নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ লাভ লেটার স্বপনভাই

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৯



ইউনিভার্সিটি জীবনে এক সিনিয়র বড়ভাই সেকেন্ড ইয়ারে পড়তেন, আর আমরা ফার্স্ট ইয়ারে। আমরা জুনিয়র হওয়া সত্ত্বেও তার মেলামেশা আমাদের সাথেই বেশি ছিল। তাকে আমরা ডাকতাম ‘স্বপনভাই’ বলে। তিনি থাকতেন শেরে বাংলা হলে। তার সার্বক্ষণিক পোশাক ছিল পাজামা-পাঞ্জাবি আর খদ্দরের ভেস্ট। কাঁধে একটা শান্তিনিকেতনী ব্যাগ। ব্যাকব্রাশ করা চুল। লম্বায় প্রায় ছয় ফুট। দেখে যে কেউ ভাববে তিনি সাংস্কৃতিক কর্মী অথবা কোন ছাত্র সংগঠনের নেতা। আসলে তিনি এসবের কিছুই ছিলেন না। তিনি যা ছিলেন তা’ হল ক্লাসে অনিয়মিত, বাজে রেজাল্ট করা একজন চোরা প্রেমিক। তার প্রেম নিবেদনের স্টাইলটা ছিল চোরদের কার্যকলাপের মতো।

সে যুগে সেলফোন ছিল না। তাই চিঠি লেখা অথবা নোটশিটের ভেতর চিরকুট গুঁজে দেয়াই ছিল একমাত্র ভরসা। স্বপনভাই এ কাজটা খুব দক্ষতার সাথে করতে পারতেন। ক্লাস শেষে ছেলেমেয়েরা সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামার সময় তার টার্গেট করা মেয়েটিকে সবার অলক্ষ্যে হাতচিঠি বা দলা পাকানো চিরকুট ছুঁড়ে দিয়ে নিমেষে গায়েব হয়ে যেতেন। লাইব্রেরি বা সেমিনারে বসে পাঠরত কোন মেয়েকে কখন যে চিরকুট গছিয়ে দিয়ে তিনি কেটে পড়তেন কেউ টের পেতো না। তবে এ ধরনের ঢিল ছোঁড়া প্রেম নিবেদনের ক্ষেত্রে সাধারনত যা হয়, স্বপনভাইয়ের ক্ষেত্রেও তাই হতো। তার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হতো।

তবে ব্যর্থতা নিয়ে স্বপনভাইয়ের কোন মনোকষ্ট ছিল বলে মনে হতো না। তিনি নতুন উদ্যমে শুরু করতেন। পুরনো কথা খুব দ্রুত ভুলে যেতেন। তার নিজের ইয়ারে ব্যর্থ হবার পর তিনি আমাদের ফার্স্ট ইয়ারের প্রতি মনোযোগ দিলেন। তখন থেকেই আমাদের সঙ্গে তার মেলামেশা বেড়ে গেল। ফার্স্ট ইয়ারে আমাদের আট দশ জনের একটা ফাজিল গ্রুপ ছিল। আমরা মাঝে মাঝে ভার্সিটি সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের এক সেলুন থেকে সবাই মাথা ন্যাড়া করে ক্লাসে আসতাম এবং ক্লাসের ব্যাকবেঞ্চে সারি বেঁধে বসতাম। আট দশটি চকচকে ন্যাড়া মাথা দেখে স্যাররা যেমন বিরক্ত হতেন এবং মাঝে মাঝে ওয়ার্নিং দিতেন, তেমনি মেয়েরাও আমাদের দেখে অচ্ছ্যুৎ জ্ঞ্যানে মুখ ফিরিয়ে নিত। এতে অবশ্য আমাদের খুব বেশি কষ্ট হতো না। তবে স্যারদের ওয়ার্নিং এর কারণে কখনো কখনো মাথা ন্যাড়া করা বন্ধ রাখতে হতো। আমাদের আর একটি উল্লেখযোগ্য গুন ছিল এই যে, আমরা ক্লাসের আগে পরে অথবা ফাঁকে ফাঁকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসে আড্ডা দিতাম আর আকিকা না দিয়েই মেয়েদের নতুন নতুন মানানসই নাম দিতাম।

