নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চারুকলার ছাত্রী রুনার সাথে খালেদের পরিচয় হয়েছিল একুশের বইমেলায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খালেদ বইমেলার এক স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে নতুন প্রকাশিত কিছু বই নাড়াচাড়া করে দেখছিল। স্টলের সামনে ছোটখাটো একটা ভিড়। দু’জন বান্ধবীর সাথে রুনা এসে খালেদকে রীতিমতো ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বললো, ‘একটু সরে দাঁড়ান।’
মেয়েদের ধাক্কা খেলে কোন কোন তরুণ পুলকিত হয়, আবার কেউ কেউ রেগে যায়। খালেদ হলো দ্বিতীয় দলের। সে বহু কষ্টে রাগ দমিয়ে রেখে শান্ত গলায় বললো, ‘সরিয়েই তো দিয়েছেন! আরো সরে যাবো কি?’
খালেদের কথা যেন রুনা শুনতেই পায়নি এমন ভাব করে সে স্টলের কর্মচারীদের সাথে ‘এই বইটা দেখি’, ‘ঐ বইটা দেখি’ ইত্যাদি কথাবার্তায় ব্যস্ত। ওর বান্ধবীরা কুল কুল করে হাসছে আর চোরা চোখে খালেদকে দেখছে। এভাবে কিছুক্ষণ বইপত্র নাড়াচাড়া করে কোন বই না কিনেই ওরা চলে গেল। আসলে অপরিচিত যুবকটিকে ধাক্কা মেরে স্টলের সামনে থেকে সরিয়ে দিতে পারলে রুনাকে যত খুশি ফুচকা খাওয়ানো হবে-এমন একটা বাজি হয়েছিল ওদের মধ্যে।
খালেদের আর বই দেখা বা কেনা কোনটাই হলো না। সে ভিড়ের মধ্যে রুনাদের অনুসরন করে বাংলা একাডেমীর বাইরে ফুটপাথে এসে দাঁড়ালো। সেখানে রুনারা তিন বান্ধবী মিলে ধুমসে ফুচকা খাচ্ছে। ওদের খাওয়ার চেয়ে হাসির পরিমান বেশি। ফুচকাওয়ালা ওদের সামাল দিতে মহা ব্যস্ত। খালেদ শুনেছিল, মেয়েদের হাসি বা কান্নার নাকি বিশেষ কোন কারণ থাকেনা। ওর মনে হলো, কথাটা ভুল নয়। সে ওদের থেকে একটু নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ওদের ‘ফুচকা হাসির’ প্রতিযোগিতা দেখছিল। ঠিক এই সময় রুনা হাত ইশারায় খালেদকে ডাক দিল। তাকেই ডাকছে নাকি অন্য কাউকে, বুঝতে না পেরে খালেদ নিজের আশেপাশে চলমান অন্যদের দিকে তাকিয়ে দেখছিল। রুনা চিৎকার করে বললো, ‘আরে, আপনি, আপনি। আপনাকেই ডাকছি।’
খালেদ ওদের কাছে যাওয়ার আগে ভিড়ের মধ্যে থেকে এক মাঝবয়সী টেকো মাথার ভদ্রলোক হন হন করে হেঁটে রুনার সামনে গিয়ে হাজির। তিন বান্ধবীর ঝাড়ি খেয়ে ভদ্রলোক একই গতিতে আবার হাওয়া হয়ে গেলেন। খালেদ দ্বিধা দ্বন্দ্ব নিয়ে ওদের কাছে গিয়ে দাঁড়ালে রুনা বললো, ‘নিন, ফুচকা খান।’
খালেদ ইতস্ততঃ করে বললো, ‘আমি ফুচকা খাই না।’
‘তাহলে কি খান? ফিডারে দুধ খান?’
খালেদ বইমেলায় আসার আগে ওর ভাবীর অনুরোধে ছয় মাস বয়সী ভাতিজার জন্য একটা দুধ খাওয়ার ফিডার কিনেছিল। নাদুস নুদুস বাচ্চা ও ফিডারের ছবিওয়ালা প্যাকেটটি ওর হাতে ছিল, যা সম্ভবতঃ রুনার চোখে পড়েছে। এই মেয়েরা যে তাকে বোকা বানিয়ে মজা পাওয়ার চেষ্টা করছে, তা’ খালেদ বেশ বুঝতে পারছে। আজকাল মেয়েরা যে এত চালু হয়ে গেছে, ভাবা যায় না। টিজ করা আজকাল আর শুধু ছেলেদের ব্যাপার নয়, মেয়েদেরও এতে হিস্যা আছে তাহলে! বেশ, বেশ!
খালেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যৎসামান্য ছাত্র রাজনীতিও করে। সে মোটেই বোকা বা নির্বোধ নয়। বরং ছাত্র হিসাবে সে যথেষ্ট মেধাবী। কোন পরিস্থিতিতেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়া তার স্বভাবের সাথে যায় না। সে মৃদু হেসে বললো, ‘আপনারা খুব স্মার্ট। অনেক খুঁটিনাটি জিনিষও আপনাদের চোখে পড়ে।’
‘তাই নাকি?’ একে অন্যের গায়ে ঢলে পড়ে তিন বান্ধবীর মধ্যে আবার হাসির প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল। খালেদও হাসতে হাসতে বললো, ‘ফিডারের প্যাকেট চোখে পড়লো, আর কিছু চোখে পড়েনি?’
হাসি থামিয়ে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া চাওয়ি করে খালেদের আপাদমস্তক পরখ করে দেখলো। রুনা বললো, ‘আর কিছু কি?’ খালেদ বললো, ‘আগের দিনে কবি সাহিত্যিকরা তাদের লেখায় নারীর বিশেষণ হিসাবে অবলা শব্দটি ব্যবহার করতেন। এই শব্দটি আজকাল আর প্রাসঙ্গিক নয়। এখনকার মেয়েরা যে কত স্মার্ট এবং ছেলেদের কত কিছু লক্ষ্য করে, সেটা রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, মানিকবাবুরা জানতেন না। জানলে ঐ ভুল শব্দটি তাঁরা লিখতেন না। যা হোক, আপনারা আমার হাতে ধরা ফিডারের প্যাকেট দেখেছেন, কিন্তু আমার পায়ে পরা জুতা জোড়া তো দেখেননি! আমার পায়ে কিন্তু এক জোড়া শক্ত পোক্ত কালো রঙের জুতা আছে!’
‘এসব আপনি কি বলছেন?’ রুনা ও ওর বান্ধবীরা খালেদের পায়ের দিকে তাকিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে রইল। এক বান্ধবী ঢোক গিলে বললো, ‘আমাদেরকে জুতা দেখাচ্ছেন কেন?’
‘দেখাচ্ছি এই কারণে যে, অবলা শব্দটি এ যুগে অপ্রাসঙ্গিক হলেও জুতাপেটা শব্দটি কিন্তু এখনো যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। পকেটমার বা ছিনতাইকারী ধরা পড়লে মানুষ এখনো জুতাপেটা করে। অর্বাচীন কথাবার্তা বা অন্যায় কাজকর্মের জন্য মানুষ জুতা ছুঁড়ে মারে। প্রেসিডেন্ট বুশকে একজন ইরাকি সাংবাদিক জুতা ছুঁড়ে মেরেছিল, এ ঘটনা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের?’
রুনা বিড় বিড় করে বললো, ‘লোকটা পাগল। এই চল্, চল্।’ ফুচকাওয়ালা বললো, ‘আমার ট্যাকা দ্যান।’
‘হাঁ হাঁ মামা, আপনার কত হয়েছে বলেন তো!’ ফুচকাওয়ালার বিল মিটিয়ে দিয়ে ওরা তিন বান্ধবী অতি দ্রুত কেটে পড়লো। ফুচকাওয়ালা তার পান খাওয়া লাল দাঁত গুলো বের করে হেসে বললো, ‘স্যার, এই তিন ম্যাডাম এই রহমই। খালি পোলাপানগো লগে তামশা করে।’
‘তুমি এদের চেন নাকি?’
‘চিনুম না ক্যান? হ্যারা তো চারুকলার বাগানে বইয়া ছবি আঁকে, মূর্তি বানায়।’
‘ও!’
খালেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্র। হলে থেকে পড়াশুনা করে। ঢাকার যানজট তার কাছে অসহ্য লাগে। নেহাত প্রয়োজন না হলে সে ঢাকায় আসে না। মোহাম্মদপুরে বড় ভাইয়ের বাসায় মাসে দু’মাসে আসা হয়। অথচ বইমেলার সেই ঘটনার পর ভাতিজাকে দেখার জন্য সে দু’সপ্তাহে তিন চারবার ঢাকায় এলো। হলে ফিরে যাওয়ার আগে সে প্রতিবারই টি এস সি ও চারুকলার আশেপাশে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করলো। কিন্তু কেন, খালেদ নিজেও জানেনা। মেয়েগুলোর সাথে কড়া ব্যবহারের জন্য মনের ভেতর অনুশোচনা ছিল। দেখা হলে হয়তো ক্ষমা চেয়ে নিত। কিংবা দেখা হলে হয়তো ধাক্কা দেওয়া মেয়েটি নিজেই ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিত। দেখা হলে কিছু তো একটা হতো! কিন্তু ওদের সাথে আর দেখাই হলো না। খালেদ উপযাচক হয়ে চারুকলায় ঢুকে খোঁজ নেবে, এমনটা ভাবা ওর জন্য কঠিন।
তবে রুনার সাথে খালেদের আবার দেখা হলো। চার বছর পর। রুনা এক শপিং মলে তার বাচ্চার জন্য এক কৌটা দুধ আর ভালো ব্র্যান্ডের একটা ফিডার কিনে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছিল। স্বামী জাফর নিজের জন্য পেন ড্রাইভ ও মেমোরি কার্ড কিনতে শপিং মলের থার্ড ফ্লোরে গেছে।
খালেদ একটি কর্পোরেট হাউসের লিয়াজোঁ অফিসার। নিজের জন্য একজোড়া বিদেশী ব্র্যান্ডের জুতা কিনে সে এস্কেলেটার বেয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে রুনার সামনা সামনি পড়ে গেল।
‘এক্সকিউজ মি, আমি কি আপনাকে আগে কোথাও দেখেছি?’
রুনা কিন্তু খালেদকে প্রথম দেখাতেই চিনতে পেরেছে। সে কোন কথা না বলে তার হাতে ধরা প্লাস্টিকের ঝুড়ি থেকে ফিডারের প্যাকেটটা বের করে হাতে নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রইল।
‘ও! আচ্ছা, আচ্ছা। বইমেলা?’
‘জি’
‘ফিডার আপনার বাচ্চার জন্য?’
‘জি’
‘আপনার নামটা যেন কি?’
রুনা মৃদু হেসে বললো, ‘আমরা তো সেদিন কেউ কারো নাম জিজ্ঞেস করিনি। এতদিন পর আর নাম জেনে কি হবে?’
রুনার নজর গেল খালেদের হাতে ধরা প্যাকেটের দিকে। সে হাসিমুখে বললো, ‘কি কিনলেন?’
খালেদ থতমত খেয়ে প্যাকেট ধরা হাতটা পেছনে লুকিয়ে বিব্রত কণ্ঠে বললো, ‘না, কিছুনা।’
‘কিছু একটা তো বটেই।’ রুনা হাসতে হাসতে বললো, ‘হয়তো ভাবীর জন্য কিছু। তবে না দেখাতে চাইলে সমস্যা নেই। বি ইজি প্লিজ।’
অনিচ্ছা সত্ত্বেও খালেদ তার হাত সামনে এনে প্যাকেটটা দেখালো রুনাকে। মাথা নিচু করে বললো, ‘জুতা।’
‘এ্যাঁ, জুতা?’ চার বছর আগের মতোই হেসে গড়িয়ে পড়ার উপক্রম হলো রুনার। মুখে হাত চাপা দিয়ে সে বললো, ‘শুধু জুতাই কেনেন দেখছি। বাচ্চার জন্য ফিডার কেনেন না?’
খালেদ ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘না। সেদিন যে ফিডারের প্যাকেট দেখেছিলেন, সেটা ছিল আমার বড় ভাইয়ের বাচ্চার জন্য। আমার নিজের বাচ্চার জন্য ফিডার কেনার প্রয়োজন হবে না।’
‘ঠিক বুঝলাম না। বাচ্চা বড় হয়ে গেছে, নাকি বিয়েই করেন নি?’
