নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ কাপুরুষ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

নারায়ণগঞ্জের একটি কমবয়সী মেয়ে আমার লেখা উপন্যাস ‘স্বপ্ন বাসর’ পড়ে একদিন আমাকে ফোন করে বললো, ‘আঙ্কেল, আপনি কী আমার জীবনের কাহিনী নিয়ে একটা উপন্যাস লিখতে পারবেন?’

আমি বললাম, ‘চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। আপনার জীবনের কাহিনী কী, বলুন।’

মেয়েটি কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করে বললো, ‘না, থাক।’

আমি বললাম, ‘আপনি নিজেই লিখে ফেলুন না! আরো ভালো হবে।’

মেয়েটি বললো, ‘আমি লিখতে পারি না। আমার অসম্ভব বানান ভুল হয়। আমি লিখলে কোন প্রকাশক ছাপাতে রাজি হবে না।’

‘আপনার নাম কী?’

‘রোখসানা’

‘কী করেন? পড়াশুনা?’

‘করতাম। এক বছর আগে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছি।’

‘কেন?’

‘সে অনেক কথা। আপনাকে পরে বলবো। আজ রাখি আঙ্কেল। স্লামালেকুম।’

মেয়েটি ফোনের সংযোগ কেটে দিল। প্রিন্ট মিডিয়ার অনেক পাঠক প্রায় প্রতিদিনই আমাকে ফোন করে আমার লেখা নিয়ে আলোচনা করে। ঢাকার একটি পত্রিকায় আমি নিয়মিত লিখি, যেখানে লেখকের কনট্যাক্ট নম্বর ছাপা হয়। ফলে পাঠকদের কাছে আমি খুবই সহজলভ্য। তাদের কেউ কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে নিজেদের জীবনের অনেক কথা আমাকে নির্দ্বিধায় খুলে বলে। নাম ঠিকানা গোপন রেখে তাদের জীবন-কাহিনী নিয়ে লেখারও অনুরোধ করে কেউ কেউ। তাদের সাথে আমার পরিচয় নাই, চেনা-জানা নাই, অথচ তারপরেও তারা কেন তাদের জীবনের এসব স্পর্শকাতর ঘটনা আমাকে বলে দেয়, আমি জানি না। এতে অবশ্য আমার লাভই হয়। তাদের সাথে কথাবার্তা বলে আমি লেখালেখির অনেক উপাদান খুঁজে পাই।

আমি প্রধানতঃ মানুষের জীবনের বাস্তবতা নিয়ে লেখালেখি করি বলে যে কোন মানুষের জীবন-কাহিনী শোনার প্রতি আমার ঝোঁক রয়েছে। এই মেয়েটি তার জীবন-কাহিনী বলতে গিয়েও বললো না দেখে ভাবলাম, এই কাহিনী আর শোনা হবে না। কিন্তু আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে মেয়েটি দু’দিন পর আবার ফোন দিল। বললো, ‘আঙ্কেল, আপনি কী সত্যিই আমার কাহিনী নিয়ে উপন্যাস লিখবেন?’ আমি বললাম, ‘উপন্যাস তো অনেক বড় ক্যানভাসে লিখতে হয়। আপনার কাহিনী কী, সেটা না জানলে তো বলা মুশকিল। উপন্যাস না হলেও ছোট গল্প লেখা যেতে পারে। আমি পত্রিকায় পাঠাবো। ছাপা হলে পড়তে পারবেন।’

মেয়েটি চুপচাপ। আমি একটু অপেক্ষা করে বললাম, ‘আপনি একটা কাজ করতে পারেন। মুখে বলতে অসুবিধা হলে সংক্ষেপে দু’তিন পৃষ্ঠার মধ্যে লিখে আমার ঠিকানায় পোস্ট করে দিন। ঠিকানা আমার উপন্যাসের প্রিন্টার্স লাইনে আছে। পড়ার পর লেখার উপযুক্ত মনে হলে আপনাকে আমি ফোন দিয়ে জানাবো। ঠিক আছে?’