কো-এডুকেশন সত্ত্বেও এখনকার মতো তখন মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে একসাথে বসে আড্ডা দিত না। ওই কালচার তখনও গড়ে ওঠেনি। তবে মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদের হাই, হ্যালো বা পড়াশুনা, নোট ইত্যাদি নিয়ে দু’চারটা কথাবার্তা হতো। ব্যস, ওই পর্যন্তই।

মাত্র এক বছরের সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও স্বপনভাই মাঝে মধ্যে আমাদের ওপর খবরদারি করার চেষ্টা করতেন। তিনি হঠাৎ হঠাৎ আমাদের মধ্যে চলে আসতেন এবং একজনকে টার্গেট করে বলতেন, ‘তুমি ভীষণ বেয়াদব হয়ে গেছ।’

‘কেন স্বপনভাই, এ কথা বলছেন কেন? আমি কী করেছি?’

‘কী করেছ, জানো না? নায়লাকে ওরকম একটা বাজে নামে ডাকো কেন?’

আমরা সবাই হো হো করে হেসে উঠতাম। আমাদের ক্লাসের নায়লা নামের মেয়েটি ছিল খুবই বেঁটে। তাকে ‘গুটি আমের আঁটি’ নামে ডাকা হতো। সেটা ছিল স্বপনভাইয়ের খুবই অপছন্দ। আর একটি মেয়ে ছিল ভীষণ ফর্সা আর তালঢ্যাঙ্গা লম্বা। তাকে ডাকা হতো ‘টিউব লাইট’ নামে। মেয়েরা স্বপনভাইকে এসব ব্যাপারে কিছু না বললেও তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাদের শাসন করার চেষ্টা করতেন। যদিও আমরা তেমন পাত্তা দিতাম না। আবার আমরা তার দ্বারা শাসিত না হলে তিনিও বিশেষ কিছু মনে করতেন না। তিনি ছিলেন ফার্স্ট ও সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রীদের স্বঘোষিত কেয়ারটেকার। মেয়েরা তার এই কেয়ারটেকিং এবং সেই সুযোগে মেয়েদের প্রতি তার পত্রাঘাতে যথেষ্ট বিরক্ত ছিল। স্বপন ভাইয়ের প্রেম অভিযান ছিল চিঠিপত্র আর ছোট ছোট চিরকুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে তাকে কখনো দেখা যায়নি।

তবে একদিন এর ব্যতিক্রম হলো। আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে পারভীনের সঙ্গে স্বপনভাইকে কথা বলতে দেখা গেল। কলা ভবনের পেছনে আমগাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে তাদের সেই কথাবার্তা আমরা দূর থেকে দেখতে পেলাম। স্বপনভাই ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরে কথা শেষ করেই দ্রুত কেটে পড়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু আমাদের জালে ধরা না পড়ে উপায় আছে?

‘কী ব্যাপার স্বপনভাই? হাই ব্লাড প্রেশারের সাথে কী কথা হলো?’

‘হাই ব্লাড প্রেশার? পারভীনকে তোমরা এই নামে ডাকো নাকি? ছি, ছি, তোমরা কী নোংরা!’

‘আচ্ছা বেশ, আমরা নোংরাই হলাম। আপনি তো পরিস্কার। এখন বলেন, কী কথা হলো?’

স্বপনভাই কিছুতেই বলবেন না। আমরাও কাঁঠালের আঠা। না শুনে ছাড়বো না। শেষে অনেক জোরাজুরির পর তিনি লুকোছাপা করে যেটুকু বললেন তা’ হলো, লাইব্রেরি থেকে পারভীন দুটো বই ইস্যু করেছিল। তার একটার ভেতর স্বপনভাই কৌশলে একটা চিঠি চালান করে দিয়েছিলেন। চিঠিটা ছিল বেনামী। পারভীন তবুও বুঝে ফেলে কাজটা কার। সেই চিঠি সে আজ স্বপনভাইকে ফেরত দিয়ে বলে, ‘চিঠিটা পড়ে দিন।’

স্বপনভাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলেন, ‘কেন, কেন, চিঠি পড়ে দেব কেন? কার চিঠি?’

‘আপনার চিঠি। অত্যন্ত জঘন্য হাতের লেখা। অনেক চেষ্টা করেও কিছু বুঝতে পারিনি। তাই আপনার কাছে নিয়ে এলাম। পড়ে দিন।’

‘আচ্ছা, তোমরাই বলো এটা কী কখনো সম্ভব?’ আমাদের উদ্দেশ্য স্বপনভাইয়ের অসহায় প্রশ্ন। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বললাম, ‘মোটেই না। আপনার দ্বারা এমন নোংরা কাজ হতেই পারে না। এখন বলেন তারপর কী হলো?’

