নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রনির জগতে স্বাগতম

আমি আহসান রনি। লিখতে খুবই ভালবসি। আমার চিন্তাভাবনা এখানে খুঁজে পাবেন।

আহসান রনি

আমি আহসান রনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ছি। আমি দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করছি ফিচার রিপোর্টার হিসেবে।

আহসান রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুমিয়ে পড়া মানবতা জাগবে কবে?

১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

তুমি কখনোই মানবতার উপর থেকে তোমার আস্থা হারিও না। কারণ মানবতা হলো সমুদ্রের মতোই বিশাল। - কথাটি বলেছেন ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী। অসম্ভব ভাল কথা। কিন্তু যখন আমরা এক হাজারের বেশি মানুষকে একটি বিল্ডিংয়ের দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে মরে যেতে দেখি তখন মানবতার উপর একটু হলেও আস্থা হারাতে বাধ্য হই। ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ১,১০০ জনেরও বেশি পোশাক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ এরপর ২ বছর
অতিবাহিত হতে চলেছে৷ কিন্তু আমরা কি কোন পরিবর্তন দেখেছি আমাদের গার্মেন্টসগুলোতে? রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দুই বছরকে সামনে রেখে একটি জরিপ চালানো হয়৷ এই জরিপের খাতিরে বিভিন্ন কারখানার দুই হাজার শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে৷ জরিপের তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে গার্মেন্টস পরিদর্শক জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স সম্পর্কে ৯২ শতাংশ শ্রমিক কিছুই জানেন না বা বোঝেন না, ৮০ শতাংশ শ্রমিক গার্মেন্টসের
বিকল্প থাকলে এ পেশা ছেড়ে দিতেন৷ শ্রমিকরা আনন্দের সঙ্গে
গার্মেন্টসের কাজ করতে ছুটে আসছে, বিষয়টি তা নয়৷ এ খাতে এখনো শ্রমিকদের জীবন ও কর্মপরিবেশ নিম্নমানের – এমনকি বর্বরোচিত৷ কিন্তু গাধার মতো খেটে দিনশেষে পেটে কিছু খাবার যেন পড়ে, গ্রামের বাড়িতে থাকা পরিবারকে সামান্য কিছু আর্থিক সাহায্য দিতে পারার আশায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। এটি তো গেল বর্তমান শ্রমিকদের কথা। কিন্তু দুই বছর আগে যে সহস্রাধিক শ্রমিককে আমরা হারিয়েছি তাদের পরিবার কি তাদের পরিবারেরর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হারানোর পর বেচে থাকার মতো যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠনের কথা শুনেছি যারা নানা সময় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন, অনেকে ফান্ড সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু দেখা গেছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দুই বছর পরও শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের নিয়মিত চিকিত্সা ও পুনর্বাসন, দায়ীদের শাস্তির মত বিষয়ে এখনো সুরাহা হয় নি৷ রানা প্লাজার ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা, ক্ষতিপূরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করা, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা
অপসারণ, কারখানা পরিদর্শনকারী দল অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও
জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কমিটির (এনটিপিএ) কাজে সমন্বয় আনা,
কারখানা সংস্কার কার্যক্রম কার্যকরভাবে সমাপ্ত করা, বিদেশী ক্রেতারা (বায়ার) পোশাকের উচিত মূল্য দেয়া হচ্ছে না এখনো। তাহলে!!! দেখা গেল ১১০০ মানুষকে মরতে দেখেও আমাদের টনক নড়লো না। তাদের হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার তো করতে পারলামই না, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ কাজের ক্ষেত্রও তৈরী করতে পারলাম না। মানবতা যেন প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, মানবতা এখন শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ, শুধু বিখ্যাত মানুষের উক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। এখন ১১০০ মানুষের হত্যাকান্ডকেও মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়, তাদের হত্যাকারীর বিচার হয় না তবুও মানুষ কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। মানবতা হয়তো এখন মানুষের মনের অভ্যন্তরে গুমড়ে পড়ে থাকে। এই ঘুমিয়ে পড়া মানবতা মানুষের মনে জেগে উঠবে কবে??
সেই দিনের জন্য অপেক্ষা......।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.