‘না, আমার কোন বাচ্চা নেই। এক বছর আগে বিয়ের পর আমার ওয়াইফের ইউটেরাসে টিউমার ধরা পড়ে। আফটার অপারেশন সি ইজ নাউ পার্মানেন্টলি স্টেরিল।’
রুনার স্বামী জাফর পেন ড্রাইভ ও মেমোরি কার্ড কিনে ফিরে এসেছে। খালেদ তার সাথে হ্যান্ডশেক করে বললো, ‘আমি খালেদ। গ্ল্যাড টু মিট ইউ।’
‘আমি জাফর। মিট ইউ টু।’ জাফর তাড়া দিল স্ত্রীকে, ‘রুনা, চলো, চলো। আর দেরি করো না। বস্ ফোন করেছিল। আমাকে এখনই গাজীপুর ফ্যাক্টরিতে যেতে হবে।’ তারপর সে খালেদকে উদ্দেশ্য করে বললো, ‘এক্সকিউজ মি! উই আর ইন হারি। নেক্সট টাইম প্লিজ! বাসায় আসবেন, ও,কে?’
খালেদ ও রুনা একে অন্যের নাম জানলো প্রথম দেখা হবার চার বছর পর। এমন কত কিছুই তো আমরা জানতে পারি তখন, যখন তা’ আর জানার প্রয়োজন হয় না।
******************************************************
[গল্পটি সাপ্তাহিক সাতদিন পত্রিকার ০৮/০২/২০১০-১৪/০২/২০১০ সংখ্যায় (ভালোবাসা দিবস সংখ্যা) প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম।]
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই ডি মুন। এটি আমার লেখালেখি শুরু করার একেবারে প্রথম দিকের গল্প। পত্রিকায় প্রকাশিত আমার ২য় গল্প। তখন (মানে ২০১০ সালের প্রথম দিকে) আমার লেখালেখির মান অনেকটাই কাঁচা ছিল। তারপরেও আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম । প্রেম নয় । গল্প ভালো লাগলো । অন্যরকম টেষ্ট ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, কলমের কালি শেষ।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এমন কত কিছুই তো আমরা জানতে পারি তখন, যখন তা’ আর জানার প্রয়োজন হয় না ‘’-------------------অসাধারণ
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, বোন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা।
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই হানিফ রাশেদীন।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: সহজ ভাষায় লেখা বলে আপনার গল্পগুল পড়তে ভালো লাগে। আপনার লেখা কোন বই নাই?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই নাভিদ কায়সার রায়ান।
২০১১ সালের অক্টোবরে আমার লেখা আত্মজৈবনিক উপন্যাস 'স্বপ্ন বাসর' প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম মুদ্রণের ১০০০ কপি বিক্রি হয়ে গেছে। ২য় মুদ্রণের প্রস্তুতি চলছে। আগামী বইমেলায় পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে ১ম মুদ্রণের কয়েক কপি বই আমার কাছে আছে। আপনি যদি আগ্রহী হন, তা'হলে একটি কপি সৌজন্য কপি হিসাবে আপনাকে পাঠাতে পারি। সে ক্ষেত্রে দয়া করে আমার মোবাইল নম্বর ০১৭১১০৩৯৩৩৭-এ এসএমএস করে আপনার পূর্ণ নাম ঠিকানা (পোস্ট অফিসের নাম সহ) পাঠিয়ে দিন।
ঠিকানা এখানেও দিতে পারেন। তবে অবশ্যই পোস্টাল এ্যাড্রেস দিবেন। ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কেমন আছেন?
একে একে সবার সাথে নিশ্চয় দেখা হবে এখানে?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে আব্দুলহাক যে! আমি ভালো আছি ভাই। তুমি কেমন আছো?
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাই ডেকে ভালোই করেছেন।
আপনার একটা গল্প পড়লাম। সত্যি চমৎকৃত হয়েছি।
ধীরে ধীরে সব পড়ব।
আমার ব্লগিং এখানে শুরু হয়েছিল। এখানে আমি পলাশমিঞা হয়েছিলাম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আই এ্যাম এক্সট্রিমলি সরি পলাশ। খুব ভুল হয়ে গেছে বাবা। একটা স্ট্রোক আর একটা হার্ট এ্যাটাকের পরেও বেঁচে আছি, এটাই হয়তো আমার সৌভাগ্য। ছেলেকে ভাই ডাকাটা নিতান্তই বেখেয়ালে হয়ে গেছে। আমি দুঃখিত বাবা।
ভালো থেক। শুভকামনা রইল।
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমিও আপনার উপন্যাস পড়তে চাই । আমাকে কি সৌজন্য কপি দেয়া যাবে ?
