নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন কার দিনে এ প্লাস পাওয়া অনেক সহজ! কিন্তু কেন ?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬


এখন কার দিনে এ প্লাস পাওয়া অনেক সহজ । তিন মাসের কোর্স শুধু সাজেশন মুখস্ত করলেই এ প্লাস । কিন্তু যে ছেলে,মেয়ে শর্ট কাট ওয়ে তে না গিয়ে বই খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ে এ প্লাস পায় তারাই এক সাথে চুয়েট,বুয়েট, মেডিকেল, ঢাবি, চবিতে টিকে যায় এবং তারা বেছে নেয় কোনটা তে পড়বে তারা । আর তারা এক স্থানে ভর্তি হওয়ার পরে অন্যান্য ওয়েটিং এ থাকা শর্ট কাট ওয়েতে এ প্লাস পাওয়ারা ভর্তি হওয়ার হালকা চান্স পায় ।

আমাদের সময়ে জিপিএ ৩ পেলে প্রথম আলোতে খবর আসতো । ক্লাস সেভেন এইটের কথা বলছি । "গরীব মেধাবি ছাত্রী সৎ মায়ের ঘরে অত্যাচার সত্যেও জিপিয় ৩.২৫ ।

আর এখন জিপিএ ৫ ছাড়া গোনার টাইম নাই । কিন্তু এখানে একটা কিন্তু আছে । যে ছেলে টা অথবা মেয়েটা কোচিং সাজেশন না পড়ে ওই জিপিএ ৩ পায় তার কাছে শর্ট কাট ওয়েতে জিপিএ পাওয়াদের দাম নেই । চাকরী ক্ষেত্রে নিজেদের সৃজনশীলতা দেখানোর সামরথ রাখে কোচিং সাজেশন না পড়ুয়ারা । আর শর্ট কাট জিপিএ পাওয়ারা সারা জীবন অন্যকে অনুসরন করার চেষ্টা করে । নিজের কোনো উদ্ভাবনী শক্তি থাকেনা ।
আজ দেখলাম ২০০৯ সালে জিপিএ ৩.২৫ পাওয়া লোক টা এখন নেতৃত্ব দেয় শর্ট কাট ওয়েতে জিপিএ ৫ পাওয়া লোকদের ।

মূলত ছাত্র জীবন শুধু জিপিএ ৫ পাওয়ার জন্য নয় , বর্তমান ছাত্র জীবনের মূল উদ্দেশ্য সৃজন শীলতা অর্জন করা । কেননা এই যুগে কপি পেস্টের যুগ নয় । নিজের ভেতরের স্বত্বা কে বের করে কাজে লাগানোই টাই চ্যালেঞ্জ । যা সবাই পারেনা । যা পারে ওই ছেলে আর মেয়েটাই যে সাজেশনের ওপর নির্ভর করেনি । অন্ধকারে ঢিল মেরে যতটুকু পারুন পড়ুন , সাজেশন দিয়ে এ প্লাস পাবেন আর কোথাও চান্স পাবেন না । চাকরী ক্ষেত্রেও উন্নতি পাবেন না এই জিপিএ ফাইভ দিয়ে লজ্জ্বা ছাড়া কিছু পাবেন না ।

বিঃদ্রঃ এটা শুধুই আমার মতামত । ভুল বলে থাকলে আপনার মতামত ও জানাবেন ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জি পি এ ৫ পাওয়ার আর এক টি সহজ উপায় আছে সেটা হলো প্রশ্ন পত্র ফাস এর বিষযটি । প্রায়তো শুনা যায় প্রশ্র পত্র ফাস হয়ে গেছে । ফাস হ ওয়া প্রশ্ন কত সংখক চাত্রছাত্রীর হাতে ব্যপকভাবে পৌঁছায় তার খবর তো আর হদিস করা যায়না । তাই ভর্তীর জন্য ছাত্র ছাত্রীদের জিপিএ পয়েন্টকে খুব বেশী গুরুত্ব না দিয়ে শতকরা ৯০ ভাগ ভর্তী পরীক্ষার রিজাল্টের উপর বাকী ১০ ভাগ স্কুল কলেজের রিজাল্টের উপর গুরুত্ব দিলে মনে হয় ছাত্রছাত্রীদের বেশী করে পাঠ্য বিষয়ের সকল ক্ষেত্র গুলিতে ভাল করে মনোযোগ দিতে প্রবৃত্ত করবে ।
আপনার পোস্টের বক্তব্যের সাথে সহমত । সত্যিকারভার যারা পড়াশুনা করে নিজস্ব মেধার ভিত্তিতে জিপিএ পেয়েছে তাদের প্রতি রয়েছে শ্রব্দা ,তাদের শুভেচ্ছা জানাই । তারা ভর্তী পরিক্ষা সহ জীবনের সর্বক্ষত্রেই ভাল করবে সে বিশ্বাস আছে ।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

খোলা মনের কথা বলেছেন: প্রতিদিন মাংস খেলে যেমন রুচি নষ্ট হয়ে যায় তেমন জিপিএ-৫ এতো ছড়াছড়ি যে তার কোন প্রতি রুচি হারিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। আমাদের সময় সমস্ত স্কুলে ১ থেকে ২ জন জিপিএ-৫ পেত। কোন কোন বছর পেত না। তখন কার সময় জিপিএ-৫ এর যে স্বাদ সেটা বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা সারাজীবন লেখাপড়া করেও সে স্বাদ পাবে না। এ স্বাদ নষ্টর পিছনে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দায়ী। ধন্যবাদ গঠনমুলক লেখার জন্য আহসান ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.