মেয়েটি লাজুক কণ্ঠে বললো, ‘আঙ্কেল, আপনাকে তো আগেই বলেছি আমি বানানে খুব কাঁচা। আমার চিঠি পেলে আপনি বিরক্ত হয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেবেন। তাছাড়া কেমন করে লিখতে হয়, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।’

মনে মনে সত্যিই একটু বিরক্ত হলাম। তবে মনের ভাব প্রকাশ না করে বললাম, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে থাক।’

মেয়েটি অপ্রস্তুত হয়ে হড়বড় করে বললো, ‘সেটাই ভালো। আপনাকে ডিস্টার্ব করলাম আঙ্কেল। কিছু মনে করবেন না।’

আমি বললাম, ‘না, না। ইট’স্ ওকে।’

আমার একটা অভ্যাস আছে। কোন পাঠক আমার উপন্যাস বা পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা পড়ে ফোন করলে আমি তার নাম ও নম্বর ফোনবুকে সেভ করে রাখি। রোখসানার নাম ও নম্বরও সেভ করা ছিল। কিন্তু মেয়েটি দীর্ঘ প্রায় তিন মাস আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ করেনি। আর ব্যস্ততার কারণে আমার পক্ষেও পাঠক পাঠিকাদের সাথে উপযাচক হয়ে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে নারী পাঠকদেরকে আমি কখনোই ফোন করিনা।

রোখসানা প্রায় তিন মাস পরে আমাকে ফোন দিল। আমি বললাম, ‘কেমন আছেন?’

‘ভালো নেই আঙ্কেল। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

‘নিশ্চয় দোয়া করবো।’

অনেক পাঠক পাঠিকা ফোনে কথা শেষ করে দোয়া চায়। রোখসানার দোয়া চাওয়াকে আমি সেরকমই ভেবেছিলাম। কিন্তু তার সাথে এই সর্বশেষ ফোন যোগাযোগের তিন দিন পর আমি ডাকযোগে একটা চিঠি পেলাম। খুলে দেখি, রোখসানার চিঠি। সে সংক্ষেপে তার জীবন-কাহিনী লিখে পাঠিয়েছে। অসংখ্য ভুল বানানে লেখা এই চিঠিতে কাহিনীর শুরু কোথায়, আর শেষ কোথায় কিছুই বোঝা যায় না। অনেক ধস্তাধস্তি করে যেটুকু উদ্ধার করা গেল, তা’ এরকমঃ

মেয়েটি ঢাকার একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়াশুনা করতো। ভার্সিটির নাম কী, ডিসিপ্লিন কী কিছুই উল্লেখ নাই। তার দু’জন সহপাঠী অর্ণব ও সোহেল তাকে ভালোবাসতো। কিন্তু রোখসানা সোহেলকে পছন্দ করতো না। সে ক্লাস আওয়ারের বাইরে অর্ণবের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে মেলামেশা করতো, যা সোহেল মোটেই পছন্দ করতো না। এ নিয়ে সোহেলের সাথে রোখসানার বেশ কয়েকবার বাক বিতণ্ডা হয়। সোহেল অর্ণবকেও শাসায়। পরিস্থিতি খুব উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এক পর্যায়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। অর্ণব ও রোখসানা একদিন সন্ধ্যের পর এক চাইনিজ রেস্তোরাঁ থেকে খাওয়া দাওয়া করে বের হবার সময় সোহেল রোখসানার মুখে এসিড ছুঁড়ে মেরে পালিয়ে যায়। দেড় বছর আগের এই ঘটনায় রোখসানার মুখের বেশির ভাগই পুড়ে যায়। একটা চোখও নষ্ট হয়ে যায়। এক চোখ ও কপালের একাংশ ছাড়া তার পুরো মুখমণ্ডলই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়।

দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা করার পর ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ফিরে ভয়াবহ বিকৃত চেহারা নিয়ে রোখসানা স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে থাকে। খুব জরুরী প্রয়োজন না হলে সে ঘরের বাইরে যায় না। গেলেও বোরকা পরে পরিবারের একজন সদস্যকে সাথে নিতে হয়। ঘটনার পর থেকে তার পড়াশুনার পাট চুকে গেছে।

ঘটনার পর অর্ণব একবার মাত্র দশ মিনিটের জন্য তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিল। এরপর আর তার দেখা পাওয়া যায়নি। সিম বদলে ফেলায় বহু চেষ্টা করেও রোখসানা তার সাথে ফোনে কথা বলতে পারেনি। তার ক্লাসের দু’তিনজন ছাত্রী তাকে দেখতে গেলে রোখসানা অর্ণবের কথা জিজ্ঞেস করায় উত্তর পেয়েছে, ‘ওকে ভুলে যা।’

রোখসানার চিঠি পড়ার পর পরই আমি ফোন দিলাম তাকে। আমার ভেতর একটা অস্থিরতা কাজ করছিল। রোখসানার সাথে কথা বলা দরকার। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া দরকার। প্রায় অপাঠ্য একটা চিঠি তার সাথে আমার সম্পর্কটাকে মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিয়েছে। লেখক ও পাঠকের সম্পর্ক উধাও হয়ে গিয়ে বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক সামনে চলে এসেছে। আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে চাই।

কিন্তু ফোন রিসিভ করলো একটি পুরুষ কণ্ঠ। বললো, ‘আপনি কী আবুহেনা সাহেব বলছেন?’

‘জি বলছি। আপনি কী রোখসানার বাবা?’

‘জি না, আমি ওর বড় ভাই। আপনার ব্যাপারে সে আমাকে বলে গেছে। ওর ফোন বুকে আপনার নাম ও নম্বর সেভ করা আছে।’

আমি বিচলিত বোধ করলাম। উৎকণ্ঠিত গলায় বললাম, ‘বলে গেছে মানে? সে এখন কোথায়?’

যুবক শান্ত গলায় বললো, ‘রোখসানাকে নিয়ে বাবা তিন দিন আগে জার্মানি চলে গেছেন। সেখানে রোখসানার কসমেটিক সার্জারি হবে।’

ওফ্, মনে হলো আমার অস্থির হৃৎপিণ্ডটা যেন একটু শান্ত হলো। কয়েক সেকেন্ড ধকল সামলে নিয়ে বললাম, ‘আপনি কী করেন?’

‘আমি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। রোখসানা তো ঘরের বাইরে যেত না। আপনার উপন্যাসটা বার বার পড়ে সে সময় কাটাতো। আপনি ফোন করেছিলেন, সে কথা ওকে বলবো। ও খুশি হবে। দেশে ফিরলে নিশ্চয় সে আপনার সাথে কথা বলবে।’

আমি ধন্যবাদ দিয়ে ফোন রেখে দিলাম। আমার বেডরুমের জানালার ওপাশে একটা নিম গাছ আছে। জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আমি নির্বাক তাকিয়ে রইলাম সেদিকে। বেডরুমের ভেন্টিলেটারে বাসা বেঁধেছে দুটো চড়ুই পাখি। ওরা কিচির মিচির করতে করতে একবার উড়ে গিয়ে নিম গাছের ডালে বসছে, পরক্ষণেই আবার উড়ে এসে বাসায় ঢুকছে। আমি মনোযোগ দিয়ে দেখছি ওদের। নিম গাছের ডালে বসে পাখি দুটো একে অন্যের ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে আদর করছে। তারপর ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে যাচ্ছে অন্য দিকে। কয়েক সেকেন্ড পরেই আবার ফিরে আসছে ওরা। এই কুৎসিত দুনিয়ায় এত সুন্দর দৃশ্য কত দিন দেখি না!

