নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ার ইচ্ছা ছিল খোকনের। এইচ এস সি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে পাশ করার পর সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভাইভার জন্য ডাক পেল। ভাইভা বোর্ডে তাকে প্রশ্ন করা হলোঃ ‘তুমি কি মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের নাম শুনেছ?’
‘জি স্যার, শুনেছি।’
‘তাহলে বলো তো মওলানা ভাসানী কে ছিলেন?’
খোকন চটপট জবাব দিল, ‘তিনি বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় ছিলেন। তাই তার মৃত্যুর পর তার নামে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে।’
ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকদের মধ্যে ডীনও ছিলেন। তিনি আবার ছাত্রজীবনে মওলানা ভাসানীর খুব ভক্ত ছিলেন। ন্যাপ বা ছাত্র ইউনিয়ন না করলেও ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা লং মার্চের সময় তিনি তাতে অংশগ্রহণ করে মওলানা ভাসানীর সাহচর্যে আসার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। জীবনের এই স্মরণীয় ঘটনার কথা মনে হলে আজও তিনি পুলক অনুভব করেন। কিন্তু ভর্তিচ্ছুক ছাত্রের উত্তর শুনে তাঁর ভিরমি খাওয়ার দশা হলো। অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে বোবা দৃষ্টি বিনিময় করে তিনি গম্ভীর মুখে খোকনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি ভাসানী নভো থিয়েটারের নাম শুনেছ?’
‘জি স্যার, শুনেছি।’
‘ওখানে কি করা হয়?’
খোকন মাথা চুলকে বললো, ‘ওই যে নাটক টাটক হয় না! মঞ্চ নাটক! থিয়েটারে মঞ্চ নাটকই তো হয় স্যার।’
‘তুমি বললে, মওলানা ভাসানী বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় ছিলেন। তাহলে মঞ্চ নাটকের থিয়েটারের সাথে তাঁর নাম এলো কিভাবে?’
খোকন একগাল হেসে বললো, ‘তিনি যে একজন নাম করা মঞ্চ অভিনেতাও ছিলেন, স্যার। তার পার্ট করা অনেক হিট নাটক আছে।’
ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা সবাই চুপ। তাঁরা সবাই একযোগে অবাক হয়ে খোকনের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন দেখে খোকনের অস্বস্তি বোধ হলো। সে মাথা নিচু করে পরবর্তী প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। পরবর্তী প্রশ্ন হলো এরকমঃ ‘তোমার এস এস সি ও এইচ এস সির রেজাল্ট কি?’
‘জিপিএ ফাইভ, স্যার। এ প্লাস।’
‘তুমি কি গাঁজা খাও?’
‘কি বললেন, স্যার?’
‘তুমি কি গাঁজা খাও? অথবা ফেন্সিডিল?’
‘ছিঃ ছিঃ স্যার, এসব খাবো কেন? আমাদের বংশে এসব কেউ খায় না।’
‘তাহলে হেরোইন বা ইয়াবা?’