‘তারপর আর কী? আমাকে আজেবাজে কথা বলল আর চিঠিটা টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে দিল।’

‘আপনার মুখের ওপর?’

‘না, না, ঠিক মুখের ওপর না। তবে মেয়েটির খুব রাগ। ওর বোধহয় সত্যিই ব্লাড প্রেশার আছে, তাই না?’

‘এই তো স্বপনভাই, এবার বুঝতে পারছেন তো কেন আমরা ওকে হাই ব্লাড প্রেশার বলি?’

‘মেয়েটা সিনিয়রদের সম্মান দিতে জানে না। সত্যি দুনিয়াটা বদলে গেছে। বড়দের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা সব গেছে!’ দুঃখিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়তে নাড়তে চলে গেলেন স্বপনভাই।

এই ঘটনার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ক্যাম্পাসে স্বপনভাইয়ের নামের আগে ‘লাভ লেটার’ শব্দটা যোগ হলো। অর্থাৎ তার প্রসঙ্গ উঠলে সবাই বলতো, ‘ও আচ্ছা, লাভ লেটার স্বপন ভাইয়ের কথা বলছো?’

***

এই লেখাটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার মে, ২০১০ (বৈশাখী ভালোবাসা) সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা এটি পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম। লেখাটিতে তারুন্যের চপলতাজনিত আচরণের ত্রুটি বিচ্যুতি থাকায় পাঠককে সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: লেখটা পড়ে ভালো লাগলো । আর ভালো ভালো লেখা চাই ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মামুন ইসলাম। আপনার ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করবো।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত এই গল্পটি পড়লেও মন্তব্য দেওয়া হয় নি। আজ দিচ্ছি।

//ফার্স্ট ইয়ারে আমাদের আট দশ জনের একটা ফাজিল গ্রুপ ছিল। আমরা মাঝে মাঝে ভার্সিটি সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের এক সেলুন থেকে সবাই মাথা ন্যাড়া করে ক্লাসে আসতাম এবং ক্লাসের ব্যাকবেঞ্চে সারি বেঁধে বসতাম।//
-এটা কোন্ ‘ফাজিল’ ভাইজান? মাদ্রাসা লাইনের ফাজিল হলে কোন কথা নাই। কিন্তু ‘আকিকা’ না দিয়েই মেয়েদের নতুন নতুন নাম দিতেন, এটা তো অন্য কোন প্রজাতির ফাজিলের কাজ হবে মনে হচ্ছে.... B-) ;)

//আমাদের ক্লাসের নায়লা নামের মেয়েটি ছিল খুবই বেঁটে। তাকে ‘গুটি আমের আঁটি’ নামে ডাকা হতো।// -মনে হচ্ছে পরবর্তি প্রজন্ম কেমন ‘ফাজিল’ হতে পারে, তার একটা পূর্বাভাস আপনারা দিতে পেরেছিলেন ... ;)



//তিনি ছিলেন ফার্স্ট ও সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রীদের স্বঘোষিত কেয়ারটেকার। মেয়েরা তার এই কেয়ারটেকিং এবং সেই সুযোগে মেয়েদের প্রতি তার পত্রাঘাতে যথেষ্ট বিরক্ত ছিল।// এখনকার সময়ে এটাকে ‘কী আঘাত’ নাম দেওয়া যায়? ভাইজান B:-) B:-/


ব্লাড প্রেশার পারভিনের সাথে লাভলেটার স্বপন ভাইয়ের এনকাউন্টারটি খুব উপভোগ করলাম। বেছারা, প্রেমটাও ভালোমতো প্রকাশ করতে শিখলো না... (স্বপ্নবাসরের মেজদা’র সাথে তার পরিচয় করিয়ে দিতে হতো।)




অনেক শুভেচ্ছা জানবেন, আবুহেনা ভাই...
মন্তব্য দেবার জন্য আবার পড়লাম এবং এবারও নতুন লেগেছে... :)
মজার জিনিস এমনই.....

