নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণঃ ওপরওয়ালা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪

চাকরিজীবনে আমার কিছু অম্লমধুর অভিজ্ঞতার কথা শুনুন। চাকরিতে ঢোকার মাত্র কয়েক মাস পরে আমাদের এক কলিগ বললেন, ‘হেনা সাহেব, আপনারা ইয়ংম্যান। অফিস ডেকোরাম মানতে চান না। কিন্তু এটা তো সরকারি অফিস। নিয়ম কানুন মেনে না চললে আপনার সমস্যা হতে পারে।’

আর একজন বললেন, ‘ভাই, চাকরি মানে চাকরের কাজ। চাকরের কোন স্বাধীনতা থাকেনা। ওপরওয়ালা যা বলবে, বিনা প্রশ্নে তা মেনে চলতে হবে। সরকারি অফিসে দুটো অলিখিত রুল আছে। রুল নাম্বার ওয়ান-বস ইজ অলওয়েজ রাইট। রুল নাম্বার টু-ইফ ইউ থিংক দ্যাট বস ইজ নট রাইট, দেন প্লিজ সি রুল নাম্বার ওয়ান। চাকরি করতে চাইলে হাংকি পাংকি ছেড়ে রেগুলার হোন। না হলে কিন্তু খবর আছে।’

আর একজন সিনিয়র বড়ভাই মোস্তাইন বিল্লাহ সাহেব বললেন, ‘হেনা সাহেব, এদের কথা শুনে বিভ্রান্ত হবেন না। এই ডিপার্টমেন্টে নতুন যারা আসে, তাদেরকে এরা এভাবেই ভয় দেখায়। ওপরওয়ালারা নিজেরাই অফিস ডেকোরাম মানেনা। চাকরি যখন করছেন, তখন আস্তে ধীরে সবই বুঝতে পারবেন। আপনি তরতাজা শিক্ষিত যুবক। এদের কথা শুনে ঘাবড়াবেন কেন?’

এইরকম ভয় ভীতি আর সাহসের যোগানের মধ্যে কয়েক বছর কেটে গেল। তেমন কোন বিপদ আপদের দেখা পেলাম না। তবে এ্যাকাউন্টেন্ট হওয়ার পর আমার ঘাড়ের আশেপাশে বিপদের ঘণ্টা বাজতে লাগলো। অফিসারদের টি এ, ডি এ, বিল এবং ঠিকাদারদের বিলে নানারকম অনিয়ম। বরাদ্দকৃত বাজেটের অতিরিক্ত খরচ। ভুয়া ওভারটাইম বিল। উপযুক্ত বিল ভাউচারের অভাব। বিল পাস না করে আটকে দিলে ওপরওয়ালাদের ধমক আর ঠিকাদারদের হাত কচলানো প্রলোভন। আমি কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে এ্যাজ পার রুলস এ্যান্ড রেগুলেশনস কাজ করে যেতে লাগলাম।

প্রথম ধাক্কাটা এলো বদলী অর্ডারের মাধ্যমে। আমি বদলী হয়ে চলে গেলাম নতুন কর্মস্থলে। সেখানেও কম বেশি একই অবস্থা। আমিও আপোষহীন নেত্রীদের মতো অনড়। দুই বছরের মধ্যে সাত বার বদলী হলাম। মোস্তাইন বিল্লাহ সাহেবের সাথে দেখা করে বললাম, ‘বড়ভাই, আর তো পারি না।’

বিল্লাহ সাহেব হেসে বললেন, ‘এই বয়সে পারি না বললে চলবে? হেনা সাহেব, একটা কথা মনে রাখবেন। কুকুর যখন শেয়ালকে তাড়া করে, তখন শেয়াল একাই হাঁপায়না, কুকুরও হাঁপায়।’