‘ছিঃ ছিঃ।’
এই খোকন হলো সিটি মেয়র আলাউদ্দিন মিয়ার ভাগ্নে। তিনি আবার ক্ষমতাসীন সরকারি দলের ডাকসাইটে নেতা। একই সাথে একজন অনলবর্ষী বক্তাও বটে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া খোকনের জন্য সমস্যা হলো না। ভর্তি হবার ছয় মাসের মধ্যে খোকন দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে ফেললো। ক্ষমতায় মামা ধামা থাকলে যা হয় আর কি! সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনে নাম লিখিয়ে খোকন একটি মাঝারী গোছের পদ বাগিয়ে নিয়ে ছাত্রনেতা বনে গেল। আর তার ক্লাসের সব চেয়ে সুন্দরী ছাত্রী ইশিতাকে সে ভালোবেসে ফেললো। ইশিতা হলে সিট পাচ্ছেনা শুনে সে ভীষণ বিচলিত হয়ে তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে একদিন প্রভোস্টের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। ছাত্রী হলের প্রভোস্ট মনোয়ারা বেগমের প্রায় শ্লীলতাহানির দশা। সিট বরাদ্দ দেওয়া তার কাজ নয়-এ কথা বার বার বলেও তিনি রেহাই পেলেন না। শাড়ি ব্লাউজ ছিঁড়ে, কপাল কেটে, চশমা ভেঙ্গে তাঁর শিক্ষকের চেহারা ভিক্ষুকের মতো হয়ে গেল। এই ঘটনায় মামলা মোকদ্দমা হলো। লাঠি, বন্দুক আর প্লাস্টিকের ঢাল নিয়ে পুলিশ দৌর্দন্ড প্রতাপে ক্যাম্পাসে টহল দিতে লাগলো। তিন দিনের মধ্যে তারা খোকনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনের কিছু নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে নানারকম মামলা দিয়ে তাদের কোর্টে চালান করে দিল। বিজ্ঞ হাকিম তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মিডিয়ার লোকদের ডেকে জানালেন, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাকে ক্ষমা করা হবে না। এক ডজন মাইক্রোফোনের সামনে থুঁতনি পর্যন্ত ঢেকে যাওয়া ছবিসহ তাঁর এই বলিষ্ঠ প্রতিশ্রুতির খবর টিভি চ্যানেলগুলো বার বার প্রচার করতে লাগলো।
অচিরেই ভিসির এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখা গেল। মনোয়ারা বেগমকে প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়ে নিজেরাও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন। ভিসি, প্রো-ভিসি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
খোকন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করে বীরবিক্রমে শ্লোগান দিতে লাগলো, আব্দুল হাইয়ের চামড়া, তুলে নেব আমরা (আব্দুল হাই প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনের নেতা এবং এই ঘটনায় পলাতক)। শিক্ষক সমিতির সরকার সমর্থক সদস্যরাও মিছিল করে শ্লোগান দিলেন, প্রতিরোধের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়। দুটি মিছিলের সামনে পেছনে এসকর্ট করে পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিল। অন্যদিকে কিছু নিরীহ ছাত্র ছাত্রী প্রভোস্ট মনোয়ারা বেগমকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মিছিল করে মিনমিনে গলায় শ্লোগান দেবার চেষ্টা করলে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিল।
প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনের সমর্থক এক ছাত্রীর সিট বরাদ্দ বাতিল করে কর্তৃপক্ষ সেটি ইশিতার নামে বরাদ্দ দিল। ছাত্রীটিকে হল থেকে বের করে দেবার সময় মেয়েদের মধ্যে চুল ছেঁড়াছেঁড়ি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলো। ছাত্রীটি কাঁদতে কাঁদতে রিক্সা বোঝাই করে বিছানা বালিশ ও বইপত্র নিয়ে চলে না যাওয়া পর্যন্ত খোকন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ছাত্রী হলের সামনে টহল দিতে থাকলো। ছাত্রীটির ছেড়ে যাওয়া সিটে নিজের বিছানা বালিশ পেতে হেলান দিয়ে ইশিতা মোবাইল ফোনে খোকনকে দখল পর্ব সম্পন্ন হওয়ার খবর দেয়ার পর তারা বিজয় উল্লাস করতে করতে স্থান ত্যাগ করলো।
চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত থাকায় খোকনের ফার্স্ট ইয়ারের পরীক্ষা ভালো হল না। এদিকে দেশে সংসদ নির্বাচন হয়ে ফলাফল ঘোষণার পর গনেশ উল্টে গেল। আব্দুল হাই কোমরে রিভলবার গুঁজে হিন্দি সিনেমার ভিলেনের মতো বীরবিক্রমে দলবল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়লো এবং পুলিশ পাহাড়ায় হল দখলের উৎসবে মেতে উঠলো। রামদা’, চাপাতি ও হকি স্টিক নিয়ে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেল। দুটো লাশ পড়ে গেল। দিনভর এ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজে ক্যাম্পাস কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগলো। রাতভর গুলি বিনিময়ের পর খোকন ও তার বাহিনী ক্যাম্পাস ছাড়া হলো। পরদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিসীমানায় তাদের আর দেখা গেল না। বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেল।
হলগুলো সহ পুরো ক্যাম্পাস থেকে একদল মৃত ও জীবিত নেতা নেত্রীর ছবিওয়ালা পোস্টার তুলে ফেলে আর একদল মৃত ও জীবিত নেতা নেত্রীর ছবিওয়ালা পোস্টার টানিয়ে দেওয়া হল। ইশিতাকে টেনে হিঁচড়ে হল থেকে বের করে দেওয়া হল। তার মতো অনেক ছাত্র ছাত্রী হল থেকে বহিস্কার হলো। তাদের কাউকে কাউকে হলের দোতলা তিনতলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হলো।
তবে ইশিতা বুদ্ধিমতি মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সে পার্লারে গিয়ে সাজগোজ করে আব্দুল হাইয়ের সাথে দেখা করলো। বললো, ‘ভাইয়া, আমি তো কোন দল করিনা। আমার ব্যাপারটা কি একটু দেখবেন, প্লিজ!’