রচনাঃ ১৪/০৮/২০১৩

*************************************************

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা বলেছেন: আপনার হৃদয়ের কারুকাজকে হাতে তুলে নিয়ে অবিকল বসাতে পারেন। সাদামাটা কথা দিয়ে হৃদয় ছোঁয়া একটা শিল্প। এ শিল্পে আপনার মুনশিয়ানা আছে। আপনার লেখার পড়তে পড়তেই দৃশ্যগুলো কেমন চোখের সামনে চলে আসে।
শ্রদ্ধা জানবেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই জমির হায়দার বাবলা।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ ভাল লাগল, পৃথিবীর অন্যতম অসভ্য অশিক্ষিত মহা দুর্ণীতিবাজ একটা দেশের গল্প, যেদেশে অপরাধীর কোন শাস্তি হয়না!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: // পৃথিবীর অন্যতম অসভ্য অশিক্ষিত মহা দুর্ণীতিবাজ একটা দেশের গল্প, যেদেশে অপরাধীর কোন শাস্তি হয়না //


এর চেয়ে সত্যকথন আর কিছু নেই। ধন্যবাদ, প্রিয় ঢাকাবাসী।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

জীবনের ঘটনাগুলোকে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করে এ থেকে শিক্ষণীয় কিছু তুলে ধরা। এটি এক বিরল গুণ। জানি না সকল গল্পকারের মধ্যেই একই গুণ থাকে কি না।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মইনুল ভাই। শিক্ষণীয় কিছু তুলে ধরতে পেরেছি কী না জানি না। তবে চেষ্টা করেছি ভাই।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++

রোখসানার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ।

আপনিও ভালো থাকবেন সবসময় ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, অপূর্ণ।

শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন।

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব সহজ সাধারন গল্পটা যে কারোরই হতে পারতো। কিন্তু আপনার লেখনীতে সেটাই অনন্য হয়ে উঠেছে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, রেজওয়ানা আলী তনিমা।

শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন।

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫২

ডি মুন বলেছেন: রোকসানার জন্য শুভকামনা।

গল্পের শেষে ভালোকিছুর আভাস পেয়ে এখন ভালো লাগছে।

শুভকামনা জানবেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রোখসানা জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিক চেহারা নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশে ফিরেছে। শুনে খুশি হবেন, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তারই আমেরিকা প্রবাসী খালাতো ভাইয়ের সাথে তার বিয়ে হয়েছে এবং গত জুলাই মাসে সে স্বামীর সাথে আমেরিকা চলে গেছে। আল্লাহ সহায়।

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫৫

ডি মুন বলেছেন: আর একটা কথা গল্পের নামকরণটা ভালো লেগেছে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই ডি মুন।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সহজ ভাষায় লেখা অনেক সুন্দর গল্প । পড়ে অনেক ভালো লাগলো । ভেবেছিলাম খারাপ পরিনতিতে গল্পের শেষ হবে চিরাচরিত গল্পের মত কিন্তু ব্যতিক্রমীভাবে শেষ হয়েছে । :P

মেয়েটার সামর্থ আছে দেখে তার বাবা তাকে ট্রিটমেন্ট এর জন্য জার্মান নিয়েছেন । কিন্তু সামর্থ না থাকাদেরতো অকাতর দুঃখে দিন কাটাতে হয় । যারা এইসব ঘৃণিত কাজ করে তাদেরও ওইরকম এসিড ছুড়ে দগ্ধ করা উচিত যদিও অপরাধ এর উত্তর অপরাধ দিয়ে দেওয়া উচিত নয় । কিন্তু মাঝে মাঝে এইরকমই ক্রোধজ্বলা অনুভূতি হয় । :(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে এই ধরণের অপরাধের প্রেক্ষিতে আপনার বা আমার এমন ক্রোধ খুবই স্বাভাবিক। এ থেকেই প্রমানিত হয় যে, এখনো মনুষ্যত্ববোধ নিঃশেষ হয়ে যায়নি।