আমি বিল্লাহ ভাইয়ের কথায় অনুপ্রানিত হয়ে পূর্ণ উদ্যমে মাথা উঁচু করে চাকরি করে যেতে থাকলাম। এরপর শুরু হল নানারকম শো কজ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পারমিশন ছাড়া ছুটির সময় আমি স্টেশন (কর্মস্থল থেকে পাঁচ মাইল পর্যন্ত) ত্যাগ করলাম কেন? ট্রেনিং থেকে ফিরে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আমার দুই দিন ট্রানজিট পাওয়ার কথা, আমি তিন দিন ভোগ করলাম কেন? বাড়ি থেকে ছুটির দরখাস্ত পাঠানোর নিয়ম নেই, আমি তা’ পাঠালাম কেন? দরখাস্তে ডায়রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি কেন? আমাকে সিভিল সার্জেনের কাছে রেফার করা হল। চিঠি চালাচালি হতে হতে আমার ডায়রিয়া ভালো হয়ে গেল। সিভিল সার্জেন রিপোর্ট দিলেন, আমি সুস্থ। ওপরওয়ালাদের কাছে আমি মিথ্যেবাদী হয়ে গেলাম। পরদিন অফিসে গিয়ে ‘এবারকার মতো আপনাকে সতর্ক করিয়া দেওয়া হইল’ মর্মে একখানা চিঠি এবং আবার পাণ্ডব বিবর্জিত স্থানে বদলীর অর্ডার পেয়ে গেলাম। ওপরওয়ালাদের মনে কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!

ছুটির আবেদন করলে সরাসরি নাকচ। ইনক্রিমেন্ট, টাইম স্কেল, এরিয়ার বিল ইত্যাদি পাওনার ব্যাপারে প্রশাসনিক আদেশ জারির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা। প্রমোশনের ব্যাপারে অহেতুক গড়িমসি। এ সি আর যাচ্ছে তাই। সার্ভিস বই লালে লাল। এরকম নানা অত্যাচারে আমি জর্জরিত। তবে বিল্লাহ ভাইয়ের কথা একটুও ভুল ছিলনা। ওপরওয়ালাদের কাছে আমার উপস্থিতি ছিল মূর্তিমান আতংক। যত দ্রুত সম্ভব আমাকে বিদায় করতে পারলেই তারা বাঁচে।

এভাবে পঁচিশ বছর চাকরি করার পর ২০০৬ সালে পূর্ণ পেনশন ও গ্র্যাচুইটি নিয়ে আমি স্বেচ্ছা অবসরে গেলে আমার ওপরওয়ালারা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। ২০০৫ সালের শেষের দিকে আমার একটা হালকা স্ট্রোক হয়েছিল। তা নাহলে হয়তো আমার জন্য তাদেরকে আরও কিছুদিন ভুগতে হতো। এই পঁচিশ বছরে, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি যতবার বদলী হয়েছি তার চেয়ে বেশি বার বদলী হওয়া লোক অন্ততঃ আমার ডিপার্টমেন্টে কেউ নেই। মন্দের ভালো একজন অফিসার আমার স্বেচ্ছা অবসরের কাগজপত্র প্রসেসিংয়ের সময় বলেছিলেন, ‘হেনা সাহেব, আপনি কেন স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন তা’ আমি জানি। ওপরওয়ালাদের সাথে একটু মানিয়ে চললে আপনাকে এত হেনস্থা হতে হতোনা। আরও ছয় সাত বছর চাকরি করতে পারতেন।’

আমার বয়স তখন পঞ্চাশ পার হয়ে গেছে। তবু পঁচিশ বছরের যুবকের মতো আমি সিনা টান করে বলেছিলাম, ‘এইসব মেরুদণ্ডহীন ওপরওয়ালাদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাবান একজন ওপরওয়ালা আছেন। তিনিই আমার সহায়। আপনার উপদেশ আপনার নিজের পকেটেই রেখে দিন। আমার কোন প্রয়োজন নাই।’

*******************************

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

বাংলাদেশ-ফয়সাল বলেছেন: কুকুর যখন শেয়ালকে তাড়া করে, তখন শেয়াল একাই হাঁপায়না, কুকুরও হাঁপায়।

এইসব মেরুদণ্ডহীন ওপরওয়ালাদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাবান একজন ওপরওয়ালা আছেন। তিনিই আমার সহায়। আপনার উপদেশ আপনার নিজের পকেটেই রেখে দিন।


দারুন লাগলো ।

একটা জিনিস বুঝলাম না, সরকারী চাকরীতে আবার ওপরওয়ালা কি ??