আব্দুল হাই ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। সবে সেকেন্ড ইয়ারে ওঠা একটি সুন্দরী মেয়ের এমন আকুল আবেদন তার মতো একজন সিনিয়র ছাত্রের হৃদয়ে আঘাত না করেই পারে না। সে ভর্তি বানিজ্য ও টেন্ডারবাজির পাশাপাশি অবশ্য কর্তব্য বিবেচনায় ইশিতাকে আবার সসম্মানে হলে তুলে দিল। এতে ইশিতা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ক্লাসে যাওয়া আসার পথে আব্দুল হাইকে হাই, হ্যালো ইত্যাদি লাভ সিগন্যালসহ মুক্তোঝরা হাসি উপহার দিয়ে ঋণ শোধ করার চেষ্টা করতে লাগলো।
এদিকে মনোয়ারা বেগম আবার প্রভোস্ট পদে ফিরে এলেন। তিনি নতুন ভিসি, প্রো-ভিসি ও শিক্ষক সমিতির একাংশের সহযোগিতায় ছয় মাস আগের সেই লাঞ্ছনার ঘটনায় খোকনসহ এক ডজন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেন। ওপর থেকে কড়া নির্দেশ পেয়ে পুলিশ চিরুনি অভিযান চালালো। শেষ পর্যন্ত এক হোটেল থেকে সুরা ও সাকিসহ ধরা পড়লো খোকন। একরাত থানা হাজতে মশার কামড় খেয়ে সকালবেলা সে কোর্টে চালান হলো। জামিন না হওয়ায় তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো জেল হাজতে। সেখানে গিয়ে মামা আলাউদ্দিন মিয়ার সাথে তার দেখা হলো। দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আলাউদ্দিন মিয়া জেলে এসেছেন এবং সিটি মেয়র হয়েও জেলে ডিভিশন না পাওয়ায় ভীষণ হম্বি তম্বি করছেন। ভাগ্নেকে দেখে তিনি হুংকার দিয়ে বললেন, ‘তোর কি কেস?’
‘সেটা তো জানিনা মামা।’
‘জানিস না মানে? তুই কি এখনো ফিডার খাস?’
‘না মামা, আপনি বুঝতে পারছেন না। আমি হোটেলে লুকিয়ে ছিলাম। এই ব্যাটা পুলিশের বাচ্চারা কোত্থেকে এক বোতল মদ আর বাজে মেয়েমানুষ এনে আমাকে ফাঁসিয়ে দিল।’
‘তোর বাপকে ফোন করে উকিল দিতে বল। এখানে বেশিদিন থাকলে চুলকানি পাঁচড়া হয়ে মরবি। সিটি মেয়র হয়েও আমি ডিভিশন পাচ্ছিনা। চোর ডাকাতদের সাথে থেকে থেকে আমার খুজলি হয়ে গেছে। সারারাত চুলকায়। খুজলি না দাদ কে জানে? আর মশার অত্যাচারে ডেঙ্গু হলো বলে!’ কথা বলতে বলতে আলাউদ্দিন মিয়া কাপড়ের ওপর দিয়ে লজ্জাস্থান চুলকে ঘা করে ফেললেন।
কারারক্ষীদের অনেকেই মোবাইল ফোনের ব্যবসা করে। আত্মীয় স্বজনের সাথে বন্দীদের গোপনে কথা বলিয়ে দেয়। প্রতি মিনিট কুড়ি টাকা। বন্দীর কাছে টাকা না থাকলে তার আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে রাহা খরচসহ টাকা আদায়ের ব্যবস্থা আছে। এমন একজন কারারক্ষীর মোবাইল ফোন নিয়ে কথা বললো খোকন। তবে তার বাবার সাথে নয়, ইশিতার সাথে। ইশিতা কল রিসিভ করলে খোকন উদগ্রীব হয়ে বললো, ‘ইশিতা, আমি। আমি খোকন বলছি।’
‘কোন খোকন?’