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে! এমন লম্বা চওড়া মন্তব্যের কী জবাব দেব, ভেবে বুড়ো বয়সে একটু লজ্জাই লাগছে। বয়স কম ছিল। তাই কী করতে কী করেছি! ক্ষ্যামা দিয়েন ভাই। ভার্সিটি লাইফটাই এরকম। এখনকার ছেলেমেয়েরা অবশ্য আমাদের মতো এত বদ নয়। তারা সারাদিন মোবাইল ফোনের বোতাম গুলো টেপাটেপিতে ব্যস্ত থাকে বলে বদমায়েশি করার সুযোগ পায় না।

'স্বপ্ন বাসর'-এর মেজভাই তার কষ্ট ও হতাশা থেকে বাঁচার জন্য এমন বহু বদ কাজ করেছে জীবনে। আলেয়াকে ভুলে থাকার জন্য হাসি আনন্দের ক্যামোফ্লেজ দিয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে আজ পর্যন্ত। হয়তো তার মৃত্যু পর্যন্ত সে এই কাজই করবে। এ ছাড়া যে তার বেঁচে থাকার উপায় নেই ভাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, মইনুল ভাই। ভালো থাকবেন।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহা
খুব মজাদার লেখা।
যে-কোনো যুগে লাভলেটার স্বপন ভাইয়ের মতো ক্লাসে বা পাড়ায় কিছু ক্যারেক্টার থাকে। তারা থাকে বলেই লাইফটা খুব প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।


শুভেচ্ছা আবুহেনা ভাই।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম বিচিত্র চিড়িয়া সব ক্যাম্পাসেই দুই একটা থাকে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছেন।

ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মাই গো মাইহাই ব্লাড প্রেশার !

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভেচ্ছা নিও পলাশ।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি সেই বোবা মেয়ের কিছু খবর জানতে চাই।

ওটা কি বাস্তব ঘটনা। আমি জানি বোবারা লেখতে পড়তে পারে না। তাদের আলাদা ভাষা আছে।

ওটা একটা অসাধারণ কাহিনী।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তুমি কী 'তেতো সন্দেশ'-এর নার্গিসের কথা বলছো? তেত্রিশ বছর আগের ঘটনা। এই তেত্রিশ বছরে আমার আর জয়পুরহাট যাওয়া হয়নি। পেশাগত ব্যস্ততা, সংসার, সন্তানদের পড়াশুনা, চাকরিতে বদলী ইত্যাদি নানা কারণে নার্গিসের খোঁজ খবর নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। ২০০৬ সালে রিটায়ারের পর যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু স্ট্রোক করার কারণে সেটাও সম্ভব হয়নি বাবা।
আর যতদূর জানি, নার্গিসের বাবা গ্রামের মোড়ল হবার কারণে তার কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধা ছিল। খুব সম্ভবত নার্গিসের পড়াশুনা কোন স্কুলে হয়নি। গৃহশিক্ষক রেখে তিনি তার মেয়েকে লিখতে পড়তে শিখিয়েছিলেন। নার্গিস কালা ছিল না, শুধু বোবা ছিল। ফলে গৃহশিক্ষকের কাছে লিখতে পড়তে শেখা তার পক্ষে অসম্ভব ছিল না। তবে তার হাতের লেখা খুবই কাঁচা ও বানান ভুলে পরিপূর্ণ ছিল, যা ঐ গল্পেই বলা হয়েছে।
মোট কথা, তার যৎসামান্য লেখাপড়ার উৎস সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানি না।

ধন্যবাদ, পলাশ।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি যত টুকু জানতে চেয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি আপনি বলেছেন। তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

বোবা মনের ভাব কবিতায় প্রকাশ হয়,
বোবা মানুষের ভাব মনে লুকিয়ে রয়।

আর রবে না, এখন গল্পে প্রকাশ হবে। আাবরো আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, পলাশ।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রাতা :)
শুভেচ্ছা রইলো :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, অপূর্ণ।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৭

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা বলেছেন: হেনা ভাই, আগে প্রতিদিন দেখা হতো, কথা হতো এখন সে পথটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রিয় মানুষগুলোর সান্নিধ্য পেতে চলে আসা।আপনার অসাধারণ লেখাগুলোকে মিস করা যায় না। আপনাদের সান্নিধ্য পেতে এখানে চলে আসা।
শ্রদ্ধা জানবেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় বাবলা ভাই, আপনি খুব সত্য কথা বলেছেন। প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্য ত্যাগ করা যায় না। এখানে আমাদের কয়েকজন ব্লগার বন্ধু রয়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে একমাত্র মইনুল ভাই ছাড়া অন্যেরা নিয়মিত নন। ইদানিং আব্দুলহাক নিয়মিত হবার চেষ্টা করছে।
আপনি অবশ্যই এখানে লেখালেখি করবেন, বাবলা ভাই। আপনার মতো একজন গুনী ব্লগারকে অন্ততঃ আমি হারাতে চাই না। কিছুদিন নিয়মিত লেখালেখি করলে আমার মতো আপনিও এখানে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠবেন।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১১