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, সরকারি চাকরিতে ওপরওয়ালা মানে অফিস প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, এ্যাপয়েন্টিং অথরিটি ইত্যাদি। তারা কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের শৃঙ্খলা ও বিধি বিধান মেনে চলার বিষয়টি দেখাশুনা করেন। তারা সরকারি বিধি মোতাবেক কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের পোস্টিং, বদলী, পানিশমেন্ট, সার্ভিস টারমিনেশন ইত্যাদি জারি করার ক্ষমতা রাখেন।
লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, ভাই বাংলাদেশ-ফয়সাল।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: মানুষের জীবনতো একটাই । এই এক জীবনে মাথা উচু করে চলতে পারা অনেক গৌরবের । আপনার দৃঢ়তাকে সম্মান জানাই ।

ভালো থাকবেন সুপ্রিয় হেনা ভাই । শুভকামনা নিরন্তর ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মামুন রশিদ।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: জীবন মানেই সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা। শুধু চাকরী কেন সংসার জীবন থেকে শুরু করে বাসের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সংগ্রাম, পড়াশোনা করতে গিয়ে সংগ্রাম এমনকি এইযে লেখালিখি এখানেও সংগ্রাম করেই বাঁচতে হয়।

এই যে, এত সংগ্রাম অবশেষে বিজয় অর্জন করতে পারার মাঝেই সার্থকতা। আপনি সেটা করতে পেরেছেন।

আপনার জন্য অনেক শ্রদ্ধা। ভাল থাকুন এভাবেই সব সময়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই যাযাবর বেদুঈন। শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে আকুন্ঠ শ্রদ্ধা রইল ।

সবসময়ই ভালো থাকবেন আর সুস্থ্য থাকবেন এই কামনা করি :)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, অপূর্ণ।

আপনিও ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: শ্রদ্ধা হেনা ভাই--পড়লাম আপনার অভিজ্ঞতা। আসলে কি বলব !! এমন অভিজ্ঞতার ঝুলি মনে হয় বাংলাদেশে অনেক সৎ চাকুরিজীবিদের আছে । যত মানুস অসৎ হতে পারে তার জন্যই খোলা থাকে দুয়ার ।

ভাল থাকবেন,

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, বোন নাসরিন। তুমি ঠিক কথাই বলেছ। তবে আমি কিন্তু কখনো মাথা নত করিনি। যে কারণে বয়স পূর্ণ হবার আগেই স্বেচ্ছা অবসরে যেতে হয়েছে। এ নিয়ে অবশ্য আমার কোন আক্ষেপ নেই। বরং আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত।

ভালো থেক বোন। শুভকামনা রইল।

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্যালুট আপনাকে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হে নির্ভীক ! শ্রদ্ধা নিন। আশা করি আবু হেনারা কখনো অরিত্র হারা হবে না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, অন্ধবিন্দু।

ধর্মের রেফারেন্স দিচ্ছি না। বাস্তব জীবনের কথাই বলছি। অসৎ উপায়ে যত কোটি টাকাই কামাই করি না কেন, সব ফেলে রেখে যখন চলে যাওয়া অনিবার্য, তখন নিজেকে মাথা নত করে রাখবো কেন ভাই? উচ্চশির মানুষ সকলের শ্রদ্ধেয়। এই যেমন আপনার সাথে আমার চেনা নেই জানা নেই, তারপরেও আপনি শুধু এক টুকরো সত্য ঘটনা পড়ে আমার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এর চেয়ে বেশি কী চাওয়ার আছে ভাই? এটাই তো আমার স্বর্গে যাওয়ার সমতুল্য আনন্দ।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: হেনা ভাই আমি আমার জীবনে হাতেগোনা যে ক’জন সৎ সরকারী অফিসারকে দেখেছি তাদের জীবনের গল্পগুলো প্রায় এরকমই।শুধু তাই নয় উনাদের অনেককেই আবার কর্মক্ষেত্রে মানসিকভাবে নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি ঘরের বউ-ছেলেমেয়েদের দ্বারাও অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে দেখেছি শুধু মাত্র সৎ থাকার অপরাধে উপরি আয় না করতে পারায় কিংবা অফিসের অশান্তি ঘরে ঢুকে পড়ায়।আমি অত্যন্ত আক্ষেপের সাথে ‘অপরাধ’ শব্দটা ব্যবহার করলাম কারণ এ যুগে সৎ থাকাটা ও অসৎ কাজে সহযোগিতা না করাটা অনেকটা অপরাধের পর্যায়েই নামিয়ে অানা হয়েছে।এসব কথা ভাবতে গেলে শুধু আমার এক স্কুল শিক্ষকের কথা মনে পড়ে যায়।তিনি বলেছিলেন “সৎ থাকলে সুখ পাবি না কিন্তু শান্তি পাবি-ইহকালেও পরকালেও”।আপনার প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধা ছিল সেটা আরও দৃঢ়তা লাভ করল আপনার জীবন কাহিনী পড়ে।হয়ত এটাই সততার অন্যতম বড় প্রাপ্তি।ভাল থাকবেন হেনা ভাই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিশ্চয় এটাই বড় প্রাপ্তি। এর সমতুল্য প্রাপ্তি বা অর্জন আর কিছুই হতে পারে না। আমি মানুষ, অথচ মানুষ আমাকে ভালোবাসে না-এমন হলে তো আমার চেয়ে হতভাগা এই পৃথিবীতে আর কে আছে? আপনার স্কুল শিক্ষকের কথা ১০০% সত্য। আমার বস্তুগত বা পার্থিব জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য কম, কিন্তু শান্তি অনেক বেশি। মনে শান্তি না থাকলে কী কেউ রম্যরচনা লিখতে পারে, বলুন?

