নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই হার মেনে নেওয়া কঠিন

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

খুবই দুঃখজনক এই হার। তীরে এসে তরি ডুবল। মুশফিকের দুটি বাউন্ডারিতে শেষ ওভারের শঙ্কা অনেকটাই দূর হয়ে যাওয়ার পরও এই হার মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু মেনে নিতে হবে। এটাই ক্রিকেট।
টি-টোয়েন্টিতে এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের দলের জন্য নতুন। শেষ দিকে অতিরিক্ত উত্তেজনায় ভোগাটা তাই স্বাভাবিক এবং আমার কাছে সেটাকেই হারের কারণ মনে হচ্ছে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের মতো সিনিয়র ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকার পরও কেন এ রকম হবে, সেটাই আমার প্রশ্ন। এই হার আমাদের জন্য বড় একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে।
শেষ বলে ম্যাচের নিষ্পত্তি হলে আসলে কিছু বলার থাকে না। আবার চাইলে অনেক কিছুই বলা যায়। আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলা, মাশরাফিকে আগে পাঠানো—এসব সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি আমার।
টসের সময় টেলিভিশনে দেখে বোঝার উপায় ছিল না গত ম্যাচের উইকেটের সঙ্গে কালকের ম্যাচের উইকেটের পার্থক্য কী ছিল। পরে বুঝলাম, এই উইকেটে টসে জিতে ভারতের মতো দলকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানানো কতটা সাহসী কাজ ছিল। সম্ভবত টুর্নামেন্টেরই সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্তটা নিলেন আমাদের অধিনায়ক।
কাল ফিল্ডিং সাজানোটা ছিল অসাধারণ। আরও ভালো লেগেছে বোলারদের সে অনুযায়ী বল করতে দেখে। ভারতের ব্যাটসম্যানদের বারবারই ফিল্ডারদের কাছে বল পাঠাতে বাধ্য করছিলেন তাঁরা। শুভাগত হোমের কথা আলাদা করে বলতে হয়। ভারতের বিপক্ষে নতুন বলে বল করার সাহসই শুধু দেখাননি তিনি, অধিনায়কের প্রত্যাশা মিটিয়েছেন দারুণভাবে। শুভাগতর সবচেয়ে বড় সাফল্য বিরাট কোহলির উইকেট নেওয়া। ওই সময় কোহলিকে ফেরানো না গেলে হয়তো আমরা ভারতকেও ১৪৬ রানে আটকাতে পারতাম না।

কাল সবার বোলিংই প্রশংসা পাওয়ার মতো ছিল। লাইন-লেংথ ঠিক রাখার পাশাপাশি উইকেটের সুবিধা নেওয়ার কাজটাও তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছেন। মাশরাফির বোলিং দেখে ভালো লেগেছে। মুস্তাফিজের কথা না বললেই নয়। তাঁকে নিয়ে ভারতীয় শিবিরে নিশ্চিতভাবেই বিশেষ দুশ্চিন্তা ছিল। আমাদের বাঁহাতি তরুণ পেসার তাঁর সে চেহারা ভালোভাবেই দেখালেন।
ফিল্ডিংও আগের ম্যাচের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। ফিল্ডার সৌম্য সরকার তো প্রতি ম্যাচেই নিজেকে একটু একটু করে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রতি ম্যাচেই একটা না একটা দুর্দান্ত ক্যাচ নিচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে কালকেরটিই আমার চোখে সেরা।
সাকিবকে খুব স্বতঃস্ফূর্ত মনে হলো মাঠে। উইকেট পাওয়ার পর তাঁর যে উদ্যাপন দেখলাম, মনে হয়েছে ম্যাচটা তিনি জিততেই মাঠে নেমেছেন। পরে ব্যাট হাতেও দেখলাম আগ্রাসী মূর্তি। ফিল্ডিং সাজানো থেকে শুরু করে সবকিছুতেই দলের সঙ্গে সাকিবকে অনেক বেশি সম্পৃক্ত মনে হয়েছে।
ব্যাটিংয়ে তামিমের কাছ থেকে আরেকটু ধৈর্য আশা করেছিলাম। পুরো টুর্নামেন্টে যেভাবে খেলে এসেছেন, ভেবেছিলাম ভারতের বিপক্ষে হয়তো আরও বেশি কিছু দেবেন। কিন্তু ফিল্ডিং ছড়িয়ে দেওয়ার পর যখন সিঙ্গেল নেওয়া খুব সহজ ছিল, তখন জাদেজাকে ওভাবে ডাউন দ্য উইকেটে খেলার কোনো দরকার ছিল না। বল একটু নিচু হলেও জায়গায় দাঁড়িয়ে খেললে ওটা তিনি ব্যাটেই পেতেন।
সবচেয়ে দুঃখজনক ছিল সাব্বিরের আউট। ধোনি স্টাম্প ভেঙে দিয়ে যে সুযোগটা নিয়েছেন, খেলায় এই অভ্যাসটাকে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। কিন্তু ধোনি দেখালেন একজন উইকেটকিপারকে কেন এই অভ্যাসটা রপ্ত করতে হয়।
সবশেষে আবারও বলি, এমন হার মেনে নেওয়া কঠিন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: তারপরও মেনে নিতে হবে

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

আহমেদ রশীদ বলেছেন: হুমম! হারজিততো থাকবেই তবুও এগিয়ে যেতে হবে। তবে ভাবতে হবে ‘‘ আগের টিম, আর এখনকার টিম’’ ঠেলা আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.