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা বলেছেন: আলেয়াকে ভুলে থাকার জন্য হাসি আনন্দের ক্যামোফ্লেজ দিয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে আজ পর্যন্ত। হয়তো তার মৃত্যু পর্যন্ত সে এই কাজই করবে। এ ছাড়া যে তার বেঁচে থাকার উপায় নেই ভাই।

কিছুদিন পর “স্বপ্নবাসর”এর রিভ্যূটি এখানে দিয়ে দিই। কী বলেন হেনা ভাই?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কোন সমস্যা নেই বাবলা ভাই। তবে কিছুদিন পরেই দেন। এর মধ্যে আপনার পূর্বের কিছু উল্লেখযোগ্য লেখা এখানে পোস্ট দিয়ে মোটামুটিভাবে পরিচিত হয়ে নিন। আমি ও মইনুল ভাই যথাসাধ্য আপনাকে পৃষ্ঠপোষকতা দেবার চেষ্টা করবো। মইনুল ভাই এই ব্লগে সবারই প্রিয়ভাজন। প্রয়োজনে আমি তাঁর সাথে ফোনে কথা বলে নেব।

ধন্যবাদ, বাবলা ভাই। শুভ ব্লগিং।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৬

পার্থ তালুকদার বলেছেন: খুব ভাল লাগলো ভাই। আমার ভার্সিটি লাইফের কিছুটা আমেজ পেয়েছি ।
ভাল থাকুন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই পার্থ তালুকদার।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর মজার গল্প । পড়ে মজা পেলুম । :D

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই কলমের কালি শেষ।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২

বাংলার পাই বলেছেন: আহা! আহা! স্বপন ভাইয়ের জন্য খারাপ লাগছে। তবে আমার মনে হয় এটা যদি কোন ছায়াছবি হতো তবে স্বপন ভাইয়ের সাথে হাই ব্লাড প্রেশারের প্রেম হয়ে যেত।
হেনা ভাই, আপনাদের ফাজিল গ্রুপের মতো আমাদেরও একটা ব্যাক বেঞ্চার গ্রুপ আছে। আর আমাদের গ্রুপের নাম-DUMBA গ্রুপ।

গল্পে অনেক অনেক ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাদের ব্যাক বেঞ্চার গ্রুপকে অভিনন্দন। তাদেরকে এই গল্প পড়তে বলবেন। তাহলে তারা বুঝতে পারবে যে সব যুগেই ব্যাক বেঞ্চার গ্রুপ থাকে। হাঃ হাঃ হাঃ।

আবার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ফিরে যেতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু তা' আর হবার নয়। কী আর করা!

ধন্যবাদ, ভাই বাংলার পাই।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: এখনকার দিনের বেনামী এসএমএস বা ফোন কলের মতো =p~

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেকটা। আপনার কমন সেন্স আমাকে মুগ্ধ করেছে।

ধন্যবাদ, ভাই পাজলড ডক।

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১০

ওয়্যারউলফ বলেছেন: সোনালি দিনগুলো
মনে পড়ে এখনো।
স্মৃতি রোমন্থন অনেক ভালো লাগলো।শুভেচ্ছা জানবেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, স্মৃতি সততই মধুর।

ধন্যবাদ, ওয়্যারউলফ।

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫১

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই কালীদাস।

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা র'ল।
লেখকের প্রতি অভিন্দন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই এ কে এম রেজাউ করিম।

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

সুমন কর বলেছেন: হেনা ভাই, অাপনার বাকি লেখাগুলোর তুলনায় এটি তেমন লাগে নি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দুঃখিত। আশা করি, পরের লেখাগুলো ভালো লাগবে।

১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০০

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই হানিফ রাশেদীন।

২০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫০

জাফরুল মবীন বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া মজার গল্প=p~

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই জাফরুল মবীন।

২১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, খুবি মজার ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মামুন রশিদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.