গল্প ভাল লাগল
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১ম মুদ্রণের কুড়ি কপি বই রেখেছিলাম আত্মীয়স্বজন ও গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সৌজন্য কপি হিসাবে দেবার জন্য। বর্তমানে আমার কাছে ৬ কপি বই আছে। ১ কপি নিজের কাছে রেখে বাঁকি ৫ কপি বই দেওয়া যায়।
এখানেই আপনার পূর্ণ নাম ঠিকানা ও পোস্টাল এ্যাড্রেস দিয়ে দিন। বই পাঠিয়ে দেব।
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমিও আপনার উপন্যাস পড়তে চাই । আমাকে কি সৌজন্য কপি দেয়া যাবে ?
গল্প ভাল লাগল
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মাহমুদ ০০৭।
উপরে উত্তর দিয়েছি। দয়া করে দেখুন।
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬
পার্থ তালুকদার বলেছেন: গল্পের প্রথমে একটু টানটান উত্তেজনা ছিল পরে একটু ব্যাথা অনুভব করেছি ।
আর হ্যা.... মোবাইলে আমিও একটা এসএমএস করব নাকি ?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কেন নয়? আপনি কী দোষ করেছেন? হাঃ হাঃ হাঃ।
আমার হাতে বই থাকা পর্যন্ত দিতে আপত্তি নাই। উপরে মাহমুদ ০০৭ ভাইকে যেভাবে বলেছি, সেভাবে আপনার নাম ঠিকানা আমাকে জানিয়ে দিন। বই পাঠিয়ে দেব।
ধন্যবাদ, ভাই পার্থ তালুকদার।
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা রইল হেনা ভাই।
আপনার উপন্যাসের এক কপি আমাকেও কিন্তু দিতে হবে হেনা ভাই। দেশে আসলেই আমার কপি আপনার কাছ থেকে চেয়ে নেব।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় প্রবাসী পাঠক, আশা করছি ততদিনে উপন্যাসটির ২য় মুদ্রণ বাজারে চলে যাবে। না গেলেও কোন সমস্যা নেই। আমার নিজের কপি আপনাকে দিয়ে দেব। আপনি কবে দেশে আসবেন?
ধন্যবাদ।
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার গল্পটা ভাল - বিশেষ করে প্রথমদিকের অংশটা বেশ মজার, কিন্তু একটা মেয়েকে জুতা দেখানোর অংশটা বিরক্তিকর মনে হয়েছে।
একটা মেয়ে যে একটু বেশি সপ্রতিভ এবং রসিকতা প্রিয়, তাকে যে ধরণের পুরুষ জুতো দেখাতে পারে তাকে ঠিক ইন্টারেস্টিং চরিত্র বলে মনে হয় না।
শুভকামনা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্প বা উপন্যাস লেখায় লেখকের সার্থকতা তখনই, যখন কোন চরিত্রের প্রতি স্বাভাবিকভাবে পাঠকের রাগ অনুরাগের প্রকাশ ঘটে। অনেকটা চলচ্চিত্রে পজিটিভ ও নেগেটিভ রোল প্লে করে একজন অভিনেতা যখন দর্শকের আদৃত বা বিরাগভাজন হয়ে থাকেন, তখনকার সিচুয়েশনের মতো। বিখ্যাত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান একবার এক গ্রামে শুটিং করতে গিয়ে একজন গ্রাম্য মহিলার তির্যক বাক্যবানের শিকার হয়েছিলেন। মহিলাটি প্রচণ্ড রাগের সাথে তাকে দেখিয়ে অন্যদের বলেছিলেন, 'লোকটা এত শয়তান! এই গ্রামে আইছে কী করতে?' এ টি এম বলেছিলেন, ঐ মহিলার মন্তব্যেই তাঁর অভিনয় জীবন সার্থক।
এই গল্পের নায়ক খালেদ ফেরেশতার মতো আদর্শ, এমনটি গল্পের কোথাও বলা হয়নি। বরং, আর পাঁচজন মানুষের মতো ভালোয় মন্দয় মিলিয়ে সে একজন সাধারণ মানুষ, এমনটাই বলা হয়েছে। কারণ একদিকে সে যেমন উত্তেজনার মাথায় রুনাদের জুতা দেখিয়েছে তেমনি আবার অন্যদিকে ঐ ঘটনার পর সে অনুতপ্ত হয়ে রুনার কাছে ক্ষমা চাইবার জন্য টি এস সি ও চারুকলার আশেপাশে কয়েকবার ঘোরাঘুরি করেছে, গল্পে সেটাই বলা হয়েছে। এই গল্পে খালেদের চরিত্র ১০০% চকোলেট হিরোর চরিত্র নয়। আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষই পুরোপুরি আদর্শবান নয়। আশা করি, বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ, শ্রাবনধারা।
১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: গল্পে ভাললাগা রইল ভ্রাতা ++++
শুভেচ্ছা
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, অপূর্ণ।
১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব।
১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনার রিপ্লাই দেখে অনেক ভালো লাগল হেনা ভাই। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০১৫ এর ডিসেম্বরে দেশে আসব। তবে তার আগেই আপনার উপন্যাস সংগ্রহ করে নেব হেনা ভাই।
ভালো থাকবেন হেনা ভাই।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: টিজ করা আজকাল আর শুধু ছেলেদের ব্যাপার নয়, মেয়েদেরও এতে হিস্যা আছে তাহলে! বেশ, বেশ!