‘আরে আমি খোকন, খোকন।’
‘রং নাম্বার!’ ওপাশ থেকে লাইন কেটে গেল। ধুর! অচেনা নাম্বার থেকে রিং করায় ইশিতা বোধহয় চিনতেই পারলো না। শুধু শুধু কুড়ি টাকা গচ্চা গেল খোকনের। আচ্ছা, পরে আবার ট্রাই করা যাবে। অসুবিধা নাই।
********************
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় ঢাকাবাসী, আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি, আমার অন্য লেখাগুলিও পড়বেন। শুভকামনা রইল।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
অশুভ বলেছেন: লেখাটা ভালই লেগেছে। মজা পাইছি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় অশুভ, লেখাটি ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
পৃথিবীর আলো বলেছেন: ভাই লেখক, চরম হইছে। খুব ভালো লেখা, একেবারে পরিচিত একটা কাহনী, কিন্তু শৈল্পের ছোয়ায় অনন্য। ধন্যবাদ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় প্রিথিবীর আলো, আপনাকে ধন্যবাদ। আমার অন্য লেখাগুলিও পড়ার আমন্ত্রণসহ শুভেচ্ছা রইল।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতির বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতির এক টুকরো প্রতিচ্ছবি গল্পে উঠে এসেছে। জিপিএ ফাইভ পাওয়া একজন ছাত্র যখন মাওলানা ভাসানি সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র কিছু জানে না, তখন বুঝাই যায় সে কীভাবে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। ইশিতার মতো মেয়েরা হল মৌমাছির মতো। যেখানে মৌ আছে, সেখানেই শুধু তারা যায়। আমাদের দেশের প্রসাশন থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পর্যন্ত যে রাজনৈতিক প্রভাবে চলে সেটাও সুন্দর করে উঠে এসেছে গল্পে। হাস্যরস তো আছেই। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম হেনা ভাই। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিবেন। আপনাকে এখানে পেয়ে ভালো লাগলো। 'ঘাস ফুল' নিকটা পাই নাই বলে এই নিকেই এখানে ব্লগিং করছি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালী, সুন্দর মন্তব্যের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। এই গল্পটি তোমার কী আগে পড়া ছিল না? তোমার বহুল পরিচিত ছবিটি দেখে আমি আগেই বুঝতে পেরেছি যে তুমিই ঘাস ফুল।
ভালো থেক। শুভকামনা রইল।
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
উদাস কিশোর বলেছেন: ব্যাফুক মজা পাইলাম
ইহা বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির প্রতিচ্ছবি
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় উদাস কিশোর, আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যফক বাস্তববাদী লিখা, এমন লিখা পড়লে ইচ্ছে হয় আর একটু বেশী হলো না কেনো? শুভেচ্ছা আশরাফুল ভাই। চালিয়ে যান..........
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় সাদা মনের মানুষ, আপনার উৎসাহ আমার অনুপ্রেরনার উৎস। ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
দাড়কাক বলেছেন: আহারে ! এ যে আমাদের সোনার টুকরো ছেলেদের রাজনীতি । ভাল লিখেছেন ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় দাড়কাক, আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মদন বলেছেন: জটিলসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় মদন, ধন্যবাদ।
৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২১
রুপ।ই বলেছেন: দারুন লেগেছে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় রুপাই, ধন্যবাদ।
১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৩৬
আমিই মিসিরআলি বলেছেন:
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় আমিই মিসির আলি, আপনাকে ধন্যবাদ।
১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ঈশিতা, আমি তোমার খোকন! ... হাহাহা!