ধন্যবাদ, ভাই কলমের কালি শেষ।

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আপনার সব লেখাই ভালো লেগে যায় , তবে পজিটিভ এন্ডিং টা শান্তি দিল

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, বোন সায়েদা সোহেলী।

১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১০

যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: গল্পটা পড়লাম। খুব সাধারণ একটা গল্প। আমাদের ঘূনে ধরা সমাজের চিত্র। আপনার লেখার গুণে মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছে পুরোগল্পে।

অর্ণবের মত মানুষের কাছে ভালবাসা হল বাহ্যিক সৌন্দর্যে, মন বলতে কিছু নাই। এই গল্পে প্রকৃতপক্ষে রোকসানাই জয়ী।

শেষটায় রোকসানার সুখের জীবনের প্রত্যাশায় আপনার আকংখা মন ছুঁয়ে গেছে।

অনেক ভাল লাগা রইল আপনার প্রতি।
শুভরাত্রি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সঠিক ভাবেই অর্ণবের চারিত্র্যিক বিশ্লেষণ করেছেন। সোহেলও আর একটা কাপুরুষ। এ দু'জনের শুধু ঘৃণাই প্রাপ্য।

ধন্যবাদ, ভাই যাযাবর বেদুঈন।

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাললাগা জানিয়ে গেলাম হেনা ভাই।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই জাফরুল মবীন।

১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে হেনা ভাই ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মামুন রশিদ।

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সমাপ্তিটা ভালো লেগেছে।
লেখক হিসেবে আমার খুব লোভ হতো লেখকের সঙ্গে মেয়েটিকে দেখা করানোর। :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রোখসানার সাথে আমার দেখা হয়েছে ভাই। সে জার্মানি থেকে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে ফেরার পর ওর পরিবারসহ সকলের সাথে আমার দেখা হয়েছে। তবে ওর বিয়ের অনুষ্ঠানে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনিবার্য কারণে যেতে পারিনি।

ধন্যবাদ, ভাই জুলিয়ান সিদ্দিকী।

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগলো হেনা ভাই ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মাহমুদ ০০৭।

১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৯

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
কাহিনীর মেয়েটির জন্য সমবেদনা জানাই, আর ছেলেটির জন্য করুণা !
আপনার সাবলীল বর্ণনায় চমৎকারভাবে উঠে এসেছে ঘটনার দৃশ্যপট ।

অনেক ভালোলাগা রইল আর সময় হলে
আমার এই গল্পটি "অন্ধকার,অতঃপর"...!!
পড়বেন, ধন্যবাদ ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লিংক দেননি। ঠিক আছে, আপনার ব্লগ বাড়িতে ঢুকে অবশ্যই পড়বো।

ধন্যবাদ, স্বপ্নচারী গ্রানমা।

১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৬

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: ভোল লাগলো খুব। আপনার অনেক লেখা পড়েছি। সবচেয়ে ভাল লাগে খুব সাবলীল ভাষায় দৃশ্যের বর্ণনা। সব রোখসানা ভাল থাকুন। নিজের মতো বাঁচুক।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, বোন সুলতানা সাদিয়া।

১৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার!

১৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখাটা পড়ে প্রশ্ন জাগলো মনে, এটা কি গল্প না সত্য ঘটনা? কিন্তু ডি মুন এর কমেন্ট রিপ্লাইয়ে লেখক বলেছেন: রোখসানা জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিক চেহারা নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশে ফিরেছে। শুনে খুশি হবেন, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তারই আমেরিকা প্রবাসী খালাতো ভাইয়ের সাথে তার বিয়ে হয়েছে এবং গত জুলাই মাসে সে স্বামীর সাথে আমেরিকা চলে গেছে। আল্লাহ সহায়।

অনেক ভালো লাগা জানবেন।

ঈদের শুভেচ্ছা রইল, ভালো কাটুক উৎসবের প্রতিটিক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.