রি হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিনই খেত থেকে গোলাপ কাটা হচ্ছে। চাহিদাও ভালো। দামও বেশ ভালো পাচ্ছি।’
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে গদখালী বাজারে ফুল কিনতে আসা ব্যবসায়ী স্বপন বিশ্বাস বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে এক লাখ টাকার ফুল মজুত করব। আজ (গতকাল) ২০ হাজার টাকার ফুল কিনেছি। দুদিনে আরও ৮০ হাজার টাকা ফুল কিনব। যেকোনো ধরনের ফুলের গোড়া বালতির পানিতে ভিজিয়ে রাখলে অনায়াসে তিন-চার দিন সজীব রাখা যায়।’
প্রতিদিনই ভোর ছয়টা থেকে গদখালীতে পাইকারি ফুলের হাট বসে। একটু বেলা হতে না হতেই অর্থাৎ রোদ উঠতে না উঠতেই এ হাটের কেনাবেচা শেষ হয়ে যায়। সে জন্য পাইকার ও ব্যবসায়ীরা আগের দিনই এ হাটের আশপাশে এসে অবস্থান করেন।
পাবনা থেকে আসা ফুল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে গদখালীতে ফুল কিনতে আসি। সূর্যের আলো ফোটার আগেই বাজার বসে যায়। যে কারণে এক দিন আগে এসে থাকতে হয়।’
ভালোবাসা দিবসে গোলাপের চাহিদা বরাবরই বেশি থাকে। গতকালও গদখালী পাইকারি মোকামে গোলাপের আমদানি ও চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। বিক্রেতারা জানান, মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি তাদের গ্রাহকদের শুভেচ্ছা জানাতে গতকাল ৭৫ হাজার গোলাপ ফুল নিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, গতকাল তিন লাখ গোলাপ কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে মুঠোফোন কোম্পানি রবিই নিয়েছে ৭৫ হাজার গোলাপ। তিনি বলেন, ভালোবাসা দিবসে গোলাপের চাহিদাই বেশি থাকে। তবে এ দিবসটি ঘিরে অন্য ফুলেরও ব্যবহার বাড়লে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি শুভেচ্ছা জানানোর ধরনেও বৈচিত্র্য আসবে।
যশোর অঞ্চলে কী পরিমাণ জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য দুটি তথ্য রয়েছে। ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতির মতে, এ বছর ৯০০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে। এর সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর যশোর জেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে।’ তিনি বলেন, গদখালী থেকে ফুলের চাষ এখন কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা ও চৌগাছা প্রভৃতি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। [বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উৎসব সামনে রেখে যশোরের গদখালী পাইকারি হাট থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুই কোটি টাকার ফুল সরবরাহ হয়েছে। এই ফুল গেছে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা প্রভৃতি বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম প্রথম আলোকে এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমিতির চালান দেখে ফুল বিক্রির এই হিসাব করা হয়েছে। আর ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ফুলের বাজার চড়া যাচ্ছে। তাঁর মতে, গত ছয় দিনে গদখালী থেকে সারা দেশে অন্তত ১০ কোটি টাকার ফুল সরবরাহ হয়েছে।
গদখালী হাটে গতকাল সকালে গিয়ে দেখা গেছে, গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা—এসব ফুলের স্তব থরে থরে সাজানো রয়েছে। সেখান থেকে দূরদূরান্তের পাইকারেরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ফুল কিনে ট্রাকে ও ট্রেনে করে এবং যাত্রীবাহী বাসের ছাদে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে ভালো দাম পেয়ে যশোর অঞ্চলের ফুলচাষিদের মুখে ফুটেছে চওড়া হাসি। তাঁদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও বেশ খুশি।
বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি গোলাপ ৯ থেকে ১০ টাকা, জারবেরা ১২ থেকে ১৫ টাকা, গ্লাডিওলাস ৫ থেকে ১১ টাকা ও রজনীগন্ধা ৩ টাকা পাইকারি দরে বেচাকেনা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার গাঁদা ফুল।
গোলাপ ফুল চাষি সাহেব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে প্রতিটি গোলাপ ৯ টাকা দরে বিক্রি করেছি। সাড়ে সাত হাজার গোলাপ তুলে বাজারে এনেছিলাম। নিমেষেই তা বিক্রি হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিনই খেত থেকে গোলাপ কাটা হচ্ছে। চাহিদাও ভালো। দামও বেশ ভালো পাচ্ছি।’
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে গদখালী বাজারে ফুল কিনতে আসা ব্যবসায়ী স্বপন বিশ্বাস বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে এক লাখ টাকার ফুল মজুত করব। আজ (গতকাল) ২০ হাজার টাকার ফুল কিনেছি। দুদিনে আরও ৮০ হাজার টাকা ফুল কিনব। যেকোনো ধরনের ফুলের গোড়া বালতির পানিতে ভিজিয়ে রাখলে অনায়াসে তিন-চার দিন সজীব রাখা যায়।’
প্রতিদিনই ভোর ছয়টা থেকে গদখালীতে পাইকারি ফুলের হাট বসে। একটু বেলা হতে না হতেই অর্থাৎ রোদ উঠতে না উঠতেই এ হাটের কেনাবেচা শেষ হয়ে যায়। সে জন্য পাইকার ও ব্যবসায়ীরা আগের দিনই এ হাটের আশপাশে এসে অবস্থান করেন।
পাবনা থেকে আসা ফুল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে গদখালীতে ফুল কিনতে আসি। সূর্যের আলো ফোটার আগেই বাজার বসে যায়। যে কারণে এক দিন আগে এসে থাকতে হয়।’
ভালোবাসা দিবসে গোলাপের চাহিদা বরাবরই বেশি থাকে। গতকালও গদখালী পাইকারি মোকামে গোলাপের আমদানি ও চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। বিক্রেতারা জানান, মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি তাদের গ্রাহকদের শুভেচ্ছা জানাতে গতকাল ৭৫ হাজার গোলাপ ফুল নিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, গতকাল তিন লাখ গোলাপ কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে মুঠোফোন কোম্পানি রবিই নিয়েছে ৭৫ হাজার গোলাপ। তিনি বলেন, ভালোবাসা দিবসে গোলাপের চাহিদাই বেশি থাকে। তবে এ দিবসটি ঘিরে অন্য ফুলেরও ব্যবহার বাড়লে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি শুভেচ্ছা জানানোর ধরনেও বৈচিত্র্য আসবে।
যশোর অঞ্চলে কী পরিমাণ জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য দুটি তথ্য রয়েছে। ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতির মতে, এ বছর ৯০০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে। এর সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর যশোর জেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে।’ তিনি বলেন, গদখালী থেকে ফুলের চাষ এখন কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা ও চৌগাছা প্রভৃতি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: ভালবাসা দিবস উপলক্ষে কৃষকদের কিছুটা আয় বেড়েছে। এটা ভাল লক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.