আপনি খুব ভালো লেখেনতো ! খুব ভালো লাগলো , ৬ নং প্লাসটা দিলাম +
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, বোন রেজওয়ানা আলী তনিমা।
১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩০
সুমন কর বলেছেন: কিছু বর্ণনা ছিল হাসির।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ লাগল। শেষের টার্ন বুঝা যায়নি।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পে খালেদ ও রুনা কেউ কারো নাম জানতো না। তারা চার বছর আগে যেমন কেউ কাউকে নাম জিজ্ঞেস করেনি, তেমনি চার বছর পরে শপিং মলে দেখা হবার পরে খালেদ নাম জিজ্ঞেস করলেও রুনার কাছে ভিন্ন উত্তর পেয়েছে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস! রুনার স্বামী জাফরের সাথে হাত মেলানোর সময় খালেদ নিজের নাম বললে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রুনা তা' জানতে পারে এবং জাফর তার স্ত্রী রুনার নাম ধরে তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার তাগিদ দিলে খালেদও তা' জানতে পারে। অর্থাৎ কেউ কাউকে নাম না বলেও তারা (খালেদ ও রুনা) একে অন্যের নাম জানতে পারে।
চার বছর আগে একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে দু'জন তরুণ তরুণীর মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে রাগ ও পরোক্ষভাবে অতি সূক্ষ্ম অনুরাগের (প্রেম নয়) জন্ম হলেও ঘটনাক্রমে তারা কেউ কারো নাম জানতো না এবং চার বছরের মধ্যে কারো সাথে কারো দেখা সাক্ষাতও হয়নি। যখন দেখা হলো এবং তারা একে অন্যের নাম জানতে পারলো, তখন তারা দু'জনেই বিবাহিত এবং ভিন্ন ভিন্ন জীবনসঙ্গী নিয়ে সংসার করছে। তাই গল্পের শেষে বলা হয়েছে 'এমন কত কিছুই তো আমরা জানতে পারি তখন (এ ক্ষেত্রে খালেদ ও রুনার নাম পরিচয়), যখন আর তা' জানার প্রয়োজন হয়না।'
ধন্যবাদ, ভাই সুমন কর।
১৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: যদিও শেষটাকে কাকতালীয় বলা যায়, কিন্তু আমার কাছে ট্যুইস্ট টা দারুণ লেগেছে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মামুন রশিদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
ডি মুন বলেছেন: আজকাল মেয়েরা যে এত চালু হয়ে গেছে, ভাবা যায় না। টিজ করা আজকাল আর শুধু ছেলেদের ব্যাপার নয়, মেয়েদেরও এতে হিস্যা আছে তাহলে! বেশ, বেশ!
................
খালেদ ও রুনা একে অন্যের নাম জানলো প্রথম দেখা হবার চার বছর পর। এমন কত কিছুই তো আমরা জানতে পারি তখন, যখন তা’ আর জানার প্রয়োজন হয় না।
বাহ, সুন্দর গল্পে ভালো লাগা রইলো।
শুভকামনা সতত।