ধন্যবাদ, ভাই জাফরুল মবীন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//সরকারি অফিসে দুটো অলিখিত রুল আছে। রুল নাম্বার ওয়ান-বস ইজ অলওয়েজ রাইট। রুল নাম্বার টু-ইফ ইউ থিংক দ্যাট বস ইজ নট রাইট, দেন প্লিজ সি রুল নাম্বার ওয়ান।// B-) B-)

//কুকুর যখন শেয়ালকে তাড়া করে, তখন শেয়াল একাই হাঁপায়না, কুকুরও হাঁপায়।// =p~ =p~

//এইসব মেরুদণ্ডহীন ওপরওয়ালাদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাবান একজন ওপরওয়ালা আছেন। তিনিই আমার সহায়। আপনার উপদেশ আপনার নিজের পকেটেই রেখে দিন। আমার কোন প্রয়োজন নাই।// !:#P



-মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন.... এবং আপনাকে সেলাম, আবুহেনা ভাই :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মইনুল ভাই।

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন কেন ভাই? লেখা কী অখাদ্য কিছু হয়েছে? নাহ, সেলাম যখন একটা পেয়েছি, তখন মনে হচ্ছে চেটে বা চিবিয়ে খাওয়ার মতো না হলেও গিলে খাওয়ার মতো কিছু একটা লিখে ফেলেছি। নিজেকে অভিনন্দন জানালাম। যা ইচ্ছে লিখে যাও আবুহেনা, ব্লগরত্নের সেলাম পাবেই। হাঃ হাঃ হাঃ।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এখন হলো ‘ইমোটিকনের’ যুগ। ইমো’র ইশারায় বুঝে নিন কী বলেছি ;)



শেষ উদ্ধৃতিটি আমার মন্তব্যর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে।


আপনার লেখাগুলো শুধুই গল্প নয়, জীবনচিত্র।

শুভেচ্ছা জানবেন.... এবং শুভরাত্রি.... আবুহেনা ভাই :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।

শুভরাত্রি।

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দারুণ, দারুণ, এই গল্পটা একেবারে লেটেষ্ট মনে হচ্ছে।

একটা কথা আমার খুব মনে ধরেছে,--কুকুর যখন শেয়ালকে তাড়া করে, তখন শেয়াল একাই হাঁপায়না, কুকুরও হাঁপায়।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, ভাই। এই গল্প আগে প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল। আপনার কাছে ভালো লাগায় খুশি হলাম।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:






সত্যি বলতে কী আপনার মতো সৎসাহসের লোক কয় জন আছেন? আপনার মত সৎসাহসী কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি স্তরে। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:





সত্যি বলতে কী আপনার মতো সৎসাহসের লোক কয় জন আছেন? আপনার মত সৎসাহসী লোকের প্রয়োজন কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি স্তরে। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.