ঈশিতারা হাই আর খোকনদেরকে কীভাবে খাটাতে হয়, তা জানে...
এরাই রাজনীতির ভেতরে পুলিটিক্সরে ঢুকায়
//পুরো ক্যাম্পাস থেকে একদল মৃত ও জীবিত নেতা নেত্রীর ছবিওয়ালা পোস্টার তুলে ফেলে আর একদল মৃত ও জীবিত নেতা নেত্রীর ছবিওয়ালা পোস্টার টানিয়ে দেওয়া হল।// নামগুলো দিলেন না যে!
সেই ওস্তাদি লেখা, আবুহেনা ভাই!
এবারেরটি সময় ও স্থানের সাথে একদম খাপেখাপ মিলে গেলো।
অভিনন্দন
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় মইনুল ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এটি স্যাটায়ার গল্প। তাই নাম না লিখলেও পাঠক ঠিকই বুঝতে পারছেন নাম গুলো কী। নিশ্চয় আপনিও বুঝতে পারছেন।
আপনার উৎসাহ প্রদান আমার জন্য অনুপ্রেরনার উৎস। শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।
১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫
আম্মানসুরা বলেছেন: ফাটাফাটি!!!
চমৎকার ভাবে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।
প্লাস
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় আম্মানসুরা, আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: বাস্তবের ছোঁয়া আছে গল্পে । তবে এই মানের একজন ছাত্রকে মামার জোরে ইউনিতে ভর্তি করিয়ে নেয়াটা অবাস্তব ঠেকেছে । স্বজনপ্রীতি হয়না যে তা নয়, তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো এতটা নিচে নামেনি বোধ হয় ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় মামুন রশিদ, আপনাকে ধন্যবাদ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কিন্তু ভিন্ন কথা বলে। অর্থ, পেশিশক্তি ও রাজনৈতিক প্রভাব এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ঘুন ধরিয়ে দিয়েছে। আপনি একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও চরম স্বজনপ্রীতি আছে। তবে আমি আপনার সাথে একমত যে সব বিশ্ববিদ্যালয় বা সব নিম্নমানের ছাত্রের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। এ ক্ষেত্রেও ক্ষমতাধরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে এবং তাদের মধ্যেও সাফল্য অসাফল্য আছে।
গল্পটি পড়ে বিচক্ষণ মন্তব্য করার জন্য আবারো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা রইল।
১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চরম লিখছেন +++++++++
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় কান্ডারি অথর্ব, আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মনে হয় আগে পড়ি নাই হেনা ভাই।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, বিদ্রোহী বাঙালী।
১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটানা পড়ে গেলাম। ভালো লিখেছেন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব। শুভেচ্ছা রইল।
১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৪
নাসিম আহমেদ সুমন বলেছেন: অসাধারন
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় নাসিম আহমেদ সুমন, অনিবার্য কারণে অনেক দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। গল্পটি আপনার ভালো লাগায় ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
১৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩২
ফারদি বলেছেন: এমনটাই চলতে থাকে। আর মাঝে সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন নিয়ে টানা-হ্যাচড়া।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় ফারদি, অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত। আপনার মন্তব্য ১০০% সঠিক। গল্পের মেসেজ কিন্তু এটাই। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৫:০০
দেশপ্রেমিকা বলেছেন: হা হা, চরম হইছে, সবচেয়ে মজা পাইছি একদল মৃত ও জীবিত নেতানেত্রির ছবি চেঞ্জ করার ব্যাপারটায়...।।
০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৮:৪১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, দেশপ্রেমিকা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: হায়রে ছাত্র রাজনীতি!
ব্যপক লাগলো প্রিয় হেনা ভাই।
# যেখানে থাকুন ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেকক্ষন হাসলুম। খুব মজা পেলুম, বাস্তবের উপর এত মজার গল্প! হ্যাঁ এটা বাংলাদেশেই হতে পারে!